ধ্বংস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৪/২০০৯ - ২:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি হাতে নোট ভর্তি ফাইলটা ধরা...মাথার ওপর গনগনে সূর্যের তাপ সারা শরীরে যেন আগুন ধরিয়ে দিতে চাইছে...হাটতে হাটতেই পাপনকে দেখলাম কোথায় যেন ছুটে যাচ্ছে..পাশ দিয়ে যেতেই পাপনের হাতটা খপ করে ধরে বললাম-কোথায় যাচ্ছিস??...
পাপন যেন হাত থেকে ছুটে যেতে চাইলো..যেতে যেতে বলল...সামনে চল ..কি একটা নিউজ নাকি দিচ্ছে..
প্রচন্ড রোদের মধ্যে আমি ও ছুটতে লাগলাম..কিছু সামনেই মানুষে গিজ গিজ করছে...বিশাল পর্দায় দুইজন তরুনের মুখ..মায়াবী দুটো মুখ..খোঁচা খোঁচা দাড়ি..চুল এলোমেলো..তাদের একজন মাথা নিচু করে আছে... দেখে মনে হচ্ছে কিছূ নিয়ে ভাবছে এবং তার মন খারাপ সেটা তার মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে..পাশের জন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে কথা বলছে..ছেলেটির কথা বোঝার চেষ্টা করছি তখন...

ইংরেজী ভাষায় কথা গুলো অনুবাদ করলে এমন দাড়ায়.. পৃথিবীর সময় শেষ হয়ে এসেছে...এভাবে পৃথিবী চলতে পারেনা..এভাবে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো..আমরা কয়েকজন মিলে এই কাজটা সহজ করে এনেছি...এখন থেকে চব্বিশ ঘন্টা পর সম্পূর্ন পৃথিবী টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। আমরা কিছু জায়গা এরমধ্যে ধ্বংস করে ফেলেছি....

পর্দায় কয়েকটি জায়গার ছবি দেখানো হলো...দেখে মনে হল বিধাতা যেনো অনেক বড় কিছু দিয়ে পৃথিবীর মাটি খুবলে দিয়েছেন...চব্বিশ ঘন্টা পর হয়তো সম্পূর্ন পৃথিবীর চেহারা এমন হবে.........

আট ঘন্টা পরের ঘটনা...

মানুষ গুলো এলোমেলো ভাবে ঘুড়ছে.. এর মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাদা কালো ধোঁয়া ,পোড়া গন্ধ... বড় বড় দোকান গুলোতে চুরি-ডাকাতি হয়েছে কিন্তু জিনিস পত্র রাস্তার চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে... দেখে বোঝা যাচ্ছে খারাপ কিছু করার জন্যই যেন করা ,এসবের প্রয়োজন যে ফুরিয়ে গেছে সেটা সেও বুঝেছে...
টি.ভি. তে সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে... শেষবার যখন দেখেছি তখন বড় বড় দেশগুলোর প্রধানদের অসহায় মুখ দেখেছি... তাদের মুখই বলে দিচ্ছিল তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে এখন সব....

আনুমানিক বিশ ঘন্টা পর....

বাবা-মা,ভাই-বোন সব একসাথে বসে আছি ....কেউ কিছু বলছিনা ...সময় শেষ হয়ে এসেছে সবাই সেটা অনুভব করছি...সমস্ত পৃথিবী নিরব হয়ে গেছে..যে যার আপনজন খুঁজে হয়ত কাছাকাছি বসে আছে...শেষ মুহূর্ত গুলো সবাইকে যেন অনেক আপন করে নিয়েছে...জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখলাম তখনও কিছুটা দূরে একটা বাড়ি পুড়ে ভেঙ্গে পড়ছে...সেখান থেকে গরম বাতাস এসে মুখে লাগল..আমি চোখ বন্ধ করলাম... ভেতরটা যেন কেঁপে উঠলো..আবার শান্ত হয়ে গেলো মনটা..ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম...........

