আলবার্ট এলিসের "মাস্টারবেশন"

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৭/১০/২০০৯ - ১:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আলবার্ট এলিস ১৯১৩ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া রাজ্যের পিট্সবার্গে এক ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহন করেন এবং মারা যান, খুব বেশী আগে নয়, ২০০৭ সালের ২৪শে জুলাই । ১৯৫৫ সালে মনোবিশ্লষনের জগতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন একটি পদ্ধতি Rational Emotive Behavior Therapy (REBT) উদ্ভাবন করেন । তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,এ এবং পি,এইচ,ডি ডিগ্রী লাভ করেন । নিউইয়র্ক ভিত্তিক আলবার্ট এলিস ইন্সটিটিউটের তিনি প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট এমিরেটাস ছিলেন । তাকে ধরা হয় সাইকোথেরাপীর বিপ্লবাত্তক উন্নয়নের পথিকৃত্ এবং কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপীর প্রতিষ্ঠাতা । তার সমসাময়িক একটি পেশা ভিত্তিক জরিপে দেখা যায়, তিনি তার জীবদ্দশায় কার্ল রজার্সের পরে ইতিহাসের দ্বিতীয় প্রশিদ্ধ সাইকোথেরাপিষ্ট ।

বিংশ শতাব্দির ব্যাবহারিক মনোবিঞ্জানের জগতে একটা বড় আবিস্কার এই আর,ই,বি,টি একথা একবাক্যে বলা যায় । এই আর, ই,বি,টি কি জিনিস এবং কেনই বা এটা নিয়ে পড়লাম, সেটাই এখন বলতে চাই । আমার নিজের কিছু মানষিক সমস্যার বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে আলবার্ট এলিস এবং তার ত্বত্তের সন্ধান মিললো । আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম এই থেরাপিটি শুধু অসুস্থ লোকের জন্যই নয়, এই ক্ষয়ে যওয়া, ভারসাম্যহীন সমাজের মধ্যে অবস্থানরত যে কোন মানুষের জন্য এর ত্বাত্তিক বিষয়বস্তু সমানভাবে প্রযোজ্য এবং উপকারি । এবার তার আর,ই,বি,টি কি বলে সেটা দেখতে চাই সংক্ষেপে । এই থেরাপিটি মূলত মানবীয় বুদ্ধিমত্তা, সক্রিয় নির্দেশ, দার্শনিক যুক্তি-তর্ক ও বৈঞ্জানিক পর্যবেক্ষন, পরীক্ষ নিরিক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যা মানুষকে আরও পরিপূর্ন জীবন যাপন করতে এবং আরও সুখী হতে শহয়তা করে । এশিয়া, গ্রীক, রোমান ও আধুনিক দার্শনিকদের মতাদর্শ ও জীবন পদ্ধতিতে অনুপ্রানিত ও উত্ সাহিত হয়ে এলিস আর,ই,বি,টি উদ্ভাবনে প্রবৃত্ত হন । এটা বলা যায়, আর,ই,বি,টি একটি দ্রুত এবং আধুনিক কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি । এলিস এটাকে প্রথম প্রয়োগ করেন এবং দিন দিন এর শ্রীবৃদ্ধ জারি আছে ।

