বিজনেসম্যান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৪/১০/২০০৯ - ৮:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকাল থেকেই বৃষ্টি পড়ছিল।গুলশানের এক নিস্তব্ধ কোনায় উঁচু দেয়ালে ঘেরা বাড়িটার ভেতর বৃষ্টির হাজারো মাতাল শব্দে ঘেরাও হয়ে ছিল ওরা।কুয়াশা ধরা শীতল কাঁচের জানালার দামী ইটালীয়ান কাপড়ের পর্দার ফাঁক দিয়ে ড্রয়িং রুমে আবছা ধূসর আলো এসে অদ্ভুত এক আলো আঁধারি তৈরি করছিল ওদের চারদিকে।

মার্বেল আর মেহগনির এই বিশাল সুরম্য প্রাসাদ টা সরফরাজ সাহেবের কাছে একটা জেলখানার মত লাগে, দম বন্ধ হয়ে আসে তার।বাড়িটার মত বাড়ির অন্যান্য বাসিন্দা, অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী, কন্যা ও অকর্মণ্য পুত্রটির সঙ্গ ও তিনি সহ্য করতে পারেন না।তাঁর জীবনে একমাত্র গর্ব ও আনন্দের উৎস তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি, বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম করে তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরুপে ঈর্ষণীয় সুনামের অধিকারী হয়েছেন।তাঁর মুখে স্থির হয়ে থাকা শীতল হাসিটি শিথিল হয়ে ওঠে কালেভদ্রে, যখন তিনি সুখ স্মৃতি খুঁজতে মনে মনে ফিরে যান সোনালী রোদে ঢাকা, ভোরের শিশির ভেজা, বুনো লতাপাতা আর পাকা ধানের গন্ধে ভরা তাঁর ছেলেবেলায়।

একটু আগে, এই সামান্য সুখটুকুও হঠাৎ করে তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।তাঁর সারা জীবনের সুনাম ধুলায় মিলিয়ে যেতে বসেছে রাশেদার কারনে।এই মাত্র তাঁকে জানানো হয়েছে, রাশেদা – তাঁর একমাত্র কন্যা, ভয়ংকর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে বসেছে।সরফরাজ সাহেব ক্রোধ গোপন করতে করতে মেয়ের দিক থেকে মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলেন, “সোজা পাগলা গারদে পাঠিয়ে দিবে। জেলখানার পাগলা গারদ থাকে না? ওইগুলায়।জেল তো হবেই।” আফসোস করে উঠলেন তিনি – “কপালে এই ছিলো আরকি।মানুষের কাছে আর মুখ দেখানো যাবে? দেশে থাকা যাবে আর?”

রাশেদা আবার থরথর করে কেঁপে উঠলো।“আ-আমি, আমি সুইসাইড করবো!” ফুঁপিয়ে উঠলো সে।
“একদম চুপ!” ধমকে উঠলেন সরফরাজ সাহেব।“কোনো ন্যাকামী না।সময় নাই হাতে। ব্যবস্থা কিছু একটা করতে হবে।” জানালায় ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলের দিকে তাকালেন তিনি।“খালেদ, তুমি মেডিকেলের ছাত্র ছিলানা? ফেল মারার আগে ডাক্তারী শিখেছিলা কিছু? টাকা তো পানির মত গেলো, মাথায় কি তার কিছু বাকি আছে?”

“তুমিও জানো আমি কতদুর কি পড়েছি, নতুন করে কি বলবো।”
“এইটুক কি বলতে পারবা, স্রেফ এই ব্যাপারটা - একজন সত্যিকার ডাক্তার এইরকম একটা আঘাত দেখলে কি বলবে?”
“কি বলবে বলতে…”
“মনে করো মাথার উপর ফ্যান খুলে পড়লো বা শ্যান্ডেলিয়ার টা খুলে পড়ল, তাহলে এইরকম ঘা সম্ভব?”
“মানে, ব্যাপারটা হলো আব্বু……”
“সম্ভব কি না শুধু এইটা বলো।”
“না।”
“ক্যানো? না ক্যানো?”
“কারন আঘাত এক জায়গায় না। তিন-চার জায়গায় রক্ত জমাট……”
“চুপ করো খালেদ! আমি শুনতে চাই না!” চিৎকার করে উঠলেন সরফরাজ সাহেবের স্ত্রী।

“উপযুক্ত সন্তান জন্ম দিয়েছো, এখন শুনতেই হবে ডার্লিং। উপায় নেই। আর গলা নামাও। বাইরে ড্রাইভার, মালি আছে। আমরা পারিবারিক আলাপ করছি, এমন স্বরে কথা বলো। একদম আস্তে।আচ্ছা খালেদ, মনে করো যদি ছাদ থেকে পড়ে যায়, তাহলে? তাহলে তো দুই-তিন জায়গায় ধাক্কা খাওয়া সম্ভব?”

