আমার আমি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০২/২০১২ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সবার নিজের ভেতরেই রয়েছে একটি নিজস্ব মানুষ। সে মানুষটি কখনো হয়ে যায় খুব কঠোর, কখনো কোমল। কখনো খুব যৌক্তিক, কখনো যুক্তিহীন শিশুর মত। যেন একের ভেতরে বহু। একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলে তার বাবা-মায়ের ব্যক্তিত্ব, আচরণ, ভাবনা, পরিবেশ, চারপাশের মানুষ। ব্যক্তি তার নিজের মধ্যে এর প্রত্যেকটিকে ধারণ করে। একটু সময় নিয়ে ভাবলেই নিজের মধ্যে খুঁজে পাবেন আপনার বাবা-মায়ের গুণগুলো বা দোষগুলো। আবার প্রাপ্তবয়ষ্ক হলেও আমরা শৈশবকে ধরে রাখি। সেটা প্রকাশ পায় আমাদের আচরণে, কাজে, কথায়। শৈশবের যে কাজগুলো করতে আমাদের ভাল লাগত, সুযোগ পেলে এখনো সেসব করতে মন চায় অথবা করি। এর মধ্যে আবার গড়ে উঠেছে নিজের একটি আলাদা ব্যক্তিত্ব। প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে তিনটি এগো (ego) অবস্থা। এগুলো হলো ঃ Parent (P), Adult (A) ও Child (C)।

যেমন ধরুন একটি তিন বছরের শিশু যদি তার বাবাকে খাবার সময়ে টেবিলে ডেকে এনে খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে, তবে সেটা সে তার Parent (P) এগো থেকে করছে। আবার যদি কোন প্রাপ্তবয়ষ্ক ব্যক্তি ডাক্তারের কাছে ইনজেকশন দিতে যেয়ে ভয়ে হাউমাউ করে কেঁদে হুলস্থুল বাঁধিয়ে ফেলেন তবে সেটা হবে তার Child (C) এগো। আবার ঐ ব্যক্তিটিই হয়ত রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা ধরে বসে থাকেন। কারণ এ জ্যাম তিনি নিজের ইচ্ছে মত নিয়ন্ত্রণ করে সরাতে পারবেন না। Adult (A) অবস্থা থেকে এরকম ভেবে তিনি জ্যামটাকে মেনে নিচ্ছেন। যে কোন ব্যক্তির মধ্যেই আবেগের এ তিনটি অবস্থা দেখা যায় এবং এক অবস্থা থেকে আরেক অবস্থায় আচরণ উঠানামা করে।

Parent (P) অবস্থার আবার আরো দুটি রকম দেখা যায়। একটি হল কর্তৃত্বপরায়ন। একে CP (Critical বা Controlling Parent) দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এ অবস্থায় ব্যক্তির আচরণ হয় অন্যকে নিয়ন্ত্রনমূলক। অন্যের প্রতি তার প্রত্যাশা থাকে বেশি। এ অবস্থায় ব্যক্তি সাধারণত অন্যের প্রতি নেতিবাচক মন্তব্য করে থাকে। এমন কি উপহাসও করে থাকে। Parent (P) অবস্থার আরেকটি রকমকে NP (Nurturing Parent) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এ অবস্থায় ব্যক্তির অন্যের প্রতি মনোভাব খুবই সহযোগিতাপূর্ণ, উদার, ক্ষমাশীল, যত্নশীল, সহানুভূতিশীল থাকে। ব্যক্তি অন্যের প্রতি প্রশংসা বা উৎসাহ দিয়ে মন্তব্য করে থাকে।

