রুনি-সাগর দম্পতিঃ পরিকল্পিত হত্যা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১২/০২/২০১২ - ১২:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ সকালে বিডি-নিউজ টোয়েন্টিফোরে প্রথম খবরটা আসে, রাজধানীতে সাংবাদিক দম্পতি খুন হয়েছেন। বিডি-নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি-

“শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি। শনিবার সকাল ৭টার দিকে সাগর-রুনির পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মেঘ ঘুম থেকে উঠে বাবা-মায়ের শোবার ঘরে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায়। “
বাবা মায়ের লাশ দেখতে পেয়ে মেঘ তার নানীকে ফোন করে জানায় যে তার বাবা-মা মরে গেছে।
ঘটনাটি কতখানি হৃদয়বিদারক, বলার অপেক্ষা রাখেনা। পাঁচ বছর বয়সী ক্ষুদ্র মনে এর প্রভাব কি পড়েছে, আমাদের অবস্থানে থেকে উপলব্ধি করাও অসম্ভব।

এই বিষয়টি এই লেখায় উঠে আসার কারণ, খুনের রহস্যজনক চরিত্র।

প্রথমেই খবর থেকে আমরা জানতে পাই-

১। খুন হয়েছে শুক্রবার গভীর রাতে।

২। সেদিন রাতে সাংবাদিক সাগর সরওয়ার নিজেই অফিস থেকে ফেরেন বেশ রাতে, বাড়ির সিকিউরিটি গার্ডের বক্তব্য অনুসারে, সাগর সরওয়ার বাড়ি ফেরেন আন্দাজ রাত দুটোর দিকে, একা, তার সাথে সঙ্গী ছিলো না কেউ।

৩। পুলিশ অনুসন্ধানে আবিষ্কৃত হয়, সাংবাদিক দম্পতির রান্নাঘরের গ্রিল কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, প্রায় ১ ফুট ৮ ইঞ্চির মতো ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে, এই ছোট ফোকর গলে কোন বাচ্চা হয়তো ঢুকতে পারবে।

৪। থানার ওসির ভাষ্যমতে, সকাল সাতটার দিকে ঘুম ভেঙে উঠে মেঘ তাদের বাসায় দুইজনকে দেখে। তারা চলে যাবার পর মেঘ দরজা আটকায়, বাবা মায়ের ঘরে গিয়ে বাবা মায়ের মৃতদেহ দেখতে পায়। এই দুইজনকে আগে কোনো এক পিকনিকে দেখতে পেয়েছিলো, পুলিশকে বলেছে মেঘ।

৫। পুলিশ ডাইনিং টেবিলে অর্ধ-ভুক্ত ডিমভাজা ও রুটি আবিষ্কার করেছে।

৬। সিকিউরিটি গার্ড পুলিশকে জানিয়েছে ফজরের নামাজের কিছু আগে সাগর-রুনিদের ফ্ল্যাটের নিচতলার বাসিন্দা এবং ওই ভবনের মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ নুরুন্নবী ফোন করে সিকিউরিটি গার্ডকে জানিয়েছিলেন যে তিনি উপরতলা থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন।

৭। বিডি-নিউজ টোয়েন্টিফোর প্রতিবেদনে পাই- “সাগর-রুনির পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হামিদা সুলতানা জানান, রুনিদের বাসায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর কথাবার্তার শব্দ শুনে তার ধারণা হয়েছিল- বাসায় মেহমান এসেছে। তবে ভবনের গেইটে নিরাপত্তারক্ষীদের লগবুকে শুক্রবার কোনো অতিথি আসার তথ্য পাওয়া যায়নি।“

ফরেনসিক এক্সপার্টদের বক্তব্য অনুযায়ী-

আঘাতের ধরণ দেখে মনে হয়েছে, খুনি অপেশাদার।

লাশের ময়না-তদন্তকারী এই চিকিৎসক জানান, সাগরের দেহে ১৯টি বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল। এছাড়া ছোটখাটো আরও ২০-২৫টি কাটা দাগ পাওয়া গেছে।

“তার বুকের বাম পাশে একটা ছুরির ৮০ ভাগ গেঁথে ছিল। এখানে সেটা বের করা হয়েছে। ছুরির বাট ছিল না।”

রুনির পেটে বড় ধরনের দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে জানিয়ে সোহেল মাহামুদ বলেন, “রক্তনালী কেটে যাওয়ায় তার মৃত্যু দ্রুততর হয়েছে।”

এই খবরগুলো পড়ে মনে হয়, খুন পূর্বপরিকল্পিত। পুলিশের অভিমতও তেমন।

রান্নাঘরের গ্রিল কাটার ব্যাপারটা করা হয়েছে খুব সম্ভবত অনুসন্ধানকারীর দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নেয়ার জন্য।

যারা খুন করেছে, তারা এই দম্পতির পূর্ব-পরিচিত। দিনের কোন এক সময় তারা দারোয়ানকে এড়িয়ে বাড়িতে আসে। রুনার পরিচিত হওয়ায় তারা বাড়িতেই রয়ে যায়, পাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশিনীর বক্তব্য সঠিক হলে, সন্ধ্যার সময় বাড়িতে মেহমান ছিলো। তারা গেল কোথায়?

