সোহেল তাজঃ অহমের বলি?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০৪/২০১২ - ১১:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের রাজনীতির জগত এই মুহুর্তে ঘটনাবহুল। মাত্র কিছুদিন আগে কালোবিড়াল-খ্যাত রেলমন্ত্রীর টাকার বস্তা সংক্রান্ত গল্প ফিরছিলো মানুষের মুখে মুখে। সেই গল্পের আমেজ এখনো পুরো ফুরায়নি। এরমধ্যেই পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মায় টিভির টকশো তক চিবানোর মতো নতুন নতুন গল্প পাচ্ছি আমরা।

আমাদের রাজনীতির জগত এই মুহুর্তে ঘটনাবহুল। মাত্র কিছুদিন আগে কালোবিড়াল-খ্যাত রেলমন্ত্রীর টাকার বস্তা সংক্রান্ত গল্প ফিরছিলো মানুষের মুখে মুখে। সেই গল্পের আমেজ এখনো পুরো ফুরায়নি। এরমধ্যেই পাড়ার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মায় টিভির টকশো তক চিবানোর মতো নতুন নতুন গল্প পাচ্ছি আমরা।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের প্রতিবাদে হরতাল হলো তিনদিন। কালও তারা হরতাল ডেকেছে। ডাকসাইটে কোনো সন্ত্রাসীর এভাবে সকল আলো কেড়ে নিয়ে আলোচিত হওয়া দুঃখজনক, তবুও কোনো সন্ত্রাসীর স্বজনদেরও বুক এভাবে খালি হোক তা আমরা চাই না।

এসবেরমধ্যেই নতুন করে ফিরে এসেছে আরেক গল্প। তবে গুম-ইস্যুর কারনে এই গল্পটা মনে হয় বেশি মনোযোগ পাচ্ছেনা। এই গল্পের কেন্দ্রে আছেন তরুন আওয়ামী তুর্কি তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ)।

নাম শুনলেও এই তাজউদ্দীনপুত্রকে প্রথম দেখি স্বরাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পরে, টিভিতে। ছোট-খাঁড়া চুলের ভদ্রলোককে দেখে প্রথমে একটু চমকে গিয়েছিলাম, 'লুকিং ফর শত্রুজ' বাবরের সাথে তার আপাত মিল দেখে। একটু পরেই অবশ্য তার বক্তব্য বাবরের সাথে তার মিলের ইতি টেনে দেয়।

এর প্রায় ৫ মাস পর সোহেল মনোযোগ কেড়ে নেন পদত্যাগের মাধ্যমে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে [১]। কিন্তু সোহেল তাজ দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও সরকারের পক্ষ বলা হচ্ছিল তিনি ছুটিতে আছেন। প্রায় দেড়মাস পর তিনি আবারও তার পদত্যাগের বিষয়ে গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি জানান যে, ২০০৯ এর ৩১ মে থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন এবং সেই দিন থেকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কোনো সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন না[২]। সোহেল তাজ ওয়াশিংটনে বার্তা সংস্থা নিউজ ওয়ার্ল্ডকে বলেন,

সংবিধানের ৫৮(১)-ক ধারাতে পদত্যাগ করেছি আমি। সেটা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছি নিজ হাতে। নিয়ম অনুযায়ী একজন মন্ত্রী পদত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিলে তা কার্যকর হয়ে যায়। তারপর রাষ্ট্রপতিকে সেটা অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এই হিসেবে ৩১ মে থেকে আমি আর মন্ত্রী নেই। আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণের স্মারক নম্বরও রয়েছে।

আরও বলেন,

পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসি। সংবিধান অনুযায়ী আমার পদত্যাগপত্র কার্যকর হয়ে গেছে। এখন আমাকে মন্ত্রী হিসেবে অভিহিত করা হবে সংবিধান লংঘনের শামিল।

পদত্যাগের কারন সম্পর্কে সোহেল তাজ বলেন,

এখন এসব বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা সমীচিন হবে না। সবার শুভ কামনা করি। দেশ, জাতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিলাম। তবে একটি মানুষের বড় সম্বল হচ্ছে তার নীতি, আদর্শ ও আত্মসম্মানবোধ। এসবকে বিসর্জন দিয়ে মন্ত্রীত্ব করার লোক আমি নই। পারিবারিক ঐতিহ্য ও জনপ্রতিনিধিত্বের সম্মানকে অটুট রাখা মন্ত্রীত্বের চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে সোহেল তাজ কাউকে কোনো ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চান না বলে জানান।

কিন্তু, ২৪ আগস্ট তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে পর্যন্ত কাগজে-কলমে তিনি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীই ছিলেন! তাঁর এই নতুন নিয়োগ গেজেট আকারে ছাপা হলেও সেটা গোপন রাখা হয়। সোহেল তাজের নিয়োগের বিষয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য না করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওপর কড়া নির্দেশ দেয়া হয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের নীতিনির্ধারকদের পক্ষ থেকে।এসময়ে ও পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাকে বেশ কয়েকবার প্রতিমন্ত্রীর প্রটোকল দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। সোহেল তাজ সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদে আর না ফিরার ব্যাপারে অনড় থাকেন[৩]।

অনেকদিন পর গত ১৮ই এপ্রিল তিনি আবার খবরে আসেন, প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও কেন তাঁর ব্যাংক হিসাবে সরকারি বেতন-ভাতা যাচ্ছে, তা জানতে চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে চিঠি দিয়েছেন-এই মর্মে। দুই চিঠির মধ্যে একটিতে তিনি প্রতিমন্ত্রীর বেতন ও ভাতা বন্ধ না হওয়ায় বিস্ময় ও উষ্মা প্রকাশ করেন। অপর চিঠিতে পদত্যাগপত্র কেন এখনো কার্যকর করা হয়নি, তা জানতে চান তিনি[৪]। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,

পদত্যাগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন (গেজেট নোটিফিকেশন) জারি না হওয়ায় সোহেল তাজ এখনো দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী। আর মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা যে পারিতোষিক পান, তা তাঁরা সই করে নেন না।মহাহিসাবরক্ষকের কার্যালয় থেকে পারিতোষিক তাঁদের ব্যাংক হিসাবে যায়।

কিন্তু সোহেল তাজ বলছেন পদত্যাগের পরও তার ব্যক্তিগত হিসাবে একসঙ্গে পাঠানো প্রতিমন্ত্রীর মাসিক পারিতোষিক ও ভাতাদি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য বা কাম্য হতে পারে না। কারণ, প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে তিনি নিজ নামে মাসিক বেতন-ভাতার চেক নিজ স্বাক্ষরে গ্রহণ করতেন।

আমাদের সংবিধানের ৫৮(১) অনুচ্ছেদের ‘ক’ উপদফায় বলা আছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ব্যতীত অন্য কোনো মন্ত্রীর পদ শূন্য হইবে যদি তিনি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করিবার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট পদত্যাগপত্র প্রদান করেন।’ সংবিধানে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা না করার কোনো সুযোগ কারও জন্য রাখেনি। কিন্তু পরদিন প্রথমবারের মত পরিষ্কারভাবে জানা গেলো, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। সরকারের একটি বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেলো যে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সোহেল তাজের বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে জানিয়েছেন, যেহেতু সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি, তাই তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই থাকবেন[৫]। আর আজকে জানা গেলো সোহেল তাজ জাতীয় সংসদের সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করার ইচ্ছা পোষণ করে পত্র পাঠিয়েছেন সংসদের স্পিকারের কার্যালয়ে[৬]। এরপরই মিললো তার খোলা চিঠিঃ আর সক্রিয় রাজনীতি নয়[৭]। পদত্যাগ সম্পর্কে এই খোলা চিঠিতে তিনি বলছেন,

কথার পেছনে অনেক কথা থাকে। অনেক লুকায়িত সত্য থাকে। যা দেশ, জনগণ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে জনসম্মুখে বলা উচিত না। আর তা সম্ভবও নয়। শুধু এইটুকু বলি, আমি ‘সংগত’ কারণেই এমপি ও মন্ত্রিত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। যে কয়দিন দায়িত্বে ছিলাম, মন্ত্রিত্বের শপথ থেকে বিচ্যুত হইনি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। দুর্নীতি অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত সোচ্চার ছিলাম। যখন মনে করেছি, আমার সীমিত ক্ষমতায় জনগণের প্রতি দেওয়া কমিটমেন্ট আর রক্ষা করা সম্ভব নয়, তখন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।

মন্ত্রিত্ব থেকে তার পদত্যাগের কারনটি অপেন সিক্রেট। সেসময় ফেসবুক-ব্লগ-প্রথাগত গণমাধ্যম সর্বত্রই এটি আলোচিত হয়েছিলো। ইকবাল মাহমুদ টুকু ইস্যুতে টুকুর ভায়রা বিশিষ্ট নটরাজ শেখ সেলিম সোহেলের সাথে বিশ্রী আচরণ করেছিলো বলে খবর এসেছিলো। ফেসবুক-ব্লগে এমনকি গাঁয়ে হাত তোলার কথা পর্যন্ত এসেছিলো। তারপর এই পদত্যাগ। আমরা জানি, সোহেলের মা জোহরা তাজউদ্দীন, সৈয়দ আশরাফ[১] এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে তাকে বুঝিয়েছেন, সোহেল অনড় থেকেছেন তার সিদ্ধান্তে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন যেকোনোভাবেই হোক সোহেল তাজকে মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনতে। এর একটা কারন হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে উইকিলিক্সের বরাতে এই খবরে, যেখানে বলা হচ্ছে 'হাসিনা দলে একটি নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তুলতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজকে বাছাই করেছেন', 'তিনি হাসিনার ‘দিন বদলের’ প্রচারণার প্রতিনিধিত্ব করেন' ইত্যাদি।

অন্যদিকে, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যাকাণ্ডের শিকার চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের রাজনীতিতে সক্রিয় রাখতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা[৩]।এটাও সোহেল তাজকে মন্ত্রিসভায় সংযুক্ত রাখার কারন হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী মনে করেছিলেন, কোনো এক সময় সোহেল তাজের অভিমান ভাঙবে। তখন তিনি হয়তো মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে মন্ত্রিসভায় সংযুক্ত রেখেছিলেন[৩]।কিন্তু এখানে যে অভিমানের কথা এলো তা এত প্রশমনঅযোগ্য হয়ে পড়ার কারণ কী? আমি পরিচিত আওয়ামীলীগারদের একটা বড় অংশকে দেখেছি ব্যাপারটাকে বাড়াবাড়ি হিসেবে দেখতে। তাদের মতে ইগোর চর্চা করে সোহেল দলকে বেকায়দায় ফেলছে। আসলেই কি তাই? তরুণ এই তুর্কির অপমানের কোনো বিহিত আসলেই কি হয়েছিলো? অভিযোগের তীর যার দিকে তাকে কি কোনো জবাবদিহিতা বা ভর্তসনার মুখে পড়তে হয়েছিলো? আমার ধারনা উত্তরটা, না।

কিন্তু অনিচ্ছাসত্ত্বেও মন্ত্রিসভায় থাকা সোহেলকে বিব্রত করেছিলো। অন্যদিকে শেখ হাসিনাও তাকে রেখে দেয়ার ব্যাপারে অনড়। মন্ত্রিসভা থেকে বিযুক্ত হতে সোহেলের সামনে ৫৮(১) অনুচ্ছেদের ‘খ’ উপদফার দেখানো পথটিই শুধু খোলা ছিলো- 'সংসদ-সদস্য না থাকা'। পাশাপাশি, সাংসদ হয়েও দীর্ঘদিন এলাকায় বা দেশে না থাকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছিলেন। একারনেই হয়ত এমনকি সাংসদের পদ থেকেও ইস্তফার সিদ্ধান্তটা নিলেন সোহেল।

কালোবিড়ালরা যখন বমাল ধরা খেয়েও গদির জন্য নিতম্বের মহব্বত বিসর্জন দিতে পারেনা, তখনই আত্মসম্মানের জন্য কাউকে পদ বা স্বার্থত্যাগ করতে দেখা শুধু বিষ্ময় তৈরি করে। অন্যদিকে, উদ্দেশ্য যাই থাক, পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করার অসাংবিধানিক চর্চাটিও হতবাক করে।

রব

[তথ্যসূত্র]
[১]Sohel Taj turns in 'resignation'
[২]৩১ মে থেকে আমি মন্ত্রী নই : প্রথম আলোর খবরটির কপিপেস্ট লিঙ্ক
[৩]সোহেল তাজকে নিয়ে এখনো লুকোচুরি
[৪]মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরও বেতন কেন?
[৫]আপত্তি সত্ত্বেও সোহেল তাজ বহাল
[৬]পদত্যাগপত্র পাঠালেন সোহেল তাজ
[৭]সোহেল তাজের খোলা চিঠি


