জিয়াউর রহমান - আপনার দাবিগুলো কী যুক্তিযুক্ত?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৬/০৪/২০১০ - ১:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নিচের এই লিংকে শাব্দিক এর নির্মাতা (জিয়াউর রহমান) কিছু কথা লিখেছেন অভ্রকে নিয়ে:
http://www.facebook.com/note.php?note_id=120756021273163&id=717348608&ref=mf

কিন্তু আমি উনার যুক্তিগুলো মানতে পারলাম না। শাব্দিক কেন অভ্রের মতো জনপ্রিয় নয় বলুন তো? আমি যতদুর দেখেছি শাব্দিকও বিজয়ের মতো অনেকদিন টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হত। আর অভ্র প্রথম থেকেই কাজ করেছে ভাষাকে সাধারণ মানুষের কাছে উন্মুক্ত করে দেয়ার লক্ষে। মানুষ তার প্রতিদানও দিয়েছে ভালোবাসা দিয়ে। একারণেই অভ্রের স্থান টা অর্জন করা শাব্দিক এর পক্ষে সম্ভব হয়নি। কাজেই, শাব্দিক অভ্রের মতো জনপ্রিয় হয়নি এটা শাব্দিকেরই ব্যর্থতা।

তাছাড়া এই লেখায় লেখক অত্যন্ত যুক্তিহীনভাবে অভ্রকে গালমন্দ করেছেন যেটা কাঙ্খিত নয়। যেমন উনি বলছেন " ফোনেটিক লে আউট এ মেহেদি এবং অভ্র আজ যে ক্রেডিট এর দাবি করছে তা আসলেই মেহেদিকে আর মোস্তফা জব্বারকে একই কাতারে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে । যে মুক্তির স্লোগান নিয়ে মেহেদির যাত্রা আজকে সে সেই মুক্তিরই মুখবন্ধ করে বসে আছে ।" আমার প্রশ্ন – অভ্র কবে কার কাছে ক্রেডিট দাবি করেছে? নির্বাচন কমিশন নিজেরাই অভ্র ব্যবহার করতে চেয়েছে। অভ্র কোনও প্রপাগান্ডা করে তা আদায় করে নি। আর মেহেদী নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে শুধুই একটা সনদ নিয়েছে যে তারা অভ্র ব্যবহার করেছে – কোনও ক্রেডিট দাবি করেনি – কোনও টাকা-পয়সাও না। তাহলে লেখক কোন ক্রেডিট এর কথা বলছেন? হ্যা ক্রেডিট অভ্র অনেক পেয়েছে। আর তা পেয়েছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। মানুষ অভ্র কে তা এম্নিতেই দিয়েছে – ভালোবাসা থেকে। অভ্র সেটা দাবি করেনি। মানুষ দিয়েছে তাকে মুক্তির স্বপ্নটা দেখানোর জন্য। আর মোস্তফা জব্বার একজন ভাষা ব্যবসায়ী – তার সাথে বিনামূল্যে বিলানো অভ্রের নির্মাতা কিভাবে এক কাতারে দাঁড়ায়? যদি মোস্তফা জব্বারের পাশে কাউকে দাঁড় করাতেই হয় – তবে ভাষা লিখন পদ্ধতিগুলোকে যারা অর্থের বিনিময়ে বেচতে চেয়েছিল এমন কাউকে দাঁড় করানোই কী উচিত্ না?

লেখক আরও বলেছেন, "আইনি লড়াইয়ে আসলে ইউনিজয় বিজয় এর নকলই প্রতিপন্ন হবে যদি মোস্তফা জব্বার যথাযথ আইনজ্ঞ নিয়োগ করতে পারেন আর প্রযুক্তিবিদদের কাছেও অভ্র নকল হিসেবেই গণ্য হবে"।

এই উক্তিটি যে কতখানি অসাড় টা আমরা নিচের পোস্ট দুটো পড়লেই বুঝতে পারি
http://www.sachalayatan.com/omicronlab/31599
http://www.sachalayatan.com/mukit_tohoku/31714
জিয়াউর রহমান নিজেও জানেন উনার কথা কতখানি মিথ্যা। যদি ইউনিজয়কে নকল কীবোর্ড হিসেবেই তারা জানতেন তাহলে কেন উনাদের নিজেদের সফ্টওয়্যার এ এই নকল কীবোর্ডটি তারা জুড়ে দিলেন?

