সংকোচ না করে আসুন ইউ টি আই কে জানি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১১/০২/২০১২ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সেদিন আমি আমার এক অ্যান্টির সাথে কথা বলছিলাম। সবার কথা খোঁজখবর নিতেই বলল অ্যান্টির বড় মেয়েটি অসুস্থ। জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে ওর কিন্তু অবাক হলাম উনি কিছুটা সংকোচ বোধ করছে রোগটি ব্যাপারে আমার কাছে বলার জন্য। আমি বললাম সংকোচ বোধ করছ কেন কি এমন হয়েছে তার পর উনি আমাকে খোলে বলল যে মেয়েটির ইউ টি আই হয়েছে। তারপর আমি অ্যান্টিকে বললাম এটা নিয়ে এতো সংকোচ বোধ করতেছিলে কেন এটা তো একটা রোগ মাত্র। তারপর অ্যান্টির সাথে কথা বলা শেষ করে সারাদিন ভাবতে লাগলাম এখনো মানুষের একটা অসুখ নিয়ে এতো লজ্জা পাবার কি আছে ? এই ভাবনার পিছনে একটাই উত্তর পেলাম সেটা হল অজ্ঞতা। আমার অ্যান্টির ইউ টি আই নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণ অজ্ঞতাই এর মূল কারণ। তাই সেই অজ্ঞতাকেই দূরে সরানোর প্রয়াস নিয়ে সচলায়তনে আমার আজকের লেখা।

ইউ টি আই আসলে কি ?

ইউ টি আই হল মূত্র-তন্ত্রের একটি সংক্রমক রোগ। একটু খোলে বলি, আমাদের দেহের থেকে তরল বর্জ্য পদার্থ বের হওয়ার জন্য দেহে যে পদ্ধতি বা সিস্টেম রয়েছে সেটাকেই মূত্র-তন্ত্র বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট বলে। যদি কোন কারণে জীবাণু এই তন্ত্রে আঘাত আনে তাহলেই মূত্র-তন্ত্রে ব্যাঘাত ঘটে আর এই অবস্থাটাকেই মূত্র তন্ত্রের সংক্রমক রোগ বা ইউ টি আই হয়েছে বলা হয়। ব্যাক্টেরিয়া ,ছত্রাক বা ভাইরাস এরা সবাই এই রোগটি করার জন্য দায়ী থাকলে ও ব্যাক্টেরিয়াই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই জন্য দায়ী। সাধারণত আমাদের শরীরে এরা অনবরত আক্রমণ করতে থাকে আর এদের কে বাধা দিতে থাকে আমাদের দেহরক্ষী পদ্ধতি (Body defense system), যদি জীবাণু আমাদের এই দেহরক্ষী পদ্ধতি ভেঙ্গে ঢুকে আক্রমণ করে তাহলে ইউ টি আই হয়। জীবাণুরা আমাদের দেহের মূত্র-তন্ত্রের যে কোন অংশে আক্রমণ করতে পারে আবার বিভিন্ন অংশের আক্রমণ উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগের নাম করন ও বিভিন্ন হয়। যেমন-মূত্রনালিতে আক্রমণ করলে থাকে বলে ইউরেথ্রিটিস (urethritis), মূত্র-থলীতে আক্রমণ করলে সিসটাইটিস (cystitis) আবার কিডনিতে হলে পাইলোনেপ্রিটিস (pyelonephritis)।

মূত্র-তন্ত্র কি কি নিয়ে গঠিত?

আমাদের দেহে শারীরিক যাবতীয় ক্রিয়া কলাপ শেষে উৎপন্ন তরল বর্জ্য পদার্থ মুক্ত করার যে পদ্ধতি রয়েছে সেটাই হল মূত্র-তন্ত্র। মূত্র-তন্ত্র দুইটা কিডনি , দুইটা ইউরেটার (কিডনি থেকে তরল বর্জ্য পদার্থ মূত্র-তলীতে আসার জন্য যে সংযোগ নল), একটা মূত্র-তলী (ব্লাডার) ও একটা মূত্রনালি (ইউরেথ্রা) নিয়ে গঠিত। এখন আসা যাক কি ভাবে এই মূত্র-তন্ত্র আমাদের দেহে কাজ করে । প্রথমে কিডনি আমাদের দেহের তরল পদার্থ ছেকে তরল বর্জ্য পদার্থ ইউরেটার দিয়ে পাঠীয়ে দেয় মূত্র-তলীতে । যখন এই মূত্র-তলী তরল পদার্থে ভর্তি হয়ে যায় তখনই আমাদের মূত্রত্যাগের অনুভূতি জাগে এবং সেই তরল পদার্থে মূত্রনালি দিয়ে মূত্র হিসেবে বের হয়ে আসে। এই হল মোটামুটি মূত্র-তন্ত্রের গঠন।
[img] http://www.virtualmedicalcentre.com/uploads/VMC/DiseaseImages/893_UTI.JPG [/img]

ছবিঃ- মানুষের মূত্র-তন্ত্রের গঠন

এই রোগটি হওয়ার কারণ গুলো কি কি ?

