পৃথিবীর পথেঃ চীনের দিনলিপি ০৩

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ৩০/১২/২০১১ - ৫:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২৪ নভেম্বর ২০১১

আমাকে টান মারে রাত্রি জাগানো দিন
আমাকে টানে গূঢ় অন্ধকার
আমার ঘুম ভেঙ্গে হঠাৎ খুলে যায়
মধ্য রাত্রির বন্ধ দ্বার...

পুরো সপ্তাহ জুড়ে সারা দিন ধরে টানা কনফারেন্স। দিনশেষে পরের দিনের আলোচনার জন্য হোম ওয়ার্ক। আগের দিনের মতৈক্য ও মতানৈক্যের বিষয়গুলিকে পুনরায় খতিয়ে দেখা। ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশনের প্রাযুক্তিক দিকগুলোর সহজবোধ্য ব্যাখ্যা দাঁড় করানো। ল্যাপটপে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে করতে গিন্নীকে ফোন করে বলা, “ব্যস্ততা আমাকে দেয় না অবসর, তাই বলে ভেবো না আমায় স্বার্থপর”। এসব করতে করতে মনটা বিষিয়ে বিস্ফোরণ্মুখ হয়ে উঠছিল। একটা কিছু ঘটে যাবার আগেই ভাগ্যিস উইক-এন্ড এসে গেল।

বুলেট ট্রেনের টিকেট করবার জন্যে তোমার পাসপোর্ট দিতে হবে। উইক-এন্ডে সাংঝী প্রদেশে মিং ও চিং ডাইনেষ্টির সময়ে গড়ে তোলা পিঙ ইয়াও প্রাচীন শহর দেখতে যাচ্ছি আমরা। সিঝিয়াঝুং থেকে বুলেট ট্রেন ধরে সাংঝী, তারপর সড়ক পথে পিং ইয়াও। ওখানে ইংরেজি জানা গাইড ঠিক করা আছে, আশাকরি ভালো লাগবে তোমার। ব্যাগ-প্যাক গুছিয়ে নিয়ে রেডি হয়ে থেকো, কাল সকাল সাতটা ছেচল্লিশ মিনিটে ট্রেন।

প্রাচীন চীন নিয়ে আমার পড়াশোনা একেবারে শূন্যের কোঠায়। তবু কোন এক প্রাগৈতিহাসিক নগ্ন নির্জন হাত আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। আমাকে শিহরিত করে অপরূপ খিলান ও গম্বুজের বেদনাময় রেখা, নাসারন্ধ্রে ভেসে আসে লুপ্ত নাশপাতির গন্ধ। আমি আনমনা হয়ে যাই, করোটিতে বিস্মৃতির সুরে ফিসফিসিয়ে উঠে ধ্বংসপ্রাপ্ত অতীতের স্বগতোক্তি, স্মরণীয় যুগের মহিমাকে ম্লান করে দেয় বিলুপ্তির কক্ষ ও কক্ষান্তর থেকে ভেসে আসা আয়ুহীন স্তব্ধতা ও বিস্ময়।

সুন্দর তারা ছিল বুঝি কোনদিন,
আজ কুৎসিত কাকতাড়ুয়ার ছবি।
হায়, মালী তোর বাগানের সব ফুল
বিবর্ণ হবে, নষ্ট হবে যে সবি।

২৬ নভেম্বর ২০১১

ছুটে গেছি বিলুপ্তির দিকে...

আধুনিক সভ্যতা ও বিজ্ঞানের অবদান বুলেট ট্রেনে চড়ে আমি ছুটে যাবো অতীতের দিকে, এই বৈপরীত্য আমাকে রোমাঞ্চিত করে। আমাকে নতুন করে শেখায় যে সৌন্দর্য নশ্বর নয়, নিজেকে ছুঁড়ে দাও নীলিমার বুকে, উৎসর্গ করে দাও প্রেমে, অধীর তৃষ্ণায় পান করে নাও সত্ত্বার সারাৎসার। ব্যাক প্যাকে একান্ত আপন ইচ্ছেগুলোকে পুরে নিয়ে আমি বেরিয়ে পড়ি শীতার্ত রাজপথে।

ওয়েটিং রুমে অপেক্ষমাণ নানান কিসিমের মানুষ। কেউ যাচ্ছে কাজে, কেউ বা ফিরে যাচ্ছে আপন গন্তব্যে। যুবতী মাথা পেতে দু’দণ্ডের শ্রান্তি খুঁজে নিচ্ছে যুবার মজবুত কাঁধে। প্রৌঢ় শীতার্ত শরীর গুটিয়ে নিচ্ছেন আপন আস্তিনে। সংবাদপত্রের কলামে অপ্রতুল অবসর মুহূর্তগুলোকে খুন করছেন অফিসের বড়কর্তা। সন্দিগ্ধ চোখে চারপাশে ইতিউতি সার্চ লাইটের মতো চোখ ঘোরাচ্ছে রেলের নাইট গার্ড। এইসব ভিড়ে বসে আছি আমি, হাতে ধরা রেলের টিকেট। ভিড়ে মিশে আমি বসে আছি একা একা।

