বিস্মৃতিকথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২০/০৪/২০০৯ - ১০:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(পার্থসারথি মুখার্জী)

আজকাল এক দারুণ সমস্যায় পড়া গেছে । সে এক ভীষন গন্ডগোলের ব্যাপার । এমন যে হবে সে কথা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবিনি । ভেবে দেখলাম অচল হয়ে বসে থেকে তো লাভ নেই , সমস্যা সমাধানের জন্য সচল হওয়াই ভালো । দেখুন তো কোন উপকার করতে পারেন কি না । সমস্যাটা হল আমার এখন আত্মস্মৃতি লেখার বাসনা জেগেছে মনে । আচ্ছা কি মুশকিল বলুন দেখি ! গরীবের এসব রোগ কেন ? কি বলছেন ? এতে সমস্যাটা কোথায় ? আরে বাবা , সমস্যা তো দ্বিমুখী । দেখুন , প্রথমত , আমি মোটেই বিখ্যাত লোক নই । এবং স্মৃতিকথা লিখেও যে বিখ্যাত হব তেমন স্মৃতিও নেই আমার আর কস্মিনকালেও ছিলো না । সুতরাং লিখে ছাপিয়ে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে হ্যান্ডবিলের মত করে বিলি না করলে কেউ দয়া করে পড়বেন এমন ভরসা হয় না । তবে সুখের কথা সচলায়তনে দয়ালু হৃদয়ের অনেক ভদ্রলোক ভদ্রমহিলা আছেন । এর আগে ছাইপাঁশ যা লিখেছি তাঁরা অসীম ধৈর্য্যের সাথে পড়ে সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে ঋণী করেছেন । তাই নাহয় লিখে পোস্ট করে দিলেও লেখাটা “অচল” হয়ে যাবে না । কিন্তু দ্বিতীয় সমস্যাটার কি হবে ? সমস্যা হল আমার বয়স পঁচিশ বছর ! শুনেছি যোগীপুরুষেরা গর্ভাবস্থার স্মৃতিও রাখেন । আমি তো তাও নই । সুতরাং ধরুন স্মৃতি টেনেটুনে বারো থেকে পনেরো বছরের । এখন এই নিয়ে যদি লিখতে বসি তাহলে তো আনন্দবাজার পত্রিকার নিরুদ্দেশের বা হারানো-প্রাপ্তির কলামটুকুও ভরাতে পারব না ! অণুগল্প হয় , অণুকবিতাও পড়েছি , অণুভ্রমণ লিখতেও অসুবিধে নেই , কিন্তু এ যে সর্বনাশের মাথায় বাড়ি “অণুস্মৃতিকথা” ! ভূভারত কি ভূবাংলাদেশেও গুচ্ছের বাংলা লেখাতেও এ জিনিসের খোঁজ পাইনি , অন্তত আমি পাইনি । কেউ পেয়ে থাকলে জানাবেন দয়া করে । কিন্তু এখন কি হবে আমার ?
মানুষ যদি কোন সমস্যার মূল খুঁজতে বেরোয় তাহলে শেষ অবধি সে গিয়ে থামবে সেই ঈভের আপেল খাওয়াতে । এতে আমার মনে কোন সন্দেহ নেই । তবু গন্ডমূর্খরা তো ঠেকেও শেখে না , আর আমি সে দলেই চিরকাল পড়েছি , তাই এক শুভদিনে হাতে কোন কাজ যখন নেই , পেটটাও ভরা ভরা আর মনটাও বেশ হাল্কা তখন সাহস করে আমি বেরোলাম আমার সমস্যার মূল খুঁজতে । আমি ভাবতে বসেছিলাম যে হঠাৎ আমার এমনধারা ইচ্ছে হল কেন ? লোকে বয়স হলে খুব দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে পড়লে পুরোনো দিনের কথা ভেবে কিছুটা শান্তি পায় । তখন স্মৃতি দুঃখের হলেও স্মরণ সুখের হয় । এইসময় আত্মজীবনী গোছের একটা লেখা বের করাও সুবিধে । বুদ্ধদেব গুহ বলেছেন – স্মৃতির পাত্রে যে তলানি পড়ে থাকে তার দাম অনেক । কিন্তু আমার তো সেসব বালাই নেই । স্মৃতি শব্দটার মধ্যে যতটুকু প্রাচীনত্ব লুকিয়ে আছে আমার তো ততটাও নেই । তাহলে কেন আমার লেখার ইচ্ছে হচ্ছে ? অনেক ভেবেচিন্তে দেখলাম যে আমার ভীষণ ভয় হওয়া শুরু