যতটুকু রং আর প্রাকৃত জীবন
--------------------------------------প্রখর-রোদ্দুর
হলুদে বিদায়ী কোন সুর যদি পুঁতেছে প্রকৃতি
তবে সবুজেই আছে মিশে আগমনী ট্রেনের হুইসেল।
চন্দনগন্ধ মেখে রোজ সন্ধ্যা প্রাগৈতিহাসিক কাশ্মীরী শাল
সুহাসিনী রুপসী ঘ্রান মাখে বনস্থালী, নুড়ি আর পাথরে।
শিশুবেলায় পুতুলবিয়ের সাজ মানেই হাজার পিনেকারুকাজ, তবু
উত্সবে পাখির নরমবুক ছোঁয়া পরিতৃপ্ত সোনালি বালিরেখায় বয়স
দাবি দাওয়ার প্রতিবাদী মিছিলের ভীড়েও কিছু মিছিল অভিমানে ফেরারী হয়। হারিয়ে যায় পথের বাঁকে আরো কোন অজানা পথের পানে। হারিয়ে গেছে সেই মিছিলে আমাদের ফেরারী এক মিছিল। চলে গেছে আর না ফেরার কোন এক অজানায়।
কোলকাতা ভিত্তিক ভারতীয় জি-বাংলা আমাদের বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। আমাদের দেশের বিভিন্ন চ্যানেল যখন মান সম্পন্ন অনুষ্ঠান বানাতে ব্যর্থ হয়ে দর্শক ধরতে পারছে না, তখন সেই দর্শকদের একটা বিশাল অংশ টেনে নিয়েছে ওপার বাংলার বিভিন্ন বাংলা চ্যানেল। ওরা যে খুব বেশি মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান বানাচ্ছেন তা না, তবে তারা দর্শক ধরে রাখবার ব্যাপারে খুবই কৌশলী। আর সেই কৌশলের সহজ শিকার হয়ে আমাদের দেশের মা-বোন-মাসি-পিসি-কাকি-মামি-বোন-বউ-মেয়েরা ভারতীয় বাংলা চ্যানেলে বুদ হয়ে আছেন!
[justify]কিছুদিন পূর্বে সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন,
“লোডশেডিংয়ের দরকারও আছে, মানুষ যাতে ভুলে না যায়, লোডশেডিং নামে কিছু একটা ছিল”
আপাত দৃষ্টিতে কথাটি হাস্যরসাত্মক হলেও গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এটি কিন্তু মোটেও কোন লুলীয় বাণী নয়, বরং বাঙালি জীবনে লোডশেডিং যে কি বিশাল বিপ্লব নিয়ে এসেছে তা নিচের কারণগুলো না পড়লে সহজে অনুমেয় নয়!!
হঠাৎ করে বাজারে ইলিশ মাছের হাহাকার লেগে গেছে। একেবারে উধাও। দুয়েকটা যা দেখা যাচ্ছে তাকে জাটকা বৈ আর কিছুই বলতে পারছিনা। কিন্তু এই জাটকার দামটাই আকাশ ছুঁয়েছে ইতিমধ্যে। মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার অনেক বাইরে। কিছু কিছু বড় ‘ওয়ান স্টপ’ মলে এই জাটকাটিও নাই। কিন্তু আমার কেন জানি দৃঢ় বিশ্বাস, পহেলা বৈশাখের দুই একদিন আগে ঐ দোকানগুলোতে ঢু মারলে দেখা যাবে থরে থরে সাজানো বড় বড় ইলিশ। দোকানের অন্তপুরির কোন হিমঘরের
[justify] মঙ্গলবার টিফিন বিরতির পর বাংলা ক্লাস। আমি ক্লাস পালালাম।
নদী খনন বা ড্রেজিং হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে প্রবাহের কারনে নদীর তলদেশে যে পলি জমা হয় তার অপসারন।বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্হান আর নদী অববাহিকার বৈশিষ্ট্যগত কারনে নদী খনন একটি অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ বিষয়।সেই সাথে নদী খননের সাথে অর্থনৈতিক বিষয়টিও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই ধারাবাহিকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা, কয়েকটি চলমান নদী খনন প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা এবং সেই সাথে
সবাইকে সাধারণত আলোর গুণকীর্তন করতে দেখা যায়। আলোকে সমস্ত সৌভাগ্য ও ভালোর উপমা হিসাবে তুলে ধরা হয়; অন্যদিকে অন্ধকারকে প্রতিকায়িত করা হয় মন্দ, অশুভ বা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ হিসাবে। ও হ্যাঁ, অনেক সময় অন্ধকারকে সামান্য দয়া করা হয় বটে- বলা হয় যে, অন্ধকার আছে বলেই আলো এত ভাল লাগে বা অন্ধকার আছে বলেই আলোর সার্থকতা; তাই অন্ধকারকে হিসাবের খাতা থেকে বাদ দেয়া যাবে না। তাহলে কি আলোর করুণা নিয়েই বাঁচতে হবে অন্ধকার
গতমাসের শেষের দিকে একটি নোটিশ দেখে আনন্দে চমকে উঠলাম, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ তম সমাবর্তন আগামী ৩১ মার্চ' । এদিকে মাস্টার্স পরীক্ষার তারিখ পরে গেছে। রুটিনও দিয়ে দিয়েছে। জানি সমাবর্তনে অংশ নিতে এখানে ওখানে দৌড়াতে হবে। ব্যাংক থেকে শুরু করে রেজিস্টার ভবনেও পড়বে লম্বা লাইন। পরীক্ষার মধ্যে ওই কয়েকটি ঘন্টাও অনেক মূল্যবান (যেহেতু সাধারনত আমি পরীক্ষা ঘাড়ে এসে পরলেই পড়া শুরু করি)। তবুও মনের কোথায় জানি সপ্
চাকরিজীবী দুই বন্ধু যখন আড্ডা দেয়, তখন কি নিয়ে কথা বলে? বিশেষ করে ঢাকা শহরের দুই বন্ধু, যারা সবসময় দেশের অন্য সব এলাকার তরুণদের ঈর্ষার কারণ হয়ে থাকে। কারণ কি – কারণ আর কিছুই না, সবকিছুই ঢাকায় আছে। মানুষের আকাঙ্খিত সব সুযোগসুবিধা, পড়াশোনা, চিকিৎসা, শিল্পসাহিত্য, বিনোদন, বইমেলা, নববর্ষ – এমনকি সরকার নামক জিনিসটাও ঢাকাতে থাকে। পত্রপত্রিকা আর টিভির সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক, বাকী বাংলাদেশ মাঝের কিছু পাতা অথবা “এখন দেখবেন অন্যান্য সংবাদ” এ হালকাভাবে জায়গা পায়। আরও জ্বালা আছে – সুন্দরী, হৃদয়বিদারক সৌন্দর্যের অধিকারী রমণীকুলও ঢাকাতে থাকে। এসব দেখে স্বাভাবিকভাবে ঢাকার বাইরের তরুণরা বড্ড মনকষ্টে থাকে (কোন এককালে আমিও সেই দলভুক্ত ছিলাম)। কিন্তু এখন আমি হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি, ঢাকায় থাকার কি যন্ত্রণা। রাঁধার মতো বলতে ইচ্ছা করে – ওরে কৃষ্ণ, তুমি যদি বুঝতে রাঁধা হওয়ার কি জ্বালা, কি যন্ত্রণা।