ফাইটোরিমিডিয়েশন পর্ব ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০২/২০১১ - ২:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরিফিন সন্ধি

মাস খানেক আগে হিমু ভাই কে একরকম কথা দিয়েছিলাম ফাইটোরিমিডিয়েশন নিয়ে কিছু একটা লিখবো। সচলে কয়েক জন নিশ্চয়ই ছাই নিয়ে বসে আছে, আমার সেই কথা অনুযায়ী প্রথম কিস্তি আজকে লিখছি, মেনে নিচ্ছি, লেখার আকার ছোট, তবে বড় হবে আগামিতে, চিন্তিত

ফাইটোরিমিডিয়েশন এর ব্যবহার কিন্তু খুব বেশি দিন আগে থেকে শুরু হয়নি। বলা যায়,গত শতাব্দীর চেরনোবিলে ভয়াবহ পারমানবিক চুল্লি বিস্ফোরণ এর পরে সেখানের কিছু আগাছাতে বেশ কিছু ক্ষতিকর ধাতবের দেখা মেলে। বলা যায়, ফাইটোরিমিডিয়েশন এর গোড়াপত্তন চেরনোবিলে, সাল টা ছিল ১৯৮৬ ! কারো কারো মনে থাকবে হয়ত সেসময় বাংলাদেশ ডানো ব্রান্ডের দুধ বিক্রি কমে গ্যেছিল অনেক। আমার যতদুর মনে পরে গুজব তা ছিল এরকম, চেরনোবিলে এর ছাই উড়ে গিয়ে পরছে ডেনমার্কের মাঠে। গরু খেয়ে সেই বিষ আসছে গুড়োদুধে। কাজেই ডানো বন্ধ!!

তবে ফাইটোরিমিডিয়েশন নিয়ে তার আগে থেকে কিছু কাজ হয়েছে বলে মাঝে মাঝে তথসুত্র পাই, যেমন একটা দেখলাম ফাইটোরিমিডিয়েশন এর মহাগুরু ডেভিড ই সল্ট, যার নামে পেপার cite হয়েছে নয়শ বেশি! তার প্রথম দিককার এক পেপার এ পেয়েছিলাম ১৯৬২ সালের দিকে এক কনফারেন্স পেপারে রাশান বিজ্ঞানী বলেছেন জলজ গাছ দিয়ে ফাইটোরিমিডিয়েশন করা সম্ভব

শিবের গীত গাওয়ার থেকে এবার আসল কথা লিখতে বসি।আক্ষরিক অর্থে ফাইটোরিমিডিয়েশন বলতে বোঝায় গাছ দিয়ে নিরাময় করা। যদিও এই নিরাময় রোগ বালাই দূর করার কোন কাজে ব্যবহার করা হয় না, তারপরও আরকি সবাই এই নামে ডাকে তারে। সল্ট সাহেবের সংগা সবাই কাটপিস হিসাবে চালিয়ে দেয়, আমিও দেই। এই খানে আর সংগা আর দিলাম না।

যাই হোক এই ধাতু মাটিতে আসার অনেক কারন আছে, তবে সব কারণ গুলোকে আমার আগেই বিজ্ঞানীরা দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছেন। বড়ই পরিতাপের বিষয়, আমার আবিস্কার এর কিছু বাকি রইলো না। anthropogenic এবং geogenic হলো সেই দুই বিষয়, যা দিয়ে এই ধাতুদূষণ হছে বলে মনে করা হয়। geogenic কারণগুলো সচলে অনেক ভূমি বিজ্ঞানী আছেন তারা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন, আর মানুষ মানে আম্রা ফসিল জালানি থেকে শুরু করে খনি দিয়ে দুনিয়ার পেটে যা কিছু আছে সব বের করছি, তার সাথে গাড়ী, কারখানা ধোয়া, খনিজ উপজাত, কীটনাশক,আগাছানাশক তো আছেই।এখন কথা হল গিয়ে এই যে এত কর্মবীর আমরা। তাই ধাতু আর মাটির নিচে থাকতে চায় না। আমদের জন্য তারও পরাণ পোড়ে!! আমাদের এই সব বিচ্ছিরি কাজের ফলে মাটির নিচে যে ধাতু ছিলো সেইগুলো যেমন উপরে উঠছে, তেমনি উপরে যেগুলো ছিল সেইগুলো আমদের মায়ার বাধন কাটাতে পারেনা।