খুব সম্ভবত তারা যায় নি। অপেক্ষা করছিলো সাগরের জন্যে। সাগর অফিসে ছিলেন রাত দেড়টা পর্যন্ত, বাড়ি ফেরেন আনুমানিক রাত দুটোয়। বাড়ি ফিরে অতিথিদের দেখে অবাক হন নি, বরং ব্যাপারটা স্বাভাবিক ছিল, কারণ সাগর বাড়ি ফিরে ফেইসবুকে তার লেখা বই সংক্রান্ত স্ট্যাটাস আপডেট করেছেন।

রাত আরও গভীর হলে এই পূর্ব-পরিচিত খুনিরা, সাগর-রুনি কে ছুরি আর অন্য কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে। ব্যাপারটাকে অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য রান্নাঘরের গ্রিল কাটে, সকাল হয়ে গেলে ডিম-রুটি দিয়ে নাশতা করে হেলে-দুলে বেড়িয়ে পড়ে।

ঠাণ্ডা মাথায় খুনের নৃশংসতায় শিউরে উঠতে হয়। কিন্তু এর চেয়ে বেশি ভাবায়, খুনিদের আচরণ। কে এরা, খুনের মোটিভ কি, কেন এত কনফিডেন্টলি এরা খুন করে বেড়িয়ে যেতে পারলো?

সকালে বের হবার সময় সিকিউরিটি কি এদের দেখতে পায় নি?

শিশুটিকে ওরা রেহাই দিলো কেন? উত্তর হতে পারে, ওদের গা-ঢাকা দেয়ার বন্দোবস্ত করেই ওরা এসেছে। এখন হয়তো ওরা নাগালের বাইরে চলে গেছে।

অথবা,

হয়তো ওরা এখানেই আছে। মিশে গেছে পরিচিতদের ভিড়ে।

অনুসন্ধিৎসা থেকে এই পোস্টের অবতারণা। একজনের চিন্তায় যা পরিষ্কার ধরা পড়ে না, অনেকের চিন্তায় তা ধরা পড়তে পারে। হয়তো আমাদের মাঝে কেউ এমন কিছু জানি, যাতে সত্য উদঘাটনে সহায়তা হবে?

পৃথিবীর কোন শিশুর জীবনে এমন সকালের পুনরাবৃত্তি না ঘটুক, এই কামনায় শেষ করছি।

--অর্জুন

সূত্রঃ


মন্তব্য

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমার কাছে মনে হয়েছে তারা ওই ভবনেরই অন্য কোনও এক ফ্ল্যাটে বা ছাদে লুকিয়ে থেকে পরে যখন দুর্ঘটনার সংবাদ শুনে অনেক মানুষের সমাগম ঘটে, সেই ফাঁকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। আর যদি তারা সেই সকালেই বেরিয়ে যেতো, তবে দারোয়ার অবশ্যই জানতো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অরফিয়াস এর ছবি

ঘটনা দেখেছি, নিজেও কিছু লিঙ্ক দেখেছি, ঘটনা যতটুকু জানতে পারলাম, তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে প্রথমেই কোনো ভাবে বাসার ভেতরে অবস্থান নিয়েছিলো খুনিরা, আর গ্রীল কাটার পদ্ধতিটা অনেক পুরনো, অনেকগুলো চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনায় খুনিরা দৃষ্টি ঘোরানোর জন্য এই পদ্ধতি ব্যাবহার করেছে, আর বাসায় দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে খুন করা হলো কিন্তু কোনো অস্বাভাবিক শব্দ হলোনা কিংবা বাচ্চা ছেলেটি জেগে গেলনা এটা একটু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের দরকার, খুনি পূর্বপরিচিত না হলে এগুলো সম্ভবনা, আর বাসার সিকিউরিটি নিজের দায়িত্ব অবহেলার ঘটনা ঢাকতে পুরো সত্যি বলছেনা এটা বোঝা যাচ্ছে, নাহলে ফোন পাওয়ার পড়ে সে খোঁজ নিতে গিয়েছিলো কিনা সেটা তথ্যে আসেনি|

নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকে সরকারের লাগাতর ঔদাসীন্য দেখে আর একটি ছোট শিশুকে এভাবে অনাথ হতে দেখে বাক্যহারা|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

সাফি এর ছবি

পুরা ব্যাপারটার এখন পর্যন্ত যেই বর্ণনা পড়লাম তা খুবই জটিল এবং বিভ্রান্তকর। আশা করব তদন্তকারী সংস্থা রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হবে শীঘ্রই।

তাপস শর্মা এর ছবি

বীভৎস।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

বিল্ডিংয়েরই কেউ, এমন সম্ভাবনা কি নাকচ হয়ে গেছে ইতোমধ্যে?