“আমি ঠিক বলতে পারবো না আব্বু।”
“…তিরিশ-চল্লিশ ফিট, ঠিক অ্যাঙ্গেলে পড়তে হবে……উঁহু…।আবার ভাবতে হবে। পুরা ঘটনাটা আবার শুনতে হবে।” রাশেদার দিকে তাকালেন তিনি।
“না! আমি পারবো না!”

“রাশেদা, পুরা জিনিসটা আমাকে আবার শুনতে হবে।ছোট্টো একটা বিষয় ভুলে গেলেও পরে পস্তাতে হতে পারে। একটা ভুল তথ্যের জন্য আমাদের সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে। আমাদের মানে আসলে তোমার, রাশেদা।সারা জীবন জেলে কাটাতে চাও তুমি? ফাঁসি হয়ে যেতে পারে তোমার!খুনের আসামী তুমি, নাকি এই বিষয়টা বুঝে উঠো নাই এখোনো? কাঁপাকাঁপি বন্ধ করো! আর গলার আওয়াজ নামাও! আমরা স্বাভাবিক কথা বলছি, এমন ভাবে কথা বলো।শুরু করো।”

“আমি পারবো না! আ-আমি…আমি……”
“চুপ! একদম চুপ! গলা নামাও!!” হিস হিস করে উঠলেন সরফরাজ সাহেব।

শীতল, শুষ্ক চোখদুটি তিনি মেয়ের মুখের একদম কাছাকাছি নিয়ে গেলেন।ওর মুখের দিকে তাকিয়ে বিতৃষ্ণায় তাঁর শরীর কেমন যেনো করে উঠলো। রাশেদার পুরো গঠনটাই কেমন পাশবিক।পুরুষালী চোয়াল, চওড়া কাঁধ, পেশীবহুল হাত……সবকিছু মিলিয়ে অনৈসর্গিক একটা জান্তব শক্তিমত্তার আভাস তার দেহে।
“উত্তর দাও।ও তোমার বেডরুমে কিভাবে আসলো?”
“দুপুর বেলা, তোমরা যখন বাইরে থাকো……”
“বুঝেছি। আগে আরেকটা কথা বলো, তোমাদের এই সম্পর্কের কথা কে কে জানতো?”
“কেউ না।আমি কখনো কাউকে কিছু……”

“ফালতু কথা।” খালেদ বলে উঠলো।“বাড়ির কেয়ারটেকারের সাথে প্রেম, এই নিয়ে হাসাহাসি পুরা এলাকায় বহুদ্দিন ধরে চলছে।সবাই জানে।”
“খুবই স্বাভাবিক।খুবই স্বাভাবিক।” সরফরাজ সাহেবের কাছে হঠাৎ করেই অনেক চাপা হাসি, রহস্যজনক অনেক শুভেচ্ছার অর্থ পরিস্কার হয়ে উঠলো।“ছি ছি ছি ছি ছি! আল্লাহ মাবুদ!” সোফার হাতলে তিনি বৃথাই হাত ঘষতে থাকেন, যেন অদৃশ্য কোনো ক্লেদ ঝেড়ে ফেলতে চান দেহ থেকে।“বলো। বলে যাও। দুপুরে কয়টার সময় এসেছিল ও?”
“দুইটা।”
“তখন তুমি এক্সেরসাইজ করছিলে?”
“হ্যাঁ।”
“ওকে আসতে কে দেখেছে?”
“কেউ না।ও ছাদ থেকে আমার বারান্দায় নেমে আসত।”
“তুমি শিওর কেউ দেখে নাই?”
“শিওর আব্বু।”
“বৃষ্টি ছিলো তখন?”
“খুব জোরে পড়ছিলো।আমি শিওর ওকে কেউ দ্যাখে নাই।”
“তারপর?”
“ও খুব খুশি খুশি ছিল। আমাকে বলল ভালো একটা খবর আছে ওর।ওর চাকরি হয়ে গেছে।অফিস জব। মানুষের বাসায় কাজ করা ছেড়ে দেবে……অবশেষে নিজের জীবন শুরু করতে পারবে, নিজের সংসার।আমি মনে করেছিলাম ও আমাকে কথা গুলা বলছে যাতে আমি ওকে বিয়ে করি।”

