বিপিএল টি-টুয়েন্টিঃ খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের জন্য শুভকামনা

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০২/২০১২ - ৭:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি"
একুশের গান দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ক্রিকেট টি-টুয়েন্টির প্রথম আসর। অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে মিনিট বিশেক আগে। লাইভ দেখাচ্ছে নতুন আসা বাংলা টিভি চ্যানেল, চ্যানেল নাইন।

বিপিএল-এর থিম সং গাইতে মঞ্চে আসলেন ভারতের শান, বাপ্পী লাহিড়ী আর বাংলাদেশের কুমার বিশ্বজিৎ। গানটিকে আহামারী কিছু মনে হয়নি। এরচে' বরং শুভ্রদেবের 'গুডলাক বাংলাদেশ' ভালো ছিল। আসিফের 'সাব্বাস বাংলাদেশ'ও অনেক শ্রুতিমধুর ছিল। আয়োজকরা বিপিএল'এর আয়োজনের গান বাজনা অংশটুকুয় নিখাঁদ বাংলাদেশ রাখতে পারেননি, এটা দূর্ভাগ্যের। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আরো নাকি জমকালো করে তোলা হবে ভারতীয় হটিদের নটি চম্মকচ্চাল্লায়। দৈনিক মানবজমিন জানাচ্ছে "বিপাশা বসু, মালাইকা অরোরা ও ঋতুপর্ণা সেনের নাচের তালে তালে উত্তাল হয়ে ওঠবে গ্যালারি। সেই সঙ্গে দর্শকদের পাগল করবে শান ও বাপ্পী লাহিড়ীর সুরের মূর্ছনায়ও। "
অপেক্ষায় আছি, একদিন আসবে যেদিন বাংলাদেশের ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট কেবল বাংলাদেশের শিল্পীদের কন্ঠেই সুচনা হবে।

এবারের বিপিএল-এ আমি খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের সমর্থক।
আমি মনে প্রাণে চাইছি, খুলনা চ্যাম্পিয়ন হোক।
কারণ?
এ টুর্ণামেন্টে খুলনাই একমাত্র দল যাতে কোনো পাকি খেলোয়াড় নেই। ফরমালিনমুক্ত মাছ।

"আমি কি ভুলিতে পারি" গেয়ে সুচনা করা টুর্ণামেন্টে আমি ভুলতে পারি না ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১।
তাই পারবো না আফ্রিদী-মালিক- আব্দুল-কামরান-আরাফাতদের সমর্থনে তালি বাজাতে। অতএব, বাদ পড়ে যায় শৈশবের চট্টগ্রাম, বেড়ে ওঠার শহর ঢাকার দল, এবং অন্যান্য দলগুলোও।
থাকে শুধু খুলনা, খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস; সাকিব, নাসির রাজ্জাক, শফিউল, শাহাদাত।
গুডলাক, খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস!!!


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

শামীম আরা নিপার নৃত্য দেখাচ্ছে এখন। চ্যানেল নাইন আর চ্যানেল ওয়ান'এর লোগো একই রকম মনেহচ্ছে!
খুলনা কি আসলে দলে কোনো পাকি নিতে চায় নাই নাকি নেয় নাই‌? ভারতীয় আর পাকিস্তানীরা না হলে দেখছি আমাদের কিছুই ঠিকমতো জমে না। না খেলা না আসর! বড়ই সংকটে আছি দয়াল। কবে যে শুনবো, আমাদের দাম্পত্য জীবনের ব্যক্তিগত অংশটাও জমছে না পাকি-ভারতীয় না হলে!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হু, লোগো দেখ্তে একই রকম। ভেতরের কাহিনী জানি না।
হেহে, শেষ লাইনটায় প্লাস ঃ)

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বড়ই সংকটে আছি দয়াল। কবে যে শুনবো, আমাদের দাম্পত্য জীবনের ব্যক্তিগত অংশটাও জমছে না পাকি-ভারতীয় না হলে!

এক সাবেক সহকর্মী, মেধাবী কিন্তু গোবেচারা মোবাইল ফোন কোম্পানীর কর্মকর্তা স্বামীর তথাকথিত 'ধাতুদৌর্বল্যের' দোহাই দিয়ে শেষমেষ বিলেতে বসে এক পাকি যুবকের সাথে রীতিমত ঘোষনা দিয়ে এল্টু শুরু করেছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সত্যপীর এর ছবি

ফরমালিনমুক্ত মাছ।

চলুক চলুক চলুক

..................................................................
#Banshibir.

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। আমি কলাম খুইল্লের ছাওয়াল। মাঠে আমরা ফাটায়ে ফ্যালাবানে কলাম! আমাগে পাকি লাগেনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সাবেকা এর ছবি

অবশ্যই খুলনা ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

সারছে! সাকিব খানের এন্ট্রিটা দেখছোনি? পুরাই রক্স!

