দুরারোগ্য এক ব্যাধি থেকে সাময়িক উপশম - প্রয়োজন স্থায়ী আরোগ্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৬/০২/২০০৯ - ৭:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্যাপারটি নতুন নয়। অনেকেই লিখেছেন এ নিয়ে। বিষয়ঃ হিন্দি সিরিয়াল। অপসংস্কৃতি নিয়ে আমরা অনেকেই লিখেছি অনেক জায়গায়। বিস্তর দোষারোপ করেছি ইংরেজি সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ আর এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবকে। কিন্তু এসব যখন লিখেছি তখন হয়তো আমাদের কন্যা-জায়া-জননীগণ টিভিতে দেখছেন ‘সাস ভি কাভি বহু থি’ অথবা ওই টাইপের কিছু - আমরা মাইন্ড করিনি।

আমাদের দেশে হিন্দি সিরিয়ালের ক্রেজকে একটা মহামারীর সাথে তুলনা করাটা বোধহয় ভুল হবে না। নিজের আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি এই হিন্দি সিরিয়ালকে নিয়ে উন্মাদনার চরম করতে। আর এ থেকে সারা দেশের অবস্থাটা আঁচ করা খুব একটা কঠিন না। বহু বিয়ে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে আমি অতিথিদের মধ্যে দেখেছি বাড়ি ফেরার জন্য রীতিমত ‘অসৌজন্যমূলক’ তাড়াহুড়া। না, বাড়ির প্রতি বা পারিবারিক টানে নয়, হিন্দি সিরিয়ালের সিকুয়েল ধরার জন্য। হিন্দি সিরিয়ালের প্রতি আমাদের আসক্তি এতই বেড়েছিল যে, অনেকেই তাঁদের পারিবারিক, দপ্তরীক কিংবা ব্যবসায়িক বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্দিষ্ট করতেন সিরিয়ালের সময় অনুযায়ী। ঈদে বা বিয়ের কেনাকাটায় হিন্দি সিরিয়ালের সাথে মিল রেখে নাম করা শাড়ি বা অন্যান্য পোষাকের কাটতি নিশ্চয়ই আপনাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়নি।

হিন্দি সিরিয়াল নিয়ে আমার অত্যন্ত ব্যক্তিগত কিছু অভিমত আছে। অন্য যে কোন সংস্কৃতির চেয়ে ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের অনেক বেশি প্রভাবিত করবে এটাই স্বাভাবিক। একই রকম পোশাক-আশাক, কথাবার্তা ইত্যাদির কারণে ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের সবকিছুর উপর একটা আধিপত্য বিস্তার করে থাকে। হিন্দি সিরিয়ালের থাবায় আমাদের সংস্কৃতির ক্ষতবিক্ষত হওয়ার আগে এটা ছিল সহনীয় পর্যায়ের। এদেশে হিন্দি সিনেমার জনপ্রিয়তা ব্যাপক আকারের হলেও তার জন্য আমি অভিমানী হয়েছি অনেকবার, শঙ্কিত হইনি। কিন্তু হিন্দি সিরিয়ালের আবির্ভাব এবং অনেক কম সময়ের মধ্যে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা আর সামাজিক কিছু নেতিবাচক প্রভাব আমাকে সত্যিই আতংকিত করে তুলেছিল। এই রাহুগ্রাস থেকে আমাদের সমাজের মুক্তি আমি কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করেছি অনেকবার।