  1. মল ত্যাগের পর যদি মল দাঁর ভাল ভাবে পরিষ্কার না করা হয়। কারণ সেখান থেকে খুব সহজেই ব্যাক্টেরিয়া মূত্রনালিতে প্রবেশ করতে পারে।
  2. যদি যৌন সঙ্গীর ইউ টি আই তাহকে তাহলে সহ মিলনের (sexual intercourse) সময় অন্য সঙ্গী ও সংক্রিমত হতে পারে।
  3. অনেকক্ষণ যাবত মূত্র মুত্রতলীতে জমিয়ে রাখলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেকই দেখা যায় অনেকক্ষণ যাবত মূত্র জমিয়ে রাখে যেমন- টেলিভিশন দেখার সময়,বাসে বা ট্রেনে যাতায়াত করার সময়,জরুরী মিটিং এর সময়।
  4. জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করলে অনেক সময় এই রোগটি হয়ে থাকে। যেমন- স্পার্মিসাইড ( শুক্রাণু মারার জন্য একধরনের মলম), কনডম ইত্যাদি।
  5. যদি কারো কিডনিতে পাথর থাকে তাহলে। কারণ কিডনি পাথর স্বাভাবিক মূত্রত্যাগে বাধা প্রধান করে।
  6. যদি কারো ডায়বেটিক্স থাকে
  7. মহিলা দের মেনো-পেজের সময় এই রোগ প্রবণতা বেড়ে যায়।
  8. যদি কারও ক্যাতেটার ( এক ধরনের সরু নল,যে ব্যক্তি স্বাভাবিক ভাবে মূত্রত্যাগে করতে পারে না তাদের কে এই সরু নলটি মূত্রনালি দিয়ে ঢুকিয়ে মূত্র-থলী থেকে মূত্র বের করা হয়) ব্যাবহার করতে হয় তাহলে খুব সহজেই তার ইউ টি আই হতে পারে।
  9. সর্বোপরি পারসোনাল হাই-জিন (ব্যক্তি জীবনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন তা) যদি কেউ মেনে না চলে তাহলে এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যায়।
  10. গর্ভবতী মহিলারা এই রোগটির প্রতি খুবি সংবেদনশীল।

রোগ হওয়ার জন্য মূলত দায়ী কারা?

আগেই বলেছি এই রোগটি সাধারণত ব্যাক্টেরিয়া ধারা হয়ে থাকে।তার মধ্যে ৮০-৮৫ % হয়ে থাকে এসেরে-সিয়া কোলাই ( Escherichia coli ) নামক এক ব্যাক্টেরিয়া ধারা। স্ট্যাফাইলোকক্কাস স্যাপরোফাইটিকাস ( Staphylococcus saprophyticus) ব্যাক্টেরিয়াটি দায়ী ৫-১০ % ক্ষেত্রে। ক্ল্যাবসিলা, প্রোটিয়াস, সিউডোমোনাস, এন্টারোব্যাক্টার নামক ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা এটি হয়ে থাকে যখন মূত্র-তন্ত্রের কোন গঠনগত সমস্যা থাকে কদাচিৎ ভাইরাস বা ছত্রাক দ্বারা ও এই রোগটি হয়ে থাকে। এরা পুরুষের চেয়ে নারীদের বেশি সহজে আক্রমন করতে পারে কারণ নারীদের মূত্র-তন্ত্রের মূত্রনালি পুরুষদের থেকে খুবই ছোট তাই জীবাণুরা সহজেই নারীদের মূত্র-তন্ত্রের মূত্রনালিকে সংক্রমণ করতে পারে।

ছবিঃ- পুরুষ ও নারীর তুলনামূলক মূত্র-তন্ত্রের গঠন

রোগের লক্ষণ কি কি ?