হয়েছে আজকাল । এই লেখার ইচ্ছের আসল কারণ সেটাই । কিসের ভয় ? দেখি যে সময় বড্ড তাড়াতাড়ি ছোটা শুরু করেছে । যেন সভ্যতার দৌড়ের শেষ পাক । গত বিশ বছরে যা যা ঘটেছে সব চোখ বন্ধ করে ভাবলে চমকে উঠি । আমি কিন্তু কোন বড়সড় দেশের সমস্যা বা ঘটনা এসবের কথা বলছি না । সাধারণ মানুষ হিসেবে একবার ভেবে দেখুন তো গত বিশ বছরের কথা । যা আমাকে অবাক করেছে তা হল পরিবর্তন । গত পনেরো বিশ বছরে আমরা সাধারণ ব্যক্তিজীবনে প্রায় দুশ বছরের পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছি । এখন যদি আমি মনে করি যে আমি যা যা দেখেছি তা লিখে রাখা দরকার নইলে আমার মন থেকে এই অসম্ভব দ্রুত পরিবর্তনের ধাক্কায় অসংখ্য ভালো খারাপ ছোট বড় স্মৃতি হারিয়ে যাবে , যার সাথে আমার জীবনের খুব খুব প্রয়োজনীয় ছোটবেলা জড়িয়ে আছে , তাহলে কি আমার ভাবা খুব ভুল হচ্ছে , আপনারাই বলুন ? ব্যাপারটা বেশ জটিল হয়ে গেল না ? আচ্ছা , খুব সাধারণ একটা বিষয় দিয়ে শুরু করি । ধরুন , যৌথ পরিবারের কথা । আমি যখন ছোট ছিলাম মানে এই আশির দশকের গোড়ার দিকে তখনও অনেক যৌথ পরিবার ভালোই টিকে ছিল কলকাতায় । আমাদের পরিবারও সেরকম ছিল । আমি খুবই উপভোগ করেছি ভাইবোনদের সাথে একসাথে খেলাধুলো । ক্রিকেট ফুটবল খেলার জন্য পাড়ার লোক ডাকতে হত না । সেইরকম পরিবারকে চোখের সামনে ভাঙতে দেখলাম । কষ্ট পেয়েছি সেটা নিয়ে অনেকদিন । কিন্তু এখন ফ্ল্যাটবাড়িতে থেকে এমন মানসিক গঠন হয়ে গেছে যে মনে হয় “ বাপরে ! অত লোকের মাঝে পড়াশুনোই হত না । এই বেশ ভাল ।” ভাবুন ! মোটে দশ বছরে কতখানি পালটে গেলাম । আবার দেখুন , বন্ধুবান্ধবদের সাথেও সম্পর্ক কত জটিল হয়ে গেছে । আগে কোন হিসেব করে ভাল খারাপ ভেবে বন্ধুত্ব করিনি কোনদিন । এখন দেখি ক্লাস ফোরে পড়া ছোট বোনটিকে মাসি বলছেন ক্লাসে কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে ! মাসির দোষ নেই , এসব না শেখালে ক্লাসে অন্যান্য “চালাকচতুর” মেয়েদের পাশে সে বেচারী দাঁড়াতে পারবে না । স্কুল গিয়ে আনন্দই পেয়েছি চিরকাল । সমবয়সী বন্ধুদের সাথেও কত মানসিকতার তফাৎ হচ্ছে শুনবেন ? সেদিন এক বন্ধুকে জানালাম সচলায়তনের কথা । বললাম খুব ভাল লেখালিখি হয় , পড়ে দেখ । সে পড়ে খুব হতাশ হয়ে বলল “ আরে ! বাংলায় লেখা তো ! ” সে আর আমি কিন্তু একই প্রজন্মের এবং আমরা একই শিক্ষার ছায়ায় বড় হয়েছি । বই পড়া ( ই বুক নয় ) এখনও আমার কাছে শ্রেষ্ঠ বিনোদন । একজনকে কিনে দিলাম সত্যজিতের শঙ্কুসমগ্র । তিনি ভারী খুশি হলেন , সত্যিকথাই , কিন্তু তিনপাতা পড়ে ভীষন ক্লান্ত হয়ে আপাতত তিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন । তারপর থেকে বই জিনিসটা যখন ভাবি কাউকে উপহার দেব , দশ পা পিছিয়ে যাই । মনের সাথে তর্ক করার আগেই দেখি আমি তুলোর টেডি বিয়ার বা সুগন্ধী মোমবাতি দরদাম শুরু করেছি । যখনই ভবিষ্যতের কথা হয় কারুর সাথে শুনি সে আপ্রাণ চেষ্টা করছে দেশ ছাড়ার কারণ এখানে থাকা যায় না । আমি কিন্তু প্রবাসীদের সমালোচনা করছি না । সুযোগের অপেক্ষায় সবাই থাকে , নিশ্চয়ই থাকা উচিৎ , কিন্তু নিজের ঘরবাড়ি পথঘাট মানুষজনকে ছোট করে যারা বিদেশ তাদের কি ক্ষমা করা যায় ? মুঠোফোন ছাড়া কেউ কিছুতে উৎসাহ পাচ্ছে না । তাতেও আবার ফোন করে কথা হচ্ছে না । শুধুই মিস কল । সবই কেমন যেন পিছলে পিছলে বেরিয়ে যাচ্ছে । কোথাও কোন বন্ধুর সাথে তিনটের সময় দেখা করার কথা , আড়াইটে-পৌনে তিনটে থেকেই দেখবেন মুঠোফোনে আপনার খোঁজ শুরু হয়েছে । একটিই প্রশ্ন , “ কোথায় “ ? মাঝে মাঝে মনে হয় বলি “ নেই “ । কি বিরক্তিকর ভাবুন । এই অপেক্ষা করা নিয়ে কত সাহিত্য হয়ে গেল বাঙালীর । আর এদের আক্কেলটা দেখুন একবার । একবার কলকাতায় এসে দেখুন , সারা বছর বাংলার সাথে খোঁজ নেই । কিন্তু পয়লা বৈশাখ ইলাস্টিক দেওয়া ধুতি পরে বাঙালী সাজতেই হবে । আমরা চিরকাল এ দিনটায় দোকানে দোকানে ঘুরে থামস আপ খেয়ে আনন্দ পেয়েছি , কারণ তখন কোল্ড ড্রিঙ্কস একটা দেবভোগ্য এবং নাগালের বাইরের পানীয় ছিল । আরোও কত কথা লেখা যায় , সেসব লিখে আর ধৈর্য্যচ্যূতি ঘটাতে চাইনা । মুশকিল হল যে আমরা ছোটবেলায় যেভাবে যেসব বিষয় নিয়ে আনন্দ পেতাম সেগুলো ছিল খুবই অকিঞ্চিৎকর , সাধারণ । কিন্তু আনন্দের মাত্রা ছিলো পুরোপুরি । এখন হাজার টাকা খরচ করেও সেই মজাটা আর পাই না । ফলে আনন্দ করবার ইচ্ছেটাও হারিয়ে যাচ্ছে আস্তে আস্তে । এটা খুবই বিপজ্জনক ব্যাপার ।
তাই আজ মনে হচ্ছে লিখে রাখি , যে গাছে উঠে কাঠপিঁপড়ের কামড় খেয়ে জামরুল পেড়ে খেয়ে আনন্দ পাওয়া যেত । বাড়িতে টেলিফোন লাইন আসার পর একটা রিঙ হলেই সবাই পড়ি কি মরি করে ফোন ধরতে ছুটে আসত । রঙীন টেলিভিশন আসার পর খেলা দেখাটা সারা পাড়ার একটা সামাজিক উৎসবের চেহারা নিত । লিখে রাখি যে , পথের পাঁচালী পড়েছিলাম তিনদিনে , পড়াশুনো কামাই করে , মা বাবার বকুনি না খেয়ে । আর পড়ে অদ্ভুত এক সুখ-দুঃখের অনুভূতি হয়েছিল যা আজও ভাষায় প্রকাশ করতে পারি না । বাড়ি থেকে পালিয়ে একদিন সিনেমা দেখতে গেছিলাম , আর সেই দুঃসাহসের কথা বলে বেড়িয়েছি সাতদিন ধরে কারণ সেটা বলার মত কথা ছিল। লিখে রাখি যে কোচিং ক্লাসে যে মেয়েটিকে ভালো লাগত তার সাথে দেখা হওয়ার উপায় ছিল একমাত্র সেই কোচিং ক্লাস যা সাতদিন বাদে বাদে । কি করে লিখি , কি দুঃসহ সেই সাত দিন ! আজ এই দ্রুত যোগাযোগের দিনে যখন দুজনের মধ্যে কথার ব্যবধান মাত্র ফোনে কয়েকটি আঙুলের চাপ তখন পুরোন সেই সমস্ত অ-যোগাযোগ কি আশ্চর্য অলীক মনে হয় । লিখে রাখি সেই সব রূপকথার রবিবারের কথা যখন সকালে ঘুম ভাঙত সাদা লুচি আর আলুর তরকারীর প্রাণকাড়া সুবাসে । লিখে রাখি প্রথম জীবনানন্দ , জয় গোস্বামী , শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা পড়ার কথা । গরমকালে টিভিতে গুপী গাইন বাঘা বাইন দেখার সারা দিন ভরা আনন্দের কথা । লিখে রাখি প্রথম দেখা মৃত্যুটির কথা । ভালোবেসে লিখে রাখি প্রথম দেখা জন্মটির কথাও । সুতীব্র এক ইচ্ছে আছে এইসব অতিসাধারণ অপ্রয়োজনীয় কথাগুলি লিখে রাখার , কারণ আজকাল ভীষণ ভীষণই দ্রুত গতিতে ভুলে যাচ্ছি এইসব অনুভূতির কথা । ভয়টা এখানেই । কি বলেন আপনি ?


