দুনিয়ায় আমার সবচাইতে অপ্রিয় কাজ রান্না করা। অপ্রিয় কাজের মধ্যে 'খাওয়া'ও আছে। তবে ওটা প্রথম সারিতে পড়ে না। রান্না করার একমাত্র ভালো দিক হচ্ছে রান্নার সময় পড়াশোনার চাপ থাকে না। তাই রাঁধতে রাঁধতে ব্লগ লেখা যায়। ঢাকায় যখন একা ছিলাম তখন অবশ্য দীর্ঘদিন রান্না করেছি। তবে কিনা, বেঁচে থাকার জন্য কোন রকমে খাওয়ার পক্ষপাতি ছিলাম বলে রান্নার উপাদান সীমাবদ্ধ থাকত আলু, ডাল আর ডিমে। মশলা অবশ্যই সবসময় পেঁয়াজ মরিচ আর লবন। এর বাইরে রান্নার আর কোন উপাদান বিশেষ ব্যাবহার করতে শিখিনি কখনো।
সতর্কতা: ইতিহাসের চাইতে ব্যক্তিগত অনুভুতির কথাই এখানে বেশি।
আইখমানের সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছু জানিনা। এই সময়ে কোনকিছু সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া অবশ্য কঠিন কিছু নয়। চাইলেই যে কোন কিছু অথবা যে কারো ইতিহাস জেনে ফেলা যায়। এমনকি হাজার মাইল দূরে থেকেও জেনে নেয়া যায় কার ছাদের টবে আজ কী ফুল ফুটেছে! আইখমানের সম্পর্কে আমি বেশি কিছু জানিনা কারণ আমি সেই চেষ্টা করিনি। জানার চেষ্টা করিনি আমি ভীতু বলে। নৃসংশতা, সে দীর্ঘ অতীতের হলেও আমার দেখতে/জানতে ভয় লাগে।
স্টেফিন মেরিটের লেখা আর পিটার গ্যাব্রিয়েলের গাওয়া এই গানটা আচমকা শুনেছিলাম। এত চমৎকার একটা গান, আগে কেন শুনিনি ভেবে আফসোস হচ্ছিল!
10 - peter gabriel...
[গানটি প্রথম গেয়েছিলেন এর গীতিকার স্টেফিন মেরিট। আমার অবশ্য পিটার গ্যাব্রিয়েলের কণ্ঠে বেশি ভালো লেগেছে। সেটিই এখানে দিলাম। নিশ্চিত হতে পারিনি গানটির সুরকার কে! 'ম্যাগনেটিক ফিল্ডস' ব্যান্ডের কেউ হবে বলেই ধারণা করি!]
কী ভেবে একটা 'অনুবাদ চে ...
যুদ্ধে যাওয়ার সময় বর্ম পরার নিয়ম ছিল আগে। কারণ সবার জানা। তলোয়ার, বল্লম অথবা ওই রকমের অস্ত্র থেকে আত্মরক্ষা। এখন অবশ্য সড়কি-লাঠি নিয়ে সেই রকমের যুদ্ধ আর নেই। বদলে গেছে অস্ত্র শস্ত্রের ধরণ। সেই সঙ্গে বদলে গেছে বর্ম-ও। সিনেমায়-টিনেমায় দেখেছি বিষাক্ত গ্যাস থেকে বাঁচতে নাকে-মুখে বর্ম পরে আজকাল। বোমা বিশেষজ্ঞরা ভারী ভারী জোব্বা মার্কা বর্ম পরে বোমা খুঁজতে যায়। আরো কত রকমের বর্ম আছ ...
জিন থেরাপির নাড়িনক্ষত্র আরেকবার ঝালাই করে নেয়ার জন্য ড. ইকবাল স্যারের পুরোনো লেকচারগুলো আমি ঘাঁটতে শুরু করি অনেক দিন পর।
স্যারের লেকচারের গুণেই আমাদের কাছে একেবারে পানির মতো স্পষ্ট ছিল জিন থেরাপির ব্যাপারটা। অনেকদিন পর বলে আরেকবার মনে করে নিতে চাই সব। প্রাণির সবকিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় তার জিন দিয়ে। প্রাণীর জন্য এ এক অলঙ্ঘনীয় নীতিমালা। জিনের ভেতর লেখা থাকে কখন মানুষের খিদে পাব ...