“চলো, ট্রেন এসে গেছে”। সম্বিৎ ফিরে পাই। আলুথালু নিজেকে গুছিয়ে নিতে নিতে উঠে দাঁড়াই, কিউ ধরে এগিয়ে যাই প্লাটফর্মে। মনে পড়ে, আনন্দের ট্রেনে চড়ি না কতকাল। কতকাল মির্জাগঞ্জ ষ্টেশনের দেউড়ীতে আমার জন্য অপেক্ষা করে না নকশা আঁকা ছইয়ে ছাওয়া দাদু বাড়ীর গরুর গাড়ী। দুখানা সবল বলদের গলায় আদর বুলিয়ে দিতে দিতে ‘দাদাভাই, কেমন আছো’ বলে আমাকে আদর করে না নিন্দালু চাচার স্নেহ মাখা কণ্ঠের ডাক। ডারকামারির ছোট নদী পার হতে হতে ছইয়ের ফাঁক গলে ‘হ হ হট হট চু চু’ আওয়াজ শুনতে পাই না কতদিন। পরিবর্তে আমাকে অক্টোপাসের মতো আটকে ধরে বুলেট ট্রেনের আরামকেদারার সীট বেল্ট। নরম নদীর নারীর কাছ থেকে আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে আমার সন্ত্রস্ত অস্তিত্বকে মানসিক রোলার কোষ্টারের মতো ছুটিয়ে নিয়ে যায় চরম গতির গাড়ী। আমি তলিয়ে যাই অফুরন্ত ঘুমের অতলে।

পৌঁছে গেলাম, বেরিয়ে এলাম কুয়াশায় ঢাকা পিচ ঢালা চত্ত্বরে। সামনে রাজপথ। এখানেও কোন পাখি নেই, এমনকি বিশীর্ণ কাকেরও দেখা মিললো না। শুধু দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের গাইড, যথারীতি ভিজিট প্রোগ্রাম ও পতাকা হাতে। হাসিমুখে যেন শত বসন্তের অজস্র চেরি ফুল ফুটে আছে।

ফুটপাতে হরেক রকম পসরা সাজিয়ে বসে আছে হকার ও ষ্ট্রিটফুডের দোকানদার। কোনরকমে তাদের হাঁকডাক থেকে নিজেকে পিছলে নিয়ে উঠে বসলাম মাইক্রোবাসের সীটে।

কুশল বিনিময় হলো যথারীতি। ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে সদ্য স্নাতক মিঃ হান চমৎকার ইংরেজি বলেন। সবাইকে মাইক্রোবাসের সীটে সুস্থিত করে তবেই তাঁর স্বস্তি। তিনি চড়ে বসলেন ড্রাইভারের পাশের সীটে। তারপর পেশাদার গাইডের ভঙ্গিতে বলতে শুরু করলেন প্রাচীন শহরের ইতিবৃত্ত।

“The Ancient City of Ping Yao is an outstanding example of a Han Chinese city of the Ming and Qing dynasties in the 14th-20th centuries. It has retained all its features to an exceptional degree and, in doing so, provides a remarkably complete picture of cultural, social, economic and religious development during one of the most seminal periods of Chinese history”.

“আরে, তুমি তো চমৎকার ইংরেজি বলো। আগে বলো, কোথায় শিখলে? তারপর বলো তোমার প্রিয় শহরের কথা। এই যে, যে রাজপথ দিয়ে কুয়াশার ফিনফিনে চাদর চিরে আমরা বেরিয়ে যাচ্ছি, দুপাশের ন্যাড়া গাছগুলি আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে সর্বস্ব হারানোর বেদনার কথা, ফিনিক্স পাখির মতো তাদের জেগে উঠার গল্প শোনাও আমাকে। ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ নামুক বসন্ত আমাদের আন্তরিক আলাপে। ঐ যে দূরে দেখা যাচ্ছে ঐ রংধনু সেতু, যার সবটুকু রং চুরি করে নিল শীতের বদ্যিবুড়ি, তুমি শোনাও তার সাতরঙা ঢেউয়ে আনন্দের রোদ লেগে মাতামাতি হবার আসন্ন দিনের কথা। দোহাই তোমার, রাজপথের দু’পাশের সারি সারি পাতা ঝরানিয়া গাছ থেকে ঝরে পরা ম্যাপল লীফ যেন উড়ে এসে আমাকে শূন্যতার শোকসভায় প্রধান অতিথির কণ্টকাসনে বসবার আহ্বান না জানায়”, মনে মনে বলে উঠি আমি।