একটা example দেই, ১৯৭১ সালের যুদ্ধ এর পর পর বাংলাদেশ এ পানি এর সমস্যা সমাধান করার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাংক অনুদান হিসাবে আমদের প্রচুর tube well দেয়। আম্রাও দেরি না করে পুরা দেশে দিলাম সেই পানি। এতে হলো গিয়া মাটির নিচে যে আর্সেনিক সুপ্ত অবস্থায় ছিলো সেইটাকে দিলাম জাগিয়ে।এখন বিভিন্ন জায়গাতে সভা সেমিনারে দেখি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমদের উপকার করতে যেয়ে শেষে জরিমানার খপ্পরে পরতে যাচ্ছে!! কারন তারা আমদের আর্সেনিক পানি খাওয়ানোর পালের গোদা !! দেঁতো হাসি

সেই যাই হোক, মাটিতে যে ধাতুগুলো থাকে সেইগুলো কি করে? চিন্তিত এই বার আসি গাছের কথা, প্রকৃতিতে গাছ আছে বলে আমরা এতো বদমাইশি করার পর টিকে আছি চোখ টিপি , আমাদের আলাভোলা গাছের আবার কোন কোন ধাতুর দরকার হয় তাদের বেড়ে ওঠার জন্য বেশি, আবার কোনগুলো কম। প্রয়োজনের ভিত্তিতে এই ধরনের ধাতুগুলো আবার প্রাথমিক দরকারি, সেকেন্ডারি দরকারি আর অদরকারি বিভাগে ভাগ করা হয়েছে , গাছের একটা বেদনার কথা বলি, এরা যখন শিকড় দিয়ে পুষ্টি উপাদান সংগ্রহ করে তখন অদরকারী উপাদানগুলো বেছে বাদ দিতে পারে না , কারণ তাদের সেই system টা নেই।ফাইটোরিমিডিয়েশন এর টেকনিক টা মূলত এ টার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, কথাই আছে কার পৌষ মাস, আর কার সর্বনাশ!!

আগামি সংখ্যায় ফাইটোরিমিডিয়েশন এর প্রকারভেদ থাকছে

PS: বুঝতে পারছি না ,ফুটনোটগুলো এখানে ঠিকমত আসলো না কেন?চিন্তিত

আরিফিন সন্ধি
Email:

http://www.rpi.edu/dept/chem-eng/Biotech-Environ/MISC/webpage1.html
http://www.nature.com/nbt/journal/v13/n5/abs/nbt0595-468.html
http://www.cartage.org.lb/en/themes/Sciences/BotanicalSciences/PlantHormones/EssentialPlant/EssentialPlant.htm
Clemens, S., Palmgren, M. G., & Krämer, U. (2002). A long way ahead:understanding and enginnering plant metal accumulation. Trends in Plant Science, 7 (7), 309-315


মন্তব্য

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

সন্ধি ভাই,
তাত্তাড়ি করেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

এইতো ভাই আসতেছি

আরিফিন সন্ধি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাসা ভাসা ভাবে ভালই লিখেছেন। পরের কিস্তির অপেক্ষায় থাকলাম। বানান নিয়ে কিছু বলছি না কারন আমি নিজে অনেক ভুল করি, ওটা নিয়ে মন্তব্য করা আমার সাজে না। আপনার রচনাশৈলী ভাল লেগেছে।
-রু

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, বানানগুলো ঠিক করা যেত, কিন্তু আমি নিজেই আজ লেখাটা অনলাইনে দেওয়ার জন্য সদা সচেষ্ট

