মোবাইল কোম্পানি - VOIP ব্যবসায়ী সুসম্পর্ক !!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০২/১০/২০০৯ - ৮:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক দ্শক আগের কথা। বাবা গেছেন আমেরিকা। ত্খ্ন বাবার সাথে কথা বলতে অনেকক্ষণ বসে থাকতাম। বেশি কিছু তখনও বুঝতাম না, খালি মা'র মুখে শুনতাম টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জ ব্যস্ত। বাবা আবার কিভাবে যেন আমাদের বাসা নাম্বার চাপলেই ফোন চলে আসত। জিজ্ঞাস করাতে বাবা বললেন, উনি নাকি কি কলিং কার্ড দিয়ে কল দেন। ঐ বয়সে এর বেশী কিছু জানার ইচ্ছা আমার ছিল না।

সেই কলিং কার্ড আমি হাতে পেলাম ২০০৩ এ । তখন বিদেশে কল করতে এটাতেই অনেক সস্তা। বাহ, কি মজা। এদিকে আমরা কম রেটে কথা বলছি আর এদিকে আমাদের টিএন্ডটির অবস্থা কেরোসিন। সরকারের টনক নড়তেই হল তদন্ত, ঘোষণা হল যেহেতু কলিং কার্ড এর কলগুলো টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জকে বাইপাস করে কল আদান-প্রদান করে, তাই এটা অবৈধ।

শুরু হল অভিযান। কিন্তু এই অবৈধ ব্যবসায়ীরা থামে না। একদিকে ধরে তো অন্যদিকে নতুন করে গজায়। কেঁচো খুড়তে সাপ বেরুলো। বড় বড় মোবাইল কোম্পানীগুলো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেল। জরিমানা করা হল কয়েকশ কোটি টাকা। ভিওআইপি ব্যবসা কমল, কিন্তু একেবারে শেষ হ্য় না।

এরপর সরকার কয়েকটি কোম্পানিকে লাইসেন্স এর মাধ্যমে ভিওআইপি বৈধ করল। কিন্তু, বাঙ্গালী বলে কথা। এত পয়সা দিয়ে লাইসেন্স নিবে কেন ? এ অবৈধ ব্যবসা এখনো চলছে, বলা চলে অনেকটা বিটিআরসি'র নাকের ডগায়।

ওয়ারিদ এর জাহি নিলাম ২ বছর। এ দুবছর বিদেশ থেকে আমার কাছে অনেক কল এসেছে। কয়েকটা বৈধ পথে, কয়েকটা অবৈধ পথে। যাহোক, বিটিআরসি তে কমপ্লেন করতে গেলে প্রমাণ দিতে হবে, কিন্তু আমার নিজের নিরাপত্তা ও তথ্য গোপনীয়তার কথা ভেবে আর যাই নাই। এক সপ্তাহ আগে আমার কাছে একটা ওয়ারিদ নাম্বার থেকে বিদেশী কল আসে। আমি নিজেকে সুনাগরিক ভেবে কল দেই ৭৮৬ এ কমপ্লেন করতে । ৭৮৬ থেকে উলটা বলা হল, আপনি কিভাবে জানেন এটা ভিওআইপি ? আমি নিজের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের ধারণা দিলাম। এবার উনারা বললেন, এ ধরনের কমপ্লেন উনারা নিতে পারবে না। জিজ্ঞাস করলাম, কে পারবে ? ঊনি বলে, জানিনা। গন্ধ পেলাম আতাঁতের, আমার মেজাজ খারাপ হল, আমি কেটে দিলাম লাইনটা।

পরে খবর নিয়ে দেখলাম এ অবস্থা সব অপারেটর এর।

আমার এক্টাই প্রশ্ন, মোবাইল কোম্পানি - VOIP ব্যবসায়ী সুসম্পর্ক নিয়ে অথোরিটির কোন মাথা ব্যথা আছে কি ?

