মানুষের সবচে দারুণ শত্রু হতে পারে তার নিকটতম জন। তার মানে কোনো মূর্খ যদি 'জানরে' 'পাখিরে' বলে কারো জন্য প্রাণোৎসর্গ করে তাহলে যাকে প্রাণোৎসর্গ করা হলো সেই সৌভাগ্যবান অথবা সৌভাগ্যবতী হতে পারে ওই অপদার্থটির সর্বনাশ করার জন্য সবচে উপযুক্ত প্রাণি। গরল উঠে আসে অমৃতের সন্ধানেই। প্রেম বিষয়ক লেখা লিখতে বসিনি অবশ্য। ও লোকে ঢের জানে। ঢের মানে, খায়। আমি প্রাণের নিকটতম বিষের কথা বলি। মার্চের বিষ আজকে। প্রাণ এবং প্রাণের ভেতরে থাকা বিষ নিয়ে কথোপকথনের এরচে চমৎকার উপলক্ষ্য আর হয়না!
এশিয়া কাপের বাংলাদেশ পাকিস্তানের আজকের খেলা নিয়ে গজগজ করছিলাম। সাহস করে কিছু লিখতে পারছিলাম না।
কিন্তু এবার সাহস করা যায় খানিকটা।
খেলা একা দেখলে মজা অর্ধেক নষ্ট। তাই আসেন চিল্লাচিল্লি করি
মন্তব্যের ঘরে গালাগালি-গলাগলি-চিল্লাচিল্লি হোক! সচলে সে সবসময়ই হয়ে আসছে!
টিভিতে চোখ রেখে কীবোর্ডে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। সর্বশেষ আপডেট ২০০/৭ (৪৪ ওভার শেষে)!
বাংলাদেশ ভারত সাইবার যুদ্ধ বলতে যে চলমান ঘটনাটিকে বোঝাচ্ছি সেটি সম্পর্কে খুব স্পষ্ট তথ্য পাচ্ছিনা। যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা কতটা নির্ভরযোগ্য সে নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত, বাংলাদেশি এবং ভারতীয় হ্যাকাররা দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ সাইট হ্যাক করছে বিরতিহীনভাবে।
ঘটনাটি শুরু হয়েছে জানামতে জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে। এই সময়ে বাংলাদেশের কিছু হ্যাকার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সাইট হ্যাক করে। সেখানে তারা লিখে দেয়, তাদের সেইসব সাইট হ্যাক করার কারণ। টানিয়ে রাখে সীমান্তে নিহত কিশোরী ফেলানীর ছবি। এইসব হ্যাকাররা নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্লাক হ্যাট হ্যাকার দলের সদস্য হিসেবে।
এইখানে ঘটনাটি শেষ হয়নি, বরং শুরু হয়েছে।
একবার বছরের শেষ ভাগের এক বিকেলে ধুম ছোটাছুটির পর সন্ধ্যার দিকে আবিষ্কার করলাম হাঁটতে গেলে দু পায়ের পেছনের রগে হালকা ব্যথা পাচ্ছি। গ্রামে বছরের শেষ সময়টা অদ্ভুত ছিল। ধান উঠে যেতো বলে বিলগুলো ফাঁকা থাকতো, কেটে নেয়া ধান গাছের গোড়ার দিকটা গোছা গোছা রয়ে যেত সেখানে। নরম মাটি। বাতাসে ধানের গন্ধ, মাটির গন্ধ, তুলে নেয়া মটরশুঁটি গাছের গন্ধ। সব মিলিয়ে সবটা বিকেল-সন্ধ্যা সুগন্ধি হয়ে থাকতো। সময়েরও যে সুগন্ধ থাকতে পারে সেই অলৌকিক অনুভুতি বাংলাদেশের গ্রামে ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যায় বলে আমার জানা নেই। এখন ভাবলে, সেই সময়টটাকে দালির ছবির চাইতেও মহান আর বিমূর্ত মনে হয়!