আরিফিন সন্ধি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই ইউরোনিয়ামের একটা পরিত্যক্ত খনি আছে। সেটাকে কেন্দ্র বেশ জোরেসোরে ফাইটোরেমিডিয়েশনের উপর গবেষণা হচ্ছে। ক'দিন আগে একটা সেমিনারে দেখলাম মাউকোরাইজা বায়োরেমিডিয়েশনের গতি দুর্দান্ত বাড়িয়ে দেয়।

একটা ব্যপার জানার ছিল দীর্ঘদিন থেকে, ফাইটোরেমিডিয়েশনে কি আসলেও রেমিডিয়েশন হয়? রেমিডিয়েশনের বদলে কি এটা বায়োএকিউমুলেশন হয়ে যায়না? (দুঃখিত অনেকগুলো ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করলাম)

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

হিমু এর ছবি

ফাইটোরেমিডিয়েশনের বাংলা করা যেতে পারে উদ্ভিজ্জনিরাময়, আর বায়োঅ্যাক্যুমুলেশনের বাংলা হতে পারে জৈবসঞ্চিতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

ওরে বাপরে, এরকম বাংলা করলে আমি নিজেই বুঝতে পারব না কি লিক্তেছি। এম্নেইতে আমার আবার গোল্ডফিশ মাত্রার মেমোরি দেঁতো হাসি
আরিফিন সন্ধি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

জৈবসঞ্চিতি পছন্দ হইছে। কিন্তু রেমিডিয়েশনকে নিরাময় বললে লোকে আয়ুর্বেদিক কিছু ভাবে কিনা! নিষ্কাশন শব্দটা বেশী মানানসই মনে হচ্ছে আমার কাছে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

মাঝখান থেকে ফোঁড়ন কাটার জন্য দুঃখিত। কিন্তু ফাইটোরেমিডিয়েশনের মধ্যে প্রকৃতিকে সারিয়ে তোলার যে চেষ্টা আছে, 'নিষ্কাশন' শব্দটায় সেটা ধরা পরে না। 'নিরাময়' (আসলেই আয়ুর্বেদিক শোনাচ্ছে) বা 'সঞ্জীবনী' (উদ্ভিজ্জসঞ্জীবায়ন) ধরনের কিছু হলে ভাল হয়। -রু

অতিথি লেখক এর ছবি

গোটা ইউরোপ জুড়ে ফাইটোরেমিডিয়েশনের উপরে কাজ হচ্ছে। আমার গ্রুপ টা সেরকম একটা। মাউকোরাইজা দিয়ে মলিকুলার লেভেলে কাজ হচ্ছে বেশ।

ফাইটোরেমিডিয়েশনে কি আসলেও রেমিডিয়েশন হয়? রেমিডিয়েশনের বদলে কি এটা বায়োএকিউমুলেশন হয়ে যায়না?

রেমিডিয়েশন হচ্ছে, কিন্তু একটা ব্যাপার কি জানেন, ফাইটোরেমিডিয়েশনের প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে অনেক সময় লাগে, কিন্তু আর কোন demerits নেই,রেমিডিয়েশন এর সফলতা নির্ভর করে গাছ বাছাইসহ, আরো অনেক বিষয়ের উপর।
ফাইটোরেমিডিয়েশনে যে গাছগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে বলা থাকে কখন খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এটা ফাইটোরেমিডিয়েশনের নীতিমালার ভিতরে আছে। সেজন্য গাছগুলোকে জালানি হিসেবে
অথবা অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে। এই বিষয়গুলো আসবে পরের পর্বগুলোতে।

বায়োএকিউমুলেশন কিন্তু সব গাছে হচ্ছে কিন্তু মাত্রার (Toxicity) রকমফের আছে। যেমন, গাছের বেড়ে ওঠার জন্য কপার দরকার, কাজেই মাটিতে কপারের যে মাত্রা গাছ সহ্য করতে পারে, সেই পরিমাণের চেয়ে ১০ ভাগ কম ক্যাডমিয়াম দিলেও গাছ পটল তুলবে ওঁয়া ওঁয়া

আরিফিন সন্ধি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কিন্তু পশুপাখি, পোকামাকড় কি আর নীতিমালা মেনে গাছ খাবে? চক্রের মধ্যে ঢুকতে হলে তো কেবল গাছে ঢুকলেই চলে, তাইনা?