হিন্দি সিরিয়ালের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে আমি অনেককেই এর সাথে ইংরেজি সিরিজের সাথে তুলনা দিয়ে হিন্দি সিরিয়ালের সাফাই গাইতে শুনেছি। ইংরেজি কোন সিরিজের সাথে হিন্দি সিরিয়ালের একটা মূল পার্থক্য আছে। ইংরেজি কোন সিনেমা বা সিরিজের যে সমস্ত নেতিবাচক দিক যেমন, নগ্নতা, ভায়োলেন্স, সামাজিক অবক্ষয় ইত্যাদিকে আমরা শুধু চিত্ত বিনোদনের স্বার্থেই গ্রহণ করি। যেহেতু পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে আমাদের বিস্তর পার্থক্য আছে, তাই আমরা এগুলো প্রয়োগিক ক্ষেত্রে ধারণ করি না। তাই ইংরেজি সিনেমা বা সিরিজ আমাদের সাময়িক ভাবে দোলা দিলেও খুব তাড়াতাড়িই হারিয়ে যায় মন থেকে। কিন্তু হিন্দি সিরিয়ালের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। সিরিয়ালে অভিনয় করা মানুষজন আমাদের মতই পোশাক পরে, প্রায় আমাদের মতই অঙ্গভঙ্গি করে অথবা কথা বলে। সিরিয়ালের ঘটনাপ্রবাহ তাই আমাদের সহজেই প্রভাব ফেলে এবং আমরা এর সাথে আমাদের জীবনের কিছু সাদৃশ্য খুঁজে পেয়ে একে মনের গভীরে স্থান করে দিই।

আমার অবাক লাগে যে অনেকেই হিন্দি সিরিয়াল আমাদের সমাজের কি ক্ষতি করছে তা বুঝতে চান না, পারেন না অথবা সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেন। আমি অনেক পরিবারে একই সাথে বাবা-মার সাথে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের গভীর মনোযোগের সাথে হিন্দি সিরিয়াল উপভোগ করতে দেখেছি। দেখেছি কীভাবে তারা অকপটে পারিবারিকভাবে গিলে যাচ্ছেন একের পর এক অসামাজিক কাহিনী যেমনঃ মালটি-ডাইমেনশনাল পরকীয়া প্রেম, বউ-শাশুড়ীর ষড়যন্ত্র, মামার সাথে ভাগ্নীর সম্পর্ক, ডিভোর্সের প্রতিযোগিতা ইত্যাদির মত জঘন্য কিছু বিষয়। এর অবশ্য একটা ভাল (??) দিক আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা বাংলার পরিবর্তে হিন্দি বলে যাচ্ছে অনর্গল। আমাদের সন্তানদের মধ্যে অনেকেই আজ বাংলা ছড়া-কবিতা শেখার আগে সহজেই শিখে ফেলে হিন্দি সিরিয়াল আর সিনেমার ডায়লগ বা গান। তাদের অভিভাবকরাও নিজের সন্তানের মুখ দিয়ে হিন্দি বুলি বের করে বেশ গর্ববোধ করেন। আমি আজ নিশ্চিত বাংলা ভাষার বর্ণমালা শেখার আদর্শলিপির মত যদি হিন্দি বর্ণমালার বই বাজারে পাওয়া যেত তা হলে তার কাটতি কম হত না। আমি যদিও এ বিষয়টা নিয়ে কোন জরিপ চালাইনি, তবে আশেপাশের ঘটনা থেকে আমি নিশ্চিত যে বাংলাদেশে আজকের সামাজিক অবক্ষয় আর পারিবারিক ও সামাজিক সুস্থ নিয়মনীতির ভেঙ্গে পড়ার পেছনে হিন্দি সিরিয়ালের অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়!

তবে আমি আশাবাদী। আমি আশাবাদী এই জন্য যে আজ অনেকেই বাংলা ধারাবাহিক নাটকের দিকে মন দিয়েছেন। আমাদের বেসরকারী টিভি চ্যানেলগুলোকে আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। সুস্থ ধারার এবং বৈচিত্রময় অনেক অনুষ্ঠান বিশেষ করে নাটকের জন্য আজ অনেকেই হিন্দি সিরিয়ালের পরিবর্তে বাংলা নাটক বা টক-শো দেখেন। তবে অনেক নাটকের ঘটনার মধ্যে হিন্দি সিরিয়ালের গন্ধ পাওয়া যায়। আমি অনুরোধ করব যেন বেসরকারী টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল রাখেন। আমরা আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে অনেক গর্ব করি। আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ। দর্শক ধরে রাখতে আমাদের ঘরের নিজস্ব আচার-অনুষ্ঠান, নিজস্ব চর্চা আর সাহিত্য-সংস্কৃতিই যথেষ্ট। অন্য সংস্কৃতির পতিতা ভাড়া করার প্রয়োজন অন্য দেশের থাকতে পারে, আমাদের দেশে তার দরকার নেই।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

