বারো থেকেই বর্ষার সাথে প্রেম।
ভালোবেসে আদিগন্ত যা ঝরে পড়ে,
তাতে রোদের লুকোচুরিতে মায়ার
হাত ধরে শুষে নেই রামধনু রং;
জয়া তখন গ্যাছে কচুপাতা যোগাড়ে,
তার থেকে যতটুকু ঝরে পড়ে জল,
তাই বুকে ধরে রাখি, যদি সত্যিই
কোনদিন নদে আসে বান। আর
গোল হয়ে চেঁচাই, রোদবৃষ্টি হলে
খেকশিয়ালের বিয়ে যেন হয়, সেই
বিয়ে আজও হয় নাই; যদিও পুরোটা
বর্ষাই আত্মসাত করেছে শেয়ালের দল !
১
ব্যপারটা অনেকটা হাডুডু খেলার মত। লম্বা দম নিয়ে শত্রুর ডেরায় ঢুকে পড়ো তারপর চালাও দাবড়ানি। যে কয়টাকে পারা যায় ঘায়েল করো। কিন্তু দম যাওয়ার আগেই ফিরে আসতে হবে নিজের লোকদের মধ্যে। ধরা খেলে কাম সাবাড়।
রানু কোনোদিন হাডুডু খেলে নাই। হাডুডু ছেলেদের খেলা দেখে না, খেলাধুলা করার মত অবসরই কোনদিন পায় নাই। হাত - পা শক্ত হওয়ার পর থেকেই মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করতো। শেষ যে বাড়িতে ও কাজ করতো ...
পোষ মানা কিছু কথা আছে
যাদের ডানা নেই
যারা ঘরেই থাকে সারাদিন
আর হাততালি দেয়
যখন যেভাবে মন চায়
পিছু ছাড়ে না কিছুতেই
যখন বাইরে যাই
কথারা কীভাবে যেন
কানের কাছে কারো
শেখানো বুলি আউড়ায়-
নামীদামি কথানাশক দিয়ে বহুবার চেষ্টা করে দেখেছি
কাজ হয়নি, নিরুদ্দেশে গেলেও
দুঁদে গোয়েন্দার মতো মুহূর্তেই
তারা হাজির হয়েছে অজ্ঞাতবাসে-
অতঃপর ঘরের তালাও বদলেছি ইচ্ছামতো
তবু তারা ঘরে ঢোকে, ধূলো ...
দ্বিতীয় পর্ব.
………..
জালাল সাবের মাথাটা পুরা আউলা। বাঁহাত দিয়ে পাঞ্জাবীটা টেনে সামনে আনার চেষ্টা করছে। ধবধবে পাঞ্জাবী। কোরা মারা। ফজলু ঘুরংকলটা ছেড়ে দিয়ে বলল, হালাগো আশফাশ নাই। একদম ইজ্জতের উপ্রে হামলা।
জালাল সাব ঘাড়টা ঘুরিয়ে খুব বেশি দেখতে পেল না। আবছা ছোপ ছোপ দাগ লেগেছে। গা ...
ফুটোস্কোপিক হচ্ছে ফুটোস্কোপ দিয়ে দেখা গল্প। সামান্যই দেখা যায়।
...
কাঁচাপাকা ভুরুজোড়ার নিচে কটমট দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে বাঘের চোখ। রানার হাতের তালু ঘামতে শুরু করে।
"এসব কী ছাঁইপাশ লিখেছো?" রেজিগনেশনের দরখাস্তটা যেন একটা ঘিনঘিনে বস্তু, এমন ভঙ্গিতে হাতে না ছুঁয়ে একটা স্কেল দিয়ে সামনে ঠেলে দেন মেজর জেনারেল [অব:] রাহাত খান।
রানা কেশে গলা সাফ করতে চায়। "মানে ... স্যার ... আমি আসলে ...।"
...
খাঁচাটা খোলা আজ
পাখি থাকত চেয়েছিলো বারবার ঐ বদ্ধ অলিন্দে
কিন্তু শুনেনি ঘাতক
মহামান্য
আপনি এত নির্মম কেন, এত কঠোর কেন??
পাখিটা তো চিরকাল থাকতে চায়নি
শুধু কয়েকটা দিনের আকুতি
তার যে কিছু কাজ বাকি পড়ে আছে
অলকের পাওনা টাকাটা দেয়া হয়নি
পাশের বুনো ফুল তার গন্ধ নেয়া বাকি
আর চারুলতা অপেক্ষা করে আছে সবচেয়ে সুন্দরতম কথাটা শোনার জন্য
কিছুই হলোনা, শুধু বাকির খাতাটা পরিপূর্ন;
কি হতো আর দ ...
বর্ষার বইমেলার প্রথম এবং একমাত্র শুক্রবার ছিলো আজকে। ছুটির দিন। ধরেই নিয়েছিলাম ব্যাপক ভীড় হবে। বিকিকিনিও হবে ব্যাপক।
কিন্তু হায়, এ তো দেখি ঢিলি ময়দান খালি অবস্থা! অন্যান্য দিনের তুলনায় লোকজন কম আজকে। অন্যান্য দিনে মাইকের অত্যাচারে কান ঝালাপালা হয়ে যায়, কালকেই কর্তৃপক্ষরে কানপড়া দিয়ে আসছিলাম, আজ দেখি একেবারে মোলায়েম সুরে বাজতেছে মাইক। আহ্ শান্তি।
আজকে সচলদের উপ ...
(প্রায় দেড় বছর আগে যখন এই লেখাটা লিখি তখন সাইফুর রহমান জীবিত ছিলেন। আজ তিনি নেই কিন্তু তার ভালো-মন্দ সব কাজগুলো আমাদের মাঝে রেখে গেছেন। তার আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি। RIP সাইফুর রহমান!)
এই লেখাটা অতি চিন্তাশীল এবং সিরিয়াস পাঠকদের জন্যে নয়। পড়তে চাইলে নিজ দায়িত্বে পড়বেন
- অনন্ত আত্মা
আমাদের বাঙালীদের জীবনে ধার এর গুরুত্ব অপরিসীম। ধানমন্ডি থেকে সুদূর ধ্যাধধ্যারে গোবিন্দপুর, যেখানেই যান ধারের ধার থেকে আপনি নিরাপদ নন।
আমাদের মহল্লার সফেন ভাই ছিল একজন বিশিষ্ট ধাররাজ। আড়ালে আমরা তাকে ধার সসপেন বলতাম। আমার বন্ধু কমল কোন এক কুক্ষণে তাকে তিন’শ টাকা ধার দিয়েছিল। টাকা নেয়ার সময় সফেন ভাই বলেছিল –
- কমল চিন্তা করো না, সামনের সপ্তাহেই দিয়ে দেবো।
তারপর ...
কবিতা তো রাহেলা
সে পাখি, ফুল, নদী, বৃক্ষ, সবুজ যার যা খুশি
তার হাতের ছোঁয়ায় ভোরে জেগেওঠা।
সে যদি বলে, তবেই না ভোর হতে পারে
সে যদি চায়, তখনই সন্ধে নামে।
এখনও বষ্টি নামে রাহেলার চোখ ছুঁতে,
পাখিরা বাসা ছাড়ে রাহেলার বিশ্বাসে।
রাহেলার জানালায় ছিলো বাতাসের হাহামাগুড়ি-
রাহেলার শিউলি তলায় ছিলো-
শাদা জোছনার জড়োয়া আঁচল।
কবিতা তো রাহেলা!
এই যে নদীরা শুকিয়ে গেল-
রাহেলাকে ভালো না বাসার ...