লেখক:দলছুট।
"সমর" ছোট বেলা থেকেই নির্জনতা পছন্দ করে। ঝামেলাহীন, কোলাহোল মুক্ত পরিবেশ তার যেন চির আপন। তাই একাকী একটা নির্জন ফ্ল্যাটে বসবাস করে। কিছুটা আত্ম কেন্দ্রিক, কারো সাথে মিশে না, আড্ডায় যায় না, খুব একটা কথাও বলে না। । তার বড় বড় দুটি চোখ যেন নির্লিপ্ত, ভাষাহীন, ছায়াহীন ধু-ধু মরুভূমি। নিস্ফলক চোখ যেন সব সময় কিছু একটা খুঁজে বেড়ায়। সব সময় সতর্ক পদচারণা, সাধারণের মাঝেও ...
সিলেট শহর থেকে মাত্র ৫৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জাফলং-তামাবিল সীমান্ত এলাকা। সিএনজি অটোরিকশায় মাত্র দেড় ঘন্টা সময় লাগে, ভাড়াও কম, সারাদিনে মাত্র আটশ টাকা। সিলেট শহর থেকে সকালে আমরা তিন বন্ধু রওনা হলাম জাফলংয়ের উদ্দেশে। জাফলং পৌঁছার আগেই চোখে পড়লসুউচ্চ পাহাড়। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে ঝর্ণা। পাহাড়ী ঝর্ণাগুলো সবই পড়েছে ভার...
বিবৃতিগুচ্ছ ৩
সৈয়দ আফসার
তাকে পেলাম; শূন্যে জড়ো-করা ছায়ায়
প্রকাশ এটুকু... সুকীর্তি অন্য কিছু নয়
দু-চারটি অনুনয়, বিনুনয়
আমাকে চিনে রাখে বনবাড়ি থেকে হেঁটে আসা
রূপবতী নিমপাতা, মেথিশাক-ডাঁটা
এই ধরো-- তালু হাতে আমাকে ক্ষুদ্রাকৃতি করো
দেখো, তিন দিনের সবুরে ফুটে কয় দিনের মেওয়া
নিজ দখল যে উইড়্যা যায়, পিঞ্জিরার কাছে আত্না
নিজের ভেতর অজস্র বিস্মরণ; সেও অধরা
বেঁচে থাকার শোক, আশা-কৃতি ...
আমাদের পানশালা
ভাসাতে চেয়েছি নদী
দে না তোর বুক
আমাদের চিত্রাহরিণ
বসে আছে চুপচাপ
করেছে অসুখ।
আমাদের ভোর থেকে
ভাঙতে চেয়েছি আলো
দে না সম্মতি
আমাদের কামিনীবিকেল
কিনেছে নির্জনতা
এতটাই সংহতি!
আমাদের সাধগুলো
ভাঙতে চেয়েছি পথে
দেনা দু পা তোর
আমাদের সুচগুলো
আয়াসে হয়েছে বধূ
দে না সুতা তোর!
শেখ নজরুল, ঢাকা
লেখকে আমার বড়ো বিশ্বাস। কালো হরফে [এখানেই বুঝে নেয়া যেতে পারে ডিসকোর্স কিভাবে কাজ করে, লেখা বলতে আমরা চিহ্নিত করেছি এই শব্দযুগলকে, এও লেখকদেরই অবদান, ধন্যি ধন্যি] তিনি পৃথিবী গড়তে পারেন, সেই পৃথিবী আপনার – আমার, কিন্তু অন্যরকম। দেখেও যা আমরা দেখিনা কিংবা আমাদের দেখতে দেয়া হয়না কিংবা দেখলে ভালো হয় তা তিনি আমাদের দেখানোর ক্ষমতা রাখেন।
পুজিবাদের অন্তপর্যায়ে আছি আমরা। আর এ পর্যায়ে ...