হঠাৎ বামে মোড় নিয়ে গাড়ীর চাকা থেমে গেল। আমদের চোখের সামনে তখন এক অপূর্ব কারুকার্যখচিত প্রবেশদ্বার। বিমুগ্ধ নয়নে সেটির সৌন্দর্য চোখের মণির ভেতর ধরে রাখতে না রাখতেই এক সুবিশাল চত্ত্বরের সামনে এসে পড়লাম। “পিং ইয়াং কাউন্টিতে যাবার আগে আমরা গাড়ী থামাচ্ছি চীয়াও পরিবারের শান-শওকত দেখবার জন্য। লিউ গুয়াঞ্ঝুং এর সেই ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘দি রোমান্স অব দি থ্রি কিংডমস’-এর কথা নিশ্চয়ই জানা আছে তোমার। ট্রয় পুড়েছিল হেলেনের জন্য, আর যাদের জন্য হল ‘ব্যাটেল অব রেড ক্লিফ’, ওই যে সুন্দরীতমা দুই বোন, দা চিয়াও আর ঝিয়াও চিয়াও, তাদের বাবা চিয়াও ঝুয়ানের বাড়ী থেকে চল ঘুরিয়ে নিয়ে আসি তোমাকে”, কণ্ঠে উৎসাহ ঝিকিয়ে উঠে মিঃ হানের।

দু’পাশে সারি সারি স্যুভেনিরের দোকান। সেই দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে হঠাৎ করে পাঁপড় ভাজবার গন্ধ নাকে আসে। ক্ষুধা চনমনিয়ে উঠে পেটের ভেতর। কাঠের উপর খোদাই করে যাচ্ছে একজন কারিগর আর তার পাশেই দুই পেটওয়ালা সাধের লাউয়ের উপর তুলি দিয়ে চাইনিজ সম্রাটের প্রতিমূর্তি ফুটিয়ে তুলছে একজন ফুটপাতের চিত্রকর। মওকা পেয়ে আমারও যে এক ফাঁকে দোকানি হবার সাধ জাগে।

একটির পর একটি প্রবেশ তোরণ। উপরে কারুকার্যখচিত একাধিক ছাদের সুষম অবয়ব যেন আকাশের ক্যানভাসে যুগপৎ ছড়িয়ে দিচ্ছে আভিজাত্য ও সৌম্যতার বর্ণিল আভা। তোরণ পেরিয়ে আমরা ঢুকে পড়ি নগরীর গলিপথে। একসময় যে পথের পাথুরে মেঝেতে ক্ষুরের আঘাতে আগুনের ফুলকি ছিটিয়ে সওয়ারী ছুটিয়ে নিত তেজস্বী ঘোড়ার দল সেখানেই আমি রাখছি আমার শ্লথ পদচ্ছাপের চিহ্নবিহীন অস্তিত্ব। একাকী গৃহকোণে মায়ের কোল আঁকড়ে ধরা শিশুর বুকে ভীতির ছুরি আমূল বিদ্ধ করে যে হ্রেষা রব ছুটে যেত দুপাশের শ্যাওলা জমা উঁচু দালানের প্রাচীরে ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলতে তুলতে, আজ আমার তন্দ্রাচ্ছন্ন চিন্তার মেঘ তাদের পিছু নিয়েছে। তবু পৃথিবীর রূপ থেকে একদণ্ড, হায়, আমি কি ফেরাতে পেরেছি চোখ?

চোখ থেকে প্রস্তরীভূত সম্রাট ও নক্সা আঁটা প্যান্ডোরার বাক্সের মোহ সরাতে সরাতে আমি এসে পড়ি হাতে আঁকা ছবির জগতে। স্বামীর হাতে আঁকা ছবি সাজিয়ে দোকান খুলে বসেছেন একজন চীনা তরুণী। রসাত্মক কিছু ছবির সাথে সিগমুণ্ড ফ্রয়েডের বিব্রত মুখের বলিরেখা দেখতে পাই আমি।

শিল্পরসিক নই, সেই চীনা তরুণীকে এমনটা ভাবতে দিয়ে আমি এগিয়ে যাই আরো সামনে। সেখানে চতুষ্কোণাকৃতি একটি দেয়ালে শত অক্ষরে লেখা আছে শান্তির বাণী। (চলবে)


মন্তব্য

তাপস শর্মা এর ছবি

কবি ভাই ভ্রমণ বৃত্তান্ত তো খুবই সুন্দর। তার মধ্যে মধ্যে কবিতা গুলি একটা আলাদা রঙ লাগিয়ে দিয়েছে...

