মওলানা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১১/০৯/২০০৯ - ২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভদ্রমহিলা মহির মামীর বাপের বাড়ির দিক থেকে আত্মীয়া। বেশ হাসিখুশি সদালাপি, যখনি কথা হয় মনে হয় যেন ওনার প্রত্যেক কথায় আন্তরিকতা মিশানো আছে। মহির সাথে প্রায়ই না হলেও মাঝে মধ্যে ফোনে আলাপ হয়- অভিযোগ করেন- তুমি একবারও আমার সদ্য তৈরী করা নতুন বাড়ি দেখতে এলে না। তাই মহি ওনাকে দেখতে যাওয়ার কথা দিয়ে দিনক্ষন বলে দিল।

সেদিন অফিস শেষে বাড়ি ফিরে মহি হাত মুখ ধুয়ে নিজেকে একটু পরিস্কার করে নিচে এসে দেখে বউ খাবার টেবিলে মহির অপেক্ষা করছে। বেশী কিছু খাওয়া ঠিক হবে না, নিমন্ত্রন আছে, খালাম্মার নুতন বাড়ি দেখতে যেতে হবে এবং খেতেও হবে তাই খাবারের বেশ হাল্কা আয়োজন। চা-কফি সহকারে খাবারের পর্বটা শেষ করে সপরিবারে রওয়ানা দিয়ে প্রায় দুঘন্টায় গাড়ি চালিয়ে মহি তার খালাম্মার বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামাল। জায়গাটা বেশ সুন্দর, চারিদিকে বেশ সাজানো গুছানো সারিবদ্ধ গাছ-গাছালীর ফাঁকে ফাঁকে এক একটা বাড়ি। মনে হয় যেন ছবি। যে কেউ এক নজর দেখলেই বুঝবে ধনী শ্রেনীর লোকজন জায়গা কিনে তাদের পছন্দ মতো বাড়ি বানিয়েছে।

খাওয়া-দাওয়াটা আজ মহির একটু পরিমানে বেশীই হয়ে গেছে। এখন গল্পের পালা চলছে। মহিকে পেয়ে খালাম্মাও যেনো তার গল্পের ঝুড়ি খুলে বসেছেন, দেশের গল্প, আত্মীয় স্বজনের গল্প, ছেলেমেয়েদের গল্প, গল্পই গল্প। কথা যেনো আর শেষ হয় না। এদিকে ঘড়ির কাটা সব কয়টা বড় সংখ্যা পেরিয়ে ছোট সংখ্যা গুনতে শুরু করেছে। মহি বাড়ি ফেরার কথা বলতেই খালাম্মা পাশে রাখা ঝুড়ি থেকে আরো কমলা, পেয়ার- খোসা ছাড়িয়ে থালাটা মহির বউয়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন- আরে বসো, তুমিতো আসোই না, যাও এলে তাও আবার অল্প সময় হাতে নিয়ে। হাউস ওয়ার্মিংর সময়তো এলে না। আমি তোমাদের অনেক আশা করেছিলাম। তোমাদের ওখান থেকে মাওলানাকেও দাওয়াত দিয়েছিলাম। অনেক বড় করে মিলাদ পড়িয়েছি।
মাওলানা.........! কেমন আছে মাওলানা সাহেব, এখন কোথায় কাজ করেন, অনেক দিন যাবত কোন খোজ খবর নাই তাই মহি জানতে চাইল।
‘মাওলানা আছে ভালোই- সোসাল ওয়েলফেয়ার বেনিফিট খায় আর তাবিজ বেঁচে’,- খালাম্মার বিরক্তিমাখা উত্তর।
কেনো, কাজ করে না- মহির বিস্ময় মাখা প্রশ্নে খালাম্মা বললেন, কেনো জানো না- সেতো অনেক বছর ধরেই কাজ করে না। সেই যে অনেক আগে......, গাড়ির নিচে চাপা পরেছিল বলে শারীরিক ভাবে আনফিট দেখিয়ে এখন সোসাল ওয়েলফেয়ার বেনিফিট খায় আর সাড়া ইউরোপের জ্বীন ভূত তাড়ায়.........। আমার বাড়িতে মিলাদে আমি তাকে ১০০ ইউরো দেই। সফিরমা (ছদ্ব নাম / মাওলানার ঘনিষ্ঠ আত্নীয়) বললো – মাওলানারে দিয়া একসাথে বাড়িডা বন্দ কইরা রাহেন। ......মাওলানা বলে মিলাদ আর বাড়ি বন্দ নাকি এক সাথে হয় না। এক সাথে করলে নাকি দোয়া জ্বীনের উপর আছর করে না। তাই আর করে নাই। আসলে আইজকা তো মিলাদের জন্য ১০০ ইউরো দিয়াই দিছি, বাড়ি বন্দ করাইলে তো আর নুতন করে কিছু দিমু না, তাই আর এক দিন বাড়ি বন্দের জন্য আইয়া আরো ১০০ ইউরো পাওনের মতলব, যত সব বক্কর-ছক্কর আর কি। ............ মহি এতোক্ষনে বুঝল- খালাম্মার বিরক্তির কারন।
মহিকে বাড়ি ফিরতে হবে তাই কথা না বাড়িয়ে খলাম্মার কাছ থেকে সেদিনের মতো বিদায় নিল। গভীর রাতের হাইওয়ে, মোটামুটি ফাঁকা। মিটারে ১২০ থেকে ১৩০ কিঃ মিঃ উঠানামার গতিবেগ দেখিয়ে গাড়ি তীর বেগে সামনে ছুটছে। আর গাড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে মহির মনটাও ছুটছে অতীতের দিকে...............।

