সেরা প্রাপ্তির খোঁজে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৮/০১/২০১২ - ১২:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি সেরা প্রাপ্তির তালাসে মস্তিষ্কের অন্দরে চষে বেড়াচ্ছি। কিছুই তো অর্জন হয়নি এইটুকু জীবনে, তাই প্রাপ্তির হিসাব-নিকাশ কষে নতুন বছরের শুরুতে যদি বা কিছু পাওয়া যায়! তো নতুন বছরের প্রত্যুষে ঘুম থেকে জেগে উঠাটাই আমার কাছে একটা বড় প্রাপ্তি। এ যুগের অনেক বিখ্যাত গণক তো আগেই বলে রেখেছিলেন, ২০১২ সালেই পৃথিবী শেষ! তাই ২০১২ সালেও যে আমি বহাল তবিয়তে বেঁচে আছি এবং সমানে কি বোর্ড চেপে যাচ্ছি, সেটা কি কম প্রাপ্তি? তবু সেরা প্রাপ্তির বাছাইয়ে তা টিকে থাকবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ জন্য দরকার ব্যাপক চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ! তাছাড়া প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাবটাও যে বড্ড গোলমেলে!

এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করতে পারি নি; কারণ বাসা-বদলের জন্য বাক্স-পেটরা গোছানোর ফাকেই নাইট সাহেব তিরোহিত হলেন! সমাজের একটা বড় অংশের কাছেই থার্টি ফার্স্ট খুব খারাপ জিনিস; মদ-গাজা-গার্লফ্রেন্ড-নাচা-গানা-বোমা-পটকায় মাতোয়ারা হয়ে তরুণ প্রজন্ম যে উচ্ছন্নে যাচ্ছে, বিজাতীয়-বেশরিয়তি সংস্কৃতিতে মত্ত হয়ে ডিসেম্বর মাসের ৩১ তারিখের রাত বারোটায় দেশীয় কৃষ্টি ও কালচারের বারোটা বাজাচ্ছে, তা আজ কারই বা অজানা? কয়েকদিন আগেই, কঠিন-শুষ্ক সাহারা মরুভূমি থেকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যেকোনো বেলেল্লাপনা কঠোর হস্তে দমন করা হবে। তো থার্টি ফার্স্ট পালন না করে বছর শুরু করাটাও কি এক ধরণের প্রাপ্তির পর্যায়ে পড়ে না, অন্তত আমাদের শরমিন্দা আর শরিয়ত সমাজের চোখে?

নতুন বছরে প্রথম ঘটনা ছিল বাসা বদল। তো পুরনো বাসা পরিত্যাগের পূর্বে বাড়িওয়ালা এডভান্সের একটা বড় অংশ কেটে রাখল। কারণ জিজ্ঞেস করতেই, একটা লম্বা লিস্ট ধরিয়ে দিল। তবে ওটাকে লিস্ট না বলে ইতিহাসের নির্ঘণ্ট বলাই শ্রেয়। ওখানে যা লেখা আছে তার একটা ছোট নমুনা:
সিরিয়ালঃ ০৫ তারিখঃ১২/০৩/২০০৮ বর্ণনাঃ পুশ ব্যয়ঃ ৩৮০/=
যেহেতু টাকাটা তখনো বাড়িওয়ালার হাতেই ছিল, তাই গলা না চড়িয়েই মৃদুকন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম, ‘’বাড়ির কোন জিনিস নষ্ট হলে, সেটা ঠিক করে দেয়া কি বাড়িওয়ালার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না ?” বাড়িওয়ালার ম্যানেজারের সপ্রতিভ উত্তর: ‘’মালিক তো জিনিস ঠিক কইরাই দিছে! আপনারা খালি দামডা দিয়া যান!’’ ম্যানেজারকে জিজ্ঞেস করতে মন চাইছিল, মাসে মাসে এতগুলো টাকা ভাড়া যে তার মালিক নেন, তা তাহলে কিসের দাম? তিক্ততা ঝেড়ে বরং আমি ভবিষ্যতমুখী হলাম, ভাবলাম, আমাদের নতুন বাড়িওয়ালা নিশ্চয়ই মনুষ্য প্রজাতির একজন হবেন!

