খয়েরি পালক

আশালতা এর ছবি
লিখেছেন আশালতা (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৭/২০১৩ - ৪:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেবার অনেকদিন বাদে বাবা বাড়ি ফিরল একটা কলার ডোঙা হাতে করে। বৃষ্টিটা সবে ধরে এসে চারদিকে তখন ছায়া ছায়া সন্ধ্যে নামছে একটু করে। বর্ষার শেষাশেষি বিকেলগুলো যেমন হয়, ভেজা ভেজা স্যাঁতস্যেঁতে। চারপাশ ভিজে থুবড়ে আছে। গাছপালার পাতা থেকে সরসর টুপটাপ পানি পড়তে ব্যাঙগুলো ঝিঁঝিঁদের সাথে পাল্লা দিয়ে ঘ্যাঁ ঘোঁ ঘ্যাঁ ঘোঁ করে রাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে একসাথে। এর মাঝে লম্বা লম্বা পা ফেলে শেওলা ধরা উঠোনটা মাড়িয়ে বারান্দায় উঠে এসে ডোঙাটা সামনে বাড়িয়ে ধরে একমুখ হাসি দিয়ে বাবা বললে, দ্যাখো, তোমার জন্যে কি এনেছি! হ্যাপি বার্থডে!

বাবার উৎসাহ মোটেও আমার মধ্যে সংক্রমিত হল না, উল্টে একটু শঙ্কিত হলাম। অনেকদিন বাদে বাবা বাসায় ফিরলে খুশি হওয়া নিয়ম, তায় জন্মদিনের কথা মনে করে হাতে করে কিছু আনলে তো কথাই নেই। কিন্তু আমার বাবা তো হাবুল কি শিবলুর বাবার মত বাবা নয়। ওদের বাবা নিয়ম করে সকাল সন্ধ্যে পড়তে বসায়, বাজারে নিয়ে গিয়ে আইস্ক্রিম কিনে দেয়, ফি শুক্রবারে পাঞ্জাবি পরিয়ে হাত ধরে মসজিদে নিয়ে যায় আবার রেজাল্টের দিনে মেরে চামড়াও তোলে। এদিকে তপু কি ফিরদৌসির বাবাও খারাপ না। আমার বাবাটাই কেবল বেদম ছিষ্টিছাড়া মানুষ। সেই যে এক্সিডেন্ট করে মাথার ভেতর কিসব ঘুলিয়ে গেলো তারপর থেকে বাবাটা একেবারে এলোমেলো, নিয়মছাড়া। বাকি সবকিছুর সাথে মেয়েকে যে ভুলে গেলো তো ভুলেই গেলো। মাথার ভেতরের মেয়েটা তার আর বড়ই হল না। অনেক বড় হয়েও তাই বাবার গিফট মানে প্লাস্টিকের ঝুমঝুমি নয়ত কয়েকটা কুড়নো কাঠের টুকরো আর মাঝে মধ্যে কমলা প্যাকেটের বাবলগাম। হুট করে অদিনে বার্থডে গিফট পেয়ে তাই আমার মুখ একটু শুকিয়ে এলো। কিন্তু নিতান্ত অনিচ্ছেয় ডোঙাটা হাতে নিয়ে ভেতরে উঁকি দিতেই চোখ বড় হয়ে এল একেবারে।

কলাগাছের বাকল ভাঁজ করে বানানো বাক্সমত ডোঙাটার ভেতরে মেঘের মত নরম পালকের চারটে জ্যান্ত ঘুঘু টলটলে চোখে চেয়ে আছে। ঘুঘু! ইশ! কত কত দুপুর এদের দেখব বলে জঙ্গল হাঁটকে বেড়িয়েছি। এই কদিন আগেও ভাঙা কাঁচে পা কেটে বকা খেতে হল কত। আর পাজিগুলো একটু সাড়া পেলেই হল, হুশ করে কোথায় যে হারিয়ে যায় আর কক্ষনো খুঁজে পাওয়া যায়না। অথচ আমাদের জঙ্গুলে বাড়িটা হরেকরকম চেনা অচেনা পাখিদের আস্তানা। কাউকে ভয় ডরের বালাই নেই, নানারকম বাহারে পালক নিয়ে শিস দিতে দিতে সারাদিন উড়ে বেড়ায় এদিক সেদিক। কুমোরের বাড়ি থেকে গোটাকয় হাঁড়ি এনে মা বেঁধে দিয়েছিল গাছে আর কার্নিশে। আরামসে সেগুলোর দখল নিয়ে দিব্যি ঘর সংসার পেতে ফেলেছে একেকজনা। শুধু ওই ঘুঘু গুলোই বড় নাক ওঁচা। দেখা মেলেনা মোটে। আজ তাই মেঘ না চাইতেই এক গামলা জল পেয়ে বাক্য হরে গেলো আমার।