দেখতে দেখতে কতো দিন হয়ে গেল- প্রিয় দেশ, মা-বাবা ভাই-বোন ছেড়ে মহি এদেশে চলে আসে এবং তার দু-এক বছর পরেই মাওলানা সাহেব এখানে আসেন, এবং মহির সাথে প্রথম পরিচয়। মাওলানা সাহেব আর মহি একই শহরে বাস করে। তারপরেও দেখা সাক্ষাত হয় না বললেই চলে। আগে, মানে অনেক আগে এমনটা ছিল না। মাওলানা সাহেব যখন প্রথম এখানে স্থানীয় একটা মসজিদের ঈমাম হিসাবে আসেন তখন তিনি অনেক যত্ন করে মহির সাথে নিয়মিত না হলেও প্রয়োজনে যোগাযোগ রাখতে কার্পন্য করতেন না। মহির মতো ভাল লোক তিনি এখানে আর দ্বিতীয়টি দেখেন না বলেই নাকি সুযোগ পেলেই মহির এখানে চলে আসেন (যদিও উনার বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন এখানে আছে)। তাছাড়া মহির সাথে একটা আত্মীয়তাও যখন পাওয়া গেছে তখনতো যাওয়া-আসা না করলেই বরং খারাপ। তাও ছোট-খাট সম্পর্ক নয়, মামা-ভাগ্নে বলে কথা। যার ভয়ে জ্বীন-ভূত পালায়। আর মাওলানা সাহেব হিসাব করে আত্মীয়তার অনেক অলিগলি পেরিয়ে মহিকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন তিনি মহির মামা আর মহি তার ভাগ্নে... ভূত না, ভূতের বাবাও পালাতে বাধ্য। প্রসংগক্রমে এখানে জানিয়ে রাখা ভালো- ইতিমধ্যে মাওলানা সাহেব অনেক ভূত তাড়িয়েছেন, বিশেষ করে এখানকার বেশ কিছু মুসলিম পরিবারের টিন-এজার ছেলে-মেয়েদের মাথা থেকে বিধর্মি নাছারাদের ছেলে-মেয়েদের সাথে প্রেম করার যে ভূত মাঝে-মধ্যে মাথায় চেপেছিল তা তিনি ছোট একটা তাবিজের মাধ্যমে দেশ ছাড়া করেছেন। শুধু কি তাই অনেকের ঘর বাড়ি পানি পড়া আর তাবিজ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন, এঘরে এখন আর চোর ঢুকে না। আর ঢুকলেও কোন লাভ হয় না, কারন চোর তো চোখে কিছু দেখতে পায় না...... এমন কি দিনের ফকফকা আলোতেও না।
মহি মাওলানার কাছে এরকম অনেক গল্প প্রায়ই শুনে, তবে ভূতের গল্পে মহির গা কাঁপে না, চোর-ডকাতের হাত থেকে ঘর-বাড়ি রক্ষা করার আগ্রহ না দেখে মাওলানা কিছুটা আহত হন। যাহোক মাওলানা আহত হলেও মহি তেমন একটা নজর দেয় না, মহি তখন নুতন একটা মামা পেয়ে বেশ আহলাদিত। মামা আসে যায় আর ফাঁক পেলেই মহিকে মনে করিয়ে দেন যে - দুনিয়া মাত্র দুদিনের, এই দু-দিনের দুনিয়ায় মহি