তবে লেখক একটি সত্য কথা বলেছেন - “যদি ভাষা উন্মুক্ত হতেই হয় তাহলে আমাদেরে প্রত্যেককেই তার প্রাপ্য সম্মান দিতে হবে”।
একথা অনস্বীকার্য যে মানুষ আপনার জন্য কোনও কাজ বিনামূল্যে করে দিচ্ছেন তার সম্মান মজুরিভোগী লোকটার চেয়ে বেশি। মজুরি যে ভোগ করছে সে তো টাকার জন্যই করছে – স্বার্থ বিসর্জনের গৌরব মজুরিভোগীরা কেন পাবে? অভ্র বিনামূল্যে ভাষাকে সাধারণ মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছিল বলেই অভ্রের সম্মানটা অনেক বেশি। আর সেই ন্যায়বিচারটা করতে মানুষ ভুল করেনি।

হয়তোবা শাব্দিক প্রযুক্তিগতভাবে অনেক বেশি উত্কর্ষ সাধন করেছে কিন্তু মানুষ যেটা ব্যবহার করতেই পারেনি অর্থগত বাধার কারণে – সেটার প্রযুক্তিক নৈপুণ্যের তারিফ কিভাবে করবে বলুন?

ইফতেখার তানভীর চয়ন
go2chayan [@] জিমেইল. কম


মন্তব্য

লাল-মডু এর ছবি

এই মুহুর্তে একই প্রসঙ্গে প্রথম পাতায় একটি স্টিকি পোস্ট থাকায় লেখাটি আপনার নিজের ব্লগে প্রকাশিত হলো।

ধন্যবাদ।

শামীম এর ছবি

মজার ব্যাপার হল জিয়াউর রহমান ফোনেটিক নিয়ে গবেষণার বিষয়ে যে দাবী করেছেন সেই ধরণের গবেষণা অভ্র টিম করেনি এমন কোনো প্রমাণ উনি দেখান নাই .... বরং অমিক্রণ ল্যাবের ফোরামে একটা ইন্টারেস্টিং থ্রেড দেখলাম আজকেই ... যেটা দেখে মনে হয় এই নিয়ে গভীর লেখাপড়া/গবেষণা ওখানেও হয়েছে (থ্রেডটি দেখতে ক্লিকান: যান্ত্রিক লেখন পদ্ধতি)

আরো বড় ব্যাপার হল ফোনেটিক কোনো মৌলিক আইডিয়া নয়। আমি জাপানি উইন্ডোজে ফোনেটিক কীবোর্ড ব্যবহার করেছি সেই ২০০৩-২০০৪ এ। ওখানেও একটু লেখার পর সাজেশন আসতো। এছাড়া গুগলে একটু ইংরেজিতে ফোনেটিক কীবোর্ড লিখে সার্চ দিলে রাশিয়া, বুলগেরিয়া, উর্দু ইত্যাদি সহ অনেক ভাষার ফোনেটিক কীবোর্ডের ব্যাপার আসে। গুগল ট্রান্সলিটারেশন কীবোর্ডও ফোনেটিক কীবোর্ড ... এটা আমার দেখা সেরা (আমি সবই দেখেছি এমন দাবী করছি না)।

জিয়াউর রহমানের টিম যদি সত্যই ফোনেটিক কীবোর্ডের আইডিয়ার উদ্ভাবক হন তবে অন্য ভাষাগুলোর কীবোর্ড করার আইডিয়াগুলোও ওনার গবেষণার ফল বলতে হবে। নেটে একটু ঘাটাঘাটি করলেই কোন দেশে কবে ফোনেটিক কীবোর্ড এসেছে সেটা জানা যাবে। এই ব্যাপারে সময় নষ্ট করতে ইচ্ছা করছে না।

জিয়াউর রহমানের টিম হয়তো কোনো সুপারভাইজারের বিদেশী অভিজ্ঞতা ধার নেয়নি এবং আগে অন্য ভাষায় যে এটা ইতিমধ্যে পরিচিত আইডিয়া সেটা না জেনেই হয়তো নিজে নিজেই চিন্তা করে ফোনেটিকের ব্যাপারটা আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু তাই বলে অন্যদেরকে খাটো করে দেখার কোনো কারণ নাই। একই চাকা বার বার আবিষ্কারে কী লাভ?

