অ্যাভ্রিল ল্যাভিন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৩/১১/২০১০ - ১০:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[এর আগের লেখা পড়ে নেয়া যেতে পারে।

এটিকে গল্প বলার ইচ্ছা নেই তা না, কিন্তু গত লেখার মন্তব্যের ভিত্তিতে গল্প লেখার ক্ষমতা আমার এখনো আছে বলে মনে হয় না। সেদিকে একটু পড়াশুনা করি, এদিকে এ কাহিনীধারা এগিয়ে যাক পাঠক/পাঠিকার অনুমতিক্রমে?

স্থান-কাল-পাত্র সংক্রান্ত বিস্তারিত ধীরে খোলাসা করার ইচ্ছা রাখি; এ পর্বে স্থান আর পাত্র বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত পাবেনও।

এ পর্বে চটকদার চানাচুর ছাড়া আর কিছু খুঁজতে গেলে হয়তো হতাশ হবেন, তবে 'গল্পগঠনে' সামনে উন্নয়নের চেষ্টা থাকবে, শ্রদ্ধেয় পাঠক/পাঠিকা।]
____________________________________________

ধরে নিন একটি পাবলিক বা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। ধরে নিন ক্লাসের বাইরে, ‌ক্যান্টিনে বা লাইব্রেরির দিকের কোন কমন এলাকা; একটু লম্বাটে, কিছুটা নিরিবিলি, বাঁক আছে হয়তো, বামে সবুজ।
____________________________________________

:"কিরে, ক্লাস কেমন গেল?" হাসি

-"কিরে মানে?"

:"কিরে মানে কিরে!"

-"তুমি কি আমাকে তুই ডাকতেসো?"

:"হ্যাঁ, তো? শেষ না কথা হইলো তুই ডাকবো?

-"কথা হইলো মানে কি? আমি রাজি হইসিলাম বলে তো মনে পড়ে না।"

:"রাগলি নাকি?"

-"আরে...[হাসি]।"

:"[হাসি]"

-"তোমরা পারো-ও!"

:"আমরা কারা?"

-"ইংলিশ মিডিয়ামের মেয়েরা।"

:"কেন, ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেরা এসব পারে না?"

-"কি জানি..."

:"তুমি এরকম ডিসক্রিমিনেট করো কেন?"

-"ডিসক্রিমিনেট করলাম কই?"

:"আরে আশ্চর্য! আমি ইংলিশ মিডিয়ামের মেয়ে শুনতে শুনতে কান তো গেল পচে!"

-"সেটা কি ভুল বলছি? তোমরা তো আরেকটা স্পিশিস। এই যে তুমি আমাকে হঠাৎ তুই ডাকা শুরু করলা। এটা আমার মনে হয় না কোন বাংলা মিডিয়ামের মেয়ে করতো।"

:"শিয়ার বিগট্রি! একেবারে কোন-ও বাংলা মিডিয়ামের মেয়ে করতো না? শিওর তুই?"

-"করতো হয়তো। খুব কমই, এতটুকু শিওর।"

:"ওরে বাবারে! আর আমি যে সেই খুব কমের অংশ না ইংলিশ মিডিয়ামের মধ্যে, সেটা তুই কেমনে জানলি?"

-"কাইন্ডলি তুই বলাটা একটু বন্ধ করবা? নাহলে কথাবার্তা বলাটা অস্বস্তিকর হয়ে যাইতেসে।"

:"তুমি তো রোমান্টিক টার্ম। আমি তো রোমান্স চাই না রে!"

-"আরে... আশ্চর্য!"

:"এরকম লাল-টাল হয়ে যাইতেশিস কেন? রোমান্স তো তোর এজেন্ডার মধ্যে নাই, তাই না?"

-"আরে আশ্চর্য!!"

:"মুখ দিয়ে কি খালি এখন 'আরে আশ্চর্যই' বের হবে?"

-"ধু-উ-র ছাতা!"