একবার মনে হল সব্বাইকে ডেকে দেখাই কি অসম্ভব জিনিষ হাতে পেয়ে গেছি আজ। দেখলে হিংসেয় ওদের মুখখানা কেমন হবে ভাবতেই ভীষণ হাসি পেয়ে যায়। নিচু হয়ে পাখিগুলোর পায়ের দড়ি আলগা করতে করতে হাসি আমি। সরু কাঠি কাঠি আঙুলে দড়িগুলো কি বিশ্রীভাবে কেটে বসে গেছে। ছড়ে যাওয়া চামড়া আর রক্ত লেগে আছে তাতে। পাখিগুলো কিন্তু শব্দ টব্দ কিছু করছিলো না, নড়ছিলও না একেবারে। চোখ বড় বড় করে পড়ে ছিল চুপচাপ। বুকের কাছটা শুধু ওঠানামা করছিল খুব। একবার মাথা তুলে মুখের দিকে তাকিয়ে মাথাটা নিচু করে মরার মত পড়ে রইল আবার। একটু অবাক হই, হাত থেমে যায়। টলটলে চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে বুকের কোথায় যেন একটু ধাক্কা এসে লাগে। ছটফটানি নেই, আঁচড় ঠোকর নেই, কোন প্রতিবাদও নেই চোখগুলোয়। নিষ্ঠুরতাটুকু নিয়তি বলে মেনে নিয়েই শান্তভাবে অপেক্ষা করছে যে কোন কিছুর। নাকি তাতে ঘৃণা ? আমরা বুঝিনা শুধু?

বাক্সটা হাতে করে উঠোনে নেমে আসি আমি। বৃষ্টি শুরু হয়েছে আবার ঝির ঝির করে। ঝাঁকড়া লিচুগাছটার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। এই কদিন আগেও হাজারটা চড়ুই এর ডেরা ছিল এটা। সকাল সন্ধ্যে তাদের ভয়ানক কিচিরমিচিরে কান পাতা দায় ছিল। সন্ধ্যের আবছায়া অন্ধকারে আজকে গাছটা ভিজছে জবুথবু হয়ে একা একা। চলে গেছে ওরা। আসেনা আর। চেঁচামেচিতে ঘুমোতে না পেরে বিরক্ত হয়ে বাসা ভেঙে দিয়েছিলাম যে। তাতে ছানা ছিল ক'টা। কাকগুলো যখন ছানাগুলোকে ঠোঁটে ঠুকরে খাচ্ছিল তখনও চিঁ চিঁ করছিল ওগুলো। কি বিশ্রিরকম বেঁচে থাকতে পারে ওইটুকু ওইটুকু বাচ্চা। তারপর থেকে আর শব্দটব্দ নেই বাড়িটায়। ওরা এসে আর কিচিরমিচির চিড়িক পিড়িক করে করে দিনভর জ্বালাতন করেনা। রাতের পর রাত আমি জেগে বসে থাকি শ্মশানের নিস্তব্ধতায়। মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্নে কতগুলো খয়েরি চড়ুই শান্তচোখে তাকিয়ে থাকে শুধু।

বৃষ্টিতে পেছল মাটিতে সাবধানে পা ফেলে চলে যাই বাগানের দিকটায়। এখান থেকে রান্নাঘরটা দেখা যাচ্ছে একটু করে। মেঝেয় নিচু টুলে পিঠ টান করে বসে আছে বাবা। হাত টাত নেড়ে নেড়ে কিসব গল্প শোনাচ্ছে মাকে। চুলোর আগুনে লালচে হয়ে থাকা মুখটা নিচু করে মা হাসছে অল্প অল্প। ওদিকটায় একবার তাকিয়ে বড় করে শ্বাস নিই একবার। আঙুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখে নিই অদ্ভুত সুন্দর পালকগুলো। ডোঙাটার মুখ খুলে ঘুঘুগুলোকে বের করে এনে পেয়ারাগাছের নিচু ডালটায় বসিয়ে দিতে ঘাড় বাঁকিয়ে একবার তাকিয়েই ডানা ঝটপটিয়ে উড়ে যায় ওরা আবছায়া অন্ধকারে।

পরদিন সকালে ঘুম ভাঙল মা’র চেঁচামেচিতে। তাকিয়ে দেখি লিচু গাছটা ঝমঝম করছে আগের মত অসংখ্য খয়েরি কালো ছোপের কিচিরমিচিরে। সর্ষে নাকি খুদকুঁড়ো কি একটা উঠোনে শুকোতে দেয়ায় দলবেঁধে হামলে পড়েছে বলে ‘গেলি না! গেলি না!’ বলে লাঠি হাতে চেঁচাতে চেঁচাতে মা উঠোনময় ছুটে বেড়াচ্ছে। সেসব চ্যাঁচামেচিতে কেউ ভয় পাচ্ছে বলে মনে হলনা মোটে। আমি হাসি। বালিশটা কানে চেপে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে যাই আবার।

