আদমশুমারী '২০১১ ও কিছু কথা ......

সাবরিনা সুলতানা এর ছবি
লিখেছেন সাবরিনা সুলতানা (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৩/২০১১ - ৮:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাবরিনা সুলতানা

গত ১৫ই মার্চ থেকে ১৯শে মার্চ ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো আদশুমারী’২০১১ কার্যক্রম। এবারের আদমশুমারীতে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংখ্যা নিরূপনের একটি উদ্যেগ নেওয়া হয়েছিলো। শুমারীর শেষদিনে একজন গণণাকারী এলেন আমাদের পরিবারে। জানলাম তার নির্ধারিত এলাকায় চারদিন গণনা করে মাত্র তিন জন প্রতিবন্ধি ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছেন তিনি। যা খুব-ই হতাশাজনক। আমি একটুও অবাক হইনি তার কাছে জিজ্ঞাসা করে যখন জানতে পারলাম, এই এপার্টমেন্টের চৌষট্টিটি ফ্ল্যাটের কোনটিতেই প্রতিবন্ধি ব্যক্তির খোঁজ তিনি পাননি। এখানকার বাকি ফ্ল্যাটগুলোর কথা না জানলেও আমি এবং আমার ছোট বোন ছাড়াও আরো দুটি ফ্ল্যাটে তিনজন শারীরিক প্রতিবন্ধি আছেন এ তথ্য আমি জানি। অর্থাৎ উল্লেখ্য দুটি ফ্ল্যাটের অভিভাবকেরা এই বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গেছেন। প্রতিবন্ধি মানুষের সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সরকারের এই উদ্যেগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু আমার মতে, প্রকৃত সংখ্যা নিরুপনে শুধু মাত্র প্রতিবন্ধি ব্যাক্তিদের জন্যে আলাদাভাবে একটি আদমশুমারী কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যান্ত জরুরী।

গতবারের আদমশুমারীতেও প্রকৃত সংখ্যা নিরূপনে ব্যার্থ হয়েছিলো সরকার। তার মূল কারণ এদেশের বেশীরভাগ মানুষ তাঁর প্রতিবন্ধী সন্তানটিকে লুকিয়ে রাখতে চান। পরিবারে যদি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকেন তাহলে তা গোপন করলে সমাজেরই ক্ষতি এ বিষয়ে অনেকেই সচেতন নন। আর এ কারণেই প্রকৃত সংখ্যা বের করে আনার জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট মহলের প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী ছিলো। যেটি সবচে’ বেশি প্রয়োজন ছিলো ব্যাপক প্রচারণার মাধম্যে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে আলাদা করে সচেতন করা সেটি করা হয়নি। সবাই যেন সতস্ফুর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করেন তার জন্য রেডিও, টিভি ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা গেলে আশানুরূপ সম্ভাবনা ছিল সঠিক একটি পরিসংখ্যান বেরিয়ে আসার।

বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের সমান অধিকারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি যাদের সারা বিশ্বে বলা হয় "অন্য রকমভাবে সক্ষম" তাঁদের বিশাল একটা জনগোষ্ঠি সমস্ত প্রকারের নাগরিক সুবিধে বঞ্চিত এ বিষয়ে আমরা ক'জনেইবা মাথা ঘামাই। স্বাধীনতার চল্লিশ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো নিশ্চিত হলো না অন্য রকমভাবে সক্ষম ব্যক্তির জন্যে সহায়ক যাতায়াত ব্যবস্থা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সর্বোত্র প্রবেশের সুবিধে। সেই সাথে একজন স্বাভাবিক-সুস্থ্য নাগরিকের সমপরিমাণ নাগরিক অধিকার। ২০১৫ সালের মধ্যে “সবার জন্যে শিক্ষা”র কথা বলা হলেও সেই ১৯৮৫’তে করা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার পরিসংখ্যান মতে প্রতিবন্ধি ব্যক্তির দশ শতাংশের মধ্যে বর্তমানে মাত্র চার শতাংশ শিশু মূলধারায় শিক্ষার সুযোগপ্রাপ্ত। আজ পর্যন্ত আমাদের নিজেদের করা একটি সঠিক পরিসংখ্যানও নেই। কিন্তু প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ সম্ভব হলে দেখা যাবে এই সংখ্যা ভয়ংকর পরিমাণে বেড়ে গেছে। তখন সরকার বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় কিছু করার তাগিদ অনুভব করবে। প্রতিবন্ধি ব্যক্তির সংখ্যাগত, প্রকারগত এবং পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানা গেলে ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার প্রতিবন্ধিতার ধরণ অনুযায়ী তাদের জন্যে রাষ্ট্রের কি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত সেটাও নিরুপণ সহজভাবেই সম্ভব হবে। দেশের মূল জনশক্তিতেও তারা অবদান রাখার সুযোগ পাবে। তাই সরকারের সঠিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এবং সামাজিক ও নাগরিক এই বৈষম্য দূরীকরণে একটি পরিসংখ্যান অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। আর এটি সফল করতে হলে শুধু মাত্র অন্য রকমভাবে সক্ষম এই মানুষদের জন্যে আলাদাভাবে একটি শুমারী কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে। শুমারীকাজে নিয়োজিতদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে এর গুরুত্ব বুঝাতে হবে যাতে তারা শুমারীকালে নিজ নিজ এলাকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করেন। সেই সাথে পারিবারিক সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