Adult (A) অবস্থায় ব্যক্তির আচরণ, চিন্তা হয় সংযত, যৌক্তিক, বাস্তবভিত্তিক, যথাযথ।
Parent (P) অবস্থার মত Child (C) অবস্থারও আরো দুটি রকম দেখা যায়। একটি হল FC (Free Child)। এ অবস্থায় ব্যক্তি থাকে প্রফুল্ল, উদ্যমী, দুঃশ্চিন্তামুক্ত, স্বতঃস্ফূর্ত, চ্যালেঞ্জিং, কৌতুহলী, আত্নবিশ্বাসী, চঞ্চল। তবে কখনো কখনো এ অবস্থায় ব্যক্তির মধ্যে সেচ্ছাচারিতা, স্বার্থপরতাও দেখা যায়। আরেকটি রকম হল AC (Adapted Child)। এ অবস্থায় ব্যক্তি সহজেই অন্যের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে। অন্যের সাথে তার আচরন হয় সহযোগিতাপূর্ণ। ব্যক্তি্র আচরণে পরমতসহিষ্ণুতা, শান্ত, ধৈর্যশীল, নম্র, লাজুক, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ইত্যাদি গুণগুলো দেখা যায়।

আপনার নিজের মধ্য কোন এগোটির অবস্থা কেমন সেটা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন এগোগ্রাম আঁকা হলে। নিজের এগোগ্রাম নিজেই খুব সহজে ও সুন্দর করে আঁকা যায়। একটি আনুভূমিক রেখাকে একটি অক্ষ ধরে এগোগ্রামটি আঁকা যায়। সেখানে নিজের ৫ টি এগো CP, NP, A, FC ও AC ৫টি লম্ব রেখার মাধ্যমে আঁকতে হবে। প্রথমে নিজের একটি এগোর কথা ভাবুন, যেটি আপনার মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকাশ পায়। তারপরে এর সাথে তুলনা করে বাকি এগোগুলো আঁকবেন।


এখানে আমার নিজের এগোগ্রাম টা দিয়ে দিলাম। বাহ, আমি তো দেখছি বেশ যুক্তিসঙ্গত আচরণ করে থাকি বেশির ভাগ সময়! তবে একটু বেশি FC, মাঝে মাঝে সত্যি আমি এগ্রেসিভ।

নিজের এগোগ্রাম বিশ্লেষণ করে নিজের সবল ও দূর্বল দিকগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। একটি এগো অবস্থা বেশি উপরে বা নিচে নেমে এলে এর সাথে সম্পর্কিত অন্য এগোটিও পরিবর্তিত হয়। যেমন, কারো এগোগ্রামে যদি CP রেখাটি বেশি বড় হয়, তবে NP রেখাটি ছোট হবে। এগোগ্রাম বিশ্লেষণ করে মনোবিজ্ঞানীরা কারো মধ্যে বিষন্নতা বা আত্নহত্যা প্রবনতা আছে কিনা চিহ্নিত করতে পারেন, ব্যক্তি কোন পেশায় সফল হতে পারেন, দাম্পত্য সম্পর্ক, বাবা/মা-সন্তানের মধ্যে সম্পর্ক, সহকর্মী বা বসের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে পরামর্শ দিতে পারেন। আপনার এগোগ্রাম এঁকে নিজেকে নতুন করে আপনিও চিনে নিতে পারেন। তবে এটা মনে রাখতে হবে, একজন ব্যক্তির এগোগ্রাম সময় ও পরিস্থিতির সাথে সাথে পরিবর্তন হতে পারে।

*John M. Dusay এই এগোগ্রামের উদ্ভাবক।

-------------------------------------------------------------------------------------------------

রাজকন্যা

-------------------------------------------------------------------------------------------------

কিছু মুহূর্ত
বর্তমানের অতীত
ভাইভা
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে

ছবি: 
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

টি ডট কে এট ‌ইয়াহু আপনি?

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনাকে বলব কেন? চোখ টিপি

সত্যপীর এর ছবি

আরে মজার তো।

কিন্তু আমি নিজে নিজের গ্রাফ আঁকলে জিনিষটা নিরপেক্ষ হবে কিনা চিন্তার বিষয়। ক্লোজ বন্ধুবান্ধব দিয়ে এগোগ্রাম করিয়ে দেখলে হয়। বজ্জাতগুলা অবশ্য ইচ্ছা করে আমার চার্ট হালুয়া করে দেবে ইয়ে, মানে...