“তুমি মনে কি করেছ জানতে চাচ্ছি না। বাস্তবে কি হলো তাই বলো।খবরদার কান্নাকাটি না!”

“আমি ওকে বললাম ওর কথা আমি তোমাকে বলবো, জোর করে হলেও তোমাকে রাজি করাবো। ও একটু চুপ হয়ে গিয়ে বলল ওর মা নাকি দেশে ওর জন্য মেয়ে দেখা শুরু করে দিয়েছে। এটাই নাকি ভালো হবে। আমাদের সম্পর্কে নাকি প্রেম-ভালবাসার কোনো ব্যাপার ছিল না।আমি তখন রাগারাগি শুরু করে দিলাম, ওকে গালিগালাজ করতে লাগলাম।ও ও হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে বলল আমি বড়লোকের বখা মেয়ে, টাকার লোভেই নাকি ও আমার সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। এখন ও উপার্জন করে, ওর আর আমাকে দরকার নেই। এই বলেই ও ফিরে চলে যাচ্ছিল।আমার মাথায় আগুন ধরে গিয়েছিল তখন, রাগে আমার গা কাঁপছিল।হাতে লোহার বারবেল ছিলো একটা…………”

“চিৎকার দিয়েছিলে তুমি কোনো? আঘাত করার সময়?”
“না! আমি কোনো শব্দ করি নাই!”
“আর ও? কেয়ারটেকার? সুমন?”
“না। কোনো আওয়াজ করতে পারে নাই।”
“তারপর?”
“আমি বারবেলটা হাত থেকে ফেলে দিয়ে দৌড়ে গিয়ে গোসলখানায় গিয়ে ঢুকলাম। বের হয়েই তোমাকে ফোন করলাম।আ-আমি আর কিছু জানি না!”

“………কোনো চাকর-বাকর কেউ দোতলায় ওঠার অনুমতি নাই।…… ছাদ থেকে ঢুকলে কেউ জানার ও কথা না……হুমমম……বাসায় চোর-ডাকাত পড়তেই পারে……পুলিশে কেস একটা দিলেই হবে।সমস্যা হলো বডিটা তোমার বেডরুমে। রক্ত-ঘিলু সব তো……”

“আব্বু চুপ করো! চুপ করো!”
“শাট আপ!……এখন দরকার হল মোটিভ।একটা বাড়ির কেয়ারটেকারকে খুন করার দায় কার পরেছে?”

হঠাৎ ড্র্য়িংরুমের দরজায় দু’বার দ্রুত টক্ টক্ করে নক করার শব্দ হলো এবং সাথে সাথে গেট খুলে ঢুকে পরলো সরফরাজ সাহেবের ব্যক্তিগত সহকারী মুস্তাফিজ। ওর এই বাড়িতে চব্বিশ ঘন্টাই আনা-গোনা, ইচ্ছা মত আসে যায়।

“কেয়ারটেকারকে খুন করার দায়? যদি আপনার কেয়ারটেকারের কথা বলেন তাইলে আমিই রাজি আছি। অত্যন্ত বেয়াদ্দপ একটা ছেলে। মতলববাজ টাইপের লাগে আমার কাছে,” বলতে বলতে দরজা ঠেলে হাসিমুখে ঘরে ঢুকলো মুস্তাফিজ।

রাশেদা চিৎকার করে উঠলো, “আব্বু, উনি শুনে ফেলেছেন!”
“আস্তে মা।শুনেছেন, ভালো হয়েছে।” দ্রুত মেয়ের দিকে আগুন চোখে তাকিয়ে পরিস্থিতি সামলে নিতে চান তিনি।“আর বোলো না মুস্তাফিজ, এই সুমন ছেলেটা এমন ফাঁকিবাজ।মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।”

