ছেঁড়া দ্বীপে এক পরিবেশকর্মী (২) (ছবি)

এনকিদু এর ছবি
লিখেছেন এনকিদু (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৬/২০০৮ - ১২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছেঁড়া দ্বীপে এক পরিবেশকর্মী (প্রথম পোস্ট) পড়ে যারা ছবি দেখতে চেয়েছিলেন তাদের জন্য কিছু ছবি রইল । সব গুলোই আমার সঙ্গী মাহামুদূর রহমান এবং মাহাফুযুর রহমানের তোলা । বিশেষ করে পিছন পিছন ঘুরে জ্বালিয়ে মারার সুযোগ দিয়ে মাহাফুযুর রহমান আমাকে বিরাট কৃতার্থ করেছেন । আমি সৈকতে যত আজব জীব জানোয়ার দেখেছি সবগুলোর একটা করে ছবি তাকে দিয়ে তুলিয়ে নিয়েছি । বেচারা আমার অনুরোধ রাখতে গিয়ে শেষে সুন্দর দৃশ্যের বেশি ছবি তুলতে পারেনি । তার আগেই ব্যাটারি খতম । তবে এখানে সব আজব জীবের ছবি দিলাম না । কিছু ছবি আছে দেখলে বাচ্চারা ভয় পেতে পারে ।

এই সুযোগে তোকে ধন্যবাদ জানাই দোস্ত, তুই না থাকলে আমার সংগ্রহে এতগুলো national geographic মার্কা ছবি থাকত না ।

পাঠকদের প্রতি অনুরোধ, ছবি ভাল লাগলে প্রসংশা তাদেরকে করবেন । আর খারাপ লাগলে গালাগালির জন্য এই অধম তো আছেই ।

আকাশের থেকেও বেশি নীল ...
ছবিটি তুলেছেন মাহাফুযুর রহমান । কেয়ারী সিন্দবাদ জাহাজের ডেক থেকে । সেখানে সাগর সত্যিই এমন নীল, ছবিতে এক "বিট" পরিমান ডিজিটাল কারসাজিও করা হয়নি ।



প্রবাল
মাহমুদুর রহমানের তোলা ছবি । সৈকতে অর্ধেক পানির নীচে ডুবে থাকা এক বিশাল প্রবাল ।



জেলী ফিস
নারিকেল জিঞ্জিরার সৈকতে জেলী ফিস । মাহফুযুর রহমানের তোলা ।



মাছ
স্বচ্ছ পানির নীচে একটা মাছ দেখতে পেলাম । মাহাফুযুর রহমানের তোলা ।



sea anemon
এই প্রানীটার বাংলা নাম কেউ জানেন কি ? মাহফুযুর রহমানের তোলা ।



অজ্ঞান
ছেঁড়া দ্বীপের সৈকত পুরাটাই ঝিনুক দিয়ে তৈরী । বালির চিহ্ন মাত্র নেই । তাই দেখে এনকিদু অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল সৈকতে । পলেথিনের যেই ব্যগটা দেখতে পাচ্ছেন, আমাদের গল্পের নায়ক পরিবেশকর্মীর হাতে এই ব্যাগটাই তুলে দেয়া হয়েছিল ।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

অসাধারণ সুন্দর সব ছবি। সত্যিই National Geographic মার্কা!


কি মাঝি? ডরাইলা?

এনকিদু এর ছবি

শেষ ছবিটা তো একেবারে মারাত্নক, কি বলেন ? NatGeo magazine এর প্রচ্ছদে যাওয়ার যোগ্য তাইনা ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

তাই নাকি ? দারুন খবর !! কোন সংখ্যা কোন ভলিউম জানেন নাকি ? নিউমার্কেটে পাওয়া যাবে ? নাকি নীলক্ষেতের ফটোকপিই ভরসা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

Sea anemone (সী এ্যনিমনি) আর Hermit Crab এর সিম্বায়োটিক সম্পর্কের কথা তো মনে হয় পড়েছিলাম। কিন্তু বাংলা নাম তো জানা নেই..