ঋতুপর্ণার জায়গায় খাড়ায়ে 'ওয়ান স্টেপ রাইট-ওয়ান স্টেপ লেটফ' মার্কা কোমর দুলানি দেখার চেয়ে বরং আমাদের অনন্ত-বর্ষাকে দেখতে ভালো লাগতো।

বাংলাদেশের কোনো অঞ্চলের ভাষা হিন্দি না, তারপরেও একেবারেই বাংলাদেশের কোনো অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে হিন্দিতে গান বাজানোটা কি পাগলামি, ছাগলামি নাকি স্রেফ মানসিক দীনতা- বুঝলাম না!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মানসিক দীনতা

ধূসর জলছবি এর ছবি

পাগলামি , ছাগলামি এবং মানসিক দীনতা (কিছুটা অসুস্থতাও) । এ তো নতুন কিছু না। তাই আর অবাক হই না। ইদানীং বিয়ের অনষ্ঠান থেকে শুরু করে,কলেজ, ভার্সিটির অনষ্ঠান এমনকি বাচ্চার জন্মদিনের অনষ্ঠানেও হিন্দি গান শুধু না, ডি জে পার্টি (অবশ্যই হিন্দি গানের ) করে লোকজন। আগে খুব অবাক হয়ে আমি যে খুব খ্যাত , ব্যকডেটেড সেটা প্রমান করতাম। ইদানীং অবাক হচ্ছি না। স্মার্ট হয়ে গেছি মনে হচ্ছে। চিন্তিত

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

অনুষ্ঠান দেখে, আরিফ জেবতিকের মত স্বপ্নে নয় সত্যিই নিজেকে উলঙ্গ মনে হচ্ছে। এ সরম ঢাকার আর কোন উপায় নাই।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ন্যাংটা করে ়়়়়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

মাইলস শুরুই করছে 'ধিকি ধিকি আগুন জ্বলে' দিয়া। তারপর আইয়ুব বাচ্চুকে যখন দেখা গেলো, 'তোমার মাঝেই স্বপ্নের শুরু, তোমার মাঝেই শেষ' শোনার আশা করেছিলাম, সেটা পূরণ হয়েছে। এতোদিন পরেও আসর জমিয়ে রাখার মতো, এক স্টেডিয়ামভর্তি জনগণকে মোহিত করে রাখার মতো ক্ষমতা মাইলস কিংবা এলআরবি'র আছে। আছে আমাদের নিজেদের আরও অনেক শিল্পী, কলা-কুশীলবের। তারপরেও কেনো 'চলমান জুয়েলারির দোকান' (যে কিনা কোথায়, কেনো গান করতে আসছে সেটাই বুঝে উঠতে পারেনি প্রথমে)-এর থার্ডক্লাস গান আমাদের নিজস্ব অনুষ্ঠানে শোনাতে হবে, এইটা ঢুকে নাই মাথায়! এই পর্যায়ে এসে হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছি বছর দেড়েক আগে ফুয়াদ কেনো এই চলমান জুয়েলারির দোকানকে নিয়ে 'আই এ্যাম আ ডিস্কো মাঙ্কি' গান বের করেছিলো!

বিরক্তির পারদ বেশি উচ্চতায় চড়ে যাওয়াতে আর দেখা হয়নি এই অনুষ্ঠান। নিশ্চয়ই ভারতের আরও অনেক হাদুমপাদুমকরনেওয়ালা তাদের হাদুমপাদুম আমাদেরকে দেখায়ে গেছে, আরও একবার, চোখে গুঁতা মেরে মেরে।

তানিম এহসান এর ছবি

ঠিক আছে, খুলনা রয়েল বেঙ্গলস।

এই খেলাধুলা-নাচাগানা’র মাধ্যমে প্রিয় খেলা ক্রিকেটও বেশুমার পণ্য হয়ে গেলো!

তানভীর এর ছবি

এ বাজারে ফরমালিন ছাড়া মাছ পাওয়া দুষ্কর। খুলনা রয়ালে পাকি নাই, কিন্তু পাকি সমর্থক খেলোয়াড় আছে।

‘ছোটবেলার নায়ক’
সাকিব আল হাসান
প্রিয়: সাঈদ আনোয়ার
যেভাবে প্রিয়: >>>ছোটবেলায় প্রিয় ছিলেন সাঈদ আনোয়ার। নিজে খেলতে শুরু করার আগে পাকিস্তানের সমর্থক ছিলাম। আর পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান তখন তিনি। এ জন্যই প্রিয়।>>>

'আবেগজুড়ে তিনি’
আবদুর রাজ্জাক
প্রিয়: সাঈদ আনোয়ার
যেভাবে প্রিয়: ছোটবেলায় কিছু না বুঝেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমর্থন করতাম। সেই দলে দেখতাম, একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বোলারদের নিয়ে যা খুশি করছেন। আমি সেই ব্যাটসম্যানের ভক্ত হয়ে গেলাম।>>>

আর শাহাদাত রামছাগলের কথা নাই বা বললাম।

বিস্তারিত তথ্য এখানে

তবে আসল ঘটনা হলো সবই যখন ফরমালিন, আমি সেহেতু আমার শহর চট্টগ্রামের সাপোর্টার দেঁতো হাসি

দ্যা রিডার এর ছবি

চিটাগাং কিং , আমিও দেঁতো হাসি

চিলতে রোদ  এর ছবি

আমি BPL এর একটা ম্যাচও দেখবনা ... এমনকি চিটাগং কিংস এর ম্যাচও না! আজকে ওই শুয়োরের দল(আর ভালো কিছু স্টকে নাই) ভাষার মাসে আমাদের পুরো জাতিকে অপমান করেছে।
This is my personal resolution. I don't care whether that makes any sense or not!

