আঁচল
সৈয়দ আফসার
নীরবে বসে থাকার মানে বেদনা ও বিবিধ
প্রথম বর্ষায় যাতনা গাছে সই পেতেছি, দাঁড়ালেই
প্রেম! শুধু জানলে না কে তাড়া দিচ্ছে পেছনে
এই হাতের শুষ্কতা হয়ত দাবী করে নেবে!
ওই হাত না-ছুঁলে দেহ কেন পূর্ণতা পাবে?
জ্যোৎস্না রাতে তারার সাথে আমি গেঁথে রই
প্রলুব্ধক্ষণ ভেঙে নড়েচড়ে উঠি চাঁদের কোলে
প্রণয়ালো প্রকাশ্যে ফুটেছে তোর শাড়ির আঁচলে
আমার কিছু নেই আর, তোমাকে দেবার মতো
শুধু নিষ্প্রহ চেয়ে থাকা ছাড়া।
আমি হারিয়ে ফেলেছি সব কথাগুলো দূরে কোথাও ঠিকানাহীন পথে
আর সব ঠিকানাগুলো আমাকে ঘর থেকে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে গেছে।
বছরগুলো আমার সব সবুজগুলো নিয়ে পালিয়েছে
পুরনো ক্যালেন্ডারের পাতা হয়ে
নতুন বছরগুলো আমার জন্য কোন উপহার আনেনি
বহুদিন, বহু বহু বছর।
আমি তবু নি:স্ব হয়ে বসে আছি তোমাকে ভালোবাসা দেবার জন্য
যেটা আমি নিজের মা...
অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে যবনের আকাশে একটা চাঁদ দেখতে পেলাম
তার পাশেই ভোজালি হাতে এক নেপালী গোর্খা
সমান্তরাল মেঘ আর তাকে ভ্রকুটি করা জলকণা
দীর্ঘ ছায়া হয়ে বুকের দুপাশে ঝুলে থাকা হাত, রেড ইন্ডিয়ান নারী আর ড্রামের তালে শরীর দোলানো ক্যারিবীয় বালিকা
সবকিছু ছবি নয়- সাজানো নয়
তবু যেন ছবি মনে হয়
তুচ্ছ এক লিপিকার হঠাৎ কিছু না ভেবে তুলি হাতে প্রান্তিক হয়ে গেলে যা হয়
-অর্জুন মান্না
arjun.manna@g...
সাহস
সৈয়দ আফসার
একদিন তুমিই বলেছিলে
এতো সাহস কোথা থেকে পেলে
তোমার সাহস দেখে বুক কাঁপে...
হেসে বলে ছিলাম সবই কেরামতি
গেল বছরের স্মৃতি
কারণ মাটির গন্ধে আহত আমি
দূরের বীথি
হাত না-ছুঁলে ব্যথা ভারী হয় বাদ বাকি
দুর্গা শক্তির দেবী । মর্ত্যলোক ধারণকরে তিনি তার চার সন্তান লক্ষ্নী, স্বরস্বতী, কার্তিক এবং গণেশকে নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেন। পূরাণপাঠে আমরা জানতে পারি, অত্যাচারী এবং দাম্ভিক মহিষাসূরকে বধ করে তিনি স্বর্গ এবং মর্ত্য লোকের শান্তি পুনঃ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় চন্দ্রের ৭মী, অষ্টমী এবং নবমীতে বছরে একবার দেবীদুগা মর্ত্যলোকে আগমন করেন। মহালয়ার দিন থেকে দেবী বিসর্জনে...
-রেনেসাঁ
আমার পাঁচ বছরের ছেলে গত কয়েকদিন যাবত বায়না ধরেছে কমপ্ল্যান খাবে। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে ওর বদ্ধমুল ধারণা হয়েছে কমপ্ল্যান খেলেই রাতারাতি বড় হয়ে যাবে। ওর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শেই আমরা কখনই কমপ্ল্যান বা হরলিক্সের মত খাবারগুলো দিইনা। তাই প্রথমে দুই একদিন আবদারটা কানে না নিলেও একসময় একমাত্র পুত্রের আবদারের কাছে নতি স্বীকার করলাম। কমপ্ল্যান এর ডিব্বা হাতে পেয়েই খ...
-রেনেসাঁ
আমার পাঁচ বছরের ছেলে গত কয়েকদিন যাবত বায়না ধরেছে কমপ্ল্যান খাবে। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে ওর বদ্ধমুল ধারণা হয়েছে কমপ্ল্যান খেলেই রাতারাতি বড় হয়ে যাবে। ওর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শেই আমরা কখনই কমপ্ল্যান বা হরলিক্সের মত খাবারগুলো দিতাম না। তাই প্রথমে দুই একদিন আবদারটা কানে না নিলেও একসময় একমাত্র পুত্রের আবদারের কাছে নতি স্বীকার করলাম। কমপ্ল্যান এর ডিব্বা হাতে পেয়ে...
ইদানীং প্রাকৃতিক আচরণগত কারণে ছোট বেলায় পড়া ষড়্ ঋতুর কোন অস্তিত্ব বাংলাদেশে খোঁজে পাওয়া যায় না। কখন কোন ঋতু আসে আর কখন যায় সেটা শুধু পত্রিকা পড়ে জানা যায়। যেই শরতের আকাশে সাদা সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ানোর কথা সেখানে দেখা যায় বড় বড় কালো মেঘের দৌড় ঝাঁপ। কখনো প্রকৃতিকে অন্ধকার উপহার দিয়ে নেমে আসে ধরনীতে বৃষ্টি হয়ে, ভাসিয়ে দিয়ে যায় শহর,বন্দর, গ্রাম, মাঠ ঘাট, রাস্তা ও বিস্তীর্ণ সমতল ভ...
আমার ধারনা মানুষের সবচেয়ে প্রিয় সময়টা তার শৈশবকাল। মাঝে মাঝে মনে হয় ধুর, কেন যে বড় হয়ে গেলাম। অবশ্য আমি এখনও পিচকি। বড়দের অনেক ঝামেলা, ছোটদের সেইটা নাই। যা খুশি করার সেই মজাটা থাকেনা বড়দের। যখন ছবি তুলতে বের হই বা কোথাও যাই, ছোটদের মজার সেই যা ইচ্ছে তাই এর মাঝে আমার হারানো শৈশব খুঁজি। এই যেমন এই ছবিটার মত, যদি এভাবে আবার হেঁটে বেড়াতে পারতাম...
#১
অথবা, এইরকম হুদাই মাটিতে গড়াগড়ি করে খ...
সকাল থেকেই ঘুরি ঘুরি বৃষ্টি হচ্ছে। সারা রাতের অঝর ধারায় বৃষ্টির ফলে শহরের অনেক সড়ক পানির সাথে কোলাকুলি করছে। আসলে কোলাকুলি বললে ভুল হবে, প্রখর সূর্য তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সড়ক গুলো পানির নিচে ডুব দিয়ে আছে। তাছাড়া সারা বছর ধরে গাড়ির নির্যাতন সইতে সইতে সড়ক গুলি মুমূর্ষ হয়ে গিয়েছিল, তাই পানি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন স্বয়ং উপরওয়ালা।
আদৃতা সকালে ঘুম থেকে উঠে অসুস্থ শাশুড়ীর জ...