প্রতিদিন বহু রকম ঘটনা ঘটে যাচ্ছে আমাদের জীবনে : এদের মধ্যে কিছু ইতিবাচক আর কিছু নেতিবাচক । ইতিবাচক ঘটনা নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই, এগুলো শক্তি ও আনন্দের উত্ স । নেতিবাচক ঘটনাগুলো নিয়ে যতনা সংকট । এই নেতিবাচক সংকটগুলোকে এলিস নাম দিলেন Adversity (A). সংকট গুলো হতে পারে কোন চিন্তা বা কাজ, অন্তর জগতের বা বহির্জগতের, হতে পারে অতীত, বর্তমান বা অনাগত ভবিষ্যতের । সংকট ঘটে যাবার পর আমরা তাদের মূল্যায়ন করতে বসলাম । এই মূল্যায়ন প্রধানত: ভাষা, সংস্কৃতি, বিশ্বাস, শব্দমালা এবং বাক্তিসত্তা, গুনাবলী ও ক্ষমতা দ্বারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে নিয়ন্ত্রিত । মূল্যায়নের পর অবশেষে একটা সিদ্ধান্তে পৌছা গেল, যা অধিকাংশ ক্ষত্রে ভুল । এই ভুল সিদ্ধান্তকে এলিস নাম দিলেন Belief (B).
বিশ্বাস পাকাপোক্ত হওয়ার পর বেক্তির দ্বারা যে সমস্ত কর্মকান্ড সংঘটিত হয় সেগুলি নেতিবাচক (Irrational) বা অযৌক্তিক । এই অস্বাভাবিক কর্মকান্ডই তাকে সাইকোটিকে পরিনত করে । ভুল সিদ্ধান্তের এই বাহ্যিক ফলাফলকে এলিস নাম দিলেন Consequences (C). এটাই তার যুগান্তকারি আবিস্কার REBT -এর ABC-মডেল, যে মডেলের উপর ভিত্তি করে থেরাপি নকসা বা ডিজাইন তৈরী করা হয় । এক্ষত্রে থেরাপিটা অনেকটা ক্লিনিকাল ও কারিগরি বিষয় সমৃদ্ধ, যা এই পরিসরে আলোচনার সুযোগ কম ।

কেন মানুষ সুখী হতে পারে না ? কেন সে তার সমস্ত শক্তির সর্বোচ্চ ব্যাবহার নিশ্চিত করতে পারে না ? কেন সে অসামাজিক ব্যবহারে অভ্যাস্ত হয় ? এর কোন সমাধান আছে কি ? এর সঠিক উত্তর হলো, মানুষ অতিসংবেদী বা নিউরোটিক, অসামাজিক ব্যবহারে অভ্যাস্ত হয়, কারন এগুলো তার জীনে আছে । অসামাজিক উপাদান সমূহ আমাদের জীনে প্রগ্রাম করা থাকে, কারও কম আবার কারও বেশী । আবার কারও কারও অবস্তা এতটা প্রান্তিক এবং এতটা অসামাজিক যে, তাদের আর সাহায্য করার আর সুযোগ থাকে না । এদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষকে এমন এক শ্রেনীতে ফেলান যায় যারা অনবরত চিন্তা ও কাজ করে অসামাজিকভাবে কিন্তু তারা তাদের অন্তর্দৃষ্টি ও ইচ্ছা শক্তির মাধ্যমে এই অবস্তার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম ।

অসামাজিক বিশ্বাস বা ধারনা শৈশবের কোন আঘাত, পীড়ন কোন কিছুর উপর নির্ভর করে না , এগুলি আসলে কোন সমস্যা নয় । আসলে এই অসামাজিক আবেগীয় বিচ্যুতি বা ত্রুটির মূল কারন হচ্ছে, তিনটা ভ্রান্ত ধারনা বা বিশ্বাস ।
এক: মানুষ অবশ্যই আমার সাথে সঠিক আচারন করবে, এর ব্যাতিক্রম আমার জন্য অসহ্য ।
দুই: জীবনের কাছে আমি সুবিচার চাই, এর অন্যথা আমার কাম্য নয় ।
তিন: দুর্ভোগ ও সমস্যামূক্ত জীবনই আমার কাম্য, এর ব্যাতিক্রম আমার উপর অবিচার ।
এই ধরনের ত্রুটিপূর্ণ চিন্তা ভাবনা গুলোকে এলিসের ‘মাস্টারবেশন’ বা ‘পাণিমেহন’ বলে । এই জগত আমাদের জীবনে কি দুর্ভোগ নিয়ে এলো, তার জন্যে আমাদের মানষিক বিপর্যয় ঘটে না বরং ঘটনাগুলোকে আমরা কিভাবে নিলাম, সেই সমস্ত ভিত্তিহীন ধারনা বা বিশ্বাস গুলোই আমাদের মানষিক বিপর্যয় ডেকে আনে, আমাদের অসামাজিক কাজ করতে প্রেরনা যোগায় ।
এটার কোন যৌক্তিক কারন নেই যে, জীবন সব সময় আমার প্রতি সদয় হবে, মসৃনভাবে চলবে, লোকেরা আমার সাথে সুন্দর-সাবলিল ব্যাবহার করবে । ধরাযাক এক লোক কোন এক সুন্দরীর কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হলো । এটা অবশ্যই একটা বিরক্তকর বিষয় কিন্তু এতটা খারাপ নয়, যাতে মনে করতে হবে যে, নারী ছাড়া জীবনের কোন গতি নেই, মূল্য নেই । এটা একটা মিথ্যা ধারনা এবং এই ধরনাই তাকে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করবে । সে নারীবিদ্যেষী হবে অথবা তাদের পরিত্যাগ করে চলবে ।