আগেই বলে রাখি এই রোগের লক্ষণ রোগীর বয়স এবং লিঙ্গের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে।
ঘন ঘন মূত্রত্যাগের অনুভূতি কিন্তু কোন বারই যথেষ্ট পরিমাণ মূত্র ত্যাগ হবে না।
মূত্রত্যাগের সময় প্রচণ্ড ব্যথা এবং জ্বালা পোড়া অনুভব হওয়া।
শরীর দুর্বল হওয়া, মাংস পেশীতে এবং পেটের নিচের অংশে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
ঘোলা ও দুর্গন্ধ যুক্ত মূত্র ত্যাগ এবং মাঝে মাঝে মূত্রের সাথে রক্ত যাওয়া।
এই রোগটির তীব্র পর্যায়ে রোগীর সামান্য জবড় অনুভূত হতে পারে।
রোগীর কোমরের উপর অংশে ব্যথা হতে পারে।

রোগটি কিভাবে নির্ণয় করা হয় ?

সাধারণত চিকিৎসক এই রোগটি নির্ণয় করার জন্য দুইটি পরীক্ষা করে থাকেন
১। মূত্রের নিয়মিত পরীক্ষা (Urine Routine examination) :- রোগীর মূত্রের মধ্যে নানা উপাধান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকে। যদি মূত্রে অস্বাভাবিক পরিমাণে কোন উপাদান থাকে তাহলে বুঝা যায় সমস্যা আছে।
২। মূত্রের অবস্থিত জীবাণু পরীক্ষা করা (Urine culture) :- এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে রোগী কি জীবাণু দিয়ে ইউ টি আই তে আক্রান্ত হয়েছে তা প্রায় ১০০ ভাগ নিশ্চিত ভাবে জানা যায় এবং সেই জীবাণুটিকে কি এন্টিবায়োটিক দিয়ে মেরে ফেলা যাবে তাও জানা যায়।
এখন এই পরীক্ষা নিয়ে অল্প করে বলে নেই,সাধারণ অবস্থায় আমাদের মূত্রে কোন ধরনের অণুজীব থাকে না যদি কোন ভাবে সেই মূত্রে কোন ধরনের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাহলে সেখানে গলদ আছে বুঝা যায়। প্রথমে রোগীর কাছ থেকে মূত্র একটি জীবাণু মুক্ত পাত্রে সংগ্রহ করা হয় । সেই মূত্রকে মিডিয়াতে (জীবাণুর খাবার) দেয়া হয় যাতে করে মূত্রে উপস্থিত জীবাণু সেখানে বেড়ে উঠতে পারে তারপর সেই জীবাণুর উপর বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক রাখা হয়। যে এন্টিবায়োটিক সব থেকে বেশী পরিমাণ জীবাণু মেরে ফেলতে পারে সেই এন্টিবায়োটিক টি সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে বেশী কার্যকরী। চিকিৎসক সেই এন্টিবায়োটিকটিই চিকিৎসা-পত্রে রোগীর চিকিৎসা হিসেবে লিখে দেন।এই পরীক্ষাটাকে এন্টিবায়োটিক সেনসিটিবিটি টেষ্ট নামে বেশি পরিচিত

ছবিঃ- এন্টিবায়োটিক সেনসিটিভিটি টেষ্ট

অনেকেরই হয়ত এই পরীক্ষার জন্য মূত্র দিতে হয়েছে কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে কি দেয়া হয়েছে? কিছু নিয়ম আছে কিভাবে সঠিক ভাবে মূত্র সংগ্রহ করা উচিত।

  • প্রথমে হাত, লিঙ্গ বা যোনিপথ, লিঙ্গ বা যোনিপথের আশেপাশে এলাকা সাবান দিয়ে ভাল করে দুয়ে নিন।
  • তারপর মূত্রের মধ্যম অংশটুকু ( মূত্রের প্রথম অংশটুকু টয়লেটে করুন তারপর মধ্যম অংশটুকু পাত্রে নিন আবার শেষ অংশটুকু টয়লেটে করে বের হয়ে আসুন) একটি জীবাণু মুক্ত পাত্রে সংগ্রহ করুন।
  • মূত্র সংগ্রহের পর পাত্রটির মুখ ভালভাবে বন্ধ করে দিন খেয়াল রাখবেন যেন কোন হাতের স্পর্শ না লাগে পাত্রের মূত্রে তাতে করে পরীক্ষার ফলাফল ভুল আসার সম্ভাবনা থাকে।
  • যদি কারো এই রোগটি দ্বারা পূনঃ সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় যেমন- আলট্রাসাউন্ড, ছিটি স্ক্যান, এম আর আই ইত্যাদি।

এই রোগের চিকিৎসা কিভাবে করা হয়?