যখন ভোর আসলো, তখন জানালার সব ফুটোগুলো দিয়ে হুড়মুড় করে সূর্য ঢুকে পড়লো ঘরের ভেতর, ছেলেটার জন্য তাড়াহুড়া করে একটা ভোর নিয়ে আসার জন্য, খুব দ্রুত রাতটাকে শেষ করে দিয়ে। কিন্তু ছেলেটা ঘুমিয়ে ছিল শক্ত করে চোখ বন্ধ করে, আর সে খুব ক্লান্ত ছিল সারারাত স্বপ্ন দেখতে দেখতে, তাই যখন ভোর আসলো সে কিছুতেই ঘুম থেকে উঠতে পারলো না।
ওর ঘুম ভাঙলো আর তখন ওর মনে হলো ও ভীষণ ক্লান্ত।
সে আবার ঘুমি...
সারা মাস চিৎকার কইরা ঘুমের বারোটা বাজাইছে, আর এখন আইছে টাকা লইতে। টাকা না দিতে চক দিয়া দরজার ওপরে ক্রস দিতাছে আর পিছনের একজন ছোট্ট একটা কাগজে টুইকা রাখছে বাসার নম্বর। খোদাই জানে এই লিষ্টি দিয়া হালখাতা করবো নাকি দেনার দায়ে রাস্তায় ধইরা রগ কাটবো?
রোজার মাস এলেই পাশের মাদ্রাসার ছাত্ররা মাঝ রাত থেকে শুরু করে দল বেঁধে যন্ত্রণা সং গীত (বানান ঠিক আছে)। উদ্দেশ্য একটাই রোজাদারদের ঘুম ভা...
অনেকদিনের ইচ্ছা একটা গল্প লেখব।সেটা ভাল খারাপ যাই হোক ইচ্ছা করত মানুষকে শোনাতে।সেই ইচ্ছার মূল্য দিতেই সচলায়তনে প্রবেশ এবং আজকের এই লেখা। বাংলা বানান এবং ব্যাকরণ বিষয়ে বরাবর ই খুব কাঁচা , তাই লেখার বানান এ ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী এবং সেই সাথে সঠিক বানানটি জানানোর জন্য অনুরোধ রইল।
হত্যা
অন্ধকার ঘর। কোন জানালা নেই। তারপরেও কোন এক অজানা উৎস থেকে একটু আলো এসে ঘরের ...
**
এখান থেকে আকাশের খুব ছোট্র একটা অংশ চোখে পড়ে। ফোকরটাকে সোজা সোজা তিনটা দাগ টানা একটা চৌদ্দ ইঞ্চি টিভির মতো মনে হয়। সেখানে দু তিনটা মেঘ দিব্যি এটে যায়। সোনালী আলো যখন দাগ টানা একটা চৌকো টানেল বানায় উল্টোদিকের দেয়ালে তখন সে টানেলের পাশে বসে সিগারেট খেতে বেশ লাগে, বিশেষ করে ধোঁয়াগুলো যখন কুন্ডলী পাকিয়ে ট্রেন ধরার ব্যাস্ততায় গল্গল করে টানেল এর এক মাথা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এক সময় মনে হ...
ছোট বেলায় “তোমার জীবনের লক্ষ্য” রচনা যতবার-ই লিখেছি প্রতিবারেই লিখেছিলাম ডাক্তার হব। ব্যাকরন বইয়ে ও এই মহৎ পেশাটার অনেক গুন কির্তন পড়ে তখন ধারনা জন্মেছিল এটাই পৃথিবীতে সেরা কাজ। গরিব মানুষের সেবা যত্ন করা হবে। সময় গড়িয়ে যখন সত্যি সত্যি কোন একটা কিছু বেছে নিতে হল তখন কন্সট্রাকশন কোম্পানীর মালিকের ছেলে হয়ে জন্মানোর পাপের শাস্তি স্বরূপ আমাকে বুয়েটেই ভর্তি হতে হয়। উল্লেখ্য আমা...