লেখক - জিবরান মাহমুদ

( একাউন্ট সচল নেই, তাই এভাবে লিখলাম আমার জীবনের প্রথম বাংলা ব্লগ )


মন্তব্য

রেনেসাঁ [অতিথি] এর ছবি

সচল এ স্বাগতম। VOIP ব্যবসা সহজে বন্ধ হবেনা । এই দেশে সবাইকেই ম্যানেজ করা যায় তাই VOIP চলছে, চলবে..............

সচেতন নাগরিক এর ছবি

ভাইরে যে দেশে দূর্নীতি-ই সবচে বড় নীতি সেইদেশে "অথোরিটির কোন মাথা ব্যথা আছে কি?"এই প্রশ্ন করে কি লাভ? আপনি যে ৭৮৬ এ অভিযোগ করে নিজেই ফেঁসে যান নি এইটার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন!!! এইদেশে আসলে অথোরিটি বলে কিছু কি আদৌ আছে?!?!?

অম্লান অভি এর ছবি

সহমত....একবার ডিএমপি এর কন্ট্রোল রুমে ফোন দিয়েছিলাম হায় অথোরিটি। মনে হলো সিএনজি অটোড্রাইভার নয় বরং দোষ হভাগা পথিকেরই। দূর্নীতি মহান চিত্র প্রায়ই দেখি যে টেবিল থেকে ঘুষ দাবী করা হয়। তার সমানের আসলে মনে হয় তার মত ফেরেস্তা এই জামানায় আর একজন হয় না। বেচারাকে মিষ্টি কথায় চিড়া ভিজিয়ে হাতে হারিকেন দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। ভিওআইপি.........উন্মুক্ত হলে সেই সব ঘুষ সেবীদের পকেটে টান পড়বে আর কিছু নতুন মুক্ত কর্ম সংস্থান হবে, বৈকি। সরকারে ঘুমানো জন্য তো বালিশ দরকার তারা সমস্যার বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারে না, তাই সমাধান যোগ্য সমস্যাও জিইয়ে রাখে।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

সবজান্তা এর ছবি

বানের পানিকে হয়তো বাঁধ দিয়ে আটকানো সম্ভব হতে পারে, কিন্তু প্রযুক্তিকে কোনভাবেই আটকানো যায় না। ভিওআইপিকে আটকে রেখে আবার সেই কথাই প্রমাণিত হয়েছে।

আমাদের দেশের সরকারের মাথা কতটা মোটা, সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে। ভিওআইপি -এর মতো সহজলভ্য এবং চমৎকার প্রযুক্তিকে কি কোনভাবেই আটকানো সম্ভব ? আর সাম্প্রতিককালে যে উচ্চমূল্যে IGW লাইসেন্স বিক্রি করা হলো, সেটাই কি পরিপূর্ণ সমাধান ?

যতোদিন সরকার লাইসেন্স দেওয়া নিয়ে এই ঢাক ঢাক গুড় গুড় বন্ধ না করবে, এই ভিওআইপি চলবেই। ভিওআইপি ঠেকানোর এর চেয়ে ভালো কোন উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না।


অলমিতি বিস্তারেণ

রাগিব এর ছবি

দেশে ইন্টারনেটের গতি বাড়লে সবাই স্কাইপি দিয়ে কথা বলবে। সেটাকেও কি সরকার নিষিদ্ধ করবে? ইন্টারনেট একটা মুক্ত জগৎ, সেখানে এরকম বেড়া দেয়া চলে না। গরু পালাবেই ফাঁক বানিয়ে।

অফ টপিক -- অভিযোগ জানাবার নাম্বার ৭৮৬ (বিসমিল্লাহ সূচক) হলো কেনো? শানে নযুলটা কী?

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেতে আর নাই, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অভিযোগ জানাবার নাম্বার ৭৮৬ (বিসমিল্লাহ সূচক) হলো কেনো?
৭৮৬ এর কোন ধর্মীয় ভিত্তি নেই। আমি শেখ নাভেইদ আজিজ এর একটা লেকচারে শুনেছি।

অতিথি লেখক এর ছবি

সচেতন নাগরিক লিখেছেন:
ভাইরে যে দেশে দূর্নীতি-ই সবচে বড় নীতি সেইদেশে "অথোরিটির কোন মাথা ব্যথা আছে কি?"এই প্রশ্ন করে কি লাভ? আপনি যে ৭৮৬ এ অভিযোগ করে নিজেই ফেঁসে যান নি এইটার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন!!! এইদেশে আসলে অথোরিটি বলে কিছু কি আদৌ আছে?!?!?