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জিজ্ঞেস করি করি করা হয়ে উঠছিল না... এটা কি আট বছর এক সাথে কাটানো পার্থসারথি? মনে তো হচ্ছে খুব শক্ত ভাবেই।

লেখাটা মনে হয় প্রথমে ওয়ার্ডে লেখা। ওখানে একবার এন্টার দিলেই নতুন অনুচ্ছেদ করে ফেলে, কিন্তু পোস্ট করার সময় ঝামেলা হয়ে যায়। "নো স্পেসিং"-এ লিখে ২ বার এন্টার দেওয়া, কিংবা পোস্ট করার সময় লাইন ব্রেক যোগ করে দেওয়া যায় বোধহয়।

লেখার মাল-মশলা নিয়ে কী আর বলবো, এই আফসোফস তো আমারও। যুগটা খুব অল্প সময়ে অনেক বদলে গেছে। এই তো সেদিনই একজন বলছিলেন যে ঠিক ২০০৪ সাল থেকে সব বদলে গেছে। এর আগে নাকি এত প্রকট ছিল না। সত্যি-মিথ্যা জানি না, কিন্তু এভাবে সন-কাল ধরে নির্দিষ্ট তারিখ বলার মত বাইনারি অবস্থা আসবে, ভাবিনি কখনও।

