আর কতো? কবে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার?

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: শনি, ২০/০২/২০১০ - ২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:



দেশ ছেড়েছি অনেকদিন। প্রথম একবছর অনলাইনে পত্রিকা পড়তাম, দেশের খবরাখবর জানার চেষ্টা করতাম। এখন ছেড়ে দিয়েছি; কালেভদ্রে টোকা দেয়া হয়। অঘটন, দুঃসহ সংবাদগুলো মনকে শুধু বিমর্ষ করে না; শরীরের উপর-ও প্রভাব ফেলে।

শুরু হয়েছে নাম পাল্টানোর খেলা। টাকার উপর বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপানো। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টানো। হেনতেন। জনগণের টাকা নিয়ে এরা যে হাঁসের মতো নির্লজ্জভাবে স্নানখেলা করে যাচ্ছে তা কি এরা জানে না?
বাঙলাদেশের সরকারের ধারা তো এরকম- বিএনপি, আওয়ামী, বিএনপি, আওয়ামী। সে ধারা চলতে থাকলে পরের বার এসে বিএনপি আরো দ্বিগুণ করবে। মানে জনগণের টাকায় নিজেদের নষ্টামির প্রদর্শনী।

অথচ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া স্থমিত হয়ে আছে। নিজ পিতৃহত্যার বিচার কাজ করিয়েছেন যিনি তার কাছে কি ত্রিশ লাখ শহীদের পিতা-মাতা-সাথী-আত্মীয় এদের মানুষ মনে হয় না?
জ্বি, দেশপ্রধান, আপনার কাছে বিচার ও মানুষ্যত্বের সংজ্ঞা কি?

মন্ট্রিয়াল গেজেটে রাজনৈতিক রম্য লিখেন কলামিস্ট জশ ফ্রেড। ক্যুবেকের ভাষা-রাজনীতিকে তিনি বলেছিলেন পলিটিক্যাল পর্নোগ্রাফি! বাঙলাদেশের জন্য এসব যেন রাজনৈতিক বেশ্যাপনা!


আমি যে প্রদেশ থাকি যেখানে রাস্তাঘাট, সরকারী বেসরকারী ব্যবস্থাপনা, নির্মাণের নামকরণ করা হয় বীর, সন্ন্যাসী বা জাতীয় কাজে অবদান রাখা ব্যক্তিদের নামে। সে নামকরণে উঠে আসে হয়ত ইস্কুল অবকাঠামোয় অবদান রাখা ব্যক্তির আন্তরিকতা কিংবা বড় পরিসরে কানাডার প্রথম ইউরোপিয়ানের নাম। এখানে হীনমনতা চলে না, বরং জাতি হিসেবে মহাত্মটুকু প্রকাশ পায়।
বাঙলাদেশে এরকম কিছু চালু করা যেতে পারে। ভূতের গলি, মগচিপা ইত্যাদি নাম না রেখে মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় ব্যক্তিদের নামে নামকরণ করা যেতে পারে। নামকরণ কমিশন বা একাদেমি গঠন করা যেতে পারে বাঙলা একাদেমির মতো করে।
কিছু কিছু মৌলিক নীতিমালা হতে পারে এমন:
* একজনের নামে পাঁচটির অধিক স্থাপনা বা নির্মাণের নাম রাখা যাবে না।
* ভোটাভুটির মাধ্যমে হতে পারে। দলীয়করণ করা যাবে না।
* স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ক্রমান্বয়ে জাতীয় পর্যায়ে (বা বিপরীতমুখী) নামকরণ হবে। যেমন ধরুন- বসুরহাটে থানারোডের নাম হতে পারে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক সড়ক তেমনি ঢাকার ভূতের গলির নাম হতে পারে কুদরত-ই-খুদা সড়ক (উদাহরণ স্বরূপ)।
এরকম আরো নীতিমালা সংযোজন করা যেতে।


প্রায় মনে হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ ঢিলেতালে শুরু হবে নির্বাচনের আগে আগে। আরো একবার হয়তো স্লোগান শুনব যে 'বিচার প্রক্রিয়া তো শুরু হলো, শেষ করার জন্য আমাদের ভোট দিয়ে জয়মুক্ত করুন।'
"সবকিছু নষ্টাদের হাতে" যেতে দিতে দিতে আমরাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছি!


আমার একটা ক্ষোভ আছে। সবার প্রতি। সেটা ড্রয়িং রুমে চায়ের কাঁপে ঝড়তোলা ভীতু বাঙালি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রতি। সবাই শুদ্ধ রাজনীতির স্লোগান দেয়; কিন্তু বছর শেষে নৌকা-ধানের শীষে সিল মারে! সেলুকাস।
কেউ কি এগিয়ে এসে একটি ভালো দল গঠন করতে পারে না? কয়জন লাগে? পাহাড়ের বিশালতা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেয়; সব মানুষ পাশাপাশি কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ালে পাহাড় কাদা হয়ে যায়; ঢের উদাহরণ আছে ইতিহাসে।


রাজনীতি বিষয়ক লেখা লিখতে গেলে নিজেকে নিজে করুণা করি। একটি ব্লগ পড়ে জানলাম জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টাতে অর্ধশত কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। কতগুলো মানুষের কর্মসংস্থান হয় অর্ধশত কোটি টাকায়? কতজন মানুষ দু'বেলা খেতে পারে?
কেউ জবাব দিবে না। জানি। আর সে কারণে নিরবতাই শ্রেষ্ঠ মনে হয়; যদি-ও ক্ষেত্রবিশেষে সেটা ভণ্ডামির চূড়ান্ত।


কোন দেশের মানুষ? বাঙলাদেশের। অনেকে নামই শুনে নি! কত কষ্টে বোঝাতে হয়। একবার এ্যাম্বেসীতে গিয়ে বাঙলাদেশ বিষয়ক কোন গ্রন্থ আছে কিনা জানতে চাইলে কর্তা আমাকে বললেন, 'কোন শাসনামলের? '৯৬? নাকি ২০০০?

কী আর করা। মন্ট্রিয়ালে 'মহারাজা' বলে একটা প্রসিদ্ধ রেস্তোরা আছে। বাঙালি-ভারতীয় মিশিয়ে। নাম বললে অনেকে চেনে। সেটা দিয়ে অনেক সময় কাজ সারতে হয়!
'অই যে মহারাজার খাবার যে ঘরনার। মালিক আমাদের দেশের লোকই।'
'হ্যাঁ, খাবার অনেক সুস্বাদু। তবে ঝাল আছে; আমার অবশ্য ঝাল ভালো লাগে।'

কিছু নোংরা বাঙালি আছে যারা বিক্রির আশায় সাইনবোর্ড লাগায় 'ইন্ডিয়ান কুজিন।'
আমার তো ইচ্ছে জাগে এইসব সাইনবোর্ডের নাম আগে পাল্টিয়ে ফেলতে।
"তাদের জন্ম পরিচয় ন জানি।"


সবকিছু দেখে মনে হয় সরকার একটার পর একটা উসিলায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্যে দেরী করছে। আর কতো? কবে হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার?
শুনলাম ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে। সেটা-ও হচ্ছে না; আওয়াজ পাচ্ছি না কোন। কেন যেন মনে হচ্ছে সরকারের উচিত আগে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ফলে বেজন্মা কুত্তাগুলোর মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হবে; বিচারের কাজটা সহজ হবে।

=========================================

অন্দরমহল। বিকালের পাকা পাকা সূর্যের আলো এক আধটুকু চুয়ে আসছে জানালা দিয়ে। বিলাসী খাটের উপর বসে চুল পরিচর্যা করছেন দেখ বাঁছিনা। পাশে সরঞ্জাম নিয়ে দাঁড়িয়ে সেক্রেটারী কাম আধুনিক দাসীবৃন্দ।
'আজকাল ভয় করে।'
'সেকি খালা! আপনার ভয় করলে দেশের হইবে কী?'
'ছখিনা, কথাবার্তা সুন্দর করে বলো। এরকম আনইস্মার্ট ঢঙ্গে কথা বলবে না।'
'তা কইলেন না যে ক্যান ভয় লাগে?'
'স্বপ্ন দেখি, দুঃস্বপ্ন।'
'কিসের?'
'সেদিন দেখলাম বাথরুমে বদনা নিতে গিয়ে পড়ে মারা গেছি।'
'হায় হায়। আজই শাহজালালের মাজারে চল্লিশা দেন। আর আমাগো গেরামের সন্দেশ আলি খানাতুল্লাহ একবার ফরিয়াদ করেছিলেন যে স্বপ্নে দেখা জিনিসের নাম পাল্টায়ে ফেললে আজাব কেটে যায়।'
'কীরকম?' বয়েসী চুল তেল পেয়ে যেমন হালকা চকচক করে উঠে তেমনি তার চোখ দু'টো-ও।
'যেমন ধরেন কামরুল নামের কেউ আপনারে স্বপ্নে মেরে ফেলল তখন মুরগী-সিন্নি দিয়ে তার নাম ফাকরুল করে ফেললে দোষ কেটে যাবে।'
'তুই কি নিশ্চিত।'
'হ, খালাম্মা।'
'ঠিকাছে। বলেছিলাম না আমারে খালাম্মা না ডাকতে! আর শুন, কিসের নাম পাল্টামু। বদনার? হ্যাঁরে, বদনা নামটাতে কেমন যেন একটা মদনা মদনা ভাব আছে; আজিজের কুবি দলরে খবর দে- একটা রাজকীয় নাম ঠিক করে দেক।'
'খালাম্মা, আমার মনে লয় যে বাথরুমের নাম পাল্টাতে হবে। ওটার নাম গুপালগঞ্জ শৌচাগার রেখে দেন।'
'চুপ কর বেয়াদব।'
'চেতেন ক্যান। আর শুনেন, এমন-ও হইতারে যে আজাবটা অন্যখান দিয়া আসলো। আপনি তো প্রায় জনগণের খেদমতের জন্য বিদেশ যান। বিমানবন্দরে না জানি কী হয়।'
'কি বলতে চাস্।'
'অইটার নাম পাল্টায়ে ফেলেন।'
'ভালো কথা বলছস। কার নামে রাখা যায়। জয়ের নামে কিছু না। পোলাটা বিদেশে বিদেশে থাকে, মানুষজন স্মরণে আনে না। তাছাড়া, শুধু ি আর া পেলে দিলে হবে, সাইনবোর্ডের খরচ বাঁচবে।'
'কী যে কন। শুনেন। মাওলানা কারো নামে রাখেন। মাইনষের সহানুভূতি পাবেন; এছাড়া খোদারহমতে সিন্নি কম দিলে-ও মাইন্ডাব না।'
'ঠিক ঠিক।'

'বানু, মনটা খারাপ।'
'ক্যান আপা?'
'সবার নামে তো সবকিছু হইল। আমার নামে তো কিছু নাই।'
'কিছু করেন। আপনার তো বিশাল ক্ষমতা। আপা, এককাজ করেন; আপনে তো নানা ইস্টাইলের শাড়ি, শাল পরেন; এগুলার নাম 'দেখ বাঁচিনা' রাখেন। পাবলিক তো ল্যাংটা থাকব না, আর পরতে গেলেই আপনারে মনে করব।'
'হ, ঠিক ঠিক।' তবজি পড়ার মতো বলতে লাগল দেখ বাঁছিনা। 'তবে, পুরুষরা তো শাড়ি পরব না।'
'ইয়ে ..বলতে লজ্জা লাগে; রাজা ফোটকা (?) প্যাকেটের নাম পাল্টায়ে দিতারেন।'


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গরাদ বসানো দেখালো টিভিতে আজ। এজলাস বসানোও শেষ হবে মার্চের মধ্যে। কিছুটা ভালই লাগলো দেখতে...

হয়তো শুরুও হবে। কিন্তু আর মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হবে বলে বিশ্বাস হয় না।
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এমনিতে বিমান সংস্থার তেরো অবস্থা। তারপর এসব ছেলেমানুষি কাজ নাক্কারজনক। বিমানবন্দরের নাম তো শুধু দেশে পাল্টালে হবে; পৃথিবীর অনেকখানেই হবে। অথচ এসবের ভিড়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য হবে ঢিলেতালে।
শেষ করার ইচ্ছে এদের নেই; এটা নিয়ে আরো রাজনীতি করবে। শেষ করার ইচ্ছে থাকলে এক শাসনামলেই করা যায়। সব তো তৈয়ার আছে।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হাসিব এর ছবি

বাঙলাদেশ -> বাংলাদেশ ।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমি বাঙালি লেখার মতো বাঙলাদেশ লিখি। এছাড়া ভাষিক কিছু কারণ ও ভাললাগার কারণে বাঙলাদেশ লিখি। হাসিব ভাই, আগ্রহী হলে এই পোস্টএই পোস্টের মন্তব্যগুলো পড়ে দেখতে পারেন।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হাসিব এর ছবি

আমি ঐ পোস্ট ও মন্তব্যগুলো পড়েছি আগেই । তবুও বলি যে সংবিধান যে বানান ঠিক করে দিয়েছে সেভাবেই দেশের নাম লেখা উচিত । দেশের নাম বাংলাদেশ আর বাংলা-কে বাঙলা বা বাঙ্গালিকে বাঙালি লেখার মধ্যে পার্থক্য আছে বলেই মনে করছি । দেশের নামটা একটা নির্ধারিত সত্য ।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সেক্ষেত্রে বড় অভিযোগ করা যায় বাঙলা একাদেমির বিরুদ্ধে। কারণ, তাদের স্বীকৃতিমতে দু'টো বানানই শুদ্ধ; তাছাড়া আমি একা নই- অনেকে লিখেন।
সংবিধান মাত্রই পরিবর্তনশীল। সংবিধানের বিসমিল্লাহ্ না মেনে আমার ধর্মনিরপেক্ষতায় আগ্রহ বেশি।
ধন্যবাদ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বাংলা আর বাংলাদেশ কিন্তু বিভিন্ন পরিবর্তনের মাঝ দিয়েই এসেছে। যতদূর জানি, হুমায়ুন আজাদ এটি প্রথম ব্যবহার করেন (যদি-ও প্রাচীন বাঙলায় বঙ্গ বা বাঙালা হিসেবে ব্যবহার ছিল)। তিনি করেছিলেন বাঙলা ভাষাকে স্ট্যান্ডাইজেশনের কারণে; আধুনিক ভাষারীতি অনুসারে বাঙলাদেশ বানানটা কোমল ও মানানসই।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কি ধরণের কোমল বুঝি নাই। ১০ জন লেখক লিখলেই দেশের নাম পাল্টাতে হবে নাকি? কি যুক্তি দেন!!!

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ং এবং ঙ এর উচ্চারণগত কোমলতার কারণ তো অই পোস্টেই বলেছিলাম!
এই লেখকরাই ভাষার কাজ করেন, ভাষাবিদরাই; রাজনীতিবিদরা শুধু আমের ছ্যালা নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
লেখকের কথাটা উদাহরণ- যুক্তি নয়।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আবারো জানালাম বাংলাদেশকে বাঙলাদেশ লেখা হলে আমার কাছে ব্যাপারটা রিডিকুলাস লাগে। বাংলা একাডেমীর (একাদেমি বা আকাদমি লিখলে সেটাও রিডিকুলাস কারণ বাংলা একাডেমী নিজের বানান এভাবেই লেখে ) প্রমিত বানান রীতির 'ঙ' ব্যবহারের নিয়ম আপনি মনে হয় পড়ে দেখছেন না।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমাদের মাঝে সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে সংস্কারের ভয়; পরিবর্তনের ভয়। সেকারণে এতদিনে-ও ভাষাটাকে স্ট্যান্ডাইজেশন করা যায় নি; শহীদুল্লাহ থেকে শুরু করে আজাদ পর্যন্ত অনেকে চেষ্টা করেছে- কিন্তু এখানে কলমের চেয়ে কথায় আর ক্ষমতা আকৃষ্টতা বেশি।
বানান রীতিটা প্রমিত- অনেক কাজ শেষ হয় নি; অনেককিছু নিয়ে বির্তকের উপায় আছে।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপ্নেরে বুঝানো আমার ক্ষেমতার বাইরে ...

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

তবে আশা রাখি, কোন একদিন আপনাদের বোঝানোর ক্ষমতা আমার হবে। হাসি ভালো থাকবেন, শুভাশীষ ভাই।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এনার্কি তো আমি করছি না। আপনি না জেনেই দেশের নাম কি অদ্ভুত কোমলতার দোহাই দিয়ে পাল্টে দিবেন এটা মানা যায় না। আগে বোঝান তারপর ব্যবহার করেন।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমি পাল্টাছি? হা হা, আমি শুধু যুক্তি অনুসরণ করছি; ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিকায়নে আগ্রহী। ভাষা ও দেশ পরষ্পরের পাহারাদার।
আমার বোঝানোর উপকরণগুলো এখন হাতের কাছে নেই; থাকলে অনেক আগেই পোস্ট দিতাম, সব পোস্টে এই বিষয় নিয়ে ক্যাঁচালে যেতাম না।
বোঝাতে না পারলে ব্যবহার করা যাবে না- এটা যুক্তি নয়। আপনি আপনার মতো ব্যবহার করেন না, আমি আমার মতো। একদিন হয়তো ব্যাটে-বলে লেগে যাবে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে লিখতে গিয়ে বানান-অপরাধী বনে গেলাম!
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাংলাদেশকে ঙ দিয়ে লিখলে কেবল আমার আর হাসিব ভাইয়ের সমস্যা হচ্ছে। উনি এই পোস্টে জানিয়েছেন। আমি তিনটা পোস্টে জানিয়েছি। এটা ক্যাঁচাল মনে হলে কি করার আছে। আমি এখানে অফ গেলাম। এত সচল হাচল টুকুনচল অচলের মধ্যে কেবল ২ জনের প্রতিবাদ শোনা গেল। অন্যদের মনে হয় সমস্যা নাই।

যাউগ্‌গা।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এরকম দায়সারা মনোবল মানায় না আপনার ক্ষেত্রে। তারচে' বরং আরেকটা আইন বানান যে বাঙলাদেশ লেখা যাবে না; বাঙলা একাডেমী প্রণীত সকল অভিধান পুড়িয়ে ফেলা হবে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

'প্রতিবাদ'টা আমার বিরুদ্ধে না করে অন্যদের বিরুদ্ধে করেন আগে। সেটাই উচিত। আমি ক্ষুদ্র একজন।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সাবিহ ওমর এর ছবি

অফ-টপিকঃ বানানের কথায় মনে হল আপনি কোলকাতার কবি হলে আপনার নাম ছাপা হত আস্রাফ মামুদ হাহাহা

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হা হা। মনে হয় না। আর সেক্ষেত্রে আমার কোন ক্ষয় হতো না।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আমারও হচ্ছে। আমি আপাতত বাংলা একাডেমীর অভিধানের চেয়ে সংবিধানকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি। আগে ওরা (বা.এ.) নিজেদের বানানরীতি মেনে নিজেদের সংস্থার নামের বানান 'অ্যাকাডেমি' করুক।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হা হা, সর্বাঙ্গে ব্যথা, ডাক্তার-ও রোগাক্রান্ত। কে কারে কোন জায়গায় মলম লাগাবে বলেন। প্রয়োজন একটি পুরোমাত্রার শুদ্ধি অভিযান।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

কোনো অভিযোগ করছি না - জাস্ট কিছু অফটপিক মন্তব্য: চোখ টিপি
অফটপিক: গুগুলে বাঙলাদেশ লিখলে হিট ১০,০০০-এর উপর, একেবারেই আশরাফ সাহেবের মনগড়া বানান না দেঁতো হাসি
কমপ্লিট অফটপিক: dacca লিখলেও প্রায় ১৫০,০০০ হিট পাওয়া যায় খাইছে

অতিথি [অতিথি] এর ছবি

বাংলাদেশ দিয়ে সার্চ দিলে ৩১ লক্ষ হিট আসে। তাতে কী?

আস্রাফ সাহেব সামু ব্লগে বাঙলাদেশ নামে কবিতা পর্যন্ত লিখছেন -এটা নিয়া তর্ক করলে উনার পাতায় হাজার হলেও মন্তব্য তো বাড়ে। হিট বাড়ে আর কি ভাই।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হে হে। সামু ব্লগে কবিতায় প্লাস মেরে যাওয়া, আর এখানে চিপায় পেয়ে কথা শুনিয়ে যাওয়া এরকম লোক মেলা দেখছি জীবনে।
আর আমি হিটের জন্য লিখি না লেখার জন্য লিখি এটার আমার পাঠক মাত্রই জানে। তবে আপনার মুখোশধারণ ভালো হয় নাই, লেজ দেখা যায়।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

হিট গুইনা কি লাভ হয় আমার জানা নাই (আপনে জানলে জানায়েন প্লিজ), তবে হিটের হিসাবের পৃষ্ঠা আর কাজ করে না (এখন পর্যন্ত)

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

@ ওয়াইল্ড-স্কোপ
এটা মোটেই আমার মনগড়া বানান না, সেক্ষেত্রে দায়টুকু আমি নিজেই নিতাম। অন্য মন্তব্যে বলেছি, সময় করে পড়ে দেখতে পারেন।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

বানান ভুল লেখলেও পাবলিক কান্দে - অভিধান লইয়া বৈসা বানান লেখলেও পাবলিক কান্দে - তাইলে যামু কৈ?
আশরাফ ভাই, আমি নাদান মানুষ - কবিতা পৈরা ঠাউর করতে পারি না - আমার নিজের বানান আর ব্যাকরণ নিয়েও সমস্যা আছে - বেশি হাই লেভেলের দিকে এখনই না যাই মন খারাপ তয় আপনি জ্ঞানী মানুষ - যা ঠিক বলে জানেন, লেখেন - তাতে আমার আপত্তি নাইক্কা হাসি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমি জ্ঞানী না, তবে জ্ঞানপ্রেমী। সেকারণেই বানানটা নিয়ে কথা বলছি। কৃতজ্ঞতা জানবেন সুন্দর মন্তব্যের জন্য। হাসি
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অতিথি লেখক এর ছবি

'অ' অংশটা পড়ে বেশ মজা পেলাম!
আপনার 'জিয়া' থেকে 'জয়' এর আইডিয়াটা খুবই ইনোভেটিভ! আমার মনে হয় এতে খরচ কমপক্ষে পঞ্চাশ ভাগ কমে যাবে!

কাকুল কায়েশ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আইডিয়া আমার না, আমি শুধু তুলে ধরলাম আপনাদের সামনে। চোখ টিপি
ধন্যবাদ, কায়েশ ভাই।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি ভাবছিলাম এখন জিয়া পরিবর্তিত হয়ে হল শাহজালাল। এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতেও এই নাম পরিবর্তন করতে হবে। ৫ বছর পরে আবার যখন নাম পরিবর্তন করা হবে তখন আবারো এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে নাম পরিবর্তন করতে হবে। দেশের বাইরের কোন এয়ারপোর্টে এটা নিয়েও এখন খোটা শুনতে হবে বলে মনে হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নাম পরিবর্তনের সংস্কৃতি বিএনপি চালু করেছেন। বাহ্ কী সুন্দর যুক্তি! এই নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বেন উনি!