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এইসব আচরনে তাকে অপরিপক্ক অহমসর্বস্ব ব্যক্তি বলেই মনে হয়েছে, কৌশলী রাজনীতিক মনে হয়নি। আর তার এইধরনের ঝামেলা পাকানোর টাইমিংটা ও বড়গোলমেলে।
বিডিআর বিদ্রোহের পরপর দল যখন বিপর্যস্ত সোহেল তাজ তখন ত্যাগ করলেন মন্ত্রীত্ব, সুরঞ্জিত আর ইলিয়াস নিয়ে দল যখন আবার কোনঠাসা তখন তিনি ত্যাগ করলেন সংসদ সদস্য পদ। শেখ হাসিনা তাকে শেষপর্যন্ত স্নেহ করেছেন।

তার বাবা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মন্ত্রীত্ব ছাড়লেও দল ছাড়েননি, ছাড়েননি লিডারের সান্নিধ্য। ছাড়লে হয়তো জেলহত্যার শিকার হতে হতোনা। শৈশবের এই দুঃসহ অভিজ্ঞতাই হয়তো সোহেলতাজকে পলায়নপর করেছে। রাজনীতি নোংরা কাদা মাখার চেয়ে আমেরিকায় গাড়ির ব্যবসা করা তার কাছে নিরাপদ মনে হয়েছে। গুডলাক মিঃতাজ।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

র ব এর ছবি

মোরশেদ ভাই,

টাইমিংটা গোলমেলে হলেও সোহেল দলকে বিপাকে ফেলার জন্য এসব করেছেন বলে মনে হয়নি। তিনি ঐ কিসিমের পলায়নপর হলে বিগত রাজনৈতিক সরকারের সময় যখন টপাটপ কিবরিয়া-আহসানুল্লাহ মাস্টারদের লাশ পড়ছিল, তখনই গাজীপুর-৪এর এই সংসদ-সদস্য কেটে পড়তেন।
কৌশলের অভাব হয়ত আছে, আবার অপমান হজম করে অমেরুদন্ডীর মত কলা-মুলার ভাগ না নিয়ে বেরিয়ে যাওয়াটাকেও কেন জানি মন্দ বলতে পারছি না।

রব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

নাহ। দলকে বিপাকে ফেলার জন্য করেছেন, আমি সেটা বলিনি। আদৌ দলকে বিপাকে ফেলার মতো রাজনৈতিক শক্তি তার আছে কিনা সেটা ও প্রশ্নসাপেক্ষ।
আগেই বলেছি, এটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কোন জীবন তিনি বেছে নেবেন। তবে এই সিদ্ধান্ত তাকে তাজউদ্দিন বানায়না- এটা ও তাদের বুঝা দরকার যারা তাকে তার বাবার মতো আদর্শবাদী বলে বাহবা দিচ্ছেন।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হিমু এর ছবি

সোহেল তাজকে বকা দিয়ে কোনো লাভ নাই। একটা অসৎ গুণ্ডার চটকানার প্রতিকার শেখ হাসিনা যোগাতে না পারলে জোট সরকারের আমলের তিন বছর টানা পুলিশের পিটানি খেয়ে যাওয়া তানজিম আহমেদ থাকবেন কেন?

আওয়ামী লীগ হাই কমাণ্ড নেতাদের কাছ থেকে কুকুরের আনুগত্য চাইলে তো হবে না।

আনোয়ার এর ছবি

সহমত

র ব এর ছবি

আমারও ধারনা শেখ হাসিনা নটরাজ সেলিমকে কিচ্ছুটি না বলে অপেক্ষাকৃত কম বয়স্ক তাজকে সোনা বাবা না, বড়রা-চুল পাকিয়ে তামার তার বানানো মুরুব্বিরা ওমন করলে ধরতে নেই- টাইপ কিছু বুঝাতে গেছিলেন।

তাসনীম এর ছবি

ঠিক কথা।

কৌশলের চেয়ে আত্মসম্মান বড়। ওই গুন্ডা বদমাশটাকে কাছে রাখা, দরকারের সময় শুয়োরের বাচ্চা এরশাদকে কোলে তোলা, জামাতের সাথে আন্দোলন, মৌলবাদীদের সাথে চুক্তি --- এই সবই আমাদের নষ্ট রাজনীতির কৌশল। আমরা কৌশল করতে করতে ঋজু হয়ে দাঁড়ানো ভুলে গেছি।

যদি তাজউদ্দীন সরে যেতেন যথাসময়ে সোহেল তাজকে পিতাহীন বড় হতে হতো না। আদর্শের রাজনীতি আওয়ামী লীগ নিজের হাতেই জবাই করেছে।

সোহেল তাজকে শ্রদ্ধা - সোজা হয়ে দাঁড়ানোর হিম্মতের জন্য। এই দেশে এই হিম্মত থাকলে মরতে হয়।

সোহেল তাজকে শ্রদ্ধা - এই ফকিন্নির পোলা রাজনীতিকদের মতো দেশ লুটার পরে বেতন বাড়ানো বিল না আনায়।

এই দেশের বহু রাজনীতিকের বিদেশে বাড়ি আছে, গোপনে রেসিডেন্সি রাখেনও কেউ কেউ। এই সব কৌশল বাদ দিয়ে নিজের জীবনের প্রায়োরিটিটা উনি সৎ ভাবে বেছে নিয়েছেন।

শুধু যাওয়ার আগে ওই খানকির পোলাটারে একটা চড় মাড়া উচিত ছিল। এইটা ওনার অসমাপ্ত কাজ। আশাকরি একদিন উনি ওইটাও করবেন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সদানন্দ ঘরামী এর ছবি

গুরু গুরু

রব এর ছবি

দারুন বলেছেন ভাই। গুরু গুরু

আর নটরাজের কানচাপার সদগতি একদিন হবে- এই কামনা করি।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

হাসান এর ছবি

গুল্লি মন্তব্বের জন্নে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সাফি এর ছবি

চলুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

যদি তাজউদ্দীন সরে যেতেন যথাসময়ে সোহেল তাজকে পিতাহীন বড় হতে হতো না।

ঠিক, তাজউদ্দীন প্রবাসে বইসা লম্বা লম্বা কথা বলতে পারতেন।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সাফি এর ছবি

কিংবা প্রবাসে বইসা ছোট্ট করে চিমটি কাটতে পারতেন।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

হুঁ, কিন্তু সেই চিমটি মনে হয় না টার্গেট মিস করত। সঠিক লোকের গায়ে লাগত।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ঠিক কথা।
যথাসময়ে সরে না গিয়ে তাজউদ্দীন ভুলই করেছিলেন হাসি , এরপর আবার জোহরা তাজউদ্দীন ও ভুল করেছেন আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারীদের একজন হয়ে। জনক ও জননীর এই ভুল এবার সংশোধন করলেন সোহেল তাজ যথাসময়ে সরে গিয়ে।

'শুধু যাওয়ার আগে ওই খানকির পোলাটারে একটা চড় মাড়া উচিত ছিল।' জ্বি, সেই সাথে উচিত কাপাসিয়াবাসীর পা ধরে মাফ চাওয়া, যারা তার মতো অর্বাচীনকে নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলো যে আইনকানুনকে তুচ্ছ করে সাড়ে তিনবছরের প্রায় পুরো সময়টাই নিজের এলাকা ছেড়ে বিদেশে গিয়ে বসে ছিলো আর ঐখান থেকেই ত্যাগের মহিমা রচনা করেছে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

akash এর ছবি

জনাব হাসান মোরশেদ,
'সেই সাথে উচিত কাপাসিয়াবাসীর পা ধরে মাফ চাওয়া, যারা তার মতো অর্বাচীনকে নিজেদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেছিলো যে আইনকানুনকে তুচ্ছ করে সাড়ে তিনবছরের প্রায় পুরো সময়টাই নিজের এলাকা ছেড়ে বিদেশে গিয়ে বসে ছিলো আর ঐখান থেকেই ত্যাগের মহিমা রচনা করেছে'--- এই কথাটি কি এতদিন খেয়াল হয় নাই? নাকি এখন নিজের দলের লুঙ্গী ধরে টান পড়ছে বলে এসব মনে পড়ছে?

আপনি-ই এক কমেন্টে লিখেছেন, শেখ হাসিনার বিশেষ স্নেহ ধন্য ছিলেন এই সোহেল তাজ সাহেব। তাহলে কি এম পি নমিনেশন, মন্ত্রিত্ব এসব কিছুর একমাত্র যোগ্যতা এই স্নেহ ধন্য হওয়া! এজন্য-ই তো আপনার দৃষ্টিতে-ই অযোগ্য আর স্বার্থপর একটা লোক এম পি ও মন্ত্রী হলো! এর জন্য তো যারা তাকে এম পি, মন্ত্রী বানালো তাদেরকে দোষারোপ করা উচিত। তাই নয় কি ভাই?

নাসির এর ছবি

হাসান মোরশেদ সাহেব ফেবুতেও এটা নিয়ে খুব হা-পিত্যেস করছেন দেখলাম ! বিরোধিতা করায় অবলীলায় বলে দিচ্ছেন 'অরাজনৈতিক ভোদাই' ! আপনার মত দলীয় দালাল হবার চাইতে ভোদাই বা অর্বাচীন দুটোর কোনটা হওয়াই যে বেশি অসম্মানের নয় এটা বোঝার মত দৃষ্টিশক্তি আসলে আপনার নেই !

সাফি এর ছবি

নাসির সাহেব ফেসবুকের বিষয় সচলে কেন? যেহেতু আপনি ওনার হা-পিত্যেস দেখতে পারছেন তাহলে নিশ্চয়ই সেখানে মন্তব্যও করতে পারেন। আপনার আপত্তিটা ওখানে করাই কি ঠিক হতোনা?

নাসির এর ছবি

ফেবুতেও তিনি একই কথা ব্যবহার করেছেন বলেই জবাবটা এখানে দেয়াটা অসমীচীন, বা অপ্রাসঙ্গিক, বোধ হয়নি ! সাফি সাহেব , ঔচিত্যবোধের এতটুকু আমার আছে । ধন্যবাদ ।

তারেক অণু এর ছবি

তাসনিম ভাইয়ের সাথে সহমত

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

চলুক

নুভান এর ছবি

চলুক

 টুটুল এর ছবি

"জোট সরকারের আমলের তিন বছর টানা পুলিশের পিটানি খেয়ে যাওয়া তানজিম আহমেদ থাকবেন কেন?"
ভালো একটা পয়েন্ট ধরছেন। মানুষ কেমনে জানি সব ভুলে যায়। জোট সরকারের আমলে যারা আওয়ামীলীগের হয়ে কথা বলত, তাদের কেউই এখন আর দলে সেইভাবে নাই।এই হচ্ছে হাসিনার মূল্যায়ন। এখন আছে ড. মাল মুহিত যে সবাইকে স্টুপিড মনে করে।

রব এর ছবি

তার পক্ষে আর থাকা কেন একদমই অসম্ভব হয়ে পড়েছিলো, তা জানতে আমিও আগ্রহী। সমাধানের দায়িত্ব যাদের ছিলো, সমস্যাটি সমাধানের যথাবিহীত সমস্ত চেষ্টা তাদের তরফ থেকে হয়ে থাকলে তাজকে অহমসর্বস্ব বলতে আমার কোনো দ্বিধা নেই।আর সোহেল তাজের তাজউদ্দীন হওয়া না হওয়া নিয়ে কথার কোনো প্রয়োজন আমি দেখিনা। আমার ধারনা, আর কেউ তাজউদ্দীন হবেনা।

রব এর ছবি

মোরশেদ ভাই, আরেকটু যোগ করি।

দলকে বিপাকে ফেলার ক্ষমতা আসলেই সবার থাকেনা। ১/১১ এর আগের বাতিল নির্বাচনে নাহিদের আসনে উনাকে না দিয়ে এক ধর্ম-দোকানদারকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো। যারা দিয়েছিলেন তারা জানতেন নাহিদ বিপাকে ফেলবেন না। ভোট নষ্ট করবেন না। অন্যদিকে, বর্তমান সংসদের একমাত্র যুদ্ধাপরাধী সদস্য নিজের আসনে হেরেও সংসদে এসেছে ফটিকছড়িতে মনোনীত পেয়ারুলের বিপরীতে সাবেক সাংসদ রফিকুল বিপাক বাঁধানোয়।

ভূক্তভোগীটি তাজ না হয়ে সেলিম নটরাজ হলে আমার ধারনা, হাসিনা ভালোকরেই বুঝে যেতেন বিপাকের শ্রেণিবিন্যাস। বা ম্যাও সুরঞ্জিতের কথাও যদি ধরি, জনমভর ইয়াব্বড়ো বড়ো কথা বলে বলে শেষমেশ এমন শুটকিসহ ধরা পরে মাইনক্যাচিপায় থাকলেও আগামী নির্বাচনে তার আসনে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে আম্বুরা অন্য কাউকে দিয়ে দেখুক বিপাক কত প্রকার ও কী কী!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