“ভাগিয়ে দেন। আমি ভালো একজনকে যোগাড় করে দিচ্ছি। আমার দেশী মানুষ।”

“দাও তো। তাই দাও।মুস্তাফিজ, তুমি একটু বসো। তোমার আন্টি আর আপুর সাথে গল্প-সল্প করো। খালেদ, বাবা আসোতো একটু আমার সাথে……”

“কোনো জরুরি কাজ স্যার? আমি করে দেই?”
“তুমি বসো। আমি আসছি। কই, খালেদ…আসো না।”
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সরফরাজ সাহেব খালেদকে নিয়ে ফিরে আসলেন।

“কি গল্প জমছে না? আসো মুস্তাফিজ, তোমাকে একটা ইন্টেরেস্টিং জিনিস দেখানোর আছে।রাশেদার রুমে চলো।”

রুমে সবার আগে মুস্তাফিজকে ঠেলে দিয়ে তারপর ঢুকলো খালেদ, সবশেষে সরফরাজ সাহেব।তিনি রুমে ঢুকে ভেতর দিয়ে দরজা লক করে দিয়ে গাউনের ভেতর থেকে একটা রিভলভার বের করে মুস্তাফিজ এর দিকে তাক করে দাঁড়ালেন।

“অবস্থা দেখেছ মুস্তাফিজ? আমার মনে হল এই রুমে হঠাৎ ডাকাত পড়েছে, চিৎকার-টিৎকার শুনলাম মনে হল। তাই রিভলভার বের করে নিয়ে আসলাম। এখন মন দিয়ে শোন আমি যা বলছি। নইলে ডাকাত ভেবে ভুলে তোমাকে গুলি করে দিলে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে একটা। বুঝেছ কি বলছি?”

মুস্তাফিজ সরফরাজ সাহেবের দিকে আস্তে আস্তে ফিরলো। “জি স্যার। বুঝেছি।”
“আজকে এখানে একটা বিশ্রী দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে।ভালো মত এটার সমাধান না হলে, দুর্ঘটনার সংখ্যা আরো একটা বাড়তে পারে।বুঝেছ?”
“জি?”
“তুমি ভুল করে আমার একটা প্রশ্ন শুনে ফেলেছ, ‘কেয়ারটেকারকে কে আবার খুন করবে’, এইরকম কিছু। তারপর রাশেদার মুখ ফস্কে বলে ফেলা কথাটাও শুনেছ।কালকে যখন শুনতে পেতে সুমন আসলেই নিখোঁজ, দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলতে তোমার কোনো সমস্যাই হত না। তুমি যথেষ্ট বুদ্ধিমান ছেলে।তাই আর তোমার কাছে কিছু গোপন রাখলাম না।”

“জি, অবশ্যই স্যার। আমি আপনার বিশ্বাসের……”
“ব্যস,ব্যস। থামো। কাজটা অবশ্য আমি করি নি। রাশেদার………”

দুজনেই চুপচাপ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকলো কিছুক্ষণ।
“আমি চাই না আমার মেয়ে জেলে যাক। তারপর আমার আর সমাজে বেঁচে থাকার মত মুখ থাকবে না,” নিস্তব্ধতা ভেঙ্গে বলে উঠলেন সরফরাজ সাহেব।“তুমি বিষয়টা জেনে ফেলেছ। এটা একটা বড় সমস্যা।”

“স্যার আমি আমার মায়ের কসম খেয়ে বলছি স্যার, আমি কোনো দিন কাউকে কিছু বলবো না। আপনি স্যার কোরান শরীফ আনেন……” সরফরাজ সাহেবের চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে গেলো মুস্তাফিজ। নিজের অনুনয়ের ব্যর্থতাটুকু স্পষ্ট হয়ে গেছে তার কাছে। সরফরাজ স্যারের পুরানো পার্টনারের অন্তিম পরিণতির কথা মনে পরে গেলো তার হঠাৎ। এতদিন এইসব কথা ফালতু অফিস গসিপ মনে করেছে ও।ওর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসতে থাকে ভয়ে।

“আমি জানি তুমি কাউকে বলতে চাইবে না, মুস্তাফিজ। কিন্তু পুলিশের সামনে কতক্ষন চুপ থাকবে তুমি?”
শেষ চেষ্টা করে মুস্তাফিজ,“ দু-দুটো খুন করে আপনি বাঁচতে পারবেন না। কখনই না……”

