১৪ই ডিসেম্বর

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: সোম, ১৪/১২/২০০৯ - ১০:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বজন হত্যার বিচার চাই...

অধ্যাপক জাফর ইকবাল খুব সংক্ষেপে স্বাধীনতার ইতিহাস লিখেছেন। তিনি পারতেন আড়ম্বরপূর্ণ কথাবার্তায় বিশাল কলেবরে একটা বই বের করতে। কিন্তু তিনি সেটা করেন নি। কারণ তথ্যপূর্ণ কথা বেশি বলার চেয়ে কথার লাইন লেন্থ বজায় রাখাটাই মূখ্য।

আজ ১৪ই ডিসেম্বর। আমাদের স্বাধীনতার সোনালী আমেজে একটা তেঁতো স্বাদ।

এই তেঁতো স্বাদ যারা আমাদেরকে দিলো, তারাই আজ ভরা মজলিশে ঘোষণা দেয় "আমাকে যারা রাজাকার বলবে তারা পিতৃ পরিচয়হীন অবৈধ সন্তান!"— কতো বড় আস্পর্ধা রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার সাইদীর।

যারা আমাদের কলজে বরাবর ১৪ই ডিসেম্বরের মতো একটা দগদগে ঘা দিলো সারা জীবনের জন্য, আমরা কি পারি না তাদের সাথে সকল সামাজিক সম্পর্ক বয়কট করতে! তাদের সন্তানদের সাথে আমরা বন্ধুত্ব করবো না। তাদের বিয়ে, মুসলমানি, অন্নপ্রাসন, জন্মদিন কিংবা তাদের আয়োজিত যেকোন উৎসবকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবো। এমনকি এইসব হায়েনাদের সাথে যারা, যেকোনো ধরণের সম্পর্ক বজায় রাখবে, আমরা তাদেরকেও বয়কট করবো।

আমরা এদের বিচার চাই, আমরা সেই বিচারের আদেশ কার্যকর দেখতে চাই।

এখানে, এই লিংকে তাদের সব কুকর্মের প্রমাণ আছে। এরাই আজ ধর্মের বর্ম ব্যবহার করে আমাদের দুর্বলতম জায়গায় আঘাতের ফায়দা লুটতে চায়। আমাদের নিস্পৃহতাও এর জন্য খানিকটা দায়ী।

স্বাধীনতার জন্য স্বজনদের আত্মত্যাগের কি কোনো মূল্যই নেই আজ আমাদের কাছে!


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভুট দিতে মন্চায় মন খারাপ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

এনকিদু এর ছবি

যারা আমাদের কলজে বরাবর ১৪ই ডিসেম্বরের মতো একটা দগদগে ঘা দিলো সারা জীবনের জন্য, আমরা কি পারি না তাদের সাথে সকল সামাজিক সম্পর্ক বয়কট করতে! তাদের সন্তানদের সাথে আমরা বন্ধুত্ব করবো না। তাদের বিয়ে, মুসলমানি, অন্নপ্রাসন, জন্মদিন কিংবা তাদের আয়োজিত যেকোন উৎসবকে আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করবো। এমনকি এইসব হায়েনাদের সাথে যারা, যেকোনো ধরণের সম্পর্ক বজায় রাখবে, আমরা তাদেরকেও বয়কট করবো।

এই সামাজিক বয়কটটা খুবই দরকার ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

গৌতম এর ছবি

আর সামাজিক বয়কট! পাকিস্তানের খেলা হলে মানুষজন যেভাবে ঝাপায়া পড়ে, তাতে মাঝে মাঝে উদ্ভ্রান্ত হয়ে যাই- নিজের দেশে আছি তো?

ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই সামাজিক বয়কটের চর্চা করে যাচ্ছি, করে যাবো।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

মুস্তাফিজ এর ছবি

ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই সামাজিক বয়কটের চর্চা করে যাচ্ছি, করে যাবো।

সহমত

...........................
Every Picture Tells a Story

এনকিদু এর ছবি

আমি তো খেলাই দেখিনা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

গৌতম এর ছবি

জগন্নাথ হলে একবার পাকিস্তান-বাংলাদেশের খেলায় পাকিস্তানকে সাপোর্ট করায় কয়েকটা হারামজাদা 'বড় ভাই'কে পিটাইছিলাম। সেই সুখ এখনও তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

রাহিন হায়দার এর ছবি

সাধু! সাধু!!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

ওডিন এর ছবি

দয়া করে সবাই লিঙ্কটা শেয়ার করুন, সবজায়গায় ছড়িয়ে দিন। আর বিচার চাইতে চাইতে আমি ক্লান্ত, এখন এদের শিকার চাই (©হিমু ভাই)

______________________________________
আসলে কি ফেরা যায়?

দ্রোহী এর ছবি

তিরিশ লক্ষ স্বজন হত্যার বিচার চাই।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বুদ্ধিজীবি হত্যার প্রতিশোধ চাই ...



