ছেলেবেলার কিছু স্মৃতি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৪/২০০৮ - ১২:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি বিখ্যাত কেউ না। আমার ছেলেবেলা নিয়ে কারো আগ্রহ ও থাকার কথা না। তারপর ও কিছু স্মৃতি আজকে লিখতে মন চাইল। এর মধ্যে কেউ সাহিত্য রস বা অতি নাটকীয়তা খুঁজলে হতাশ হবেন।

নামের বানান ভুল

তখন সবে মাত্র স্কুলে ভর্তি হয়েছি। ১ম সাময়িক পরীক্ষা হয়েছে। তোমার নাম কি? তোমার বাবার নাম কি? এই টাইপের প্রশ্নের উপর পরীক্ষা। পরীক্ষা দিলাম ভালোই। বাসায় যাওয়ার পর মা সব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছেন, কোনটার কি উত্তর দিয়েছি, এইসব যাচাই বাছাই হচ্ছে। যেটা যেটা মার কাছে মনে হচ্ছে লিখিয়ে চেক করা দরকার, সেগুলো লিখাচ্ছেন ও।

তো, আমাকে আমার নাম লিখতে বললেন খাতায়। আমি বানান ভুল করে নাম লিখলাম। মা জিজ্ঞেস করলেন, পরীক্ষায় এভাবে লিখেছ? আমি মাথা নাড়ালাম। মাতো মোটামুটি উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। নিজের নামের বানান কেউ ভুল করে? এমন বোকা তো আমি দেখিনি...এই ছেলের ভবিষ্যতে কি হবে ইত্যাদি।

এর কিছুদিন পরে পরীক্ষার খাতা দিল। খাতা পেয়ে দেখা গেল, আমি পরীক্ষার খাতায় নামের বানান ঠিক করেই লিখেছিলাম, কিন্তু বাসায় গিয়ে ভুল লিখেছি।

তখন আবার আরেক চোট ঝাড়ি। পরীক্ষায় ঠিকই যদি লিখলে, তাহলে বাসায় গিয়ে ভুল লিখে ধমক খেলে কেন? বোকা ছেলে...

বুবলি

তখন আমি নার্সারীতে। প্রতিদিন ক্লাসের শেষের দিকে যখন করার কিছু নেই, তখন ক্লাসে গান, নাচ ইত্যাদি হত। তো একটা মেয়ে, নাম বুবলি, প্রায় প্রতিদিনই গান নাহয় নাচ, নাহয় আবৃত্তি ইত্যাদি দিত। প্রতিদিন মেয়েটির বিভিন্ন গুণের সমাহার দেখে আমার হৃদয়ে কেমন জানি করতে লাগলো।

একদিন বাসায় গিয়ে সাহস করে মাকে বললাম, মা একটা কথা বলি?
মা বললেন, বল।
আমি বললাম, আমার না বুবলি নামের একটা মেয়েকে খুউউব ভাল লাগে। যখন বড় হব, তখন ওকে আমি বিয়ে করব।

মা তো হেসেই কুটিকুটি। মার হাসি দেখেই বুঝলাম, মনের গোপন কথাটি এভাবে বলে দেয়া উচিত হয়নি। মা শুধু হেসেই ক্ষান্ত দিলেন না, প্রথমে বাসার বাকি সবাইকে বললেন, তারপর পরেরদিন স্কুলে গিয়ে মেয়েটিকে দেখলেন, কথায় কথায় ক্লাস টিচারকে বললেন, সেই টিচার অন্যান্য টিচারদের বললেন...মোটামুটি মেয়েটি ছাড়া দুনিয়ার সবাই আমার প্রথম প্রেমের কথা জেনে গেল।

এরপর অনেকদিন পর্যন্ত মেয়েটির কথা বলে বাসায় সবাই আমাকে ক্ষেপাত।

নামতা

তখন বোধহয় কেজি ক্লাসে বা ওয়ানে পড়ি। নতুন নামতা শিখছি। নামতা মুখস্ত করি, তারপর মা আমাকে না দেখে লিখতে দেন। এরকম একদিন নামতা মুখস্ত করেছি, মা আমাকে লিখতে দিয়ে রান্না করতে চলে গেলেন। আমি এক জায়গায় এসে আটকে গেলাম। আমার কিছু দুরেই বইটি। আশে পাশে সাবধানে দেখে নিলাম। মাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। আমি চটপট করে বই উল্টিয়ে যেখানে ভুলে গিয়েছিলাম, সেটুকু দেখে লিখে ফেললাম। মা আসলেন কিছুক্ষণ পর, নামতা মিলালেন, সব রাইট দিলেন, নাম্বার ও দিলেন (ছোট থাকতে বাসায় লেখার পর মা দেখে এর মধ্যে নাম্বার দিতেন)। সব ঠিকমত পেরেছি বলে যাদু সোনা, লক্ষ্মী সোনা ইত্যাদি করলেন।