..................................................................
#Banshibir.

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

বজ্জাতগুলা অবশ্য ইচ্ছা করে আমার চার্ট হালুয়া করে দেবে

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

এই স্মাইলিটা আমার লাগবেই লাগবে ।
কোথায় পাব ? কিভাবে পাব ? আর কিভাবে দেব ?
দয়া করে জানান ।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

পাইছি পাইছি দেঁতো হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

দেখছেন কাইণ্ড উত্তেজনার ঠেলায় একটা জিনিস তো দিতেই ভুইল্যা গেছি ।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
guesr_writer rajkonya এর ছবি

এখানেই তো কবি নিরব।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এক দম্পত্তি কাউন্সেলরের কাছে গিয়েছিল। কাউন্সেলর স্বামীকে বললেন স্ত্রীর আর স্ত্রীকে বললেন স্বামীর এগোগ্রাম আঁকতে। অবশ্যই লুকিয়ে। আঁকা হলে কাগজটা নিজের কাছে রেখে দিলেন। এরপরে তাদেরকে নিজের নিজের গ্রাফ আঁকতে বললেন। এবার গ্রাফগুলো মিলিয়ে কাউন্সেলর দেখতে পেলেন স্বামীর আঁকা স্ত্রীর গ্রাফ ও স্ত্রীর নিজের আঁকা নিজের গ্রাফ মিলে গেছে। কিন্তু স্ত্রীর আঁকা স্বামীর গ্রাফ (যেটা সঠিক ছিল), স্বামীর আঁকা নিজের গ্রাফের সাথে মিলছে না। স্বামীটি দাবি করল, তার আঁকা গ্রাফটা সঠিক। স্ত্রী বললেন, তাই যদি হত, তাহলে আজকে এই কাউন্সেলরের কাছে আমাদের আসতে হতো না!

দেঁতো হাসি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

লেখা
মজার বিষয় তো। হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

উচ্ছলা এর ছবি

চলুক চলুক

আমার ভেতর বাড়াবাড়ি রকমের FC বিদ্যমান দেঁতো হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

উচ্ছলা, আপনার এসি টা আরেকটু বাড়ানো দরকার। দরকার আমারও। ইয়ে, মানে...

চরম উদাস এর ছবি

হাততালি
এই ধাক্কায় আপনি সচল না হইলে আমার CP আর NC দুইটাই হাই হয়া যাবে বলে রাখলাম।

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

উদাস ভাই, CP বুঝলাম কিন্তু NC? চিন্তিত

আমার কেন যেন মনে হয় আমার নিজের গ্রাফ নিজে করলে ঠিক হবে না। কেননা আমি আমাকে যেইটা দেখতে পছন্দ করি সেইটাই দেখাব। মানে অন্যের কাছে যদি মনে হয় আমার CP বেশি আমি হয়তো দাবী করবো যে আমি NP টাইপ।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

NC বা বলে বলেন আরসি। এটা হলো বিদ্রোহী শিশু।

কুমার. এর ছবি

মজারু। চলুক

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

বাহ বাহ দারুন জিনিস তো । হাততালি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

ফাহিম হাসান এর ছবি

চমৎকার!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

কিন্তু আপনাদের গ্রাফগুলো কোথায়? একটু দেখা দরকার!
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আজহার এর ছবি

প্যারেন্ট, চাইল্ড, এবং এডাল্ট এগো স্ট্যাট খুব প্রাঞ্জলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

TA বোঝার পর দেখ্লাম আমার মধ্যে ক্রিটিক্যাল প্যারেন্ট আর এডাপ্টিভ চাইল্ড বেশি। যাইহোক, আস্তে আস্তে সেগুলোকে কমিয়ে এডাল্ট আর ফ্রি চাইল্ড বাড়িয়েছি।