সেরকম পরাবাস্তব এক বিকেল পায়ের রগে ব্যথা টের পেলাম। মা'কে গিয়ে বললাম, পায়ে টান লাগছে। মা ছাদে গাছশুদ্ধ শুকোতে দেয়া মটরশুঁটির ঝাড় উল্টেপাল্টে দিচ্ছিলেন। আমাকে বললেন, খেলতে গিয়ে বোধহয় উল্টোপাল্টা টান পড়েছে। বিশ্রাম নাও, ঠিক হয়ে যাবে। সেদিন রাতের আর কিছু মনে পড়ে না। মনে পড়ে, পরদিন সকালে উঠেই তারস্বরে মা'কে ডাকতে লাগলাম। অলৌকিক মা ছিলেন আমার। কিছু না হলেও চিল্লিয়ে মা'কে ডাকতাম। মা এসে "সব ঠিক" করে দিতেন। আর সেদিন তো বড় কিছু হয়েছিল। সকালে উঠে আবিষ্কার করেছি আমি আর হাঁটতে পারছি না!
এইচআইভি নামের ভাইরাসটি এইডস রোগের জন্য দায়ী। এইডস হলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হয়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে, আপাত নীরিহ রোগগুলোই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এইডস কথাটার লম্বা মানেও সেই কথাই বলে। সহজ বাংলায় বললে, এইডস অর্থ "রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ"! রোগীর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে সেটা বোঝা যাচ্ছে, কারণ রোগী নানারকম সহজ-কঠিন রোগে আক্রান্ত! রোগ সারছে না! শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে বলেই সারছে না!
ডুয়েসবার্গ কী বোমা ফাটিয়েছেন সেটা আগের লেখাতেই বলেছি। তিনি বলতে চেয়েছেন, এইডস নিয়ে তোমরা অনর্থক লাফাচ্ছ! লাফালাফি বন্ধ করা দরকার! কারণ,
শুক্রবারে এক্সপেরিমেন্টের ফাঁকে অভ্যসবশত পরিচিত বিজ্ঞান পত্রিকাগুলোতে ঢুঁ মারছিলাম। ন্যাচারে (nature.com) বিশেষ প্রজাতির সাধারণ পিঁপড়াদের দৈত্যাকার প্রহরী পিঁপড়া হয়ে ওঠা বিষয়ক খবরটা নজর কাড়ল। বিজ্ঞানের পৃথিবীতে চমক না থাকাটাই অস্বাভাবিক। অভ্যেস হয়ে যাওয়ায় এসব খবরে এখন আর চমকাই না। তবে সত্যি সত্যি দারুণ চমকে উঠলাম পরের খবরটাতেই। একটা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে অস্বীকার করা হয়েছে এইচআইভি ভাইরাসসের সঙ্গে এইডসের সম্পর্ক ! গবেষণাপত্রটি ন্যাচারে প্রকাশিত হয়নি। ন্যাচার বরং এটির উপর একটি নিবন্ধ ছেপেছে। নিবন্ধটি এবং পরবর্তীতে মূল গবেষণাপত্রটিও আমি আক্ষরিক অর্থেই হাঁপাতে হাঁপাতে পড়েছি! এইচআইভি ভাইরাস এইডসের জন্য দায়ী নয়? এইডস কোনো মহামারী নয়? এইডসের টিকা/ওষুধের যে যুগব্যপী গবেষণা, পরীক্ষামূলক ব্যবহার সেসবের দরকার ছিলনা? এইডস পূর্ববর্তী/পরবর্তী নানা সামাজিক-রাষ্ট্রীয় আয়োজন সব অর্থহীন? বলে কী!