নতুন বছরের পয়লা দিনে দুনিয়ার কালি-ধূলি গায়ে মেখে আশা-আকাঙ্ক্ষার সায়রে ভাসতে ভাসতে নতুন বাসায় উঠে পড়লাম। যেয়েই দেখি বাসার কল দিয়ে পানি পড়েনা। মেঝের জায়গায় জায়গায় নোংরা লেপটে আছে। যত্র তত্র মাকড়সার ঝুল। গ্যাসের চুলার চাবিখানি পাওয়া গেল না। এমনকি টিউব লাইটের বোর্ডসুদ্ধ তুলে নিয়ে গেছে পুরনো ভাড়াটিয়া। মনের অজান্তেই কখন যেন কণ্ঠ দিয়ে ঝরল সংগীত সুধা:
সোনা দিয়া বান্ধায়াছি ঘরে, ঘুণে করলো জর জর
আমি কি করে বাস করিব, এই ঘরে রে....
যথারীতি বাড়িওয়ালার সাথে যোগাযোগ করা হল, যাকে ইতিমধ্যে অর্ধলক্ষ টাকা অগ্রিম দেয়া হয়েছে। আমরা এডভান্স সামান্য দেরীতে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এডভান্স শব্দের সঠিক মাহাত্ম্য বোঝেন আমাদের নতুন বাড়িওয়ালা; এক দিন সময়ও দিতে রাজী হলেন না;আমাদের অনুরোধে কেন উনি একদিনের এফডিআর সুদ হারানোর ঢেঁকি গিলতে যাবেন? যাই হোক, বাড়িওয়ালা মনোযোগ দিয়ে আমাদের অভিযোগ-নামা শুনলেন; পরে উন্নাসিক ভঙ্গিতে রায় ঘোষণা করলেন, ‘’সবই বুঝলাম, কিন্তু বাসা বদলালে এরকম হতেই পারে। আগের ভাড়াটেরা খাচ্চর টাইপের ছিল। আপনারা এখন আসছেন; নিজেদের মত সুন্দর করে সাজিয়ে-গুছিয়ে নেন! আর বেশী সমস্যা হইলে নতুন বাসাও দেখতে পারেন; চিন্তা করবেন না, উঠার প্রথম মাসেই বাসা বদলানোর কারণে ফাইন করব, এতটা খারাপ লোক না আমি; তবে এডভান্সটা ফেরত পেতে দেরী হলেও হতে পারে!” এরপর আমাদের আর বলার কিছু ছিল না, শুধু শুধু সয়ে সয়ে ভোগ করা ছাড়া। অনেক সম্ভাবনা জাগিয়েও নতুন বছরের সেরা প্রাপ্তি হওয়ার লিস্ট থেকে ছিটকে গেল নতুন বাসা!

নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে দুরু দুরু বুকে অফিসে গেলাম। রাজ্যের টেনশান বিরাজ করছে মনে। স্যালারি রিভাইজের ব্যাপারে একটা নিউজ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। নানারকম সংখ্যা ঘুরে বেড়াচ্ছে আকাশে-বাতাসে! ২৫%, ৩০%, ৩৫% ইত্যাদি! আমরা আকুল হয়ে দু’হাত আকাশ-মুখি করছি আর মনে মনে বলছি: ‘’ওগো সদাশয় দয়াময়, ৩৫% এর কম যেন না হয়!’’ এক সময় আমরা অধীর হয়ে বস্‌কে ধরলাম খবর নেওয়ার জন্য। আমাদের ক্ষুধিত ব্যঘ্রতায় কাতর বস্‌ আর ঝুঁকি নিলেন না, মানব সম্পদ ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় প্রধানকে ফোন করলেন। ‘ও আচ্ছা’, ‘ঠিক! ঠিক!’, ‘নো প্রবলেম’ ইত্যাদি শব্দে সীমাবদ্ধ রেখে স্যার যখন রিসিভার জায়গামত রেখে দিলেন, আমরা সবাই তার উপর অনেকটা ঝাঁপিয়ে পড়লাম। স্যার কণ্ঠকে অস্বাভাবিক শান্ত রেখে ঘোষণা দিলেন: "ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে তোমাদের স্যালারি ৪০% রিভাইজ হবে, যা কিনা মার্কেটে রেকর্ড। তবে এখন যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্য খুব খারাপ যাচ্ছে, তোমাদের নতুন স্যালারি ইফেক্টিভ হবে ২০১৩ এর জানুয়ারিতে!’’ ফাটা বেলুনের মত চুপসে গেলাম সবাই। পাক-ভারতের থর মরুভূমির সমস্ত বালিরাশি দিয়ে আমাদের হঠাৎ জ্বলে উঠা আশার প্রদীপকে যেন দপ্‌ করে নিভিয়ে দেয়া হয়েছে। একজন তবু আশা ছাড়ে না, কিছু একটি প্রাপ্তি তার চাই-ই চাই! সে বস্‌কে জিজ্ঞেস করে:’’স্যার, সিদ্ধান্তটা কি রিটেন না মৌখিক?’’ স্যারের উত্তর: ‘’তোমরা তো জানই, টাকার হিউজ ডিপরিসিয়েশন হয়েছে গত এক বছর। এই কারণে ইম্পোর্ট খরচ বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে কোম্পানি ভয়ানক অর্থসংকটে পড়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরও কোম্পানি তার স্টাফদের অবদান-ত্যাগের কথা ভুলে যায়নি। তাই ম্যানেজমেন্ট শত ব্যস্ততার মাঝেও মিটিংয়ে বসে তোমাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজই এমডি স্যারের মালয়েশিয়া ফ্লাই করার কথা একটা বড় বিজনেস ডিল ফাইনাল করার জন্য, তাই আর কোন ফাইল-টাইলের ঝামেলায় যান নি। চিন্তা করো না, নিশ্চয়ই তোমরা সময়মত সার্কুলার পেয়ে যাবে।‘’ আমাদের কঠোর আশাবাদী কলিগকেও ''সময়মত সার্কুলার'-এর মুলায় খুব একটা পুলকিত মনে হল না। আর এভাবেই সেরা প্রাপ্তির লিস্ট থেকে বাদ পড়ল আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগী! সবচেয়ে আশংকাজনক হল, লিস্টটা আস্তে আস্তে তা শূন্যতার দিকে ধাবিত হচ্ছে!

রাতে নীলাঞ্জনার ফোন! ‘এই তুমি আর কতদিন আমাকে অপেক্ষায় রাখবা’, তার অধির গলা। আমি বলতে চেয়েও পারলাম না, ‘’আমি অপার হয়ে বসে আছি, ঘরে লয়ে যাব তোমায়য়য়’’। স্যালারি যদি এমনকি ২৫%ও রিভাইজ করতো, তাওতো একটা ম্যারেজ লোন বাগানো যেত! আমি নিরুপায় হয়ে স্যারের কথাই সামান্য এদিক সেদিক করে তাকে বলি, ‘’শোন, আমি ভয়ানক অর্থসংকটে আছি! তাই আর একটা বছর খালি অপেক্ষা কর। এই সমস্যা কেটে যাবে সত্যি, তুমি শুনছো....’’। অপর প্রান্ত থেকে বাজের শব্দকেও হার মানিয়ে রিসিভার নামিয়ে রাখার শব্দ কানে ভেসে আসে। একই সাথে নতুন বছরের সেরা প্রাপ্তির শক্ত দাবিদার একমাত্র প্রতিযোগিনীও আউট হয়ে যায়!