আতেঁল ভাবতে পারেন, কিন্তু আমি এরকমই। অন্যায় সহ্য করতে পারিনা। সত্যি বলতে কি, কাউকে না কাউকে তো মুখ খুলতেই হবে, তাই না ?

জিবরান মাহমুদ

আলমগীর এর ছবি

সচলে স্বাগতম জিবরান।
এ লেখাটা একটা ভাল লেখা। পড়ে নিন সম্ভব হলে।

উজানগাঁ এর ছবি

সবজান্তার সাথে একমত।

ঘটনা হল সরকার কাদের আটকাবে? আপনি আমি কি করছি না? আপনি মেসেন্জারে Voice চ্যাট করেন অইটা কি VOIP-r আওতায় পড়ে না? সরকারের কোনো ধারনাই নাই প্রযুক্তির দৌড় নিয়ে। থাকলে VOIP কে সহজ শর্তে অনেক আগেই উন্মুক্ত করে দিতো।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখিত, আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। ভয়েস চ্যাট VOIP এর আওতায় পড়ে না ( এজন্য এটা ব্লক করা হয়নি ) । এইটা আমি বিটিসিএল কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উনারা বলেছেন, ভয়েস চ্যাট এ নাকি কথা ডাটা হিসেবে ট্রান্সফার হয়। এখানে আইটি এর কেউ থাকলে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিলে ভাল হয়।

জিবরান মাহমুদ

সবজান্তা এর ছবি

কথাটা এক অর্থে ঠিক, আবার আরেক অর্থে নাও।

ভয়েস চ্যাটে কথা ডাটা হিসাবে ট্রান্সফার হয়, সে কথা ঠিকাছে। কিন্তু আইপির মাধ্যমে ভয়েস পাঠালে সেটা কী হিসাবে ট্রান্সফার হয় ? সেটাও কিন্তু প্যাকেট আকারেই যায়। ডাটা এবং ভয়েস যাই বলুন না কেন, আদতে তা প্যাকেটই, যদিও প্রটোকল আর পোর্ট আলাদা থাকে।

তবে হ্যাঁ, ট্র্যাডিশনাল ভিওআইপি মডেলের সাথে ভয়েস চ্যাটের সফটওয়্যার, ধরা যাক, স্কাইপের পার্থক্য আছে। সেটা মূলত ক্লায়েন্ট-সার্ভার এ ধরনের কোন মডেলের উপর দাঁড় না করিয়ে, এটা চলে পিয়ার-টু-পিয়ার বেসিসে। এছাড়া অন্যান্য SIP প্রটোকল বেজড ভিওআইপি ক্লায়েন্টের সাথেও ইন্টারঅপারেবিলিটি নেই। তবুও স্কাইপে কিন্তু ভিওআইপি ক্লায়েন্টই মোটা দাগে।

সাধারণ অর্থে ভিওআইপি বলতে আমরা যা বুঝে থাকি, তা হয়তো ভয়েস চ্যাট সফটওয়্যারগুলি না, কিন্তু একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখুন। সব আসলে একই, আইপি নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়েই ডাটা যাচ্ছে। তাই সরকারের এই ধরনের বিভাজন খুব হাস্যকরা ঠেকে।


অলমিতি বিস্তারেণ

উজানগাঁ এর ছবি

মজার ব্যাপার হলো এস আই পি (Session Initiation Protocol) সিগন্যালিং প্রটোকল হিসেবে কাজ করে আর টি পি (Real-time Transport Protocol) মিডিয়াতে। স্কাইপের মতো কোম্পানীগুলোও instant messaging এর জন্যে এই এস আই পি-র উপরই নির্ভরশীল।