আগেই বলেছি এই রোগটি মূলত জীবাণু দ্বারা হয় সেই জন্য এই রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যাবহার হয় এন্টিবায়োটিক। এন্টিবায়োটিক জীবাণুকে ধ্বংস করে রোগীকে সুস্থ করে তুলে।কিন্তু বাজারে তো অনেক ধরনের এন্টিবায়োটিক পাওয়া যায় তার কিন্তু সব এন্টিবায়োটিকই একজন রোগীর মধ্যে কাজ করবে তেমন টা কিন্তু ভাবার কারণ নেই। এটা নির্ভর করে ঐ রোগী কি জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন কারণ এক এক এন্টিবায়োটিক এক এক জীবাণুর প্রতি সংবেদনশীল। অনেকর দেখা যায় বার বার এই রোগটি দ্বারা আক্রান্ত হন সেই ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা খুবই কার্যকরী।

কি কি ব্যবস্থা নেয়া যায় এই রোগটি প্রতিরোধের জন্য?

প্রচুর পরিমাণ পানি পান করে।
যখনই মূত্র ত্যাগের ইচ্ছা জাগবে সাথে সাথে মূত্র ত্যাগ করে ফেলা উচিত।
সহ-মিলনের পর অবশ্যই মূত্র ত্যাগ করতে হবে এতে করে মূত্রনালি পরিষ্কার হয়ে যায়।
পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখবেন সেটা পরিষ্কার কিনা। হাই কোমট ব্যবহার করার সময় সেটা পানি ধুয়ে নিবেন যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে কোমটের উপর টিস্যু পেপার বিছিয়ে দিয়ে বসবেন এতে করে জীবাণু আপনার শরীরে সংস্পর্শে সহজে আসতে পারবে না।
একই কাপড় অনেক দিন যাবত পরিধান করা থেকে বিরত থাকুন করে কারণ অনেক দিন যাবত ব্যবহার করার ফলে সেখানে জীবাণু বসবাস করা শুরু করে দেয় এতে করে জীবাণু সহজে আক্রমণ করতে পারে। যেমন:- একই প্যান্ট অনেক দিন যাবত ব্যবহার করা
তামাক ও অ্যালকোহল দ্রব্য পরিহার করুন।
বেশি করে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খান। যেমন:- ফলের রস, শাক সবজী ইত্যাদি।

মহিলারা এই রোগটি দ্বারা সব থেকে বেশি আক্রান্ত হন ইউ টি আই দিয়ে। শতকরা ৬০ ভাগ মহিলার জীবনে কোন না কোন সময়ে ইউ টি আই হয়ে থাকে। এই রোগটি কোন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি সংক্রমিত হয় না। এই রোগের প্রাথমিক দিকে তেমন সমস্যা হয় না কিন্তু যদি এটি কিডনি পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় তাহলে রোগীর জন্য ভয়ানক ঝুঁকি হতে পারে।

ছবিসূত্রঃ- উকিপিডিয়া
---ভালো মানুষ
(বিশ্বজিৎ পোদ্দার)
দক্ষিন কোরিয়া


মন্তব্য

অরফিয়াস এর ছবি

ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন, অনেকেই এই জিনিসটা নিয়ে সংকোচ বোধ করে যেটা ঠিক না, সবার এ সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানা খুব দরকার

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ধূসর জলছবি এর ছবি

চলুক এ ব্যাপারটাতে আসলেই সচেতনতা বাড়ানো দরকার ।

পদ্মজা এর ছবি

চলুক
বাংলার কন্যা, জায়া, জননী'রা এই ইউ,টি,আই রোগে হরহামেশা ভোগেন। সব শ্রেণী, পেশা আর স্তরের মহিলারা আক্রান্ত হতে পারেন। অজ্ঞতা আর অবহেলা এই রোগের সহায়ক।
রোগ সম্পর্কিত সব কিছুই লিখেছেন।
জটিলতার মধ্যে বন্দ্ধ্যাত্ত্ব, গর্ভপাত, কিডনি ফেইলিউর, হাইপারটেনশন এইগুলাই প্রধান।
ভাল লাগলো।

guest_writter এর ছবি

ধন্যবাদ, বিশ্বজিৎ। খুব ভালো, তথ্যসমৃদ্ধ একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য।