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সেটাই। প্রবাসে যখন অন্যদের বাঁকা চোখগুলো বিঁধে তখন ওনারা সাইনবোর্ড পাল্টান।
চালু করলে যে সেটা চালু রাখতে হবে- এরকম মানসিকতা তার কাছ থেকে আশা করা যায়; অতীতে তিনি সেরকম উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নিছক জানার/বোঝার জন্য প্রশ্ন করছি:

@হাসিব
সংবিধানে কি বানানও নির্ধারণ করে দেয়া আছে? নাকি সংবিধানে বাংলাদেশ বানান 'বাংলাদেশ' লেখা হয়েছে বলে 'নির্ধারণের' কথা বলছেন?

@আশরাফ
ঙ দিয়ে লিখলে অবশ্যই সেটা কোমল হয়, তবে ঙ দিয়ে বাংলাদেশ দেখতে একটু অন্যরকমই লাগে। কোন বিশেষ বানানে আমার পক্ষপাত নেই, তবে প্রচলিত বানানটিই ভালো লাগে। এটা ঠিক যে সময়ের সাথে বাংলার যেমন পরিবর্তন হয়েছে, বানান রীতির পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস করি। তখন অন্য কেউ দেখা-যাবে অন্যভাবে হয়তো 'বাংলাদেশ' লিখছে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সংবিধানে আছে বলেই উনারা নির্ধারণ করতে চাচ্ছেন।
এই ব্যাপারটা বুঝতেছে না। সময়ের সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হয়, হতে হয় টিকে থাকার কারণে। আমার কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো নেই; তাই অপারগতা; না হলে অনেক আগেই পোস্ট দিতাম- এখনো দেয়া যায়, কিন্তু তথ্যসূত্র থাকবে না।
ভাষাটাকে আটকে রাখতে পারবেন না, তাহলে গালিগালাজ, ক্ষোভ প্রকাশের অনেককিছুর অবলুপ্তি ঘটতো আগেই। বাংলাদেশ লিখলে আমি কিছু মনে করি না, বরং বাঙলাদেশ নিয়ে কী লেখা হচ্ছে সেটাই দেখি; দেখা উচিত।
কিছু কিছু বানানের ক্ষেত্রে সব লেখকের ব্যক্তিগত পছন্দ থাকে। সেরকম হলে জীবনানন্দ দাশের সব লেখায় সাদা লেখা উচিত; হুমায়ুন আজাদের বইগুলো বাজেয়াপ্রাপ্ত করা উচিত।
কী পোস্টের মন্তব্য কোন দিকে গেল! দেশের কোন খবর নাই, দেশের বানান নিয়ে খবর আছে। একটা প্রবচন আছে যে, 'উঁকুন বাছতে চুল উজাড়।'
প্রপ্রেদা', মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যাই, কাজ আছে। রাতে এসে উত্তর দিব।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সাবিহ ওমর এর ছবি

ভাইয়া, সময়ের সাথে বোধহয় বাংলাদেশটাই টিকে যাবে। বাঙলা দেশ বানানটা অনেক আগে একটা ডাক টিকেটে দেখেছিলাম (প্রথম দেশি টিকেটগুলোতে বোধহয়), তারপর আর চোখে পড়েনি। তবে হ্যাঁ সাহিত্যের উপরে সঙবিধানের খবরদারি চলে না খাইছে

হিমু এর ছবি
রাগিব এর ছবি

বাংলাদেশের কোনো স্ট্যাম্পেই "বাঙলা" লেখা হয়নি। প্রথম যে স্ট্যাম্পগুলো ১৯৭১ সালে বের হয়, তার তালিকা এখানে আছে। সবখানে "বাংলা দেশ" এভাবে লেখা।
----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

সাবিহ ওমর এর ছবি

হুম...তাহলে বোধহয় কোলকাতার কোন পেপার কাটিং ছিল ওটা। কিন্তু আমি দেখেছি এক জায়গায়। তবে স্ট্যাম্পগুলা ভারি চমৎকার ছিল...

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

'বাঙলা দেশ' না, বরং বাঙলাদেশ। আচ্ছা, তাহলে সময়ই ঠিক করে দিক; যে যার মতো লিখুক- সময় টিকানোর জিনিস টিকিয়ে রাখুক। খবরদারি না চললে-ও নজরদারি কিন্তু ঠিকই চলে। চোখ টিপি

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হাসিব এর ছবি

আমি সেটাই বলছি প্রকৃতিপ্রেমিক । এবং আমি এই সংবিধানে লেখা বাংলাদেশ বানানটাতে কোন সমস্যা পাচ্ছি না । সমস্যা না পেলে সেটা নিয়ে মুলোমুলিতেও আগ্রহ নেই । ভাষা কোমল শোনাতে হবে এমন কোন দিব্যি কেউ দেয়নি । সেটা হলে মহাপ্রাণ ধ্বনিগুলো বাদ দিয়ে দিলেই হয় !

জার্মানরা Bangladesh না লিখে Bangladesch লেখে । আমি যখনই সুযোগ পাই তাদেরকে বলি যে আমার দেশের নামটায় সি অক্ষরটা নেই । এটা ওরা করলে যে খুব বেশী আসে যায় তা না । তবে বাংলাদেশে অফিসিয়ালি যে বানানটা প্রচলিত সেই বানানটাই সবাই লিখুক সেটাই চাই আমি ।

প্রসঙ্গক্রমে আরেকটা কথা বলি, ক'দিন আগে প্রথম আলোতেও একটা প্রবন্ধ পড়ছিলাম । সেখানে লেখক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ শব্দটা ভুল বলেছেন । উনি ঠিক হলেও হতে পারেন । (এখানে বলে রাখা ভালো যে প্রবন্ধ লেখকের সাথে তর্কে যাবার মতো জ্ঞানবুদ্ধি নেই বলে আমি এখানে হলেও-হতে-পারেন ব্যবহার করছি) তবে যেটা প্রচলিত হয়ে গেছে সেটা নিয়ে মুলোমুলি আসলেই অনর্থক । বিজ্ঞানভিত্তিক চিন্তাভাবনা বাংলাদেশ বানান পরিবর্তনে কাজে না লাগিয়ে বরং চলুন অন্য কোথাও কাজে লাগাই ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
আমি তেমনটাই ধারণা করেছিলাম।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হাসিব ভাই, সংবিধান যখন লেখা হয় তখন 'বাঙলাদেশ' বানানটা নিয়ে কথা উঠে নি; কথা উঠলে-ও এসব ছোটখাট বিষয় নিয়ে তর্কের অবকাশ ছিল না; নবীন দেশের কী অবস্থা ছিল সে সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে ভালো জ্ঞান রাখেন সেটা ধারণা করি।
MLA (Modern Language Association) এর প্রস্তাবনা নিয়ে অনেক ভাষাই স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন করা হয়েছে বা হচ্ছে। এটা বিজ্ঞানভিত্তিক একটি প্রক্রিয়া। আধুনিক ভাষা সমূহের ক্ষেত্রে যেটা জোর দেয়া হচ্ছে সেটা হলো ব্যকরণটাকে সহজবোধ্য করা; ভাষাটাকে স্রোতবহুল করা; যুগ ও সময়ের সাথে তালে মেলানোর মতো করে তোলা।
বাঙলার ক্ষেত্রে-ও সেটার প্রয়োগ করে পরিমার্জনার উদ্দ্যোগ নিয়েছিলেন অনেকে। শহীদুল্লাহ্, হু আজাদ, সুনীতিকুমার অনেকের নাম উল্লেখযোগ্য।
কিছু কিছু প্রস্তাবনা ছিল বর্ণমালা নিয়ে। বাঙলা বর্ণমালায় অনেক বর্ণের উচ্চারণ অন্য বর্ণ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায়। যেমন ধরেন; ং কে ঙ দিয়ে; ৎ কে ত দিয়ে এরকম। তাছাড়া অনেক বর্ণ থাকায় লিপিগত বিন্যাসে সমস্যা হয়; শিশুদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব তো রয়েছেই।
আপনার কারণে ভালো একটা লেখা পাঠের সুযোগ হলো। লক্ষ্য করলে দেখবেন যে প্রবন্ধের লেখক 'তৎসম' না লিখে 'ততসম' লিখেছেন। এগুলো সেরকমই একটি উদাহরণ।
আমি শুধু বাঙলাদেশের নাম নিয়ে কথা বলছি না। সার্বিক ভাষার কথা বলছি। মুলোমুলি না বরং এটাকে দাম দেয়া-ও বলতে পারেন। আপনাদের প্রজন্ম, আমাদের প্রজন্ম তো চলছে চলবে করে যাচ্ছে; কিন্তু বিশ্বায়ন ও আধুনিকায়নের এই সময়ে ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা-কুমীরদের কারণে ভবিষ্যতে বাঙলা ভাষার অবস্থান কী হতে পারে সেটা চিন্তা করেন। তার উপর যদি সেটা শক্ত বুনিয়াদের না হয় তাহলে তো কেল্লা পতে!
প্রচলিত বলে সেটা ভাঙা যাবে না এমন তো না। আমরা একটা প্রচলিত প্রথাকে ভেঙে নতুন একটার প্রচলন করি; এভাবেই মানুষ ও সভ্যতা এগিয়ে যায়; যাবেই।
যার দৌড় যেখান পর্যন্ত; লেখালেখির কারণে আমার দৌড় ভাষা, সাহিত্য পর্যন্ত। তাই এখানেই বিজ্ঞানভিত্তিক শুদ্ধিতা চাই।
অন্যরা অন্যত্র করুক; আমরা তো হাজির হবই।
অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই এমন মন্তব্যের বিপরীতে কথাগুলো বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সাবিহ ওমর এর ছবি

আস্রাফ মামুদের আইপিসহ ফাঁসি চাই!

হাসিব এর ছবি

একটু রয়ে সয়ে । উত্তেজনার গন্ধ এতো তাড়াতাড়ি পেলে মুশকিল ।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

@ সাবিহ ওমর
কথাটা কি মজা করে বললেন না সিরিয়াসলি বললেন?
(অনুগ্রহ করে জানাবেনই)
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সাবিহ ওমর এর ছবি

ফাঁসির আগে কোন আলোচনা নাই। আগে ফাঁসি, তারপর আলোচনা। তবে ঘাবরাইয়ে মৎ। আমরা জানি যে নেহায়েত নির্দোষ না হলে বাঙলাদেশে ফাঁসিটাসি খুব একটা হয়না খাইছে

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ফাঁসির ভয় পাই না, আমরা ক্ষুদিরামের উত্তরাধিকারী। চোখ টিপি তবে শেষে কী কইলেন বুঝি নাই, এন্টেনাতে তরঙ্গ-বিভ্রাট হয়েছে। খাইছে
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

নীল পিপড়া  এর ছবি

বাংলাদেশ বানানটা বাঙলাদেশ দেখে কিঞ্চিত বিরক্ত বোধ করলাম. সাথে সাথে পুরনো পোস্টের মন্তব্য গুলো পরলাম কেমন জানি আতলামি মনে হলো. তবে আপনার লেখা অনেক ধারালো....
নীল পিপড়া
লেউভেন বেলজিয়াম
http://nil-pipra.blogspot.com/

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, নীল।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অতিথি লেখক এর ছবি

কবিরা সাধারনত ঝাঝালো লেখা দেন না -- আশরাফ আপনার লেখার ঝাঝ মনে হয় বেশী হয়ে গেছে । হাসি

শেষের অংশটা পড়ে হাসতে হাসতে বাচিনা --
হাচিনা লো হাচিনা তোর কথায় নাচি না !!

তবে এটা আপনার অন্যায় হয়েছে -- যে রাজার নাম পাল্টে দিতে চাইছেন

আফটার ক্ষমতা থাকা কালীন সময়টাতে সূর্যের চে বালি গরম হয় --আর ভক্তদের চামড়াও পাতলা থাকে চোখ টিপি

-----------------

আর পোষ্ট দেয়া হলো কেন আর আলোচনা হচ্ছে কি নিয়ে ?

আমার দুই পয়সা > ভাষা , বানান রীতি এসব ব্যাপারে যতো উদার হওয়া যায় ততোই ভালো। পরবর্তী প্রজন্ম এসব কিছুই রাখবে না --
খামোখা সংবিধানের জুজু দেখায় লাভ কি ।

আপনারে সাপোর্ট দিলাম বাঙলাদেশেই লিখেন -- যার যার ভালো লাগে না প্রতিবাদ করতে থাকুক -- সংবিধান হাতে তুলে ।

সাহিত্যচর্চার সময় ডিকশনারীর পাশাপাশি সংবিধান রাখার দিন এসে গেলো বোধ হয়। হাসি
---
শেষে একটা কথা না বলেই পারছি না --
এই পোষ্টটা হোমরাচোমরা কেউ দিলে আবেগে কাপাকাপি শুরু হয়ে যেতো - সেখানে অং আর বঙ নিয়ে আলোচনা দৃষ্টিকটু লাগছে ।

----
আওয়ামী লীগের বোধদয় হোক -- পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসার জন্য হলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার করুক ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ঝাঁঝ না রে ভাই, নিজে ইউনির একটা ছেলের কাছ থেকে দেশের দুর্নীতি বিষয়ক ঝাঁঝ খেয়ে এসেছিলাম কয়েকদিন আগে।
রাজার নাম আমি পাল্টাছি না; এটা ভবিষ্যতে হতে পারে মনে হলো। চোখ টিপি

সাহিত্যচর্চার সময় ডিকশনারীর পাশাপাশি সংবিধান রাখার দিন এসে গেলো বোধ হয়।

হা হা। হো হো হো
এই পোষ্টটা হোমরাচোমরা কেউ দিলে আবেগে কাপাকাপি শুরু হয়ে যেতো - সেখানে অং আর বঙ নিয়ে আলোচনা দৃষ্টিকটু লাগছে ।

এটা হয়ত ঠিক। অনেকে অবশ্য আমার এই ধরনের লেখার সাথে পরিচিত নয়; ভাবতেছি পেশাদার কলামিস্ট হয়ে গেলে কেমন হয়? চোখ টিপি

যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার হোক; এটাই সর্বোচ্চ চাওয়া।
সবকিছুর জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই (শুধু ঋণী হয়েই যাচ্ছি)।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হাসিব এর ছবি

ইমতিয়াজ মির্জা,
কমেন্টগুলান আরো একটু খিয়াল কৈরা । এইখানে দেশের নাম বাংলাদেশ বানান নিয়ে কথা হচ্ছে । দেশের নামের বানান কি হবে সে প্রসঙ্গে সংবিধানের কথা এসেছে । ঐটারে সাহিত্যচর্চা-র সাথে ঘোট পাকিয়ে প্যাচালটা আরো প্যাচালো না করতে অনুরোধ রইলো ।

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশের নামের বানান যদি একজন আশরাফ মাহমুদের লেখার কারণে চেন্জ হয়ে যায় তাইলে দেশের নাম বাঙলাদেশই ভালো।
কেন জানি আমার ইস্যুটারে বিশাল মনে হৈতাসে না পোষ্টের কনটেন্ট অনুযায়ী।
বরং আপনে এটা নিয়া লাফালাফি শুরু করসেন দেখে আপনার উদ্দেশ্যটাই ঘাপচিং মনে হৈতাসে । দেঁতো হাসি

এর আগেও দেখসি আপনে একটা প্যাচ লাগায় খাড়ায় খাড়ায় মজা নেন । এন্টারটেইনমেন্ট হিসাবে ক্যাচাল খারাপ জিনিস না তবে পোষ্ট বাইছা কাজটা করা উচিত ।
আপনার সব গুলো কমেন্তই পড়লাম কোথাও দেখলাম না এই ক্যাচাল বাদে এত বড় পোষ্টের এত এত কথা নিয়া - একটা কথা বলসেন ?
সমস্যাটা কই ?

প্যাচালটারে আরো প্যাচালো করার জন্য খুবই দু:খিত।আশরাফের বিনা কারণে খোচা খাওয়াটা মানতে পারলাম না -স্যরি।

------
দেশের নামের বানান অলরেডি ফিক্সড - বাংলাদেশ । সবখানে সেটাই চলে । সংবিধান বলসে বলে ৫০ বছর পর বাঙলাদেশ লেখা হবে না এটা খুব লেইম যুক্তি । আর তাছাড়া যারা বাঙলাদেশ লিখতেসেন বা লিখসেন
কারোই উদ্দেশ্যে মনে হয় সংবিধান অবমাননা বা দেশকে অসম্মান করা ।
বরং উল্টোটাই মনে হয় ।

--
ইমতিয়াজ মির্জা

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

শূন্য, ফিরতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

দেশের নামের বানান যদি একজন আশরাফ মাহমুদের লেখার কারণে চেন্জ হয়ে যায় তাইলে দেশের নাম বাঙলাদেশই ভালো।

আপনার এই ব্যাপারটা ভালো লাগে, মজা করার ছলে কঠিন কথাগুলো বলে দেন। কাউকে তো বুঝাইতে পারলাম না যে আমি বানানটা (এবং আরো অনেক লেখক কবি- যারা বাঙলা ভাষার আধুনিকায়নে বিশ্বাস করে) লিখছি সংবিধানের সাথে টেক্কা দেয়ার জন্য না; সংবিধান অবমাননার জন্য না। যুক্তি অনুসারে। বাংলাদেশ বাঙলাদেশ হওয়ার পরে আধুনিক সময়ে কেউ যদি সেটা খন্ডন করতে পারে আমি মেনে নেব। শুধু আইনের জুজু দিয়ে মুখ বেঁধে রাখা যায় না; সেরকম হলে রাব (বানানটা ফোনেটিকে কীভাবে লিখে জানি না) অনেক আগেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ফেলত।
পরের কয়েকটা প্যারা নিয়ে একটা ছোট্ট অনুরোধ করি। আমি চাই না আমার ব্লগপাতায় এসে দু'জন অতিথি বা ব্লগার পারষ্পরিক ক্যাচালে যাক (বিষয়টা অনেকটা এরকম যে- আমি আপনাদের দাওয়াত দিয়ে গালিবাজিতে উৎসাহ দিচ্ছি)। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি-মানুষ হিসেবে আমার-ও ক্ষয় হয় বলে গণ্য করি।

সংবিধান বলসে বলে ৫০ বছর পর বাঙলাদেশ লেখা হবে না এটা খুব লেইম যুক্তি । আর তাছাড়া যারা বাঙলাদেশ লিখতেসেন বা লিখসেন
কারোই উদ্দেশ্যে মনে হয় সংবিধান অবমাননা বা দেশকে অসম্মান করা ।
বরং উল্টোটাই মনে হয় ।

এই কথাগুলো কে উপলব্ধি করবে? সেটাই এখন প্রশ্ন। ভাষা দিয়ে সংবিধান লেখা হয়; সংবিধান দিয়ে ভাষা নয়। আর ভাষার টিকে থাকার জন্য সংবিধানের রদবদল আবশ্যিক হলে সেটাই হোক; সংশোধনী তো কম হয় নি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হাসিব এর ছবি

বরং আপনে এটা নিয়া লাফালাফি শুরু করসেন দেখে আপনার উদ্দেশ্যটাই ঘাপচিং মনে হৈতাসে ।
......
আপনার সব গুলো কমেন্তই পড়লাম কোথাও দেখলাম না এই ক্যাচাল বাদে এত বড় পোষ্টের এত এত কথা নিয়া - একটা কথা বলসেন ?
সমস্যাটা কই ?

আরো একটু বিস্তারিত বললে ভালো । ঘাপচিং মানে কি ? আর কোন একটা পোস্টে কোন বিষয়ে কমেন্ট না করাটা কি সমস্যা নাকি ? কোন অভিযোগ থাকলে সরাসরি করেন ।


এর আগেও দেখসি আপনে একটা প্যাচ লাগায় খাড়ায় খাড়ায় মজা নেন ।

কথাটা মাথায় রাখলাম । কে কোথায় আগে কি করছে সেইটা নিয়ে আপনার সাথে অন্য কোথাও আলোচনার আশা রাখি ।

প্যাচালটারে আরো প্যাচালো করার জন্য খুবই দু:খিত।আশরাফের বিনা কারণে খোচা খাওয়াটা মানতে পারলাম না -স্যরি।

আমার ও অন্যান্য অনেকে মূল আলোচনার বিষয়টা হলো বাংলাদেশ বানান বাঙলাদেশ লেখা যাবে কিনা সেটা নিয়ে । সেটা না বুঝতে পারলে এখন শুধরে নিন । এখানে ও অন্য অনেকখানে বানান নিয়ে অনেক এক্সপেরিমেন্ট হয় । কেউ আঞ্চলিক ভাষায় লেখেন । কেউ দু'টোতেই লেখেন । সেইসব সাহিত্যচর্চা আর এখানে বাঙলাদেশ লিখবোই এধরনের সিদ্ধান্তের মধ্যে তফাৎ পরিস্কার । উপরের একটা মন্তব্যে বাংলাদেশ বনাম বাঙলাদেশ তর্কটাকে আপনি পুরো "সাহিত্যচর্চা"র ঘাড়ে নিয়ে ফেললেন । আমরা এরকমটি বলছি না যে সংবিধান হাতে নিয়ে সাহিত্যচর্চা করতে হবে । একটামাত্র শব্দের বানান নিয়ে আমরা আলোচনা করছি । সেখানে বানানটি কেন নির্ধারিত সে প্রসঙ্গে সংবিধানের কথা এসেছে । এখানে আপনার হুট করে একটা শব্দের বানাননে সাহিত্যচর্চা ও সেইসাথে হোমরাচোমরা কিওয়ার্ড গুলিয়ে ফেলে সেই ঘোলা পানিতে হাঙ্গর স্বীকারের চেষ্টাটাকেও আমি মানতে পারলাম না, স্যরি ।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হাসিব ভাই, একটা বিনীত অনুরোধ করি (যেমন ইমতিয়াজ মির্জাকে করেছি)। আমি চাই না আমার ব্লগপাতায় এসে দু'জন অতিথি বা ব্লগার পারষ্পরিক ক্যাচালে যাক (বিষয়টা অনেকটা এরকম যে- আমি আপনাদের দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে এনে গালিবাজি বা গলাবাজিতে উৎসাহ দিচ্ছি)। সেক্ষেত্রে ব্যক্তি-মানুষ হিসেবে আমার-ও ক্ষয় হয় বলে গণ্য করি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তীর্ণতান এর ছবি

বাংলাদেশ - বিষয়টি মীমাংসিত । যেমন মীমাংসিত তিরিশ লাখ শহীদের
বিষয়টিও ।
''বাংলাদেশ '' প্রতীক।
আর কোনো ব্যাখ্যা দেবার দরকার নেই ।

মামুন হক এর ছবি

লেখার মূল বক্তব্যের সাথে ১০০% একমত। তবে বাংলাদেশের বানান নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়ার নিন্দা জানাই। ব্যাপারটা আসলেই চোখে লাগে, খানিকটা বুকেও লাগে। আমাদের বাংলাদেশ বাংলাদেশই থাকুক, আজীবন যেভাবে দেখে এসেছে, বলে এসেছি। আর সবখানে ঙ নিয়ে ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ চালিয়ে যান, কোন আপত্তি নাই বস, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশকে রেহাই দেন দয়া করে হাসি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