শাব্দিক অ্যাড-অনটা ফায়ারফক্সে লাগিয়ে লিখে দেখেছি। নিঃসন্দেহে ভাল কাজ। তবে য-ফলা দিতে গিয়ে আর পারিনা ... উচ্চারন অনুযায়ী বিভিন্ন কী চেপে দেখলাম ...কিছুতেই হয় না। শেষে বাধ্য হয়ে কীবোর্ড লেআউট দেখলাম য-ফলা দেয়া হয় x কী চেপে। ওটা দেখতে গিয়েও এমন আরো কয়েকটা পেলাম যেগুলো ঠিক ফোনেটিক বলতে আমার বাধছে ... ...

নিজ সন্তান যেমন মা-বাবার কাছে সেরা, তেমনি একজন গবেষকের কাছেও তার সৃষ্টি সেরা হবে ... তাই শাব্দিক টিম সংশ্লিষ্টরা ওটাকে সেরা দাবী করলে মাইন্ড করার কিছু নাই।

তবে মনে রাখা উচিত ...
আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়
লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

শাব্দিক সফটওয়ার হিসেবে অভ্রের চেয়ে ভালো হতেই পারে, কোন সমস্যা দেখি না তাতে ... কিন্তু সেটার সাথে সাথে জিয়াউর রহমান-শাহ আসাদুজ্জামান-হাকিম নিউটন ট্রায়ো বলে বেড়ানোর চেষ্টা করছে যে ফনেটিক কীবোর্ডের আইডিয়া অভ্র তাদের থেকে মেরে দিয়েছে, অভ্র সিম্পল বাজারজাতকারীর বেশি কিচ্ছু না ... এই কথাটা খুবই আপত্তিকর ... শুধু এইটুকু দেখে এই ত্রিরত্নকে পরশ্রীকাতর চুল্কানিবাজ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দুই মন্তব্যের সাথেই সহমত জানিয়ে গেলাম।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

'কী' নয়, 'কি' হবে। মডুদের কেউ শিরোনামটি ঠিক করে এই মন্তব্যটিও মুছে দিয়েন। ধন্যবাদ।

অর্ক [অতিথি] এর ছবি

আমার মনে হয় ফোনেটিক কখনও একটি টাচ টাইপ লে আউটের বিকল্প হতে পারে না। মানছি বিজয় লে আউটে টাইপ শেখা কঠিন; কিন্তু অসম্ভব নয়। প্রিন্টিং শিল্পে / মিডিয়ায় যারা যুক্ত আছেন বা টাইপিস্ট যারা আছেন তারাই এর বড় প্রমাণ। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গেই তারা টাইপ করে থাকেন। ফোনেটিকের চাইতে আমরা নিজস্ব লে আউটে টাইপ করছি এটা শুনতেও ভালো লাগে আর নিজের কি বোর্ডে বাংলা অক্ষর দেখতে তো আরও ভাল লাগে! আর সবক্ষেত্রে ফোনেটিকে টাইপিং এর দাবি তারাই করছি যারা বিজয় লে আউটে স্বচ্ছন্দ বোধ করিনি/কঠিন লেগেছে । শুধু এ কারণে তো এত বছর ধরে চলে আসা একটা লেআউটকে আমরা বাতিল করে দিতে পারি না !( তাহলে তো QWERTY কি বোর্ড কেও বাতিল করে দেওয়া উচিত...আমাদের কয়জনেরই বা এই লেআউট মুখস্ত...আর যদি বা পারিও তাহলে আরেকটু চেষ্টা করলে নিজ ভাষারটা পারব না ? )

এটা অবশ্যই স্বীকার করব যে আমার মত লে আউট মুখস্ত না রাখা মানুষদের জন্য অভ্র এক প্রকার আশীর্বাদ যা আমার মত অনেককেই নেটে সহজে বাংলা ভাষা চর্চার সুযোগ এনে দিচ্ছে। তবুও বলতে চাই আমি এখনও বাংলা ভাষায় নিজস্ব লে আউটে টাইপ করার পক্ষে...কি বোর্ডে বাংলা অক্ষর দেখার পক্ষে । কিন্তু ভাষা নিয়ে ব্যবসা করার বিপক্ষে। আমি চাই নতুন প্রজন্ম যেন ফোনেটিকে নয় বরং নিজ ভাষার লে আউটেই টাইপ করতে শিখুক...