দীপাবলি।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বাহ। ভালো বিষয়ে লিখেছ বিশ্ব।

কিছু টাইপো/বানান ভুল রয়েছে। লেখার পর একবার দেখে নিলে এই সমস্যাটা কমে যায়। পরেরবার সতর্ক হতে চেষ্টা করো হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারেক অণু এর ছবি

চলুক

খুব ভালো লিখেছেন। এমন আরো নানা বিষয় নিয়ে লিখুন, দূর হোক অজ্ঞানতা জ্ঞানের আলোতে।

দ্যা রিডার এর ছবি

অনেক কিছু জানতে পারলাম । ধন্যবাদ

অন্যকেউ এর ছবি

লেখার বিষয় নির্বাচন প্রশংসনীয়। কিন্তু ভুল বানান আর বিরামচিহ্ন বিচ্যুতির কারণে বারবার হোঁচট খেতে হয়। আশা করছি কাটিয়ে উঠবেন। লেখনী সচল থাকুক।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

শাব্দিক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
আচ্ছা ইউ টি আই, পূর্ণরূপ কি ইউরনারি ট্র্যাক ইনফেকশন?

ভালো মানুষ এর ছবি

হ্যা আপনি ঠীকই বলেছেন।।।।।।
ধন্যবাদ আপনাকে

স্বাধীন এর ছবি

কার্যকরী পোষ্ট চলুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ডাক্তারেরা সাধারণ ভাষায় ইউরিন ইনফেকশান বলতে যা বোঝায়, এটা কি সেটাই?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ভালো মানুষ এর ছবি

হ্যা সেটাই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশ্ন বা ইউ টি আই বলে

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

কাজের লেখা। দরকারে আসবে অনেকের চলুক

-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

গ্রেগরীয়ান বালক এর ছবি

সচলে এই রকম পোষ্ট আরো আসুক।

তাপস শর্মা এর ছবি

খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। একটা প্রশ্নঃ ইউ টি আই এর ফলে কি যৌনাঙ্গে কোন ধরণের ইনফেকশানও হতে পারে? মানে ঘা জাতীয় কিছু কিংবা অন্য সাইড ইফেক্ট।

ভালো মানুষ এর ছবি

যদি আমি আপনার প্রশ্ন বুঝে থাকি তাহলে উত্তর হবে না , মানে ইউ টি আই এর ফলে যৌনাঙ্গে কোন ধরণের ইনফেকশ হয় না বা ঘা জাতীয় কিছু হয় না তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গ ও ইউরেত্রা একই তাই সেখানে চুলকানি হতে পারে মাঝে মাঝে।

অন্ত আফ্রাদ এর ছবি

ইউ টি আই এর ফলে যৌনাঙ্গে কোন ধরণের ইনফেকশান হয়, এই রকম কোন ফলাফল এখনো পর্যন্ত কোন গবেষণায় উঠে আসে নি। ইউ টি আই আক্রান্ত দুইজনের যৌনমিলনের ফলস্বরূপ যে শিশু জন্ম নেয় তারও এই রোগে আক্রান্ত হবার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে গর্ভবতী মহিলাদের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে যেটা বিশ্বদা পোস্টেই বলেছেন।

ইউ টি আই এর এমনিতে পেটে ব্যথা ও আরও ছোটোখাটো কিছু সমস্যা ছাড়া কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবে কখনো কখনো এর কারণে কিডনিতে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে যা এমনকি কিডনিকে অকার্যকর পর্যন্ত করে দিতে পারে।

উচ্ছলা এর ছবি
আমি শিপলু এর ছবি

হাততালি চলুক

অন্ত আফ্রাদ এর ছবি

বিশ্বদা, খুবই সহজভাবে দুর্দান্ত লিখেছেন। কিছু বানান আর যতিচিহ্ন ভুল আছে, এর বাদে সব তথ্যই চমৎকারভাবে দিতে পেরেছেন। জানলাম অনেককিছু পড়ে।

চলুক। চলুক

যুমার এর ছবি

চলুক

ভালো মানুষ এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভাল একটা বিষয় নিয়ে লিখছেন। কিছু বানান ভুল আছে, ব্যাপার না। একটু সতর্ক থাকলেই হবে।

ভালো মানুষ এর ছবি

ধন্যবাদ ফাহিম ভাই

অতিথি লেখক এর ছবি

দরকারি পোস্ট চলুক

ইফতি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।