“তোমাকে ছেড়ে দেয়াটা আমার পক্ষে এই মুহূর্তে আরো অনেক বড় ঝুঁকি।এর চেয়ে অনেক ভালো তোমরা দুজনই যদি হঠাৎ উধাও হয়ে যাও।”
“স্যার আমাকে একটা সুযোগ………”
আবার চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে তারা।
“একটাই উপায় আছে। আমি যা বলবো নির্দ্বিধায় মেনে নিতে হবে তোমার। রাজী হলে বলো, নইলে আমি এখনি ঝামেলা মিটিয়ে দিচ্ছি,” বলে রিভলভারটা উঁচু করে ধরেন সরফরাজ সাহেব।

“আপনি যা বলবেন স্যার। আমি রাজি।”
“তোমাকে বিশ্বাস আমি করতে পারি একমাত্র যদি এই খুনের খবর ফাঁস হলে তোমার কিছু হারানোর থাকে, তাই না? তোমাকে তাই দু’টা কাজ করতে হবে। এই খুনের সাথে তুমিও জড়িতো এটার প্রমান দিতে হবে।তুমি এখন এই লাশটাকে আমাদের বাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়ে কোনায় পুরোনো একটা সেপ্টিক ট্যাঙ্ক আছে ওইখানে রেখে আসবা। ট্যাঙ্কটা সিমেন্ট করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে কেউ কোনোদিন লাশটা খুঁজে পাবে না”

হতভম্ব মুস্তাফিজ কথা খুঁজে না পেয়ে চুপ করে থাকে।
“আর দ্বিতীয় কাজটা হচ্ছে, রাশেদাকে তোমার বিয়ে করতে হবে। আমার সম্পত্তির অর্ধেক ও পাবে, সেখান থেকে অর্ধেক আমি তোমার নামে লিখে দিবো, কিন্তু উইলে শর্ত থাকবে আমার মেয়ে কখনো জেলে গেলে সব কিছু থেকে তুমি বঞ্চিত হবে। সোজা কথা এই ঘটনা ফাঁস করলে তুমিও জেলে যাবে, আর না করলে সারাজীবন তোমাকে আর কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।”

ধীরে ধীরে মুস্তাফিজ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। একেই বলে বিজনেসম্যান! এক ঢিলে খুন ও চাপা পরলো, মেয়ের ও একটা গতি হয়ে গেলো।তৎক্ষণাৎ রাজী হয়ে গেলো সে।
“স্যার আপনি যা বলেন।”
“ঠিক আছে তাহলে। খালেদ ওর মুখে ঘুসি মারোতো একটা। সাবধান, তোমার আঙ্গুলে যেন দাগ না থাকে।”
প্রচন্ড বেগে একটা ঘুসি এসে মুস্তাফিজের মাথা ঘুরিয়ে দেয়।ঠোঁটের কোণে নোনা স্বাদ এসে চমকে দেয় তাকে।
“এইবার ওইযে বারবেলটা পরে আছে, ওইটা তুলে ধরো।তারাতারি!”
বিনা প্রশ্নে মুস্তাফিজ তাই করে।
“যাও, এবার রাশেদার রুমটা ঠিকঠাক করে ফেলো। আমি চাকর-বাকর দের তোমার দৃষ্টিসীমার বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করি গিয়ে। খালেদ তোমাকে দেখিয়ে দেবে সিমেন্ট যা যা লাগে।”

সবশেষ হতে হতে রাত প্রায় নেমে আসে। মুস্তাফিজ হাঁপাতে হাঁপাতে ফিরে আসে বাড়ির পেছন থেকে।সরফরাজ সাহেব কিছুটা স্নেহের সুরেই বলে ওঠেন, “যাও, বাথটবে গরম পানি রাখা আছে।ফ্রেশ হয়ে আসো।”

মুস্তাফিজ ড্রয়িং রুমে ঢুকে দেখে সবাই তার জন্যই অপেক্ষা করছে।
“বসে পর মুস্তাফিজ। আমি তোমার আন্টি আর রাশেদাকে সবকিছু বুঝিয়ে বলে দিয়েছি।সবাই খুশি। চা নাও। আর তোমার বাবা মা কে কালকে একবার নিয়ে এসো। দেখা করি।”