এই লেখাটা কেন লিখছি ঠিক বুঝতে পারছি না। অনেক্ষণ ভেবে ভেবে নিজের কাছে গ্রহনযোগ্য একটাই কারণ বের করতে পারলাম, সচলদের সঙ্গে অনুভূতিগুলো ভাগ করে নেয়ার। তাতে কিছুটা শান্তি পাব মনে হচ্ছে। সকলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে জেনে গেছেন, পুরোনো ঢাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডটির কথা। টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রতি মুহূর্তেই আপডেট জানাচ্ছে। অবশ্য চ্যানেলগুলোর কথাবার্তা একশোভাগ একরকম নয়। বিশেষত মৃতের সংখ্যার ...
…তো বলছিলাম যে, মানুষ প্রাণিটা যন্ত্রের মতোই। মনুষ্যযন্ত্রের অস্বাভাবিক জটিলতার কারণেই একে রহস্যময় আর অযান্ত্রিক মনে হয়। আধ্যাত্মিক কোনকিছু আসলে মানুষের মধ্যে নেই। মানুষের যা কিছু, সবই তার নীতিমালায় লেখা থাকে। সেই নীতিমালা অমোঘ। সেখানে লেখা থাকে অনার্য সঙ্গীত কখন আরেকটা মানুষকে খুন করবে বা আদৌ করবে কিনা! সেখানে লেখা থাকে কখন কেউ সব নিয়মের ব্যতিক্রম করে কেবল ভালোবাসার জন্...
হিমু ভাইয়ের ইমেইল পেলাম আচমকা। আমাকে একটা ভিডিও’র লিঙ্ক দিয়ে সেটা দেখতে বললেন। আমি দেখলাম। এবং ওনার মতই একটা অনন্য সম্ভাবনার কথা ভেবে দারুণ খুশি হয়ে উঠলাম। ভিডিওটি একজন অণুজীববিজ্ঞানীর বক্তৃতা। পল স্ট্যামেটস নামক এই বিজ্ঞানী গবেষনা করেছেন ছত্রাকের উপর। ছত্রাকের মধ্যে আবার দুটি ভাগ। একভাগ এককোষী, আরেকভাগ বহুকোষী। পল স্ট্যামেটস মূলত কাজ করেছেন বহুকোষী ছত্রাকের উপর। এককোষী...
আমি অনেকটা অবচেতন ভাবেই লেখকদের ভাগ করে ফেলি। একটা জনপ্রিয় ধারার লেখকেরা আমার বিচারে রুহ-আফসা স্পেশালিস্ট। তাঁদের লেখা দুদ্দাড় করে গিলে ফেলে ভুলে যাওয়া যায়। একভাগ লেখক যারা খুব কঠিন ভাষায় লেখেন। তার লেখায় হয়তো কোন ধোঁয়াশা থাকে না। তবে শব্দে শব্দে সে লেখার আঙিনা পেরিয়ে আসতে পাহাড় ডিঙানোর পরিশ্রম করতে হয়। কেউ কেউ আবার অমসৃণ পাথরে বিমূর্ত মূর্তির মতো গল্পের অবয়ব বানান। সে গল্প ...
অনেকখানি ঢং করে এই লেখাটা শুরু করতে যাচ্ছিলাম। তারপর হাসি পেল। যাকে নিয়ে লিখছি তাঁকে সচলরা আমার চাইতে ভাল চেনেন। হয়তো তাঁর সঙ্গে আমার অনেকটা পথ একসঙ্গে রিক্সায় টুকরো-টাকরা কথা বলতে বলতে আসা হয় প্রায়শই। কিন্তু সেটাতে তাঁর সবটা পরিচয় মেলেনা। তার সবটা পরিচয় মেলে তাঁর লেখায়। সেইখানে একজন মানুষের ভেতরে একজন ঈশ্বরকে দেখা যায়। সে ঈশ্বর কবিতার আর গল্পের। সে ঈশ্বর ভাষার।
সত্যি [url=http://ww...