খুলনা নিরালার মোড়ে একটা পলাশ ফুলের গাছ আছে, আমার খুব প্রিয়। তার কথা ভাবতে ভাবতে আরো অনেকের কথাই মনে হয়, আমি তাদের কাছে ছিলাম, এখনো আছি, কিন্তু চোখের দেখায় হয়ত নেই। আমার সেই গাছগুলির কথা আজ কেন জানি সবাইকে বলতে ইচ্ছে করছে। আমার জীবনটা রবীন্দ্রনাথের গানের সেই চাপা গাছের মত। “আমি সদা অচল থাকি, গভীর চলা গোপন রাখি”। বইএর বাইরে যে একটা দুনিয়া আছে, সেখানে চলতে হয় বা চলতে হবে এগুলো আমার মাথায় আগে
সায়েম রীতিমত গলদঘর্ম হচ্ছিল বিশাল সাইজের লেগরোস্টটি উদরালয়ে ঢোকাতে যেয়ে। পেটের ডাকে যতটা না, তার চেয়ে অনেক বেশী জিহবার আহবানে এখন তার অবস্থান হোটেল নিউজার্সিতে। জিহবা ও পেটের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় তার দেহাভ্যন্তর অচিরেই পরিণত হল পল্টনের রণক্ষেত্রে!
হাঁসগুলো প্যাঁক প্যাঁক ডেকেই চলেছে অবিরাম। বাইরে ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আমার বাসার পাশের প্লটটা এখনও খালি। সেখানে এককোনায় ছাপড়া তুলে বসবাস করে একটি পরিবার। আমেনা’র মার পরিবার। নামটা জানি, কারন প্রায়ই ঐ আমেনার মায়ের চিৎকার শোনা যায় । আমেনা, আমেনা বলে বিরামহীন ডাক । আমেনা নামের পিচ্চি মেয়েটা মনে হয় একটু দুষ্টু কিছিমের। তাই এই নিত্ত ডাকাডাকি। ঐ পরিবারের অন্য সদস্যের মধ্যে আছে অনেকগুলো পাতিহাঁস আর রা
খবরটা অনেক জায়গাতেই চাউর হয়ে গেছে--পেপ গোয়ার্দিওলা আর বার্সিলোনা ফুটবল দলের কোচ থাকছেননা। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই মৌসুম শেষ হবে, আর তার সাথেই বিদায় নেবেন এই কোচ। বার্সা যথাসাধ্য চেষ্টা করছে তার মন ফেরানোর, তবে তার না থাকাটা এখন প্রায় শতভাগ নিশ্চিত।
সবুজ-শ্যামলে ঢাকা মাটির কাঁচা রাস্তার এক পাশ ঘেঁষে অজস্র নাম না জানা বুনোফুল, ঝোপঝাড়, পরিচিত ঘাসফুল। তারই মাঝে বাড়ন্ত এক কদম গাছের দীর্ঘ নরম পাতার আড়ালে এক টুনটুনির বাসা। বুনোফুলের সুভাস মাখা ছায়াঘেরা মাটির এই কাঁচা পথটি চলে গেছে দূরের শহরে।
রাস্তার ওপাশে নেমে যেতেই একটি খেলার মাঠ। জল-বৃষ্টি আর কাদায় লুটোপুটি খেয়ে একটি পুরোনো ফুটবল নিয়ে খেলায় মত্ত এক ঝাঁক দুরন্ত বালক।
সন্দেহ নেই, সুকুমার রায় কথিত হাসতে যাদের মানা সেই ‘রামগড়ুরের ছানা’ জাতীয় বাঙালির সংখ্যাই বৃহৎবঙ্গে অধিক। তবে নিজস্ব লেখনিগুণে পাঠককে হাসাতে পারেন এমন লেখকও কিন্তু বাংলা সাহিত্যে একেবারে কম নয়। যারা ঝকঝকে, নির্মল হাস্যরস ও সূক্ষ্ম-তির্যক ব্যঙ্গ কৌতুকের অনাবিল ‘রসের কারবারি’—এমন কয়েকজন রম্যলেখকের সাথে আমরা পরিচিত হই আরেক বিরলপ্রজ রসসাহিত্যিক আবদুশ শাকুরের রসিক বাঙালি নামক এক ব্যতিক্রমী বইয়ের মাধ্যম
[justify]ধরণীর সবচেয়ে বৃহত্তম বাহির প্রদর্শনী হিসেবে প্রচারিত ক্যালগেরী স্ট্যাম্পিড প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটককে কাছে টানে তার অসাধারণ রোডিও, ভয়ংকর সব রাইড, প্যারেড, মঞ্চ প্রদর্শনী, ঘোড়ার গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা, মেলা এবং সর্বপরি তার উৎসবমুখর পরিবেশ দারা।
বিলুপ্তপ্রায় প্রেক্ষাগৃহ ও একটি আশঙ্কা
অফিসের ব্যক্তিগত লকারগুলো দেখতে ছোট হলে কি হবে, রাক্ষুসে পেট। ল্যাপটপসহ অন্যান্য টোপলা-টুপলি দিব্যি এঁটে যাচ্ছে। অথচ, এই অফিস বিলডিঙ এ অফিস শুরু করার আগে একদিন ঘুরতে এসেছিলাম, দেখলাম নতুন অফিসে ব্যক্তিগত স্থান বলতে শুধুমাত্র এই ছোট্ট লকার তখন কি মন খারাপটাই না হয়েছিল। আগের অফিসে সবার একটা করে কাঠের ক্যাবিনেট তো ছিলই আবার সেই সাথে কারও কারও একটা ইয়া বড় স্টিলের লকারও ছিল। এখন হবে কি উপায়, এত সব রাখব
সালেক খোকন
যুদ্ধে যাওয়ার ইচ্ছার কথা শুনে মা হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। ছেলেকে তিনি কিছুতেই ছাড়বেন না। যুদ্ধে গিয়ে কি কেউ জীবন নিয়ে ফিরবে! এই তার ভয়। মা আমাকে চোখে চোখে রাখলেন। যদি পালিয়ে যুদ্ধে চলে যাই। মাকে শান্ত করতে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেই। না, কখনোই মুক্তিযুদ্ধে যাব না।