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

এনকিদু ও তদীয় বন্ধুদের ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

এনকিদু এর ছবি

আপনি প্রায়ই দেখি আমার যাতা ব্লগেও একটা করে ভাল মন্তব্য করেন । আপনাকেও একটা বড়সড় ধন্যবাদ ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবিগুলা বেশি ছোট ছোট... অবশ্য দিতে যে পারছেন তাতেই ধন্যবাদ... আমি তো তাই দিতে পারি না...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দ্রোহী এর ছবি

নজু ভাই, ছবির গায়ে ক্লিক করেন। আরেকটা উইন্ডোতে বড় ছবি খুলবে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সমুদ্রের পানি দেইখা মনে হইলো হাতে জেলী ফিশের কাবাব লৈয়া কোশা নৌকার মাধ্যিখানে খাড়ায়া টুশ কইরা কামড় দিয়া একটা আ-হা সাউন্ড না করতে পারলে এই জীবনের সাড়ে পনেরো আনাই বৃথা!

জেলী ফিশের কাবাব খাওনের কথা কৈলাম বৈলা সেন্টু খাইয়েন না। আমার এইও ধরণের বিচিত্র খেয়ালের খাওন খাওয়ার শখ হয় মাঝে মাঝে। যেমন সেদিন হৈছিলো মশার কামড় খাওয়ার শখ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

খাওয়ার কথা যখন ঊঠল, একটা মজার কথা বলি । আমরা নারিকেল জিঞ্জিরায় প্রথম দিন দুপুরে ভাত খেয়েছিলাম উড়ুক্কু মাছ (flying fish) ভাজা দিয়ে । সেদিন রাতে ছিল রুপ চাঁদা । পরেরদিন দুপুরে , মানে ছেঁড়া দ্বীপ থেকে ঘুরে এসে কি যে খেয়েছিলাম মনে নেই। সেদিন রাতে খেয়েছিলাম টেক চাঁদা মাছের কাবাব । টেক চাঁদা মাছ যারা চিনেন না তাদের জন্য বলছি, এটা রুপচাঁদার মত দেখতে কিন্তু তার তিনগুন আকারের মাছ । খেতে ভালই ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মিয়া রূপচাঁদার লোভ দেখান?
আমি এই সেদিনো খাইছি। তবে ভাজা না, আমার স্টাইলে রাইন্ধা। ঐ খাওন খাইলে মিয়া সঞ্জীব কাপুর ও তার খানা-খাজানা থুইয়া পলাইবো। চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

এনকিদু এর ছবি

রান্নার কথা কে বল্ল ? আমি তো বলি কাবাব । টেক চান্দার কাবাব খেয়েছেন ? একবার টমেটো সস দিয়ে ঐ জিনিস খেলে পরে বছরে দুইবার করে নারিকেল জিঞ্জিরা যেতে ইচ্ছা করবে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

সব পড়ে এবং দেখে মনেহলো আরেকবার নারকেল জিঞ্জিরা ঘুরে এলাম। খুব সুন্দর একটা লেখা উপহার দিয়েছেন।

অচেনা কেউ এর ছবি

কদু ভাইয়াকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের অনুরোধ রক্ষা করার জন্য।সাথে মাহমূদ ভাই এবং মাহফুজ ভাইকেও ধন্যবাদ জানাই এত সব সুন্দর ছবি আমাদের দেখার সুযোগ করে দেবার জন্য।ছবিগুলো আসলেই অসাধারণ।

এনকিদু এর ছবি

অচেনা কেউ আমার প্রিয় নিক টা লিখতে গিয়ে বার বার বানান ভুল করলে একটু খারাপ লাগে । তার পরেও অচেনা কেউকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্পর্শ এর ছবি

ছবি সব দারুণ হইসে!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

এনকিদু এর ছবি

আরে ভাই আপনি তো ঘরের লোক । ধন্যবাদটা আমাকে না দিয়ে কষ্ট করে একটু পিছন ফিরে ঐ দুইজন কে দিয়ে দেন । খুশি হবে হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

লেখার সাথে ফুটুও সেরকম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জি.এম.তানিম এর ছবি

মাহমুদের তোলা ছবি আগেই দেখেছিলাম, মাহাফুজেরটা দেখা হল, দারুণ ছবি তোলে দুইজন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম ভাই । এইটা কোন মাহাফুয চিনতে পেরেছেন ? কোপা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

বাহ! খুব সুন্দর, খুব সুন্দর হাসি খুব লোভ হচ্ছে যাওয়ার। হাসি
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দেশের বাইরে থাকলেই এসব জায়গায় যেতে ইচ্ছে করে। দেশে থাকলে এই ঝামেলা তো সেই ঝামেলা ইত্যাদি আজগুবি সব কারণে আর যাওয়া হয়না। পরিবারের নিরাপত্তার ব্যপারটা সবচেয়ে চিন্তায় ফেলে দেয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।