আপনি যদি সচলায়তনে নিবন্ধন করে থাকেন, তাহলে দয়া করে লেখার সাথে আপনার নিবন্ধন নামটি উল্লেখ করবেন।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অতিথি লেখক এর ছবি

দু:খিত, ভুলে গিয়েছিলাম। পরের একটা লেখাতেও একই ভুল করেছি। আমার নিবন্ধন নাম:

আজব

অনাকাংখিত ভুলকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবার আশায় আপনাকে ধন্যবাদ

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

দারুণ লিখেছেন। আপনার ধারণা ঠিক যে হিন্দি সংস্কৃতি আমাদেরকে আম্রিকান সংস্কৃতির চাইতে সহজে প্রভাবিত করে, তার কারণ তুলনামূলক নৈকট্য।

তাও ভাল যে আমাদের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো এখনো মুক্তবাজারী নীতিতে হিন্দি সিরিয়াল আমদানি করা শুরু করেনি। তবে করবে না এমন গ্যারান্টি মনে হয় না আছে।

একমাত্র আমাদের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের জোয়ারই পারে এসব আগ্রাসনকে ঠেকাতে। খুব বেশি দুরে নয়, সে জোয়ার এই এল এল বলে।

তবে একটা কথা বলি। বাণিজ্যিক সাফল্যের পাশাপাশি কর্পোরেট মিডিয়ার আরেকটা বড় উদ্দেশ্য হল দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী যারা মূলত নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত, তাদের কোন একটা রিপু তাড়নায় বুঁদ করে রাখা। সেটা আম্রিকান কর্পোরেট মিডিয়া করে যৌন-সুড়সুড়ি কিম্বা নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে কুটকচালি করে। ভারতীয় কর্পোরেট মিডিয়াও তাই, মানুষের কল্পজগতের যতগুলো সুড়সুড়ি দেবার জায়গা আছে, সেসব জায়গাতেই তাদের পদচারণা। পরকীয়া, জমকালো শাড়ি-বাড়ি-গাড়ি, নিষিদ্ধ প্রেমের হাতছানি, এই সব কিছুরই উদ্দেশ্য হল সাধারণ জনগোষ্ঠীকে গভীর চিন্তা থেকে বিরত রাখা -- তারা রিপু তাড়নায় বুঁদ হয়ে থাক, বাস্তব সমস্যা থেকে দুরে থাক, সামাজিক না হোক, সংগঠিত না হোক।

বাংলাদেশে কর্পোরেট মিডিয়া এখনো ততটা প্রবল হয়ে ওঠেনি, এখনো তার চাইতে প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের শক্তিটা প্রবল। এজন্যই এখনো এখানে নাটকে শাড়ি-বাড়ি-গাড়ির বাহারের চাইতে কাহিনীর গভীরতা বেচে আছে (আছে কি?)। সেটা ক'দিন থাকবে অবশ্য জানিনা।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বেশ ভাল লাগলো আপনার কথাগুলো। হিন্দির আগ্রাসন কতটা কমেছে, তা জানি না। দেশের বাইরে আছি অনেক দিন হয়। ৫ বছর আগে যা দেখে এসেছিলাম, তা খুব সুখকর ছিল না। বাংলা কেন বলবে না, বা হিন্দি কেন বলবে, এসব প্রশ্ন করা তখন সামাজিক অপরাধের পর্যায়ে পড়তো।

আজকাল বাংলা নাটক ও রিয়্যালিটি শো গুলো অনেক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এটাও সাময়িক এবং বিপজ্জনক। এ-সব অনুষ্ঠানে যা দেখানো হয়, তার সাথে আমাদের কৃষ্টির সম্পর্ক খুব ক্ষীণ।

আপনার লেখার শিরোনামটি তাই খুবই যথার্থ হয়েছে। লেখায় শিরোনামের প্রথমাংশ খুব ভাল ভাবে তুলে এনেছেন। দ্বিতীয়াংশ নিয়েও হয়তো আরেকটু বলতে পারতেন।

স্বাগতম। লিখতে থাকুন বেশি বেশি। এরকম অকপট কথা-বার্তা আরো দেখতে চাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাদের মন্তব্যের জন্য। আসলে আমার মতে আমরা প্রতিটি পরিবারেই এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য হিন্দি সিরিয়ালের চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধ করেছি। ব্যবস্থাটা যদিও অনেকটা নিষ্ঠুর। তবে দেখলাম এতে কাজ হয়েছে।