একই কথা আমি ও বলছি।
একজন সোহেল তাজ মন্ত্রীত্ব ছাড়বেন, সংসদ সদস্য পদ ছাড়বেন, (সাময়িক) রাজনীতি ও ছাড়বেন- বাংলাদেশের ফালতু ঝুটঝামেলা না সামলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিরাপদ জীবন বেছে নেবেন- এটা তার স্বাধীনতা, এই অধিকার অবশ্যই তার আছে।

কিন্তু অরাজনৈতিক ভোদাইরা যখন তাকে 'বাপকা বেটা' বলে সাবাস দিচ্ছে তখনই আপত্তি। সোহেল তাজ কেউনা কিন্তু তার পিতা এই জাতির সম্পদ। 'বাপকা বেটা' বলে ভোদাইরা সোহেলকে তার বাপের উচ্চতায় তুলছেনা বরং তাজউদ্দীনকে নামিয়ে আনছে সোহেলের কাতারে।
তাজদ্দীন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো পিছু হটেননি এবং নিশ্চিতভাবেই সোহেল তাজের চেয়ে অনেক অনেক ভয়ংকর পরিস্থিতি তাকে সামলাতে হয়েছে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রব এর ছবি

তাজউদ্দীন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো পিছু হটেননি এবং নিশ্চিতভাবেই সোহেল তাজের চেয়ে অনেক অনেক ভয়ংকর পরিস্থিতি তাকে সামলাতে হয়েছে।

শতভাগ একমত।

কিন্তু 'অরাজনৈতিক ভোদাইরা' 'বাপকা বেটা' বলে সোহেলকে তার বাপের উচ্চতায় তুলছেনা বরং তাজউদ্দীনকে নামিয়ে আনছে সোহেলের কাতারে- এই কথাটায় আপত্তি আছে। অন্য কারো কাজের কারনে ক্রিটিক্যালি কারো মহত্ত্ব কমে বলে মনে করিনা। অবশ্য, ঐতিহ্যিকভাবে সন্তানের ভুল/অপরাধকে মা-বাবার ব্যর্থতা হিসেবেই দেখা হয়। তাজউদ্দীনের আরো সন্তান আছে। তারা যদি বাবার কাছ থেকে কিছু শিখে থাকে, ছোটটি বাবাকে বেশিদিন না পেয়েও অগ্রজদের কাছ থেকে কিছু না কিছু শিখার কথা। আর মা ত ছিলেনই। তাই, সোহেল মস্তানি-রংবাজি, বস্তাসহ ধরা খাওয়া, খাম্বাবাজি, শতাংশবাজি, খুন-ধর্ষণ-রাহাজানি ইত্যাদি করলে তাজউদ্দীনের মহত্ত্বে টান পড়তে পারত। কিন্তু সন্তানের 'সাধারনত্ব' 'মহত্ত্বময়' মা/বাবাকেকে খাটো করে কীভাবে?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

করে এইভাবে যে, অরাজনৈতিক ভোদাইরা সোহেলতাজকে তাজউদ্দীনের পুত্র হিসেবেই সাব্বাস দিচ্ছে তার পলায়নপরতার জন্য। যদিও এই ভোদাইরা তাজউদ্দীনের রাজনীতি বিষয়ে তেমন কিছু জানে বলে আমার ভরসা নাই। সম্ভবতঃ তাজউদ্দীনকে মুজিববিরোধীতার ঘুঁটি হিসেবে কষ্টকল্পনা করে এরা বোকার স্বর্গে সুখে থাকে।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রব এর ছবি

আচ্ছা, কিছু 'অরাজনৈতিক ভোদাই' 'সম্ভবতঃ তাজউদ্দীনকে মুজিববিরোধীতার ঘুঁটি হিসেবে কষ্টকল্পনা করে' 'বোকার স্বর্গে সুখে থেকে' 'সোহেলতাজকে তাজউদ্দীনের পুত্র হিসেবেই তার পলায়নপরতার জন্য সাব্বাস দিচ্ছে' বলেই কি আপনি সোহেলের ব্যাপারে কঠিন থেকে কঠিনতর স্ট্যান্ড নিচ্ছেন? বা এই ব্যাপারটি কি কোনও ভাবে আপনার বিবেচনা প্রভাবিত করছে?

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

হাসান মোরশেদের সাথে একমত।
আমার বাবার কাছে তাজউদ্দীন আহম্মদের কথা যতোটুকু শুনেছি তাতে করে এটুকু বলতে পারি যে, তিনি অর্থমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর অবস্হা সোহেল তাজের তুলনায় খারাপ ছাড়া ভালো ছিলো না। খুব ব্যক্তিগত কিছু বন্ধু-বান্ধব ছাড়া তিনি সে সব কথা কোথাও কখনো প্রকাশ করেন নি। তিনি সৎমানুষ, যোগ্যনেতা ও দক্ষ রাজনীতিবিদ ছিলেন। এতসব গুনাবলী সত্বেও ভুল অপবাদ নিয়ে তাকে মন্ত্রীত্ব্য ছাড়তে হয়েছিলো। শেষের দিনগুলিতে দল ও প্রিয় নেতার কাছ থেকে শুধু অবহেলাই সহ্য করেছেন। কিন্তু তিনি নেতা ও দলের প্রতি অনুগত ছিলেন জীবনের শেষদিন পর্যন্ত। আর সোহেল তাজ কী করলেন?
আমার হিসেবে বাবার সাথে সোহেলে একটাই মিল আছে সেটা হলো তাজ নামটা।

--------------------------------------------------------------------------------

রব এর ছবি

আপনার দুটো মন্তব্যের একটাও পড়তে পারিনি। আদৌ কিছু লিখেছিলেন কি? রেস্ট্রিক্ট করে?

রব এর ছবি

নিচেরটায় এখনো একটা হাইফেন ছাড়া কিচ্ছু দেখছি না। তবে এটা দেখছি। বেশ খানিকটা অবাক হলাম ব্যাপারটাতে।

ভুল অপবাদ নিয়ে তাকে মন্ত্রীত্ব্য ছাড়তে হয়েছিলো

ভুল অপবাদটি আপনি কী শুনেছিলেন বলবেন কি?

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

আপনার প্রশ্ন দেখে আশ্চর্য হলাম। আপনারা এ সব বিষয় নিয়ে এতো আলোচনা করেন, আর তাজউদ্দিনকে কী মিথ্যে অপবাদ নিয়ে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করতে হয়েছিলো তাও জানেন না?
এটা কোন ছোট ঘটনা ছিলোনা। এটাকে টেলিভিশন, রেডিও ও খবরের কাগজে বড় করে কভারেজ দেওয়া হয়েছিলো। চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের জন্য তাজুউদ্দিন তার সরকারকে দায়ী করেছিলেন, সরকার ও দলের ভেতরের অরাজকতা ও দুর্নীতির একটা সার্বিক চিত্র তুলে ধরে নিজে সম্পূর্ণ নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও, অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিজের দায়দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন এর থেকে উত্তরণের। এমন কী তিনি শেখ মুজিবকেও আহবান জানিয়েছিলেন শক্তহাতে এর হাল ধরতে। আর এটাই হয়েছিলো তাঁর সবচেয়ে বড় ভুল। দল ও সরকারের সমালোচনা করার জন্য শেখ মুজিব তাকে বাধ্য করেছিলেন দুর্ভিক্ষের সকল অপবাদ নিজের মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করতে। শুনেছি পদত্যাগপত্রটাও তাকে লিখে দেওয়া হয়েছিলো। তিনি নিজের পদত্যাগপত্র নিজে লিখতে চেয়েছিলেন। তাকে সে সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি। বিস্তারিতভাবে লিখলাম না। তখনকার খবরের কাগজেই পাবেন।

--------------------------------------------------------------------------------

রব এর ছবি

আপনার প্রশ্ন দেখে আশ্চর্য হলাম। আপনারা এ সব বিষয় নিয়ে এতো আলোচনা করেন, আর তাজউদ্দিনকে কী মিথ্যে অপবাদ নিয়ে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করতে হয়েছিলো তাও জানেন না?

এত তাড়াতাড়িই এই অনুমিতিতে পৌছে গেলেন! আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম, 'ভুল অপবাদটি আপনি কী শুনেছিলেন বলবেন কি?' কোন বিষয়ে একদম কিছু না জানলেই কি মানুষ শুধু অন্যকে প্রশ্ন করে? অন্যরাও কি জানে/ শুনেছে তা জানার জন্যও ত প্রশ্ন করা যায়, নাকি?

৭১ এ নিজের অভিজ্ঞতা, ঐ সময় যা শুনেছেন-জেনেছেন- তা নিয়ে আপনি একটি সিরিজ লিখেছেন। ৭৪ এ আপনি আরও পরিণত ছিলেন। সে কারণেই আপনি ওই ব্যাপারে কী শুনেছিলেন- তা জানতে চেয়েছিলাম। যাই হোক, বিস্তারিত না লিখলেও আপনি উত্তর দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

শুনেছি পদত্যাগপত্রটাও তাকে লিখে দেওয়া হয়েছিলো। তিনি নিজের পদত্যাগপত্র নিজে লিখতে চেয়েছিলেন। তাকে সে সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি।

উনার একটা পদত্যাগপত্র আছে। খুবই বিখ্যাত। সংগ্রহ করে পড়ে দেখতে পারেন।

হাসান এর ছবি

মেহবুবা জুবায়ের আর হাসান মোরশেদ দুজনেই দেখি দল আর নেতার প্রতি আনুগত্যকে অত্যধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন । এইরকম অন্ধ আনুগত্য কম্যুনিস্ট দেশ গুলাতে দেখা যায় হয়ত, গনতন্ত্রে নয় । আর তাজউদ্দীন আহমদ এর সেই অন্ধ আনুগত্য না নিজের কাজে এসেছে না দেশের ভাল করেছে (আমি ৭১ পরবর্তী সময়ের কথা বলছি) । তিনি অন্ধ আনুগত্য না দেখালেই হয়ত বাংলাদেশের জন্নে ভাল হত ।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

দুঃখিত আমার মন্তব্য আপনাকে ভুল বুঝতে সাহায্য করেছে। আমি আনুগত্যের কথা এখানে মিন করিনি। তাজুউদ্দিনের নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমের কথা মিন করেছিলাম। বুঝতে পারছি, আমি সেটা বোঝাতে পারিনি। তবে হাত জোর করে অনুরোধ করবো তাজউদ্দিনের সমালোচলা করবার আগে তাঁকে আর একটু জেনে, আর একটু বুঝে তারপর সমালোচলা করবেন। তাজুউদ্দিনের সাথে তাঁর ছেলের কেন? কারোই তুলনা করা একটা ধৃষ্ঠতা, সেটা আমাদের করা উচিত নয়।

--------------------------------------------------------------------------------

সদানন্দ ঘরামী এর ছবি

এইসব আচরনে তাকে অপরিপক্ক অহমসর্বস্ব ব্যক্তি বলেই মনে হয়েছে, কৌশলী রাজনীতিক মনে হয়নি। আর তার এইধরনের ঝামেলা পাকানোর টাইমিংটা ও বড়গোলমেলে।

পরিষ্কার করে বলুন। আপনি বলতে চাচ্ছেন দলকে বিপদে ফেলার জন্য সোহেল তাজ ইচ্ছাকৃতভাবে এরকম সময় বেছে নিয়েছেন?

শেখ হাসিনা তাকে শেষপর্যন্ত স্নেহ করেছেন।

এই কথা দিয়ে কী বুঝাতে চাইলেন? এটা গুরুত্বপূর্ণ কেন?

হাসান এর ছবি

জনাব হাসান মোরশেদ ,
উল্লেখিত চটকানা পরিস্তিতিতে কৌশলী রাজনিতিবিদের ভূমিকা কি হওয়া দরকার ছিল ? অহম বিসর্জন দিয়ে সুরঞ্জিত বাবু বা আবুল / শাহজাহান এর মত দলের গলায় লেপটে থাকলেই কি দলের উপকার হত?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

উল্লেখিত চটকানা পরিস্থিতিতে কৌশলী রাজনীতিবিদের পালটা চটকানা মারার হ্যাডম থাকা উচিত। না হলে মাম্মি-ড্যাডির সুপুত্র হয়ে থাকাই ভালো, রাজনীতি তার জন্য না।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

হাসান এর ছবি

সেইটা বুঝেই হয়ত উনি আর রাজনীতি করতে চান না, তাতে আপনি উষ্মা প্রকাশ করেন কেন ?