আরও কয়েকটা উদাহরন দেয়া যাক । ধরুন এক লোক তার প্রিয় চাকরিটা হারালো । তারপর থেকে তার মনে হতে লাগলো এবং দৃড় বিশ্বাস জন্মালো, একটা ভাল চাকরি ছাড়া জীবনটাই বৃথা, বেচে থাকা অপমানকর । এই ধরনের ভুল বিশ্বাস তাকে যে পীড়ন দিবে, তার ফলে সে আরও বেশী অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতে পারে, আত্মহত্যা করা, চাকুরির সাক্ষাতকার বর্জন, এমন কি নতুন চাকুরি খোজা থেকে বিরত হয়ে যেতে পারে ।

এক অল্পবয়সী মেয়ের মনে হলো, সে কুতসিত হয়ে যাচ্ছে, শরীরে অস্বাভাবিক হারে মেদ জমা হচ্ছে । এই অবস্থা অসহ্য এবং এটা বয়ে নিয়ে বেড়ানো তার জন্য দুর্বিস হ । তাকে সুন্দরী এবং স্লিম হতেই হবে । এই ভুল এবং পীড়নকারি বিশ্বাস তার অসামাজিক কাজের সুত্রপাত । সে এমনভাবে খাওয়া দওয়া নিয়ন্ত্রন করতে শুরু করলো, যারফলে প্রয়োজনিয় পুষ্টিটুকুও শরীর আর পেল না । ফলে এনারেক্সিয়াতে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হলো । কিন্ত এই কুতসিত হয়ে যাওয়াটা বিরক্তিকর হলেও কোনভাবে ভয়ংকর ছিল না ।

লিখতে আমার ভাললাগে তাই লিখে যাই । অন্যেরা সেটা পড়ে আমার প্রশংসা করবে, এটাতে আমার কোন প্রয়োজন নেই । যদি কখনো সেটা ঘটে, তবে ভাল, না ঘটলা তা বিরক্তিকর নয় । কোন অবস্থাতেই আমি তাতে লেখা থেকে বিরত হবো না । আবার এর উল্টোটাও হতে পারে । কেউ যদি আমার লেখা পড়ে সমালোচনায় মূখরও হতে পারে । আমি কখনই সেটাকে ভয়ংকর বিষয় বলে ধরে নেব না । আমার লেখা পড়ে পড়ে পাঠকদের ভিন্ন ভিন্ন প্রতিকৃয়া হওয়াই স্বাভাবিক । সবার প্রতিকৃয়া একই রকম হোক, সবাই আমার প্রশংসা করুক এগুলো ঘটার কোন যুক্তিযুক্ত কারন নেই । এই ধরনের চিন্তা-প্যটার্ন আমাকে আরও সুন্দর ও সামাজিকভাবে বিশ্বাস ও ধারনা নিতে শিখিয়েছে ।