এবং খানিকটা চিনা বলতে ইচ্ছে করছে - তবে ' ং '- ' ং' লাগিয়ে বলতে গিয়ে জিভ এবং নাকের হাল খুবই খারাপ খাইছে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ, তাপস দা। ভাবছি, চীনাদের কাছে চীনা ভাষা বলতে কেমন লাগে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

উচ্ছলা এর ছবি

শেষ থেকে ছয় নাম্বার ছবির লোকটা জীবিতকালে অনেক ড্যাশিং ছিল হাসি

আপনার পোস্টটা খুব মিষ্টি হাসি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বোন, তোমার মন্তব্য পড়ার সময় চোখে চশমা ছিল না। পড়লাম,"শেষের ছবির লোকটা জীবিতকালে অনেক ড্যাশিং ছিল"। চাল্লু

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আশালতা এর ছবি

কবির লেখা ভালো লাগলো। মাঝের টুকরো কবিতায় মন ভরছেনা। আগের মত কবিতা দিন না খান কতক।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভুল মানুষের কাছে সে যে এসেছিল একদিন সাততাড়াতাড়ি
মেঠো চাঁদ আর মেঠো তারাদের সাথে
জেগেছিল নির্বোধ সেই জন তবু মাঝরাতে
আপনার বেদনাকে ভালবেসে
কবিতা নিয়েছে আড়ি, ছোঁবে না সে আমার আঙ্গুল
কবি নয়, এ তো ভুল লোক, আজীবন করে গেছে ভুল!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

দিনলিপির ৩ নং পর্বটা একটু দেরিতে আসলো না কী ? ছবি ও বর্নণ ভাল লেগেছে।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কাজের গুহা থেকে বেরুতে পারছি না ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

shafi.m এর ছবি

চলুক

শাফি।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ শাফি।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আয়নামতি এর ছবি

এক চিমটি(৩য় পর্ব) 'চীন ভ্রমণ' পড়ে গেলাম ভাইয়া। লেখা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই!
নতুন বছর আপনিসহ পরিবারের সবার জন্য অনেক শুভ হোক, আনন্দময় হোক।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ বোন। এতদিন কোথায় ছিলে? ভালো ছিলে তো!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

ভালো লাগছে। চলতে থাকুক। আর আপনার নিন্দালু চাচা আপনাকে দাদা ভাই বলতেন? চাচা এবং ভাই? চিন্তিত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আরে আরে তাই তো! নিন্দালু ছিলেন আমাদের গাড়িয়াল। বাবা ও মা তাঁকে 'নিন্দালু চা' ডাকতেন, আমিও!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কাহিনী চলুক ... মাঝে মাঝে কবিতা আসুক হাসি

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ধন্যবাদ, কবি ভাই! বেশ কিছুদিন হলো কবিতা আমার সাথে আড়ি নিয়েছে। সত্যিই বাগদেবী কৃপা করছে না।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তিথীডোর এর ছবি

একটা অপ্রসাঙ্গিক অনুরোধ রাখছি রোমেল ভাইয়া।
ক্লিন্টন বি সিলির 'অনন্য জীবনানন্দ' বইয়ের একটা যৎসামান্য রিভিউ চাই আপনার কাছ থেকে। হাসি
আর আবদুল মান্নান সৈয়দের লেখা 'শুদ্ধতম কবি' কি আজিজে পাওয়া যাবে?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

দেরী করে উত্তর দেবার জন্য মার্জনা চাইছি, বোন। 'অনন্য জীবনানন্দ' আমি পড়িনি। ক্লিন্টন বুথ সীলীর 'আ পোয়েট অ্যাপার্ট' নেড়ে চেড়ে দেখবার সুযোগ হয়েছিল খানিক। তাই এ রিভিউ লেখা আমার কম্মো নয়।
'শুদ্ধতম কবি' আজিজের 'পাঠক সমাবেশে' পেতে পারো।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

তারেক অণু এর ছবি

নিহাও, নিহাও মা !!
চলুক অবিরাম গতিতে ভ্রমণ। বুড়ো দোকানীর ছবিটা মন ছুয়ে গেল।
মেক্সিকো থেকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বেটার লেট দ্যান নেভার, শুভ নববর্ষ!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

বন্দনা এর ছবি

আপনি ও কি অণুদার মত শুরু করলেন নাকি :(।মেলাদিন আপনার কবিতা পা
মেলাদিন আপনার কবিতা পাইনা রোমেলদা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কবিতা নিয়েছে আড়ি...

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।