সেই থেকে ওরা ছেড়ে যায়নি আর। যখন যেখানে যাই ওদের সাথে ভাব হয়েই যায়। কাক আর হায়েনার অদ্ভুত এই শহরে এখনো রোজ ভোরে আমার ঘুম ভাঙে পাখির ডাকে। আক্ষরিক অর্থেই। শোবার ঘরের পাশের চিলতেখানি জায়গাটার গাছপালাগুলোর দখল ওদেরি। রাজ্যের দোয়েল চড়ুই আর বুলবুলির ক্যাঁচরম্যাচোরে একেকদিন কান ঝালাপালা। এই কদিন থেকে আবার পর্দা সরানোও বারণ। জানলার দুহাত দূরেই বেয়ে ওঠা নীলমণি লতার ভাঁজে বুলবুলি মা বাসা বেঁধে ছানা ফুটিয়েছেন। তাকালে বিস্তর রাগারাগি করেন। আজ ভোর থেকে দেখি সব চুপচাপ। কি হল ভেবে পর্দাটা সরিয়ে দেখি ছিপছিপে বৃষ্টিতে মায়ে পোয়ে ভিজে একশা। শীতে জবুথবু। মা’টি আমায় দেখে ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালেও উড়ে গেলেন না। ছানাদের একজন অবশ্য বেশ খুশি খুশি ভাব দেখিয়ে ডানা ঝটপটিয়ে উঠল। ছোট ছোট পালক হয়েছে দেখি। তার মানে আর বেশিদিন নেই। শিগগিরি আমার জানলা ছেড়ে উড়বে ওরা জানি। দেখা হবেনা আর। পুঁতির মত জ্বলজ্বলে চোখগুলোর দিকে তাকিয়ে হটাত ভেতরে কেমন কষ্ট হতে লাগলো...।

...হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়।


মন্তব্য

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

...হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়।

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আশালতা এর ছবি

এই যা! মন খারাপ করে দিলাম বুঝি? আমার তো আপনার কমেন্ট দেখতে ভালো লাগছে। প্রপিক থেকে যেরকম চোখ ঘুরিয়ে তাকিয়েছেন তাতে দেখলেই হেসে ফেলছি। যাহোক, মন্তব্যে ধন্যবাদ। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

...হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়। - অসাধারণ।
লেখাটা পড়ে 'চরাচর' সিনেমাটার কথা মনে পড়ল।

স্বয়ম

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ স্বয়ম। চরাচর সিনেমাটা আমার দেখা হয়নি যে, তাই কিসে মিল পড়ছে বুঝতে পারছিনা। আমি তো আমার মত করেই লিখি। অনেক কিছুর সাথে তা মিলে যেতেই পারে। শেষতক আমরা তো মানুষই। আমাদের বোধগুলোও তাই কোথাও না কোথাও একরকম হয়েই মিলে যায় হয়ত। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তিথীডোর এর ছবি

...হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়।

ভাঙে কতক, হারায় কতক, যা আছে মোর দামি/ এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি...'
জ্বি, হারানোর ভয় আছে বলেই ভালোবাসার সৌন্দর্য এত তীব্র!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আশালতা এর ছবি

বটে! জীবনের সার সত্য দেখি খুকিটি দিব্যি জেনে বসে আছে। অ্যাঁ

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

চলুক

একটি শালিক পাখির কথা মনে পড়লো। আমার বড় বোনের পড়ার টেবিলটি ছিল জানালার পাশে। ও যখনই পড়তে বসতো জানালার পাশে ওমনি একটি শালিক এসে এমন ডাকাডাকি শুরু করতো যে ঐ খানে বসে পড়াই অসম্ভব হয়ে যেত! ঝুমু আপু কপট বিরক্তি নিয়ে আমাদের ডেকে বলতো পাখির যন্ত্রনায় না পড়া যায়, না ঘুমানো যায়!

আশালতা এর ছবি

থ্যাঙ্কিউ রকিবুল ইসলাম কমল। একটাতেই যে পরিমাণ শব্দ করে তাতে একজোট হলে কিরকম দক্ষযজ্ঞ বাঁধিয়ে দেয় ভাবুন। আর এরা তো আমাকে মোটে পাত্তা টাত্তা দেয়না। ধমক দিলে উল্টে ঝুঁটি উচিয়ে ট্যাঁ ট্যাঁ করে কিসব জানি বলতে থাকে।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অতিথি লেখক এর ছবি

শিগগিরি আমার জানলা ছেড়ে উড়বে ওরা জানি
হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়

ভালবাসা যদি পোঁটলা করা অনুভূতির সারেং হয় তবে সবচেয়ে তীক্ষ্ন হয় হারিয়ে গেলেই। (স্বপ্লীল সমন্যামবিউলিস্ট)

আশালতা এর ছবি

ইয়ে...আপনার সারেং এর উপমাটা ঠিক ধরতে পারিনি। সারেং তো যদ্দুর জানি জাহাজ চালায় যে তাকে বলে, তিনি কিকরে তীক্ষ্ণ হবেন? সারেঙ্গি বোঝাতে চেয়েছেন কি? ইয়ে, মানে...