:"এটাও তো মনে হয় আরেকটা 'ফ্রিকোয়েন্টলি ইউজড ওয়ার্ড' - 'ধুর'। ছাতাটা নতুন যদিও।"

-"তুমি কি করতেসো আমাকে নিয়ে? খেলা?"

:"ওরে বাবারে! আমি এত... কি জানি বলে বাংলায়... ক্ষমতাশালী? তোমার মত একটা গ্রোন-আপ ছেলের সাথে খেলা করবো?"

-"আচ্ছা, পারমিতা, প্লিজ, জিনিসটা ভাল লাগতেসে না। তুমি একটা মেয়ে, আমি একটা ছেলে, সুতরাং আমি মেনে নিচ্ছি যে..."

:"ইউ আর এ গার্ল, আই অ্যাম আ বয়, ক্যান'ট মেক ইট এনি মোর অবভিয়াস!" অ্যাভ্রিল ল্যাভিন শুনছিস নাকি?


মন্তব্য

সিরাত এর ছবি

উপরে টীকা আর নোটের ঠেলায় শুরু করতে গিয়ে একটু ধাক্কা খাইলাম। তবে কাহিনীটা খারাপ না, বেশ মজা পাইলাম। শেষ লাইনটা বিশেষত। হাসি

চার দিলাম। হাসি চালায় যান!

কাজী মামুন [অতিথি] এর ছবি

মডু ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি-
প্রথম পাতায় একাধিক পোস্টের ব্যাপারে নীতিমালা ছিল না কিছু একটা?

সিরাত এর ছবি

সেদিন অবশ্য দেখলাম অমিত্রাক্ষরেরও দুইটা লেখা প্রথম পাতায় ছিল।

অতিথি লেখকদের লেখা তো নিয়ন্ত্রণ করেন মডু, সুতরাং সেটা মনে হয় এক্সেম্পট।

যাহোক, বৈচিত্র্যের জন্য মনে হয় আনা যেতেই পারে।

অতিথি লেখক এর ছবি

বলেন কি? বেশী লেখার বিরুদ্ধে আবার আইন আছে নাকি?? মন খারাপ

অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম

সিরাত এর ছবি

প্রথম পাতায় একই লেখকের দুইটা লেখা দেয়া যায় না, বিশেষ কারণ ছাড়া।

মূলত পাঠক এর ছবি

গায়িকার নামটা তো শুনি "আভ্রে লাভিন" বলে, ফার্স্ট নেমের শেষের এল'টা বোধ'য় সাইলেন্ট।

আর লেখকের নামটা দিলে ভালো হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

মডুদের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য আপত্তিকর অভিযোগ করলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুবান্ধবীদের নিজেদের মধ্যেকার আজাইরা 'খুনসুটি'র ফর্দ কেন প্রথম পাতায় ছাপানোর যোগ্যতা পেল, মডারেটরদের কাছে জানতে চাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একটু কষ্ট করে এই লেখা দুটো পড়ুন: http://www.sachalayatan.com/durdanto/10881, http://www.sachalayatan.com/durdanto/14890 । মডুরা বেশী কড়া কড়ি করলে হয়ত এই দুটো লেখাও প্রকাশিত হতো না। তখন ব্লগার দুর্দান্তকে কি আমরা পেতাম?

খোলা ময়দানে মডারেটদের জবাবদিহী তলব করে পাঠক এবং এই পোস্টের লেখককে বিব্রত না করে অনুগ্রহ করে contact এ ইমেইল করলেই তো পারেন!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দুর্দান্ত এর ছবি

আমার পুরাতন অখাদ্য পোস্ট দুইটাতে লোকসমাগম বাড়ানোর জন্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য করতে ভুলবেননা।

খোলা ময়দানে মডারেটদের জবাবদিহী তলব করে পাঠক এবং এই পোস্টের লেখককে বিব্রত

জবাবদিহিতা বিব্রতকর হয় তখনই যখন কার্যসম্পাদনে ফাঁক বা সন্দেহ থাকে। আশা করি যে বিব্রত হবার কথা আপনি বলছেন, সেটা মডারেশনের ফাঁক বা সন্দেহ থেকে আসছেনা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

প্রথমতঃ মডারেটরের বিব্রত হবার কথা বলিনি। এ যেন পাড়ার নতুন অতিথীতে পাড়ার মাস্তান বড় ভাইয়ের ঝাড়ি!