মামুন ভাই, আপনাকে মনাহত করার জন্য দুঃখিত; মনাহত করতে করতে একদিন খুব আনন্দিত করে দেব; কথা দিলাম।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

রাহিন হায়দার এর ছবি

কেন যেন মনে হচ্ছে সরকারের উচিত আগে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, ফলে বেজন্মা কুত্তাগুলোর মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হবে; বিচারের কাজটা সহজ হবে।

ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এত সহজ হবার কথা না। আর আমার ধারণা এটা করলে বরং যুদ্ধাপরাধী বিচার করা আরো কঠিন হয়ে যেতে পারে।

'বাংলাদেশ'-এর ব্যাপারে আমারও পক্ষপাতিত্ব আছে। কার যেন লেখায় পড়েছিলাম, ভাষাটা শুধু শুনতে ভালো লাগার ব্যাপার না, লিখিত রূপের দেখতে ভালো লাগারও একটা ব্যাপার আছে। আমাদের অভ্যাসজনিত কারণে হলেও, 'বাঙলাদেশ' বেশ দৃষ্টিকটু লাগে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

নিষিদ্ধ করা কঠিন-ও মনে করি না; জনগণের সমর্থন আছেই। কারণ, রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে ওদের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। সেদিন শুনলাম ওরা শো-ডাউনের মতো কিছু করার ক্ষমতা রাখে। সংগঠন বা দলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এইসব। সমূলে গাছটাকে উচ্ছেদ করে ফেললে পাতাগুলো এমনিতেই ঝরে পড়বে।
সেই অনুসারে একদিন 'বাঙলাদেশ'-ও অভ্যাসবশে সুন্দর মনে হতে পারে!
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

রাহিন হায়দার এর ছবি

জনগণের সমর্থন আছে ঠিক। কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে বিরোধীদল একটা ইস্যু পেয়ে ঝামেলা পাকাতে পারে। ধর্মপ্রাণ লোকজন আমাদের দেশে বেশি, এদের ভুলিয়ে ভালিয়ে ঝামেলা পাকানো কষ্টসাধ্য কাজ না। যুদ্ধাপরাধী বিচার তো আইনবলেই হওয়া সম্ভব। বিচারটা আগে করে তারপর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করাটা বরং নিরাপদ মনে হয় আমার কাছে।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আতাউস সামাদের এই লেখাটা পড়ে দেখতে পারেন।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

যারা বাঙলাদেশ বানান নিয়ে মন্তব্য করার ইচ্ছে রাখেন তাদের কাছে কিছু প্রশ্ন।

১। কোন এক সময় যদি ভাষাবিদদের যৌক্তিক কারণ বিশ্লেষণ করে বাঙলাদেশ বানানরূপটি সংবিধানে রাখা হয়, আপনি কি মেনে নিবেন?
২। অভিধান অনুসারে বাঙলাদেশ ও বাংলাদেশ দু'টো বানানরূপই শুদ্ধ। এখন একজনের উপর যে কোন একটি রূপ চাপিয়ে দেয়া কি যুক্তিসংযত? এটা কি ব্যক্তি-স্বাধীনতার খর্ব নয়?
৩। সবাই দেখি চামে আমারে বকতেছে। কিন্তু সচলায়তন বা অন্যান্য ব্লগে, পুস্তকে- লেখালেখিতে বাঙলাদেশ বানানরূপটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ব্যাপারে সংবিধান ভঙ্গের কোন কথা উঠে নি; উঠে না। আমার পোস্টে হচ্ছে। আমি কি কারো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছি বা হয়েছি?
৪। বাঙলা ভাষার আধুনিকায়নের জন্য আপনি কি বাঙলাদেশ বানানরূপটি মেনে নিবেন? যদি না, তবে কেন নয়?
আপাতত এগুলোই। পরবর্তী মন্তব্যকারীকে কাছে অনুরোধ রইল বাঙলাদেশ বানান বিষয়ক কিছু বলার সময় অনুগ্রহ করে উক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর দিবেন। শুভেচ্ছা।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হাসিব এর ছবি

১। কোন এক সময় যদি ভাষাবিদদের যৌক্তিক কারণ বিশ্লেষণ করে বাঙলাদেশ বানানরূপটি সংবিধানে রাখা হয়, আপনি কি মেনে নিবেন?

উ: নেব । কারন তখন সেটাই অফিসিয়াল হবে ।

২ । অভিধান অনুসারে বাঙলাদেশ ও বাংলাদেশ দু'টো বানানরূপই শুদ্ধ। এখন একজনের উপর যে কোন একটি রূপ চাপিয়ে দেয়া কি যুক্তিসংযত? এটা কি ব্যক্তি-স্বাধীনতার খর্ব নয়?

উ: এখান চাপিয়ে দেবার প্রশ্ন আসছে না । প্রশ্নটা হলো বিভ্রান্তি তৈরী করা নিয়ে । আপনার বানান আশরাফ । আসরাফ বা আস্রাফ নয় । ঐসব বানানে আপনাকে নিয়ে লিখলে সেটা অনুচিত হবে । নামের ক্ষেত্রে কঠোর নরম শুনতে ভালো ইত্যাদি বিবেচনায় আমরা আরেকজনের নামের বানান লিখি না ।

৩। সবাই দেখি চামে আমারে বকতেছে। কিন্তু সচলায়তন বা অন্যান্য ব্লগে, পুস্তকে- লেখালেখিতে বাঙলাদেশ বানানরূপটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ব্যাপারে সংবিধান ভঙ্গের কোন কথা উঠে নি; উঠে না। আমার পোস্টে হচ্ছে। আমি কি কারো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছি বা হয়েছি?

উ: আপনি কারো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হননি । তবে বাংলা-বাঙলা বানানের তর্ক থেকে বাংলাদেশকে বাঙলাদেশ বানানোতে আপনার গোঁ কারো কারো বিরক্তির কারন হতে পারে ।

৪। বাঙলা ভাষার আধুনিকায়নের জন্য আপনি কি বাঙলাদেশ বানানরূপটি মেনে নিবেন? যদি না, তবে কেন নয়?

উ: উত্তরটা প্রথম প্রশ্নে আছে । বাংলাদেশ দেশের নাম এবং এটা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ । এই দু'টি জিনিস পুরনো, কঠোর বা ভুলভাল হলেও দিব্যি কাজ চলে যাচ্ছে ।

নৈষাদ এর ছবি

হাসিব সাহেবের সাথে সম্পূর্ণ সহমত।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অফিসিয়্যালি একটা দেশের নাম। ভাষাবিদদের (শ্রদ্ধার সাথে) যতই অন্য ব্যাখ্যা থাকুক না কেন, বাংলাদেশের বানান তাতে পরিবর্তন হবে না। আসলে বাংলাদেশ বানানটা অন্যভাবে লেখার চেষ্টাটা আমার কাছে কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হল না। এই বানানটা নিয়ে অ্যাকাডেমিক বিশ্লেষণ করা যায়, কিন্তু সরাসরি অন্য বানানে লেখাকে একধরনের ধৃষ্টতা বলেই মনে হয়। (যতক্ষণ না এটা অফিসিয়্যালি পরিবর্তন করা হয়েছে।)

Dacca র বানান Dhaka করতে হয়েছে অফিসিয়্যালি। এখন কোন সরকারি বা বেসরকারি যোগাযোগে Dacca লেখাটা আমার কাছে অপরাধ বলে গন্য হবে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হাসিব ভাই, আমি মোটেই বিভ্রান্ত তৈরী করছি না; ওটা আমার ধাঁতে নেই। বরং বাঙলা একাদেমিই বিভ্রান্তির জন্ম দিচ্ছে। বাঙলাদেশ অশুদ্ধ নয়; সেকারণেই তারা অভিধানে ঠাঁই দিয়েছে। বানানটা প্রায় দু'দশক ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে; কই কোনদিন তো সংবিধান দোহাই দিয়ে কেউ কিছু লিখে নি বা আইনানুগ ব্যবস্থা নেই নি; কোন আইন-ও নেই যে বাংলাদেশই লিখতে হবে।
আমি গোঁ ধরি নি; যুক্তি অনুসারে নিজের অবস্থানে আছি। উপরে একটা মন্তব্যে বিশদ আকারে বলেছি। আমি লক্ষ্যবস্তু হয় নি- এটা শিওর না; আমার লেখা কী নিয়ে সেটা দেখে একজন শুধু বানানটা নিয়ে তোলপাড় শুরু করেছেন। আপনার কথার প্রেক্ষিতে গুগলে সার্চ দিলাম। সচলেই শুধু ৬৫ এর মতো পোস্ট আছে (আমারগুলো বাদে)। কই কোন পোস্টে তো কেউ বলে নি যে বাঙলাদেশ লেখা যাবে না। সন্দেহ হচ্ছে কেউ একজন বানানটাকে ইস্যু (যেহেতু দেশের নামের ব্যাপারে সংবেদনশীলতা আছে) বানিয়ে আমারে চামে তুলোধুনা করতে চাচ্ছে। সেখানে এরকম-ও বলেছে যে অন্য সচলদের ডেকে এনে গ্রাম্য-সালিশীর মতো করা হোক!
আপনাদের অনুরোধে এইখানে সাময়িকভাবে হয়ত বাংলাদেশ লেখা হবে (অনুরোধে তো মানুষ ঢেঁকি-ও গিলে); কিন্তু নির্দ্বিধায় বলতে পারি আমি যুক্তি-নির্ভরশীল। একদিন ঠিকই তুলে ধরতে পারব।
ভুল নিয়ে কাজ চালানো হলে চলুক। কিছু বলার নেই সেক্ষেত্রে।
আবারো ধন্যবাদ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনি ৬৫ এর মতো পোস্ট কি পড়ে দেখেছেন? দেখেন নি। সাইফ ভাইয়ের একটা লেখায় বাঙলা বানান লেখা হয়েছে। অন্য পোস্টগুলোতে বাঙলাদেশ বানান করে লেখা হয়েছে আ শরীফ বা হু আজাদ সাহেবের লেখা থেকে কোট করার ক্ষেত্রে (ব্লগাররা কিন্তু বাংলাদেশ বানানে লিখেছেন )। কিছু লেখক চেষ্টা করেছিলেন এই বানান প্রতিষ্ঠার জন্য। পারেননি। শেষ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশ লিখে তাঁদের চেষ্টাকে বাতিল করে দিয়েছি। ব্যস।

শুধু শুধু এত ভয় পেয়েন না। আপনার মধ্যে জিনিস থাকলে সব পেরিয়ে টিকে থাকবেন। অথবা আপনাকে আস্তাকুড়ে ফেলা হবে।

মন্তব্য প্রতিমন্তব্য সরাসরি হওয়া উচিত। কেউ একজন , একজন এভাবে না বলে সরাসরি নাম বলবেন। এখানে যাঁরা লেখালেখি করেন তাঁদের সরাসরি কথা বলার সাহস আছে বলে মনে করি।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

৬৫ এর মতো পোস্ট ও মন্তব্য পড়ে দেখা অসম্ভব; অন্তত এখন। না দেখি নি।
মহাত্মা হুমায়ুন আজাদ ও আহমদ শরীফ এবং অন্যান্যরা বানানটি প্রস্তাব করেছিলেন কারণে সেটি যৌক্তিক; তারা উপলব্ধি করেছিলেন। লিখে বাঙলাদেশ বানানটা বাতিল হয় নি (এখন-ও হয় নি; হবে-ও না); বরং সেটাকে ধামাচাপা দেয়া হয়েছিল রাজনৈতিক কিছু অসুদপায় পন্থা অবলম্বন করে।
আমি ভয় পাচ্ছি না। আপনি পাচ্ছেন। সেকারণেই সচল-সালিশীর প্রস্তাব করছেন; সংবিধানের জুজু দেখাচ্ছেন। হ্যাঁ, আমি-ও মানি কিছু থাকলে সেটাই টিকে থাকবে। সৎ সাহস থাকলে আসেন না, আপনি আপনার মতো বানানে লেখেন; আমি (এবং অন্যরা (আপনার মতে ১০ জন লেখক)) বাঙলাদেশ বানানে লিখি। দেখি কোনটা টিকে থাকে। কিছু চাপিয়ে দিয়েন না।
উপদেশ বাণী বা প্রবচন যাই বলুন না কেন সেগুলোর বড় বৈশিষ্ট্য হলো অইসব স্বার্বজনীন; সুতারাং নিজের উক্তিগুলো আপনার উপর-ও বর্তায়।
সরাসরি নাম ধরি নি। কারণ, নাম ভুলের আশঙ্কা ছিল এবং না জানি আরো কোন সালিশের প্রস্তাব করেন। হাওয়া যেদিকে যায় সেদিকে আইনের পাল নৌকা চলে এমন নজীর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে।
শুভ রাতি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শুভ রাতি

এটাকি টাইপো নাকি নতুন বানান?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

কি যে বলেন সাইফ ভাই, রাতি অনেক কোমল লাগে। দেখতে। শুনতে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হা হা। চোখ টিপি
সাইফ ভাই, এটা শুদ্ধ বানান। নানা গানে, কবিতায় আছে। যান, আপনার জন্য শুভ রাত্রি/রাতবেলা/রাত্তি/রাতি/রাত/নিশী (যা পছন্দ তা বেছে নেন, লাগলে বলবেন; আরো আছে। চোখ টিপি )
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

@আশরাফ,

আপনার প্রতিমন্তব্য পড়ে স্মিত হাসলাম।

ও হ্যাঁ, বস্‌ - ব্যাপক দরাইলাম।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

@ শুভাশীষ
হাসাহাসি স্বাস্থ্যকর। আরো হাসুন।
নারে ভাইয়া, আমি কাউকে ডর দেখাই না; আশা রাখি কেউ আমারে না দেখাক।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আপনি মডারেশনকে মদারেশন লেখেন। এই হিসাবে ডর তো দর হওয়া উচিত। নাকি ভুল বললাম? একটু সংক্ষেপে বোঝান।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হো হো হো
না। আমি ইংরেজি শব্দগুলোর বেলায় চেষ্টা করি একটু অপভ্রংশ (কিংবা পারিভাষিক) আকারে লিখতে। এটা অনেকটা শব্দগুলোকে নিজেদের মতো করে নেয়ার ব্যাপার বলতে পারেন। যেমন ধরেন- ফরাসি ভাষায় অনেক শব্দ এসেছে ল্যাটিন থেকে। তারা উচ্চারণ ও বানান পাল্টিয়ে ফেলেছে (যদি-ও শব্দমূল একই অনেকক্ষেত্রে)। সময়ের সাথে সাথে এসব ফরাসি হয়ে গেছে। ইংরেজি ভাষায় যেমন ১০ হাজারের-ও অধিক শব্দ ফরাসি থেকে এসেছে; কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বানান ও উচ্চারণ ভিন্ন। অনেকটা এরকম। ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষা থেকে বাঙলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা-ও শব্দ আমদানী করব- কিন্তু নিজেদের ব্যকরণ অনুসারে, ভাষিক অবকাঠামোর সাথে মিল রেখে। উদাহরণ স্বরূপ- জনাব শব্দটির স্ত্রীলিঙ্গ অনেকে লেখেন বেগম, জনাবা নয়। কারণ আরবিতে জনাবা দুষ্ট অর্থ বহন করে। এক্ষেত্রে আমি ব্যকরণ মেনে জনাবাই লিখতে আগ্রহী। কারণ শব্দটা আমদানীর সাথে সাথে বাঙলা ভাষার ব্যকরণ ও রীতির প্রয়োগ হোক- অন্য ভাষায় সেটা ভিন্ন হলে সমস্যা নেই।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

দুর্দান্ত এর ছবি

মূল লেখা ভাল লেগেছে। আরো ভাল লাগতো যদি বাংলাদেশের নামটি ঠিক করে লিখতেন। জন্মভূমির নাম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চোখে লাগে।
---
এটা অনেকটা শব্দগুলোকে নিজেদের মতো করে নেয়ার ব্যাপার বলতে পারেন। যেমন ধরেন- ফরাসি ভাষায় অনেক শব্দ এসেছে ল্যাটিন থেকে। তারা উচ্চারণ ও বানান পাল্টিয়ে ফেলেছে (যদি-ও শব্দমূল একই অনেকক্ষেত্রে)। সময়ের সাথে সাথে এসব ফরাসি হয়ে গেছে।

ফরাসী ভাষাতে অনেকগুলো ল্যাটিন শব্দ থাকবে কি মশাই। পুরো ভাষাটাই তো ল্যাটিন থেকে প্রাকৃত হওয়া একটি ভাষা। এখানে 'উচ্চারন ও বানান পাল্টানো' বা 'সময়ের সাথে সাথে ফারসী হওয়া' র মত ঘটনা ফরাসীতে অন্তত লাতিন বা রোমান ভাষার ক্ষেত্রে যে ঘটেনি সেব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আরো জানতে হলে এখানে পড়ুন।
----
জনাব শব্দটির স্ত্রীলিঙ্গ অনেকে লেখেন বেগম, জনাবা নয়। কারণ আরবিতে জনাবা দুষ্ট অর্থ বহন করে। এক্ষেত্রে আমি ব্যকরণ মেনে জনাবাই লিখতে আগ্রহী। কারণ শব্দটা আমদানীর সাথে সাথে বাঙলা ভাষার ব্যকরণ ও রীতির প্রয়োগ হোক- অন্য ভাষায় সেটা ভিন্ন হলে সমস্যা নেই।

প্রথমত 'জনাব' ফার্সী শব্দ। আরবীতে এর অর্থ কি, তাতে এই শব্দের কি আসে যায়। (অফটপিক, অবাক হয়ে লক্ষ করি বাংলাদেশে আজকাল লোকে 'আল্লাহহাফেজ' বলে, খোদার ও নাকি কিসব বাজে অর্থ আছে। অথচ বাংলায় তো খোদাহাফেজ, একটি শব্দ নাকি?)

নাশতারান এর ছবি

খোদাহাফেজের পরিবর্তে আল্লাহহাফেজ বলার অন্য ব্যাখ্যা জানি আমি। আমার স্কুলের ওস্তাদজীর (উনাকে হুজুর বলা বারণ ছিলো) দেওয়া। খোদা শব্দটি ফার্সি। আরবি নয়। আরবিতে বলাই নাকি শ্রেয়। ইরান শিয়া অধ্যুষিত হওয়ায় কিছু কিছু সুন্নী ফার্সি শব্দকে দ্বিতীয় কাতারে রেখে নিজেদের ঈমান পোক্ত করে থাকেন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দুর্দান্ত এর ছবি

হা হা হা! ওস্তাদজি, মওলানা, মলবি, শবে কদর, শবে বরাত, শিয়া, হুজুর, বেহেশ্ত, দোজখ, নামাজ, রোজায় এ অসুবিধা নাই, কিন্তু খোদায় অসুবিধা।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাঙলাদেশ বানানটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়, এটি শুদ্ধ বানান। আপনি এই পোস্টের মন্তব্যগুলো কিংবা ব্যাকরণবিদ হুমায়ুন আজাদের ভাষাবিষয়ক বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন। এটা পরীক্ষামূলক বানান হলে সব দায় আমি নিজে নিয়ে অনেকের অনুরোধে স্থগিত রাখতাম।
ফরাসি পুরো ভাষাটা ল্যাতিন থেকে প্রাকৃত না; বরং মূল হচ্ছে ল্যাতিন। যেমন বাঙলা ভাষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রাকৃত হলে-ও এই ভাষায় আরবি, ফার্সি, ইংরেজি মেলা শব্দ ঢুকেছে। এখন আপনি কি বলবেন যে বাংলা ভাষা পুরোপুরি প্রাকৃত? না, বরং অনেকাংশে প্রাকৃত। উপরের উক্তিটি সেরকম করা।

জ্বি, সেটাই বলেছি। আরবিতে কী অর্থ তাতে আমাদের কী আসে যায়। কিন্তু কতক কাঠমোল্লা ফতোয়া দিয়েছে যে বেগম শব্দটি ব্যবহৃত হবে; কারণ, মুসলিম বাঙালিরা আরবি জানেন এবং আরবিতে জনাবা শব্দটি দুষ্ট অর্থ বহন করে। অথচ বাঙলা ব্যকরণ প্রয়োগ করলে জনাবা শব্দটিই শুদ্ধ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, আমার লেখায় বাঙলাদেশ লেখার ব্যাপারটা নিতান্তই টাইপো ছিল, ইস্যু যখন উঠেছে আর সেই সাথে এডিট করার সুযোগ থাকায় আমার লেখায় বাংলা বানান গুলো ঠিক করে দিয়েছি। আমি বাংলা এবং বাংলাদেশ বানানেই বিশ্বাসী, 'বাঙলাদেশ' নিয়ে ত্যানা প্যাচানো দেখে খুব বিরক্ত হলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সাইফ ভাই, আপনি আপনার বিশ্বাসে অটুট থাকুন; আমাকে আমার যুক্তি ও বিশ্বাসে থাকতে দেন। বিরক্ত করার জন্য দুঃখিত। কিন্তু কিছু করার নেই বোধহয়। মন খারাপ
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আপনাকে (সিরাত)


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বুঝি নি। কী বললেন?
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

বুঝলেন না? শুভাশীষ আর সাইব্বাই আবার জুটি বানাইছে হাসি এইবার সেঞ্চুরী কেউ ঠেকাইয়া রাখতে পারবে না চোখ টিপি ওনাদের সর্বশেষ আন্দোলন ছিল দলছুট খেদাও আন্দোলন - যাতে ব্যাপক আমোদ পাইছি খাইছে চলুক চলুক জাস্ট কিডিং দেঁতো হাসি

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হে হে। লাভ নাই। হো হো হো
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অতিথি লেখক এর ছবি

হ।

"অকুতোভয় বিপ্লবী"
_____________________________________________________
লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে ...