অজ্ঞাতবাস

নাগর_শরীফ [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি

"আমাকে যারা রাজাকার বলবে তারা পিতৃ পরিচয়হীন অবৈধ সন্তান!"— কতো বড় আস্পর্ধা রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার সাইদীর।

তারা অবৈধ হলেও তাদের পিতৃ পরিচয় আছে।পাকিস্তানী বাবারা আছে, এখনও আছে

সবজান্তা এর ছবি

এই তেঁতো স্বাদ যারা আমাদেরকে দিলো, তারাই আজ ভরা মজলিশে ঘোষণা দেয় "আমাকে যারা রাজাকার বলবে তারা পিতৃ পরিচয়হীন অবৈধ সন্তান!"— কতো বড় আস্পর্ধা রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার সাইদীর।

আজ সকালেই স্বপ্নাহতের ফেসবুকে এই ভিডিওর লিংক দেখলাম। যা বুঝতে পারলাম এইখানে ছোট্ট একটা প্রিন্টিং (!!) মিসটেক আছে। ডিম্পারা হুজুর সাঈদী বলতে চাইসিলেন যে- "আমাকে যারা রাজাকার বলবে না ... ..."


অলমিতি বিস্তারেণ

ওসিরিস এর ছবি

লিঙ্কটা দিয়ে দিন এখানে

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

বালক এর ছবি

চলুক

*************************************************************************
"আমার কোনো নীল শার্ট নেই, ছিলো না কখনো__নীলিমা দেখেছি শুধু একাই__ নীল শার্ট নেই বলে কেউ আমাকে নাবিক বলেনি__ অথচ সমুদ্রেই ছিলাম আমি।"

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই সামাজিক বয়কটের চর্চা করে যাচ্ছি, করে যাবো।

স্পার্টাকাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সামাজিক ভাবে বয়কটের পক্ষে আমি নাই। বড় হওনের পর থিকা একটা দাবীতেই অটল আছি, থাকবো... যে কোনো মূল্যে এদেরকে নির্মূল করা। আমি এই দাবী থেকে সরে আসতে পারবো না। আমৃত্যু এই দাবীতেই ঈমান শক্ত করে খাড়ায়া থাকবো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রাফি এর ছবি

লিঙ্কটা শেয়ারে দিলাম।
চলুক

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

স্বাধীন এর ছবি

গতকালের দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদকীয়টি পড়ে দেখুন। তাঁরাও বসে নেই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওদের সম্পাদকীয় পড়লাম। মানে পড়ার চেষ্টা করলাম। প্রথম কয়েক লাইন পড়েই বুঝলাম, সংগ্রামের এই সম্পাদকীয়টাও সংগ্রহে রাখতে হবে।

বেশিদূর যাওয়ার দরকার নেই। প্রথম কয়েক লাইনই যথেষ্ট। ৭১-এর সংগ্রামের কপিগুলো একের পর এক সাজালেই ওদের আজকের এই সম্পাদকীয় ওদের কুকর্মের জ্বলজ্ব্যান্ত সাক্ষী হয়েই থাকবে।

গর্ধব ভোল পাল্টে বাঘের ছাল গায়ে দিলেও নিজের ভোঁটকা গন্ধ ঢাকতে পারে না কখনোই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাফি এর ছবি

বয়কট চাইনা সমূলে বিনাশ চাই

রণদীপম বসু এর ছবি

আমার সবগুলো ব্যক্তিগত ব্লগে শেয়ার করলাম।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমরা মিলে একটা সুইসাইড স্কোয়াড গড়ে তুললে কেমন হয়! শ'খানেক সদস্য থাকলেই চলবে। মোটামুটি মায়ের গায়ের পোকাগুলারে কিছুটা পরিষ্কার করা যাবে...