দ্বিতীয়তঃ, মডারেটরের কাছে কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে মডারেটরের কাছেই জানতে চাইতে পারেন। যেখানে সেখানে জবাবদিহী চেয়ে বসলে চলবে?

তৃতীয়তঃ মডারেশনের কোন ফাঁক বা সন্দেহ আমার চোখে পড়ছে না। এটা প্রকাশের কারণ একজন সাধারণ পাঠক হিসেবেই আমার বোধগম্য। কিন্তু আপনার সেটা নয় সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দুর্দান্ত এর ছবি

এ যেন পাড়ার নতুন অতিথীতে পাড়ার মাস্তান বড় ভাইয়ের ঝাড়ি!

আপনার এই মন্তব্য যদি আমার উদ্দ্যেশ্যে করা হয়ে থাকে তাহলে এতে আমি আক্রান্ত বোধ করেছি, এবং আপনাকে এই কথাটি ফিরিয়ে নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

(মডারেটরের কাছে কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে মডারেটরের কাছেই জানতে চাইতে পারেন। আপনার একথার প্রেক্ষিতে ধরে নিচ্ছি আপনি এই লেখার মডারেশানের সাথে যুক্ত নন, বা এই লেখার মডারেটর কোনভাবে আপনার মুখাপেক্ষী নয়, তাই আলাদা করে যথাযোগ্য মডারেটরের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য আপত্তি জানালাম।)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আশা করি যে বিব্রত হবার কথা আপনি বলছেন, সেটা মডারেশনের ফাঁক বা সন্দেহ থেকে আসছেনা।

এই কথাটা আমাকে বলে যদি আমাকে মডারেশন ঠাউরে নেন সেজন্যে আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। যতদূর মনে পড়ে হিমুকে s-s নামের একজন মডারেটর ঠাউরে গালাগালি করেছিলেন বলে s-s কে শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। একই পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বিরূদ্ধে contact বরাবর ইমেইল করে অভিযোগ জানাচ্ছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দুর্দান্ত এর ছবি

এই কথাটা আমাকে বলে যদি আমাকে মডারেশন ঠাউরে নেন সেজন্যে আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

ক্ষমা করবেন। একথা আপনাকে বলা হয়নি।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বিব্রত হবার প্রসঙ্গে আমাকে করা মন্তব্য:

আশা করি যে বিব্রত হবার কথা আপনি বলছেন, সেটা মডারেশনের ফাঁক বা সন্দেহ থেকে আসছেনা।

আমাকে বলা হয়নি তো কাকে বলা হয়েছে?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

দুর্দান্ত এর ছবি

ক্ষমা করবেন। আগের মন্তব্যে আমার সম্পূর্ণ মত প্রকাশ পায়নি। আপনাকে মডারেটর ভেবে আমি কথাটা বলিনি। মডারেশানের সম্ভাব্য ফাঁক/সন্দেহে আপনার সম্ভাব্য বিব্রতবোধ আমার বক্তব্যের বিষয় ছিল। ইতিমধ্যে আপনি তার উত্তর দিয়ে পরিস্কার করেছেন, এবং আমি নিশ্চিত করছি যে আপনি যে এই পোস্ট এর মডারেশানের সাথে যুক্ত নন, সেটা আমি বুঝেছি।

ওপরে আপনার একটি কথায় আমি আক্রান্ত বোধ করেছি, সেটা কি আপনি দেখেছেন? সেটা কি মডারেটরেরা (আপনি নন) দেখেছে?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এ যেন পাড়ার নতুন অতিথীতে পাড়ার মাস্তান বড় ভাইয়ের ঝাড়ি!