নৈষাদ এর ছবি

সবাই শুদ্ধ রাজনীতির স্লোগান দেয়; কিন্তু বছর শেষে নৌকা-ধানের শীষে সিল মারে! সেলুকাস। কেউ কি এগিয়ে এসে একটি ভালো দল গঠন করতে পারে না? কয়জন লাগে? পাহাড়ের বিশালতা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেয়; সব মানুষ পাশাপাশি কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ালে পাহাড় কাদা হয়ে যায়; ঢের উদাহরণ আছে ইতিহাসে।

- তাই কি? আমার তো ধরনা ছিল গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ব্যাপারটার মীমাংসা হয়ে গেছে, অন্তত পক্ষে আগামী দশ বছরের জন্য।

নামকরণের ব্যাপারটাও হয়ত ক্যালকুলেটেড পদক্ষেপে। - সুশীল টাইপের লোকজনের উপর প্রভাব বনাম সারা দেশে ছড়ানো অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক নেট-ওয়ার্কের ভিতরে থাকা ডাই-হার্ড নেতা-কর্মীদের উপর এর প্রভাব। আমার ধারনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমল রাজনৈতিক দলগুলিরর আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে - কার দৌড় কত দূর দেখা হয়ে গেছে।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

অন্তত পক্ষে আগামী দশ বছরের জন্য

হে হে - কথা হলো রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নাই - ওয়েট এন্ড সী। যেই দেশে জামাত লিগালী রাজনীতি করার লাইসেন্স পায়, সেই দেশে সবই সম্ভব। মন খারাপ
নামকরণের ব্যাপারটাও হয়ত ক্যালকুলেটেড পদক্ষেপে

বুঝি নাই ইয়ে, মানে...
বাংলাদেশ ইউটোপিয়া না - কিছু কাল্চার্গত অভ্যাস থেকেই যাবে বুঝি, কিন্তু বেশি আত্মবিশ্বাস বা হামতাম বা আতম্ভারিতা পাবলিক কখনই ভালো চোখে দেখে না, স্পেশালী যখন তারা বুঝে এর সবই আই-ওয়াসের জন্য বা পাবলিক সেন্টিমেন্টের মোড় ঘোরানোর জন্য ঘটছে।

নৈষাদ এর ছবি

আমিও বুঝি নাই।
তবে এটা বুঝি এতকিছুর পর যখন আবার নাম পরিবর্তন শুরু হল, তখন স্বীকার করতে হবে আমপাবলিকের ব্যাপারে তাদের নিজস্ব ক্যালকুলেশন আছে। (রাজনীতির ব্যাপারে আমার অর্থনৈতিক একটা বিশ্লেষণ আছে, এখন বিস্তারিত আলোচনা করলাম না।)

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আমার তো ধরনা ছিল গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ব্যাপারটার মীমাংসা হয়ে গেছে, অন্তত পক্ষে আগামী দশ বছরের জন্য।

আপনি বলতে চাচ্ছেন যে আগামী দশ বছরের জন্য ভালো দল গঠন করা হবে না? নাকি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে?

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাঙলাদেশ কোন দেশ? বাড়ি কই?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

নজরুল ভাই, একটা দেশের বাড়ি থাকে না বলে জানি। তবে আমার জন্ম ও বাড়ি বাঙলাদেশে সেটা জানি। হাসি
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আবেদ এর ছবি

বাংলাদেশ - হায়রে। যেটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে সেটা নিয়ে জল ঘোলা করে লাভ কি?

সঙবিধান লিখতে আপনার কোমলতার জুজুবুড়ি কই যায়?

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এই পোস্ট দেখেন। ং রে ঙ দিয়ে প্রতিস্থাপন করে লেখা।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

রিখি এর ছবি

বাংলাদেশের পতাকায় লাল গোল্লাটা ঠিক মাঝ-বরাবর নয়, খানিক্টা একপাশে ঘেঁষা। কোনও চিত্রকর যদি নান্দনিকতার দোহাই দিয়ে সেই লাল গোল্লাকে এক্কেবারে মাঝ বরাবর বসিয়ে দেন, মেনে নেওয়া যায়?
লেখাটা এত ভাল হওয়া সত্ত্বেও এই "চোখে লাগা"টা বিষয়বস্তুকে ছাপিয়ে উঠেছে তাই।
আশরাফ আপনি নিশ্চয়ি জাতীয় ফুল বা পখি বদলে দিতে চাইবেন না এখন...কাঁঠাল হয়তো ফল হিসেবে আপনার কাছে কোমল না-ও ঠেকতে পারে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

রিখি (ভাই/বোন), আপনি ভুল অনুবাদ করেছেন। লাল গোল্লা মাঝখানে বসিয়ে চিত্র আঁকলে সেটা বাঙলাদেশের পতাকা থাকে না। ওটা শিল্প বা চিত্র। আলাদা ব্যাপার। আর যুক্তিটি বানানের ক্ষেত্রে যায় না; বিনয়ার্থে বলছি। কারণ, বাঙলাদেশ বানানটি প্রস্তাবের সাথে কিছু যুক্তি এসেছে (সবচেয়ে ভালো হয় আপনি হুমায়ুন আজাদের ভাষাবিষয়ক লেখা/কলামসমূহ পড়লে)।
চোখে লাগা সব সময় খারাপ না; সেটাতে পরবর্তীতে যেন চোখ না লাগে সেরকম কিছু উপায় খুঁজে পাওয়া যায়।
না রে ভাই/বোন- কী সাথে কীসের উদাহরণ দিলেন। ফুল ফল পাল্টাতে যাব কেন। কাঁঠাল আমি অনেক ভালো পাই; কাঁঠালের কোষ মেখে দুধ আর মধু দিয়ে একটা চরম উপাদেয় জিনিস বানানো যায়; মা করেন।
উপস্থিতি ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। রিখি নামটা সুন্দর।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশ ই ব্যবহার করা উচিত । না হলে বুকে লাগে । এটা বলে, যা বলতে চাই তা হচ্ছে আমরা মূল টপিক থেকে সরে গিয়েছি মন খারাপ

আওয়ামী লীগ যেমন যুদ্ধাপরাধ এর বিচার না করে নাম নিয়ে ক্যাচাল শুরু করছে , আমরাও মন খারাপ.....

বোহেমিয়ান

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ওহে ছন্নছাড়া, বুকে লাগার দোহাই দিলে তো হবে না। নিজেদের ভাষাটাকে বাঁচাতে হলে, আধুনিকায়ন করতে হলে কী বুক লাগালাগি মানতে হবেই।
শেষের কথাটা চরম বলেছেন। তবে দুঃখজনক সত্য। মন খারাপ
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১.
আশরাফ, আপনার যুক্তি হচ্ছে বাংলা একাডেমী 'বাঙলাদেশ' বানানটা বৈধতা দিয়েছে। বাংলা একাডেমীর দোহাই দিয়ে আপনি সংবিধানকে খারিজ করে দিচ্ছেন। সংবিধানে স্পষ্টভাবে লেখা আছে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অন্য সবকিছুই বাতিল বলে গণ্য হবে। এর জন্য কোনো আলোচনার প্রয়োজন নাই। আপনি সংবিধানকে খারিজ করে বাংলা একাডেমীকে মাথায় তুলছেন কোন বিচারে?

২.
বাংলা একাডেমী নিজেই বাঙলাদেশ লিখে না, লিখে বাংলাদেশ। আর আপনি তাদের কাঁধে বন্দুক রেখে কোন গুলি ছুঁড়তে চাচ্ছেন?

৩.
বাংলা একাডেমীর কোন বানান অভিধানে আপনি 'বাঙলাদেশ' বানানরীতি পেয়েছেন? সেটার কোনো স্ক্যান কপি বা কিছু কি দেখাবেন দয়া করে?

বাংলা একাডেমী বানান অভিধানে বাঙলা ব্যবহৃত হয়েছে দেশ হিসেবে না... ভাষাভাষী জাতি হিসেবে। দেশের নাম অর্থে সর্বত্রই 'বাংলাদেশ'।
দেখুন বাংলা একাডেমী বানান অভিধানে কী লিখেছে-

বাঙ, বাঙ্গ বি মোরগের ডাক। [হি]
বাঙাল, বাঙ্গাল বি ১ উনিশ শতকে কলকাতার "ভদ্রলোক" শ্রেণী পূর্ব বাংলার বাঙ্গালীদের অমার্জিত গণ্য করে এই নাম দিয়েছিল। ২ খাঁটি ও গ্রামীণ পূর্ব বঙ্গের অধিবাসী (আমি বাঙ্গাল, আমার বাটী যশোহর- মধুসূদন)। বিণ সাবেক পূর্ববঙ্গীয়। [স. বঙ্গ+বা.আল]
বাঙালি, বাঙ্গালী বি ১ মাতৃভাষা বাংলা এমন জনগোষ্ঠীর জাতিসত্তাগত অভিধা। ২ গৌড়, বঙ্গ বা বাংলার অধিবাসী। ৩ বাংলাদেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খিস্টান। বিণ ১ বাংলাভাষী। ২ বাংলাদেশী; বাংলাদেশ সংক্রান্ত।

খেয়াল করুন, কোথাও বাঙলাদেশ লেখা নাই, বাংলাদেশ লেখা। এবার আপনি দেখান বাংলা একাডেমী কোথায় বাঙলাদেশকে জায়েজ করলো। অপেক্ষায় রইলাম।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

মন্তব্যে উত্তম জাঝা!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

১। সংবিধানে সুনির্দিষ্ট কোন দিকনির্দেশনা নেই যে বাঙলাদেশ বানানে লেখা যাবে না। তাই সংঘর্ষের-ও প্রশ্ন আসে না। সংবিধানে বাংলাদেশ বানানটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে তাই সবাই ব্যবহার করে এবং অভ্যস্ত। কিন্তু বাঙলা ভাষার আধুনিকায়ন প্রস্তাবে কিছু ব্যাপার আসে। একটা হলো পরাশ্রয়ী বর্ণগুলো ব্যবহার কমানো বা যেবর্ণগুলোর উচ্চারণ অন্য বর্ণাবলি দিয়ে করা যায় অর্থ ও শ্রুতিমাধুর্যতা ঠিক রেখে সেগুলো কমানো। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি এই বিষয়ে হুমায়ুন আজাদ বা আ শরীফের ভাষাভিত্তিক পুস্তক, কলাম ইত্যাদি পড়লে। নামগুলো আমার স্মরণে নেই। কারণটা বলছি।
২। কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি ছোঁড়া টেকসই উপায় নয়; গতিবিদ্যা ও বলবিদ্যা সেরকম ইঙ্গিত দেয়। তাছাড়া কোন বন্ধু বা জিনিসকে যোগান হিসেবে ব্যবহার করে বন্দুকবাজি তো দূরের কথা কলমবাজির-ও নজির নেই। আপনার এই বাক্য একটু বিস্মিত ও দুঃখিত হলাম। আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন।
৩। আমি কোন তথ্যসূত্র দিতে পারছি না। কারণ, দেশছাড়া সময় আমি একটি অভিধান পর্যন্ত আনতে পারি নি সাথে করে; সেকারণে নিজের পোস্টের বানানভুল হলে অন্য কেউ ঠিক করে দিবে এরকম আশা নিয়ে থাকি। আর সব তথ্যসূত্রগুলো হাতের কাছে থাকলে অনেক আগেই স্বতন্ত্র পোস্ট দিতাম।
তবে হুমায়ুন আজাদ বেঁচে থাকাকালীন সময়ের অভিধান ছিল যতদূর মনে পড়ে; এর জন্য বাঙলা একাদেমির কর্তাব্যক্তিদের সাথে তার কিছু বাতচিত-ও হয়েছিল বোধহয়। যাইহোক, আপনি হুমায়ুন আজাদের লেখা পড়লে (আপনার বিশাল পাঠ-পরিধি দেখে আন্দাজ করতে পারছি আপনি পড়েছেন) জানার কথা বাঙলাদেশ বানানটির পিছনের যুক্তিগুলো। কারণ, তারা কয়েকজন প্রথম ব্যবহার করেছিলেন এবং ক্রমান্বয়ে ব্যবহারের গতি বাড়ছে; বাড়বে।

আপনাকে প্রতীক্ষায় রাখার জন্য দুঃখিত; সপ্তাহান্তে ব্যস্ত সময় কাটে। শুভ রাতি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১.ক)
সংবিধানে যা আছে তাই আইন। এর বাইরে যা কিছু, তাই সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। আলাদা কইরা কোনটা সাংঘর্ষিক তা ব্যাখ্যা করার দায় সংবিধানের নাই।
১.খ)
বাংলা ভাষার আধুনিকায়ন নিয়ে আলাদা পোস্ট দিয়েন, সেখানেই এই বিষয়ে আলোচনা হবে। বাংলা ভাষার আধুনিকায়নের সঙ্গে দেশের নাম নিয়ে ক্যাচাল চলে না। আপনি বার বার যে বাংলা একাডেমীর দোহাই দিতেছেন, সেই বাংলা একাডেমীও কিন্তু নিজেরা প্রমিত বানান জারী করছে কিন্তু নিজেদের নামের বানান ঠিক করে নাই। নাম যেটা প্রতিষ্ঠিত, সেটাই।
আগে পীরকে বলেন ক্বিবলা ঠিক করতে, তারপর সেমুখো হন, নাইলে দিগ্বিদিকই ছুটতে হবে।
১.গ)
হুমায়ুন আজাদ বা আহমদ শরীফের অনেক চিন্তার সঙ্গে সহমত থাকলেও আমি কাউরে পীর মানি না।

২.ক)
গতিবিদ্যা বা বলবিদ্যাকে এখানে আনাটা পাশ কাটানোর নামান্তর। আমিও এখানে বিস্মিতই হলাম। আমি কী বলতে চেয়েছি আপনি বুঝতে পেরেছেন? আমি বলতে চাচ্ছি আপনি যে বাংলা একাডেমীর দোহাই বার বার দিচ্ছেন, সেই বাংলা একাডেমীই তো লিখছে 'বাংলাদেশ'। 'বাঙলাদেশ' না। তাহলে আপনি কোন যুক্তিতে বাংলা একাডেমীকে প্রামাণ্য মানছেন?
২.খ)
আপনি দুঃখ পেয়েছেন বিধায় আমি দুঃখিত। কিন্তু এখানে দুঃখ পাওয়ার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আপনার কবিতা আর গল্পের আমি পাঠক, আমার ভালো লাগে। এখানে একটা তর্ক চলছে, যুক্তি দিয়ে কথা চলছে। দুঃখ বা এরকম আবেগীয় শব্দগুলোর জায়গা তর্কে না থাকাই ভালো। তর্ক হোক চাঁছাছোলা, যুক্তি হোক তীক্ষ্ম।

৩.ক)
আপনি তথ্যসূত্র দিতে পারছেন না, সেই ব্যর্থতার দায়ে আমি যুক্তি থেকে সরে আসতে পারছি না বলে দুঃখিত। আপনি কোন তথ্য দিবেন? বলেন, আমি সেই তথ্য আপনার হয়ে হাজির করে দিচ্ছি। আপনি বাংলা একাডেমীর অভিধানের কথা বলছেন, আমি সেটা থেকে তুলে দিয়েছি। এখন কি আপনি বিশ্বাস করছেন যে বাংলা একাডেমী আপনার পিছনে নেই? নাকি এখনো বাংলা একাডেমীর ভূত আপনার কাঁধে চেপেই আছে?
৩.খ)
আপনি বার বার হুমায়ুন আজাদকে আনছেন। হুমায়ুন আজাদ প্রস্তাব করেছেন, স্বীকৃত না সেটা। আমি বানানরীতি মানলে কোনটা মানবো? প্রস্তাবকে নাকি পূর্ণাঙ্গ অভিধানকে? হুমায়ুন আজাদ যদি বিকল্প বাংলা বানান অভিধান প্রণয়ন করে যেতেন, তাহলে আমি নাহয় ভাবতাম। কিন্তু এখন তাঁর প্রস্তাবকে ধরে আমি একটি দেশের নাম বা নামের বানান পাল্টে ফেলতে পারি না।
আর আগেই বলেছি। আমি হুমায়ুন আজাদের অনেক বক্তব্যের সঙ্গে একমত থাকলেও এখনো তাঁকে পীর মনে করি না।

৪)
আপনার লেখার মূল বক্তব্য যে যুদ্ধাপরাধী ইস্যু... সেই যুদ্ধে আমি আপনার সহযোদ্ধাই সবসময়...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

১২ নং মন্তব্যে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, সেটা বোধহয় আপনার চোখে পড়ে নি। নিচে আবার দিলাম মডিফাই করে। আশা করি উত্তর দিবেন।

১। কোন এক সময় যদি ভাষাবিদদের যৌক্তিক কারণ বিশ্লেষণ করে বাঙলাদেশ বানানরূপটি সংবিধানে রাখা হয়, আপনি কি মেনে নিবেন?
২। অভিধান অনুসারে বাঙলাদেশ ও বাংলাদেশ দু'টো বানানরূপই শুদ্ধ। এখন একজনের উপর যে কোন একটি রূপ চাপিয়ে দেয়া কি যুক্তিসংযত? এটা কি ব্যক্তি-স্বাধীনতার খর্ব নয়?
৩। অন্যান্য ব্লগে, পুস্তকে- লেখালেখিতে বাঙলাদেশ বানানরূপটি ব্যবহৃত হচ্ছে। এই ব্যাপারে সংবিধান ভঙ্গের কোন কথা উঠে নি; উঠে না। সেসব লেখালেখিতে বাঙলাদেশ ব্যবহার হচ্ছে সগুলো সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
৪। বাঙলা ভাষার আধুনিকায়নের জন্য আপনি কি বাঙলাদেশ বানানরূপটি মেনে নিবেন? যদি না, তবে কেন নয়?

====================
পীরটির এসব না টানলে-ও চলে; অইসবে আমার ভক্তি নেই। হুমায়ুন আজাদকে আমি-ও পীর মানি না, জ্ঞানী মানি। একজন জ্ঞানী কিছু বললে আমি সেটা শুনি ভাবি- যৌক্তিক হলে অনুসরণ করি।

বাঙলা ভাষার আধুনিকায়ন নিয়ে পোস্ট দেয়ার প্রয়োজনীয় উপকরণ হাতের কাছে নেই। ভবিষ্যতে বিশদ পরিসরে কাজ করার ইচ্ছে রাখি।

গতিবিদ্যা বলবিদ্যা কথার ছলে এসেছে; আপনি যেমন পীরটির এসব আনলেন।
বাঙলা একাদেমীর সংক্রান্ত বিষয়গুলোর বক্তব্য পরে দিচ্ছি। সময় লাগবে। আমি একজনের কাছ থেকে উত্তর আশা করছি ঠিক কোন অভিধানে ছিল।
দুঃখিত হয়েছি আপনি 'বন্দুক, গুলি ছোঁড়া ইত্যাদি' হেনতেনে চাপায়ে দিচ্ছিলেন। বিতর্কই করতে চাইছি।

হুমায়ুন আজাদের প্রস্তাব আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়। তিনি প্রণয়ন করে যেতে পারেন নি বলে তার উত্তরসূরী কেউ পারবে না এরকম তো না।
আমি দেশের নাম পাল্টায়ে ফেলছি না। বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ দু'টোই ভাষিক কারণে সঠিক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাঙলাদেশ ব্যবহার করি। অন্যরা বাংলাদেশ লিখলে জোর করি না।

মূল বক্তব্যে সহযোদ্ধা হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১। আগে যৌক্তি কারণ বিশ্লেষণ করে বাঙলাদেশ বানানরূপটি সংবিধানে রাখা হউক, তারপর দেখা যাবে। অবশ্যম্ভাবী কিছু ছাড়া আর কোনো ভবিষ্যতে 'হলেও হতে পারে' ভাবনা নিয়ে কাজ করায় আপাতত উৎসাহ নাই।

২। আপনি আবারও অভিধান অনুসারে বাঙলাদেশ ও বাংলাদেশ দু'টো বানানরূপকেই শুদ্ধ মানছেন! কোন অভিধান দেখান দয়া করে। আমি অভিধান দেখেই বলছি যে বাঙলাদেশ অশুদ্ধ বানান। তার প্রমাণ দিয়েছি পর্যন্ত। আপনি না জেনে তর্ক করছেন কেন? আর যদি জেনে থাকুন তাহলে বলুন কোন অভিধানে আছে?

৩। সব ব্লগ বা পুস্তকে আমার যাতায়াত নাই। আপনি লিঙ্ক দিন, দেখবো। না দেখা পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারছি না।

৪। বাঙলা ভাষার আধুনিকায়ন কী সেটা আগে জানতে হবে। জানান। এখন আমি যদি বলি বাঙ্গালাদেশ সবচেয়ে আধুনিক, তাহলে? এটা নিশ্চয়ই মগের মুল্লুক না? এফএমপ্রজন্ম যদি বলে বেঙ্গালাডেশ হলো সবচেয়ে আধুনিক? তখন আপনি তা মেনে নেবেন?

====================
পীরটির এসব না টানলে-ও চলে; অইসবে আমার ভক্তি নেই। হুমায়ুন আজাদকে আমি-ও পীর মানি না, জ্ঞানী মানি। একজন জ্ঞানী কিছু বললে আমি সেটা শুনি ভাবি- যৌক্তিক হলে অনুসরণ করি।
পীরের প্রশ্ন আসছে একারণে যে তাবৎ জাতি বলছে বাংলাদেশ... যেখানে সবাই অজ্ঞানী না। অথচ আপনি সে কথা শুনতে পাচ্ছেন না, আপনি চেপে আছেন হুমায়ুন আজাদের পিঠেই।

বাঙলা ভাষার আধুনিকায়ন নিয়ে পোস্ট দেয়ার প্রয়োজনীয় উপকরণ হাতের কাছে নেই। ভবিষ্যতে বিশদ পরিসরে কাজ করার ইচ্ছে রাখি।
আপনার হাত সমৃদ্ধ হওয়াতক আমার বসে থাকা ছাড়া গতি নেই। আপনি আগে হাত মকশো করে আসেন। তারপর আমিও বিশদ পরিসরে কথা বলার ইচ্ছে রাখছি।

গতিবিদ্যা বলবিদ্যা কথার ছলে এসেছে; আপনি যেমন পীরটির এসব আনলেন।
বাঙলা একাদেমীর সংক্রান্ত বিষয়গুলোর বক্তব্য পরে দিচ্ছি। সময় লাগবে। আমি একজনের কাছ থেকে উত্তর আশা করছি ঠিক কোন অভিধানে ছিল।
দুঃখিত হয়েছি আপনি 'বন্দুক, গুলি ছোঁড়া ইত্যাদি' হেনতেনে চাপায়ে দিচ্ছিলেন। বিতর্কই করতে চাইছি।

আবারো আমি ধৈর্য্য ধরেই অপেক্ষা করছি আপনার হাত মকশো হওয়ার। আপনার প্রতি ওহী নাজেল হউক... আমেন।
বন্দুক গুলি ছোঁড়া চাপানোর কিছু নাই। আপনি বাংলা একাডেমীকে প্রামাণ্য মানছেন, কিন্তু বাংলা একাডেমী নিজেই বাংলাদেশ লেখে... তাই এটা বলা। অযৌক্তিক কিছু বলিনি। আপনি অন্তত একটা জায়গা দেখান যেখানে বাংলা একাডেমী বাঙলাদেশ লিখেছে। তার আগে পর্যন্ত দয়া করে বাংলা একাডেমীকে প্রামাণ্য মানবেন না।

হুমায়ুন আজাদের প্রস্তাব আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়। তিনি প্রণয়ন করে যেতে পারেন নি বলে তার উত্তরসূরী কেউ পারবে না এরকম তো না।
আপনি তো প্রস্তাবটিই পেশ করতে পারছেন না, প্রণয়ন করবেন কী করে? অনুরোধ খালি একখান- ধোঁয়ার ভাষায় কথা বলবেন না। এটা মোল্লাদের স্টাইল।

আমি দেশের নাম পাল্টায়ে ফেলছি না। বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ দু'টোই ভাষিক কারণে সঠিক। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বাঙলাদেশ ব্যবহার করি। অন্যরা বাংলাদেশ লিখলে জোর করি না।
আবারো আপনি ভাষিক কারণে সঠিক বলছেন! কিন্তু কারণের বালাইও নাই। তালগাছ আপনার মাথাতেই থাকবে? আপনি ব্যক্তিগতভাবে যা খুশি তাই করতে পারলেও পারতে পারেন, কিন্তু একটা দেশের নামকে আপনি ভুল বানানে লিখতে পারেন না। [আমি অভিধান মেনেই বলছি, আপনার বাঙলাদেশ বানান ভুল, এটাকে ঠিক প্রমাণ করেন আগে] বাংলাদেশ একটা রাষ্ট্র, যার যা খুশি সেই নামে ডাকলে চলবে না। এটা কোনো রসিকতার বিষয় না।