সাফি এর ছবি

সোহেল তাজের পদত্যাগ "ঝামেলা পাকানো" হবে কেন?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

'ঝামেলা পাকানো' এই কারনে যে তিনি দলীয় মনোয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। সংসদ সদস্য পদ ত্যাগ করার আগে নিজের ভোটার, নেতা-কর্মী ও দলের সাথে আলোচনা করাটা দরকার ছিলো

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাফি এর ছবি

ঝামেলা পাকানো উদ্দেশ্য মনে হয়নি যদিও, তবে আলোচনা করা উচিত ছিল এই ব্যাপারে একমত। চলুক

রব এর ছবি

আলোচনার ব্যাপারে আমিও একমত। গণমাধ্যম থেকে শুনার বদলে নির্বাচিতের মুখ থেকে শুনতে পাওয়াটা ভোটারদের প্রাপ্য ছিলো।

নৈষাদ এর ছবি

হাসান মোরশেদের সাথে একমত। এই আচরণে তার রাজনৈতিক অপরিপক্কতাই প্রকাশ পেয়েছে। কাপাসিয়ার জনগন যারা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল, তাদেরকে বঞ্চিত করা হল। ভুলে গেলে চলবে না, তিনি একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য তিনি নিজের ইচ্ছাতেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। পিতার সেই বিশাল অবদানের প্রেক্ষিতে তিনি যখন রাজনীতিতে আসেন, তখন আমারা আশাম্বিত হই। তিনি যদি রাজনীতিতে না এসে প্রবাসে সুন্দর জীবনযাপন করতেন, কারো কোন সমস্যা ছিল না।

যে কথিত ‘চড়’ থিওরীর জন্য তার এই ত্যাগ, সেটা থিওরীই। এবং সেই থিওরী যদি সত্যিও হয়, তবে তার সেটাকে মোকাবিলা করা উচিত ছিল। তার পিতা মুক্তিযুদ্ধের কত কঠিন সময়কে, কত ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করেছিলেন সেটাও বিবেচ্য।

পিতার সেই পাহাড় সমান পরিপক্কতার সাথে যারা তার এই 'শিশুসুলভ' অপরিপক্ক আচরণকে এক করতে চায়, তাদের সাথে একমত নই।

তোফায়েল এর ছবি

কি অদ্ভুত! একজন মানুষ রাজনীতির যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে গেলো, আর আমরা তাকে স্যালুট করছি। সে রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছে আমরা বগল বাজাচ্ছি, আর ভুলে যাচ্ছি রাজনীতিকে সকল নষ্টের গোড়া বললেও দিনশেষে রাজনীতিই আমাদের ভাগ্যনিয়ন্তা।

র ব এর ছবি

না বস, বগল আমি বাজাচ্ছিনা। 'রাজনীতি ঘৃণা করি'- মার্কা চৌধুরি সাহেবীয় সংলাপেও আমি নেই। তবে, হ্যাঁ, ব্যাপারটাকে আমি স্রেফ পালানোও ভাবতে পারছি না। স্বচ্ছ একজন মানুষকে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে দেখলেই বরং খুশি হতাম। আমার ধারণা সবগুলো উপায় সম্ভবত বাজিয়ে দেখা যায়নি।

রব

সুমন এর ছবি

তোফায়েল, অফ যা

তোফায়েল এর ছবি

আমরা রাজনীতি করছি বলেই সোহেল তাজরা ক্ষমতায় যেতে পারছিল সুতরাং আজ যখন সে পালিয়ে যায় তাকে বীর ভেবে সাধুবাদ আমি দিতে পারছি না। এলাকার মানুষের ম্যানডেট নিয়ে তিন বছর পর তার মনে পরল সৎ মানুষের জন্য রাজনীতি না। রাজনীতি যদি এতো সহজ হত তাহলে আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতেন মতি মিয়া। পালিয়ে গিয়ে যদি তিনি ভাবেন তিনি তাজউদ্দিন হয়ে গেছেন সেটা মস্ত ভুল। এই আ লীগ যদি তার নীতি আদর্শের সাথে না যায় তাহলে নতুন দল নিয়ে শুরু করতে পারেন!
এই দেশ অভিজাতদের আবাস নয়। যারা এই দেশকে নিয়ে আশাবাদী তারাই না হয় এই দেশে থাকুক। আর অভিজাত শ্রেণী বিদেশে বসে রাজা উজির মারুক।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

উনাকে মন্ত্রী সভায় দেখে ভালো লেগে ছিল; উনাকে ভালো মনে হতো। উনার পদত্যাগ করাটা উচিৎ হয় নি, উনার অনুধাবন করা উচিৎ ছিল- মন্ত্রীত্ব মানেই শুধুমাত্র ক্ষমতা আর মান সম্মানের বিষয় নয়, এটা জনগণকে সেবা করার জন্যই; উনার দেশ ও জাতির দিকে তাকিয়ে মন্ত্রীত্ব চালিয়ে যাবার দরকার ছিল। উনি মন্ত্রণালয়ে থাকলে এখন সবকিছু অন্য রকম হতে পারতো।

রব এর ছবি

হ্যাঁ, হয়ত উনি থাকলে অন্য রকম কিছু হতে পারত। কিন্তু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সেলিম নটরাজদের হাতে চূড়ান্ত অপদস্ত হয়ে এবং তার প্রতিকার না পেয়ে (জোর সম্ভাবনা) কেউ যখন পদত্যাগ করে, ঔচিত্যের প্রশ্ন তুলতে আমার দ্বিধা হয়।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

একমত নই। অন্যায়কে পাশ কাটিয়ে গেলে চলবে না, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। সেটাই যথার্থ। এক্ষেত্রে বিলাসিতা পরিহার্য মনে করি।


_____________________
Give Her Freedom!

 মেঘলা মানুষ এর ছবি

হুম, মন্ত্রীত্ব জনগণের সেবা করার একটা সুযোগ। কিন্তু, তার কর্তৃত্ব অনেক সীমাবব্ধ সিস্টেমের কাছে।

উদাহরণ , দিই মনে করেন আপনি খাদ্যমন্ত্রী, আপনি জানেন যে আপনি যাদের বরাদ্দ দিচ্ছেন তারা এর নয়-ছয় করবে, কিন্তু আপনি জেনেও কিছু করতে পারবেন না উপরের নির্দেশে। আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে যদি নিজ দলের গুন্ডাদের আইনের আওতায় আনেন, দলের অন্যরা আপনার পেছনে লাগবে (আওয়ামী, বিএনপি -যে আমলই বলেন না ক্যানো)।

পারবেন আপনি একা পুরা একটা করাপ্ট সিস্টেমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে? একজন মন্ত্রীও এখানে অসহায় হয়ে পড়বেন।

যে দেশে সাংসদরা ফোন বিলের টাকা উঠান কিন্তু বিলটুকু দেন না, সেখানে একজন মানুষ তার ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত দিতে চাইছেন -এটাকে অন্তত বাহবা দিতে পারা উচিত আমাদের। তা না হলে মনে হবে আমরা হয়ত কোন দলের চশমা পড়া মানুষ।

রব এর ছবি

যে দেশে সাংসদরা ফোন বিলের টাকা উঠান কিন্তু বিলটুকু দেন না, সেখানে একজন মানুষ তার ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত দিতে চাইছেন -এটাকে অন্তত বাহবা দিতে পারা উচিত আমাদের।

চলুক

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

পারবেন আপনি একা পুরা একটা করাপ্ট সিস্টেমের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে?

ভাই কিছু করার নাই, বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। না হলে পরিবর্তনটা আসবে কীভাবে? তাছাড়া উনি বাংলাদেশের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির সব কিছু জেনেই মন্ত্রীত্ব নিয়েছিলেন। এটা অজুহাত হতে পারে না।

আর আমি উনার ৩ বছর আগের পদত্যাগের বিরোধিতা করছি, উনি বেতন-ভাতা ফেরত দিয়েছেন এতে বিরোধিতা করছি না, এটা উনার সততার পরিচায়ক, সমস্যা হলো এই গুণের জন্যই উনাকে মন্ত্রীত্বে দেখতে চেয়েছিলাম।


_____________________
Give Her Freedom!

রব এর ছবি

তাছাড়া উনি বাংলাদেশের প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির সব কিছু জেনেই মন্ত্রীত্ব নিয়েছিলেন। এটা অজুহাত হতে পারে না।

আত্মীয় দোষী হলে শায়েস্তা না করতে পারা একটা ব্যর্থতা। শায়েস্তা না করা একটা দুর্নীতি। জানিনা ব্যর্থতা না দুর্নীতি কোনটা ঘটেছিলো। এই দুর্নীতিটাকে বাদ রাখলে বলা যায়, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতির কারনে তিনি মন্ত্রীত্ব ছাড়েননি।

কল্যাণ এর ছবি

ওই মিয়াঁ গত কয়দিন থিকা তোমারে খালি অফ্লাইন দেখতেছি কেনু? লগাইয়া কমেন্ট ছাড় না বাপু হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

এই যে লগাইলাম.............মাঝে আপ্নেরে দেখি নাই কিন্তু!!!


_____________________
Give Her Freedom!

কল্যাণ এর ছবি

আর কইও না, ঝালেমায় আছি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

তানজিম এর ছবি

পাপেট মন্ত্রীসভার একজন পাপেট হয়ে থাকতে চাননি বলে স্যালুট। তিনি নাহয় আমেরিকা গিয়ে রাজনৈতিক গুণ্ডাদের হাত থেকে বাঁচলেন। কাপাসিয়াবাসীর তো আর সেই সুযোগ নেই, কি আর করা।

রব এর ছবি

আপনিও ত দেখি আরেক তানজিম হাসি

আর হ্যাঁ, স্বচ্ছদের থাকা ঊচিত, থাকতে দেয়া উচিত, (আসলেই) রাখতে চাওয়া উচিত।

মাজহার এর ছবি

মোরশেদ ভাই, আপনি একজন আওয়ামী লীগারের যথার্থ বক্তব্য দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনার এই উচ্চারণ শুনলে আপনি পুরস্কৃত হতেন।

যে রাজনীতি ব্যক্তিত্ববোধ বিসর্জন দিতে বাধ্য করবে, কোন ব্যক্তি বা দলের অন্ধ অনুসারী হয়ে সেই রাজনীতি করে যাওয়ার শিক্ষাটা হাল আমলের রাজনীতিকদের মত সোহেল তাজ পান নি। জাতীয়তাবাদী-জামাতীদের কাছ থেকে আম্লীগাররা এটা অন্তত ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন, প্র্যাকটিসটাও নেহাৎ মন্দ করছেন না। কিন্তু সবাই চাবি দেয়া পুতুল হতে চান না, সোহেল তাজ চান নি। একজন ট্রাডিশনাল লীগার (এটা ধারণা মাত্র) হিসেবে আপনার তা মেনে নিতে কষ্ট হবে বৈকি।

সোহেল তাজ সম্ভবত বুঝেছিলেন, এই অন্ধ আনুগত্যই এই দেশটার শত্রু। দেশের মানুষের কষ্টার্জিত টাকা খেয়ে দল তথা কতিপয় নেতার তোষণ করাটাকে তিনি মন্ত্রিত্ব মনে করেননি। তাই তাকে স্যালুট দিচ্ছি কেউ কেউ। এতে আপনার গাত্রদাহ অশিষ্ট।

আপনার কৌশলী রাজনীতি-প্রজ্ঞা দেখে আতংকিত হচ্ছি। আপনার মত চিন্তাশীলরা যদি এই সুরে কথা বলেন, তবে আমাদের মুক্তি মিলবে কবে।।?

আর একটা কথা, যে কোন ক্ষেত্রে অন্যের দোষ দেখার সহজাত অভ্যাসটা প্রধানমন্ত্রী তাহলে শিষ্যদের মগজে ভালোভাবেই পেনিট্রেট করেছেন।

রব এর ছবি

অন্ধ আনুগত্যই এই দেশটার শত্রু

চলুক

যে কোন ক্ষেত্রে অন্যের দোষ দেখার সহজাত অভ্যাসটা প্রধানমন্ত্রী তাহলে শিষ্যদের মগজে ভালোভাবেই পেনিট্রেট করেছেন।

আমি ব্যাপারটা হয়ত আপনার মত দেখিনা। তবে কিছু বিষয় চোখে পড়ছে। যেমন, এক প্রিয় ব্লগারকে দেখলাম এই ইস্যুতে তাজউদ্দিনের মেয়ে জামাই যে The plan to assassinate Bangladesh Prime Minister Shiekh Hasina Wajedতে জড়িত ছিলেন তা লিঙ্কিয়ে-টিঙ্কিয়ে অস্থির। হিসাব সোজা, মনু তুমি আমার লাইনের বাইরে গেছো তোমার চলন ত আমার চক্ষে ব্যাকাতেরা মনে হবেই। সে কী আর আমার দোষ!