যেমনটা আপনি আমাকে মডারেটর বলেননি তেমনিভাবে এটাও আপনাকে বলা হয়নি। এটা আপনার মন্তব্যের ধরণের সাথে তুলনামূলক একটা অভিব্যক্তি ছিল। আপনাকে মস্তান বলা হয়নি। আপনার আক্রান্ত বোধ করার কোন কারণ নেই।

মডারেটররা কি দেখেছে না দেখেছে সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন কেন?

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

সিরাত এর ছবি

এইটা কোন দুর্দান্ত ভাই? হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হমম। আমারো মেলোড্রামাটিক লাগলো ভীষন। দুর্দান্ত ভাই এর অভি্যোগ ফালাইতে পারতাসিনা ।

-মেফিস্টো

রেজওয়ান এর ছবি

দুর্দান্ত লিখেছেন:
বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুবান্ধবীদের নিজেদের মধ্যেকার আজাইরা 'খুনসুটি'র ফর্দ কেন প্রথম পাতায় ছাপানোর যোগ্যতা পেল, মডারেটরদের কাছে জানতে চাই।

হা হা .. মজা পেলাম মন্তব্যে। শিল্পের বিচারে উপাদান বা কলাকুশলীর যোগ্যতা মূখ্য বিবেচ্য নয় - শিল্পোত্তীর্ণ হলো কি না সেটাই প্রশ্ন। প্রথম পাতায় ছাপানোর যোগ্যতা নিয়ে নতুন নতুন হাদিস আসছে না কি?

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এইটাতো দেখি আগেরটার চেয়েও ছোট, নীলক্ষেত যান, ফুল প্লেট তেহারী খাইয়া লন কাচামরিচ আর পিঁয়াজ দিয়ে, তারপর ফটাফট স্বাস্থ্যবান একটা লেখা দিনতো। বাংরেজি কমেছে চলুক

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রতিচ্ছবি [অতিথি] এর ছবি

দুর্দান্ত এর প্রথম মন্তব্য এর সাথে সহমত, এভাবে চলতে থাকলে হয়ত সচলায়তন আর ফেসবুক এর মধ্যে পার্থক্য থাকবে না, অন্তত কোন কোন পোস্টে।

দ্রোহী এর ছবি

আবারো বলে যাই। আপনার গল্পের বুনোট ভাল কিন্তু গাঁথুনি ভাল না।

আপনি দৃশ্যকল্প বেশ ভাল সাজাতে পারেন। কিন্তু গল্পের জন্য প্রয়োজন একটা সুদৃঢ় প্লট। আপনার গত দুটো গল্পের প্লট হচ্ছে - একটা ছেলে আর একটা মেয়ের কথোপকথন। গতিহীন প্লট, কথোপকথন থেকেও কাহিনি আন্দাজ করার কোন সুযোগ নেই। সুতারাং, আপনার গল্পটিকে একটা গল্পের/নাটকের একটা দৃশ্যের একটা অঙ্ক হিসাবে চালানো যেতে পারে কিন্তু পূর্ণ গল্প হিসাবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

অণুগল্পের প্লটের ব্যপ্তি সুবিশাল হতে পারে। শুভাশীষ দাশের লেখা গল্পগুলো দেখে নিতে পারেন। একটা গল্প পড়ে পাঠক যখন গল্পটা কল্পনার ক্যানভাসে পুরোপুরি আঁকতে পারবেন তখনই লেখক উৎরে যাবেন।

আশা করছি ভবিষ্যতে এ দিকটাতে খেয়াল রাখবেন। একটা গল্প লেখার আগে কাঠামো দাঁড় করিয়ে নিয়ে তারপর তাতে রং, শব্দ, গন্ধ যোগ করবেন।


কাকস্য পরিবেদনা

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক কিভাবে কার্যকর মন্তব্য করতে হয়, তার পাঠ নিচ্ছি আপনার কাছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।