মূল বক্তব্যে সহযোদ্ধা হওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন দেখে ভালো লাগল। বাঙলাদেশ বানান কেন শুদ্ধ সেটা দেখুন- কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্যের কিছু অংশ কোট করছি:

বাঙলা একাডেমিতে কিছু বুড়ো এবং অলস লোক ছিলো, এবং থাকবে।
যেমন এইযে আমি একাডেমি লিখলাম, এদের নিয়মে এটাই শুদ্ধ। অথচ ওরা নিজেরাই লিখে 'একাডেমী'।
ওদের কথা হলো এই বানানটা অভিধানের মলাট থেকে পাল্টাতে হলে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।
সংসদে কতো বড় আইন পাল্টে যাচ্ছে-- আর এইটুকু তারা করতে পারে না।
আমি মনে করি হুমায়ুন আজাদ দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ব্যাকরণবিদ, তিনি লিখতেন 'বাঙলাদেশ' এই বানান।
বাঙলা একাডেমির অভিধানে 'বাঙলা' এই বানানটি আছে। কিন্তু 'বাঙলাদেশ' বানানটি নেই।
বাঙলা শব্দের সাথে দেশ জুড়ে দিলে 'ঙ' হয়ে যাবে 'ং' এমন যুক্তি ঠিক হবে কেনো?
সুতরাং 'বাংলাদেশ' বানানটি যেমন শুদ্ধ আবার 'বাঙলাদেশ' বানানও শুদ্ধ।
আমি বাঙলাদেশ লেখার পক্ষে। যেহেতু 'বাংগালি/বাঙ্গালী' বানান অশুদ্ধ, 'বাংলি' বানানও হবার নয়, শুদ্ধ হচ্ছে বাঙালি।
সিকোয়েন্সটা এই রকম, বাঙালি-বাঙলা-বাঙলাদেশ।
এখন আপনি ঠিক করুন আপনি কোনটা লিখবেন।

অন্য লেখালেখির কথা জানতে চাইলেন তো? গুগল সার্চের কয়েকটা দেখেন। তাছাড়া হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফ, নব্বই এর দশক ও শূন্য দশকের অনেকের লেখা তো আছেই।

কারণ, হুমায়ুন আজাদ বলার যোগ্যতা রাখেন। ভাষা নিয়ে। অষ্টম শ্রেণী পাস করা কোন প্রধানমন্ত্রী বা সম্মানজনক ডিগ্রীধারী কোন প্রধানমন্ত্রী সে যোগ্যতা রাখেন না।

মকশো হলো একধরনের নকলবাজি। সেটাতে উৎসাহ নেই। ভবিষ্যতে বাঙলা ভাষা ও ব্যকরণ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে রাখি। সেজন্য হয়তো কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে। তবে হবে একদিন। কথা দিলাম।

প্রণয়ন কথাটা এসেছে বিকল্প অভিধানের জন্য। হ্যাঁ, তার উত্তরসুরী কেউ (ধরে নেন আমি) প্রণয়ন করবে না এমন তো না। আর সারাক্ষণ মোল্লা, পরীটির এসবের ভয়ে ভীত থাকা অনুচিত; ওরা আস্তাকুঁড়ের মাল।

ভাষিক কারণ তো কয়েকবার বললাম। আপনি উপরের মন্তব্যগুলো পড়েন নি বলে ধারণা করছি। হাসিব ভাই, শুভাশীষ ভাই, অনিন্দ্য রহমান প্রমুখের বিপরীতে অনেকগুলো মন্তব্যে একটু একটু করে বলেছি। এককথা কয়বার বলব?

বাঙলাদেশ বানান ভুল নয়, একে ভুল করে রাখা হচ্ছে। কুপ্রথা, আইনের দোহাই দিয়ে।

আমি রসিকতা পছন্দ করলে-ও এখানে রসিকতা করছি না। বাঙলাদেশ অবশ্যই একটি রাষ্ট্র, আর রাষ্ট্র মাত্রই নিজেকে উচ্চে তোলার জন্য গ্রহণ-বর্জন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। নজির আছে ইতিহাসে। নামের বানান পরিবর্তনের-ও। সেকারণে dacca থেকে dhaka হয়েছে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এতো বড় বড় কথা বলে আপনি শেষ পর্যন্ত কোট মারলেন কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য থেকে! ধন্য ধন্য...
এখন তো তাহলে আমাকে খুঁজে দেখতে হয় কবি রইসুদ্দিন বা গল্পকার ছাগলুদ্দিন বা প্রাবন্ধিক মফিজুদ্দিন এই বিষয়ে কিছু বলেছেন কী না...
মনে হচ্ছে এছাড়া আপনার সঙ্গে তর্ক বৃথা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

সবাই দেখি সুযোগ পেলে কবি-লেখকদের তুলোধুনো করে দেয়! হায়! অথচ এই কবি সাহিত্যিকরাই ভাষাটাকে সমৃদ্ধ করেন। আপনি নিশ্চয় অবসরে জীবনানন্দ বা শহীদুল জহির পাঠ করেন? কেন করেন? মুক্তিযুদ্ধ বা দেশপ্রেমের উপর লাখ লাখ কবিতা, গান- সর্বোপরি সাহিত্য কবি-লেখকরাই লিখেন। জাতীয় সংগীত থেকে শুরু করে ব্যকরণে পর্যন্ত অবদান রাখেন।
কবি নির্ঝর নিঃশব্দ্যকে কোট করেছি বাধ্য হয়ে। হুমায়ুন আজাদকে তো আপনি পাত্তাই দিচ্ছেন না। ভাবলাম সাহিত্যপ্রেমী হিসেবে যদি কবি-লেখকদের পাত্তা দেন আরকি।
আসেন, আলোচনাকে আরো সংক্ষিপ্ত এবং একমুখী করি।

আপনি কি মনে করেন হুমায়ুন আজাদ বাঙলা ভাষা ও ব্যকরণ নিয়ে কথা বলার যোগ্য?

তবে তা হলে বাঙলাদেশ সম্পর্কে তার প্রস্তাবনা, যুক্তিতে অমত কেন? যুক্তিনির্ভর তর্কে তার যুক্তি না মানা কেমন বেসদৃশ নয়?
আসুন, যুক্তির প্যাটার্ন অনুসরণ করি।


১। বাঙলা এবং দেশ দু'টোই সঠিক বানান।
২। যেকোন দু'টি শব্দকে জোড় বানিয়ে শব্দজোড় সৃষ্টি করা যায় এবং অর্থ সৃষ্টি করা যায়।
৩। বাঙলাদেশ সেবিচারে সঠিক।

এখন বাঙলাদেশ লিখলে সংবিধান ভঙ্গ করা হবে বা দেশের অবমাননা হবে এই যুক্তি দিবেন না। কারণ সেটা কুযুক্তি বা হেত্নাভাস। যেমন কেউ যদি যুক্তি দেয় ২ আর ২ যোগ করা যাবে না- তাতে যোগফল ৪ হয়ে যাবে; তাকে আমি বলব আপনি তফাৎ থাকেন।
এই যে বাঙলাদেশ বানান বিরোধী বক্তব্য আসছে এর ভাষিক কারণ কী? নিছক প্রথা, সংবিধান।
তবে স্মরণীয় যে ভাষা দিয়ে সংবিধান লেখা হয়, সংবিধান দিয়ে ভাষার ব্যকরণ নির্ধারণ করা যায় না। ভাষা গতিশীল, সংবিধানকে গতি দেয় হয় ভাষার উপর নির্ভর করে। সেকারণে, পূর্বে প্রচলিত সংবিধানের পরিমার্জন হয়; সাধু ভাষার পাশাপাশি চলিত ও ইংরেজিতে পাওয়া যায়।
নির্ঝর নিঃশব্দ্য বক্তব্য দেয়ার মতো যোগ্য। তিনি শিক্ষিত এবং ভাষা ও ব্যকরণের উপর যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। তার চেয়ে বেশি রেখেছিলেন হুমায়ুন আজাদ ও প্রমুখ।

বাঙলাদেশ বানানটি একাডেমী বৈধতা দিতে বাধ্য (যদি-ও দিচ্ছে না)। কারণ, এটা রাজনীতির খোরাক। স্ট্যান্ডবাজি-ও বলতে পারেন। তাছাড়া, সেক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টাতে হবে, সংসদে যেতে হবে; এই কাজগুলো করতে কেউ আগ্রহী নয়। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা দিতে কেউ আগ্রহী নয়। সেকারণেই আমরা ড্রয়িংরুমে চায়ের কাপে ঝড় তুলি, আরেকজন হুমায়ুন আজাদ প্রতিক্রিয়াশীলদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।
যেহেতু দু'টো বানানই শুদ্ধ, অভিরুচি ভেদে যে কেউ বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ ব্যবহার করতে পারে। আমি বাঙলাদেশ বানানটি ব্যবহার করি।

তর্ক করা বৃথা। কারণ বাঙলাদেশ বানানটি শুদ্ধ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জনাব আজরফ মেহমুদ
আমি এখনো কবি রইসুদ্দিন বা গল্পকার ছাগলুদ্দিন বা প্রাবন্ধিক মফিজুদ্দিন প্রমুখদের বাং/ঙলাদেশ সং/ঙক্রান্ত কোনো লেখা খুঁজে পাইনি। চেষ্টা অব্যাহত আছে। তথ্য প্রমাণ পেলে আপনার দরবারে পেশ করবো। তালগাছ যেহেতু আপনার, সেটা আপনার মাথার উপরেই কঠিনভাবে দণ্ডায়মান থাকুক।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হো হো হো হা হা। নজরুল ভাই, অবাক করলেন; এটা আশা করি নি। যুক্তির কথা বলে নিজেই পাশ কাটাচ্ছেন; আমার নাম বিকৃতি করছেন। যুক্তিবিদ্যার ভাষায় একে বলে Adhominem। অর্থাৎ, যুক্তিতে ধরাশয়ী হয়ে ব্যক্তিকে ব্যঙ্গ বা আক্রমণ করা।
আপনি কিন্তু আমার যুক্তিগুলোর বিপরীতে কিছু বলেন নি।
হুমায়ুন আজাদের ভাষাভিত্তিক কলাম/বই খুঁজে (আপনি বলেছিলেন তথ্যসূত্র এনে হাজির করে দিবেন আমার জন্য)।
বাঙলাদেশ বানানটি সঠিক। এই কারণেই তালগাছ আমার। তবে ভ্রাতৃত্বের খাতিরে আপনাকে তাল দিতে আপত্তি নেই; বরং খুশি হবো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার নাম তো বিকৃত করি নাই, আজরফ কি ব্যকরণসম্মত না? মেহমুদ? কোনটা ভুল বলেন। কেন ভুল বলেন। কোমল না কঠিন?

আপনি যুক্তি দিচ্ছেন না। বাজে তর্ক করছেন। বাংলা একাডেমীর দোহাই দিয়ে শুরু করেছিলেন, অথচ বাংলা একাডেমী জীবনে কোথাও বাঙলাদেশ ব্যবহারই করে নাই। সেই প্রমাণ আমি দিলাম।

হুমায়ুন আজাদ নিয়া গলাবাজী করতেছেন। কিন্তু তার সপক্ষে কোনো প্রমাণ নাই। হুমায়ুন আজাদের অনেক বই, সব ঘেঁটে তো আমি দেখতে পারবো না। আপনি চিল্লাচ্ছেন আপনি বলেন, অন্তত কোন বই কী বই তা বলেন... কিছুই বলবেন না, অথচ ফাল পারবেন হুমায়ুন আজাদ বলছে বলে। [তিনি বলতেই পারেন, তিনি বললেই যে সেটা মানতে আমি বাধ্য থাকবো, তাও না] আমি সাধারণত গুজবে কান দেই না। কিছু বলতে চাইলে তথ্য প্রমাণ সহ বলুন। নতুবা সেটা ফালতু কথা হিসেবেই ধরবো আমি, যুক্তি হিসেবে না।

যুক্তিতে ধরাশয়ী হয়ে ব্যক্তিকে ব্যঙ্গ বা আক্রমণ করা।

এইটারে বলে 'পাগলের সুখ মনে মনে'। আমি তথ্য প্রমাণ যুক্তি সব হাজির করে বসে আছি। আপনি প্রলাপের মতো বলে যাচ্ছেন... একবার জানালেন কোথা থেকে নাকি ওহী নাজেল হবে, তারপর বলবেন। সেই ওহীও এখনো দেখলাম না।

যারা তথ্য প্রমাণ ছাড়া বাজে প্রলাপ নিয়া চিল্লায়, তাদের সং/ঙে তর্ক করায় কোনো উৎসাহ নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আবার-ও বলছি যে কোমলতার বিষয়টি অনেকগুলো যুক্তির একটি; একমাত্র যুক্তি নয়।

১। বাঙলা এবং দেশ দু'টোই সঠিক বানান।
২। যেকোন দু'টি শব্দকে জোড় বানিয়ে শব্দজোড় সৃষ্টি করা যায় এবং অর্থ সৃষ্টি করা যায়।
৩। বাঙলাদেশ সেবিচারে সঠিক।

এই ব্যাপারে আপনার অভিমত কী?
এখন বাঙলাদেশ লিখলে সংবিধান ভঙ্গ করা হবে বা দেশের অবমাননা হবে এই যুক্তি দিবেন না। কারণ সেটা কুযুক্তি বা হেত্নাভাস। যেমন কেউ যদি যুক্তি দেয় ২ আর ২ যোগ করা যাবে না- তাতে যোগফল ৪ হয়ে যাবে; এটা কুযুক্তি।
বাঙলাদেশ বানানটি একাডেমী বৈধতা দিতে বাধ্য (যদি-ও দিচ্ছে না)। কারণ, এটা রাজনীতির খোরাক। স্ট্যান্ডবাজি-ও বলতে পারেন। তাছাড়া, সেক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টাতে হবে, সংসদে যেতে হবে; এই কাজগুলো করতে কেউ আগ্রহী নয়। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা দিতে কেউ আগ্রহী নয়।
হুমায়ুন আজাদের এই বইগুলো দেখতে পারেন:
# বাঙলা ভাষার শত্রুমিত্র (১৯৮৩)
# বাঙলা ভাষা (প্রথম খন্ড) (১৯৮৪)
# বাঙলা ভাষা (দ্বিতীয় খন্ড) (১৯৮৫)
# লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী (১৯৭৬)
# ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা (১৯৮৫)
# কতো নদী সরোবর বা বাঙলা ভাষার জীবনী (১৯৮৭)
ভাষার আধুনিকায়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন। এছাড়া তিনি তার সব রচনায় বাঙলাদেশ বানানটি লিখেছেন।

একজন ভাষাবিদের বানানে আমি আগ্রহী, একজন অর্ধশিক্ষিত রাজনীতিবিদের বানানে নই। সেকারণে বাঙলাদেশ ব্যবহার করি।

আপনারা কিছু জায়গায় ভুল অনুবাদ করছেন। বাংলাদেশের নাম পাল্টিয়ে বাঙলাদেশ করতে চাইছি না। এই জায়গাটিতে সবাই ভুল বুঝছে। বরং, বাঙলাদেশ বানানটি যে সঠিক সেটা বলছি; বিকল্প বানান।
যেহেতু দু'টো বানানই শুদ্ধ, অভিরুচি ভেদে যে কেউ বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ ব্যবহার করতে পারে। আমি বাঙলাদেশ বানানটি ব্যবহার করি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

আশরাফ, আলোচনা ভিন্ন দিকে গেলেও, খুব একটা অজরুরী অপ্রয়োজনীয় দিকে যায়নি। ভাষা নিয়ে এই ধরণের আলোচনা যত হয় তত ভালো।

এখানে আমি একটি মন্তব্য করতে চাই আপনার আগের একটি পোস্টে করা আপনার কমেন্ট নিয়ে। আপনি সেখানে বলেছিলেন "বাঙলা ভাষা কিন্তু এখনো স্ট্যান্ডার্ডাইজড হয় নি; মানে আধুনিক ভাষাগুলো যেরকম স্বাতন্ত্র্য হয় (যেমন ধরেন: ইঙরেজি, ফরাসী)। MLA কিছু দিকনির্দেশনা প্রদান করে। বাঙলাটা আসলে ভেজাল। একটা বাক্যকে ভেঙে আপনি অনেকভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। যেমন ধরেন: 'আকাশে সুন্দর চাঁদ উঠেছে' বা 'সুন্দর চাঁদ উঠেছে আকাশে' বা 'আকাশে উঠেছে সুন্দর চাঁদ।' ইংরেজি (এখন থেকে ং এই ব্যবহার করি; ঝামেলা পাকাতে ভালো লাগে না)-তে কিন্তু Suject-verb-objective নিয়ম মানা হয় সাধারণত।"

বাংলা বাক্যে বিভক্তিযুক্ত শব্দই পদ। বিভক্তির অনিবার্য প্রয়োগ বাংলা বাক্যের সিনট্যাক্স বা পদক্রমকে তারল্য দিয়েছে। ইংরেজিতে এই সুযোগ নেই।

---------------------------------------------------------------------------------

আপনার এই পোস্ট নিয়ে আমার মন্তব্য হচ্ছে আমি আপনার লেখার ৭ নম্বর পয়েন্টটার সাথে বিশেষভাবে একমত। কিন্তু আমি এও মনে করি, ভোটের জন্য হোক বা না হোক, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আর সাড়ে ৩ বছরে শেষ করা সম্ভব নয়। সদিচ্ছা থাকলেও। বাংলাদেশে যত মানুষ ১৯৭১ এ সংগঠিত যুদ্ধাপরাধ মেনে নিতে চান না / জেনে নিতে চান না / এড়িয়ে যেতে চান / ভুলে যেতে চান - তারা সকলেই একেকজন পটেনশিয়াল যুদ্ধাপরাধী। আবার মুক্তিযুদ্ধ হলে, ৭১ এর চেয়ে বহুগুন বেশি রাজাকার পাওয়া যাবে এখন। এই নব্য রাজাকাররা আমার আপনার নিকট আত্মীয় বন্ধু সহকর্মী । এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। এবং এই কারণেই সাড়ে ৩ বছরে এক্সক্লুসিভলি জুডিশিয়াল অ্যাকশন নিয়ে এই কুকুরদের দূর করা যাবে না


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

অনিন্দ্য, আলোচনায় আমি-ও আগ্রহী। কারণ এতে নিজের জানা বিষয় শেয়ার করা যায় এবং নতুন জিনিস শেখা যায়। তবে আলোচনার শুরুতে আইনের ছুরি সংবিধানের তলোয়ার দেখালে অস্বস্তি জাগে বৈকি। আর বাঙালি আলোচনার চেয়ে সমালোচনায় বেশি আগ্রহ দেখায়!
মন্তব্যটি করেছিলাম প্রকৃতিপ্রেমিক-কে বোঝানোর জন্য যে কেন বাঙলা ভাষার আধুনিকায়ন প্রয়োজন- সেটা হবে সময়ের সাথে খাঁপ খাওয়ানো, বিজ্ঞানভিত্তিক।

বাংলা বাক্যে বিভক্তিযুক্ত শব্দই পদ। বিভক্তির অনিবার্য প্রয়োগ বাংলা বাক্যের সিনট্যাক্স বা পদক্রমকে তারল্য দিয়েছে। ইংরেজিতে এই সুযোগ নেই।

আপনি সঠিক। এটা আমি জানি। আর সেকারণেই ইন্দো-ইউরোপিয়ান ভাষাগুলোর মাঝে (আরো গভীরে গিয়ে বললে) ভারতীয় উপমহাদেশে চলমান ভাষাগুলোর (যেমন- বাঙলা, হিন্দি) ইত্যাদি ভাষা সংগীতঘেঁষা বা সুরেলা। গানের জন্য স্বরলিপি বিশাল। কার লেখায় পড়েছিলাম মনে নেই।
================
একমত।
মন্তব্যের জন্য বিনীত।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আশরাফ ভাই এবং / অথবা অন্যান্যরা—

একটু খেয়াল করুন। সাধুভাষা কিন্তু বেঠিক না। পুরদস্তুর সঠিক। কয়েক দশক আগেও সাহিত্যচর্চা হতো এই সাধু রীতিতে। এখন হয় না। আমার জানামতে কেবল ইত্তেফাক ছাড়া আর কোনো দৈনিক পত্রিকাও এই রীতিটা অনুসরণ করে না। এখন কেউ যদি এই রীতি অনুসরণ করতে চায়, করে- তাহলে কি 'ভুল' করছে বলা যাবে?

তবে হ্যাঁ, এই কাজটা যিনি করবেন তাঁকে স্রোতের বিপরীতে চলতে চাওয়া বলে আখ্যায়িত করা যেতে পারে বটে। কারণ এখনকার সময়ে সাহিত্য চর্চায় সাধু রীতির চেয়ে চলিত রীতিরই প্রচলন বেশি।

'বাঙলাদেশ' বানানটাও সবাই স্বীকার করছেন বেঠিক না। বানান হিসেবে শতভাগ শুদ্ধ। কিন্তু এর প্রচলন কি 'বাংলাদেশ'-এর মতোই স্বচ্ছন্দ! ভাষা রীতির ক্ষেত্রে যেমনটা আমরা সাধু ছেড়ে চলিতকে বেছে নিয়েছি, তেমনি শব্দের ক্ষেত্রে সেই ছাড়টা দিতে কেনো আমরা নিমরাজী, বলেন তো! কেনো নিজের তালগাছটা আঁকড়ে দাঁড়িয়ে আছি চোখ বুঁজে!

হতাশ হচ্ছি, একটা সাম্প্রতিক সময়কে ধরে রাখা লেখা হারিয়ে যাচ্ছে বানান রীতির ক্যাচালে! ঠিক না, একদম ঠিক না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ধুগো ভাই, খুব আপ্লুত হলাম মন্তব্য পড়ে। তবে মাইনাচ কারণ মন্তব্যটা অনেক আগে করা উচিত ছিল আপনার।
স্বপ্ন ও বিশ্বাস রাখি একদিন মানুষজন বুঝবে। হয়তো দেরী হয়ে যাবে।
সবচেয়ে ছেলেমানুষী লাগছে সংবিধানের দোহাই দেয়া। স্বয়ং সংবিধান পর্যন্ত বলে নি যে বাঙলাদেশ বানানে লিখলে হেনতেন হবে। বাংলাদেশ ব্যবহার করা হয়েছিল কারণ যখন সংবিধান প্রথম প্রণীত হয় তখন বাংলাদেশ বানানটি প্রচলিত ছিল।
বরাহবাহিনী, বেজন্মাগুলো যে সংবিধানের তেরো অবস্থা করছে; এতো বছর পরো ওরা ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলে সেদিকে নজর নেই; সবাই সংবিধানের বানান নিয়ে আছে। ভাষার জন্য সংবিধান, না সংবিধানের জন্য ভাষা?