অট. ইউরোপে কোথায় আছেন?

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

গাছের কোন part ধাতুগুলো জমা হবে , সেটা অনেক variation. । তবে পশুপাখি, পোকামাকড়ের উপর প্রভাব যে পরে না, সে কথা উড়িয়ে দিচ্ছি না, আমার কাজ গাছ পর্যন্ত রে ভাই!!

ফাইটোরেমিডিয়েশনে যেই গাছগুলো ব্যবহার করা হয় সেই গুলো হচ্ছে খুব ছোট আকারের, Fern এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, আর পপলার, উইলো ব্যবহার করা হচ্ছে বেশ। আমি নিজেও উইলো নিয়ে কাজ করি।

আমি সুইডেনে আছি।

আরিফিন সন্ধি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার জবাব টা নিচে চলে গেছে ৯ কমেন্টে মন খারাপ

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

অনেক কিছু জানলাম ।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ

আরিফিন সন্ধি

সচল জাহিদ এর ছবি

গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখছেন তাই আরো গোছানো লেখা আশা করছি। অপ্রাসংগিক বিষয় মূল লেখায় না দিয়ে পাদটীকা বা প্রারম্ভিকা হিসেবে দিতে পারেন। এই জাতীয় বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে ইমোকনের ব্যবহার লেখার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে বলে আমার অভিমত। তথ্যসুত্র যেহেতু দিচ্ছেন তাই যে তথ্যগুলো ঐ সুত্র থেকে সংগ্রহ করেছেন সেই তথ্যের শেষে [ বন্ধনির মধ্যে] নাম্বার আকারে দিলে পাঠকের জন্য সুবিধে হয়।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, আমি তথ্যসূত্র ফুটনোট হিসবে লিখেছিলাম কিন্তু যখন MS Word থেকে কপি করলাম সব গায়েব।আর লেখার style আমি খুব সিরিয়াস বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের আকারে লিখছি না। তবে বুঝতে পারছি না , কোন স্টাইলটা ফলো করবো ? কেউ বলছে ভালো লেগেছে !!

আরিফিন সন্ধি

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আগ্রহ জাগতে না জাগতেই লেখা শেষে। কইস্যা মাইনাচ। পরের পর্ব জলদি ছাড়েন মিয়া।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, আমি সচল না, একদিনে দুই লেখা ছাপালে আমাকে Banned করবে!! মন খারাপ
পরের পর্ব আসিতেছে একযোগে সারাদেশে !!! হাসি

আরিফিন সন্ধি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হুঁ! মুর্শেদ ভাই যখন অতিথি লেখক ছিলেন সেই সময়ের একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

আগ্রহোদ্দীপক শুরু, অপেক্ষায় রইলাম।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অতিথি লেখক এর ছবি

মাটির নিচে যে আর্সেনিক সুপ্ত অবস্থায় ছিলো সেইটাকে দিলাম জাগিয়ে

উপরের লাইনটা বুঝি নাই, আপনার কাছ থেকে এই বিষয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা আশা করছি। দয়া করে একটু বুঝিয়ে দেবেন কি মাটির নিছে আর্সেনিক সুপ্তাবস্থায় কিরুপে ছিল, আর আমরা টিউবওয়েল গেড়ে সেইটাকে কি ভাবে জাগিয়ে দিলাম?
পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

