গত উইকএন্ডে খুব ঘুরে বেড়িয়েছি, তার আগের সপ্তাহে বেশ কিছু কাজ জমিয়ে রেখেছিলাম। ফলে সোমবারে এসে দশ ঘণ্টা খেটে মরতে হলো। এই তিনদিন সংবাদপত্র দেখা হয় নি একেবারেই। আজ ভোরে ঘুম থেকে উঠে আধো জাগরণে ফেসবুকে ঢুকেই একটা ধাক্কা খেলাম। খবরে প্রকাশ, শাহজালাল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল পদত্যাগ করেছেন।
আমার অফিসটা যে গলিতে তার নাম Chemin d’Entre Bois। ফ্রেঞ্চ ভাষায় ক অক্ষর গোমাংস আমি ভেবেছিলাম, চেমিন ডেন্ট্রে বইস। আমার যার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেবার কথা, তাকে পেলাম পরদিন। জিজ্ঞেস করলাম, এই বিদ্ঘুটে নামের মানে কি?
আমরা লেক জেনেভার উত্তর তীরে থাকি। জায়গাটা অর্ধচন্দ্রাকৃতি লেকের ঠিক মাঝামাঝি, পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে অতি বিখ্যাত জেনেভা শহর, পূর্ব প্রান্তে মন্ট্রু (এটা আমার বাঙালি উচ্চারণ, আমার ফ্রেঞ্চ কলিগের উচ্চারণে, MONTREUX = মনথখ্রো)। দক্ষিণ দিক বাদ দিয়ে আমার বাসার তিনদিকে পঞ্চাশ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের সব এলাকা মোটামুটি ঘুরে ফেলেছি, কখনো গ্রীষ্মে, কখনো শীতে। আজকাল আর তাই সহজে মন ভরে না, ইচ্ছে করে দূরে দূরান্তে যেতে।
ঘোরাঘুরি আমরা বেশ ভালো পাই। আমরা বলতে আমি, আমার গিন্নি আর এক বছর বয়েসি কন্যাটি। পৌণে ছয় এর পুত্র ঘুরতে যাবার কথা শুনলেই মুখ গোমরা করে ল্যাচা মেরে বসে পড়তে চায়, ঘুরে ঘুরে পাথর গাছপালা পানি দেখার চাইতে ইউটিউবে কার্টুন দেখা তার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক। বেশিরভাগ দিনে তাকে ধমক দিয়ে কিংবা টেনে হিঁচড়ে বাড়ির বার করতে হয় এবং সেইসব দিনগুলোতে অবধারিত ভাবে কানের কাছে সারাক্ষণ বাজতে
পরীক্ষা নিয়ে আমি প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখি। এটা যে আমার একার সমস্যা তা নয় বোধহয়, আমার জানামতে আরও অনেকেই দেখেন, ছাত্রজীবনের গণ্ডি তারাও বহু আগেই পেরিয়ে এসেছেন। অথচ আমার এরকম হবার কথা নয়। পরীক্ষার ভয়কে জয় করা শিখিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল ও কলেজের সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ, অনেক আগেই। ক্লাস এইটের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবার আগের এগারো সপ্তাহে আমাদেরকে এগারোটি মূল্যায়ন পরীক্ষায
গত কয়েকদিন যাবৎ একটা অদ্ভুত গুজব ভাসছিলো ঢাকা শহর জুড়ে। ঈদের দিন সকাল দশটায় নাকি পাঁচ জনের একটা কমান্ডো দল পিজি হাসপাতাল থেকে গোলাম আযমকে বের করে নিয়ে আসবে, তারপর শাহবাগ ওভারব্রিজের গায়ে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেবে। কোথা থেকে এ গুজবের উৎপত্তি কেউ বলতে পারছে না। কিন্তু ঈদের দিন ভোর বেলায় পিজি হাসপাতালের সামনে কয়েক হাজার লোকের ভীড় দেখে বোঝা গেল, অনেকেই গুজবটা বিশ্বাস করেছে।
শুনেছিলাম সেই সে কবে, রাষ্ট্র নাকি লড়বে,
আঙ্গুলেতে জয় দেখানো কাদের বোধহয় মরবে
কদিন ব্যাপক উথাল পাথাল সবই এখন ঠান্ডা।
আম জনতার মাথায় কেবল সদাই পিটছে ডান্ডা।।
পুরাতন দুষ্টচক্র, নতুন দুর্ঘটনা। ধ্বসে গিয়েছে আরও একটি বহুতল ভবন, কেড়ে নিয়েছে শ’য়ে শ’য়ে তাজা প্রাণ। আবারও ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠেছে কিছু জানোয়ার, নিজের মুর্খামি আর লোভের জন্য মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে অসহায় শ্রমিকদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার এবং দলের ‘দোষ’ আড়াল করবার হাস্যকর চেষ্টায় যতখানি ব্যস্ত, উদ্ধারকাজে এবং দুর্গতদের চিকিৎসায় রাষ্ট্রযন্ত্রের ততখানিই অবহেলা। আব
ক