সংক্ষিপ্ত এই আলোচনার পর মূল বক্তব্য হলো, জীবনে যা কিছু অনাকাঙ্খিত ঘটে চলেছে তার মধ্যে যেগুলোকে পার বদলে দাও, যেগুলোকে পার না তাদের গ্রহন করো বা মেনে নাও ।

যিশুখৃষ্টের একটা কথ মনে পড়ে গেল, “judge ye not” , কোনকিছু বিচার করতে যেও না । সম্ভবত: তিনি কথাটা বলেছিলেন কারও জীবনে ঘটে যাওয়া কোন সংকটময় ঘটনার প্রসংগে । জীবন রূপে-রসে-গন্ধে বিপুল ঐশ্বর্যময় এবং তার ব্যাপ্তিও অপরিসীম । এই জীবনের জন্যে মহাবিশ্বে অগনিত ইতিবাচক উপাদান রয়েছে, যাদের অর্থ দিয়ে কেনার প্রয়োজন নেই, ইচ্ছে করলেই সেগুলো পাওয়া যায়। অনেক সময় নিয়তি ও ইচ্ছার দ্বন্দ্ব, জীবন ও মৃত্যুর দ্বন্দ্ব, সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তি ধরে নাড়া দেয়, করে ফেলে দিশাহারা বিভ্রান্ত । তার জন্যে আমাদের অন্তরে এমন এক বিশ্বাসের উর্বর ভূমির স্থিতি প্রয়োজন, যে ভূমির সকল বৈপরিত্তের গ্রহন সক্ষমতা আছে ।

ভাবের-আকাশচারি মনের শাব্দিক উচ্চারনে অনেক সময় অকাট্য সত্যের প্রতিধ্বনি এভাবে শুনতে ভাল লাগে :

উর্বরভূমে স্থিতি বিশ্বাসেরই

উন্মিলিত চক্ষু মোর, আন্দলিত হিয়া !
অন্তরেতে অন্তহীনা, চিন্তা স হজীয়া ।
মর্ম হতে উতসরিয়া কর্মচিন্তা ধায়,
দেশে কালে, কালান্তরে অরুদ্ধ দুর্জয় ।

আলোকনৃত্য, মর্মর ধ্বনী পশিল মম এ চিত্তে ।
বর্নিতে নারি কেবা কোথা হ’তে ভরিল বিভব বিত্তে ।
স্বাদে, আঘ্রানে , মৃদু পরশনে শিঞ্চিত স্নায়ু তথ্যে,
জানিবার ভারে ন্যুজ্ব স্নায়ুকলা, ভরেছে পরম সত্যে ।

দুর্বার, দুর্জ্ঞেয় সকরুন নিয়তি,
নিঃসীম, অবারিত জীবনের জয়তি ।
মৃত্যুর কুহেলিকা নিঠুরিয়া, নির্মম,
নির্দয় খড়গে ধারাপাত অবিরাম ।
করি সত্যের অভিনয়, মিথ্যায়ও বসবাস
অক্ষত থাকে বেচে অন্তরে বিশ্বাস ।

এস,কে, নির্ভানা
ইমেইল :


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

ধু:গো: ভাইকে চিন্তায় ফেলে দেবার দুঃখিত । ধৈর্য ধরে এই অসুখপাঠ্যে মনোসংযোগ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

বর্ষা এর ছবি

লেখাটি আমার বেশ ভালো লাগলো। আপনি কি এই সব ব্যাপারে আরো বেশী পোষ্ট দিতে পারেন?
********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যা, আছে । তবে, অসুবিধে হচ্ছে লেখাটা বেশ বড়, এবং বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লেখা । বাংলাদেশে পেলে পাঠকদের ভয়ে পিঠে বস্তা বান্ধা লাগতে পারে এই ভয়ে পোষ্ট করতে পরছি না ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

বিষয়বস্তুটা ভালো লেগেছে। শিরোনামের টার্মটার এ ধরনের নামকরনের স্বার্থকতাটা বুঝতে পারিনি।