মাহফুজ খান

অতিথি লেখক এর ছবি

দেরি করে উত্তর দেওয়ার জন্য লজ্জিত, কারণ বিভাগে আমার গণক যন্ত্র খানা আপেল, তাই বাংলা লিখতে পারিনি। খুব ছোট করে লিখছি,
গাঙ্গেয় বদীপে আর্সেনিকযুক্ত পানি সাধারনত alluvial aquifer সঞ্চিত থাকে(1)। কিন্তু পানিতে কিভাবে এই বিষের আবির্ভাব সেটার সারমর্ম হলো, আর্সেনিকযুক্ত আয়রন পাইরাইটস মূলত এই উপমহাদেশের আর্সেনিকের উৎস, আয়রন পাইরাইটস পানিতে দ্রবীভূত হয়না। কিন্তু তাহলে আর্সেনিক পানিতে আসছে কিভাবে? কিন্তু শুধু বাতাস কিংবা বাতাসসমৃদ্ধ পানিতে এটি বিক্রিয়া করতে পারে। ভূগর্ভস্থ থেকে আমরা টিউবওয়েল দিয়ে পানি তোলার কারনে সেখানে ফাকা জায়গাতে শুধু বাতাস থেকে যাছে, যার কারনে সেখানে বিক্রিয়াটা হচ্ছে এরকম,
আয়রন পাইরাইটস> ফেরাস সালফাইড> ফেরিক সালফাইড> সালফিউরিক এসিড এবং সবশেষে পানিতে আর্সেনিক মুক্তি
এই পুরো বিক্রিয়াটি আপনি আরো বিস্তারিতভাবে পাবেন (2)। এবার আসি টিউবওয়েল সমস্যা কি ছিল! এই বিষয় নিয়ে এই সিরিজের পর আরেকটি লিখবো, সেটা শুধু আর্সেনিক নিয়ে, সেখানে বড় করে আলোচনা করবো, তবে আপনি এইখানে এই [url=http://unesdoc.unesco.org/Ulis/cgi-bin/ulis.pl?catno=121516&set=4C667974...\Web-Root\Ulis\cgi-bin\ulis.pl%20line%204225.&gp=1&lin=1&ll=1]প্রবন্ধ[/url]টা পড়ে আসতে পারেন যেটা UNESCO প্রকাশ করেছিল ২০০১ সালে।

1. Nickson et al. Nature 395,48-59 (1998)
2. Das et al. Environmental Geochemistry and Health 18, 5-15 (1996).

আরিফিন সন্ধি

স্পর্শ এর ছবি

আগ্রহোদ্দীপক বিষয়। পরের পর্বগুলো আরেকটু বড় আকারে চাই।
সচলায়তনে স্বাগতম হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাবছিলাম কিছু বুঝবো না, কিন্তু আপনি বেশ সহজ করে লিখেছেন, কিছুটা বুঝতে পারছি। কিন্তু লেখা আরেকটু বড় করেন....
সচলে স্বাগতম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

হবে ভাই হবে , আমি অভ্রতে এখনও হাত পাকিয়ে উঠতে পারিনি, তবে চিন্তা করবেন এইবার আমি লিখতে বসছি চিন্তিত

আরিফিন সন্ধি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নিচে যা লিখছি তার পুরোটাই আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এর সাথে কারো মতের মিল না-ই হতে পারে। যেহেতু উপরে করা পাঠকদের মন্তব্যে ভিন্নরূপ দেখা যাচ্ছে তাই লেখক এই মন্তব্যটিকে উপেক্ষাও করতে পারেন।

১. আমি মূলতঃ বিজ্ঞানের ছাত্র, স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত আমার লেখাপড়ার বিষয় আমার এই দাবীকে সমর্থন করে। এই লেখাটি যে ধরনের বিষয়ের উপর লেখা সে ধরনের বিষয়ের উপর আমার পড়া-শোনা শূন্যের কোঠায় তবে শূন্য নয়। তারপরও আমি লেখাটি কিছু বুঝতে পারিনি। অন্ততঃ লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন তা বুঝিনি।