“ব্যাপার কি? আপনার মুখে রক্ত কেন?” নিরীহ ভাবে জিজ্ঞাসা করে খালেদ।
চুপ করে থাকে মুস্তাফিজ।
“চুপচাপ কেনো? গল্প-সল্প করো। টেনশন কিসের? এই রুমের বাইরে কেউ কোনো দিন কিছু জানবে না।”

আরো মিনিট দশেক বসে থেকে মুস্তাফিজ বিদায় নিলো। বের হবার সময় সরফরাজ সাহেবের স্ত্রী বিদায় দিতে গিয়ে কেঁদে ফেল্লেন।“বাবা, তোমার কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।”সরফরাজ সাহেব নিজে চুপ করে থাকলেন, শুধু হাত ধরে ঝাঁকি দিয়ে বললেন, “বেস্ট অফ লাক।”

মুস্তাফিজ চলে যাবার একটু পরে সরফরাজ সাহেব তাঁর স্ত্রীকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা সাফ-সাফ বুঝালেন এবং তারা দুইজন একসাথে গিয়ে একি কথাগুলো রাশেদাকেও পরিস্কার করে বুঝিয়ে দিয়ে আসলেন। এরপর বৃষ্টি থামতেই সরফরাজ সাহেব বাড়ির পেছন থেকে মিনিট পাঁচেক ঘুরে আসলেন।

ঘরে ফিরেই তিনি তার অতি ঘনিষ্ট বন্ধু নুরুদ্দীনকে ফোন দিলেন, “হ্যালো, রমনা থানা? ডিআইজি সাহেব আছেন?............দোস্ত আমি সরফরাজ, খুব বিপদে পরে তোকে ফোন করেছি……আমার বাসায় এক ভয়াবহ ব্যাপার হয়ে গেছে, আমি অফিস থেকে এসে দেখি আমার কেয়ারটেকার আর আসিস্ট্যান্ট ছেলেটা উধাও। ঘর থেকেও প্রায় লাখ দশেক টাকার গয়না গায়েব………একটু তারাতারি দোস্……আমার মেয়ে, বৌ সবাই খুবই শকড্……”

..............................................................................................

সংসপ্তক


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভালো লাগল। কিন্তু রমনা থানায় এসিস্ট্যান্ট উধাও হওয়ার কথা কেন বললেন তাতো বুঝলামনা।

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন পুলিশ আসবে, তদন্ত হবে এবং তদন্তে লাশ বের হয়ে আসবে বাড়ির পেছন থেকে, যে লাশের সারা গায়ে এসিস্ট্যান্টের চিহ্ন। পুলিশ মুস্তাফিজ কে ধরে আসামী হিশাবে চালান দিবে। এইটাই যেহেতু ট্র্যাপ......এসিস্ট্যান্টকেও পলাতক হিসেবে দেখালে সরফরাজ পরিবারের জন্য সুবিধা!

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

সংসপ্তক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ধন্যবাদ।
এরকম গল্প পড়তে আমার ভালই লাগে। আপনি সুন্দর লেখেন তো!

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ! উৎসাহ পেলাম!

সংসপ্তক

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বেশ মজা করেই পড়লাম। খুনের কাহিনীটা আরো জমানো দরকার ছিলো মনে হচ্ছে। তবে পারিপার্শ্বিক কাহিনী বেশ ভালো লেগেছে।

আর একটা কথা, আমার জানার ভুলও হতে পারে, ডিআইজি ব্যাটা কি রমনা থানায় বসে? ঐ হালার না আলাদা অফিস আছে?

------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি জানি না ভাই, ওইটা আন্দাজে মেরেছি। এখন মনে হচ্ছে ডিআইজির অফিস আসলেই আলাদা হওয়ার কথা, থানায় কেন ডিআইজি বসে থাকবে?

ধন্যবাদ!

সংসপ্তক

নাতাশা এর ছবি

টানটান একটা গল্প। অনেক ভালো লাগলো।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নতুন একজন ভালো লেখকের আগমন দেখতে পাই...
ভালো লেখা বস- একটু সাধারণ বানানগুলো নজরে রাইখেন-যেমন শেষ লাইনে "তারাতারি"- বুঝতে পারছি দ্রুত লিখতে গিয়ে হয়েছে; ব্যাপার না...
রাগ কইরেন না কিন্তু, ভুল ধরাটা মূল উদ্দেশ্য না-আপনি ভালো লেখেন- একটা নির্ভুল লেখা পড়ার আনন্দ নিশ্চয়ই বোঝেন...