হিমু এর ছবি

সেক্ষেত্রে কপিরাইট এক্সপায়ার করেছে, এমন কোনো বৈজ্ঞানিক লেআউট বিকল্প হতে পারে। মুনীর অপটিমা এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য। মুনীর অপটিমা লেআউটটা কীবোর্ডে ছাপিয়ে বিক্রি করা যেতে পারে। আর অভ্র মুনীর অপটিমার জন্যে একটা প্যাচ রিলিজ করতে পারে। তখন আমরা বিনামূল্যে সফটওয়্যার পাবো, আর হার্ডওয়্যারেও [কীবোর্ডের কথা বলছি] সাপোর্ট থাকবে।

তবে অর্ক যেটা বললেন, সেটা ব্যক্তিগত ভালো লাগার ব্যাপার। আমার এক কীবোর্ডে ঘিঞ্জি করে দুই হরফ ব্যবস্থা ছাপা দেখতে চরম বিরক্ত লাগে। আর একটা সময় যাবার পর কীবোর্ডের দিকে আর তাকাতে হয় না, তাই না?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

দ্রোহী এর ছবি

এ দেখি আরেক জব্বার কাগু! জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে প্রথম ফোনেটিক নিয়ে গবেষণা করে শাব্দিক বানিয়েছেন বলে কি ফোনেটিক নিয়ে অন্য কেউ কাজ করতে পারবে না?

আজব অবস্থা! দেশ ভরে আছে জব্বারে!!!!!!!!!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি নিজে বাংলা লিখি শুধু অনলাইনে এবং সচল/আমারব্লগের এডিটরে। ফোনেটিকে লিখেই কাজ চলে যায়। বিজয়ের কিছু কনভার্ট করার দরকার পড়লে অরূপ আর মামুর কনভার্টার ব্যবহার করি। বাড়তি কিছু শেখার আগ্রহও নাই। বিজয়, অভ্র, শাব্দিক বিষয়ে বিস্তারিত জানি না। জিয়াউর রহমানের ফেসবুক নোটে অনেক কিছু জানলাম। আপনার পোস্টে উল্লিখিত বিষয়গুলোতে আপনার সাথে একমত।

উনি আরো দেখলাম আইট্রিপলই এর একটা পেপারকে গবেষণা হিসেবে বিশাল ক্রেডিটের মনে করছেন। আইসিসিআইটির এই কনফারেন্স ইটসেলফ ভুয়া। ওখানে সম্ভবত কোটা ভিত্তিতে পেপার অ্যাকসেপ্ট বা রিজেক্ট করা হয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছিলাম এক পোস্টে। সুতরাং অনেক অখাদ্যই আইট্রিপলইর সিল পেয়ে যায়।

সফটওয়্যারের বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউজারের সন্তুষ্টি। অভ্রতে যদি ইউজার সন্তুষ্ট থাকে, তাইলে সেটা আইনস্টাইনের আবিষ্কারের সমতুল্য হওয়ার কোনো দরকার নেই। রিসার্চ আর ডেভেলাপমেন্টের মধ্যেও পার্থক্য আছে। অ্যাজ লং অ্যাজ কারো রিসার্চ মেরে দিচ্ছে না বা কারো মাথায় অন্যায়ভাবে বাড়ি দিচ্ছে না, ততোক্ষণ পর্যন্ত তাদের ইউজারদের চাহিদা মেটাতে পারার জন্যই অভ্রকে মাথায় তুলে রাখা হবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

জিয়াউর রহমানের এক চ্যালার সাথে এইখানে তর্কাতর্কি করছি কিছুক্ষণ, দেখতে পারেন ... মেডিক্যালের এক পিচ্চি পোলার বানানো অভ্র কেন উনাদের বিশাল সব পণ্ডিতদের বানানো শাব্দিকের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেল সেই দুঃখে তার প্রলাপগুলি দেখেন ... প্লেইন ওল্ড জেলাসি ...

সবচে মজা লেগেছে তিনি অভ্রতে ইউনিবিজয় ঢোকানো নৈতিক দিক দিয়ে কত খারাপ হইসে সেটা নিয়ে বিশাল লেকচার দিচ্ছিলেন ... এমন সময় রাগিব ভাই এসে দেখালেন শাব্দিক সফটওয়ারের মধ্যেই ইউনিজয় লেআউট আছে, যা "হুবহু" বিজয়ের কপি ... ভন্ডামির একটা সীমা থাকা দরকার ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি নিউটন ভাইকে বেশকিছু কারণে পছন্দ করি। এই সাবজেক্টে যা বুঝলাম, উনার তর্কাতর্কি বন্ধুত্বের খাতিরে, বেশি পাত্তা দেয়ার কিছু নাই। তাছাড়া বুয়েটি আভিজাত্যের উর্ধে উঠে খোলা মাঠে তাকানোটা খুব সহজ কাজ না।