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

সব ঘটনার পেছনেও যে সত্য থাকে সেই সত্যি টিকে পর্দার আড়ালে করে যাওয়াটিকেই বা কতোটুকু বাহবা দিতে পারবো?

তিনি থাকতে পারলেন না চলে গেলেন। মেনে নিলাম কিন্তু চলেই যদি গেলেন তবে সকল সত্যি গুলোকে উন্মুক্ত করে দিলেন না কেন? আংশিক সত্যি কি মিথ্যের আরেক নাম নয়?
কি ঢাকার জন্য কাদের সত্যি ঢাকার জন্য তিনি ঘটনার অন্তিমতা দেখিয়ে আমাদের সামনে থেকে প্রস্থান করলেন?

কিছুটা অপরিপক্কতা তো আছেই। কিছু টা কি জানি মিশে আছে এখানে

আম পাব্লিক কেবল ঘাড় উচিয়ে দেখে ব্যাথা নিয়ে ফিরে যাই আমরা।

রব এর ছবি

আসলেই কী কারনে তিনি সব বলছেন না- তা জানতে আমিও অপেক্ষায় আছি।

guest_writer Atiq Rarri এর ছবি

বঙ্গবন্ধুর জীবনে তার আত্মীয় পরিজন ও অনুচরদের মধ্যের দেয়াল দূর করতে পারেন নি। একধরনের গোত্রপতি সুলভ মনোভাব তার ছিল। শেখ মনি কোন দিন তাজউদ্দিনকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি, সেই ভুত আজও তাড়া করে ফিরছে।

রব এর ছবি

খুব সম্ভবত। পরিবারতন্ত্রে (মাত্রা যাই হোক) মনেহয় এটা প্রায় অলঙ্ঘনীয়।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভাগ্যিস শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ভাই শেখ মনি আর খন্দকার মোস্তাকের অপমানের শিকার হয়েও নিজের ব্যক্তিত্ব আর সম্মান বাঁচাতে যুদ্ধের মাঠ ছেড়ে দিল্লী/লন্ডনের নিরাপদ আশ্রয়ে গা বাঁচাননি। তা হলে হয়তো পুত্রের মতো তাঁরও ব্যক্তিত্ব বজায় থাকতো অথবা '৭৪ এর শেখ মুজিবের নির্দেশে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করে ব্যক্তিত্ব রক্ষার্থে সংসদ সদস্য পদ ও রাজনীতি ছেড়ে দিলে '৭৫ এ জেলহত্যার শিকার হতেন না। আফসোস শহীদ তাজউদ্দীন তাঁরপুত্রের মতো এতো ব্যক্তিত্ববান ছিলেন না।

কথিত ব্যক্তিত্ব ও সততা রক্ষার্থে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ পর্যন্ত যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু সংসদ সদস্য পদ ত্যাগে তাকে কে বা কী বাধ্য করলো? সংসদ সদস্য হবার পর সাড়ে তিনবছরের প্রায় পুরোটাতোই কাটিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। আমার জানায় যদি ভুল না থাকে কোনো সাংসদ যদি এক নাগাড়ে ৯০ দিন সংসদে উপস্থিত না থাকেন তাহলে তার সংসদ সদস্যপদ এমনিতেই বাতিল হওয়ার কথা। সোহেল তাজ কতোদিন অনুপস্থিত সংসদে?
সংসদ সদস্য পদ ত্যাগ করে সোহেল তাজ নিজের অর্বাচীনতা প্রমান করলেন যেমন , তেমনি অন্যায় করলেন তার ভোটারদের প্রতি। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা বাদই দিলাম, সাধারন বিবেচনাবোধ ও যদি থাকতো তার এই সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অন্ততঃ নিজের এলাকায় থাকতেন, নিজের ভোটার ও দলীয় কর্মীদের সাথে মত বিনিময় করতেন।

রাজনীতি কোনকালেই কুসুমাস্তীর্ণ নয়, নয় ইউটপিক আদর্শবাদ। রাজনীতিতে নোংরামী, চালবাজি, বিশ্বাসঘাতকতা সবকালেই ছিলো, আছে। এর মধ্য থেকেই প্রকৃত রাজনীতিবিদরা নিজেদের আদর্শিক লক্ষ্য অর্জন করার চেষ্টা করেন- যেমন করেছিলেন শহীদ তাজউদ্দীন, যেমন করেছেন বেগম জোহরা তাজউদ্দীন।

তাঁদের পুত্র হয়ে সোহেল তাজ যা করেছেন তাতে তিনি অরাজনৈতিক ভোদাইদের হিরো হয়েছেন বড়জোর, কিন্তু তার এই 'ত্যাগ' বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনে বিন্দুমাত্র কোন দাগ কাটলোনা।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারহানা আহমেদ এর ছবি

আমি যতদূর বুঝি, আপনি রাজনীতিবিদ নন। নিজে কাঁদা ছোড়া-ছুঁড়ির বাইরে নিরাপদে থেকে তাজউদ্দিনের পুত্রকে সেই কাজে উৎসাহিত করাটা সমীচিন কি?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

জ্বি, আপনি সঠিক বুঝেছেন। আমি রাজনীতিবিদ নই, কিন্তু রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে অরাজনৈতিক ও নই। তাজউদ্দিন পুত্রকে আমি উৎসাহিত করবো কেনো? দুইটার্মের সংসদ সদস্য, ৬ মাসের মন্ত্রী হতে তার নিজেরই উৎসাহ পর্যাপ্ত ছিলো।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারহানা আহমেদ এর ছবি

অন্যদের সাথে সোহেল তাজের পার্থক্য হলো তার উৎসাহে ভাটা পড়ে। আমাদের সুরঞ্জিৎ, আবুল হোসেন্দের উৎসাহেও যদি তাজের মতো ভাটা পড়তো! স্যরি, এট্টা জিনিস আগে খিয়াল করি নাই যে আপনি আপনার কমেন্টে দলের দুঃসময়ে জনাব তাজ যে বার বার পদত্যাগ করে দলকে বিপদে ফেলেছেন এই বিষয়টি এনেছেন, তাহলে আর কমেন্ট করে আপনাকে কষ্ট দিতাম্না।

রব এর ছবি

সুরঞ্জিৎ, আবুল হোসেন্দের উৎসাহেও যদি তাজের মতো ভাটা পড়তো!

আসলেই!

রব এর ছবি

কথিত ব্যক্তিত্ব ও সততা রক্ষার্থে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ পর্যন্ত যথেষ্ট ছিলো। কিন্তু সংসদ সদস্য পদ ত্যাগে তাকে কে বা কী বাধ্য করলো?

আমার ধারনা, সংসদ সদস্য পদ ত্যাগে তাকে বাধ্য করেছে ঐ 'কথিত ব্যক্তিত্ব ও সততা রক্ষার্থে মন্ত্রীত্ব ত্যাগ'। সংবিধানের ৫৮(১) অনুচ্ছেদের ‘ক’ উপদফা অনুসারে তার পদত্যাগ গৃহীত হয়ে যাওয়ার কথা।কিন্তু হয়নি। মন্ত্রিসভা থেকে বিযুক্ত হতে সোহেলের সামনে ৫৮(১) অনুচ্ছেদের ‘খ’ উপদফার দেখানো পথটিই শুধু খোলা ছিলো- 'সংসদ-সদস্য না থাকা'।

সোহেল তাজ কতোদিন অনুপস্থিত সংসদে?

যতটুকু বুঝতে পারছি, তাতে মনে হচ্ছে টানা ৯০ কার্যদিবস তিনি অনুপস্থিত ছিলেন না। মাঝে মধ্যে দেশে এসেছিলেন। অবশ্য, শতভাগ নিশ্চিত নই আমি।

তাঁদের পুত্র হয়ে সোহেল তাজ যা করেছেন তাতে তিনি অরাজনৈতিক ভোদাইদের হিরো হয়েছেন বড়জোর, কিন্তু তার এই 'ত্যাগ' বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনে বিন্দুমাত্র কোন দাগ কাটলোনা।

যারা এই ইস্যুতে সোহেলকে আচ্ছাসে ধুঁয়ে দিচ্ছেন না, তাদের সবাইকে একাধিকবার 'অরাজনৈতিক ভোদাই' হিসেবে বিশেষিত করাটা ভালগার জেনারালাইজেশন হয়ে যাচ্ছে কীনা- তা ভেবে দেখার অনুরোধ রাখলাম। আর রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনে দাগ কাটার কথা বলছেন, শহীদ তাজউদ্দীনের চিন্তা, বাক্য, কর্ম, ত্যাগ, রক্তও কি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দাগ কেটে যেতে পেরেছিলো?

অরফিয়াস এর ছবি

সিস্টেমের ত্রুটিগুলো শোধরানোর জন্য সিস্টেমের ভেতরে থেকে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ, রাজনীতির নোংরা পরিষ্কার করতে হলে রাজনীতির ময়দানে থেকেই করতে হবে। পদত্যাগ কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, তবে এটা প্রতিবাদ হতে পারে সোহেল তাজের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

তবে পদত্যাগ সমর্থন করতে পারছিনা, বরং তিনি যদি দলের ত্রুটিগুলো সংশোধনে কিছুটা হলেও অবদান রাখতে পারতেন তাহলে হয়তো আমরা আর কিছু না হোক, আশা করতে পারতাম। তিনি প্রথম থেকেই পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে চেয়েছিলেন কিন্তু প্রতিবন্ধকতার সামনে নিজেকে সরিয়ে না নিলেই হয়তো ভালো হতো।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফ্লাইন) এর ছবি

চলুক

রব এর ছবি

সিস্টেমের ত্রুটিগুলো শোধরানোর জন্য সিস্টেমের ভেতরে থেকে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ, রাজনীতির নোংরা পরিষ্কার করতে হলে রাজনীতির ময়দানে থেকেই করতে হবে। পদত্যাগ কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, তবে এটা প্রতিবাদ হতে পারে সোহেল তাজের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

ভালো বলেছেন। রাজনীতির ময়দানে থেকেই রাজনীতির নোংরা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অন্তত কিছু সঙ্গীসাথি/ অগ্রজদের কাছ থেকে হলেও সত্যিকারের নৈতিক সমর্থন থাকাটাও গুরুত্বপূর্ন। আমাদের স্বচ্ছ স্বপ্নবানেরা যেন সেটা পায়।

guest_writer এর ছবি

চাপ/অপমান এর মুখে সরে আসাটা ভীরুর পরিচয়। শত বাধা, প্রতিকুলতা ভেদ করে অন্যায়-অপরাজনীতি-কুচক্র-দুর্নীতির বিরুদ্ধে নিজেকে অবিচল রাখলে সোহেল তাজ সাহেব আজ তাঁর বাবার যোগ্য সন্তান হিসাবে আর একবার নন্দিত হতেন।

রব এর ছবি

রাজনীতির ময়দানে থেকেই রাজনীতির নোংরা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অন্তত কিছু সঙ্গীসাথি/ অগ্রজদের কাছ থেকে হলেও সত্যিকারের নৈতিক সমর্থন থাকাটাও গুরুত্বপূর্ন। আমাদের স্বচ্ছ স্বপ্নবানেরা যেন সেটা পায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় সবার উদ্দেশ্যে কয়েকটা প্রশ্ন করি। যারা সঠিক উত্তর জানেন, দয়া করে তারা উত্তর দেবেন - কেউ আন্দাজে উত্তর দেবেন না। জনাব সোহেল তাজ কি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক? যুক্তরাষ্ট্রে উনার দীর্ঘ সময় বসবাস করা, ব্যবসা করা এ'সব থেকে এই সন্দেহ হয় যে উনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন বিদেশী নাগরিক তার বৈদেশিক নাগরিকত্ব ত্যাগ না করে কি বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন করতে পারেন এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন?

পতিত সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের আমলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড: ওয়াহিদুল হককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেকে এনে অর্থমন্ত্রী বানানো হয়েছিল। জনাব হককে যখন মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হয় তখন তিনি বাংলাদেশও ছাড়েন। এয়ারপোর্টে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট দেখিয়ে বাংলাদেশ এসেছিলেন আবার যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট দেখিয়েই বাংলাদেশ ছাড়েন। বাংলাদেশে প্রবেশ করতে ও বাংলাদেশ ত্যাগ করতে সোহেল তাজ কোন দেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন সেটা জানতে ইচ্ছে করে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

akash এর ছবি

ষষ্ঠ পান্ডব ভাই,
সোহেল তাজ যখন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হলেন তখন কি এসব প্রশ্ন আপনার মনে এসেছিল? আমাদের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, যিনি মন্ত্রীর পদমর্যাদার তার নাগরিকত্ব কি? এম পি কবরী সারোয়ার এর নাগরিকত্ব কি? শুধু রাজনীতিবিদ-ই না, আমাদের বিচারপতিদের নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন আছে। বিচারপতি এস কে সিনহা যুক্তরাজ্যের নাগরিক বলে জনশ্রুতি আছে। নাগরিকত্ব নিয়ে এসব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলো আমাদের কাছে সবসময়-ই এরকম ঝাঁপসা হয়ে-ই থাকবে। যাকে যখন পছন্দ হবেনা, যার কোন কাজ আমাদের গা জ্বালা করার কারণ হবে তখন-ই তাকে নিয়ে টানাটানি শুরু হবে। আজব এক দেশ আর আমরা আজব সব পাবলিক!