নিরাশ ও হতোদ্যম মনে টিভির পর্দার দিকে তাকিয়েছিলাম। হঠাৎ চোখ স্থির হল বিরোধী দলীয় নেত্রীর ছবি দেখে। সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতায় এখন উনিই তো আমাদের আশার আলো! উনার বক্তব্য থেকেই পাওয়া যেতে পারে বড় কোন প্রাপ্তির সন্ধান। কিন্তু উনি যা বললেন, তাতে চোখে আলোর পরিবর্তে যেন আঁধার দেখতে শুরু করলাম। জনগণের নেত্রী বলছিলেন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব তরুণদের হাতে তুলে দেব।’ শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তো খুবই ভাল কথা; কিন্তু দায়িত্ব তরুণদের হাতে? কোন তরুণ? মহা ধাঁধামূলক দ্বিধায় পড়ে গেলাম! দেশের ক্রম বর্ধিষ্ণু সচেতন ও মেধাবী তরুণেরা তাহলে দায়িত্ব পাবে? নাকি প্রবাস জীবন-যাপনকারী এক তরুণ দেবতার পূজা-অর্চনা আবার শুরু হবে এদেশে? দেবতা মসনদে বসার আগেই যে ভক্তি পেয়েছেন, তারপর এখন যদি গদিনশীণ হন, তাহলে ভক্তিবাদের জোয়ারে দেশে আবার মহাপ্লাবন ঘনিয়ে আসবে না তো? এমন সংশয়ের দোলায় দুলতে থাকার কারণে দেশ-নেত্রীর তারুণ্যের জয়গানকেও সেরা প্রাপ্তির গৌরবে ভূষিত করা গেল না!

আমি কোথায় পাব তারে, আমার সেরা প্রাপ্তি যে রে! আমি সেরা প্রাপ্তি খুঁজে বেড়াচ্ছি, যেভাবে হায়দার হোসেন স্বাধীনতার তিরিশ বছর পরেও স্বাধীনতাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তো সেরা প্রাপ্তির অভাবে লেখাটা আর পাঠানো সম্ভব নয় বলে যখন মন খারাপ করে বসে আছি, তখনই আর্কিমিডিসের ‘ইউরেকা, ইউরেকা’ কাহিনির মত অনেকটা আচমকাই আবিষ্কার করলাম আমার সেরা প্রাপ্তিটিকে। অন্য কিছু নয়, এই যে আমি লিখছি, লিখতে পারছি, লেখার সুযোগ পাচ্ছি, এটাই নতুন বছরের শুরুতে আমার জীবনের সেরা প্রাপ্তি! হায়দার হোসেন স্বাধীনতাটাকে খুঁজে না পেলেও, আমি আমার সেরা প্রাপ্তির মাধ্যমে অবশেষে তাকে খুঁজে পেয়েছি। এক বর্ণ বানিয়ে বলছি না, বিশ্বাস করুন, লিখতে পারাটাই এখন আমার কাছে সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা; কারণ দূষণ-দুশমন-দুর্নীতি মুখরিত এই বাংলাদেশে লিখেই পেয়েছি মুক্তির অনির্বচনীয় স্বাদ আর দম নেয়ার এক চিলতে অসামান্য বারান্দা!

কাজি মামুন
০৭.০১.২০১২
(আমার ই-মেইল আইডিঃ eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%6d%64%6b%61%7a%69%6d%61%6d%75%6e%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%6d%64%6b%61%7a%69%6d%61%6d%75%6e%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b')), যা উহ্য রাখতে ইচ্ছুক)


মন্তব্য

তাপস শর্মা এর ছবি

ভালো লেগেছে।

কাজি মামুন এর ছবি

তাপসদা,
যেটুকু জানতে পেরেছি, মূলত আপনার পরামর্শেই ২০১২ সাল নিয়ে লেখা আহবান করা হয়েছিল সচলায়তনে! নতুনদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আপনাদের এমন উদ্যোগ সত্যি অসাধারণ! আর এই নড়বড়ে-ভাঙ্গাচোরা লেখাকেও যেভাবে উৎসাহিত করলেন, তাতে আমি সত্যি আপ্লুত! আমার সীমাহীন কৃতজ্ঞতা পুরো সচলায়তন পরিবারকে!