খালি ব্লগ লিখ্যা কাম হইবো বইলা ভরসা হয়না...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অবাঞ্ছিত এর ছবি

বয়কট ফয়কট নাই... ধরে সোজা শূলে চড়ানো হোক... জনসমক্ষে। এদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নাই।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অফটপিক: ধূগো'দা, আপনার ব্যবহার করা ছবিটার সোর্স কি? ব্যবহার করতে চাচ্ছিলাম তাই জিজ্ঞাসা করলাম। হাসি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নৈষাদ এর ছবি

ব্যক্তিগত পর্যায়ে এই সামাজিক বয়কটের চর্চা করে যাচ্ছি, করে যাবো। - অন্ততপক্ষে এটুকুই শুরু হোক।

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

সামাজিক বয়কটকে আমি খুবই জরুরি বলে মনে করি। একজন কুখ্যাত রাজাকারের ছেলে একসময় আমার কলিগ ছিলো। তার বাবা সে সময় মন্ত্রী থাকায় আমাদের অফিসের বড়কত্তা তাকে ভালোই পাত্তা দিত--অন্তত আমাদের সবার চেয়ে বেশি। একবার অফিসের কাজে এক সাথে সিলেটে গেলে সে হোটেলের লবিতে বসে বলেছিল --
"
আমাদের নতুন প্রজন্ম এখন মুক্তিযুদ্ধের কথায় বিরক্ত বোধ করে‌, কিছুদিন পর সবাই এসব ভুলে যাবে। "
এ ঘটনা থেকে আমার মনে হয়েছে আমরা ওদের সাথে অন্য সবার মত করে মিশি বলে ওরা কোনো মানসিক চাপ অনুভব করে না--স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় ওদের বাবাদের ভূমিকাকে চ্যালেণ্জ করে না-- ওদের বাবারা ওদেরকে ছোটবেলা থেকে যা বোঝায় সেটাকেই ধ্রুব বলে জানে। এই প্রেক্ষিত থেকে সামাজিক বয়কটটা খুবই জরুরি বলে আমি মনে করি।

একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও এখনও ওরা কিভাবে ওদের প্রোপাগাণ্ডা চালায় তা দেখার জন্য নিচের ভিডিও টা দেখুন---
http://www.youtube.com/watch?v=AlDPW7271tg&feature=related

দু:খের বিষয় হচ্ছে যে মানুষগুলো পরম ভক্তি ভরে এ ওয়াজ শুনছেন তাঁরা আমাদের দেশেরই সাধারণ মানুষ। ছোটবেলায় আমিও ওয়াজ শোনাকে সওয়াবের কাজই মনে করতাম।

আজকের প্রথম আলোতে পড়লাম---সরকার চাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য জনগণ যেন সরকারের উপর চাপ অব্যাহত রাখে--তাহলে নাকি সরকারের জন্য এ কাজ করা সহজ হবে। ব্যাপারটা একটু হাস্যকর হলেও এর বাস্তব গুরুত্বটুকু সম্ভবত উপেক্ষা করার মত নয়। জঙ্গীবাদ সংক্রান্ত জুজুর কারণে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী আমেরিকাসহ পাশ্চাত্য বিশ্ব হয়ত এখন এ বিচারের বিরোধিতা করবে না -কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যসহ যে সমস্ত মুসলিম দেশে আমাদের মানুষেরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন সেসব দেশকে এ সময় এ বিচারের যৌক্তিকতা বোঝানোর জন্য আন্তর্জাতিক মিডিয়া কাভারেজ এর কথা মাথায় রেখে নিয়মিত কর্মসূচী পালন করা জরুরি মনে হয়। খুব ভালো হয় সেক্টর কমাণ্ডারস ফোরাম, ঘাদানিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই আমার তাদের কর্ম তত্ পরতা শুরু করলে। এ কথাগুলো এভাবে বললাম সরকারের উপর এখনও আস্থা আছে বলে।

আর সরকার যদি এটাকে আবার নির্বাচন পাড়ি দেয়ার বৈতরণী করতে চায় তাহলে সবাই মিলে চেপে ধরে এ কাজ করাতে হবে। আমার মনে হয় সরকারের সত্যিকারের নিয়ত সম্ভবত আমরা আগামী কয়েক মাসেই বুঝতে পারব।