চমৎকার এই ধারণাটি (তত্ত্ব) দিয়েছেন আমেরিকান মনোচিকিৎসক এরিক বার্ন, যার নাম ট্রানজেকশনাল এনালাইসিস বা টিএ। আত্ব-উন্নয়ন ও সম্পর্ক উন্নয়নে টিএ অত্যন্ত কার্যকরী একটি টুল।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এরিক বার্নের নাম তো শুনি নি! আমি জন এম ডুসেয়র নামই জানি।
এরিক বার্ন সম্পর্কে আরো কিছু জানা থাকলে আমাদেরও জানান।
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আজহার এর ছবি

এরিক বার্ন টিএ এর প্রবক্তা। ইন্টারনেটে Eric Berne and Transactional Analysis দিয়ে সার্চ দিলে বিস্তারিত অনেক কিছুই পাওয়া যায়। আমি ভালোভাবে গুছিয়ে লিখতে পারিনা!!!! বাংলাদেশে ঢাবি'র এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগে টিএ জোড় দিয়ে পড়ানো হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র টিএ ওপর ডিপ্লোমা দেয়।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আমি তো জন এম ডুসেয়র নামই খালি পাই। এগোগ্রাম দিয়ে সার্চ দিলে এই ভদ্রলোকের নামও চলে আসে।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

মনে হয় বুঝতে পেরেছি ব্যাপারটা। পি, সি, এ এই ধারণাগুলোর প্রবক্তা হলে এরিক বার্ন। আর এগোগ্রাম বানিয়েছেন জন ডুসেয়।
আমি নিজে অবশ্য মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী নই।

আজহার এর ছবি

মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী না হয়েও মনোবিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহী হওয়া প্রশংসনীয়। হ্যা, ইগোগ্রাম টিএ'র একটা ধারণা। আমি মোটামুটি টিএ প্র্যাকটিস করি কারণ এটা আমাদের (কাউন্সেলিং সাইকোলজি) কোর্সের অন্যতম অংশ ছিল। টিএ তে মানুষের পরস্পরের মধ্যে যে যোগাযোগ হয়, বাচনিক, অবাচনিক দুটোই, সেগুলো খুব ভালোভাবে এনালাইসিস করা হয়। প্যারালাল, ক্রস, কম্লিমেন্টারি ট্রানজেকশন এবং এর থেকে যে মানসিক গেইম আমরা নিজের অজান্তেই খেলি, তা চমৎকারভাবে ব্যাখ্যা করে টিএ। পুরো ব্যাপারটাই ইন্টারেস্টিং, কিন্তু বোঝার জন্য ক্লায়েন্টকে একটু পরিপক্ক হতে হয়।

নিটোল এর ছবি

ইন্টারেস্টিং জিনিস।

_________________
[খোমাখাতা]

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হুম হাসি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

কেউ কেউ সন্দিহান হয়ে পড়ছেন, নিজের এগোগ্রাম নিজে আঁকতে পারবেন না বলে। এই সামান্য একটা ব্যাপার নিয়েও অন্যের উপর নির্ভর করার কথা ভাবছেন। এমন মন্তব্য পড়ে আমি একটু বিরক্তই হলাম। CP আমার হাই হয়ে গেল। :-@ নিজের এগোগ্রাম আঁকার মত যথেষ্ট আত্নবিশ্বাসী কি তাহলে আমরা এখনো হয়ে উঠিনি? নিজেকে নিরপেক্ষভাবে, সততার সাথে বিচার করতে পারি না? নিজের স্বত্তা নিয়ে কখনোই কি আমরা ভাবি না? নিজেকে আমরা চিনি না?
নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষটি তো আমি নিজে। আর কেউ না জানুক, চিনুক আপনি তো আপনাকে চেনেন। সুতরাং সময় নিয়ে ভাবলে নিজের এগোগ্রাম কেন নিজেই ঠিকমত আঁকা যাবে না? অন্যের মতামতের গুরুত্ব অবশ্যই থাকবে। তাই বলে নিজের প্রতি বিশ্বাস হারালে কি চলে? (এই কথাগুলো NP থেকে বললাম)