তাপস শর্মা এর ছবি

লিখতে থাকুন মামুন ভাই। কলম যেন না থামে। আর আমি আপনি আমরা সবাই তো একটা উপলক্ষ মাত্র। এই তো জীবন। এভাবেই বয়ে যাবে। তারপর একদিন নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার এই লেখা বিচ্ছিন্ন নয়। এটা সবার। এর চেয়েও খারাপ অবস্থা অন্যের। আমাদের সামান্য চাওয়াটাও হারিয়ে যায়। প্রাপ্তির ঘোলা জল আর স্বচ্ছ হয়না, ঘোলাই থেকে যায়। বুঝেনা কেউ বুঝেনা, আবার কেউ বুঝেও বুঝেনা। সচল হোক আপনার সব ইচ্ছে।

অটঃ আপনি কি আমাদের বইপড়ুয়া গ্রুপের মামুন ভাই।

কাজি মামুন এর ছবি

আপনি কি আমাদের বইপড়ুয়া গ্রুপের মামুন ভাই।

না, ভাই। আবারো উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ!

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লিখতে থাকুন, মামুন ভাই।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কাজি মামুন এর ছবি

ভাইয়া, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! কখনো কখনো অনেক দূরের কাউকে খুব কাছের মনে হয়; একদম অচেনা কেউ হয়ে যায় খুব নিকটজন! অদৃশ্য সুতোর বুননে বাঁধতে আমাদের সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সত্যি কোন জবাব নেই! নতুন বছরে আমার গুটিকয়েক প্রাপ্তির মধ্যে একটি হল, এমন মানুষদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা-আশীর্বাদ, যাদের কারণে এই একটানা একঘেয়ে জীবনে কিছুটা হলেও পেয়েছি নতুনত্বের স্বাদ!
খুব তাড়াহুড়া করে লেখা হয়েছে। জানি না, এডিটিং করার কোন সুযোগ রয়েছে কিনা।

চরম উদাস এর ছবি

আপনার লেখা দেখে ভালো লাগলো মামুন ভাই। যেরকম যত্ন আর সময় নিয়ে আপনি বিভিন্ন লেখায় বিশ্লেষণধর্মী কমেন্ট করেন, সেরকম প্যশন নিয়ে লিখতে থাকলে আপনি ভালো লিখবেন বলেই বিশ্বাষ।

কাজি মামুন এর ছবি

চরম উদাস ভাই,
আমি আপনার ভয়াবহ ভক্ত; আর শুধু আমি না, যে কেউ স্বীকার করবে, সচলায়তনের এই মুহূর্তের রমণীয় আকর্ষণ আপনার রমরমা সব রম্য রচনা! সেই আপনি যখন এই গরিবের ব্লগে পদধূলি রাখলেন, তখন আমার কি অবস্থা বুঝতেই পারছেন! চিন্তিত
উৎসাহ দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা....

তারেক অণু এর ছবি

চলুক শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে। লিখতে থাকুন উজাড় করে।

কাজি মামুন এর ছবি

তারেক ভাই,

শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে। লিখতে থাকুন উজাড় করে।

এমন উজাড় করা উৎসাহ যেকোন নতুন লেখকের জন্যই এক বিশাল সম্পদ! সচলায়তনের সবচেয়ে সচল কলমটি বোধ করি আপনার; আর তাই ভ্রমণ কাহিনীর তুফান ছোটানোর পরও এই সব নিরামিষ লেখা আপনার চোখ এড়িয়ে যায় না; বরং যাত্রার ব্রেক কষে হলেও উৎসাহের বৃষ্টিতে ভিজিয়ে দিয়ে যান অতিথি লেখকদের!