পার্থসারথি মুখার্জী এর ছবি

এইটাই হল কথা । আমার তো মনে হয় ঠিক ঠিক সাল তারিখ বাইনারী ভাবে বলা যেতেই পারে । আজ যখনই পরিবর্তনগুলো খোঁজার চেষ্টা করি দেখি যে কয়েকবছর আগেই সেটা অন্যরকম ছিলো । মনে হয় আমরা নতুন জিনিস পরখ করে নেওয়ার ধৈর্য্যটাই হারিয়ে ফেলেছি । যা ঘটছে তাতে ঝাঁপিয়ে পড়াটাই ফ্যাশান । পরিস্থিতিটা ঠিক ভালো বলা চলে না ।আর একটা কথা , যদি কিছু মনে না করেন , আমি কিন্ত আপনার নাম আর ছবি থেকে আপনাকে ঠিক মনে করতে পারছি না । অবশ্য বিস্মরণশক্তি প্রবল । সে যাই হোক , আগের আট বছরের পরিচয় নাই বা থাকল , পরের আশি বছরের পরিচয় শুরু করতে ক্ষতি নেই । আমি আশি পা এগিয়েই আছি ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বিস্মরণের কিছু নেই। আপনার নাম ও কাছাকাছি বয়সের এক স্কুলের বন্ধু ছিল যার সাথে অনেক দিন যোগাযোগ নেই। ভাবলাম সেই পার্থ কিনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগলো। যা যা লেখার লিস্টি করেছেন লিখে ফেলুন দ্রুত।

মূলত পাঠক এর ছবি

যা লিখবেন তা পড়তে যদি এমন চমৎকার হয় তো লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি। হাসি

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

চালিয়ে যান
রবীন্দ্র সাহেবের মত বড় মাপের লোককেও সব মুল্লুক মেরে এসে বার্ধক্কে পৌঁছে বলতে হয়েছিল

ইচ্ছে করে জমিয়ে ধূলো সাজিয়ে ঢেলা
কাটায়ে দেই সারা বেলা ।

অম্লান অভি এর ছবি

আমারও গাইতে ইচ্ছে হলো..............
বেশ, লিখুন আমরা পড়ার ফাঁকে ফাঁকে জীবনের ফেলে আসা দিনগুলো মিলিয়ে দেখব।
ভুন্তুল আর টারজান দেখার ছোট্ট বেলা তো আমাদেরও কমবেশী আছে। বাবার গ্রামাফোন রেকর্ডের গল্প আর সন্ধ্যা সাজে বিবিসি'র বাংলা সংবাদ কিংবা মা'র রবিবার দুপুরের আকাশবাণী'র নাটক শোনা- জীবন জুড়ে লেপ্টে আছে অনেক কিছুই। 'এখন সেসব দূরের শোনা গল্প'। শোনার মন খুলে...............

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

পার্থসারথি মুখার্জী এর ছবি

এই জন্যই তো সচলে লেখা । এত উৎসাহ লেখালেখি করে আগে কখনও পাইনি । ধৈর্য্য ধরে লেখাটা পড়ার জন্য আর গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গৌরচন্দ্রিকা তো ভালোই হইলো। এইবার আল্লার নাম নিয়া শুরু কইরা দেন সন তারিখ ধরে ধরে। চলুক
আর উপহার হিসেবে বই কিন্তু ভালা পাই। এই বইমেলায় যেমন ছড়াকার আকতার ভাই, নজরুল ভাই, রণ'দা, বিজ্ঞান বক্তা আসিফ ভাইয়ের কাছ থেকে বই উপহার পেয়ে ব্যাপক খুশি হইছি। আশা করছি আপনার কাছ থেকেও বই পেয়ে তুমুল আনন্দ পাবো। চোখ টিপি

তীরন্দাজ এর ছবি

দারুন লেখার হাত আপনার! তাতে দশ বছর কেন, একশো বছরও তুলে ধরতে পারেন অনায়াসে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পার্থসারথি মুখার্জী এর ছবি

খুবই ভাল লাগছে আপনাদের মন্তব্য ও উৎসাহ পেয়ে । শীগগিরিই বিস্মৃতিকথার প্রথম পর্ব শোনানোর ইচ্ছে রইল । আর একটা কথা বলি । সচলায়তনে সবথেকে ভালো লাগে বাংলা পরিভাষার ব্যবহার । যেমন ধরুন " home page " হয়েছে নীড়পাতা । দারুণ । কিন্তু " ব্লগ " কেন ? এর কি কোন প্রতিশব্দ নেই ? না থাকলেও গুণীদের কাছে অনুরোধ এত চমৎকার সব ব্লগের জন্য একটা বাংলায় ব্লগের পরিভাষা বের করে ফেলুন । গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করা যাবে । ভেবে দেখবেন একবার ?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।