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অতিথি লেখক এর ছবি

কি কইতে কি খাইয়া ফেললাম! অ্যাঁ নাহ, সারেং ই বলছি। (স্বপ্নীল সমন্যামবিউলিসট)

ঘুমকুমার এর ছবি

...হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়।

আশালতা এর ছবি

অনেকদিন পর পোস্টে ঘুমকুমারকে দেখে ভাল্লাগ্লো। থ্যাঙ্কিউ। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আমার ঘরের এসির ফ্রেমের মধ্যে একজোড়া চড়ুই ঘর বাধে, বাচ্চা ফোঁটায় তারপর আবার একদিন উড়ে চলে যায়।

.হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়।

চলুক

আশালতা এর ছবি

চড়ুইগুলোর জ্বালাতনের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। ঘরদোর নোংরা তো করছেই সাথে গাছপালার কচি পাতাগুলো খেয়ে ঝাড়ে বংশে উজার করে দিচ্ছে। কদিন হল আবার একটা কি যেন পাখি জুটেছে, তার দেখি মাথায় সমস্যা। জানলার কাঁচে নিজের ছবি দেখে একটু পরে পরে এসে তার সাথে মারামারি করে আর পিকু পিকু করে সারাদিন ঘোর নালিশ জানাতে থাকে।
মন্তব্যে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মালাকাইেটর ঝাপী এর ছবি

একটা পাওনা মন্তব্য করে নেই আগে ___
২০১১ এ আপনার [পেয়ে হারাই খুজে বেরাই] এ লেখা পড়েও মন্তব্য করতে পারিনি বাংলা টাইপ করতে জানতাম না বলে ।
দুই বছরে জীবন বদলে গেছে অনেক ভাবেই।
অনেক দিন আগে আপানার লিখা পরে হুরমুরিয়ে কান্না পেয়েছিল শুধু আপনার কথা ভেবে,আজ ও কান্না পেল খানিক টা আপনার আর পুরুটাই আমার জন্য ,ইতিমধ্যে নিজের বাবাটা ও যে হারিয়ে গেছে হারিয়ে যাবার দলে।
এবার নগদ টা করে দেই ,তোমার লিখা বরাবর ই ভালো লাগে গো দিদি।
আমার দুই বড় বোনের নাম আশা আর লতা,তাই শেষটায় তুমি দিয়ে একটু আদর নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম আরকি , কিছু মনে করোনা যেন হাসি

আশালতা এর ছবি

মন্তব্য পড়ে তো সব কথা জট পাকিয়ে গেলো। কি বলি বলুন তো?!
প্রথম কথা হল, বাংলা লিখতে শিখেছেন আবার পাকামো মন্তব্যও করা হচ্ছে দেখে ভালো লাগলো। বাংলায় নিজের কথাগুলো লিখে ফেলার মধ্যে কি দারুণ একটা মুক্তির স্বাদ আছে, নয়? হাসি

দ্বিতীয় কথা হল, আপনার বা আমার বাবার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে চোখ ভেজানোর চাইতে কিছু না-ই বলি বরং। এই বাবাগুলা পচা। তাইনা? মন খারাপ

লেখা ভালো লাগবার কথায় আর কিই বলব ভাই। ২০১১ শুনেই চমকে গেলাম। মনে হল, বাব্বাহ এতদিন ধরে লিখছি আমি! এর মাঝে বহু বহুবার এমনকি এই গতকালও ঘোষণা দিয়ে লেখা ছেড়ে দেবার ভয়ানক ইচ্ছে হয়েছে। হয়। কখনই সেটা করা হয়না শুধু আপনার মত কিছু মানুষের জন্যে। এইসব ভালোবাসা ফেলে দিয়ে চলে যাবার শক্তিটা জুটিয়ে উঠতে পারিনা কখনই।
সম্বোধন নিয়ে সমস্যা নেই। ডবল দিদি হলাম তো, তাই যা খুশি বলবার স্বাধীনতা দেয়া হল। হাসি

আর হ্যাঁ, আপনাকে মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ না দিলেও বোধ হয় চলবে। ওটা নাহয় তোলাই থাকুক। সবকিছু সবার জন্যে নয়। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তারেক অণু এর ছবি

বাহ,

থাকুক তোমার একটু স্মৃতি থাকুক
একলা থাকার খুব দুপুরে একটু ঘুঘু ডাকুক!