Benedict Anderson এর একটা চমৎকার বই আছে দেশপ্রেম, ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদির বিজ্ঞানভিত্তিক ও দার্শনিক বিশ্লেষণ নিয়ে। তিনি একটা কথা বলেছেন আমরা সবাই মূলত Imagined Community তে বিশ্বাসী। এই যে জার্মানে থেকে-ও আপনি বাঙলা ভাষা জন্য আকুতি প্রকাশ করছেন কিংবা কেউ একজন আমেরিকায়; কারণ কি? কারণ আমরা একটা কাল্পনিক সম্প্রদায় সৃষ্টি করি; সেটা সর্বদা স্থান নির্ভর নয় (মানে দেশ নির্ভর নয় সবসময়); বরং ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদি নির্ভর।
বাঙলাদেশ লিখলে সংবিধানের ক্ষয় বা অবমূল্যায়ন হবে এসব বাল্যখিল্য যুক্তি। বলতে বাঁধলে-ও বলা হয়ে যায়। আমেরিকার (আমি আমেরিকার সাথে আমাদের দেশের তুলনা করছি না; বরং ফ্যাক্ট হিসেবে উপস্থাপন করছি) সংবিধান মতে পতাকার হেনতেন আকৃতিবিকৃতি অনুচিত। এরা অন্তবাসে-ও পতাকা পরে; আঁকাআঁকি করে; তার কাছে সেটাই হয়ত দেশপ্রেম দেখানো উপায়। কিন্তু কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া কঠিন- কারণ ব্যক্তি স্বাধীনতা। কিছু মজার কেইস আছে। গুগল করলে পাবেন।
এখন বাঙলাদেশে এরকম কিছু করলে তারে জ্বালায়ে পোড়ায়ে ফেলা হবে। কিন্তু কেন হচ্ছে সেটা না ভেবে হুজুগে মাতে সবাই। এটাই খারাপ লাগে। ভালো কিছু হলে স্বাগত জানাতে দ্বিধা নেই। সেটাতে যদি কুপ্রথাগুলো আহত হয়, ক্ষতি নেই।

ভালো থাকুন। আপনার গোধূলিগুলো শুধু ধূসর না থেকে সপ্তবর্ণা হয়ে উঠুক।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

নাশতারান এর ছবি

কেউ কি এগিয়ে এসে একটি ভালো দল গঠন করতে পারে না?

ভীষণভাবে সহমত।

কোন দেশের মানুষ? বাঙলাদেশের। অনেকে নামই শুনে নি!

আমিও শুনিনি। আপনার গোয়ার্তুমি আর সবার তর্ক-বিতর্কের দীর্ঘ শেকল দেখে বিরক্ত লাগছে। এমন জরুরি একটা প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ে বানান নিয়ে তর্ক চলছে এখানে। আর আপনি মশাই বাংলাদেশের বানানকে কোমল করতে বদ্ধপরিকর, অথচ নিজে কোমল হচ্ছেন না এতটুকুও।

আজ আপনি বানান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরিবর্তন আনতে চাইছেন। কাল কোন এক ভূঁইফোঁড় এসে বানানকে নিয়ে যা খুশি তাই করে আপনার নামের বরাত দেবেঃ "আশরাফ মাহমুদ এমনটা করেছেন। উনাকে তো কেউ কিছু বলেনি। আমি করলেই দোষ?"

কাজেই তর্ক চলতেই থাকবে। পারলে আপনি "বাংলাদেশ" কে "বাংলাদেশ"ই থাকতে দিন।

পুনশ্চঃ কলাম লিখুন নিয়মিত।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বুনোহাঁস, আপনার মন্তব্যে বিস্মিত হলাম। অনেকে ভাবছে যে বাঙলাদেশ বানানটা আমার বানানো! সেরকম হলে দায়ভার আমিই নিতাম। এটা দু'দশক ধরে প্রচলিত। শুধু আমি না; হাজার হাজার জন ব্যবহার করছেন। বাঙলাদেশ, পরীক্ষার খাতায় আমি-ও ব্যবহার করেছি। কারণ যুক্তি ছিল।
ভালো কিছু এলে স্বাগত জানাব, ভালো না হলে সে নিজেই ঝরে যাবে। তর্ক-বির্তক জ্ঞানের জন্য অত্যাবশীক ঘটনা।
আপনারা না হয় এখানে সাময়িকভাবে বাংলাদেশ লিখতে বাধ্য করবেন (বা অনুরোধ করবেন)। কিন্তু অন্যরা থামবে? কয়জনকে থামাবেন? এটা স্বীকৃতি পাবেই একদিন। কারণ এটি যৌক্তিক- শুধু আবেগনির্ভর নয়।
আবার-ও বলছি মহাযজ্ঞে আমি ক্ষুদ্র একজন। বানানটা নিজস্ব নিরিক্ষালব্ধ নয়।

চেষ্টা করব। উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ রইল।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখাটা যেমন ভালো লাগল ঠিক ততটাই বিরক্ত লাগল আপনার বাঙলাদেশ, অনেক যুক্তি-তর্ক হয়ে গেছে, কিন্তু সেদিকে যাচ্ছি না, খালি এটুকুই বলি, বাংলাদেশকে চিনি, 'বাঙলাদেশ'কে না, এটা নিয়ে শুধু শুধু পানি ঘোলা না করলেই পারতেন, তাহলে আপনার লেখার বিষয়বস্তু ফোকাস পেত। খরচ বাচানোর কথা বলছেন, বাংলা থেকে বাঙলায় গেলে সবকিছুই পরিবর্তন করতে হবে, সেটাকি ভুলে গেছেন? বই খাতা, রসিদ থেকে শুরু করে সব কাগজপত্রে। সেটা যদি করতে চান, তাহলে আপনার এই পোস্টটা কিন্তু একটা হিপোক্রেসি হয়ে যাচ্ছে? আমি কি ভুল বললাম, হাসিনার ছাল তুলতে সে নিজেই তার পদাঙ্ক অনুসরণ করতেছেন, দেশের নামের বানান পাল্টানোর জন্যে কোমর বেঁধে ঝগড়া করতেছেন, সেটা খুবই বিরক্তিকর। দেশের নামে কোমলতার ব্যাপারটা কি? আমি আমার দেশের ব্যাপারে যখনই কথা বলি, বীরদর্পেই বলি, এরমাঝে কোমলতার কোন ব্যাপার নাই, কাজেই কেউ কোমলতার দোহাই দিলে তার ঘাড়ে আমি লাফায়া পড়লে আমারে কেউ দোষ দিতে পারবেন না।

@শুভাশীষদা, অন্যকারো অসুবিধা থাকবে না মানে? বাংলাদেশ যেমন একটা, তার জন্যে গ্রহনযোগ্য বানানও একটাই থাকা দরকার, তাই আমি আপনার এবং হাসিব ভাইয়ের সাথে গলা মিলায় বলব, "বাঙলাদেশ" বানান মানি না।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

পানি আমি ঘোলা করছি না; অন্যরা করছে।
খরচের ব্যাপারটা হাসিনা করছেন। ওটা রম্য। আপনি মনে হয় ভুল পাঠ করেছেন।
শুনেছি আপনি ডাক্তার। একটা প্রশ্ন করি। আপনার নিশ্চয় চিকিৎসাকাজে নানা ধরনের যন্ত্রাবলি ব্যবহার করেন। এখন নতুন আবিষ্কারে যদি পুরানো যন্ত্রের চেয়ে ভালো যন্ত্র পাওয়া যায় এবং সেটা নির্ভুল, উপকারী হয়- আপনি কি পুরানোটা আঁকড়ে বসে থাকবেন? যদি কয়েকজন রোগী অক্কা পায় যন্ত্রের ভুল তথ্যের কারণে? বিষয়টা সেরকম। বানানটির পিছনে কিছু ভাষিক কারণ আছে (উপরে মন্তব্যগুলো পাঠ করলে বুঝতে পারবেন)।
বীরদর্পে বললেই বীর হওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ- দু'টো বানানই চলে; বেশিকম। আমার কথা হলো আপনি যদি অস্বস্তি বোধ করেন তবে বাংলাদেশই লিখুন- আমি কিছু বলব না। আমি (এবং অন্য যারা ভাষিক যুক্তিতে অটল) বাঙলাদেশ বানানেই লিখি। আশা করি ঘাড়ে ঝাঁপায়ে পড়ার ভয় দেখাবেন না।
সপরিবারে ভালো থাকুন। শুভ রাতি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এখন নতুন আবিষ্কারে যদি পুরানো যন্ত্রের চেয়ে ভালো যন্ত্র পাওয়া যায় এবং সেটা নির্ভুল, উপকারী হয়- আপনি কি পুরানোটা আঁকড়ে বসে থাকবেন?
আশরাফ ভাই, নতুন যন্ত্র কোনটা? 'বাঙলাদেশ' নাকি 'বাংলাদেশ'?

কেউ যদি দেশের নাম হিসেবে "বঙ্গদেশ"ও ব্যবহার করে তাকে কি 'ভুল' বলা যাবে? ব্যাকরণগতভাবে তো তাকে ভুল প্রমাণ করতে পারবেন না। কিন্তু দেশের নাম হিসেবে বঙ্গদেশ ব্যবহার করাটা কি সমর্থন করবেন?

কোনো কবি, লেখক, প্রবন্ধকার হাজারবার, লক্ষবার, কোটিবার "বঙ্গদেশ" ব্যবহার করে গেলেও কিন্তু সেটা দেশের নাম হিসেবে প্রচলিত হয়ে যায় না। শুধু শব্দ হিসেবে "শুদ্ধ" মর্যাদা পায়। "বাঙলাদেশ" শব্দটাও ঠিক তেমন।

একটু অফটপিকে সংবিধানের কথা বলে রাখি। আমাদের ভাষার স্থানীয় নাম ছিলো "বাংলা"। কিন্তু ইংরেজীতে এই সেদিনও সেটা দাপ্তরিকভাবে পরিচিত ছিলো "বেঙ্গলি" হিসেবে। সেটা পরিবর্তিত হয়েছে। সংবিধানেই। আমি এটা জানি বিগত দুই হাজার এক সাল থেকে। সম্ভবত বাঙলা একাডেমী এখনো জানে না। তারা কি ইংরেজীতে "বাংলা" লিখে নাকি এখনো "বেঙ্গলি"তেই আটকে আছে কে জানে!

এখন সংবিধানের "বাংলা" অনুসরণ না করে যদি বাঙলা একাডেমীর "বেঙ্গলি" অনুসরণ করতে থাকি, তাহলে হবে? যদি তাই করে যাই, তাইলে আর সেটা ঘটা করে বদলানোর দরকার ছিলো কি?

এখন প্রশ্ন আসে, সংবিধানে আছে বলেই মানতে হবে?
তাহলে আবার অন্য প্রসঙ্গ শুরু হয়ে যায়!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বাঙলাদেশ নতুন। কারণ এটি আধুনিক ভাষারীতি ও যুক্তি নির্ভর। আর বাংলাদেশ বানানটি প্রচলিত, প্রথাকাতর।
তবে বাংলাদেশ বানানটি খারিজ হয়ে যাবে না। বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ দু'টো বানানই সঠিক। যে কেউ একটি বেছে নিতে পারে, এটা ব্যক্তি-স্বাধীনতা।

ধূগো ভাই, বঙ্গদেশ আর বাংলাদেশ এক জিনিস নয়। বঙ্গদেশ তৎকালীন বৃহত্তর বাঙলা (মানে পশ্চিমবঙ্গসহ অন্যান্য বাঙলা ভাষাভাষী অঞ্চল নিয়ে); আর বাঙলাদেশ বা বাংলাদেশ স্বাধীন বাঙলাদেশ বা বাংলাদেশ যেটি ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত।

ব্যকরণবিদরা দেশের নাম পাল্টাতে চাচ্ছে না। বরং তারা যুক্তি অনুসারে প্রস্তাব করছে যে বাঙলাদেশ বানানটি-ও সঠিক। শুদ্ধ। এখন শুদ্ধ যে কোন একটি বানানে লিখলে দেশের ক্ষয় হবে না।

দারুণ একটা লিংক দিয়েছেন ভাই। অর্থাৎ, সংবিধানে-ও পরিবর্তন হবে; দেশের বা ভাষার জন্যও। কিন্তু এই অভাগা দেশে যে সবকিছু ধীরে আসে। তাছাড়া, সংবিধানে কোন বিধিনিষেধ-ও নেই যে বাঙলাদেশ বানানটি ব্যবহার করা যাবে না।

জ্বি, সেটাই। সংবিধানে আছে বলেই মানতে হবে এমন কথা নেই। যেমন আমরা চাচ্ছি বেজন্মাদের বিপরীতে পঞ্চম সংশোধনীতে ফিরে যেতে। আর যুগ, সময় ইত্যাদির সাথে ভাষা পরিবর্তনশীল; সংবিধান তো বটেই।
আগে ভাষা, পরে সংবিধান; আগে '৫২- তারপরে '৭১।
ফলোআপের জন্য ধন্যবাদ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

আশরাফ ভাই, আপনি বাঙলাদেশ লিখতে গিয়ে ভুল উচ্চারণকে উৎসাহ দিচ্ছেন। ঙ এর পর একটা উহ্য "অ" থাকে, যেটা ং এর পর থাকে না। আপনার লেখায় উচ্চারণটা দাঁড়াচ্ছে এমন, বাং-অলা-দেশ। সেটা ভুল।

আর কোমল করে সব কাজ হয় না। প্রয়োজনের তুলনায় কোমল হতে গেলে বংশবিস্তারই হুমকির মুখোমুখি হয়ে যায়। জায়গামতো শক্ত হই আসুন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হিমু ভাই, না ভুল উচ্চারণ নয়; আপনি নিজেই বলেছেন 'অ' উহ্য থাকে। যেমন ধরুন- "আপনি কেমন আছেন?" এই বাক্যকে আপনি লিখতে পারেন "কেমন আছেন?" সেক্ষেত্রে "আপনি" উহ্য হয়ে যায় (যদি-ও আভাস থাকে)। এখন লেখার ক্ষেত্রে বা বলার সময় আপনি "আপনি" বলেন না। যেমন 'সুন্দর' লিখতে বা উচ্চারণ করতে গিয়ে বলেন বা লিখেন না "সুন্দঅর"।
নজরুল ভাইয়ের সাথে কিছু আলোচনা হয়েছে, আশা করি সময় পেলে দেখবেন। অনেকগুলো যুক্তির কথা উপরে বলেছি।
কোমলতার ব্যাপারটি অনেকগুলো যুক্তির একটি। তবে সবাই কোমল কোমল করে আমাকেই কোমল বানিয়ে দিচ্ছে এখন।
অবশ্যই। জায়গা তো আছি। সেকারণেই সাহিত্যের পাশাপাশি বরাহশিকারে-ও নামি, নামব। কিন্তু বাঙলাদেশ শুদ্ধ বানানটি খারিজ করে দেয়া অন্যায়। বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ দু'টোই সঠিক। যে কোন একটা ব্যবহার করলে চলে। যেমন চলে 'শাদা' ও 'সাদা' বানান দু'টির একটি। এক্ষেত্রে দেশ ও সংবিধান জড়িত বলে একটু ঝামেলাকর মনে হচ্ছে। কিন্তু সঠিক।
দেরীতে হলে-ও মন্তব্য ও উপস্থিতির জন্য ধন্যবাদ।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

ভাইডি, ঙ আসলে স্বরবর্ণ ছাড়া আসে না। ং আসে। বিদ্যাসাগর এ কারণেই ং কে বাংলায় নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ যখন আমরা বলি, তখন বলি বাং, তারপর লা, তারপর দেশ। আপনার প্রস্তাবিত বাঙলাদেশ বলতে গেলে আসবে বাং, তারপর অলা, তারপর দেশ। আপনি উচ্চারণ করে দুটোর পার্থক্য আমাদের কাছে স্পষ্ট করুন না।

আর আপনার তর্কের এই ধারা খাটাতে গেলে দুনিয়ার সব বানানই যে যার মতো করে কোমল কঠোর খাটিয়ে লিখতো। এটা করলে কারো মাথা কাটা হয়তো পড়বে না, কিন্তু একটা অনর্থক গোলযোগ বাঁধবে। আপনি চাইলেই আজকে রবিন দ্রোণাথ লিখতে পারেন না। কোনো ব্যক্তি যদি দাবি করে, রবিন দ্রোণাথ তার কাছে কোমল ও যথাযথ মনে হয়, তাহলে তার সাথে তর্ক চলে না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হিমু ভাই, আবার-ও বলছি যে কোমলতার বিষয়টি অনেকগুলো যুক্তির একটি; একমাত্র যুক্তি নয়।

আসুন, যুক্তির প্যাটার্ন অনুসরণ করি।

১। বাঙলা এবং দেশ দু'টোই সঠিক বানান।
২। যেকোন দু'টি শব্দকে জোড় বানিয়ে শব্দজোড় সৃষ্টি করা যায় এবং অর্থ সৃষ্টি করা যায়।
৩। বাঙলাদেশ সেবিচারে সঠিক।

এখন বাঙলাদেশ লিখলে সংবিধান ভঙ্গ করা হবে বা দেশের অবমাননা হবে এই যুক্তি দিবেন না। কারণ সেটা কুযুক্তি বা হেত্নাভাস। যেমন কেউ যদি যুক্তি দেয় ২ আর ২ যোগ করা যাবে না- তাতে যোগফল ৪ হয়ে যাবে; তাকে আমি বলব আপনি তফাৎ থাকেন।
এই যে বাঙলাদেশ বানান বিরোধী বক্তব্য আসছে এর ভাষিক কারণ কী? নিছক প্রথা, সংবিধান।
তবে স্মরণীয় যে ভাষা দিয়ে সংবিধান লেখা হয়, সংবিধান দিয়ে ভাষার ব্যকরণ নির্ধারণ করা যায় না। ভাষা গতিশীল, সংবিধানকে গতি দেয় হয় ভাষার উপর নির্ভর করে। সেকারণে, পূর্বে প্রচলিত সংবিধানের পরিমার্জন হয়; সাধু ভাষার পাশাপাশি চলিত ও ইংরেজিতে পাওয়া যায়।

বাঙলাদেশ বানানটি একাডেমী বৈধতা দিতে বাধ্য (যদি-ও দিচ্ছে না)। কারণ, এটা রাজনীতির খোরাক। স্ট্যান্ডবাজি-ও বলতে পারেন। তাছাড়া, সেক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম পাল্টাতে হবে, সংসদে যেতে হবে; এই কাজগুলো করতে কেউ আগ্রহী নয়। বিড়ালের গলায় ঘণ্টা দিতে কেউ আগ্রহী নয়। সেকারণেই আমরা ড্রয়িংরুমে চায়ের কাপে ঝড় তুলি, আরেকজন হুমায়ুন আজাদ প্রতিক্রিয়াশীলদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন।

আর আমি রবীন্দ্রনাথ বা অন্য নাম পাল্টাতে চাচ্ছি না। বাংলাদেশের নাম পাল্টিয়ে বাঙলাদেশ করতে চাইছি না। এই জায়গাটিতে সবাই ভুল বুঝছে। বরং, বাঙলাদেশ বানানটি যে সঠিক সেটা বলছি; বিকল্প বানান।
যেহেতু দু'টো বানানই শুদ্ধ, অভিরুচি ভেদে যে কেউ বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ ব্যবহার করতে পারে। আমি বাঙলাদেশ বানানটি ব্যবহার করি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

আপনার যুক্তির গোড়া খুব দুর্বল। কারণ বাঙলা বানানটা শুদ্ধ নয়। আপনি নিজে কোনো পুস্তক রচনা করে সেটিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন কি না জানি না, তবে অভিধানে নেই।

বাংলা একাডেমীর অভিধান কারো হাতের কাছে থাকলে আমার এ কথা যাচাই করে দেখতে পারেন। সংসদ অভিধানে "বাঙলা" বলে কোনো ভুক্তি নেই। চলন্তিকা কী বলে?

