গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর ২০১২) লণ্ডনের দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম'কে ফোন করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। সাংবাদিকের ভাষ্যে, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপে আলোচনার রেকর্ড তা(দে)র কাছে রয়েছে এবং তারা সেটি প্রকাশ করতে চায়। ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছে চুরি করা কোন তথ্য যেন প্রকাশ করা না হয়, সেটি বিচারকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। একই সঙ্গে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ এবং বিচারকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার জন্য কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেই মর্মে ইকোনমিস্ট'কে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন আদালত। ইকোনমিস্টকে নিয়ে এই ঘটনার মাঝেই আমার দেশ পত্রিকা ড. জিয়াউদ্দিন এবং বিচারপতি হকের কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে। আমার দেশের হ্যাকিং এ অংশগ্রহন খুব অবাক করা কিছু নয়। যে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার জন্য নিয়মিত মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, রাজনৈতিক-কূটনৈতিক নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই বিচার কার্যে বাধা দিতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা না করা হলেই সেটা আশ্চর্যজনক হত।
পচে যাওয়ার জন্য মরে যাওয়া কোন প্রয়োজন নেই। পচে যাওয়ার জন্য কেবল জন্মানো প্রয়োজন। জন্মের পর থেকেই আপনি প্রতি মুহূর্তে পচে যাচ্ছেন। কীভাবে পচে যাচ্ছেন সেটি বোঝার আগে কীভাবে বেঁচে আছেন সেটি মোটাদাগে বুঝে নেয়া যেতে পারে। একটি কোষের বেঁচে থাকার বর্ণনা দিলেই একটি প্রাণির বেঁচে থাকার নিয়ম বুঝতে পারা যায়।
কোষ একটা আপাত স্বয়ংসম্পূর্ণ জৈবিক সত্ত্বা। অনেকগুলো প্রোিটন মিলে খানিকটা তেল জাতিয় পদার্থ আর শর্করার সঙ্গে একটা থলি বানিয়েছে। সেই থলির ভেতরে বেশিরভাগটাই পানির মধ্যে ডুবে আছে আরো এটাসেটা প্রোটিন, শর্করা, চর্বি, ছোট ছোট যৌগ এসব। আর আছে নানারকমের জটিল কলকব্জা। কলকব্জা তৈরি হয়েছে ওই প্রোটিন-চর্বি-শর্করা মিলিয়েই। এইসব কলকব্জা প্রতিমুহূর্তে ঘটঘট করে কাজ করছে। বেঁচে থাকতে তাদের বিরতি নেই, কেবল খাটনি আর খাটনি। তেল মশলায় চুবানো কলকব্জা ভর্তি প্রোটিন-শর্করার এই থলি হচ্ছে একটা কোষ।
কীভাবে একটা গ্রাম বানাতে হয় জানেন?
একটি গ্রামে কী কী থাকে তা নিশ্চয়ই জানেন? এই লেখাটিতে আমরা একটি গ্রাম তৈরি করার কথা বলব। এই লেখাটিতে আমি একটি গড়পরতা গ্রামের কথা বলছি। কিন্তু চাইলে আপনি নিজের মত করেও এটাকে বদলে নিতে পারেন।
গ্রামের শুরুতেই প্রয়োজন একটি ভূখণ্ড। সেই ভূখণ্ডে পর্যাপ্ত মুক্ত বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে। গ্রামের মাঝ দিয়ে যেন বয়ে যায় স্রোতস্বীনি নদী। আড়মোড়া ভাঙা পাখির মত শাখা-প্রশাখা মেলে দিয়ে মেলে সেই নদী যেন গ্রামটাকে জড়িয়ে রাখে। একটা ভূখণ্ড হল। শাখামেলা নদীও হল। নাম দেয়া যাক। আমাদের এই গাঁয়ের নামটি খঞ্জনা। আমাদের এই নদীর নামটি অঞ্জনা।
জলপাইয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সহজ হয়ে উঠবে বলে আমরা চিরকাল আশা করে থাকি। আমরা খুব আশা করে থাকি রঙ বদলানো গিরগিটির নোংরামি দেখতে হবে না বাংলাদেশ জুড়ে।
আমাদের আশা পূরণ হয়না। একটি পরাজিত জাতি হয়ে ওঠার জন্য যতোরকমের গণিত মেলানো প্রয়োজন, সব মেলাতে থাকে বিক্রী হয়ে যাওয়ার পোকার দল।
ব্যক্তিগত জীবনে আমি দেখেছি এমনকি খুব সচেতন মানুষের মাঝেও রোগ এবং সংক্রমণ সম্পর্কিত মারাত্মক ভ্রান্তি রয়েছে। কুসংস্কার এবং প্রচলিত ধারনার সঙ্গে দৈনন্দিন অভিজ্ঞতা মিলিয়ে শিক্ষিত লোকেরাও এসব ভ্রান্তিকে সত্য বলে মনে করেন। এই সিরিজে আলোচনা করা হবে কেন এইসব ভ্রান্তি সত্য নয়, কেন আমরা এসব বিষয়কে সত্য বলে মনে করি, ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক বিষয়।
ব্লগ হচ্ছে শ্বাস নেয়ার মত। অক্ষর-শব্দের ধ্যানের মত! দূষণহীন জঙ্গলে গিয়ে গেরিলা মায়ের পিঠে ঠেস দিয়ে জিরিয়ে নেয়ার মত!