চলুক চলুক চলুক

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সংসপ্তক [অতিথি] এর ছবি

রাগ কিসের!! সচলে এইটা ৩য় লেখা (সবই গত দুই সপ্তাহে), এর আগে হাতে বাংলা শেষ লিখেছি উচ্চ মাধ্যমিকে, ২০০৪ এ! টাইপে বাংলা এই প্রথম। বানান গুলো কেমন জানি অচিন অচিন লাগে।

মৃত্তিকা এর ছবি

গল্পটা পড়ে ফেললাম, বেশ মজা লাগলো।
কিন্তু শেষে ডিয়াইজিকে ফোন না করাই মনে হয় উচিত ছিলো। কারণ মুস্তাফিজকে যখন পুলিশ রিমান্ডে নিবে তখন তো আসল কাহিনী বেরিয়ে পরবে! তারপর পুলিশ, ডিটেকটিভ কতো হ্যাপা, রাশেদা কি পালিয়ে থাকতে পারবে?

 সংসপ্তক এর ছবি

সরফরাজ সাহেব অনেক ঘাগু লোক। মুস্তাফিজ এর মুখে মারামারির চিহ্ন, বারবেলে এখন ওর ই হাতের ছাপ আর পুরা দাফনের কাজে তো মুস্তাফিজ ই মুস্তাফিজ! রাশেদার ঘরেও মুস্তাফিজেরই ছাপ চারদিকে.......রিমান্ডে যা ইচ্ছা বলুক না! প্রমাণ তো ওর বিরুদ্ধে। তার পর ও যদি কিছু হয়, ডিআইজি সাহেব রইলেন না, ইহা বাংলাদেশ........বেচারার জন্য আমার ই মায়া লাগছে হাসি

নির্জন স্বাক্ষর এর ছবি

এক টানা পড়লাম এবং মুগ্ধ হলাম। হাসি

----------------------------------------------------------------------------

ডানা ভাঙ্গা একলা কাক, পথ শেষে থাক...একলাটি থাক

রেশনুভা এর ছবি

চমৎকার। ধারাবাহিক এর চিন্তা আছে? করে ফেলতে পারেন কিন্তু।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

সংসপ্তক, আপনার লেখাটা বেশ ভালো লাগলো। গল্পের সিনোপ্সিসটা বেশ চমৎকার। কিন্তু যখন ফুটিয়ে তুলেছেন, তখন কিছু সমস্যা চোখে পড়লো। যেমনঃ অ্যাসিস্ট্যান্টের ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারটা। এতো বিশাল বড়লোকের অ্যাসিস্ট্যান্ট দরজা নক করেই ঢুকে পড়া, অনুমতি ছাড়াই... খটকাই লাগলো।

আর রমনা থানা'র ডিআইজি'র বদলে ডিআইজি, ঢাকা বললে বেশি মানানসই হতো। থানায় ওসি'রা বসেন। আরো ভালো হতো যদি কমিশনার বলতেন।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার গল্পের কাহিনী দিয়ে নির্দিধায় এক্তা নাটক বানিয়ে ফেলা যায়।আমার কাছে পুরোটাই রহস্য আর উত্তেজনায় ঠাসা মনে হলো।সরফরাজ সাহেবের চরিত্র টা আমার মনে ধরেছে।;)
আপনার আরো লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।:)

ভন্ড_মানব

মূলত পাঠক এর ছবি

গল্পটা এমন জমে গেছে যে ঐ সব ভুলচুক চোখেই পড়লো না। দারুণ লিখেছেন!! সোজা পাঁচ তারা দাগালাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ!