২. অ্যাকাডেমিক লেখার উদ্দিষ্ট পাঠক যদি শিক্ষকমণ্ডলী হন, তাহলে এই লেখা ঠিক আছে। কারণ, তারা বিষয়টি লেখকের চেয়ে ভালো জানেন। আর উদ্দিষ্ট পাঠক যদি এমন শ্রেণীর হন যারা মূলতঃ বিষয়টি জানেন না, তাহলে বলতে হয় লেখাটি ঠিক নেই।

৩. বাংলা ভাষায় আগে প্রায় লেখা হয়নি বিজ্ঞানের এমন বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে বিষয়টি আসলে কী, তার সংজ্ঞায়ন কীভাবে করা হবে, কোন কোন বিষয়গুলো এর সাথে সম্পর্কিত, এই পাঠের উদ্দেশ্য কী এগুলো শুরুতেই পরিষ্কার হওয়া দরকার। যদি বলেন পরের পর্বগুলোতে এগুলো থাকবে, তাহলে বলবো প্রথম পর্বে দুর্বোধ্যতা থাকলে পরের পর্বের ব্যাপারে পাঠক আগ্রহী নাও হতে পারেন।

৪. সচলে যারা বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লেখেন তাদের মধ্যে উদাহরণ হিসাবে অনার্য সঙ্গীতের নাম উল্লেখ করতে চাই। অণুজীববিজ্ঞানের মতো জটিল ও সাধারণের বোধের অগম্য একটা বিষয় তিনি যেভাবে সাধারণের কাছে বোধগম্য ও আকর্ষনীয় করে উপস্থাপন করেন তা এক কথায় চমৎকার। আমি আপনাকে অনার্য সঙ্গীতকে অনুসরণ করতে বলছিনা, তবে লেখার সময় তার মতো টার্গেট পাঠক গ্রুপের কথাটা মাথায় রাখতে অনুরোধ করছি।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

মূলতঃ বিজ্ঞানের ছাত্র, স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত আমার লেখাপড়ার বিষয় আমার এই দাবীকে সমর্থন করে। আমি লেখাটি কিছু বুঝতে পারিনি। অন্ততঃ লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন তা বুঝিনি।

বিভিন্ন সেমিনারে আমি অনেক বাঘা অধ্যাপকদের দেখেছি এই বিষয় তাদের কাছে পরিচিত নয়, কাজেই আমরা নিজেরাও আশা করি না সবাই এটা বুঝবে। আপনি ভৌত বিজ্ঞান এর ছাত্র হলে তো কথাই নেই, জীববিজ্ঞান আপনার কাছে অনেক বিরস মনে হবে।তবে সত্য কথা বলার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এই লেখাটি যে ধরনের বিষয়ের উপর লেখা সে ধরনের বিষয়ের উপর আমার পড়া-শোনা শূন্যের কোঠায় তবে শূন্য নয়।

তাহলে তো কিছুটা বোঝার কথা!! Phytoremediation কথাটা সচরারচর ব্যবহার হয়না, কিন্তু একেবারে যে নেই, সেটি বলা যাবে না।

আরিফিন সন্ধি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার আফসোস আপনি আমার কথা কিছুই বুঝতে পারেননি। আমার নিজের ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বলেছিলাম এটা বোঝাতে যে আমি বিজ্ঞান বিষয়ে একেবারে কানা নই। বিজ্ঞানের যে কোন বিষয় তা যত উচ্চ পর্যায়ের হোক সেটা ব্যাখ্যা করতে বিজ্ঞানের মৌলিক শাখাগুলোর উপর নির্ভর করতেই হবে। কারণ, ঐ উচ্চতর শাখাটি আকাশ থেকে পড়েনি। আর মৌলিক বিজ্ঞানে (জীববিজ্ঞানসহ) আমার জ্ঞান শূন্য নয়। তারপরও লেখাটা বুঝতে পারলামনা কেন? সেটা আগে একবার বলেছি। Phytoremediation অনেকের কাছে অপরিচিত হতেই পারে, তার মানে এই না যে বিষয়টা তাদের বোধের অগম্য এবং বিরস। এটা নির্ভর করে বক্তা বা লেখক বিষয়টি কীভাবে উপস্থাপন করছেন সেটার উপর। আমাদের অতি পরিচিত বিষয়ও এমন ভাবে বলা/লেখা সম্ভব যে সেটা সবার কাছে দুর্বোধ্য-জটিল ঠেকবে। বিশেষতঃ উপস্থাপনটা যদি অগোছালো হয়।