মণিকা'দিকে বলেছিলাম তাঁকে একটা চিঠি লিখব। (হতে পারে বলেছিলাম, প্রেমপত্র লিখব। কিন্তু সে কী আর জনসমক্ষে স্বীকার করা উচিত হবে!)
আমার বন্ধুটি বলল, অ্যাঁ? বলিস কী! কচকচ করে খেয়ে ফেলে?
আমি বললাম, কচকচ করে তো নয়, ওনার চুকচুক করে খাওয়ার অভ্যেস!
আমার বন্ধুটি, (ধরে নেই তার নাম কামু), বেশ মুষড়ে পড়ল!
সে বহু বছর আগের কথা! কমাণ্ডোজ খেলার লোভে লোভে গিয়ে বসতাম তপু ভাইয়ের কম্পিউটারে! গ্রীন ব্যারেট যখন বুকে হেঁটে ছুরি মুঠোয় সন্তর্পণে উঁকি দিত নাজি ক্যাম্পের আনাচে কানাচে, তখন আমার মনটা দুপ দুপ করত, আহারে, এইতো তপু ভাই এসে পড়লেন! উঠতে হবে কম্পিউটার ছেড়ে! মেরিন' যখন দীর্ঘ ডুব সাঁতারে নিঃশব্দে নাজী সৈন্যের পেছনে গিয়ে উঠত আচমকা, তখন আমিও দম ধরে থাকতাম, আরেকটু, আরেকটু হলেই মিশন সফল হয়!
এই সময়ের সবচে ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে কীভাবে একটি মিউট্যান্ট H5N1 ভাইরাস বানিয়ে ফেলা যায়। যেটা্ বাতাসের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়ে দুনিয়াকে একেবারে নরক বানিয়ে দিতে পারে! কিন্তু সেই রেসিপি দেয়ার আগে ভাইরাস এবং ভাইরাসের সংক্রমণ বিষয়ক একটুখানি তথ্য দিয় শুরু করি। এই তথ্যটুকু জানা থাকলে এই লেখাটি বুঝতে সুবিধা হবে বলে মনে হয়।
ভাইরাস কী?
- ভাইরাস শব্দটির মানে হচ্ছে বিষ। প্রোটিনের ঠোঙায় মুড়ে রাখা কিছু জেনেটিক পদার্থ (ডিএনএ অথবা আরএনএ) ভাইরাস তৈরি করে। ভাইরাস নিজে প্রাণ নয়। কিন্তু সে প্রাণিকোষের উপাদান ব্যবহার করে নতুন ভাইরাস তৈরি করতে পারে।
ভাইরাস মাত্রই কি সংক্রামক?
- হ্যাঁ। ভাইরাস নিজে নিজে বংশবিস্তার করতে (নিজেকে সংখ্যায় বাড়িয়ে নিতে) পারেনা। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই তাকে সংক্রামক হতে হয়।
মার্চের আটাশ তারিখে লেখা জাফর ইকবাল স্যারের একটা লেখা পড়লাম সাংবাদিক শুভাশিস ব্যানার্জি, তার সাংবাদিকতা এবং তার সোনার বাংলা ডেইলি নিউজ ২৪ ডট কম বিষয়ে! আহা! মনটা যে কেমন হয়ে গেল! চোখ ভিজে উঠল! শুভাশিস ব্যানার্জীর পরিচয় দেই, তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন। অন্তত জাফর ইকবাল স্যার তা-ই বললেন। মেধাবী মেডিকেলের ছাত্র হিসেবে জাফর ইকবাল স্যার শুভাশিস ব্যানার্জির প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েন! এই দূর্বলতাকে কেউ অন্যভাবে নেবেন না! একটি মেডিকেল কলেজ যদি মেধাবী হয় তাহলে সেটির ছাত্রদের প্রতি মানুষের দূর্বলতা স্বাভাবিক! আমার তো ভাবতেই খানিকটা দূর্বল লাগছে!