মনে রাখা দরকার--যু্দ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর এটাই সম্ভবত শেষ সুযোগ।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

মনে আছে, আশির দশকের মাঝামাঝিতে যখন শিবিরের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ চলছে সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সিলেট, চট্রগ্রাম, রাজশাহীতে তখন সামাজিক বয়কট উদ্যোগ ও নেয়া হয়েছিল।
এর কাউন্টার হিসেবে তারা নিয়েছিল সামজিক আত্নীকরনের একটা চমকপ্রদ কৌশল। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর আশে পাশের গ্রামের সাধারন মানুষদের বাড়িতে শিবিরের লো প্রোফাইল ছেলেগুলো জায়গীর হিসেবে থাকার ব্যবস্থা করা হলো। জায়গীর মাস্টাররা পরে সুবিধামতো অনেক বাড়ির জামাই হয়ে গেলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের গ্রামে আত্নীয়তা তৈরী করা মানে হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষ হলে গ্রামগুলোতে শেল্টার নেয়া, গ্রামবাসীর সমর্থন নিয়ে পুনঃ আক্রমন করা।

এই হলো অবস্থা!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বোধকরি সময়টা বদলেছে অনেক। এখন এমনকি অঁজো গ্রামের মানুষও জামাত-শিবিরের কার্যকলাপ সম্পর্কে জানে। তাদের মাঝে সামাজিকভাবে বয়কটের আহ্বানটা আগের মতো অতোটা কঠিন হবে না।

সমস্যাটা আসলে গ্রামের মানুষকে নিয়ে না। সমস্যাটা হলো শহুরে শিক্ষিত শ্রেণীকে নিয়ে। সামাজিক বয়কটের আহ্বানে এখান থেকে ঠিক কতোজন সাড়া দিবে, সেটাই কথা!

এই পোস্টেই একটা কমেন্টে দেখলাম, হোটেলের লবিতে বসে কোনো এক রাজাকারের ছেলে চোরের পোলার বড় গলা করে বাঙ্গি ফাটানো কথা বলে। আর তাকে শেল্টার দেয় তারই অফিসের বড় কর্তা। সূত্রমতে এই রাজাকার শাবক তো বটেই, উল্লেখিত অমেরুদণ্ডী বড়কর্তার সাথে সবরকম সামাজিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা। কিন্তু সেটা করার হ্যাডম ঠিক কতো জনের আছে আমাদের?

লিখিত ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে না, সামনে দাঁড়িয়ে কতোজন বলার ক্লেশটুকু স্বীকার করবে যে "তোরে, তোর চৌদ্দ গুষ্ঠীরে আওয়াজ ছাড়া ঠাস করলাম মাঙ্গের পো!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

বস, আপনার মন্তব্যটা পড়ে আমি এরপর কী করেছিলাম সেটা একটু বলা প্রয়োজন মনে হলো। আমি এরপর অফিসে ফিরে জাফর স্যারের সাথে তোলা আমার একটা ছবি আমার ডেস্কে ঝুলিয়ে দিয়েছিলাম (এটা কাজ করেছিল)। আর ১৪ ডিসেম্বর তাকে এসএমএস পাঠিয়ে বলেছিলাম আমার হৃদয় নিংড়ানো ঘৃণা তার বাবাকে পৌঁছে দিতে।

তিথীডোর এর ছবি

"আমরা এদের বিচার চাই, আমরা সেই বিচারের আদেশ কার্যকর দেখতে চাই। "

-------------------------------------------------
"সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে..."

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

বিচার না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নেই। কবে যে বিচারকার্য শুরু হবে!
----------------------------------------
ঢাকার মৌন ঘ্রাণে বকুলফুলের নাভি
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ

তানবীরা এর ছবি

কবে যে বিচারের আনন্দ পালন করতে পারবো কে জানে। নাকি প্যালেষ্টাইনীদের মতো পুরুষ থেকে পুরুষ অপেক্ষা করতে হবে।
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ভণ্ড_মানব এর ছবি

লিংকটা অসাধারণ।
অনেক ধন্যবাদ ধুগোদাকে।
স্বাধীনতার এতো বছর পেরিয়ে গেলো কিন্তু এদের এখনো নির্মূল করা গেলো না...এটাই এ জাতির সবচেয়ে বড় লজ্জা।
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।