যাকগে, এই বিষয়ে আর কথা না বলি। আমার মন্তব্যের নিচে কৌস্তভ অধিকারীর একটা চমৎকার মন্তব্য আছে যেখানে তিনি পয়েন্ট ধরে ধরে সমস্যাগুলোর কথা বলেছেন। সেই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়াতে আপনি যা বলেছেন তাতে আমি বুঝতে পেরেছি আমার পক্ষে আপনাকে বোঝানো সম্ভব না আমি আসলে কী বলেছিলাম। ক্ষমা করবেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

কৌস্তুভ এর ছবি

এই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য সাধুবাদ। তবে পাণ্ডবদা যেমন বললেন, লেখায় কিছু সমস্যা আছে। কিছু কনস্ট্রাক্টিভ সমালোচনা করার চেষ্টা করি, আশা করি রাগ করবেন না।

আমার মতে, প্রধান সমস্যা হল কনটেক্সট-এর অভাব। প্রথম প্যারা ভূমিকা, আসল লেখা শুরু হয়েছে দ্বিতীয় প্যারা থেকে, কিন্তু সেখানে শুরুর বাক্যই হল "ফাইটোরিমিডিয়েশন এর ব্যবহার কিন্তু খুব বেশি দিন আগে থেকে শুরু হয়নি।" যাঁরা ওই বস্তুটি সম্বন্ধে কিছুই জানেন না প্রায়, তাদের জন্য কিন্তু জিনিসটা কি সেটা বুঝিয়ে বলা হল না। একটু আশা দেখা গেছিল চতুর্থ প্যারায়, কিন্তু আপনি তেমন কিছুই খুলে বললেন না, "এই খানে আর সংগা আর দিলাম না।" বলে ছেড়ে দিলেন।

আমি বলি, জিনিসটা কি একটু বুঝিয়ে দিন আগে, এটা একটা সমস্যা কেন সেটা নিয়েও চোখ খুলে দিন। তাহলেই সম্ভাব্য সমাধানের প্রতি আমরা আগ্রহী হয়ে উঠব।

আর কঠিন কঠিন শব্দের ব্যবহার একটু কমাতে পারলে পড়তে সুবিধা হয়। ফাইটোরিমিডিয়েশন এর মত একটা বড় আর কঠিন শব্দ, তাও মানে ঠিকমত না জেনে, এতবার পড়লাম, অস্বস্তিকর। আর অহেতুক অত ইংরাজি শব্দ নাই বা দিলেন। "একটা example দেই" র বদলে উদাহরণ দিই বলুন না।

আপনি সহজ, গল্প করার ভাষায় লিখেছেন, এইটা ভালো ব্যাপার। পড়তে আরামদায়ক। স্মাইলি নিয়ে আমার এমনি ক্ষোভ নেই, তবে না হলেও চলে - প্যারার মাঝে মাঝে স্মাইলি ঢোকালে পড়ার ফ্লো কেটে যায়।

যাহোক, আপনি লেখেন খুব অনিয়মিত। ঘন ঘন লিখতে থাকুন, প্রবন্ধ সব আপনিই ঝকঝকে হয়ে উঠবে। দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আসল লেখা শুরু হয়েছে দ্বিতীয় প্যারা থেকে, কিন্তু সেখানে শুরুর বাক্যই হল "ফাইটোরিমিডিয়েশন এর ব্যবহার কিন্তু খুব বেশি দিন আগে থেকে শুরু হয়নি।" যাঁরা ওই বস্তুটি সম্বন্ধে কিছুই জানেন না প্রায়, তাদের জন্য কিন্তু জিনিসটা কি সেটা বুঝিয়ে বলা হল না।