আমাদের দেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়া নানা বিষয়ে অনেক গঠনমূলক কাজ করলেও একটা বিষয় সুকৌশলে এড়িয়ে চলে। আর তা হল নিজেদের সমালোচনা। এরা নিজেদের ঢাকঢোল পেটাতে ব্যস্ত থাকেন। আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতার এই যুগে এদের সমালোচনা অনেকটা আদালত অবমাননার পর্যায়েই পড়ে। তাই হয়তো আমাদের অনেকেই ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও এদের প্রতি আমাদের অধিকারের ‘রক্তচক্ষু’ দেখাতে পারিনা - পাছে ক্রাইম রিপোর্টের নামে একটা টিভি ক্যামেরা হঠাৎ হাজির হয়ে যায় আমাদের বাসায়।

শাহ্ আসাদুজ্জামান এর ছবি

ভাই, বেশি জোর করে নিষিদ্ধ করতে যায়েন না। তাইলে বরং বজ্র আটুনি ফস্কা গেরো হবে। তারচে বরং ব্যাপারটা নিয়ে যেমন আলোচনা শুরু করেছেন, সেটাই চালিয়ে যান।
বাণিজ্যিক গণমাধ্যমের সমালোচনা নিশ্চিন্তে করতে থাকুন ব্লগের মত এখনো স্বাধীন নতুন প্রজন্মের মিডিয়াতে।

মাহবুবুল হক এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। তবে আমি একটা বিষয় যোগ করতে চাই তা হল, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে হিন্দি সিরিয়ালের অনুকরণ করার চেষ্টা যারা করছেন তাদেরকে প্রতিহত করাও জরুরী হয়ে পড়েছে। অনেক ধারাবাহিক এক্কেবারেই নয়-ছয় মার্কা। নির্মাণের ফাঁকিবাজিতে ভরপুর। অপরিণত গল্প ও গোঁজামিলের সমাহার। এগুলো প্রত্যাখ্যান করা না হলে একসময় চটুলতার ভীড়ে সৃষ্টিশীলতা হারিয়ে যাবে।
ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।

.....................................................................................................................
কোথাও রয়েছে যেন অবিনশ্বর আলোড়ন:
কোনো এক অন্য পথে - কোন্ পথে নেই পরিচয়;
এ মাটির কোলে ছাড়া অন্য স্থানে নয়;
সেখানে মৃত্যুর আগে হয় না মরণ।

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

রায়হান আবীর এর ছবি

হিন্দী সিরিয়াল নিয়ে বললেন ভাই- আজকে বাংলা ভিশনে এক ধারাবাহিক নাটক দেখলাম, পুরা হিন্দী সিরিয়ালের অনূকরণ। সেই ধুমধারাক্কা বাজনা, ক্যামেরা নাচানাচি করা। কী আর কইতাম। মন খারাপ

=============================

guest_writer এর ছবি

আমি আজ নিশ্চিত বাংলা ভাষার বর্ণমালা শেখার আদর্শলিপির মত যদি হিন্দি বর্ণমালার বই বাজারে পাওয়া যেত তা হলে তার কাটতি কম হত না। আমি যদিও এ বিষয়টা নিয়ে কোন জরিপ চালাইনি, তবে আশেপাশের ঘটনা থেকে আমি নিশ্চিত যে বাংলাদেশে আজকের সামাজিক অবক্ষয় আর পারিবারিক ও সামাজিক সুস্থ নিয়মনীতির ভেঙ্গে পড়ার পেছনে হিন্দি সিরিয়ালের অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়!

স্বাগতম।

ধন্যবাদ আপনার লেখার জন্য।

শামীম এর ছবি

চমৎকার লেখা।

লেখাটি আমার ব্লগেও দেখলাম। লিংক। লেখককে সচলায়তনের নীতিমালাটা (বিশেষত ২ নং বিষয়টা) একটু পড়ে দেখার অনুরোধ থাকলো।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

হিমু এর ছবি

চলুক

শামীম ভাইকে ধন্যবাদ। ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।