অনেক রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেল আফসারুল আমিনের। আসলে তিনি ঘুমানইনি। ঘুমের ভান করে পড়েছিলেন। মাঝখানে একটু তন্দ্রামত এসেছিল। তারপর যাকে তাই। না ঘুমিয়ে মড়ার মত ঘুমিয়ে থাকার অভিনয় করাটা খুব কষ্টের, অস্বস্তিকরও বটে। তবুও তিনি সেটা করতে বাধ্য হয়েছিলেন ফিরোজার কারণে। ফিরোজা তার স্ত্রী। তিনি বারবার এপাশ ওপাশ করায় সে কছিুতেই ঘুমাতে পারছিল না। শেষমেষ বিরক্ত হয়ে সে বলেই ফেলেছিল, “দিন শেষে শান্তিমত একটু ঘুমু
আমি একটি কাঁচপোকা ভালোবেসেছিলাম
__________________________________
রঙিন শিকলে আমার শৈশব বাঁধা পড়ে আছে
দামাল উড়ন্ত ঘুড়িতে বাঁধা পড়ে আছে স্নিগ্ধ সুসময়
একদিন আমি খুব আয়োজন করে প্রেমে পড়েছিলাম
একটি কাঁচপোকার;
স্বচ্ছ জলছাপের মতো অথবা চিবুকে জমা আর্দ্র
ঘামের মতো; এই কবিতার প্রতিটি বিচ্ছিন্ন শব্দের মতো
একটি কাঁচপোকা ঢুকে গিয়েছিল আমার ভালোবাসার ঘরে -
তখনো জানতামনা নারী বা নারী-দেহ ভালোবাসায়
আরো সুখ। আমাকে নির্দ্বিধায় বোকা বলতে পারো
সত্যিই আমি ব্যপক ফলনের মতো
ভালোবেসেছিলাম একটি ছোট্ট কাঁচপোকা।
সবাইকে সাধারণত আলোর গুণকীর্তন করতে দেখা যায়। আলোকে সমস্ত সৌভাগ্য ও ভালোর উপমা হিসাবে তুলে ধরা হয়; অন্যদিকে অন্ধকারকে প্রতিকায়িত করা হয় মন্দ, অশুভ বা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ হিসাবে। ও হ্যাঁ, অনেক সময় অন্ধকারকে সামান্য দয়া করা হয় বটে- বলা হয় যে, অন্ধকার আছে বলেই আলো এত ভাল লাগে বা অন্ধকার আছে বলেই আলোর সার্থকতা; তাই অন্ধকারকে হিসাবের খাতা থেকে বাদ দেয়া যাবে না। তাহলে কি আলোর করুণা নিয়েই বাঁচতে হবে অন্ধকার
শিরোনাম:: 'সুরম্য'
মনন:: অবগত রাত্রি।
--- কবি মৃত্যুময়
রাত অবগত ছিল, সময়ে অসময়ে
নিরবতা এলে আঁধারে দেখেছিল
বিস্তীর্ণ সধবা জনপদ আর অঘুমন্ত পথ- ছুঁয়ে
নিরালা ল্যাম্পপোস্ট ছায়া খুঁজেছিল
পথিকের, পাশে অনভ্যস্ত সাধ-
ধুলোর মতো অদৃশ্য সব কিছু ফেলে;
আলেয়ার সমান্তরালে হেঁটে চলা সুদূর-
যে পথে দ্বিধাবৃক্ষ নিষ্ফলা আবেগহীন;
ঊষ্ণস্পর্শে তবু কোমল পালক মেলে
গাঢ় মাদকতা সাজায়ে নরম ঘাসে
আর কত? সহ্যেরও তো একটা সীমা থাকে, নাকি?!
সেই তখন থেকে চেষ্টা তো করে যাচ্ছি- ঘুম আসছে কই? মনটাকে একটু সামলে- চোখ বন্ধ করে- ঘুমের চিন্তা এনে- দশ থেকে এক উলটো গুণে- লাফিয়ে বেড়ানো ভেড়া গুনে- ঘুমানোর চেষ্টা যত করছি, চোখ যেন তত খুলে খুলে যাচ্ছে।
কতক্ষণ হল? অনেকক্ষণ? নাকি- খানিকক্ষণ? মনে তো হচ্ছে- অনন্তকাল।
সেই কখন থেকে- মাথার যন্ত্রনাটা ভুলে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি- আসছে আর কই? রাতে ইউর ...
প্রবাসে ক্রিসমাসের ধর্মীয় প্রভাব উপেক্ষা করা গেলেও সামাজিক প্রভাব উপেক্ষা করা যায়না। সন্ধ্যায় বের হতেই গীর্জা থেকে ঢং ঢং শব্দ ভেসে এলো। আগে কখনো শুনেছি মনে পড়েনা। হয়তো শুনেছি, খেয়াল করা হয়নি।
আজ ক্রিসমাস ইভ, বড়দিনের আগের রাত। শহরে লোকজন যে যথেষ্টই কমেছে তা বেশ বোঝা যায়। বাসার পার্কিং লটের তিন-চতুর্থাংশই খালি। সবাই বোধহয় টরন্টো, অটোয়া কিংবা বাবা-মা-পরিবারের সাথে ছুটি কাটাতে ...
১৪ আগস্ট মধ্য রাতের আর একঘন্টা বাকি । আমি দাঁড়িয়ে আছি র্যাংস ভবনের সামনে, যেদিকে রাংস ভবন তার বিপরীত দিকে । ফার্মগেট থেকে হেঁটে এসেছি কারন বাস পাইনি, এখ...
..................তারপর দেবী কুপিত হলেন। তার ভ্রুকুটি থেকে সহস্র শিখা এসে সহসাই আমার শরীরে প্রবেশ করলো। যেন একরাশ চন্দ্রালোকে ঝলসে গেলাম আমি।
কত সহস্র রাত কেটে গেল। নগরবাসী তার ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত শরীর এলিয়ে ...
জানো ঢাকাতেও না ঝি ঝি পোকা ডাকে
মাঝে মাঝে মনে হয়
দিগন্তব্যাপী এই নিকষ কালো রাতের নিঃস্তব্ধতা
লেখা হয়েছে ঝি ঝি পোকারই ডাকে
ছোটবেলায় অন্ধকার মানেই গা ছমছম করা ভয়
অথচ সেই আমরাই কিছুদিন আগে
অভেদ্য অন্ধকারে হেটে বেড়ালাম সাগরের বি...