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ অণু। এই লাইন দুটো আমার খুব খুব প্রিয়। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বর্ণ এর ছবি

মন ছুয়ে যাওয়া চমত্‍কার কথকতা..

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ বর্ণ। হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

চরম উদাস এর ছবি

মনডা উদাস হইলো

আশালতা এর ছবি

ক্যান? চিন্তিত

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

কিছু বলার ভাষা নেই -
উত্তম জাঝা!

আশালতা এর ছবি

ইয়ে...বেশি প্রশংসা করলে আমি একটু ভড়কে যাই রে ভাই। তাই ভয়ে ভয়ে বলি, থ্যাঙ্কিউ। লইজ্জা লাগে

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রণদীপম বসু এর ছবি

বাহ্ ! চমৎকার ঝরঝরে লেখাটা কোথায় যেন ছুঁয়ে গেলো !
ভালো লাগলো।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ রণ' দা। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আয়নামতি এর ছবি

থ্যাঙ্কুশ দিদি লেখা দেবার জন্য হাসি নিয়মিত হয়েছো দেখে ভালো লাগছে।
তোমার লেখা নিয়ে নতুন করে কী বলবো! উত্তম জাঝা, পাঁচতারা সব ফিকে হয়ে যায় যেন।
তোমাকে আমি যতটা হিংসে করি, তারচে' অনেক বেশি ভালোবাসি। মুগ্ধ হই তারও দ্বিগুণ।
মন উদাস করা লেখা তো হলো। এরপর একটা মন ফুরফুরে হবার মত লেখা দাও দেখি লক্ষীদিদির মত।
------------------------------------------------------

পরীক্ষার পাট সব চুকেছে তোমার? নাকি আবার ওটার ছুতোয় উড়াল দিবে? ভালো থেকো।

আশালতা এর ছবি

কস্তু ঠিকই বলে। এটার নাম আসলে বায়নামতিই রাখা উচিত ছিল। বলে কত কষ্ট মস্ট করে একখানা লেখা ঝাড়লুম, এখন মাস কতক একটু দম নিতে দে না বাবা। বুড়ো হয়েছি, কলসে জল আর কত রইবে বল দিকি?

পরীক্ষা মরিক্ষা চুকেছে আপাতত। তবে কিনা আমার উড়াল দিতে তো ছলের অভাব হয়না কোন কালেই। খাইছে
আর হ্যাঁ, এত্ত যে তারিফ কচ্ছ, অপাত্রে দান কর্তে নেই হে। তাই তারিফের খোসাটুকু ফেলে ভালবাসাটুকু নিলাম। ওইটায় আমার ভারি লোভ। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আয়নামতি এর ছবি

হেহেহে তারিফ কর্তে হয় বলেই করা হে চোখ টিপি তুমি বুদ্ধিমতী বলেই বুঝে গেলে।
এহ! নজরুলভাই বলেছেন তোমার আড়াইশ' লেখা ড্রাফ্টে পড়ে আছে।
ওখান থেকে ছাড়লে কী হয়? দিয়ে দেও। দিয়ে দেও। আম্রা পড়ি হাসি

আশালতা এর ছবি

তারিফ কর্তে হয় বলেই করা! তবে রে! [চোখ কটমট করে তাকাতে গিয়েও হেসে ফেল্লাম। এত মিষ্টি মেয়েটাকে কি আর বকা যায়! হো হো হো ]

নজরুল ভাই অদ্ভুদ। ইয়ে, মানে...

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

এই লেখা পড়িনি। সবার আগে এসে কমেন্টস পড়লাম। দেখলাম সবাই মন উদাসের কথা লিখেছে। মনটা এম্নিতেই বেশ উদাস। এর পর আবার এটা পড়লে চরম উদাস হয়ে যাবে। তাই আর পড়লাম না। বুদ্ধিমানের মত কাজ করেছি না?

তবে আপনার ফিরে আসার জন্য হাততালি

আরো লেখা পড়ার জন্য পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

পরিশেষে ইটা রাইখ্যা গেলাম...