আপনি আমার ঘাড়ে অন্যদের যুক্তির ছালবাকলচল্টা দয়া করে চাপাবেন না। আমি কী বলেছি সেটা একটু দেখুন। ঙ বর্ণটি ক-বর্গীয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এটির হসন্তযুক্ত রূপ নেই। হসন্তযুক্ত উচ্চারণটি বাংলায় "ং" দিয়ে লেখা হয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার বলছি এক কথা, যে উচ্চারণের দিকে তাকান।

বাংলার বিকল্প কখনোই বাঙলা নয়। কামলার বিকল্প যেমন কামঅলা নয়। আপনি কি বুঝতে পারলেন আমার কথা?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্যাকরণে আমার কোন দখলই নাই। কিন্তু হিমুর যুক্তিকে আমার শক্ত মনে হচ্ছে। বাঙময় (বানান হলো কিনা নিশ্চিত নই) একটা শব্দ আছেনা? সেটা তাহলে কোন ফ্রেমে পড়ে? (তর্ক নয়, জানার জন্য প্রশ্ন করলাম হাসি )

হিমু এর ছবি
আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

হিমু ভাই, আপনি ভাষিক কারণ যুক্তি হিসেবে পেশ করছেন এটা শুভ কিছু।
বাঙলা বানানটি শুদ্ধ। বঙ্গ তৎসম শব্দ; বঙ্গ শব্দটি থেকে বঙ্গীয়, বাঙ্গাল, বাঙ্গালী, বাঙ্গলাদেশ এইসব শব্দ হয়, আর বাঙালি সেইখান থেকেই মানে তৎসমজাত। বাঙলা একাডেমীর অভিধানে আছে, আমি একজনের মাধ্যমে শিওর হলাম; উপরে নজরুল ভাই-ও বলেছেন যে বাঙলা বানানটি আছে।

আপনি আমার ঘাড়ে অন্যদের যুক্তির ছালবাকলচল্টা দয়া করে চাপাবেন না।

এই কথাটি বুঝি নি। কিংবা সেটুকু বুঝেছি সেটা হয়ত ভুল অনুবাদ করেছি। আমি আমার যুক্তির জন্য নির্ভর করছি ভাষিক কারণ, ব্যাকরণবিদ- এসবের উপর। আপনি কি বলতে চাইছেন যে হুমায়ুন আজাদ ছালবাকলচল্টা যুক্তি দিয়েছেন?
সময়-সংকোচন বিষয়টি বুঝতে যেমন আইনস্টাইনের 'আলোর গতি সব মিডিয়ামে সমান এবং ধ্রুব' এই সূত্রের উপর নির্ভর করি তেমনি ভাষা সম্পর্কিত আলোচনায় অবশ্যই ভাষাবিদদের উপর নির্ভর করি।

ঙ বর্ণটি ক-বর্গীয় ব্যঞ্জনবর্ণ। এটির হসন্তযুক্ত রূপ নেই। হসন্তযুক্ত উচ্চারণটি বাংলায় "ং" দিয়ে লেখা হয়। এই নিয়ে তৃতীয়বার বলছি এক কথা, যে উচ্চারণের দিকে তাকান।

তৎসমজাত যেসব শব্দ সন্ধিযুক্ত নয় সেইসব শব্দে অনুস্বার ং হবে না।
'বাঙলা' শব্দটির সন্ধি নাই। তাই বাঙলা শব্দটি ং দিয়ে হবে না।
সংবাদ=সম+বাদ, এটি তৎসম, এটার সন্ধি হয় বলেই এটাতে অনুস্বার হবে।

আর বাংলাদেশ এবং বাঙলাদেশ শব্দ দু'টোর মাঝে কোন উচ্চারণগত পার্থক্য নেই। আপনি কোন যোগ্য উচ্চারণবিদকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
আর আপনার কথা সঠিক হলে রাঙ্গামাটি>রাঙামাটি কিংবা ঘ্যাঙরঘ্যাঙ ইত্যাদিতে অনেক শব্দে ঘাপলা আসতো। বিদ্যাসাগরের আমলে কিছুটা ছিল; কিন্তু সময়ের সাথে সেসব বিলীন। যেমন 'তৎসম'কে লেখা হয় 'ততসম'; উচ্চারণ একই। আর আধুনিকায়নের সাথে সাথে আমরা অনেক বর্ণ সংযোজন বিয়োজন করছি। যেমন ধরেন- ঋ (রি) কে অনেকে স্বরবর্ণ বলে না। তেমনি ৯ তো পুরোই বিলুপ্ত।
উপরে অনেকে সংবিধানের দোহাই দিল আপনি দিচ্ছেন উচ্চারণ আর কোমলতার। আমি আবারো বলছি কোমলতা হলো অনেকগুলো যুক্তির একটি- একমাত্র যুক্তি নয়। আর কোমলতা শুধু উচ্চারণ বিষয়ক নয়; বরং লিপিবিন্যাস, লেখনি প্রভৃতি অনেককিছু হতে পারে। যেমন ধরেন- আগে আমরা লিখতাম জোৎস্ন্যা (না লিখতে লিখতে বানানই ভুলে গেছি); কিন্তু এখন লিখি জোছনা (অনেকে আবার খাইসি-করসি ইত্যাদির মতো করে জোসনা লিখে)। এখানে কোমলতা হলো লেখনির সাথে সম্পর্কিত। যুগ ও প্রয়োজনে অনেক কিছু পাল্টাবে। এর জন্য প্রয়োজন ভাষা ও ব্যাকরণের হালনাগাদকরণ।
হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফ, এবং অন্যান্য কবি-সাহিত্যিকরা ফ্যাশান এর জন্যে বাঙলাদেশ লিখেন নি বা লিখছেন না। এইভাবে লিখলে শুদ্ধ বলে লেখা হয়।
শুধু সংবিধান সহ অন্যান্য নথিপত্রে বানানটা ঠিক করতে হবে বলেই ভুল বানানটা মানে বাংলাদেশ বানান অভিধানে রাখা হয়েছে।

হিমু ভাই, আমার মনে হচ্ছে আমরা একটি মিমাংসিত বানান নিয়ে অমিমাংসিত তর্কে উপনিত হয়েছি। আর দু'টি বানানের একটি অভিরুচি অনুযায়ী যে কেউ বেছে নিতে পারে। আমি অন্য অনেকের মতো বাঙলাদেশ বানানে লিখি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

বাঙলা একাডেমীর অভিধানে আছে, আমি একজনের মাধ্যমে শিওর হলাম; উপরে নজরুল ভাই-ও বলেছেন যে বাঙলা বানানটি আছে।

যাঁর কাছ থেকে শিওর হয়েছেন, তাকে বলবেন পৃষ্ঠাটা স্ক্যান করে বা তার ছবি তুলে আপনাকে পাঠাতে। বাঙাল আছে, বাঙলা নেই।

প্রথমত, বাংলা তৎসম শব্দ না। এমনকি তদ্ভবও না। বাংলা এসেছে বঙ্গাইল > বঙ্গাল > বঙ্গালা > বাঙ্গালা > বাংলা হিসেবে। অনুস্বরের ব্যবহার সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক, কিন্তু কেবল সংস্কৃত সন্ধির ক্ষেত্রে। সংস্কৃত সন্ধির বহু কিছু আমরা গ্রহণও করিনি, যেমন অ-কার + স্থ = ত্থ হওয়ার কথা, আমরা তারপরও অবস্থান করি, অবত্থান করি না, উপস্থাপন করি, উপত্থাপন করি না। আধুনিক বাংলা বানানে যেখানে আপনার এই যুক্তি আরো খাটে না। আপনি কি সাঙহাই লেখেন? ব্যাঙকক? গ্যাঙটক? দার্জিলিঙ? কালিম্পঙ? বানিয়াচঙ?

রাঙামাটিতে ঘাপলার কী আছে? রাঙা ভাঙা মাঙা চাঙা। স্বরবর্ণ আশ্রিত ঙ।

তৎসমকে ততসম কারা লিখছে কী দোহাই দিয়ে লিখছে আমি জানি না। খণ্ড ৎ বিলোপ করা হোক, আমিও ততসম লিখবো। সেটাকে কেউ ততোসমো উচ্চারণ করলে বড়জোর বিড়বিড় করে গালি দেবো, জোরে কিছু বলতে পারবো না।

আমি কোমলতার দোহাই দিচ্ছি না তো। দিচ্ছিলেন আপনি। আমি আপনাকে উচ্চারণটার খেই ধরিয়ে দিলাম। আমি বেশ যোগ্য একজনকেই প্রশ্ন করেছিলাম ঙ এর উচ্চারণ নিয়ে। হুমায়ূন আজাদ একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন, সিনট্যাক্স ও সেমানটিক্সের ওপরে পিএইচডি করেছিলেন, ধ্বনিবিদ্যা নিয়েও তিনি যথেষ্ঠ জ্ঞান রাখতেন বলেই জানি, কিন্তু দুঃখের বিষয়, তিনি বাঙলা লিখলেই বাংলা বাঙলা হয়ে যাবে না। তিনি জানুআরি লিখতেন দেখে আমাকে জানুয়ারি না লিখে জানুআরি লিখতে হবে?

আমি বাংলা একাডেমীর বানান প্রণেতাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না। ধারণা করি তাঁরাও কম পণ্ডিত ব্যক্তি নন। আপনি তাঁদেরকে চিঠি লিখতে বসুন। চিঠি লিখে আপনার যুক্তি জানান। তাঁরা তারপর কী উত্তর দেন, আমাকে জানান।

অন্যের যুক্তির ছালবাকলচল্টা বলতে বুঝিয়েছি এই পোস্টে অন্যত্র যাঁরা আপনাকে কিছু বলেছেন তাঁদের কথা।

যুগের প্রয়োজন মেটানোর জন্যে বাংলাদেশকে বাঙলাদেশ লিখতে হয় না একেবারেই। লিখতে হয় এঁড়ে তর্ক জায়েজ করতে গেলে।

আপনি অনুগ্রহ করে একজন উচ্চারণবিদের সাথে যোগাযোগ করে দেখুন নোঙরা আর নোংরা, এ দুটির মধ্যে কী পার্থক্য। বাঙলা আর বাংলার মধ্যেও ঠিক তাই।

অভিধানের স্ক্যান করা পাতা দেখানোর পর অন্য কথা হবে। তার আগে নয়। পিস।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বাঙলা তো বাঙালি বা বাঙাল শব্দদ্বয়ের মাঝে অন্তর্নিহিত আছে। সেরকম হলে তো বাংলাদেশের মতো বাংালি লেখা উচিত!

প্রথমত, বাংলা তৎসম শব্দ না। এমনকি তদ্ভবও না।

আমি তো কখনো বলি নি যে বাংলা বা বাঙলা তৎসম শব্দ, বরং তৎসমজাত শব্দ। সেকারণে অনুস্বরের রীতি খাটে।
সংস্কৃত সন্ধির বহু কিছু আমরা গ্রহণও করিনি

যেটা গ্রহণ করি নি সেটা নিয়ে কথা বলছি না, যেটা গ্রহণ করেছি সেই অনুযায়ী বাঙলাদেশ হয়।
আপনি কি সাঙহাই লেখেন? ব্যাঙকক? গ্যাঙটক? দার্জিলিঙ? কালিম্পঙ? বানিয়াচঙ?

আমি মূলত এরকম লিখতে চাই। কিন্তু যেহেতু এখনো কিছু পাবলিশ করতে পারি নি তাই লিখি না। সেটা অন্য আলোচনা।
রাঙামাটিতে ঘাপলার কী আছে?

ঘাপলা নাই, আবার আছে-ও। রাঙা + মাটি = রাঙামাটি। বাঙলা + দেশ = বাঙলাদেশ। সেরকম করলে রাংামাটি লেখা উচিত, বাংলাদেশ লিখলে।

হুমায়ূন আজাদ একজন পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন, সিনট্যাক্স ও সেমানটিক্সের ওপরে পিএইচডি করেছিলেন, ধ্বনিবিদ্যা নিয়েও তিনি যথেষ্ঠ জ্ঞান রাখতেন বলেই জানি, কিন্তু দুঃখের বিষয়, তিনি বাঙলা লিখলেই বাংলা বাঙলা হয়ে যাবে না।

তিনি জ্ঞান রাখতেন বলেই বাঙলা বা বাঙলাদেশ লিখতেন। এবং এটি শুদ্ধ।
আপনি তাঁদেরকে চিঠি লিখতে বসুন। চিঠি লিখে আপনার যুক্তি জানান। তাঁরা তারপর কী উত্তর দেন, আমাকে জানান।

হিমু ভাইয়া, কয়েকদিন আগে আপনিই পোস্ট দিয়েছিলেন তাদের ওয়েবসাইট নিয়ে। এখন আপনি কি মনে করেন যে সেই চিঠির জবাব আমি এই ইহজীবনে পাব এমন নিশ্চয়তা আছে? আপনি বরং তাদের ইমেইল থাকলে দেন, আমি ইমেইল করতে পারি। অথচ আপনি-ও পারেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে যে ভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাঙলাদেশ সঠিক কিনা? জানাবেন।
যুগের প্রয়োজন মেটানোর জন্যে বাংলাদেশকে বাঙলাদেশ লিখতে হয় না একেবারেই।

যুগের সাথে ভাষার রদবদল হয়, ভাষার সাথে এর রীতিনীতির-ও। সেকারণেই।

বাংলা ও বাঙলার মাঝে উচ্চারণগত পার্থক্য নেই (তবে নোঙরা ও নোংরা বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত নই)। আপনি এই লিংকটাতে যান, প্রমিত উচ্চারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞের বক্তব্য আছে।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

বাঙলা তো বাঙালি বা বাঙাল শব্দদ্বয়ের মাঝে অন্তর্নিহিত আছে। সেরকম হলে তো বাংলাদেশের মতো বাংালি লেখা উচিত!

দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা ত্রিভূজের মতো কথা হয়ে গেছে। ভাইডি, মনোযোগ দিয়ে একটু পড়লেও তো বুঝতে পারতেন, যে ঙ বর্ণটি স্বরবর্ণ-আশ্রিত হিসেবে ব্যবহৃত হয় বাংলায়। ঙ ঙা ঙি ঙু ঙে ঙৈ ঙৌ। আপনি একটু খেয়াল করলে দেখবেন ইউনিকোডে ং ংা ংি ংু ংে ংৈ ংৌ লেখা যায় না। এটা কিন্তু খামাকা করা হয় নাই, বর্ণতত্ত্বের কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে, কারণ অনুস্বর কোনো স্বরবর্ণ গ্রহণ করে না।

তৎসমজাত বলে কোনো বর্গ আছে কি? তদ্ভব আছে জানতাম। বাংলা তদ্ভবও নয়। আপনি যা করছেন, তা হচ্ছে নিজের ভুল যুক্তিকে ঠেকান দেয়ার জন্যে একটি গ্রন্থ প্রায় লিখে ফেলছেন।

আমি আপনাকে ইমেইল করতে বলিনি। রেজিস্টার্ড চিঠি লিখুন অভিধান রচনার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে। অবশ্য ইহজীবনে তার উত্তর হাতে না-ও আসতে পারে। প্রয়োজনে যাঁরা আপনাকে আবডালে নানা তত্ত্ব তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন, তাঁদের কাউকে সশরীরে পাঠান। এর একটা হেস্তনেস্ত হতেই হবে।

আপনার দেয়া লিঙ্কে কিছু কথা এবং বক্তৃতার লিঙ্ক দেয়া আছে। আপনি সেগুলো নিজে শুনেছেন তো? শুনে থাকলে কোন নির্দিষ্ট বক্তৃতায় এই ঐশীবাণী উচ্চারিত হয়েছে যে ঙ দিয়ে বাঙলা লিখলে তার উচ্চারণ বাংলার মতোই হবে?

আপনি লিখবেন, কিন্তু শিখবেন না, এটাই হচ্ছে আপনার গোঁ। ভাষায় বানান পরিবর্তন হয়, কিন্তু তার জন্যে ভুল যুক্তি দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এতদিন যা কিছু পরিবর্তন হয়েছে ভাষায়, তা বেশিরভাগ উচ্চারণকে অনুসরণ করতে গিয়ে, এবং কিছু হয়েছে রিডানড্যান্সি কমাতে গিয়ে। হুট করে খেয়ালখুশিমত না।

আপনি যা খুশি যেখানে খুশি লিখুন, সচলায়তনে বাংলাদেশকে বাংলাদেশ লিখলে আমি এর পাঠক এবং [নাকি এবঙ লিখবেন এখন থেকে?] বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে খুশি।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার মতে 'বাংলাদেশ'কে 'বাঙলাদেশ' বলাটা আপত্তিকর এবং অন্যায়। এই পোস্টে যেহেতু আলোচনা হচ্ছে, তাই করলাম না। কিন্তু এর পর থেকে যে লেখাতেই 'বাঙলাদেশ' দেখবো, সেটাতে আপত্তি জানাবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এর পর থেকে যে লেখাতেই 'বাঙলাদেশ' দেখবো, সেটাতে আপত্তি জানাবো।

আলালের ঘরে দুলালের আবদার নাকি? আপত্তি জানাবেন ভালো কথা, তার সঠিক কারণ-ও রাখেন। আপনি এক কাজ করেন- "বাঙলাদেশ বানানটি ভাষিক কারণে অশুদ্ধ" এই বিষয়ে কোন যোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা বা প্রমাণকার্য উপস্থাপন করেন। গত কয়েক দশকে তো হাজারে হাজারে প্রকাশিত হওয়ার কথা। হয় নি, কারণ বাঙলাদেশ বানানটি অশুদ্ধ নয়। প্রমাণ না পেশ করলে এসব কুযুক্তি পালে বাতাস লাগবে না- এই বিশ্বাস সচলায়তনের মডারেটর (বা মডারেটরবৃন্দের) উপর আমি রাখি- আর এই কারণেই এখানে লিখি।

ফাগুনের শুভেচ্ছা। বিনীত।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

@ হিমু ভাই,
ভেবেছিলাম এই পোস্টে আর মন্তব্য করব না, কিন্তু বাধ্য হয়ে করা লাগছে।

বাঙলা তো বাঙালি বা বাঙাল শব্দদ্বয়ের মাঝে অন্তর্নিহিত আছে।

একথাটা আপনি ভুল অনুবাদ করেছেন। আপনাকে আগের একটা মন্তব্যে সিকোয়েন্স দিয়েছিলাম "বাঙালি>বাঙলা>বাঙলাদেশ"। যেমন ধরেন:
"আমাদের দেশের নাম বাঙলাদেশ , তাই ভাষার নাম বাঙলা এবং তাই আমরা বাঙালী ।"
[তথ্যসূত্র: অধ্যাপক আহমদ শরীফের "ইতিহাসের ধারায় বাঙ্গালী"]
আপনি মনে হয় আমার যুক্তিগুলোর চেয়ে যুক্তির সাথে আসা প্রাসঙ্গিক বক্তব্যতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। আগের একটা মন্তব্য আবার স্মরণ করছি।
"ঙ বর্ণে হলন্তের দরকার হয় না। যেমন রঙ সঙ ব্যাঙ লিখলে রঙ্গ সঙ্গ কিংবা ব্যাঙ্গ উচ্চারিত হয় না।
আর ঙ দিয়ে বাঙলাদেশ লিখলেই শুদ্ধ।
শুধু সংবিধান সহ অন্যান্য নথিপত্রে বানানটা ঠিক করতে হবে বলেই ভুল বানানটা মানে বাংলাদেশ বানান অভিধানে রাখা হয়েছে।
বঙ্গ তৎসম শব্দ, এটা থেকে বঙ্গীয়, বাঙ্গাল, বাঙ্গালী, বাঙ্গলাদেশ এইসব শব্দ হয়, আর বাঙালি সেইখান থেকেই মানে তৎসমজাত।
আর তৎসমজাত যেসব শব্দ সন্ধিযুক্ত নয় সেইসব শব্দে অনুস্বার ং হবে না।
'বাঙলা' শব্দটির সন্ধি নাই। তাই বাঙলা শব্দটি ং দিয়ে হবে না।
সংবাদ=সম+বাদ, এটি তৎসম, এটার সন্ধি হয় বলেই এটাতে অনুস্বার হবে।
আর হুমায়ুন আজাদ ফ্যাশান এর জন্যে বাঙলাদেশ লিখেন নাই। এইভাবে লিখলে শুদ্ধ তাই লিখতেন।
বাঙলা আর বাংলার মধ্যে ধ্বনিগত মানে উচ্চরণগত কোনো পার্থক্য নাই।
দুটোই একই শোনায়। এবং আকাদেমির অলসতার কারণে বাঙলাদেশ শব্দটি এখনো বাংলাদেশ আছে।"

এই মন্তব্যটা হুমায়ুন আজাদের ভাষাভিত্তিক বইসমূহ থেকে নেয়া। বইগুলোর নাম উপরে উল্লেখ করেছি।

এবার বাঙলা একাডেমীর 'প্রমিত বানানের রীতি' ং এবং ঙ এর ব্যবহার সম্পর্কে কী বলে সেটা দেখি।
"২.১০ ং, ঙ তত্সম শব্দে ং এবং ঙ যেখানে যেমন ব্যবহার্য ও ব্যাকরণসম্মত সেইভাবে ব্যবহার করতে হবে। এ-সম্পর্কে পূর্বে ১.০৪ অনুচ্ছেদে কিছু নিয়মের কথা বলা হয়েছে। তদ্ভব, দেশী, বিদেশী, মিশ্র শব্দের বানানের ক্ষেত্রে ওই নিয়মের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে এই ক্ষেত্রে প্রত্যয় ও বিভক্তিহীন শব্দের শেষে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন : রং, সং, পালং, ঢং, রাং, গাং। তবে শব্দে অব্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হলে কিংবা পদের মধ্যে বা শেষে স্বরচিহ্ন থাকলে ঙ হবে। যেমন : বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের। বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ-দুটি ং দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।" লিংক
বাংলা বা বাংলাদেশ শেষে স্বরচিহ্ন আছে (আ), অর্থাৎ বাঙলা বা বাঙলাদেশ হবে। ঠিক একই ব্যাপার যদি বাংলা বা বাংলাদেশ শব্দদ্বয়ের সাথে কোন অব্যয় বা বিভক্তি যুক্ত করেন। নিয়ম অনুসারে বাঙলা বা বাঙলাদেশ সঠিক। কিন্তু বাংলা বা বাংলাদেশ ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে, কারণ সংবিধানে আছে; ভাষিক কারণ নেই। সংবিধানে ও অন্যান্য নথিপত্র ঠিক করতে হবে বা সংসদে যেতে হবে বলে বাঙলা একাডেমী বাংলা বা বাংলাদেশ লিখে।

আপনাকে ( বা আপনাদের) আমি ব্যাকরণবিদ, উচ্চারণবিদ, কবি-সাহিত্যিক এমনকি বাঙলা একাডেমীর নিয়মানুযায়ী যুক্তি দিলাম। এরপর-ও যদি আপনার দরবারে গ্রহীত না হয় তবে বলেন কোন পীর-আউলিয়া কিংবা জ্ঞানীর রেফারেন্স দিতে হবে?

প্রয়োজনে যাঁরা আপনাকে আবডালে নানা তত্ত্ব তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন, তাঁদের কাউকে সশরীরে পাঠান।

আমাকে কেউ আবডালে তথ্য যোগাচ্ছে না। আমি যেটা জানি সেটার রেফারেন্সের জন্য শুধু একজনকে ইমেইল করেছিলাম; পরে অনলাইনেই তা পেয়েছি।
নজরুল ভাই তো প্রায় বইমেলায় যায়; আপনি তাকে অনুরোধ করেন বাঙলা একাডেমীতে গিয়ে জেনে আসতে। প্রমাণস্বরূপ "প্রফেসর আনিসুজ্জামান, প্রফেসর মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জনাব জামিল চৌধুরী এবং জনাব সেলিনা হোসেন" কর্তৃক সত্যায়িত অনুলিপি বা কাগজ স্ক্যান করে প্রদর্শন করুক। তারা বলবেন যে বাঙলাদেশ বানানে ভাষিক সংঘর্ষ নেই; বরং আছে আমাদের প্রথাকাতরতা, ভুল সংশোধনে অলসতা, খরচ বাঁচানো ইত্যাদি ঝোঁকের কথা।

শুনে থাকলে কোন নির্দিষ্ট বক্তৃতায় এই ঐশীবাণী উচ্চারিত হয়েছে যে ঙ দিয়ে বাঙলা লিখলে তার উচ্চারণ বাংলার মতোই হবে?

আপনি লিংকটা ভালো করে দেখেছেন তো? শিরোনাম দেখেন বাঙলা লেখা। বক্তব্য দেয়া বাঙলা ভাষার উপর, এর সাথে বাংলা উচ্চারণ (যদি সঠিক উচ্চারণ করা হয়ে থাকে) মিলিয়ে নেন, দেখবেন কোন উচ্চারণগত পার্থক্য নেই।
আপনি যা খুশি যেখানে খুশি লিখুন, সচলায়তনে বাংলাদেশকে বাংলাদেশ লিখলে আমি এর পাঠক এবং [নাকি এবঙ লিখবেন এখন থেকে?] বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে খুশি।

ও আচ্ছা, খুশি করতে হবে! আপনাকে (বা আপনাদের) মতো গোঁ-ধরা-নাগরিকদের খুশি করার জন্য আমি বড়জোর 'বাঙলাদেশ (বাংলাদেশ)' এরকম করে ব্র্যাকেটে লিখতে পারি; এর চেয়ে বেশি আশা করা উচিত নয়। কারণ, কোন লেখকই সব পাঠক বা নাগরিককে মনোরঞ্জনের ইস্তিহার রাখেন না।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

জনাব, আপনি যখন বাংলা একাডেমীর প্রমিত রীতি উদ্ধৃত করেন, সেটি কি পড়ে দ্যাখেন নাই? আপনার লেখা থেকে কোট করি,

তবে এই ক্ষেত্রে প্রত্যয় ও বিভক্তিহীন শব্দের শেষে সাধারণভাবে অনুস্বার (ং) ব্যবহৃত হবে। যেমন : রং, সং, পালং, ঢং, রাং, গাং। তবে শব্দে অব্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হলে কিংবা পদের মধ্যে বা শেষে স্বরচিহ্ন থাকলে ঙ হবে। যেমন : বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের। বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ-দুটি ং দিয়ে লিখতে হবে।

আপনি যদি চক্ষুষ্মান হন, দেখতে পাবেন যে বাংলা আর বাংলাদেশ কীভাবে লিখতে হবে সে ব্যাপারে একাডেমী একটি বাক্য ব্যয় করেছে। আর শব্দে অব্যয় বা বিভক্তি যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটা কি আপনি বোঝেন? রং একটি শব্দ, এর শেষে আপনি যদি -এর বিভক্তি যোগ করেন, লিখতে হবে ঙ দিয়ে, রঙের। যদি পালং এর শেষ ও অব্যয় যুক্ত করেন, লিখতে হবে পালঙও।

এবার দেখি আপনি কী বলছেন।

বাংলা বা বাংলাদেশ শেষে স্বরচিহ্ন আছে (আ), অর্থাৎ বাঙলা বা বাঙলাদেশ হবে।

আপনি কি মূর্খ, নাকি মূর্খের অভিনয় করছেন? বাংলাদেশের শেষে স্বরচিহ্ন আছে(!!!) তাই বাংলাদেশ হবে? তো এই যুক্তিতে তো সংবিধানের সঙবিধান হওয়া উচিত! আপনার মস্তিষ্কে এটা ঢুকলো না যে ঐ অব্যয় আর বিভক্তি বলা হয়েছে সেসব শব্দের ক্ষেত্রে, যেগুলোর শেষে ং রয়েছে? যেমন রং সং ঢং বাং পোং চোং ভোং ফোং?