পরের দিন স্কুলে পরীক্ষা। ওই একই নামতা আসলো পরীক্ষায়, আমিও মুখপোড়া একই জায়গায় গিয়ে আটকে গেলাম। অতঃপর খাতা শূন্য রেখে চলে এলাম। বাসায় এসে ভয়ে মাকে বলিনা, যে পরীক্ষায় নামতা পারিনি, কারণ মাত্র আগের দিনই বাসায় আমি পেরেছি।

এরপর এক সময় পরীক্ষার খাতা দিল, মা দেখলেন নামতার পৃষ্ঠা অর্ধেক খালি। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বীকার করলাম, বাসায় লেখার সময় আমি বই দেখে লিখেছিলাম। সেদিন মা আমাকে বেশ কড়া শাস্তি দিলেন।

তবে খুব ছোটবেলার এই ঘটনাটি আমার মনে শক্তভাবে গেঁথে যায়। এরপর কোনদিন ও আমি কোন বই বা অন্য কারোটা দেখে লিখিনি।

আপেল

ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ফলমূলের প্রতি আমার চরম অভক্তি। বাসায় আপেল বা পেঁপেঁ আনলে দুশ্চিন্তায় আমার জ্বর এসে যেত। ছোট মানুষ আমি, কোন কিছুতে সমান ভাগ পাই না, কেবল ফলমূল আনলেই সবার সমান ভাগ! পারলে আমার ভাগে আবার আর একটু বেশি!

তখন আমাদের সাথে আমার ছোট্মামা থাকতো। তো একদিন বিকালে বাবা আপেল আনলেন, সবাইকে দিলেন একটা একটা করে। আমি আমার ভাগেরটা নিয়ে বসে আছি, কামড় দিচ্ছি না। নড়াচড়া করছি। হঠাত ফাঁক বুঝে বাসার বাইরে চলে গেলাম। বাইরে গিয়ে আপেল ফেলে দিলাম এক জায়গায়, তারপর কিছুক্ষণ পর ফেরত চলে আসলাম। তখন ও সবাই আপেল খাচ্ছে। আর আমার আপেল খাওয়া শেষ! সবাই তাই মোটামুটি সন্দিহান হয়ে উঠলো। শুরু হল জিজ্ঞাসাবাদ। আমি ও ভাল মানুষের মত বললাম, আপেল খেয়ে শেষ করেছি। তারা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চায় না। এত তাড়াতাড়ি নাকি আমি আপেল শেষ করতেই পারি না! অতএব উপায় অন্তর না দেখে তাদের বিশ্বাস করানোর জন্য তাদের সামনে আরেকটা আপেল গব গবিয়ে খেলাম অল্প সময়ে (সেই তো খেতেই হল!)। সবাই তখন মোটামুটি বিশ্বাস করল, আমি প্রথম আপেলটি সত্যি সত্যিই খেয়েছি। যাহোক, কাহিনী এখানে শেষ হলে কথা ছিল। সবাই বিশ্বাস করলে ও কি এক বিচিত্র কারণে আমার ছোট্মামা বিশ্বাস করেন নি যে আমার পক্ষে সত্যিই এত দ্রুত আপেল খাওয়া সম্ভব।

কিছুক্ষণ পর তিনি বাইরে গেলেন হাওয়া খেতে, এবং কিভাবে জানি আমার ফেলে দেয়া আপেলটা উদ্ধার করলেন। তারপর সেই আপেল বাসায় নিয়ে আসলেন। আপেল দেখেতো আমার প্রাণে পানি নেই।

অতঃপর সবাই মিলে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঠিক করল, এই ঘটনার শাস্তি স্বরুপ বাকি সব আপেল আমাকেই খেতে হবে!

