হিমালয় - বিরক্তিকর হলদে দেওয়াল গুলো থেকে বাঁচতে আমি বার বার পালাই যেখানে, সেই বরফ ঢাকা পাহাড়, সেই ঘন কালচে সবুজ জঙ্গলের রাস্তা আর তারা ভরা আকাশের হাতছানি। কখনো আপিসে লুকিয়ে একদিন দুদিনের ছোট ট্রিপ, কখনো ব্যাগ কাঁধে বাড়ির সবাইকে টেনশনে ফেলে লম্বা হাঁটা। এরকমই এক হাঁটার দিন এসেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যাওয়ার জায়গা ছিল অডেনস কল - গঙ্গোত্রি রেঞ্জ এবং যোগিন রেঞ্জ যেখানে মিশছে সেই জায়গাটা (৫৫০০
১০ বছরের স্কুলজীবনে ৬ টা স্কুলে পড়তে হয়েছে আমাকে, তিনটা প্রাইমারী স্কুল আর তিনটা হাইস্কুল। সবগুলোই উপজেলা পর্যায়ে। আব্বুর চাকরীর জন্যই এই ঘনঘন স্কুল পরিবর্তন। নটরডেম কলেজে ভর্তি হওয়ার পর দেখলাম সহপাঠী বন্ধুদের মধ্যে খুব কমই আছে আমার মত উপজেলা পর্যায় থেকে আসা। ঢাকার বাইরে থেকে যারা এসেছে বেশীরভাগই জেলার কোনো স্কুল থেকে পড়ে এসেছে। আবার এদের মধ্যে অনেককেই থাকতে হয় আরামবাগের বিভিন্ন মেসে, স্বাভাবিকভাব
- বাবা, কে বেশী পাওয়ারফুল ছিল, রামচন্দ্র না ফেলুদা?
- তোর কি মনে হয়?
- আমার তো মনে হ্য় ফেলুদা। পিস্তল নিয়ে মগনলালের সঙ্গে লড়াই করছে। ঠাঁঠাঁ ক'রে গুলি ছুড়ছে। কিন্তু বাবা, হুতুম্বার সঙ্গে কিন্তু কেউ পারবে না। তাইনা?
- তুইও না?
আমার বাবা প্রচন্ড ইমোশোনাল মানুষ ছিলেন। কোন কারণে তিনি দুঃখ পেলে মুখ দেখলেই বোঝা যেতো। এমনিতে তিনি ছিলেন খুব হাসিখুশি আর উচ্ছ্বল। কিন্তু কোন কারণে উদ্বিগ্ন আর মন খারাপ হলেই মুহূর্তের মধ্যে তাঁর পুরো চেহারা কালসিটে পড়ে যেতো। চোখের কোণ ভেজা হয়ে থাকতো। আর হয়তো আপনি একটু খেয়াল করলেই দেখতেন উনি পাঞ্জাবির পকেট থেকে রুমালটা বের করে চোখ মুছছেন।
আমার পুরনো ছাত্র পরিষ্কার বিদ্রোহ করেছে, আমার কাছ থেকে আজকে কিছুই শিখবে না। হ্যাঁ, আজ – এশিয়া কাপের ফাইনালের দিন। অথচ, আজকে কতো কিছুই না শেখানোর আছে। সকালে কিছুক্ষণ তর্ক করলাম, তারপর বিরক্ত হয়ে আমার একমাত্র জার্সিটা গায়ে চাপিয়ে বেড়িয়ে পরলাম। দিকে দিকে শুধু বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, সবাই নানা ডিজাইনের জার্সি পরে কাজ করতে যাচ্ছে। বুঝলাম, ১১ জনের দলে পোষাচ্ছে না, আরও কয়েক কোটি মানুষ ওদের সাথে খেলতে চায়।
ব্যাটে বলে স্বপ্ন সাজাই
আমরা ক'জন -
স্বপ্ন দেখ অযুত কোটি
লক্ষ ডজন !
গেলারীতে আলোর মিছিল
জয় ছিনিয়ে,
যাবতীয় দুঃখ ভুলে-
এমন করে হাসতে পারো আর কি নিয়ে ?
রাত পোহালে নতুন দিনে
নতুন করে -
বাংলাদেশের লাল সবুজে
এই পতাকার গর্ব বুকে রাখবো ধরে |
-- ঈষিকা
২০ মার্চ, ২০১২
(পোস্টের সাথে সংযুক্ত ভিডিও গুলো ছাড়া আমার আবজাব লেখার কিছুই বোঝা যাবে না। যারা আগ্রহ নিয়ে পড়বেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো ভিডিওগুলো দেখতে।)
৮ম সেমিস্টারের অটোমোবিল (Automobile) ক্লাসের কথা মনে পড়ছে। আমরা সবাই বয়লার ল্যাবে বসে আছি আর সিরাজুল করিম চৌধুরী (SKC) ক্লাস নিচ্ছেন। ক্লাস রুমের তুলনায় ছোট খাট একটা ব্লাক বোর্ডে প্রাণান্তক চেষ্টা করছেন একটা ছবি আঁকার। ছবিটা হল ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের (Differential gear)। অনেক সময় নিয়ে তিনি ছবিটা আঁকা শেষ করলেন। এরপর অনেক কষ্ট করে ডিফারেন্সিয়াল গিয়ারের কার্যপদ্ধতি বোঝানোর চেষ্টা করলেন। ক্লাসে আর কে কি বুঝেছিল জানি না, তবে আমি কিছুই বুঝিনি।
পরে রুমে ফিরে এটা নিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ করলাম। পেলাম এই ভিডিও টা।
যারা ক্রিকইনফোর সাথে পরিচিত, তাঁরা হয়ত জানেন, ক্রিকইনফোর যেকোন সংবাদ পাতার ডানদিকে Latest, Most Viewed আর Most Discussed নামে তিনটি অপশন থাকে। উদ্দেশ্য – পাঠকের কাছে সুবিধাজনকভাবে খবর পৌঁছে দেয়া। আমার ক্রিকইনফোর অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যেসব লেখা Most Viewed অংশে থাকে, সেগুলো Most Discussed অংশেও থাকে। কারণটা খুবই পরিষ্কার, মানুষ যে খবর বেশি পড়ে সেটাতেই তো মন্তব্য বেশি
একটা পরিসংখ্যানে চোখ আটকে গেলো আজকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর Statistical Yearbook of Bangladesh 2010 এর 3.17 টেবিল অনুযায়ী বাংলাদেশে স্নাতকোত্তর বা সমমানের ডিগ্রীধারী বেকার পুরুষ ৪.৪৮ শতাংশ এবং বেকার নারী ১০.৩১ শতাংশ, প্রকৌশল বা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডিগ্রীধারী বেকার পুরুষের সংখ্যা ৪.৭৮ শতাংশ এবং নারীর সংখ্যা ১৬.৯৯ শতাংশ। দেশের এরকম শিক্ষিত ও যোগ্য শ্রেণীর নারী ও পুরুষের বেকারত্বের হারের এই পার্থক্