আশালতা এর ছবি

প্রথম দিকটায় একটু আড়ষ্ট লাগলেও শেষটায় এসে দুম করে মন ভালো হয়ে গেল। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

কাজি মামুন এর ছবি

আড়ষ্ঠতা সহ্য করেও শেষ অব্দি লেখাটা পড়েছেন, সে জন্য আমার কৃতজ্ঞতা। আপনাদের উৎসাহ ও সমর্থনে সামনে আরো স্বচ্ছন্দ ও সাবলীল লেখা লিখতে পারব বলে আশা করছি! মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ!

শাব্দিক এর ছবি

ভাল লাগলো।
লেখা চলুক মন খুলে। পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

কাজি মামুন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, ভাইয়া! ভাষা ও শব্দের দীনতা কাটিয়ে উঠতে পারলে নিশ্চয়ই আরো আরো মন খুলে লিখতে পারব! আবারো ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য!

বন্দনা এর ছবি

আমার বাড়িওয়ালি ও আমার ডিপোজিটের ৩০০ ডলার রেখে দিয়েছে, বাসা ক্লিন আর ডেমারেজ বাবদ।কিছু ফেরত দিবে কিনা পরে জানাবে বলেছে। মন খারাপ । লিখ লি
লিখা ভালো লেগেছে।

কাজি মামুন এর ছবি

প্রথমেই মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

আমার বাড়িওয়ালী ও আমার ডিপোজিটের ৩০০ ডলার রেখে দিয়েছে

বাড়িওয়ালারা নিরাপত্তা অর্থের নামে যে টাকাটা রাখে, তা নিরাপত্তার শর্ত কতটুকু পূরণ করে? বাড়িওয়ালারা কখনো অনিরাপদ কাউকে বাসা ভাড়া দেয়? নিরাপত্তা অর্থ আসলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একটা কু-কৌশল মাত্র, যা ভাড়াটেরা নিরুপায় হয়ে দিয়ে যাচ্ছে! আমাদের অনেক নাগরিক শোষণের মধ্যে এটিও একটি!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লেখা চালু থাকুক। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কাজি মামুন এর ছবি

অনার্যরা আমার বরাবর প্রিয়! তাদের সংস্কৃতি, আদর্শবাদ আর মহানুভবতা আমাকে খুব আকর্ষণ করে। আজ সেই গোত্রের কারো আশীর্বাদ পেয়ে ধন্য মনে করছি নিজেকে! হাসি
আপনার উৎসাহ আমার পাথেয় হয়ে থাকবে!

অরফিয়াস এর ছবি

ভালো লাগলো, আশা করছি সামনে আরও লেখা দেখবো আপনার .. হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

কাজি মামুন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে! অরফিয়াস আমার খুবই প্রিয় চরিত্র; আর তার কাছ থেকে ভেসে আসা উৎসাহের সুর আমার ভিতর থেকে নিশ্চয়ই আরো ভাল লেখা বের করে আনবে!

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

স্বাস্থ্যগত কারনে ক'দিন ল্যাপি থেকে দূরে থাকতে হয়েছে। তাই লেখাটা একটু দেরিতেই পড়া হল।
ভাল লেগেছে। চলুক

কাজি মামুন এর ছবি

আপনার দেওয়া উৎসাহ আমার পাথেয় হয়ে থাকবে! আপনার ধর্ম বিষয়ক লেখাগুলো থেকে অনেক কিছু শিখেছি! ভাল থাকবেন!

কল্যাণ এর ছবি

বাড়িওলা গুলারে ধরে ধরে মাইর দিতে পারলে শান্তি পাওয়া যাইত। শেষ্টা খুব সুন্দর হয়েছে। চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।