আর বি টি সি এল এর লোকজনের দৌড় তো আমাদের জানাই আছে।

একটা মজার ঘটনা দিয়ে শেষ করি।

সিলেটের একটি আইএসপিতে বি টি আর সি-র লোকজন র‌্যাব সহযোগে হানা দিয়েছেন। সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তন্ন-তন্ন করে তারা কিছুই না পেয়ে চলে গেলেন। পরে এক আড্ডায় ঐ আএসপির সিস্টেম এডমিন জানালেন তার টেবিলের উপরেই বেশ কয়েকটি গ্যাটোয়ে রাখা ছিল। বি টি আর সি-র লোকজন সেগুলো দেখেও চিনতে পারেননি সেদিন। দেঁতো হাসি

রেজওয়ান এর ছবি

ভিওআইপিকে বন্ধ করতে উন্মুখ যারা তাদের এই প্রযুক্তির সুবিধাভোগীদের সম্পর্কে ভাল ধারণা নেই। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ প্রবাসীরা দেশের স্বজনদের সাথে সহজে ও স্বল্প মূল্যে যোগাযোগ করতে পারছেন এই ভিওআইপির মাধ্যমেই। জার্মানি থেকে বাংলাদেশে ফোন করতে লাগে আইডিডি - ১ ইউরোর বেশী (১০০ টাকা) আর ভিওআইপির মাধ্যমে ৫-১০ সেন্ট (৫-১০ টাকা) প্রতি মিনিট। ভিওআইপি বন্ধ হলে আইডিডি ছাড়া গতি নেই - তখন কিন্তু সব টাকা নিয়ে যাবে বিদেশী টেলিফোন কোম্পানি। উচ্চমূল্যে লাইসেন্স নিয়ে যারা ভিওআইপি সেবা দেবে তারা কলের মূল্য বাড়িয়ে দেবে। বিটিআরসি (বা সরকার) হয়ত এর কিয়দংশ পাবে কিন্তু বেশীর ভাগ পকেটে যাবে ওই ব্যবসায়ীদের।

ওদিকে ভিওআইপি (যাদের অবৈধ বলেন) এর বাংলাদেশে যারা সেবা দিচ্ছেন তারা ছোট ব্যবসায়ী। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা সম্ভব বলে তারা বেকারত্ব ঘুঁচাচ্ছে এই ভাবে। এই ফোনের ব্যবসার কিছু লাভ দিয়ে তাদের পরিবার জীবন ধারণ করে। এখন যুক্তি হতে পারে তাদের ব্যবসাকে কিভাবে বৈধতা দেয়া যায়। উচ্চ মূল্যের লাইসেন্স হলে তারা ব্যবসা করতে পারবে না। করবে রাঘব বোয়ালেরা -যারা ইতিমধ্যেই ধনী।

কিন্তু বিটিআরসির উদ্দেশ্য মনোপলি। তাদের শর্তে উচ্চ মূল্যের লাইসেন্সে ভিওআইপির ব্যবসা। তাদের কি আসে যায় বাঙ্গালীর বেশী পয়সা খরচ হলে?

ইন্দোনেশিয়াতে কলিং কার্ড বা ভিআইপির ছোট ব্যবসায়ী নেই। ওদের সরকারী টেলিফোন কোম্পানির মনোপলিতে বাংলাদেশে কল করতে সাধারণ রেট ১ ডলার প্রতি মিনিট আইডিডি। আর তাদের ভিওআইপি রেট - ৫০ সেন্টের বেশী (প্রায় ৪০ টাকা প্রতি মিনিট)।

প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও প্রতিযোগীতামূলক বাজার ব্যবস্থা ভোক্তাদের কল্যানেই কাজ করে। কিন্তু একে অবৈধ বলে স্বার্থান্বেষী মহলের মনোপলি ব্যবসাকে (ভোক্তাদের টাকা শ্রাদ্ধ করে) সমর্থনের আগে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও প্রশ্ন করা দরকার।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ভিওআইপি বন্ধ হলে আইডিডি ছাড়া গতি নেই - তখন কিন্তু সব টাকা নিয়ে যাবে বিদেশী টেলিফোন কোম্পানি। উচ্চমূল্যে লাইসেন্স নিয়ে যারা ভিওআইপি সেবা দেবে তারা কলের মূল্য বাড়িয়ে দেবে। বিটিআরসি (বা সরকার) হয়ত এর কিয়দংশ পাবে কিন্তু বেশীর ভাগ পকেটে যাবে ওই ব্যবসায়ীদের।