ঘুম থেকে উঠে ভাবতে লাগলাম এমন একটা স্বপ্ন কেন দেখলাম?পৃথীবির সময় কি আসলেই ফুরিয়ে আসছে?..........

(জয়িতা)


মন্তব্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

লেখাটি ভালো লাগলো হাসি
ভালো থাকুন।

কেউ একজন পাঠক ১ তারা দিয়েছেন, বিষয়টা বুঝলাম না!
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু মানুষ চায় আমি ভাল থাকি..তাদের জন্য হলেও ভাল থাকব..এবং একা নয় সবাইকে সাথে নিয়েই ভাল থাকব...
কাজটা কি অসম্ভব? আমার কিন্তু মনে হয়না...
ধন্যবাদ আপনাকে...

(তারা জিনিসটা কি? কেন দেয়? এইটাই কিন্তু ভাই আমি জানিনা...আমাকে তারা দিল কে........??)

(জয়িতা)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সাই-ফাই মুভির শুরুটা দারুণ হয়েছে। এখন আমরা মুভির কেন্দ্রীয় চরিত্র জয়িতা বেগমকে দেখতে পাবো ইন অ্যাকশনে। দেঁতো হাসি তিনি কিভাবে অশুভ'র বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শ্যামল পৃথিবীকে বাঁচিয়ে রাখেন, তার পরবর্তী পর্ব দেখার জন্য রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করে আছি। চোখ টিপি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক
পান্থভাইয়ের মন্তব্যে উত্তম জাঝা!
***************
শাহেনশাহ সিমন

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

মাল্যবান এর ছবি

পান্থর মত আমারও এক কথা । আপনি একটা দুঃস্বপ্নের মধ্যে এনে ফেলেছেন ,এখন এর উদ্ধারের কাজ আপনাকেই করতে হবে ।
লেখাটি ভালো লাগলো । শুভেচ্ছা ।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম বুঝলাম.......
পান্থ ভাই ,সিমন ভাই আর আপনার জন্য আমাকে আবার লিখতে হবে
ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মন্তব্যের জন্য........

(জয়িতা)

মুশফিকা মুমু এর ছবি

সত্যি কি এমন স্বপ্ন দেখেছেন? ইয়ে, মানে... কোন সময় দেখেছেন? ভোরের দিকে হলে নাকি সত্যি হয় ইয়ে, মানে...

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

অতিথি লেখক এর ছবি

স্বপ্ন তো আমি রাতেই দেখেছি আপু কিন্তু দেখতে দেখতে ভোর হয়ে গিয়েছিল.....

(জয়িতা)

নিবিড় এর ছবি

অনেকদিন পর সচলে একটা সাইন্স ফিকশন পাওয়া গেল চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি এত খুঁজেও তো লেখায় সাইন্স পেলামনা ফিকশন হল কখন...

(জয়িতা)

নিবিড় এর ছবি

সাধারণত সাই-ফাই কাহিনিতে এই রকম দেখা যায় তার উপরে পান্থদার সাই-ফাই মন্তব্য এই দুই এর প্যাচে পরে গুলিয়ে ফেললাম মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাল লাগলো, তবে এই স্বপ্ন যেন স্বপ্ন হয়েই থাকে আপনার দুঃস্বপ্নের ঝুলিতে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি ভাই ঝুলিতে ভরতে নয় পরিবর্তনে আগ্রহী....

(জয়িতা)

অনিশ্চিত এর ছবি

পৃথিবী কখনও ফুরায় না, কখনও ফুরাবে না। পৃথিবীর ওপর আস্থা রাখুন, পৃথিবী সেই আস্থার প্রতিদান দেবেই।

খুবই ভালো লেগেছে লেখাটি।
‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

অতিথি লেখক এর ছবি

পৃথিবীতে পাঁচটি বিলুপ্তি হয়ে গেছে...এখন যদি পৃথিবীর দিকে চেয়েই থাকি তাহলে পৃথিবী ষষ্ট বিলুপ্তি উপহার দেবে ...পৃথিবীর ভবিষ্যত কি হবে সেটা এখন ও অনেকটা মানুষের হাতে...

(জয়িতা)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।