Phytoremediation এক টা বিশাল বিষয়, সেখানে থেকে সবার জন্য হলেও অনেক সহজ করে লিখছি, একটু ভারী করে লিখলে সবাই সেটা নাও বুঝতে পারে। তবে হ্যা সংগা থাকবে এরপর থেকে, আমি উইকিপিডিয়া থেকে লিংক দিতে হলে সেটাকে আরো বিস্তারিত করতে হবে। না হলে সেই একই তিমিরে থাকবে।

আপনি লেখেন খুব অনিয়মিত। ঘন ঘন লিখতে থাকুন, প্রবন্ধ সব আপনিই ঝকঝকে হয়ে উঠবে।

সময় বড় অভাব, সেটাই খুব কম পাই মন খারাপ

আরিফিন সন্ধি

ফারুক হাসান এর ছবি

খুবই আগ্রহোদ্দীপক বিষয় নিয়ে লিখেছেন। পরের পর্ব জলদি পোস্ট করবেন আশা করি।

ফাইটোরিমিডিয়েশনে ব্যবহৃত উদ্ভিদকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টাতে বিশদ আলোকপাত করলে খুশি হব। এই বিষয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায়। কিন্তু জ্বালানির প্রসঙ্গটা আসতে মনে হলো যে একটা গড়বড় আছে। জ্বালানি হিসেবে পুড়িয়ে ফেললে যে ধাতুগুলি ফাইটোরিমিডিয়েশনের মাধ্যমে উদ্ভিদে সিঞ্চিত ছিল সেগুলো আবার ফিরে আসবে বায়ুমন্ডলে। এতে যে বিরূপ প্রভাব হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

লেখা আরেকটু গোছালো হলে ভালো হত।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, আমিও জলদি লিখতে চাচ্ছি, কখন আবার সুপারভাইজার আমার চাদবদন দেখতে চান, তখন তো আবার কারখানাতে ঢুকতে হবে মন খারাপ

ফাইটোরিমিডিয়েশনে ব্যবহৃত উদ্ভিদকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের

এখনে bio energy এর মাঝে বায়োমাস এনার্জি বোঝানো হয়েছে। ফাইটোরিমিডিয়েশনে ব্যবহৃত উদ্ভিদগুলোকে মাঠ থেকে সংগ্রহ করার পর ছোট আকারেরে চিপস আকার দেওয়া হয়। আমি আপনার জন্য youtube এর একটা video link দিলাম।

আর ছাই থেকে বেশির ভাগ ভারি মৌল বাষ্পাকারে মিলিয়ে যায়, এই প্রসঙ্গে নিচের পেপারগুলো দেখতে পারেন,
http://pubs.acs.org/doi/abs/10.1021/es960856x

http://www.bios-bioenergy.at/uploads/media/Paper-Biedermann-AshRelated-2005-10-11.pdf

২য় পেপারটিতে ছবি আকা আছে কিভাবে power plant এ ছাই থেকে কিভাবে ভারি মৌলকে আলাদা করা যায়।

এতে যে বিরূপ প্রভাব হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

মাটিতে কি পরিমান ধাতবযুক্ত ছাই ফেলা যাবে সে বিষয়ে এই report দেখতে পারেন, তবে এটা Scandenevian দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য, seacrh করলে অন্য দেশগুলোর পাওয়া যাবে আশা করি।

আরিফিন সন্ধি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

পাণ্ডব'দা উপরে বলেছেন লেখাটির অগোছালো ভাব নিয়ে।

আরেকটু বিশদে লিখুন দয়াকরে। একটু সময় নিয়ে। জানি, সবারই এই একটা জিনিসেরই টানাটানি। তাও অনুরোধ আরকি! নাহলে এক লাইন থেকে আরেক লাইনের ফাড়াক ধরতে বেশ কষ্ট হয়।

পরের পর্বের অপেক্ষায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।