এ ব্যাপারে বলতে পারি, ইনকামিং কলের জন্য মোবাইল অপারেটর পায় ৮৪ পয়সা মাত্র। এর সিংহভাগ (৫০% এর উপরে) পায় রেগুলেটরি বডি। উচ্চমূল্যের লাইসেন্সধারী আইজিডাব্লু কোম্পানিগুলো কিন্তু সম্পূর্ণ দেশীয় ইনভেস্টমেন্টের এবং মালিকানার।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

জিবরান মাহমুদ [অতিথি] এর ছবি

রেজওয়ান লিখেছেন:
.........উচ্চমূল্যে লাইসেন্স নিয়ে যারা ভিওআইপি সেবা দেবে তারা কলের মূল্য বাড়িয়ে দেবে। বিটিআরসি (বা সরকার) হয়ত এর কিয়দংশ পাবে কিন্তু বেশীর ভাগ পকেটে যাবে ওই ব্যবসায়ীদের।

ওদিকে ভিওআইপি (যাদের অবৈধ বলেন) এর বাংলাদেশে যারা সেবা দিচ্ছেন তারা ছোট ব্যবসায়ী। অল্প পুঁজিতে ব্যবসা সম্ভব বলে তারা বেকারত্ব ঘুঁচাচ্ছে এই ভাবে। এই ফোনের ব্যবসার কিছু লাভ দিয়ে তাদের পরিবার জীবন ধারণ করে। এখন যুক্তি হতে পারে তাদের ব্যবসাকে কিভাবে বৈধতা দেয়া যায়। উচ্চ মূল্যের লাইসেন্স হলে তারা ব্যবসা করতে পারবে না। করবে রাঘব বোয়ালেরা -যারা ইতিমধ্যেই ধনী।

কিন্তু বিটিআরসির উদ্দেশ্য মনোপলি। তাদের শর্তে উচ্চ মূল্যের লাইসেন্সে ভিওআইপির ব্যবসা। তাদের কি আসে যায় বাঙ্গালীর বেশী পয়সা খরচ হলে? ।

........প্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও প্রতিযোগীতামূলক বাজার ব্যবস্থা ভোক্তাদের কল্যানেই কাজ করে। কিন্তু একে অবৈধ বলে স্বার্থান্বেষী মহলের মনোপলি ব্যবসাকে (ভোক্তাদের টাকা শ্রাদ্ধ করে) সমর্থনের আগে তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কেও প্রশ্ন করা দরকার।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

আমি মনে করি উচ্চমূল্যে লাইসেন্স দেবার পিছনে গোষ্ঠীবিশেষের স্বার্থ দেখা হয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়নি। কয়েকজনকে উচ্চমূল্যে লাইসেন্স দেবার চেয়ে কম মূল্যে অনেকজনকে দেয়া যেতে পারে, ফলে আমাদের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথের অনেকাংশই বৈধভাবে কল আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে এবং বৈধভাবে কল আদান প্রদানের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের কল্যাণে কমদামে বৈধভাবে ভিওআইপি ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া।

