আবার ছুটবে বেগে করতলে সূর্যের ঢেউ
বিরান মাঠের বুকে উঁকি দেবে সবুজের স্তূপ
দীর্ঘ দুপুর জুড়ে ছায়াময় নিরালা নিশ্চুপ
শুয়ে র'বো দ্বিধাহীন কোন এক পুরনো অসুখ!
এই পথে ছায়া ফেলে হাতছানি দিয়ে যাবে কেউ।
শিশুর গালের মতো কোমল অলস কোন দিনে
আবার আসবে দেখো মিলনের মধুময় তিথি
চোখের গভীর কোণে ছায়াপথ তারা ভরা বীথি
জোনাকি জ্বালিয়ে জেনো আমাদের নেবে ঠিকই চিনে
আমাদের ভালোবাসা-রক্ত-স্বেদ-দেহের পিপাসা।
একটি মুহূর্ত
একটি বীজের মতো
সেখানে ঘুমিয়ে আছে অনন্তকাল।
এখন তুমি অনেক দূরে থাকো
এখন তুমি আটকে থাকো কাজে
এখন তুমি সঙ্গীবিহীন একা
কাটাচ্ছ দিন মগ্ন নিজের মাঝে
সেই পুরনো টুকরো কথাগুলো
স্মৃতির মাঝে যখন তোলে ঢেউ
খুব বিজনে আঁধার নেমে এলে
মিছেই ভাবি ফিরবে বুঝি কেউ
ফেরার পথে অনেক পাহাড় নদী
ফেরার পথে দ্বিধার জোয়ার-ভাটা
ফেরার পথে কুটিল চোরাবালি
খিড়কী-দুয়ার জটিল খিলে আঁটা
তোমার-আমার মুখোশগুলো আজও
মুখের সাথে লেপটে মাখামাখি
আমাকে টান মারে রাত্রি জাগানো দিন
আমাকে টানে গূঢ় অন্ধকার
আমার ঘুম ভেঙ্গে হঠাৎ খুলে যায়
মধ্য রাত্রির বন্ধ দ্বার...
মাঝে মাঝে কিছুদিন পৃথিবীকে চলতে দেখি খুব চেনা সহজ নিয়মে।
শহরেও ভোর হয়, পাখি ডাকে, দলে দলে উড়ে আসে কাক
সূর্য খুব ঘটা করে বিউটি পার্লারে সাজিয়ে নিয়ে মুখ
আধুনিকা বধুবেশে চড়ে বসে দিনের গাড়ীতে।
প্রাতঃরাশে তৃপ্ত কর্তা বাবু বেশে অফিসের পথে
যেতে যেতে পাণ্ডুর আলোর সন্ধানে ডুবেন প্রাত্যহিক
অগোছালো খবরের ধূসর কাগজে;
মণিহীন বিশীর্ণ চোখে তাঁর পাথর সময়―
পৃথিবীর পথে : চীনের দিনলিপি
http://www.sachalayatan.com/nebula/42101
২০ নভেম্বর ২০১১
লাগেজ চেকিং এর ঝক্কি পোহানোর পর যাত্রীদের আগমনের পথ ধরে বেরিয়ে এলাম। দেখি, সেখানে আমার নাম লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে মিঃ লি অপেক্ষা করছেন। তাঁর হাসিমুখের পরতে পরতে বিনয় লেপটে আছে ছড়িয়ে যাওয়া ক্ষীরের মতো। বিনয়ের মধ্যে কিছুটা অপরাধ বোধের ছায়া দেখতে পেয়ে আমিও লজ্জিত হলাম।
নভেম্বর ১৯, ২০১১
একটু থেকো একলা ক্ষণের পাশটি ঘেঁষে
রুগ্ন দিনের হলুদ পুঁজের বিকট ক্ষতে
সিরোসিসের কীট মেতে রয় মহোৎসবে
আমার সময় চিতার মতই হিংস্র কালো
তোমার ছোঁয়ায় শুদ্ধ না হোক তপ্ত হবে।
ধান কাটা হয়ে গেছে শেষ―
বিরান ধানের ক্ষেতে
টুথব্রাশের গুচ্ছ গুচ্ছ ব্রিসলের মতো আটকে আছে
কবন্ধ নাড়ার অবশেষ;