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

আশালতা এর ছবি

কি জানেন, ব্লগে লেখার প্রথম দিন থেকে আজতক একটা জিনিষ আমি খুব কন্সিস্টেন্টলি বজায় রেখেছি। তা হল, আমার ব্লগে একটাও কাজের কথা পাবেন না। সবটাই ভাবাক্রান্ত অকেজো কথা। যারা খুব শক্ত শক্ত কাজের কথা লেখে তাদের থেকেও আমি শত হস্তেন দূরেই থাকি। কাজেই আমার লেখা না পড়াটা খুবই বুদ্ধিমানের কাজ যে হয়েছে তা আর বলতে! হাসি

আর ফিরে টিরে আসার কিছু নাই। সচলে এলে কেমন ঘরে ফেরার মত আনন্দ হয়। এজন্যেই ঘুরে ঘুরেই আসি। খালি লিখতে বড্ড আলসি লাগে এই যা। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কাজি মামুন এর ছবি

বুকের কাছটা শুধু ওঠানামা করছিল খুব। একবার মাথা তুলে মুখের দিকে তাকিয়ে মাথাটি নিচু করে মরার মত পড়ে রইল।

আমার বুকের ভিতরটাও মোচড় দিল। এত নিখুঁত ছবি এঁকেছেন এই প্যারাটিতে। শুধু এই প্যারা নয়, পুরো লেখাটাই কোমল অনুভূতির এক অনবদ্য নির্মাণ।
জঙ্গুলে বাড়িতে অনেকেই বড় হয়, কিন্তু অনেকেরই ফুরসত মেলে না ওদের প্রতিবাদ-হীন চোখগুলোর দিকে তাকানোর, বা 'অদ্ভুত সুন্দর পালকগুলো' 'আঙ্গুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে' দেখার অবকাশ! বা, 'চুলোর আগুনে লালচে' হয়ে থাকা মায়ের হাসিমুখ কয়জনকেই বা যোগায় স্নেহ-ভালবাসার এক অপার্থিব গাঁথা রচনায়? আমাদের পরিবার, মা, বাবার সাথে জড়িয়ে রয়েছে দোয়েল, চড়ুই, বুলবুলি, ঘুঘুরও জীবন। ওরাও বড় হয় আমাদের সাথে, আমাদের নিষ্ঠুরতাকে নিয়তি মেনেই, আমরা বুঝিনা শুধু।
আশাদি আপনাকে নিয়মিত হতে হবে। আমাদের কোমল অনুভূতিকে জাগিয়ে তোলার জন্য এমন অসাধারণ পোস্টের যে খুব দরকার!

আশালতা এর ছবি

নিয়মিত লেখালেখির কথা দিতে পারছিনা ভাই। তবে না লিখলে প্যাট পুড়ে যেহেতু, ন'মাসে ছ'মাসে দু একটা লেখা বোধহয় হয়েই যাবে। আর আপনি যত কিছু বলছেন এতকিছু গভীর কথা বার্তা ভেবে টেবে আমি আসলে লিখিনা। যা মনে আসে লিখে ফেলি। আপনাদের যেটুক ভালো লাগে সেটুকুই প্রাপ্তি। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

স্যাম এর ছবি

বাহ!
প্রথম প্যারাটা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল পরপার থেকে বিভুতি মশাই এসে লিখছেন সচলায়তনে।

আশালতা এর ছবি

এরকম বল্লে পাত্তাড়ি গুটিয়ে পালাতে হবে দেখছি। নাকি তারিফের আড়ে কপিক্যাট বলচেন মশায়?! চোখ টিপি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তানিম এহসান এর ছবি

...হারিয়ে যাবে বলেই হয়ত কিছু ভালোবাসা তীব্র সুন্দর হয়। সেটাই।

লিখছেন তাহলে? খাইছে

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম। লিখছি? হ্যাঁ, তবে সেরকম বিশাল কোন ব্যাপার না। সবাই বড় ত্যাক্ত করছিল। জোড়াতালি দিয়ে লেখা তাই দিয়ে দিলাম একখানা। কটাদিন শান্তিতে থাকা যাবে অন্তত। নইলে লেখালেখি একটা বিরাট পেইন। রেগুলার এই পেইন খাবার মত ত্যাল আমার নাই। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মর্ম এর ছবি

নানু বলতেন, সব বাসায় পাখিরা থাকে না!

এক সময় চড়ুই-এর জন্য অপেক্ষা করার কিছু ছিল না, আম্মুর সাধের পায়রারা কিংবা নানুর আদরের মুরগীরা যেন ঠিকঠাক খুদ কুড়িয়ে নিতে পারে, সেজন্য পাহাড়া দিতে হত। বাসার পেছনে পুকুরপাড়ে ঝাঁকড়া আমগাছটা থেকে যেন পাড়ার পাজীরা সাদা বকগুলো ধরে নিতে না পারে তার চেষ্টা করতে হত!