প্রতিবন্ধীর সংখ্যা কম দেখানো হলে তাদের জন্য ব্যবস্থা করার তাগিদটাও সরকারের কম হবে। পরিবারে এটা বোঝে না কেন?

অপছন্দনীয় এর ছবি

লুকিয়ে রাখার কারণ আবারও সেই মহান সমাজের মহান ব্যক্তিবর্গ। কেউ যদি বলে তাঁর সন্তান প্রতিবন্ধী, তাহলে তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়েও শান্ত হবে না, সেখানেও গিয়ে জ্বালাতে থাকবে।

নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, নয় বছর বয়সে আমার পোলিও হয়, কেন হয় জানা যায়নি কারণ আমার ভ্যাক্সিনেশন পুরোপুরি ঠিক ছিলো। প্রায় সাড়ে তিনমাস হাঁটতে পারিনি, কোনদিন উঠে দাঁড়াবো সেই আশাও করেনি কেউ। মা'র ছোটবোন তখন ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ এর গবেষক (ডাক্তার + মাইক্রোবায়োলজিস্ট), এবং সেখানে ওই সময়ে শর্ট টার্মে WHOর দু'জন ডাক্তার+গবেষক কাজ করছিলেন, ডঃ জ্যাকসন এবং ডঃ হর্ষবর্ধন - এই তিনজন মানুষ পৃথিবীতে না থাকলে কোনদিন উঠে দাঁড়াতে পারতাম কিনা জানিনা। সাড়ে তিন মাসের জন্য আপনি আমাকে প্রতিবন্ধী হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন। ওই সময়ের মহামান্য সামাজিক প্রাণীদের ব্যবহার কী ছিলো সেটা আন্দাজ করতে পারবেন বলে মনে হয় না। আমার বয়স নয় বছর হলেও তেনাদের অনেকেই তখন রীতিমত বুড়ো, পশুদের বয়স বাড়লে পাশবিকতাও বাড়ে কিনা জানিনা।

প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সবার আগে দরকার কিছু সার্টিফিকেটধারী অশিক্ষিতের মাথার খুলি ভেঙে সেখানে কলম দিয়ে "আক্কেলজ্ঞান" আর "মনুষ্যত্ব" শব্দগুলোর সংজ্ঞা লিখে দেয়া, তাতে যদি মাথায় ঢোকে। তার আগে আর কিছু করেই কিছু হবে বলে মনে হয়না। যে সমাজের মানুষ বাপের পরিচয় দেখে সন্তানের পরিচয় যাচাই করে প্রতিবন্ধী যে কারো বোঝা নয় বা নিজের দোষেও প্রতিবন্ধী নয় সেটা বুঝবার মত মনুষ্যত্ব তাদের গজাতে দেরী আছে।

কৌস্তুভ এর ছবি

মন খারাপ

আরো একটা জিনিস স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। এইরকম ছোটবেলায় পোলিও যদি একটা মেয়ের হত, তাহলে সেটা শুনলে পরেই পাত্রপক্ষের মাতব্বররা ঠিক মেয়ের হাঁটাচলায় কোনো খুঁত বার করে সম্পর্ক বাতিল করে দিতেন। ফাহা ভাইয়ের লেখাটা আমার এই ধারণাটাকে আরো জোরদার করছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখের কথা কী বলব? আপনি যেটা কল্পনায় দেখতে পাচ্ছেন, সেরকম ঘটনা আমার বাস্তবে দেখা। -রু