Shamim Khan এর ছবি

খুবই মর্মস্পর্শী ব্যাপারটা। বোঝা যায়, খুনীদের ওই বাড়ীতে অবাধ প্রবেশের সুযোগ ছিল। কাছের কেউও হতে পারে। কিন্তু কেন? দেখি কি আসে সামনে।

ভবঘুরে এর ছবি

খুব সম্ভবত সিকিউরিটি গার্ড মিথ্যা কথা বলেছে। যদি সে জড়িত না থাকে তাহলে খুনিরা তার চোখ এড়িয়ে কোনোভাবে ঢুকেছে এবং বের হয়ে গিয়েছে যদিও সেটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব কিছু না। অথবা খুনিরা অন্য কোনো ফ্ল্যাট এ এসেছিল এবং সেই ফ্ল্যাট থেকে নিহতদের ফ্ল্যাটে যেয়ে তাদের হত্যা করে বের হয়ে গিয়েছে (গার্ড বলেছে সে কাউকে বের হতে দেখেনি।সুতরাং তার জবানবন্দি কতটুকু সত্য তা নিয়ে সন্দেহ থাকা যুক্তিযুক্ত) / খুনিরা অন্যা কোনো ফ্ল্যাটের বাসিন্দা সম্ভবত না কারণ তাহলে নিহতদের ছেলে তাদের কে আগে দেখে থাকতে এবং চিহ্নিত করতে পারার সম্ভাবনা থাকে এবং তা থাকলে তাদের মেঘ কেও খুন করে যাবার কথা ছিল।
নিহতদের শরীরে এলোপাথাড়ি আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশ ধারণা করছে হত্যাকারীরা অপেশাদার।
প্রশ্নঃ মেঘ খুনিদের কে দেখে ফেলার পরেও তারা তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কেন? অপেশাদার বলে একটা ছোট শিশু কে আঘাত করতে পারেনি?

হিমু এর ছবি

বাচ্চাটা বলেছে, লোকগুলো রাতে ঘরে ডিম দিয়ে ভাত খেয়েছে। অচেনা লোককে রাতে ডিম দিয়ে ভাত খেতে দেবে না কেউ। কাজেই খুনীরা ঐ দম্পতির পরিচিত, কিন্তু বাচ্চাটার অত পরিচিত নয়।

ঘটনা এমন, দুটো লোক কোনো এক সময় বাসায় এসেছে। রুনি তখন বাসায়। লোক দুটো তার উপস্থিতিতে ডিম দিয়ে ভাত খেয়েছে। তারপর তারা ঘরে অপেক্ষা করছিলো সাগরের জন্য। রাত দুটোর দিকে সাগর বাড়ি ফিরেছে। এরপর কয়েক ঘন্টার মধ্যে লোক দুটো তার হাত পা বেঁধে ছুরি মেরেছে দু'জনকেই। তারপর তারা গ্রিল কেটেছে ডাইভার্শনের জন্য। তারপর চলে গেছে। তারা যদি চলে যায়, দারোয়ান জেগে থাকলে অবশ্যই তাদের চলে যেতে দেখেছে।

মোটিভটা কী, সেটাই প্রশ্ন।

আশরাফ এর ছবি

১। সাগরের শরীরে ২১ বার স্ট্যাব করা হয়েছে কিন্তু রুনির শরীরে খুন করার উদ্দেশ্যে কয়েকটি স্ট্যাব করা হয়েছে। এ থেকে অনুমান করা যায় সাগরের উপর অনেক বেশী ক্ষোভ ছিল।
২। রুনির মা এবং নানা'র পরিবার রাজাবাজারের স্থায়ী নিবাসী। ঘটনার দিন রুনির ভাই সন্ধ্যার পরে রুনির বাসায় এসেছিল বলে খবরে এসেছে। রুনির মায়ের সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ ছিল কিনা এটা নিশ্চয় পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
৩। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতি, বিশেষ করে সন্তু লারমার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে শুনেছি সাগর তার সাম্প্রতিক প্রকাশিত বইয়ে অনেক কিছু লিখেছেন। এটা নিয়ে কোন মহল ক্ষুব্ধ ছিল কিনা ভেবে দেখার বিষয়।
৪। রুনির ভাই নওশের নোমানের পেশা কি ছিল, আর্থিক সচ্ছলতার ব্যপারে বোন বা দুলাভাইয়ের উপর নির্ভরশীলতা ছিল কিনা এসব বিষয় অনুসনধানে নিশচয় বেরিয়ে আসবে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বন্ধু কেউ এই হত্যার সাথে জড়িত তাতে কোন সন্দেহ নেই।