আর উদ্ভাবক ও প্রকৌশলীরা বাজারজাত করনের কসমেটিকস টেকনিক এ সাধারণত পিছিয়ে থাকে।

উনার এই মন্তব্যই বলে দেয় এখনো চোখ পুরোপুরি খোলে নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

তার বন্ধুত্ব তিনি যদি শাব্দিককে প্রমোট করায় সীমাবদ্ধ রাখতেন আমি অবশ্যই সেইটা এপ্রেশিয়েট করতাম ... কিন্তু উনি অভ্রের নামে যে অভিযোগগুলি করছেন সেগুলি মেজাজ খারাপ করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ... আর তার প্রোফাইল দেখে কিন্তু মনে হয় না যে উনি না বুঝে বলছেন, এসব বোঝার মত যথেষ্ট জ্ঞান তার থাকার কথা ...

তিনি ব্যক্তিগত জীবনে খুবই চমৎকার মানুষ হতে পারেন কিন্তু এই ইস্যুতে উনার আচরণটা পরশ্রীকাতর বাচ্চাদের চেয়ে ভালো কিছু হয়নি ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি ওই পোস্টের অধিকাংশ মন্তব্য এবং তার উত্তর পড়লাম। উনাদের মূল উদ্দেশ্য মনে হলো মার্কেটিং, বিজয়-অভ্র ক্যাচালের সুযোগ দিয়ে শাব্দিকের নামটা পাবলিকের কানে পৌঁছে দেয়া। তবে মার্কেটিংয়ের জন্য উনারা যে পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছেন, তা দুঃখজনক। অভ্রের মুন্ডুপাত করে ইনডিরেক্টলি কাগুর পক্ষে কথা বলে কুখ্যাতি অর্জন সম্ভব, সুখ্যাতি না। উনাদের এই প্রচেষ্টা হয়তো শাব্দিকের প্রতি একটা ঘৃণাও তৈরি করে ফেলবে। নিউটন ভাইয়ের ভূমিকা যা দেখলাম মোটামুটিভাবে প্রোপাগান্ডা মিনিস্টারের সাথে মিলে। সোজাসুজি উত্তর দেয়ার পরিবর্তে পিছলানোর প্রবণতাটা হাস্যকর।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

শামীম এর ছবি

নিউটনকে আমিও অপছন্দ করি না।

কিন্তু অভ্রর জনপ্রিয়তার ঘাড়ে চড়ে শাব্দিককে নতুনভাবে প্রমোট করার টেকনিকটা আমারও পছন্দ হয়নি।

ফেসবুকের আরেকটা থ্রেডেও এ বিষয়ে মজার আলোচনা চলছে।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

পুতুল [অতিথি] এর ছবি

১ শাব্দিকের নাম এই প্রথম শুনলাম।
২ হিমুর প্রস্তাবটা কেউ কাজে লাগালে ভাল হতো।
৩ ভাষা কারো আব্বাজানের সম্পত্তি না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের পত্রিকার জন্য যাঁরা শাব্দিকে লিখে লেখা দেন তাঁদের নিরুৎসাহিত করা হয়, কারণ শাব্দিকে লেখা ডকুমেন্টগুলো ওয়ার্ডে নিয়ে কাজ করতে গেলে ফরম্যাটিং-এর নানা সমস্যা হয়। আপনারা হয়ত জানেন, ইউনিকোডে এমন ক্যারেকটার আছে যা দিলে কার্সর উল্টোদিকে যায়, অর্থাৎ ডান অ্যারো টিপলে বাঁদিকে যায়। শাব্দিকের লেখায় এরকম সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। এবং স্পেস/ট্যাব এর সমস্যা ইত্যাদি।
অতএব শাব্দিক হয়ত ফোনেটিক লেখার পদ্ধতিতে বিরাট কিছু উদ্ভাবন করে ফেলেছে কিন্তু সম্পূর্ণ সফটওয়ার গঠনে এখনও বড় খামতি আছে। এ বিষয়ে অভ্রর তেমন কোনো সমস্যা আমরা দেখিনি।

এটা চাইলে জিয়াউর রহমানকে বলে আসতে পারেন, কারণ বেশিরভাগ লোকই যেহেতু শাব্দিক ব্যবহার করেননা তাই তার দোষত্রুটি গুলির সম্বন্ধেও অয়াকিবহাল নন।

কৌস্তুভ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।