মানুষের উপকার করতে আমার খুব ভালো লাগে। আমি সবসময় চাই মানুষের উপকার করতে, ছোটবেলায় পড়া রচনাগুলোর মত উপকারি প্রাণি হতে। কিন্তু কেউ বিপদে না পড়লে উপকার কেমনে করুম? তাই আমি তক্কে তক্কে থাকি কখন কেউ বিপদে পড়বে আর আমি উপকার করমু। দরকার পড়লে আমিই বিপদে ফালামু, তারপরে সাহায্য করুম। কিন্তু উপকার আমারে করতেই হইবো।
তখন মনে হয় ক্লাস ওয়ান এ পড়ি। উপকারের প্রবল নেশা। এটাই স্বাভাবিক। যারা বড় ...
যুদ্ধ কি শুধু বন্দুক হাতে, যুদ্ধ কি শুধু ফ্রন্টে?
যুদ্ধ হয়েছে দেশ থেকে দূরে, গানে-গর্জনে কণ্ঠে
যুদ্ধ হয়েছে যুদ্ধশেষের সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ চেয়ে
সেই যুদ্ধকে শুনি, দেখি ম্যাডিসন গার্ডেনে মঞ্চে
লক্ষ মানুষ হারিয়েছে প্রাণ, কোটি লোক শরণার্থী
হ্যারিসন হাতে তুলেছে গিটার শুনে আমাদের আর্তি
টিকিটের টাকা যোগাতে কি পারে কোটি মানুষের অন্ন?
নিউ ইয়র্কে জমেছে মানুষ বাংলাদেশের জন্য
রবি শঙ্ ...
প্রেমের কবিতা
লন অটো
মেয়েটির জন্য তিনি একটা কবিতা লিখেন। ভালোবাসা দিবসের প্রেমের কবিতা। তার মনের আকুতি কবিতার ভাষার একদম ঠিকঠাক ফুটেছে। কাব্যগুণ আর রূপক ব্যবহারে দুর্বোধ্য হয়ে যায় নি। তিনি কবিতাটি বারবার আবৃত্তি করলেন। এতো ভালো মানের কবিতা আগে কখনো লিখতে পারেননি। তাই খুব আনন্দ হলো।
রাতে মেয়েটার ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবেন। হাতে পাওয়ার সাথে সাথে খুলে দেখবে। কবিতার সৌকর্যে মুগ ...
আজকেও যেতে যেতে দেরি হয়ে গেলো। মরার কাজ আর শেষ হয় না। ততক্ষণে মেলা জমে গেছে। সচলদেরও অনেকেই জমায়েত। মূল দরজা পর্যন্ত যেতেই দেখা পলাশ রঞ্জন স্যানাল আর মনামীর সঙ্গে। ওপাশে ছিলেন অনিন্দ্য রহমান, পরিচয় হলো। আমার ধারণা ছিলো মনামী বিদেশে থাকে, এখন দেখি লোকাল।
নিবিড় আর সুহান রিজওয়ান আগে থেকেই ছিলো। ছিলো জুয়েরিযাহ মউ [বানান ভুল হইলে আমি দায়ী না]। ব্যাস, মেলায় আর ঢুকতেই পারলা ...
কত কিছুই ঘটে, হাত না-পেতে সমভাবে
জেনে রেখো চুপচাপ, নিঃশব্দ জলফুল ফুটে
নিরূপায় বললে নির্ভরতা কমে
দ্বিমত করো না-দ্বিধা
শর্তহীন লোভে পুড়ে
তারপরও বলবো কেন যে কোনো খবর রাখো না-মনের
অনায়াসে আদর-চুম্বনসহ নিলাজ দাঁতের বিস্তার
দয়া করো ক্লান্ত দেহ থেকে উড়ে যাক বেদনাভার
মাঝে মাঝে মাথায় একটা লাইন ঘুরতে থাকে, মনে হয় সেই লাইনটাকে আরো কয়েকটা লাইনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে একটা কবিতা গোছের কিছু না দাঁড়া করালে আরে চলছেই না। এইভাবে অনেক কিছুই লেখা হয়েছে যা মাঝে মাঝে অন্য কাউকে দেখাতে ইচছা করে, কিন্তু সাহস তো পাইনা। তাই ভাবলাম এক কাজ করি, আমার প্রিয় একটা ইংরেজি কবিতার অনুবাদটা সবার সামনে প্রকাশ করি। তারপর না হয় অবস্থা বুঝে নিজের মৌলিক লেখাগুলোও একসময় দেও ...
দেখা হয়েছিলো তোমাতে আমাতে, মনে পড়ে, কোন শরতে?
আমায় কিন্তু সেই দেখা-দেখি দাগ কাটে প্রতি পরতে।
জীবন বহিয়া চলে,
অসীম কালের তলে।
হয়তো অনেক বাকি রয়ে গেছে, যা চেয়েছো তুমি আমাতে।
জেনেছিগো আমি কোনও কোনও অপ্রাপ্তি পারেনি তোমাকে থামাতে
আমায় চাওয়ার তরে।
অনেক বছর পরে
আজও ঘুরে ঘুরে শরৎ আসে যে, কিন্তু কি তুমি জানো?
প্রথম শারদ আবেশ এ প্রাণে তুমি শুধু বয়ে আনো।
জলপাই জড়ানো তোমার হাতে যখন
গর্জে ওঠে রাইফেল আর
মূর্ছা যায় সারি সারি সিঁদুর...
তহন কি তুমি আর মোগো গাঁর রহিমুদ্দী থাহো?
তহন কি ঝাঁক ঝাঁক বেহেশতি কৈতর
দরাজ ভাইটালি টানে ধরফর করতি করতি
বানের পানির লাহান আসমান ছিঁড়া নাইমা আসে
তুমার তালুতি বাপ?
অথবা যখন তুমি
সাহেবের বেশে হাজার তলার চিমনিতে বসে
কলমের তুচ্ছ খোঁচায়
পাজরের অলিতে গলিতে চালিয়ে দাও বুলডোজার
তহন, দাতাল শুয়ারের গপ্পো কব ...
জীবনে কোন না কোন সময় সব মানুষই নাকি একবার হলেও কবি হয়। আমিও হয়েছিলাম। কাঁচাহাতে লেখা কৈশরের দুর্বল কবিতা, কিন্তু তাতেই আমার জীবন ঝালাপালা। নব্বুই-একানব্বুইয়ের দিককার ঘটনা। আমি সবে মাত্র মাধ্যমিকের পাট চুকিয়েছি। মফস্বল শহরে বন্ধুত্বের বৃত্তে চলছে জীবন। বন্ধুদের কেউ নব্য বিপ্লবী --- বামপন্থায় দীক্ষা নিচ্ছে। কেউ বা নব্য কবি --- কাব্য সাধনায় ব্যস্ত। এদের মাঝে বেমানান আমি ক্রীড়াম ...
ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ
আবু রেজা
কবি রবীন্দ্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রনাথ ঠাকুর ঢাকায় এসেছিলেন দুইবার। প্রথম বার ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগ দিতে; দ্বিতীয়বার এসেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ঢাকাবাসীদের আমন্ত্রণে।
এক.
১৮৯৮ সাল (বাংলা ১৩০৫)। ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন। সে বছরই ২১ মে (৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৩০৫, শনিবার) ভারতীয় ত্রাণ সমিতি (ইন্ডিয়ান রিলিফ সোসাই ...