যে অনেক দিনের ঘর-বাড়ি বানানোর স্বপ্ন দেখতেছে এটা মহি ঠিক করছে না। মাওলানাকে মহি তার সাধ্যমত উপদেশ(!) সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করে, কারন মহি ভালো করেই বুঝতে পেরেছিল- দুদিনের দুনিয়ার এ উন্নত দেশটিতে থাকতে না পারলে মামা তার মরে যাবেন, এমন কি আত্মহত্যা করে হলেও উনার সাধের আসল চিরস্থায়ী বাড়িতে চলে যাবেন। মাঝে দিয়ে হঠাৎ একদিন মহি শুনল মাওলানা মসজিদের কাজটা ছেড়ে দিয়েছেন, কারন বেতন কম দেয়। আর অমনি নালায়েক পুলিশ মামাকে আদেশ দিয়ে বসল যেন তাড়াতাড়ি লোটা-বদনা গুটিয়ে প্লেনে চড়ে। প্লেনে চড়ার আদেশ পেয়ে মামার মাথা খারাপ হবার অবস্থা। পাগলের মতো দৌড়াতে লাগলেন, সব শুনে মহি বলল- যেমন করেই হউক মসজিদের চাকরিটা ফিরে পান কিনা দেখেন। বেশ কিছু দিন মামার কোনো সারা নেই দেখে মহি কিছুটা কর্তব্যজ্ঞানের তাগিদে খোঁজ নিয়ে জানল- গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মামা হাসপাতালে পরে আছেন। শুনে মহির মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। মামার তো গাড়ি নাই, কার গাড়ির নিচে আবার পড়লো...... এইসব চিন্তা করতে করতে বিকালে অফিস শেষে মহি মামাকে দেখতে গেল। ফুলের তোড়া ও ফলের ঠোংগা পাশে রেখে কেমন আছে জানতে চাইল। মামা কোন উত্তর দিলেন না, শুধু অপলক দৃষ্টি দিয়ে মহির দিকে তাকিয়ে রইলেন, মহি দেখল মামার চোখের কোল বেয়ে অশ্রুধারা নিচে গড়িয়ে পরছে। অনেক্ষন পরে মামা কথা বললেন- গত কয়েক দিন কেমন করে তিনি খেতে পারছিলেন না, ঘুমাতে পারছিলেন না, এবং সাথে এটাও তিনি বুঝতে পারছিলেন যে এই দুনিয়ায় উনার বেঁচে থাকাই বৃথা......।, তাই কেমন করে অন্যমনস্ক (!) হয়ে গাড়ির নিচে পরলেন তার কিছুটা বর্ণনা দিলেন। আঘাত বেশী নয়, ডাক্তার বলেছে দু-এক দিনের মধ্যেই ছাড়া পাবেন। কিন্তু মামার জন্যতো এটা মোটেও ভাল কোন খবর না। ছাড়া পেলেই তো বেয়াদপ পুলিশগুলি..................।
যাক সেদিন মামাকে অনেক সাহস আর সান্ত্বনা দিয়ে ফিরে আসার সময় মহি জানতে চাইল- মসজিদের চাকরিটা কি কোন ভাবেই আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়? মামা অনেক্ষন চুপ থেকে বললেন ...... দেখি।