অপছন্দনীয় এর ছবি

ঠিক। এই যুগেও তেনাদের কেউ কেউ তো খালি পাত্রীর জামাকাপড় খুলে দেখতে বাকি রাখেন, সুযোগ পেলে সেটাও যে বাকি রাখতেন কী করে বলি।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার পরিচিত একজন আপুকে দেখেছি যিনি ভ্যাক্সিনেশন পুরোপুরি ঠিক ভাবে দেওয়ার পরেও নয় মাস বয়সে পোলিও তে আক্রান্ত হন। তার বয়স বর্তমানে চল্লিশ। তিনি কখনো বাইরের পৃথিবী দেখার সুযোগ পাননি। ঘরে বসেই দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে পরীক্ষা দেননি এই ভেবে কি হবে পড়ালেখা করে, জজ ব্যারিষ্টার তো আর হবো না! সমাজে বিয়ের সুযোগ পাওয়া তো অনেক দূরের কথা ...

ধন্যবাদ আপনাকে।

সাবরিনা সুলতানা

অতিথি লেখক এর ছবি

পরিবারের বাস এই সমাজেই। আর সমাজের কটু কথা শোনার ভয়েই অনেকে বিষয়টি এড়িয়ে যান। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি পঁচিশ বছর বয়স পর্যন্ত আমার আব্বু আম্মু আমাকে সমাজের চোখ থেকে আড়াল করে রাখতেন। কোথাও নিয়ে যেতেন না। ছোটবেলার কথা পরিষ্কার মনে আছে কেউ এলে আমাকে আলাদা রুমে নিয়ে যাওয়া হতো। তাদের এই কৃতকর্মের জন্যে তারা নিজেরাই এখন আফসোস করেন। এবং এই ভুল শুধরে নেবার চেষ্টা করেন আমার ছোট বোনকে সবরকম সুযোগ সুবিধে দেবার মাধ্যমে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আদমশুমারী থেকে লুকানোর কারণটা বুঝতে পারলাম না। পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি করাটাই আসল। মানুষ সচেতন হলে আলাদা কোন আদমশুমারীর প্রয়োজন পড়বে না। -রু

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেকেই প্রতিবন্ধি মানুষকে দেশের এবং পরিবারের বোঝা ভাবেন। সমাজের কাছ থেকে প্রতিবন্ধি শিশুটিকে আড়াল করে রাখার প্রবনতাই এর মূল কারণ। এইজন্যেই সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন ...

ধন্যবাদ আপনাকে।

সাবরিনা সুলতানা

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

একই মন্তব্য দুইবার।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এবার দেখলাম প্রতিবন্ধীদের জন্যে ঘর নয় শুধু, তালিকায় মানসিক (বুদ্ধি) প্রতিবন্ধী এবং অটিস্টিক দের জন্যেও ঘর রাখা হয়েছে। আগে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের হিসেব আলাদাভাবে নেয়া হয়েছিলো কিনা জানা নাই আমার, তবে অটিজম সম্ভবত এবারই যোগ করা হয়েছে, কেউ বিস্তারিত জানলে জানাবেন অনুগ্রহ করে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা আর অটিজম যে একই নয়, সেটা আলাদাভাবে দেখার সরকারী উদ্যোগ ভালো লাগলো। অটিজমকে আলাদাভাবে গণনায় নেয়ার কারণ আমার মনে হয় গত পাঁচ/ছয় বছরে অটিজম নিয়ে বিভিন্ন লেভেলে প্রচুর আলোচনা।

আমি খেয়াল করতে পারি নাই, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে কি, কী ধরণের প্রতিবন্ধীতা সেটাও গণনার অন্তর্ভুক্তিতে ছিলো কি? না থেকে থাকলে সেটা অনেক বড় ভুল সরকারের তরফ থেকে।

তবে আমার অভিজ্ঞতায় যেটা মনে হয়েছে, শহুরে, শিক্ষিত পরিবার বেশি কুণ্ঠা বোধ করে নিজেদের পরিবারে প্রতিবন্ধী সদস্যের পরিচয় দিতে। গ্রামাঞ্চলে আমি এরকম কম দেখেছি। তবে আমার কাজ বুদ্ধি প্রতিবন্ধীদের সাথে জড়িত হওয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে মনোভাবে অবজার্ভেশন ভুল হতেও পারে, তবে এটাও ঠিক কম বেশি সব বুদ্ধি প্রতিবন্ধীই কিছু শারীরিক প্রতিবন্ধীতায় ভোগেন।
আমার মনে হয়েছে গ্রামে প্রতিবন্ধিতার বিষয়টা কম এড়িয়ে যাবার একটা কারণ সবাই সবাইকে চেনেন, এবং সবাই মিলেই সমাজ, আবার তেমনি এটাও হতে পারে যে গ্রামের মানুষের এ ব্যাপারে সাধারণ মনোভাব যে সমাজের বা পরিবারে প্রতিবন্ধী সদস্যটির জন্যে সরকারীভাবে কিছু উদ্যোগ নেয়া হোক, তা চিকিৎসা, কর্মক্ষেত্র সবদিকেই।