১৯৮৪ সালের পর থেকে এইচআইভি/এইডস-এর কারণে বিশ্বের সমাজ-রাষ্ট্র-অর্থনীতি-স্বাস্থ্য যেভাবে ওলটপালট হয়েছে সেটার খুব অস্পষ্ট একটা ধারনা নিয়েই আমি বলতে পারি, এই গবেষণাপত্রটি বিজ্ঞানের বিশ্বে অন্তত গোটা দশেক নাইন-ইলেভেন-এর প্রভাব ফেলবে! ফেলা উচিত।
আমাদের মফস্বলে ওই একটিই বাঁধাই ঘর ছিল।
বাঁধাইকর ছিল কালো একটা লোক। শুকনো, অথচ কেমন খানিকটা তেলতেলে লোকটা মোটা ফ্রেমের চশমা পরে সারাদিন মুখ গুঁজে বই সেলাই করে চলত! লোকটার সরু লম্বা আঙুল দেখে সেগুলোকে মায়াবী ভাবার কিছু ছিলনা! কিন্তু কীরকম মায়া করে লোকটা বইয়ের পুরনো মড়মড়ে পাতাও নরম মাংসের মতো সেলাই করে ফেলত! বই যেন না, পুরনো কাপড়! বইগুলোও যেন গলে পড়ে যেত লোকটার হাতে! সুলতা বৌদি আমার চুলে আঙুল দিয়ে বিলি কাটলে যেমন আমার অদ্ভুত আদর লাগত, সেরকম। অথবা সেইবার যখন আমি আর তনি ওদের পোড়ো ভিটের শুকনো ডোবায় পালিয়েছিলাম! তনি কেবল আমার হাত জাপটে ধরে আমার গায়ে হেলান দিয়ে পড়ে ছিল! আর আমি ওকে যতই ধাক্কাই উঠতে চাচ্ছিলোনা, সেরকম!
মুক্ত মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কুৎসিত আভিলাসটি নানামহল থেকে বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের সামনে আসছিল। এলজিআরডি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর সাম্প্রতিক বক্তব্য আমরা পড়েছি। তিনি বলেছেন নিজেদের ক্রেডিবিলিটি ধরে রাখতে ব্লগগুলো মনিটর করুন। এটা যে শুরুর ইঙ্গিত ছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সেই শুরুটাকে আরো অনেকেই যুক্তি(!) এবং উৎসাহ দিয়ে এগিয়ে নিতে চাইছেন। কেন চাইছেন সে বিষয়টি ব্লগেই স্পষ্ট করেছেন সচলায়তনের সহব্লগার হিমু ভাই।
২০০৪-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ডেইলি স্টারের "একুশে স্পেশাল' ক্রোড়পত্রে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল। লেখাটির কিছু অংশের সঙ্গে আমি একমত। আমি যদি ঠিক বুঝে থাকি তাহলে লেখাটির মূলভাবের সঙ্গেও একমত। কিন্তু অনেকখানি জায়গায় আমার দ্বিমত রয়েছে। এতো পুরাতন একটি লেখার ব্যাপারে হঠাৎ করে এই সময়ে কথা বলার কারণ রয়েছে। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে যে ব্যাপারগুলোতে আমার বিশেষ দ্বিমত রয়েছে সেটা বলি।
জাফর ইকবাল স্যার একটা বিজ্ঞানের বই থেকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে একটি লাইনকে উদাহরণ হিসেবে নিয়ে সেটার বঙ্গানুবাদ করার চেষ্টা করেছেন।রবার্ট রেজনিক এবং ডেভিড হ্যালিডের লেখা "ফিজিক্স' বইটি থেকে উদাহরণটি নেয়া। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স সম্মান পড়ার সময় তিনি এই বইটি পড়েছেন।
একটি ছেলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ে সেটা জানলে আমার কিশোরবেলায় যে অনুভূতি হত সেগুলো এরকম:
১. ছেলেটি ইংরেজি জানে। ইংরেজিতে কথা বলতে পারে। (ইংরেজি জানা তখন একটা মারাত্মক ব্যপার ছিল। ইংরেজি জানা মানেই শিক্ষিত!)
২. সে ধনী পরিবারের সন্তান এবং সে স্মার্ট।
৩. সে আমার আশাপাশের কেউ নয়। আমার সীমানার বাইরে তার বসবাস। তার সঙ্গে আমার সাবলীল কোনো সম্পর্ক হতে পারেনা!