গুঁড়ো দুধ

ছোটবেলা থেকেই গুঁড়ো দুধের প্রতি আমার চরম আসক্তি। ভাত দিয়ে খাই, হাতে নিয়ে এমনি এমনি খাই। মা আমার জন্য চা বানাতে পারেন না। যখনই রান্না ঘরে দুধের কৌটা খোলার শব্দ শুনি, যেখানেই থাকি না কেন, পড়ি মড়ি করে রান্না ঘরের দিকে দৌড় দিই। বান্দা হাজির, গুঁড়ো দুধ চাই।

প্রথম প্রথম মা দিতেন, কিন্তু প্রতিদিন চাইতে থাকাতে এক সময় প্রতিদিন দেয়া বন্ধ করলেন। আমার ভারি মন খারাপ। তক্কে তক্কে থাকি, কখন একটু গুঁড়ো দুধ মিলে কপালে! মা যখন বোন কে স্কুলে দিতে বা আনতে যান, সেই ফাঁকে আমি দুধের টিন খালি করি। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমি ভালো মিথ্যাবাদী না। আর চুরি ও ঠিক ঠাক মত করতে পারি না। মনের সুখে দুধ খেয়ে হয়তো টিনের ঢাকনা ভাল ভাবে লাগাতে ভুলে যাই, বা চামচটা ভাল ভাবে ধুই না, দুধ লেগে থাকে কোথাও না কোথাও, বা চামচ ঠিক মত ধুলেও তা ভেজা অবস্থায় রেখে দিই, অর্থাৎ কোন না কোন দিক দিয়ে একটা না একটা ফাঁক থেকেই যায়!

একদিন দুধ খাচ্ছি, এমন সময় হঠাত মা চলে আসলেন। আমি কোন মতে দুধের টিন বন্ধ করে অন্য রুমে চলে এসেছি। কিন্তু আমার মুখ ভর্তি দুধ। মা এটা সেটা জিজ্ঞেস করেন, আমি মুখই খুলি না। খালি মাথা ঝাকাই।

মা অবশেষে ধরে ফেলেন, আমার মুখ ভর্তি দুধ! তারপর কিঞ্চিত উত্তম মাধ্যম হয়তোবা জুটেছিল, কিন্তু আমি মহা আনন্দিত। আমি প্রাণ ভরে দুধ তো খেয়ে নিয়েছি!

সেদিনই প্রথম টের পেলাম, পেটে খেলে পিঠে সয়!

(রেনেট)

ranet_usa@yahoo.com


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

বুবলি নামের মেয়েটার জন্যে টেনশন হচ্ছে। নামটা বড়ই ইয়ে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা। আপনি বলার আগে ওভাবে খেয়াল করে দেখিনি।
~রেনেট

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

খালি খাইষ্টা চিন্তা গড়াগড়ি দিয়া হাসি ...

আমিতো বুবলি বইলা একজনরে চিন্তাম, এই জিনিসটা মাথাতেই আসে নাই হো হো হো

লেখাটা জোস, মজা পাইছি হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ কিংকু ভাই। হাসি
কিন্তু টেনশনে পড়ে গেলাম। আমার সেই বুবলিরে চিনতেন নাকি? ইয়ে, মানে...
~রেনেট

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

কেম্নে কৈ? দুনিয়া বড়ই ছোট ... তবে টেনশন নিয়েন না, মাথায় কোন বদ চিন্তা আসে নাই দেঁতো হাসি
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

হিমু এর ছবি

বুবলি কি তার নামের মর্যাদা পরে রাখতে পেরেছে, নাকি আবারও কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন?


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি জানি না। আমার বুবলিরে আমি ক্লাস ওয়ানের পর দেখি নাই মন খারাপ
কিংকু ভাইরে জিগান চোখ টিপি
~রেনেট

হিমু এর ছবি

ও, আচ্ছা। সেই ক্লাস ওয়ানে দেখেছিলেন? হুমম! তখন তো ... মানে, কিশোরকুমারের একটা গান মনে পড়ে গেলো। শিং নেই তবু নাম তার সিংহ ...।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নিঝুম এর ছবি

বাসায় যাওয়ার পর মা সব প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছেন, কোনটার কি উত্তর দিয়েছি, এইসব যাচাই বাছাই হচ্ছে। যেটা যেটা মার কাছে মনে হচ্ছে লিখিয়ে চেক করা দরকার, সেগুলো লিখাচ্ছেন ও।

এইবার বুঝলাম তোর টানা ফার্স্ট-সেকেন্ড হবার রহস্য...
--------------------------------------------------------
শেষ কথা যা হোলো না...বুঝে নিও নিছক কল্পনা...

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভালো লিখেছেন। বেশ মজা পেলাম। কিন্তু কথা হলো, আমিও তো এক বুবলিকে চিনতাম। সে কি আপনার ক্লাস ওয়ানের বুবলি, নাকি কিংকুর পরিচিত বুবলি আল্লাহ মালুম!