ডাক্তার যাই বলুক, মামা সুস্থ না হলেতো আর বাড়ি আসতে পারেন না। তাই আল্লহর অশেষ মহিমার অংশ বিশেষের গুনে মামা অনেক দিন পর হাসপাতাল থেকে বের হলেন সাথে মসজিদের চাকরিটা নিয়ে। অসুস্থ থাকাকালীন মসজিদ কমিটির কিছু সদস্য ভদ্রতাবশত উনাকে দেখতে যাওয়াতেই চাকরিটা ফিরে পাওয়া মামার পক্ষে সম্ভব হয়েছে। তারপর মামা ধনুক-ভাংগা পন করলেন যে,- স্থানীয় মসজিদের চাকরিটা যত কম পয়সাই দিক না কেনো, এমনকি বিনা বেতনে হলেও পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পেপার না হওয়া পর্যন্ত তিনি টিকিয়ে রাখবেন। এবং যথাসময়ে তিনি এই নশ্বর দুনিয়ার কাফেরদের হেদায়েত করার জন্য পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট পেপার হাতে পেতে কৃতকার্যও হয়েছেন। সবই আল্লাহর অপার মহিমা......।

আল্লাহর অশেষ মহিমার সদ্য পাওয়া সামান্য মহিমাতে তিনি বেশী দিন খুশী থাকতে পারলেন না, তাই মসজিদের চাকরি ছেড়ে রেষ্টুরেন্টে চাকরি নিলেন – দেশে বউ বাচ্চা আছে তাদের কাছে আনতে হবে তাই মসজিদের অল্প পয়সায় পোষাবে না। মামা এখন অনেক কাজ করেন, আসার তেমন সময় পান না। তাই এখন আর আগের মতো মহির সাথে দেখা-সাক্ষাতও তেমন হয় না, যদিওবা কালে ভদ্রে হয় – তখন মামা ব্যস্ত থাকেন মহিকে দীনের পথে হেদায়েত করতেই। মুসলমানের ছেলে হয়ে মহি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ-রোজা কেন করে না, এটা মামা কিছুতেই বুঝতে পারেন না। মহির ঘাড়ে-চাপা শয়তান সংখ্যার আধিক্য দেখে মামা অবশ্য আগেই বুঝতে পারেছিলেন যে মহিকে হেদায়েত করা অনেক শক্ত হবে, তারপরেও তিনি আল্লাহর কোরানের বানী ও হাদিসের উপর ভরসা ছাড়তে পারেন নাই। যে বানীরগুনে ওমরের মতো কঠিন লোকের দিলও গলে গিয়েছিলো, যে দয়াল নবীর নামে বনের পশু-পাখী আহার নিদ্রা ত্যাগ করে জিকির করে, যে নবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ দুনিয়াই তৈরী করতেন না, সেই নবীর নামে মহির ভাবাবেগের তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না দেখে মামা ভীষন ভাবে ব্যাথিত হন। উপরন্ত মহির কাছ থেকে মাঝেমধ্যে এমন বেয়ারা কিছিমের প্রশ্নের সন্মুখীন হন যে মহিকে মামার কতল করতে ইচ্ছে করে। তারপরেও কতল করেন না। কতল না করে মহিকে দীনের রাস্তায় আনাই উত্তম- এতে মহির না হলেও মামার ‘ইহকাল আর পরকাল দুটোই রক্ষা পাবে’ – এই বিশ্বাসে মামা তার ওয়াজের সব পুটলী মহির সামনে খুলে ধরেন। আর ওয়াজের সময় মহির উল্টা-পাল্টা প্রশ্নে মামার এক একবার ইচ্ছে করে রান্না ঘর থেকে ছুরিটা এনে মহির নায্য পাওনা টুকু পরিশোধ করে । কিন্তু নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে রাখেন। এখানে আমাদের দেশের মতো বেহেস্তে যেতে না চাইলেও ঘাড়ে ধরে বেহেস্তের দরজা তথা মসজিদে, গীর্জা বা মন্দিরে নেওয়া আইন বিরুদ্ধ, জোর করলে খবর আছে.........। তাই এদেশের পুলিশের কথা মনে হলেই মামার আজারইলের কথা মনে পরে। এই বেয়াদব পুলিশগুলির জন্যই মামাকে চলন্ত গাড়ির নীচে ইচ্ছে না থাকা সত্তেও মাথা দিয়ে পড়তে হয়েছিল।
অতএব..................