নাকি নিজেই বুঝতে পারছেন, নিজের এগোগ্রাম এতই বাজে যে অন্যের সামনে দেখানো যাবে না? (FC থেকে কথাটা বললাম

অমিত আহমেদ এর ছবি

আপনি বিরক্ত হতে পারেন, তবে এটা স্বাভাবিক। বেশ গবেষণাও হয়েছে এই নিয়ে। দেখা গেছে দুই ধরনের মানুষ নিজেদের ভুল নিরিখ করে। যারা তুলনামূলক ভাবে বেশি বহির্মুখী, আত্মবিশ্বাসী। এবং যারা বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন ও যাদের আত্মাদর কম। বুদ্ধিমান এবং যারা মনে করেন সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে আছে (locus of control) তারা সাধারণত নিজেদের সঠিক যাচাই করতে পারেন। দেখা গেছে যারা নিজেদের সঠিক নিরিখ করতে পারেন তারা সাধারণত সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। যারা পারে না, তারা "পারবো না" এই ভয়ে থাকে, সমস্যা অস্বীকার করে, এবং হাল ছেড়ে দেয়। গুগল স্কলারে খুঁজলে অনেক আর্টিকেল পাবেন এই নিয়ে।

লেখাটি ভালো লেগেছে। এই ধরনের লেখা আরো লিখবেন আশা করি।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

আজহার এর ছবি

নিজের সবচেয়ে কাছের মানুষটি তো আমি নিজে। আর কেউ না জানুক, চিনুক আপনি তো আপনাকে চেনেন।

আমার মনে হয়, নিজেকে চেনার কাজটা অতটা সহজ না, যতটা আপনি ভাবছেন। সত্যি বলতে কী, মানুষ যদি আসলেই এবং পরিপূর্ণরূপে নিজেকে চিনতে পারে, বুঝতে পারে, তাহলে আর কিছুই লাগে না। সকল দুঃশ্চিন্তা, হতাশা থেকে রেহায় পেত, ফটাফট সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারত। সাফল্য তার পিছে পিছে ছুটতো। এই 'আমার আমি' বড়ই বিচিত্র!

guesr_writer rajkonya এর ছবি

নিজেকে পুরোপুরি না হোক, কিছু তো অন্তত সবাই চেনে! ঐটুকু নিয়ে তো দ্বিধা থাকার কথা নয়! আঁকুন না নিজের এগোগ্রাম, নিজের মত করে (লোক দেখানো সুন্দর না হলেই হলো)। আর এগোগ্রাম আঁকতে গিয়ে নিজেকে নিয়ে নতুন করে ভাবাও হবে, চেনাও হবে। নিজেকে চেনা, নিজেকে জানা সব সময়ই খুব জরুরি। না চিনতে পারলেই তো হতাশা আর দুশ্চিন্তা এসে ভর করে!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দারুণ লাগলো!
আমার মধ্যে NP ব্যাপারটা প্রবল বোধহয়।
আমার এক বন্ধু বলে, ভাগ্যিস আমি ডাক্তার হইনি। নয়তো কারো হালকা জ্বর দেখলেই নির্ঘাত তাকে টাইফয়েডের ওষুধ খাইয়ে তার বারোটা বাজিয়ে দিতাম। ইয়ে, মানে...

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

guesr_writer rajkonya এর ছবি

মাঝে মাঝে একটু সিপি হবারও দরকার আছে। বেশি এনপিও মনে হয় ভাল নয়। হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

মনে হয় আবার কী!
ভালো যে নয়, সে তো বুঝি।
কখনো কখনো যার ওপর চাপানো হচ্ছে, তার জন্য ব্যাপারটা বিরক্তিকর। মন খারাপ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

guesr_writer rajkonya এর ছবি

হা হা হা

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

বাহ্! দারুণতো।

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।