স্বপ্নাহত এর ছবি

দুনিয়ার সব বুবলি চিননেওয়ালারা কি সব সচলেই
আইসা জমা হইলো নাকি!!

আমিও এক বুবলিরে চিনতাম!!

তবে রেনেট ভাই,চিন্তার কিছু নাই।আপনার আর আমার মধ্যে ব্যাটে বলে হবার চান্স কম।আপনি যখন বুবলির প্রেমে হাবুডুবু তখন আমার চেনা বুবলি কিংবা আমি কেউই স্কুলে যাবার মত বড় হইনাই দেঁতো হাসি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

কনফুসিয়াস এর ছবি

বেঁচে গেছি!
আমি কোন বুবলিকে চিনতাম না। হাসি

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আমি এক বুবলিরে চিনি! আমার বন্ধুর ছোট বোন! সে আমার অতি আদরের! সুতরাং আমি সেই হিসেবে তার বড় ভাই! এবার আপনারা আমাকে বলেন দেখি... (জামার হাতা গোটাতে গোটাতে) এখানে বুবলিকে নিয়ে কে কী বলছিলেন?

ৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎৎ
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

হিমু এর ছবি

সবাই দেখি একটা করে বুবলিকে চেনে! দুনিয়াতে অ্যাতো বুবলি ছিলো কোথায়?

আমি অবশ্য নামে কোন বুবলিকে চিনি না, তবে ...।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

Himu Bhai, apni Bubli bishoyok ekta kichu likhe felen.
~Ranet

মুশফিকা মুমু এর ছবি

খুব ভাল লাগল দেঁতো হাসি আপনার লেখা সব সময়ই ভাল লাগে হাসি

আপনার বুবলির কথা শুনে একটা কথা মনেপরে গেলো। আমরা তখন মাত্র UK থেকে এসেছি, আম্মু আমাকে ময়মনসিংহের নতুন কুড়িতে ক্লাস ১ এ ভর্তি করে দিল। আমি নতুন বলে কেউ আমার সাথে মিশতোনা কয়েকজন বাদে। সেই কয়েকজন বন্ধুর মাঝে একটা ছেলে ছিল (নাম মনে করতে পারছিনা) আমার সামনেই বসত। আম্মু ছোট মেয়েদের লম্বা চুল পছন্দ করত তাই, তখন আমার চুল অনেক লম্বা ছিল। একদিন আমি পিছন ফিরে আমার ব্যাগ এ কি যেন বের করছি না ঢুকাচ্ছি তখন ও করল কি আমার চুল ধরে গন্ধনিল। আর আমি কিছু বলার আগেই পাশের মেয়েটা বলে উঠল "জানো জানো ও তোমার চুলের গন্ধনিল" আর ছেলেটাতো সাথে সাথে "না না নেই নি"। আমি তখন একটু রাগি গলায় বললাম তাই কিনা তখন ও কাচুমাচু করে বলল "হ্যাঁ", আমি কি কারনে যেন রাগ করতে পারলাম না, শুধু বলেছিলাম "আর কোরনা"। এই স্মৃতিটা আমার খুব মনে হয়। হাসি

আপনার "নামের বানান ভুল" পড়ে আরেকটা ঘটনা মনে পরল, ঐ একই বছর, ক্লাস ১ এ, নতুন কুড়ি থেকে গাজিপুর আসলাম, আমাদের অংক স্যার কি কারনে যেন সেদিন একএক করে সবার ভালো নাম জিগ্যেস করছিল। এমনিতেই ক্লাস এ নতুন, তার ওপর বুঝতে পারছিলাম না যে "ভালো নাম" আবার কি। আমার সব নামইতো ভালো। তারপর যখন আমাকে বলতে বলল আমিতো ভয়ে কাদোঁকাদোঁ হয়ে বললাম "আমি জানিনা", স্যার তখন বলল "জানোনা মানে?" তখন আরেকজন ছাত্র বলল যে স্যার ও নতুন, পরে স্যার বুঝতে পারে যে আমি আসলেই বুঝতে পারছিলাম না ভালো নাম মানে যে বাকি পুরো নাম। খাইছে
আপনার স্মৃতিচারন পড়ে অনেক কথা মনেপরে গেলো তাই বেশি বকবক করে ফেললাম সরি।

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আপনার লেখার হাত চমৎকার!

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

আর আপনার মিথ্যা বলার স্টাইল খুবই ভালো। সত্যি বলে ভ্রম হয়!
~রেনেট

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।