তাসনীম এর ছবি

যতদূর জানি সোহেল তাজ গ্রিনকার্ডধারী। গ্রিন কার্ড স্থায়ী বসবাসের অনুমতি, কিন্তু নাগরিকত্ব নয়।

গ্রীনকার্ড দশ বছর মেয়াদে দেওয়া হয় এবং মেয়াদ শেষে আবার রিনিউ করা যায়। গ্রিনকার্ডধারী পাঁচ বছর পরে মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। অনেকেই তা-ই করেন। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। বহু মানুষ আছে যারা বিভিন্ন কারণে মার্কিন নাগরিকত্ব নেন না, গ্রিনকার্ড রিনিউ করে থাকেন।

গ্রিনকার্ডধারীরা তাদের নিজের দেশের নাগরিকত্ব বজায় রাখেন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রব এর ছবি

পাণ্ডবদা,

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন বিদেশী নাগরিক তার বৈদেশিক নাগরিকত্ব ত্যাগ না করে কি বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন করতে পারেন এবং বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন?

না। আগে আরও কড়াকড়ি ছিলো। সংবিধানের ৬৬(২) অনুচ্ছেদের ‘গ’ উপদফায় আছে 'কোন ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার ও সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না; যদি কোন তিনি বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন'।

আবার ৬৭ (১) অনুচ্ছেদের ‘ঘ’ উপদফায় বলা আছে 'কোন সংসদ-সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান'। কিন্তু, ১৫শ সংশোধনীর আগে কেউ যদি বিদেশী রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করে/নাগরিকত্ব অর্জন করে আবার ফিরিয়ে দেয় তখন কী হবে- তা স্পষ্ট ছিলোনা।

১৫শ সংশোধনীতে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে সন্নিবেশিত ৬৬ এর (২ক) প্রতিস্থাপিত করে নতুন করে লিখা হয়। নিচে হুবহু দিলামঃ

[(২ক) এই অনুচ্ছেদের (২) দফার (গ) উপ-দফা তে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোন ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হইয়া কোন বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করিলে এবং পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তি-

(ক) দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে, বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করিলে; কিংবা

(খ) অন্য ক্ষেত্রে, পুনরায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করিলে-

এই অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে তিনি বিদেশী রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন না।]

বাংলাদেশে প্রবেশ করতে ও বাংলাদেশ ত্যাগ করতে সোহেল তাজ কোন দেশী পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিলেন সেটা জানতে ইচ্ছে করে।

No attention to resignation শিরোনামের এই খবরটিতে সোহেল তাজের বরাতে একটি বাক্য আছে এমনঃ
He claimed his passport has not been allowed to change by the government and he has to face embarrassment every time he travels.

এ থেকে মনে হচ্ছে তিনি বাংলাদেশি বিশেষ পাসপোর্টটি ব্যবহার করছেন।

বাবুবাংলা এর ছবি

রাজনীতিতে সোহেল তাজের হাতেখড়ির ইতিবৃত্ত আমার জানা নেই। তবে তার খোলাচিঠিতে লেখা “অনেক কষ্ট করে গড়ে তোলা সুন্দর একটি জীবন ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। কৈশোর বয়স থেকে নিজে দিন-রাত কাজ করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছি” বাক্যযুগল পড়ে এটুকু অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায় যে তার পিতার মতো আন্দোলন-সংগ্রামের পথ বেয়ে সোহেল তাজের রাজনৈতিক জীবনের জন্ম হয়নি। জনগণের পাশে থেকে শত প্রতিকূলতার বিপরীতে এগিয়ে যাবার তাজউদ্দীনসম দৃঢ়তা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কেবল পিতৃসূত্রে পাওয়া যায় না।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রব এর ছবি

তুলনায় যেতে আমি রাজি নই, তবে হ্যাঁ, একমত যে, তাজউদ্দীনসম দৃঢ়তা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা কেবল পিতৃসূত্রে পাওয়া যায় না।

আনন্দ এর ছবি

একই কাজ আওয়ামি লীগ বাদে অন্য দলের কেউ করলে কারা কারা সোহেল তাজকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিতেন হাত তোলেন! দেঁতো হাসি

শুধু একটাই দুঃখু, মন খারাপ শেখ হাসিনা পোলাডারে এত্ত সেনেহো কর্তেন!! তাউ কেউ সেই সেনেহুর দাম দিলু না!!! ভ্যা ভ্যা ভ্যা।

এখানেই কারা কারা যেন 'শুয়োরের সাথে সহবাসের' ফতোয়া অস্বীকার করেছিলেন??????????

এখানেই আবার কারা কারা যেন 'রাজনীতি কোনো পাক-সাফ এলাকা নয়' বলে জ্ঞান কপচাচ্ছেন?????????

যত্তসব হিপোক্রেট ভণ্ডের দল!!!! শেখ মুজিবের কথিত 'চাটার দল'!!

একদলা থুতু রেখে গেলাম তাদের জন্য।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এখানেই কারা কারা যেন 'শুয়োরের সাথে সহবাসের' ফতোয়া অস্বীকার করেছিলেন??????????

এখানেই আবার কারা কারা যেন 'রাজনীতি কোনো পাক-সাফ এলাকা নয়' বলে জ্ঞান কপচাচ্ছেন?????????

কোন পুরোনো বন্ধু, মনে হচ্ছে হাসি

'শুয়োরের সাথে সহবাসের' ফতোয়া চিরদিনই অস্বীকার করে যাওয়া হবে। কিন্তু শুয়োর তাড়ানোর লড়াই না করে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে ফেলা শুয়োরের সাথে সহবাসের চেয়ে তেমন উন্নত কোন প্রক্রিয়া না।

যত্রতত্র থুথু ছিটানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। নিজে সুস্থ থাকুন, অপরকে সুস্থ থাকতে দিন

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অরফিয়াস এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রব এর ছবি

মনে হচ্ছে ব্যাপারটা আমি মিস করেছিলাম।'শুয়োরের সাথে সহবাসের' ফতোয়া ও তার অস্বীকার-সংক্রান্ত লিংক থাকলে দিননা ভাইসকল।

আনন্দ এর ছবি

"কিন্তু শুয়োর তাড়ানোর লড়াই না করে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে ফেলা শুয়োরের সাথে সহবাসের চেয়ে তেমন উন্নত কোন প্রক্রিয়া না।"

হে হে হে হে। জায়গামত টান পড়লে সুর কেমন পালটে যায়, তাই না ব্রাদার? দেঁতো হাসি

সচলায়তনের মূল চেতনার খুঁটি ধরেই যে টান মারলেন এই কথাটি বলে!

যাকগে, আর বিতং করবো না; কারণ বিরোধিতার আসল কারণটি অবশেষে আপনার মুখ দিয়ে বেরিয়েছে- এই পদত্যাগের সুযোগে তাজউদ্দীন-বঙ্গবন্ধুর সেই বিখ্যাত ধামাচাপা দেওয়া আদর্শিক ক্যাচালের মুখ খুলে আওয়ামি লীগের ৭২-৭৫ এর নৈতিকতাশূণ্যতার গোমরটা যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্যই একজন যথার্থ ধামাধরা আওয়ামী লীগারের মতই আপনি হোয়াইনিং করছেন যে-

' এঁ, এঁ, এঁ- কেনু কেনু কেনু? থাপ্পড় খেলে পেটে সয়, লস্ট থুক্কু লাস্ট মোহিকান হাসিনা কত্ত সেনেহু করতেন!!, কেনু ছেড়ে গেলি বাছা?? তোর বাপের কাছ থেকে কি কিছুই শিখিস নি? (বাই দা ওয়ে, তাজউদ্দীন যেন কেন আর কীভাবে পদত্যাগ করেছিলেন? ঝেড়ে কাশুন তো! দেখি কি রকম হ্যাডম? হাসি ) ব্যাটা আসলে বৈদেশী??(মানেই র, মোসাদ, আই এস আই নাইলে সি আই এ এর দালাল টালাল কিংবা কমসেকম পাক পবিত্র সংবিধান বিরোধীতো বটেই!)'

অরাজনৈতিক ভোদাইরা কমসেকম রাজনৈতিক খ্যাঁকশিয়ালের চেয়ে ভালো(সব শিয়ালের মত তারা এক রা করে না)।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কল্যাণ এর ছবি

ও পিপিদা, নিজেরা নিজেরা কি যে আলোচনা সারলেন চিন্তিত

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার হাত বাঁধা রে ভাই হাসি

বড় হলে বুঝবেন চোখ টিপি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

তাহলে সেকথাই রইল। শনিবার বিকাল পাঁচটায়। আমার লোকের হাতে থাকবে কালো ব্রিফকেইস। পড়নে নেভিব্লু সাফারি স্যুট।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রব এর ছবি

চাল্লু

কল্যাণ এর ছবি

চোখে গগোলস শয়তানী হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মন মাঝি এর ছবি

****************************************

রব এর ছবি

দেঁতো হাসি

সাই দ এর ছবি

চলুক

হাসান মোরশেদ এর ছবি

পুরনো দিনের ব্লগিং এর ভাষা ভুলেননি তাহলে হাসি
সচলায়তনে আমরা এই টোনে, এই ভাষার চর্চা না করে ও তর্ক-বিতর্ক চালিয়ে যাই।

(বাই দা ওয়ে, তাজউদ্দীন যেন কেন আর কীভাবে পদত্যাগ করেছিলেন? ঝেড়ে কাশুন তো! দেখি কি রকম হ্যাডম?

হ্যাডম এর পরীক্ষা দিবো, আপনার কাছে? নাহ!
শুনেন, উদ্দেশ্য যদি কু-তর্ক না হয়ে ব্লগিং হয়ে থাকে তাহলে তাজউদ্দীনের পদত্যাগ নিয়ে আপনি যা জানেন তা নিয়ে এখানে আলাদা পোষ্ট দেন। সময়, সুযোগ থাকলে সেই পোষ্টে কথা বলবো।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

বাবুবাংলা এর ছবি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর প্রশ্নের জবাব আমার জানা নেই; তবে একটি বিষয় এখানে যোগ করা দরকার। চাকূরী, পারিবারিক যোগসূত্রে বা বৈবাহিক সম্পর্কের ভিত্তিতে যুক্তরাস্ট্রে একজন মানুষ স্থায়ী অভিবাসী হিসেবে দীর্ঘ সময় বসবাস বা ব্যবসা করতে পারে। স্থায়ী অভিবাসী হবার পরের পর্ব হলো নাগরিকত্ব। নির্দিষ্ট সময় শেষে নাগরিকত্বের অর্জনের সুযোগ থাকলেও আমি এমন অনেককেই জানি যারা মার্কিন নাগরিকত্ব না নিয়ে কেবল স্থায়ী অভিবাসী হিসেবেই রয়ে গেছেন। সেক্ষেত্রে তারা তাদের জন্মভূমির বৈদেশিক পাসপোর্ট নিয়েই থাকতে পারেন। পারিবারিক রাজনৈতিক হিসেব-নিকেশের খেলা মাথায় রেখে সোহেল তাজের ক্ষেত্রেও এমনটি হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যদি তাই হয়, তিনি হবেন বাংলাদেশের নাগরিক এবং শুধু মাত্রই বাংলাদেশের নাগরিক; যার স্থায়ী অভিবাস সূত্রে যুক্তরাস্ট্রে দীর্ঘ সময় থাকা ও চাকুরী-ব্যবসা করার অবাধ অধিকার আছে।

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রব এর ছবি

বাবুবাংলা,

সোহেল তাজের নাগরিকত্ব নিয়ে তাসনীম ভাই বলেছেন। আমি পাণ্ডবদার বাকি দুটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। শেষেরটার সাথে সোহেলের নাগরিকত্বের ব্যাপারটাও জড়িত। উপরে দেখুন।

দুর্দান্ত এর ছবি

"সোহেল তাজ" এই নামটি কি তার নিজের দেয়া?