দুটো কথা। এক, শেষের কবিতাটা অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে লেখাটার জন্য, বিশেষ করে যেহেতু আপনার লেখাটা অনেকটাই "একাডেমিক" ভঙ্গি থেকে লেখা। দুই, বানানের ব্যাপারে আরও যত্নবান হওয়া দরকার। তবে আপনার বাংলা প্রতিশব্দ ব্যবহারের চেষ্টাটাও চোখে পড়েছে।

আরও লিখুন। সচলে স্বাগতম।

অতিথি লেখক এর ছবি

কোন ঘটনার ব্যাপারে আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে ভুল বিশ্বাস ধারন করি, সেই পীড়নকারি ধারনাটাকে বুঝাবার জন্য "মাস্টারবেশন" শব্দটা ব্যাবহার করা হয়েছে । বানানের বিষয়টা রপ্ত করার চেষ্টা করছি । পড়া এবং নির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার লেখা ভালো লেগেছে, তবে REBT ব্যাপারটা ভালো লাগেনি।এখানে জাদুকরের রুমাল নাড়ানোর মত ব্যাপার আছে বলে মনে হয়েছে। বাকি যা বক্তব্য তা ধর্ম্মপুত্র ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধৈর্য্যধরে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞ । অনেক বানান ভুল আছে, সেজন্য দঃখিত ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখাটা দুর্বোধ্য হলেও উদাহরণগুলো দিয়ে বিষয়টাকে মোটামুটি সহজেই বোঝা গেলো...
লেখা বেশ ভালোই লেগেছে। তবে কিছু বানান ভুল পীড়া দিলো যে-... গবেষণামূলক এরকম লেখা আরো দিন।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

অতিথি লেখক এর ছবি

সবতো মাথার উপর দিয়া গেলো। তবে বিশ্লেষণ ধর্মী লেখাটা ভালো লাগল। আসলে মানুষের জীবনটা বৈচিত্রময় এবং অনিয়ন্ত্রিত। কিসে যে সুখ বা আনন্দ মানুষ নিজেও জানে না। তাইতো মানুষের আচার, ব্যবহার নিয়ে এতো গবেষনা। জীবনকে কীভাবে আরো সাজিয়ে তোলা যায়, তাই নিয়ে মনীষিদের কত বিশ্লেষন। কত পরামর্শ। চালিয়ে যান, আমরা আরো জানতে চাই।
ধন্যবাদ।
দলছুট।

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিকই তাই । দেখ গেছে সব মানুষের জন্য একই ত্বত্ত ও পদ্ধতি ব্যবহার করে কাংখিত ফল পাওয়া যায় না । ধন্যবাদ, পড়ার জন্য ।

নির্ভানা

মাহবুবুল হক এর ছবি

প্রত্যাশা বা প্রতিদান পাবার আশা যে মানুষ করে না বা কম করে সে মানুষ সম্ভবত এই জটিলতা থেকে মুক্ত। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। বানানের ব্যপারে আরো সতর্ক হওয়ার অনুরোধ রইল। পূর্ণ , বিশ্লেষণ, ব্যক্তি, তত্ত্ব, সহায়তা, ধারণা, মানসিক, আচরণ, ব্যতিক্রম, প্রাণিত, বিজ্ঞান, নিরীক্ষা, প্রসিদ্ধ, গুণ, গণ -সহ আরো বেশ কিছু শব্দ যতটা পারেন সম্পাদনা করে আবার পোস্ট করুন।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ প্রথমে মাহবুব ভাই । ঠিক এই বানানগুলো আমার সবসময় ভুল হয় । সুন্দর নির্দেশনার জন্য আবারও ধন্যবাদ ।

চড়ুই এর ছবি

বিতর্কিত বিষয় নিয়ে লেখা । বাংলাদেশে পেলে পাঠকদের ভয়ে পিঠে বস্তা বান্ধা লাগতে পারে এই ভয়ে পোষ্ট করতে পরছি না ।

Please do not hesitate for "Bitorkito Bishoi"

At the end of the feature I found it extremely positive and optimistic -Thanks a lot.

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।