যারা খুন করেছে তারা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বন্ধু নয়। কিন্তু ঘনিষ্ঠ আত্মীয় বন্ধুর কল্যানে ওরাও অতরাতে ফ্ল্যাটে থেকে যেতে পেরেছে সাগরের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও।

খুনীরা বাচ্চাটির পরিচিত মুখ হলে বাচ্চাটিরও ক্ষতি করতো। যারা খুন করিয়েছে তারা বাচ্চাটিকে খুন করতে বলেনি।

খুনীরা খুন করার পর ওই ফ্ল্যাটের কোন একটা বাসায় কিংবা ছাদে থেকে গিয়েছিল। ও বিল্ডিং এ রুনিদের ঘনিষ্ঠ কারো বাসা আছে কিনা জানা দরকার।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

শামীম এর ছবি

ভয়াবহ এই ঘটনার খবর জেনে গত রাতে ঘুমাতে পারিনি - হরহামেশা খুন হত্যা দেখে ভোতা অনুভুতিযন্ত্রটাও এ ঘটনায় কিছুটা প্রতিক্রিয়া দেখালো। বাচ্চাটার জন্য অসম্ভব কষ্ট লাগছে - নিজের সন্তানকে ঐ অবস্থায় কল্পনা করলে নিজের কল্পনাশক্তিকে মেরে ফেলতে ইচ্ছা করে।

খুনিরা ধরা পড়ে উপযুক্ত শাস্তি পাক; আর বাচ্চাটা ভালভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ ও শক্তি পাক।

---
মেঘের মামার মত কাছের আত্মীয় স্বজন দ্বারা এটা সরাসরি হয়নি বলে মনে হচ্ছে -- সেক্ষেত্রে মেঘ ওদেরকে ভালভাবেই চিনতে পারতো।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আমি যতবার মেঘ-এর ছবি দেখছি কোথাও; ভিতরটা কুঁকড়ে যাচ্ছে; কে যেন খামচে ধরছে বুকের ভিতরটা। মেঘের চেহারার সাথে আমার বাচ্চার চেহারা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে প্রতিটিবার।

আশরাফ এর ছবি

ফোন অপারেটররা ভয়েস কল এর ব্যাক আপ রাখেন কিনা কে জানে। ডাটা সাইজ যেহেতু অনেক বড় হওয়ার কথা সেক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশ না পেলে ব্যাক আপ রাখার কথা না। রাত নয়টায় রুনি বাসায় আসার পরে ঘাতকরা আসে। সাগর বাসায় ফেরে দেড়টায়। এর মাঝে হয়ত কে এসেছে সে ব্যাপারে রুনি-সাগরের ফোনে কথা হয়।

হিমু এর ছবি

খুনের পর যদি খুনীরা ঐ বাসায় বসে মোবাইলে কারো সাথে যোগাযোগ করে থাকে, তাহলে সেটা ঐ বাসা যেসব সেলের অধীনে আছে, সেগুলোর কললিস্টে থাকবে। ঐ সময়ের ভেতরে ঐ সেলগুলোতে রুনি-সাগরের সাথে আগে ফোনে যোগাযোগ করেছে এমন নাম্বারগুলো সক্রিয় ছিলো কি না, চেক করলে মেজর ক্লু পাওয়া যেতে পারে।

নৈষাদ এর ছবি

এই ব্যাপারটা আজই চিন্তা করছিলাম। সাংবাদিক দম্পতির গত এক মাসের কললিস্টে যত নাম্বার আছে, সেই রাতে কতগুলি সক্রিয় ছিল এবং সেই বাসা অপারেটদের যে সব বিটিএসের অধিনে, সেই রাতে সেসব বিটিএসের থেকে কল করা হয়েছিল কিনা এভাবে এগোলে হয়ত গুরুত্বপূর্ন ক্লু পাওয়া যেতে পারে। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ইদানিং বেশ জটিল কেস সলভ করার কথা শুনেছি।

আশরাফ এর ছবি

খুনীকে ইতোমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে http://www.banglanews24.com

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

আশা রাখি যথেষ্ট শাস্তির ব্যবস্থা হবে ।

নাশতারান এর ছবি

খবরের লিংক দিন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।