যেটি সবচে’ বেশি প্রয়োজন ছিলো ব্যাপক প্রচারণার মাধম্যে সাধারণ মানুষকে এ বিষয়ে আলাদা করে সচেতন করা সেটি করা হয়নি।

সহমত।
প্রতিবন্ধীদের সম্পর্কে সকল তথ্য সঠিকভাবে জানতে আলাদা শুমারি করা ভালো উদ্যোগ হবে আপনার এই ভাবনার সাথে প্রচণ্ডভাবে একমত।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

ধরন-১

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অপছন্দনীয় এর ছবি

হাঁসাপাপু, প্রতিবন্ধি / প্রতিবন্ধীর ব্যাপারটাও একটু বলবেন কি?

অতিথি লেখক এর ছবি

এবারে আদমশুমারীতে প্রতিবন্ধি মানুষকে ৬টি শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। মানসিক ও অটিস্টিক ছাড়াও বাক, শ্রবণ, দৃষ্টি এবং শারীরিক চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্যেও আলাদা ঘর ছিলো।

তবে আদমশুমারির কর্মীদের প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালে প্রতিবন্ধিবিষয়ক সংজ্ঞাটাই ভুল দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, "প্রতিবন্ধি কি?" যা অত্যান্ত অপমানজনক। প্রতিবন্ধি মানুষ নিশ্চয় কোন বস্তুর পর্যায়ে পড়ে না...

এছাড়াও ১৯ নম্বর প্রশ্ন পূরণে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেখানে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অটিস্টিকের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। অনেকের মতে, প্রশ্নপত্রে ‘অটিস্টিক অর্থাৎ বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা/ একাকী চলার প্রবণতা’—এভাবে সংজ্ঞায়িত করায় বিভ্রাটের সৃষ্টি হবে।

আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে এখানে টোকা দিন।

অনেক চেষ্টা করেও মন্তব্যের ঘরে ছবি দিতে পারলাম না। এই লেখাতে প্রশ্নপত্র এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়ালের ছবি দেখতে পাবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
সাবরিনা সুলতানা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এটা অনার কিলিংয়ের মতো একটি ব্যাপার মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধি খুব জরুরী। নইলে পরিবারে 'সম্মান' রক্ষার্থে ঘরের প্রতিবন্ধী শিশুটিকে লুকিয়ে রাখবে হয়ত তার পরিবার।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।

সাবরিনা সুলতানা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

লুকিয়ে রাখার একটা মনস্তাত্বিক কারণ আছে। কিছু মানুষ নিজের ক্ষতস্থান লুকিয়ে রাখে বিব্রত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য। বিব্রতবোধটা আসে সচেতনতার অভাব থেকেই। শিক্ষিত মানুষেরা সচেতন নন বলা উচিত না। বরং সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেছেন। তবে গননা থেকে বাদ দিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তির যে কোন উপকার হলো না, এটা সেই পরিবারকে বুঝতে হবে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু মানুষ নিজের ক্ষতস্থান লুকিয়ে রাখে বিব্রত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য। বিব্রতবোধটা আসে সচেতনতার অভাব থেকেই। শিক্ষিত মানুষেরা সচেতন নন বলা উচিত না। বরং সচেতনভাবেই এড়িয়ে গেছেন।

ভালো বলেছেন। সহমত। অনেকেই সচেতন হয়েও বিষয়টি এড়িয়ে যান সমাজের কটু কথার ভয়ে...

ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
সাবরিনা সুলতানা

পাগলা_আতেল এর ছবি

তোমার চিন্তা ধারা যে আলাদা, তা আগেই জানতাম, আজ লেখার মাঝে দেখলাম। ভাল লাগলো তোমার লেখা পড়ে। ফেসবুকে সেয়ার করছি। যাতে করে তুমিও দেখতে পারো।
মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্যে।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
সাবরিনা সুলতানা

ফাহিম হাসান এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন। ভালো রাখুন।
সাবরিনা সুলতানা

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

দু:খজনক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।