দেশের কলংক এর ছবি

আমার জানামতে আমাদের দেশে কোন কাজ বৈধ আর কোন কাজ অবৈধ বাংলাদেশের ৯৫% মানুষই জানেনা। আর জানার কথাও নয়, কারণ দেশের তৃণমূল পর্যায়ে থেকে শুরু করে বলা যাবে প্রায় দেশের ৫০% মানুষের মুল পেশা রাজনীতি। যারা শুধু রাজনীতি নিয়েই সব সময় পড়ে থাকেন। দেশের উন্নয়নের চেয়ে তারা নিজের উন্নয়নই ভাল বোঝেন। একজন দিনমজুর বা শ্রমিক তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিনে যদি ৩০০ টাকা রোজগার করেন, তাহলে তো বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা হবে তার, যেমন- একজন ভ্যান বা রিক্সা চালকের কথাই বলে তিনি যদি ২ থেকে ১০ টাকা করে যাত্রীদের পায়ে ঠেলে বহন করে দিনে ৩০০ টাকা রোজগার করেন তাহলে তার কি অবস্থা হবে একবার ভেবে দেখেছেন!
আর রাজনীতি করলে তো তৃণমূল পর্যায়েই আয়ের ভাল উৎস্য! সারা দিনের চা নাস্তার তো কোন হিসাবই নাই। আর উপরি কামাই তো বাঁকিই রইল। একটু ভাল মানের নেতা হইলেই একটা কলের মুল্য দাড়ায় লক্ষ টাকার চেয়েও বেশি। আমাদের দেশের মানুষ প্রতিদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নিয়ম করে, আজকে কাকে ঠকাইয়া কত টাকা রোজগার করা যায়।
এ দেশে বাহির থেকে টাকা দিয়ে মূল্যবান জিনিস কিনে এয়ার্পোটে এসে ফিস বা বকশি দিতে হয়, আর কপাল হাললে পুরোটাই দিয়ে জেল জরিমানা দিতে হয়। তো এ দেশে বৈধ আর অবৈধই বা কি আছে। বকশিস দিলে বৈধ আর না দিলে অবৈধ। আজ পর্যন্ত যে দেশে টাকা ছাড়া চাকুরীর আশা নাই। সেই দেশের সন্তান হয়ে কি প্রতিভাবান হতে পারি। চাকুরির জন্য বাবার জমি বিক্রয়/বন্ধকের ৫ লাখ টাকা তো তুলতে হবে! আর কি করার, ঘুষ তো খেতেই হবে, না খেলে কি আর দেয় টাকার ক্ষতি পূরণ করা যাবে।

যে দেশে ১০টি খুন করে এসেও রাষ্ট্রপতির কাছের জীবন ভিক্ষা চাইলেই সব অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। যাদের দিনের পর দিনে কুকুর বিড়ালের মত মাছ মাংস দিয়ে পালা হয় তাদের খুন করা তো অভ্যাসে পরিনত। এ অভ্যাস ছাড়াবে কে?
আপনি?
আমি!
????

তো এবার আসুন ভিওআইপি প্রসংগে-
লাইসেন্স চাইতে গেলে তো আপনাকেই তাদের চোখে পড়তে হবে।
তারপর টাকা ঢেলে চোখ সরাতে হবে।

সরকারের উচিৎ উচ্চ মানের গবেষণাগার খোলা। যেখানে যে কোন বিষয়ে গবেষণা করা হবে। নতুন নতুন আমাদের মত তরুণ গবেষকদের স্বাগত জানাতে হবে। সেটা হোক বৈধ বা অবৈধ। আমি কিন্তু বলছি না আমাকে অবৈধ গবেষণা করতে সাহায্য করা হোক। শুধু বলতে চাই আমাদের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে.... যেমন আপনার আমার মনের মধ্যে চিরদিনই রয়েছে... নষ্ট স্বপ্ন (অবৈধ স্বপ্ন নয় বরং যে ভাল উদ্দেশ্য গুলি আছে যা বালির চরের মত মিছে যাচ্ছে।)

আমি একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। আমাকে উৎসাহ দিলে আমিও এগিয়ে যেতে পারি অনেক অনেক দূরে......
যেতে পারি না, কারণ আমার সামর্থ নেই যে, আমার পেশা ছেড়ে.. শুধু গবেষণার দিকে সময় বাড়ায়।

মূলধনই নাই সার্ভার চালানোর... শিখব কি করে!

আপনার চিন্তা হোক সৎ ও উন্নয়ন মূলক
তবেই কেবল সব সমস্যা দূর করা সম্ভব

কোন এক তারছেড়া উন্মাক্ত পাগল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।