আপনার মায়াশহর-এ আটকে গেছি কতদিন, আপনার জানালায় চড়ুই ডাকাডাকি করে, আমরা মনে হয় 'কাওয়া'র ডাকটাও শুনি না। মন খারাপ

অটঃ বাকি লেখাগুলা কই? রেগে টং

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

আশালতা এর ছবি

সেদিন একজন বলছিলেন বৈদেশে নাকি যেসব বাড়িতে পাখির বাসা থাকে সেগুলোর দাম/রেন্ট বেশি হয়। শুনে আমি বিরাট ভাব নিলাম। হুঁ হুঁ! আসলে কি, ওরা বোধ হয় বুঝতে পারে কোথায় ওদের ঘাঁটানো হবে টবে না আরকি। তবে আমার সাথে পশুপাখি টাখির ভাব হয়ে যায় চট করেই। দুপেয়ে হলেও বুদ্ধিতে যে প্রায় ওদের সমান, বোঝে বোধ হয়। এই কদিন আগে সার্কাসের তাবুর বাইরে আনমনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, হটাত হু হু করে বিকট হুঙ্কার শুনে তাকিয়ে দেখি একটা হাতী শুঁড়খানা তর্জনীর মত করে আমায় ডাকছে। তাকাতেই সামনের কলাগাছের বান্ডেল তাক করে কাছে নিয়ে দেবার ভঙ্গি করে দেখাল। বোঝানোর ভঙ্গিমাটা এত স্পষ্ট যে আমি হা করে ওর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম। পাশের থেকে একজন দিতে যেতেই সেটা ছুঁড়ে ফেলে এমন রেগে উঠল। অনেক মাথা ঘামিয়েও কাজ করানোর জন্য আমাকেই কেন ওর মনে ধরল বুঝে পেলাম না।

ঢাকা শহরে কাকের ডাক শোনো না! গুল্বাজির যায়গা পাওনা, এ্যাঁ ?

আর, বাকি লেখা আবার কি জিনিষ!? ঐসব দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় ভুলতে নাই।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

তুলিরেখা এর ছবি

ও: আশালতা, কী অপূর্ব লিখেছ! প্রজাপতির ডানার মতন নরম করুণ ছোঁয়া দিয়ে যায়।

এখানে সেদিন দেখি তিনখান ছোট্টো পাখি(এত্তটুকুন ছোটো ছোটো যে আমার হাতের তালুতে চারপাঁচজন বসতে পারবে ছড়িয়েছিটিয়ে ) তারে পাশাপাশি বসে আছে। বাপরে কী গলা তাদের ! দুইটা দুইপাশ থেকে মাঝের পাখিটার দুই কানে ক্যালোরক্যালোর করছে। শেষে মাঝেরটা আর সইতে না পেরে উড়াল দিল, পাশ থেকে বাকী দুইটা ধাওয়া করলো। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আশালতা এর ছবি

থেঙ্কু থেঙ্কু। লইজ্জা লাগে

তোমার পাখিগুলোর ছবিটা যতবার ভাবছি ততবার হাসতে হাসতে গড়িয়ে যাচ্ছি। হো হো হো

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অতিথি লেখক এর ছবি

আশালতা-দিদি, লেখা পড়ে চুপটি করে বসে রইলাম। অপূর্ব! গুরু গুরু

"মাথার ভেতরের মেয়েটা তার আর বড়ই হল না।" একে বারে ঐ রকম না হলেও, কত বাবার-ই যে মাথার ভেতর-টা প্রায় ঐ-রকম-ই! যেই বাবাদের অন্য রকম দেখায় অনেক সময়-ই সেটা উপরে উপরে - ভিতরে ভিতরে সেই বাবাদের মাথার মধ্যেও কন্যাটি আর বাড়ে না! হাসি

- একলহমা

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ একলহমা। হাসি

আপনি যেরকম বলছেন তেমনটা যে কোন বাবামাই বলেন। সেটা আদর করে, স্নেহভরে বলেন। আমার বাবার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আসলে ওরকম স্নেহজাতীয় কিছু না। এক্সিডেন্টে বাবার আগের সব স্মৃতি মুছে সাদা কাগজের মত হয়ে গিয়েছিল। সিনেমায় ব্যাপারটা খুব রোম্যান্টিক করে দেখানো হলেও ভুক্তভোগী বলে জানি, আদতে ব্যাপারটা মোটেও সেরকম নয়। লেখায় লিঙ্ক দিয়েছি, পড়ে দেখতে পারেন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অতিথি লেখক এর ছবি

লিঙ্ক ধরে পড়ে এলাম আর থম মেরে বসে থাকলাম।
"আমায় খুঁজে দাও বাবা, আমি হারিয়ে গেছি" - আ: কিচ্ছু বলার থাকে না, নেই!
- একলহমা

আশালতা এর ছবি

ডুপ্লি ঘ্যাচাং।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মসীলক্ষণ পণ্ডিত এর ছবি

সকাল সকাল লেখাটা পড়ে মনটা কেমন যেন হয়ে গেলো রে দিদিভাই! স্যাম'র সাথে কিছুটা একমত, পড়তে গিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের লেখার আমেজ পেয়েছি। তবে বেশী মনে হয়েছে লীলা মজুমদার'র লেখা।
দারুণ দারুণ!
এতো সুন্দর লেখার জন্য অফুরান ভালোবাসা। হাততালি