সংসপ্তক

অতিথি লেখক এর ছবি

বড় হলেও এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম। ভাল লাগলো ।

নির্ভানা

সাফি এর ছবি

দারুন লেগেছে, সরফরাজ সাহেবতো ভাই ডেঞ্জারাস লোক, এরে নিয়ে একটা ধারাবাহিক করে ফেলেন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভালো লাগল, তবে রহস্য রেখে লিখলে আরো মজা পেতাম, তারপর একটু একটু করে সূতা ছাড়তেন, তবে আপনার লেখা, আপনে লিখবেন, যেভাবে ইচ্ছা, সেভাবেই লিখবেন। আর ২য় পর্ব নামিয়ে দেন। তারপর সেখানেও টুইস্ট আনতে পারেন দেঁতো হাসি, পয়সা ওয়ালা হলেই যে দৌড়ে জিতবে সরফরাজ সাহেব, সেটা তো জরুরী না। দৌড়ের মজাটাই তো সেখানে। এমান ভাবে সাজান, যেন আমরা মিনিটে মিনিটে কে ধরা খাবে তা নিয়ে ধরা খেতে থাকি। আর আসল খুন তো করেছে মেয়ে, কাজেই অপরাধের বোঝা তার ঘাড়ে নেমে আসা উচিৎ।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাইফ তাহসিন এর ছবি
Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

কপিরাইটের জন্যে ই-স্নিপসে দিতে পারছিলাম না কেন যেন!! যাক, শুনে দেখেন। আপনার গল্পের সাথে মিলবে কিছুটা।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

ভালো লিখেছেন। আপনার আরও গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

হুম ভালো লাগল। একদমে পড়ে ফেললাম, প্রথমে বড় দেখে পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিল না, কিন্তু পড়ে অনেক মজা পেলাম।
ধন্যবাদ।
দলছুট।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

খুনের ঘটনাটা একটু দুর্বল মনে হয়েছে... তাছাড়া গল্প ভালই।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

তীরন্দাজ এর ছবি

খুব ভালো লেগেছে গল্পটি। যে চমকের মাঝে শেষ করছেন, সেটিও দারুন লেগেছে। এভাবেই সবচেয়ে সুন্দর!

আশা করছি আরো লিখবেন।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

প্রবাসিনী এর ছবি

বেশ সিনেমা সিনেমা ভাব!
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

রেনেট এর ছবি

দারুণ উপভোগ্য গল্প। আরো আসুক।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতিথি লেখক এর ছবি

সবাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ!

স্রেফ ঝোঁকের বশে এই বস্তু লেখা, জীবনেও এই থিমে কিছু লিখি নাই, লিখার চিন্তাও করি নাই। ইন ফ্যাক্ট, ম্যাট্রিকের ঠিক আগে আগে গাঁজা দ্বারা উস্কায়িত কিছু স্বপ্নের বর্ণনা ডায়েরী বদ্ধ করেছিলাম, এই আমার তাবৎ বাংলা লেখালেখির দৌড়।

সচলে লেখার উদ্দেশ্যেই অভ্র ইন্সটল, এবং প্রথম বাংলা টাইপিং।

সচলের উসিলাতেই এই কাহিনীর উদ্ভব। এক বসার জিনিস, অনেক ভুলে ভরা, তবুও আপনাদের আগ্রহে আমি অভিভূত, কৃতজ্ঞ।

জয়তু সচল।

সংসপ্তক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এই গল্পে কী শিখলাম আমরা?
- হুটহাট বসের বাড়িতে ঢুইকা যাওয়ার অভ্যাস করা ঠিক না। রাত বিরাতে তো না-ই!

- বিরাট কোটিপতির মাইয়ারে বিয়া করার লোভ দেখাইলে সেই লোভেও পা দেয়া ঠিক না।

- আরেকটা কী জানি শিখলাম, মনে করতে পারতেছিনা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দময়ন্তী এর ছবি

আপনার লেখার হাতটা চমত্কার৷ গল্পটায় ছোটখাট দুর্বলতা আছে, কিন্তু সে তেমন কিছু না৷ প্রাণভরে লিখে চলুন৷ চলুক
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা

একটা ব্যাপার পরিস্কার হয়নি, শুরুতে মুস্তাফিজ আসার আগপর্যন্ত সরফরাজ সাহেব যে তার ছেলে-মেয়েকে বকাবকি করছিলেন সেটা কি খুনের দিনের বিকেলে?
পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো যেন সকালে!

যাই হোক, ভাবতেছি আবারও গোয়েন্দা হাসনাইনকে পাঠিয়ে দিয়ে একটা ক্যাচাল বাঁধিয়ে ফেলবো নাকি?
ডিপেন্ড করবে নুরুদ্দিনের সাথে সরফরাজ সাহেবের বন্ধুত্ব কতটা গাঢ়, তার ওপর। চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।