চিঠি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৮/০৫/২০০৮ - ৫:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চিঠি
---রাতুল

আজ কাল আর স্কুলে পড়ায় কিনা জানিনা তবে আমরা অনেকেই "পিতার কাছে টাকা চাইয়া পত্র" পরীক্ষার খাতায় লিখেছি। আজকাল হয়ত "পিতার কাছে টাকা চাইয়া" এস.এম.এস লিখতে হয়। দিন অনেক বদলে গেছে। বছর দেড়েক আগে মাত্র গ্রাজুয়েশন শেষ করেও স্কুলপড়ুয়া চাচাত, মামাত, পাড়াত ছেলেমেয়েদের সাথে কথা বললে জেনারেশন গ্যাপ হয়ে গেছে মনে হয়।

চিঠি কিংবা আবেদন পত্র লেখা যে কত বড় শেখার বিষয় তা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর পটানো বিষয়ক মেইল করতে গিয়ে টের পেলাম। কিভাবে শুরু করব? কি আগে লিখব? কোন বিষয়টাকে ফোকাস করব? মেইলের সাবজেক্টাই বা কি দিলে অন্তত মেইলটা না পড়েই ডিলিট মারবে না। তখন ভাবি ধূর কেন যে স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে "ফান্ডিং চাইয়া প্রফেসরের নিকট পত্র" লেখা শিখাল না।
কত কিছুই যে শেখার ছিল!!


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কত কিছুই যে শেখার ছিল!!

ভালৈয়াসেন তাইলে!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রাতুল এর ছবি

ভাল না থাইকা উপায় আছে?

রায়হান আবীর এর ছবি

রাতুল ভাই,
ফান্ডিং এ যদি এক্সট্রা কিছু থাকে তাহলে আমারে পাঠাই দিয়েন। পকেট এলাউন্স এর টাকা দিয়ে আর চলেতে পারছিনা...চাল ডালের দাম যেভাবে বাড়ছে।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

রাতুল এর ছবি

আবার জিগায়?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি কি শিখলেন আমাদের একটু সেখান না , দুইদিন পর তো আমাদেরও ঐ লাইনে যাইতে হবে । একটু আগায়ে থাকি আরকি । নাকি বলেন ?
eru

-------------------------------------------------
pause 4 Exam

রাতুল এর ছবি

সবচেয়ে বড় যে জিনিসটা শিখছি সেটা হল মেইল দেয়ার ক্ষেত্রে কোন কার্পন্য করা যাবে না। দু একটা মেইল দিয়া রিপ্লাই না পাইলে হতাশ হওয়া যাবে না।পোলাপানের এইরকম শত শত মেইল প্রফেসরেরা ডেইলি পায়।

একই ডিপার্ট মেন্টের, দুই প্রফেসরের সাথে এক সাথে মেইল না দেয়াই ভাল। একজন রিপ্লাই না দিলে অন্যজন, এভাবে আগানো ভাল।

যে বিষয়ে আসলেই আপনার সাথে প্রফেসরের রিসার্চ ইন্টারেস্ট মিলে তাদের বাদে হুদাই সবাইরে এক মেইল এর কপি পাঠানো একদম ঠিক না।

পোলাপান খুজতেছে এরকম প্রফেসরের খোজ রাখতে হয়।
একবার কেঊ পজিটিভ রিপ্লাই দিলে তার কথামত ডকুমেন্ট ইত্যাদি টাইম্লি প্রসেস করা মাস্ট। টাইমিং বিরাট ব্যাপার। হেহে বেশী লেচকার মাইরা দিলাম !!

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুইখান পত্রের ঘটনা বলি

০১
এক ছেলে ইস্কুলে পড়ে বিদেশে (আজকাল তাকে বলা হয় বিদেশি ইউনিভার্সিটি)
তার আবার ছিল আকার ইকারে প্রব্লেম। তো সে বাবার কাছে টাকা চেয়ে চিঠি লিখেছে

ববর চরণ নমসকরন
টক পঠ
ন পঠল মরণ

(বাবার চরণে নমস্কার নাও। টাকা পাঠাও। না পাঠালে মরণ)

০২
আরেক বাঙাল ছেলে। বাংলা তেমন জানে না
(সম্ভবত ইংলিশ মিডিয়াম ইস্কুলে পড়তো।)
কিন্তু তার বাপধন তো আংরজি বোঝে না। তাই বাপতে বাংলাতেই চিঠি লিখতে হতো
(চিঠি বলতে শুধু টাকা চাহিয়া পত্র)
সেই চিঠিগুলো ছিল খুবই গঁৎবাঁধা
এবং বাবা প্রায়ই টাকা পাঠতে বেশ দেরি করত
তখন ছেলে ভাবল চিঠির ভাষা ভালো নয় বলে বাবা দেরিতে টাকা পাঠায়
সে কিছু বাংলা শব্দ শেখার জন্য খুঁজতে লাগলো এবং নতুন একটা শব্দ পেয়ে গেলা- কতিপয়
পরের দিনই সে বাবাকে চিঠি লিখল-
কতিপয় আব্বা মহোদয়...

০৩
প্রথম পদ্ধতিতে লিখলে পড়বে চিড়িয়াটা কে তা জানার জন্য
আর দ্বিতীয় পদ্ধতিতে লিখলে পড়বে গরম চান্দি ঠাণ্ডা করার জন্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।