আশালতা এর ছবি

কোন ঘটনার কথা লিখতে গেলে তার আশেপাশের ব্যাপারগুলো না বল্লে আমি ঠিক শান্তি পাইনা। এইজন্যে বোধ হয় বিভূতির কথা মনে হয়েছে আপনার। উনি খুব চমৎকার ডিটেল দিতেন। মজার কথা কি জানেন, আমি কিন্তু আগে বিভুতি পড়িনি। মানে এই কদিন আগে পর্যন্ত না। কদিন আগে একখানা সমগ্র কিনেছি বটে, শেষ হয়নি এখনও। লেখায় এইসব মানুষের ছাপ থাকলে হয়ত ভালোলাগা থেকে অজান্তেই এসে যায়। আমি নিজে খেয়াল করে দেখিনি কখনো।

আর..ভালোবাসায় কৃতজ্ঞতা। হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

অতিথি লেখক এর ছবি

কি সুন্দর মন খারাপ করা লেখা
চলুক
আর শেষের লাইনটা জীবনের অন্যতম সত্য
ইসরাত

আশালতা এর ছবি

... আমার লেখা এইরকমি, ক্যাতক্যাতা টাইপ। চেষ্টা করে দেখেছি তো, ভালো ভালো কাজের কথা আসেই না মোটে। তবু ভালো লাগলো শুনে বিরাট খুশি হয়ে গেলাম। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বান্ধবী  এর ছবি

পড়ার পর মন খারাপ হয়ে গেলো কেন বুঝলাম না।
শেষ লাইনটা অসম্ভব সুন্দর আর মায়া-মায়া।

আশালতা এর ছবি

এইটা তো মনখারাপি লেখা না তাও সবার মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে কেন সেটা আমিও বুঝছি না। ইয়ে, মানে...
মায়াকাড়া মন্তব্যে ধন্যবাদ বান্ধবী । আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

বান্ধবী এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ হাসি

আশালতা এর ছবি

আপনার নিকটা মজার। পড়তে গিয়ে আমি প্রায় বিশ্বাস করেই ফেলছিলাম যে সত্যিই বোধহয় পুরনো কোন বান্ধবী নাম লুকিয়ে কথা কইছে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

সুমিমা ইয়াসমিন এর ছবি

লেখাটা পড়তে পড়তে পুরনো কিছু স্মৃতি আলতো করে ছুঁয়ে গেল!

তোমার লেখা ভীষণ ভালো লাগে, আশালতা।

আশালতা এর ছবি

লিখে ফেলো লিখে ফেলো। অমন লেখা পড়তে দারুণ হবে।
আর লেখা ভালো লাগে শুনে ছাতের সমান খুশি হলাম। দেঁতো হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

নীলকমলিনী এর ছবি

সচলে আসার পর যে কয়েকজনের লেখা দেখলেই আমি পড়ি তুমি তার একজন। কাজের ব্যস্ততায় সবার লেখা ইচ্ছে হলেও পড়া হয়না। লেখাটি পড়েছি দুদিন আগে, তারপর থেকেই ভাবছি কি করে, কি করে এত ভালো কেউ লিখতে পারে, অথচ আলসেমী করে নিয়মিত লেখেনা।
এখন তো পরীক্ষা শেষ, প্লিজ আরেক টু ঘন ঘন লিখো।

আশালতা এর ছবি

আলসেমির কথাটা ফাজলেমি করে বলি বটে তবে সেটা আসলে সত্যি না নিলু আপা। কিছু একটা লিখতে পেলে আমার চাইতে বেশি খুশি আর কেউ হয়না। কিন্তু রোজ দিন যে পরিমাণ ঝামেলা সইতে হয় তাতে লেখালেখি করার মত ডেডিকেটেড নিজস্ব সময় আর তার সাথে মানসিক স্থৈর্য জোটানো আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়।
[ ভাগ্যিস!! নইলে এইরকম ক্যাতক্যাতা লেখা পড়িয়ে পড়িয়ে সচলের সব্বার ক্রনিক মাইগ্রেন ধরিয়ে দিতাম তো! দেঁতো হাসি ]

আপনি ভালোবেসেই হয়ত অতিশয়োক্তি করে ফেলেন, কিন্তু খুব মন খারাপের সময়ের জন্য এই কথাগুলো তুলে রাখলাম। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

মৌনকুহর এর ছবি

চলুক চলুক

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ । হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কল্যাণ এর ছবি

গুরু গুরু

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

আশালতা এর ছবি

প্রত্নতত্ববিদ হয়ে গেলে দেখছি। খুঁড়ে টুরে ভাঙা কলসির কানা বের করছ আজ।
বাইদ্য ওয়ে থেঙ্কু। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কল্যাণ এর ছবি

হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।