আমি দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার ব্যাকরণজ্ঞান সীমিত, তারচেয়ে সীমিত আপনার যুক্তিবোধ। শাক দিয়ে মাছ ঢাকাকে তর্ক বলে না, ছাগুপনা বলে।

আমি মডারেটরদের কাছে অনুরোধ করছি, "বাঙলাদেশ" বানানটির ব্যবহার রোধ বিবেচনায় নিতে। আরো অনেক কনফিউজড লোক গুগলে বাঙলাদেশ খুঁজবে, তারপর সেই মূর্খামির সমর্থনে সচলায়তনের লিঙ্ক খুঁজে পেলে সেটা সকল সচলের জন্যে অপমানবিশেষ। প্রয়োজনে বাঙলা > বাংলা এবং বাঙলাদেশ > বাংলাদেশ হার্ডকোড করে রূপান্তরের ব্যবস্থা হোক।

আমি এই পোস্টে আর কোনো মন্তব্য করবো না। ত্রিভুজদের সাথে তর্ক চলে না।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

উনার সাথে এই নিয়ে কথা বলার শুরুতে আমি বাংলা একাডেমীর প্রমিত বানান রীতির ঙ এবং ং সম্পর্কিত রীতি লিখে দিয়েছিলাম। সেখান থেকে শুরু করে উনি এই পর্যন্ত চালিয়ে শেষে প্রমাণ করে দিলেন বিভক্তির সংজ্ঞা তাঁর জানা নেই।

আশরাফ সাহেবের সুমতি হোক। আর কী বলার আছে।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আপনি কোন সাপের পাঁচ পা দেখছেন জানি না তবে ছাগু/ত্রিভুজ ইত্যাদি ট্যাগিঙের আগে আয়নায় নিজেকে দেখে নিয়েন, আপনার সাথে মিল পেতে পারেন; পরে অন্যদের ব্যাপারে বলবেন।
আপনার অধিক ব্যাকরণ জানা মতিষ্কে বা আপনার চক্ষুষ্মান হয় না যে আমি বলেছিলাম যে বাংলা শব্দটি যেহেতু তৎসম নয় এবং এর সন্ধিবিচ্ছেদ হয় না সেহেতু ং এবং ঙ এর বাধ্যবাধকতা নেই (একাডেমির ব্যাকরণ মনোযোগ দিয়ে পড়েন)।
আপনার দরবারে যে রেফারেন্সই পেশ করি না কেন আপনি 'কোথাকার কোন' বলে ধাপ্পা দেন। ভাইজান, আপনি কোথাকার কোন ব্যাকরণবিদ? আমার ব্যাকরণজ্ঞান সীমিত বলেই তো হুমায়ুন আজাদের মতো শ্রেষ্ঠতম ভাষাবিদ কিংবা নরেন বিশ্বাস'র মতো উচ্চারণবিদের রেফারেন্স দিলাম। তাও মানেন না। আপনার কোন গবেষণাকর্ম থাকলে পোস্টান, চোখ জুড়াই।
আমার প্রতিটি বক্তব্য বই/গবেষণাপত্র/কলাম পাঠ করে বলা। রেফারেন্সসহ। আপনি শুধু বাংলা একাডেমীর অভিধান আর প্রমিত বানান রীতির মুরিদামি করছেন। বাংলা একাডেমী কি ভাষার মা-বাপ? আর অভিধানে না থাকলে একটা শব্দ গ্রহণযোগ্য হবে না এটা কেমন কথা? আঞ্চলিক বা অপ্রচলিত শব্দের জন্য কেউ বাংলা একাডেমীর অভিধান খুলে না- প্রাসঙ্গিক অন্যান্য অভিধান খুলে, গবেষণাপত্র পড়ে। আর সব সময় তো ব্যাকরণ মেনে কথা বলা বা ভাষা ব্যবহার করা হয় না, সেগুলো কী?

যাইহোক, আপনি বাঙলা শব্দটি অভিধান ভুক্তি দেখতে চেয়েছিলেন। নিম্নে পেশ করলাম। দেখে আমাকে শান্তি দেন।
bangla dictionary
[বাংলা অভিধান। মুস্তাফা পান্না, ড. হায়াৎ মামুদ। চতুর্থ মুদ্রণ। আহমদ পাবিলিশিং হাউস। ঢাকা, ২০০০।]

আর হ্যাঁ। এই বইটা পারলে কিনেন। বইটা বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত এবং প্রমিত উচ্চারণের উপর লেখা। আপনি বুঝতে পারবেন যে বাংলা এবং বাঙলা উচ্চারণে পার্থক্য নেই। Bangla 1
লেখক: নরেন বিশ্বাস।

স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ-ও বাঙলা বানানে লিখেছিলেন। অনলাইনে রবীন্দ্র রচনার পুরোটুকু আছে, তবু-ও আপনার জন্য লিংক দিলাম। দেখেন।

==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

আরো জানতে হুমায়ুন আজাদের ভাষা বিষয়ক বইগুলো রিফার করতে পারেন।
ও হ্যাঁ, বলতে ভুলে গেছি। উপরের মন্তব্যের জন্য আমি একজনের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ, কিন্তু কিছু কারণে তার নামটি উল্লেখ করি নি।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

উনি আপনাকে উসকে দিয়ে মজা দেখছেন। নিজের নামে তর্কে নামার সাহসই ওনার নাই। ডরপোক।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সাবিহ ওমর এর ছবি

ভাবতেসি এখন থেকে বাংগ্লাদেশ লিখুম...তাও যদি পুস্টে হিট-টিট একটু বাড়ে...

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বাংগ্লাদেশ বানানটি সঠিক নয়; হবে-ও না। বাঙলাদেশ বানানটি শুদ্ধ; সেকারণে লিখি। আপনারা যেমন বাংলাদেশ বানানটি লিখেন।
ভাই হিটের জন্য লিখি না; লিখে অনেক আগেই টের পেতেন। আর হিট তো আপনি বাড়াচ্ছেন; পাঁচের অধিক মন্তব্য দিলেন। যদি মনে করেন হিটের জন্য লিখেছি তবে হিট (গরম) থেকে দূরে থাকুন। চোখ টিপি
আপনার কবিতা সমৃদ্ধ হোক (মানে হিট বাড়ুক)।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

নাশতারান এর ছবি

হো হো হো

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভাই পোস্টের শিরোনাম পাল্টিয়ে দেন চোখ টিপি

আপনার মাথা ঠান্ডা রেখে তর্ক চালিয়ে যাওয়াকে উপভোগ করছি। দুটো বানানই যদি সঠিক হয় তাহলে যে কেউ যে বানানে লিখতে পারে, সমস্যার কিছু দেখিনা। তবে বাংলাদেশে যেহেতু অনুস্বার দিয়ে বানানটি লেখা হয় তাই অধিকাংশই সেটা পছন্দ করে। ঙ দিয়ে যদি কোনদিন সরকারিভাবে বাংলাদেশ বানান লেখা হয় তখন মনে করবেন আপনার জয় হয়েছে। হা হা হা...

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

শিরোনাম পাল্টালে মূল বক্তব্য থেকে দূরে সরে যাবে; এমনিতেই সরে গেছে।
আমি যে কোন তর্কে আলোচনায় চেষ্টা করি নিজের ভাষার বিচ্যুতি যেন না হয়; ওটা অতার্কিকদের কাজ।
জ্বি, সেটাই। দু'টো বানানই সঠিক, আমি বিকল্পটা ব্যবহার করি।
একদিন হবে; স্বপ্ন ও আশা রাখি।
ধন্যবাদ, প্রপ্রে ভাই।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

এই পোস্টের পিছনে যত সময় নষ্ট হলো সেই সময়ে আমি আরো পাঁচটা পোস্ট লিখতে পারতাম! হো হো হো
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আল্লায় বাঁচাইছে...
ভুল বানানে আরো পাঁচটা পোস্ট পড়া থেকে জাতি রেহাই পেলো দেঁতো হাসি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

নজরুল ভাই,

উনার বানান তো ভুল না। উনার অভি-ধানে সব বানান একতু কোমল হয়ে আবির্ভূত অয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তাইলে কি "অবিদানে" হবে? ভ আর ধ একটু কি কঠিন ঠেকতেছে? চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

ভাইডি, আমিই বাংলা একাডেমীর অভিধান থেকে ঐ পৃষ্ঠাটার ছবি সচল নজরুল ইসলামের সৌজন্যে যোগাড় করলাম। আপনি খুব খিয়াল কইরা দ্যাখেন।

P2248227

দেখে আমাকে বলেন, বাংলা একাডেমী কোথায় "বাঙলা" বানানটাকে স্বীকৃতি দিয়েছে?

সংসদে নাই। সংসদের অনলাইন অভিধানেও চেক করেছি, নাই।

চলন্তিকা রাজশেখর বসু প্রণীত। তাতেও বাঙলা নাই।

খালি আছে আশরাফ মাহমুদের বঙ্গীয় এঁড়ে তর্ক অভিধান প্রথম খণ্ডে।

আপনি যতবার বাঙলাদেশ লিখবেন ততবার এই ছবিটা আমি পেস্ট করে যাবো। এর এমবেড কোড বাকিদের জন্যে দিয়ে গেলাম।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

খালি আছে আশরাফ মাহমুদের বঙ্গীয় এঁড়ে তর্ক অভিধান প্রথম খণ্ডে।

হো হো হো
যত দোষ নন্দঘোঁষ। সচলে বোধহয় খালি আমি বাঙলাদেশ লিখি, সেকারণেই। কই কোন বীরবল তো অন্য পাবলিকেশন নিয়ে কোন কিছু করে নি।
আপনি যতবার বাঙলাদেশ লিখবেন ততবার এই ছবিটা আমি পেস্ট করে যাবো। এর এমবেড কোড বাকিদের জন্যে দিয়ে গেলাম।

এটা সম্মিলিত অপচেষ্টা নাকি? ভালো ভালো। বেশ বেশ। চাপাচাপি করে তো লেখালেখি বন্ধ করা যায় না।
যান, বাঙলাদেশ সম্পর্কিত কোন লেখা দিমু না এখানে। একা এতোগুলো লোকের সাথে অযথা তর্ক করার উৎসাহ বা সময়- কোনটিই নেই। তবে একদিন বানানটি প্রতিষ্ঠিত হবেই।

আর কারো যদি বাঙলাদেশ বানানটি দেশের নামের বানান হিসেবে ভালো না লাগে, তবে জানবেন এটা আমার হৃদয়ের নাম। যতবার বাঙলাদেশ লিখি ততবার নিজের হৃদয়ের কথা লিখি। আপনারা বাংলাদেশ লিখে দেশকে এগিয়ে নেন।
(শেষের কথাগুলো ক্ষোভবাচক মনে হলে-ও রসিক ব্যক্তিরা কৌতূক হিসেবে নিতে পারেন)

এই পোস্টে এটাই শেষ মন্তব্য- আমার পক্ষ থেকে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

হিমু এর ছবি

ঘোঁষ নয়, ঘোষ। নন্দ ঘোষ। নাকি নঙদ ঘোষ? যাই হোক, ছবিটির এমবেড কোড আপনার জন্যেও উন্মুক্ত। আপনি অষ্টম ইস্ট বীরবল রেজিমেন্টের অধিনায়কত্ব নিন, আরো যারা বাঙলাদেশ লেখার মতো মূর্খামি করে, তাদের স্মরণ করিয়ে দিন যে এটা ভুল এবং এটা নিয়ে হুদাই ত্যানা প্যাঁচানো বেকুবের কাজ।

একদিন এই বানান প্রতিষ্ঠিত হলে সেদিন থেকে লেখা শুরু করবো। প্রতিষ্ঠার কাজটা বিশেষজ্ঞ এবং বর্ণতত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন কারো হাত ধরে হলে খুশি হবো, পাগল ছাগল ত্রিভূজদের হাত ধরে হলে মন খ্রাপ লাগবে।

আপনার হৃদয়ের নামে বানান ভুল আছে। সংশোধন করে নিয়েন।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হিমু জিন্দাবাদ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ঘোষ বানানে টাইপোর জন্য দুঃখিত। সেরকম হলে "খ্রাপ" নয়- খারাপ।

প্রতিষ্ঠার কাজটা বিশেষজ্ঞ এবং বর্ণতত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন কারো হাত ধরে হলে খুশি হবো, পাগল ছাগল ত্রিভূজদের হাত ধরে হলে মন খ্রাপ লাগবে।

আপনার এই অংশটি আপত্তিকর, জানায়ে গেলাম। শুধু আমাকে ঠেঁস দেন নি, বরং আমার মন্তব্যে উল্লেখিত সকল ভাষাবিদ, ব্যাকরণবিদ, কবি, সাহিত্যিক সবাইকে বলেছেন। অবশ্য যার অ্যাটিচ্যুড যেরকম। তবে "প্রতিষ্ঠার কাজটা বিশেষজ্ঞ এবং বর্ণতত্ত্বজ্ঞানসম্পন্ন কারো হাত ধরে হলে" এই অংশটা সবার উপরে বর্তায়। আমি-ও আশা করি তার্কিক যেন ভাষা সম্পর্কে জ্ঞান রাখে।

ভালো থাকুন।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কী শুরু করলেন সব ভাইয়েরা? বাদ দেন তো এসব।

তানভীর এর ছবি

এহহে ত্রিভুজ বানান ভুল হইসে। চীফের বানান ভুল হইলে ক্যাম্নে?

যাই হোক, নজুদার স্ক্যান করা পৃষ্ঠার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমাকে একবার এই সচলেই অনেকে জ্ঞান দিসিলো 'বাঙাল' নাকি শুধু যারা মাইগ্রেট করে ওপারে গেসে তাদেরই 'আদর' করে ডাকা হয়! ওই পৃষ্ঠা থেকে তারাও আশা করি এখন শিখতে পারবে কাদের এবং কেন ডাকা হয়।

জিফরান খালেদ এর ছবি

আশরাফ সাহেবকে মোটেও তার্কিক মনে হইলো না। ফুকো'র তর্ক নিয়ে যে সমস্য আসে, আপনি ঐটার ক্ল্যাসিক নিদর্শন।

আপনি মর্ফোলজী নিয়ে হালকা ঘাটেন। আপনার বাক্যগুলোও কেমন জানি অস্বস্তির। এই ধরণের স্বাতন্ত্র্য বিশ্রী ঠেকে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমি মিরপুর বাঙলা কলেজে পড়ছি। কিন্তু তাই বলে ঢং করে বাংলাদেশকে কোমলভাবে বলতে যাইনা। বাংলাদেশকে বিকৃত করায় তেব্র আপত্তি জানায় গেলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

যারা বাঙলাদেশ বানানটি নিয়ে হিজেমোনি করছেন নিচের মন্তব্যটি তাদের জন্য।
================================

কিছুটা ইতিহাস: মরফোলজি দিক থেকে বাঙলা বানানটি অনেক পুরানো। বলা চলে প্রমিত ভাষা রীতির শুরু থেকে বানানটি লেখা হচ্ছে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে অনেকে লিখছেন।
উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে পুরো 'বাংলা'কে (বঙ্গদেশ) বোঝাতে "বাঙলা দেশ" হিসেবে লেখা হতো। এই বিষয়ে আরো এই লিংকে ১২ নম্বর মন্তব্যে বন্ধনহীনের বক্তব্য দেখুন।

ভাষিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাঙলাদেশ বানানটিতে ভুল নেই। তবে সংবিধান সংক্রান্ত জুজু আছে। বাঙলাদেশ বানানটি লেখা হয় কারণ বাঙলা + দেশ = বাঙলাদেশ (শব্দজোড়), ঠিক যেমনটি বাংলা + দেশ = বাংলাদেশ। একাডেমীর প্রমিতরীতিতে বাংলা বা বাংলাদেশ বানানে লেখার সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ, সেক্ষেত্রে তাদেরকে সংসদে গিয়ে আইন পাশ করাতে হবে। যাদের নিজস্ব একটি ইউনিকোডভিত্তিক ওয়েবসাইট নেই তাদের কাছে এরকম আশা করা বোকামি। তাছাড়া অনেকে জানেন যে বাংলা একাডেমী বানানটি সঠিক নয় (একাডেমীর নিজস্ব রীতি অনুসারে)। সঠিক বানানটি হবে বাঙলা অ্যাকাদেমি বা বাংলা অ্যাকাদেমি (প্রতিবর্ণস্থাপনের সূত্র মেনে)।
তবু-ও বাঙলা ও বাঙলাদেশকে বিকল্প বানান বা বানানভেদ হিসেবে অভিধানে রাখার উদ্দ্যোগ হয়েছিল। কিন্তু বীর বাঙালি এখানে-ও রাজনীতি করে/করছে- ফলে হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর পর এই ক্ষেত্রে ভাটা এসেছে।

আর বানানটি আমি শখে লিখি না। আমি বাংলাদেশ ও বাঙলাদেশ দু'টো বানানেই লিখি। কিন্তু কেউ যখন একটি চাপায়ে দিতে চায় তখন লেখালেখির স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিধান্বিত হই।

যারা বাঙলা শব্দটির অভিধান ভুক্তি দেখতে চান তারা নিচে দেখেন:
bangla dictionary
[বাংলা অভিধান। মুস্তাফা পান্না, ড. হায়াৎ মামুদ। চতুর্থ মুদ্রণ। আহমদ পাবিলিশিং হাউস। ঢাকা, ২০০০।]

আর হ্যাঁ, বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত এবং প্রমিত উচ্চারণের উপর লেখা পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন যে বাংলা এবং বাঙলা উচ্চারণে পার্থক্য নেই। Bangla 1
লেখক: নরেন বিশ্বাস।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

নাশতারান এর ছবি

বাঙলা শব্দটির অভিধান ভুক্তি দেখলাম। বাংলাদেশ লেখা। বাঙলাদেশ তো না।

সে যাই হোক। আপনার সময়জ্ঞানে মুগ্ধ হলাম। চমৎকার সময়ে এসেছেন। স্বাগতম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

উপরে বলা হয়েছে বাঙলাদেশ শব্দটি কীভাবে লেখা হয়। বাঙলা + দেশ = বাঙলাদেশ। শব্দজোড়। যেমন পরশমনি একটা শব্দজোড়। বুঝলেন।
আমি তো বরাবরই এই সময়ে আসি। আপনি পূর্বের পোস্ট/মন্তব্যে চোখ বুলিয়ে দেখেন, অধিকাংশই আমার সময়জোনের বিকালে আর রাতে করা।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

নাশতারান এর ছবি

তারিখ দেখে বলছি। শেষ মন্তব্য ছিলো মাসখানেক আগের। তাই আজকের কাকতালীয় প্রত্যাবর্তন দেখে অবাক হলাম।

১।"বাঙলা" বানান নির্ভুল, "দেশ" বানা নির্ভুল
২। "বাঙলা+দেশ=বাঙলাদেশ" লেখা নিয়মসিদ্ধ

তার মানে এই নয় যে আমাদের দেশের নাম "বাঙলাদেশ"।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

ভাই, আমি প্রতিবাদ জানিয়ে লগআউট করেছিলাম। এরপরে আসি নি। অনিকেতদা' পোস্টে আমার মন্তব্য পড়লে বিষয়টা খোলাসা হবে বলে ধারণা করি।
"বাঙলাদেশ" বঙ্গদেশের বিকল্প বানান হিসেবে-ও ব্যবহার করা হয়। বঙ্গদেশ আর বাংলাদেশ একই নয় এটা নিশ্চয় জানেন? তাদের মতো আপনার-ও যদি বাঙলাদেশ লিখলে আমাদের দেশের নাম মনে না হয় সেটা তো উত্তম, পাঠক হিসেবে আপনার স্বাধীনতা আছে।
==============================
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

নাশতারান এর ছবি

পাঠক হিসেবে স্বাধীনতা? বেশ বেশ। তাহলে তো লেখক হিসেবে আপনারও স্বাধীনতা আছে। "বাঙলাদেশ" লেখার। তাই তো?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

এতদিন পরে আবার একই বিষয়ে ক্যাচালের মাজেজা কি? গুগুলে গিয়ে দেখেন - দশ হাজারের বেশি হিট পাবেন -সবগুলোর লেখক তো আর উনি না - খালি আশরাফ সাহেবের পিছে লাগার মর্তবা কি?

নাশতারান এর ছবি

উপরের মন্তব্যের তারিখ দেখুন। যেচে আশরাফ সাহেবের পিছে লাগা হয় নি। উনি এক মাস পরে কাকতালীয়ভাবে বিশেষ একটা পরিস্থিতিতে আবারো তর্কে নেমেছেন। ঠিকঠাক যুক্তি দেখাতে পারলে তাও বুঝতাম। সর্বশেষ রেফারেন্স দিয়ে নতুন কী বুঝাতে পারলেন উনি জানি না। এক মাসের বাসি তর্ক অহেতুক নতুন করে খুঁচিয়ে তোলার পেছনের মর্তবাটা মনে হয় উনাকেই জিজ্ঞেস করা উচিত।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রানা মেহের এর ছবি

এই লেখাটার কথাই হচ্ছিলো অনিকেতের পোস্টে?

বাংলাদেশকে বাঙলাদেশ লিখবেন না দয়া করে।
দেশের নাম নিয়ে এসব য্ন্ত্রনা গ্রহনযোগ্য নয়।

লেখক যেই স্ক্যনকপি দিচ্ছেন সেখানেই কোথাও বাঙলাদেশ নেই
তারপরো কী বুঝে এই তর্ক চলছে?
অবাক ব্যাপারতো।

এখন থেকে যেখানে বাঙলাদেশ দেখবো।
প্রতিবাদ জানাবো
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।