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক আমিও দেখব না।আগেই চিন্তা করেছিলাম্, এই অনুষ্ঠান দেখে(যদিও পুরাটা দেখিনি) নিশ্চিত হলাম। নিজেদের মাটিতে এইসব ইডিয়ট দের লম্ফঝম্ফ দেখার রুচি হচ্ছে না।

দ্রোহী এর ছবি

আগে বলেন খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস পাকিস্তানি খেলোয়াড় নেয়নি নাকি ভাগে পায়নি?

তাসনীম এর ছবি

এই প্রশ্নটা আমারও।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

মনে হয় ভাগে পায়নি চিন্তিত

সাইদ এর ছবি

ভাগে পাইনি। আফ্রিদিরে নিতে চাইছিলো

সাফি এর ছবি

এই মন্তব্য করতে চাইতেসিলাম, আপনি আগেই করে ফেলেছেন।

বাপ্পীহা‌য়াত এর ছবি

আমি চিটাগং-এর হয়েও চিটাগংকে মনে প্রাণে সাপোর্ট করতে পারছিনা
করবে কিভাবে, সাকাচৌ-এর ভাইগন‌া হইল টিমের মালিক রেগে টং

পিয়াল এর ছবি

বিপিএল নিয়ে কিছু বলার রুচি হয়না, তবুও মন্তব্য করছি।

যাদের লাভ হবে
১। ভারতীয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান গেম অন এবং আরও অনন্যা প্রতিষ্ঠান।
২। অবসর বা "এল পি আর"এ থাকা কিছু বিদেশী ক্রিকেটার যাদের সিংহভাগ পাকি।
৩। কেবলমাত্র জাতীয় দলের কিছু ক্রিকেটার।
৪। প্রিমিয়ার লীগের ১০ ক্লাব, বিসিবি যাদের ২৫-৩৫ লাখ টাকা দিচ্ছে।
৫। বি সি বি'র কর্মকর্তারা।

ক্ষতি হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের,এটা কম বেশী সবাই জানেন এবং বুঝেন, তারপরও জাতীয় লীগ বন্ধ করে প্রিমিয়ার লীগ আর প্রিমিয়ার লীগ বন্ধ করে বিপিএল হবে!
আর হিন্দি গানের কথা কী আর বলব, কবে শুনবো মানুষের কুলখানিতেও হিন্দি গান বাজানো হছে।

সাফি এর ছবি

প্রথম আলো থেকে -

আফ্রিদির জন্য সবচেয়ে বেশি দাম হেঁকেছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের কর্মকর্তারা। ঢাকার কাছাকাছি দাম তোলে রয়েল বেঙ্গল অব খুলনা। তাদের দর ছিল ছয় লাখ ১২ হাজার ডলার। কিন্তু ঢাকা সাত লাখ ডলার দিয়ে খুলনার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় আফ্রিদিকে।

অন্ত আফ্রাদ এর ছবি

পিয়ালকে বলছি,

বি পি এল এর কল্যাণে আমাদের অনেক উপকারও হবে। ঘরোয়া লিগের বলারেরা যেমন ভালো বিদেশি ব্যাটসম্যান এর বিপক্ষে বল করা শিখবে ঠিক তেমনি ঘরোয়া লিগের ব্যাটসম্যানরাও বিদেশি নামীদামী বলারকে খেলতে পারবে। এতে যে লাভটুকু হবে সেটার কথা বললেন নাতো।

পিয়াল এর ছবি

অন্ত আফ্রাদ,

বি পি এল এ ১১ জনের মধ্যে ৫ জন বিদেশী খেলতে পারবে, বাকি ৬ জন দেশী। খেলার সিংহভাগ জুড়েই বিদেশিদের দাপট থাকবে,খেলাটা ক্রিকেট বলে এটা আরও সত্য। ঢাকার ফুটবল লীগে প্রতি ৫ জন বিদেশী খেলে, তাই জাতীয় দলের জন্য স্ট্রাইকার খুঁজে পাওয়া জায়না। এই মানের বিদেশিদের সাথে তো আমরা প্রিমীয়ার গত ২০ বছর ধরে খেলে আাসছি, এই উছিলায় নতুন করে ভারতীয় নর্তকী উড়িয়ে আনতে হয়না।

অফ টপিক
১। ক্রিকেট খেলায় যে বল করে তাকে বলে বোলার, "বলার" নয়।
২। আপনার নিকের সাথে বল খেকো এক ওভাররেটেড আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের নামের বিস্ময়কর মিল রয়েছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।