এই...... কি ভাবছো? অনেক্ষন হল কোন কথা বলছো না ! বউয়ের ডাকে অতীতের সাথে মহির মনের চিন্তাসূত্র ছিন্ন হল। না- তেমন কিছুনা, এই খালাম্মার কথাগুলিই মনে পরছিল, মহির সংক্ষিপ্ত জবাব।বউয়ের প্রশ্ন- কোন কথা?
এই মাওলানার কথা, কেমন করে সরকার ও জন-সাধারন কে ঠকিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে,- মহি জবাব দেয়। মাওলানার বউ-বাচ্চা আছে টাকা পয়সা না কামালে চলবেন কিভাবে,- বউয়ের নির্লিপ্ত উত্তর। কামাই! এটাকে তুমি কামাই বলছো? বউ কোন কথা বলে না দেখে মহিও চুপ করে থাকে.............।
মহি মনের ভিতর ছোট অথচ তীক্ষ্ণ একটা ব্যাথা অনুভব করতে থাকে। ঠিক বুঝতে পারে না, এটা মনের কষ্ট নাকি মনের গভীর থেকে উদ্বেলিত ঘৃনা। ধর্মের নামে, আল্লহর নামে গুটি কয়েক স্বার্থানেষী লোক দিনের পর দিন মানুষ ঠকিয়ে যাচ্ছে। মহি মনের অজান্তেই অস্পষ্ট সুরে বলতে থাকে,- এ অন্যায়্‌............, এ ফাঁকি...............।

মহির মনে পড়ে নজরুলের সেই বিখ্যাত কবিতাপংক্তি-
“হায়রে ভজনালয় তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়.........”।

মজিবর
১০.০৯.০৯


মন্তব্য

তানবীরা এর ছবি

মাওলানার গল্প ইন্টারেষ্টিং। আরো গল্প চাই।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

রানা [অতিথি] এর ছবি

লেখা ভাল হয়েছে। তবে একটু পুরোনো থিম ।

অনিকেত এর ছবি

চমৎকার লেখা---- চলুক
আরো আসুক---

অতিথি লেখক এর ছবি

চেষ্টা করব, ধন্যবাদ।

মূলত পাঠক এর ছবি

লেখাটার মধ্যে একটা নৈর্ব্যক্তিক সুর আছে যেটা ভালো লাগলো। তবে বহুচর্চিত বিষয়ে লিখতে গেলে নতুনত্ব দরকার, শুধু ওতে হবে না। আরো লিখুন, আগামীতে যখন আরো ভালো হবে তখন আর ছিদ্র খঁুজবো না। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

পাঠকের ছিদ্র খোজা আর লেখকের সার্থকতা দুটোরই যে পাশাপাশি অবস্থান.........।
উপদেশ মনে রাখব, ধন্যবাদ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চমৎকার লাগল লেখাটা। আরো লিখুন। সচলায়তনে স্বাগতম। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা। ...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

স্বাগতম সচলায়তনে। ভালো লাগলো!

----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ভাল লাগায় আমি উৎসাহ বোধ করছি।
ধন্যবাদ।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

সচলায়তনে স্বাগতম।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

মজিবর এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

মজিবর এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

নাজমুল এর ছবি

খুব সুন্দর

মজিবর এর ছবি

ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।