রব এর ছবি

সব জায়গায় তানজিম আহমদ (সোহেল তাজ) নামটা দেখি। এমনকি স্পিকারের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রেও এমনই আছে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

একজন 'ভদ্রলোক' হিসেবে তিনি হয়তো বাহ্বা পেতে পারেন। কিন্তু নিজের রাজনৈতিক, প্রতিনিধিমূলক দায়দায়িত্বকে এভাবে ফেলে চলে যাওয়ার জন্যে অন্তত 'রাজনৈতিক নেতা' হিসেবে ওনার বাহ্বা পাবার কোনো প্রশ্ন নেই। 'রাজনীতি' থেকে বিদায় নেয়া 'রাজনৈতিক' কৃতিত্ব না। তাজউদ্দীন হওয়া আরও পরের কথা।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

চলুক

রব এর ছবি

সোহেল তাজের তাজউদ্দীন হওয়া না হওয়া নিয়ে কথাবার্তায় এই অধম বিস্মিত।

দ্রোহী এর ছবি

মুসা নবীর আমলে জাদুকরদের খুব দাম ছিল তাই মুসা নবীও লাঠিরে সাপ বানাইতে পারতো। যীশুর আমলে রোগ-শোক সারাইতে পারাটা অলৌকিক দ্ক্ষতা হিসাবে বিবেচিত হইতো তাই যীশুর রোগ সারানোর গল্প দুই হাজার বছর পরেও টিকে আছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাজউদ্দীনদের দিন শেষ হয়ে গিয়ে চোর-ডাকাতদের দিন চলছে বহু বছর ধরেই। তাই চোর-ডাকাত না হইতে পারলে বর্তমানে রাজনীতিতে টেকা মুস্কিল। রাজনীতিতে আসার আগে সোহেল তাজের বিবেচনা করা উচিত ছিল চটকানা খাইলে সেইটা ফেরত দিতে পারবে কিনা।

রব এর ছবি

দ্রোহীদা রকস গুরু গুরু

রব এর ছবি

মডুদা সমীপেষু

হাসি

কল্যাণ এর ছবি

পদত্যাগের কারন সম্পর্কে সোহেল তাজ বলেন,

এখন এসব বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা সমীচিন হবে না। সবার শুভ কামনা করি। দেশ, জাতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিলাম। তবে একটি মানুষের বড় সম্বল হচ্ছে তার নীতি, আদর্শ ও আত্মসম্মানবোধ। এসবকে বিসর্জন দিয়ে মন্ত্রীত্ব করার লোক আমি নই। পারিবারিক ঐতিহ্য ও জনপ্রতিনিধিত্বের সম্মানকে অটুট রাখা মন্ত্রীত্বের চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে সোহেল তাজ কাউকে কোনো ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চান না বলে জানান।

মাননীয় সাবেক প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের এই সব উক্তি তার আচরণের সাথে যাচ্ছে না। সততার আগে আত্মসম্মান অবশ্যই আসে। কিন্তু এই দুই জিনিস বজায় রাখতে গেলে কথা আর কাজ একরকম হওয়া লাগবে। যিনি আত্মসম্মান আর সততা বজায় রাখতে এত শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেন, তিনি কেন জনপ্রতিনিধিত্ব থেকে সরে যান বা কাউকে কোন ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে চান না? সৎ লোকেরা তো মুখ খুলতে ভয় পায়না বলেই জানি।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

রব এর ছবি

সৎ লোকেরা তো মুখ খুলতে ভয় পায়না বলেই জানি।

আবার রবিবুড়ো বলেছেন, অসাধু মাত্রই অকপট। কোন পথে যে যাই চিন্তিত

কল্যাণ এর ছবি

যদিও আমি জানিনা কোন কন্টেক্সটে রবিবুড়ো এই কথা কইছে তয় আমি এইটার সাথে একেবারেই একমত না। তাছড়া রবিবুড়ো কইছে বইলা সেইটারে আমি চোখ বন্ধ কইরা মাইনা নিতেও রাজী না। অসাধু পাব্লিকের অকপটতা ১০০ভাগ ভাণ হওয়ারই কথা, নাইলে আর অসাধু বলা কেন? যাই হোক আমি বরং অফ যাই নাইলে আবার আপনারা সব আমারেই শেষে অসাধু কইবেন আর পোষ্টের মেরিট নষ্ট করার জন্য পিডাইবেন ধইরা চোখ টিপি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

রব এর ছবি

তাছড়া রবিবুড়ো কইছে বইলা সেইটারে আমি চোখ বন্ধ কইরা মাইনা নিতেও রাজী না।

না, 'রবিবুড়ো কইছে বইলা' কোন কথা 'চোখ বন্ধ কইরা মাইনা নিতে' আমিও রাজী না। যেমন, মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ সংক্রান্ত বাক্যটা। কিন্তু কনটেক্সট বদলে/অন্যভাবে ভাবলে সেগুলোকে মেনে নেয়া যায়। ভান কপটতা। তবে রবিবুড়ো অসাধুর ভানকে কপটতা না বলে একধরনের অকপটতা ভাবছেন এ কারণে যে তা বেশ ধরা পড়ে। এক্ষেত্রে সাহায্য করে অসাধুর পূর্বইতিহাস। অন্যদিকে সাধুরা অনেক সময় নানা কিছু ভেবে নানা কিছু চেপে যায়- যা ঠাহর করতে গিয়ে নানা সম্ভাবনার মুখে পড়ে অনুসন্ধানীকে হাবুডুবু খেতে হয়। সাধু লোকটি অন্য লোকটিকে বাঁচানোর জন্য চেপে যাচ্ছে, না লোকটিকে মাফ করে দিয়েছে বলে চেপে যাচ্ছে, না মাফ করতে না পারলেও শোরগোল হওয়ার উপযুক্ত সময় এটা নয়- ভেবে চেপে যাচ্ছে, না তার রুচিতে ঐ ধরনের অভিযোগ তোলা অনুমোদিত না বলে চেপে যাচ্ছে, না অন্য লোকটিকে স্রেফ করুণা করবে বলে চেপে যাচ্ছে- ইত্যাদি নানা সম্ভাবনার সামনে আমাদের দাঁড়াতে হতে পারে। এই ব্যাপারটিকে রবিবুড়ো সাধুর কপটতা বলতে চেয়েছেন বলে আমার মনে হয়েছে। তবে এটা ঠিক, বুঝা যায় এমন অনেক নির্দোষ কিছুকেও রবিবুড়ো কপট বলেছেন। যেমন, তার অনেক (বিশেষ করে নারী) চরিত্র এক ধরনের মিষ্টি কপট রাগ/অভিমান করে। আবার, অমুকের অকপট নিষ্ঠায় সমুক আপ্লুত হইলো- টাইপ বাক্যও তিনি লিখে গিয়েছেন।

তবে, আগের মন্তব্যটা আমি ঠিক সোহেল সম্পর্কে এত অনুমিতি বুঝাতে করিনি। হালকা চালে মন্তব্যের উত্তর করতে গিয়েছিলাম ।তাই এব্যাপারে আমিও অফ যাওয়ার পক্ষে। হাসি

কল্যাণ এর ছবি

হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অচল  এর ছবি

হাসান মোরশেদ ভাই, আমি জানি না আপনে পেশাগত জীবনে কি করেন কিন্তু একটা জিনিস সৎভাবে জবাব দেন, ক্ষমতার লোভ ছাড়া কি এতই সোজা ? সোহেল তাজ শুধু এই একটা কারণে এক হাজার বার সালাম পাবার দাবী রাখে। আর আপনি বললেন সে ময়দান ছেড়ে ভাগছে তাই তাকে ধিক্কার, কেন ?? পা-চাটা কুত্তা হওয়া টা কি খুব সন্মানের ?? যাদের সন্মানবোধ আছে তাদের সাধুবাদ দিতে সমস্যা কোথায়। আর আওয়ামী লীগ কোনঠাসা অবস্থায় পড়ছে তার নিজের দোষে, এখন তাজ এর পদত্যাগে যদি দলের ইমেজে এতই সমস্যা হয়, তাইলে দলের হাইকমান্ড গত ছয় মাস কি এতই ব্যস্ত ছিল যে এই ইস্যুটা মেটানোর প্রয়োজন বোধ করে নাই। টুকুর মত একটা ছাগলকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়ে যদি হাইকমান্ড মনে করে ইস্যু Resolved, তাইলে এই থাপ্পর আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের প্রাপ্য। আর আওয়ামী লীগ সত্যিই যদি মনে করে এমন নেতা দলের জন্য, দেশের জন্য দরকার তাইলে তাকে ডেকে নিয়ে পূর্ণ সন্মান দিয়ে আবার প্রতিমন্ত্রী করুক। পানি শুধু একতরফা নিচের দিকেই গড়ায়েন না।

রব এর ছবি

ক্ষমতার লোভ ছাড়া কি এতই সোজা ?

এই পয়েন্টটা আমার কাছেও অতি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে।

ফারহানা আহমেদ এর ছবি

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ফ্লোর ক্রসিং করলে এওয়ার্ড হিসেবে পাওয়া যায় সংসদসদস্যপদ বাতিলের শাস্তি, একজন এমপি সে ক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট দিতে চাইলে পারবেন কি? এই রকম বর্বর আইনে যে সংসদ চলে সেইখানে সোহেল তাজ বা অন্য যে কেউ কাজ করে খুব উলটে ফেলবেন সেটা সম্ভব নয়। সোহেল তাজ চাইলেই রাজনীতির ভিতরে থেকে, দলের ভিতরে থেকে দেশ-দল একেবারে সার্ফ এক্সেলে ধুয়ে ধপধপা করে ফেলতে পারতো সেটা আমি যেমন বিশ্বাস করি না, যারা সোহেল তাজ পালাই গেছেন বলে চিৎকার করছেন নিশ্চিত তারাও বিশ্বাস করেন না। এই দেশে হয় হাসিনার কথায় চলতে হন, নইলে খালেদার কথায়----এর বাইরে রাজনীতি নাই, এর বাইরে নেতাও নাই। আমরা জনগনও ব্লগে-ফেসবুকে-আড্ডায় আম্লীগ-বিম্পির চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করি, আর ইলেকশনের দিন সকালে সীল্টা দিই নৌকা-শীষ দেখে। কোন ভরসায় এখাকে কেউ বিদ্রোহ করবে? কার ভরসায় সত্য কথা বলবে? এই জাতির, তার রাজনীতিকদের যদি শিক্ষা লাগতো, তবে তারা তাজউদ্দিনের কাছ থেকেই নিত, তার পোলার কাছ থেকে শিক্ষা নেবার জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকতো না।

যেদেশে সরকারের মন্ত্রীদের লাথি-ঝাঁটা করলেও কাছিম কামড় দিয়ে গদি আকড়ে পড়ে থাকে, প্রধানমন্ত্রী দফতর ছাড়ার নির্দেশ দিলে দফতরবিহীন হবার খায়েশ পোষন করে, জি-ম্যাডাম-এর বাইরে এওকটা শব্দও মখ দিয়ে বের করে না, সেই দেশে একজন মন্ত্রীর স্বেচ্ছায় মন্ত্রীত্ব ছাড়া বিপ্লব না হইলেও, বিদ্রোহ তো বটে। সেটাকে যারা বাঁকা চোখে দেখার পায়তারা করে তাদের চোখের ডিজিটাল চশমা জীবনেও খুলবার নয়, আল্লা তাদের অন্তর সীলমোহর করে দিয়েছেন।

রব এর ছবি

এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে যা বলা হয় তার কিছুকিছু মেনে নিয়েও বলা যায়, ৭০ অনুচ্ছেদের যে প্রভাব আমরা অনুভব করি তা বিপদজনক।

কৌতুহলোদ্দীপক বিষয় হচ্ছে, ১৫শ সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদটি প্রতিস্থাপিত করে নতুন করে লিখা হয়। তা করতে গিয়ে আগের ৭০ এর (২) ও (৩) ধারা বাদ পড়েছে। আগের (১) ই এখনকার ৭০। তবে খানিকটা সহজ করা হয়েছে। (৩) ছিলো নির্দলীয় সদস্যদের নির্বাচিত হওয়ার পরেও কোন দলে যোগদানের বৈধতা-সংক্রান্ত। আর (২) এর বিষয়বস্তু ছিলো সংসদ চলাকালীন কোন রাজনৈতিক দলের সংসদীয় দলের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলে ভোটাভুটির মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন। অন্তত (২) কাটা পড়া আমার কাছে মজাদার মনে হয়েছে। কী বলেন?

এই জাতির, তার রাজনীতিকদের যদি শিক্ষা লাগতো, তবে তারা তাজউদ্দিনের কাছ থেকেই নিত, তার পোলার কাছ থেকে শিক্ষা নেবার জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকতো না।

চলুক

কল্যাণ এর ছবি

সোহেল তাজের পদত্যাগ সাহসের কাজ, সততা সেই সাথে দলীয় পা চাঁটা অভ্যাসের বিরুদ্ধে সাহসী পদক্ষেপের নিদর্শন, উনি যে কতখানি নির্লোভ তার প্রমাণ, এই জন্য তাঁকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এর বটম লাইন কি? এই পদত্যাগ করাটা কতখানি ভ্যালু এড করে? সোহেল তাজ কি ভোটের সময় ভোটারদের পরিবর্তনের আশ্বাস দেন নাই? এইটাই কি তাহলে সেই পরিবর্তন?

আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত সব পয়েন্টও একটা কন্টেক্সট থেকে ঠিক বলে মেনে নিচ্ছি। এখন এই রকম পরিস্থিতির কারণেই একজন পদত্যাগ করে রাগ করে দূরে চলে গেলে তাতে পুরো সিস্টেমের কিছু কি যায় আসে? বরং আপনার মন্তব্য অনুযায়ী

কোন ভরসায় এখাকে কেউ বিদ্রোহ করবে? কার ভরসায় সত্য কথা বলবে? এই জাতির, তার রাজনীতিকদের যদি শিক্ষা লাগতো, তবে তারা তাজউদ্দিনের কাছ থেকেই নিত, তার পোলার কাছ থেকে শিক্ষা নেবার জন্য হা পিত্যেশ করে বসে থাকতো না।

যেদেশে সরকারের মন্ত্রীদের লাথি-ঝাঁটা করলেও কাছিম কামড় দিয়ে গদি আকড়ে পড়ে থাকে, প্রধানমন্ত্রী দফতর ছাড়ার নির্দেশ দিলে দফতরবিহীন হবার খায়েশ পোষন করে, জি-ম্যাডাম-এর বাইরে এওকটা শব্দও মখ দিয়ে বের করে না, সেই দেশে একজন মন্ত্রীর স্বেচ্ছায় মন্ত্রীত্ব ছাড়া বিপ্লব না হইলেও, বিদ্রোহ তো বটে। সেটাকে যারা বাঁকা চোখে দেখার পায়তারা করে তাদের চোখের ডিজিটাল চশমা জীবনেও খুলবার নয়, আল্লা তাদের অন্তর সীলমোহর করে দিয়েছেন।

আমি এখন আরো একা হয়ে গেলাম। আমার পয়েন্ট এটাই।

কিছু মনে করবেন না, কিন্তু আমরা কেন ধরে নিচ্ছি সৎ থাকাটা ব্যতিক্রম একটা কিছু? বরং মানুষের তো নীতিগত মূল্যবোধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকেই সৎ হওয়া উচিত। সেটাইতো আপনার আমার আমাদের সবার দায়িত্ব। এখন চারপাশে বেশিরভাগ মানুষ অসৎ বা তাদের দায়িত্ব পালন করছে না বলেইতো আর দুর্নিতি আর নীতিহীন চুরি চামারী গ্রহণযোগ্য হয়ে যায় না।

সোহেল তাজ যদি চলে যাওয়ার আগে কিছু সাফাই করে যেতেন আমার মতে সেটাই অনেক বেশি কাজের হত এবং সেটাই তাঁর দায়িত্ব ছিল। এখন আপনি বলবেন ঘরে বসে বড় বড় কথা বলতেছি, ব্লগ গরম করতেছি। কিন্তু আমি স্যাটিস্ফাইড, কারণ আমার দৌড় যতটুকু তার মধ্যে আমি ততটুকু ঠিক মত করার চেষ্টা করছি, এতে আমার ভোগান্তি হচ্ছে বিস্তুর, পুলিশে আমার ক্লিয়ারেন্স দিচ্ছে আমাকে বাসায় পাওয়া যায় নাই আমি দিনাজপুরে (যদিও জীবনে দিনাজপুর যাই নাই), কাস্টমসে আমাকে বসায় রাখতেছে কারণ আমি আত্মীয় স্বজন ইয়ার দোস্তদের জন্য সাধ্যের মধ্যে সামান্য কিছু শপিং করছি আর তারা মনে করতেছে তারাও আমার আত্মীয় এবং একটা ভাগ তাদের পাওনা যদিও আমি সেটা প্রাণপনে অস্বীকার করছি এবং ফলাফল তারা আমার জুতা খুলেও চেক করতেছে, সরকারী অফিসে কাজ কামের লাইনে আমার পরে এসে আমার আগে কাজ করে নিয়ে যাচ্ছে যতই চেচামেচি করি তাও। কিন্তু আমি জানি ওরাই সব ব্যাতিক্রম, আমি যেটা করছি সেটাই স্বাভাবিক ভাবে হওয়া উচিত। সুতরাং আমার ত্যাড়া ঘাড়ের ভোগান্তি আমার হলেও নো কম্প্রমাইজ আর ঠিক সে জন্যেই যারা আমার থেকেও বড় তাদের কাছে আমি আরোও বড় মাপের ঘাড় ত্যাড়ামি আশা করি।

আবার ধরেন আপনি নেতিবাচক মনভাব নিয়ে আছেন বলেই সেটাও সবার জন্যে প্রযোজ্য হয়ে যায় না। আমি আশা করতে চাই।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

রব এর ছবি

কিন্তু আমি স্যাটিস্ফাইড, কারণ আমার দৌড় যতটুকু তার মধ্যে আমি ততটুকু ঠিক মত করার চেষ্টা করছি

ভাই, এভাবে ভাবারও একটা বিপদ আছে। যেমন, সোহেল নিজের চেষ্টার ব্যাপারে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলে এই মডেল অনুসারে কথা ওইখানেই খতম। এবং সোহেল তার সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করে তারপর পদত্যাগ করেছেন বলে বলছেনও।

কল্যাণ এর ছবি

রব ভাই, মানুষের সাধ্যতো তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে, ঠিকতো? এখন একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রীর সাধ্য যদি পদত্যাগ করে বিদেশে চলে যাওয়া এবং সত্য প্রকাশ করে কাউকে বিব্রত না করার ইচ্ছা বোঝায় তাহলে অবশ্যই আলোচনা এইখানে খতম। আমি সাধ্য জিনিসটা এত খাটো করে দেখতে রাজী না। আমার উপরের মন্তব্যের উদাহরণটা আরেকবার দেই, আমার সাধ্য ছিল ঘুষ দিয়ে ভোগান্তি ছাড়াই কাজ করিয়ে নেওয়ার কিন্তু করি নাই, তবে সেটাকে তখন আর সাধ্য বলা যায় না, বলতে হয় আপোষ করা।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

রব এর ছবি

দ্বিমত থাকলেও, আপনি যে সোহেলের এই আপোষ না করাটাকেও একধরনের আপোষ ভাবছেন- তা বুঝতে পারছি।

কল্যাণ এর ছবি

সেইটাই।

রব সবগুলো মন্তব্য পড়লাম আবার, আপনি খুব গোছানো মন্তব্য করেন নিঃসন্দেহে। কিন্তু মনে হচ্ছে আপনি সব পক্ষেই আছেন দেঁতো হাসি । এই পোস্টের বিষয় ও আলোচনার সাপেক্ষে আপনার অবস্থানটা কি?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

রব এর ছবি

কিন্তু মনে হচ্ছে আপনি সব পক্ষেই আছেন দেঁতো হাসি

আপনার অভিযোগটি আমাকে আমোদিত করেছে। দেঁতো হাসির ইমোটা না থাকলেও এটাকে মজার অভিযোগই বলতাম।

অভিযোগটা বড়ই। এবং আমার কাছে অন্যায় অভিযোগ বলেও মনে হচ্ছে। অবশ্য, আমাদের সমাজে যেখানে 'অ' কিছু করলে বাইনারি ভঙ্গিতে ''অ' ঠিক করেছে।সে ভালো।' নয়ত ''অ' ঠিক করে নাই। সে বদের হাড্ডি।' বলার রীতি, যেখানে কারও মধ্যে 'অ' এর কাজের অনেক দিকের মধ্যে কোন এক/একাধিকটাতে মিশ্র অবস্থান থাকলেও তর্কের ময়দানে নেমে বাইনারির এই কি ঐপ্রান্তেই শেষমেশ আটকে যেতে হয়, সেখানে হয়ত একে অন্যায় অভিযোগ ত দূর, অভিযোগ দাবি করতে যাওয়াই আরেক অন্যায়।

সোহেল তাজের 'সম্ভাব্য' নিগ্রহ, এর বিপরীতে 'সম্ভাব্য' ন্যায়বিচার না পাওয়া, তার রাজনীতি ত্যাগকে 'পলায়ন' না ভাবা ইত্যাদির (আপাত) বিপরীতে মন্তব্যে (আপনি মন্তব্যের কথাই বলেছেন) আমার দুটি বাক্যই আছে- সাফি ভাইকে বলা- 'আলোচনার ব্যাপারে আমিও একমত। গণমাধ্যম থেকে শুনার বদলে নির্বাচিতের মুখ থেকে শুনতে পাওয়াটা ভোটারদের প্রাপ্য ছিলো।' পোস্টে আছে আরও একটি বাক্য- 'পাশাপাশি, সাংসদ হয়েও দীর্ঘদিন এলাকায় বা দেশে না থাকা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলছিলেন।'

(আপাত) বিপরীত বাক্য বলছি এ কারণে যে অন্য কথাগুলোর সাথে সাথে এগুলো বলায় আমি কোন সমস্যা দেখিনা। কারণ যাই থাক, আমাদের এখানে সাংসদদের গড়পড়তা দায়িত্বপালন যেমনই হোক, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে সাংসদ হিসেবে সোহেলের ভূমিকা নিশ্চয় আদর্শমানের ছিলোনা। সোহেল তাজের 'সম্ভাব্য' নিগ্রহের কথা, এর বিপরীতে 'সম্ভাব্য' ন্যায়বিচার না পাওয়া, তার রাজনীতি ত্যাগকে 'পলায়ন' না ভাবার পাশাপাশি মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পরে সাংসদ হিসেবে তার ভূল-ভূমিকার উল্লেখ বা সমালোচনা বা এ ব্যাপারে কারও সাথে ঐকমত্য পোষণ সকল-পক্ষাবলম্বন কেন হবে?

দুটি (আপাত) বিপরীত বাক্য থেকেই বুঝে গেলেন- আমি সব পক্ষেই আছি? নাকি আপনার কোন রিডিং বিটুইন দ্য লাইনস আছে? থাকলে নিসংকোচে বলুন। আমিও আমার দ্বি/সকল-'পক্ষ'তা দেখে আমোদিত হই। তবে, একটা কথা। আমাকে সকল পক্ষ পরের কথা, কোন এক পক্ষও নিতে হবে কেনো? নিজের মতটা বলা কোন পক্ষ নেয়া বুঝি?

আর ভিন্নমতের অনেক মন্তব্যের বিপরীতে আমার নরম অবস্থান (যেটা এই থ্রেডের ঠিক আগের মন্তব্যেই করেছি) থেকে যদি অভিযোগের উৎপত্তি হয়ে থাকে, তবে আমি বলবো, আমি আসলে একটা পর্যায়ের পরে কথা বাড়াতে চাইনি। বিতর্কের অবশ্যই দরকার আছে। এটা আমাদের সামনে অন্যের তথ্য/যুক্তি/অবস্থান জানার সুযোগ করে দিচ্ছে। তবে অন্যের তথ্য/যুক্তি/অবস্থান জানার পরে নিজের অবস্থান শুধরে নেয়া/ একটা সমাধানের দিকে নিজেকে চালিত করা কেবল নিজেরই দায়। কেবল নিজের বিবেচনাবোধের দায়। সেখানে তর্কের আর কোন কেরামতি নাই। তুমুল তর্ক করে কেঊ অন্য কারো অবস্থান শুধরে দেয় না। সেটা নিজেকেই করতে হয়। আপনার কথাই বলি। পোস্টে আপনার মন্তব্য প্রতিমন্তব্য থেকে আপনার অবস্থানটা বেশ বুঝতে পেরেছি। নতুন করে তর্কের প্রয়োজন দেখিনি। কারণ আর তর্ক করে না আমি আপনার অবস্থান পাল্টাতে পারবো, না আপনি আমার। তাই, (অন্তত ঐ ব্যাপারে) কথাও বাড়াতে চাইনি। হাসি

কল্যাণ এর ছবি

আরে ভাইরে স্পষ্ট করে বলি, আমি অভিযোগ বা আপনার প্রতি ব্যাক্তি আক্রমণ থেকে উপরের মন্তব্যটা করি নাই। মন্তব্যটা যে আক্রমণ নয় সেটা বোঝানোর জন্যেই দেঁতো হাসির প্রয়োগ। যেহেতু আপনার সাথে আলোচনা চলছে সেজন্যেই জানতে চাওয়া।

উপরে মোরশেদ ভাই এর মন্তব্যের উত্তরে বললেন

টাইমিংটা গোলমেলে হলেও সোহেল দলকে বিপাকে ফেলার জন্য এসব করেছেন বলে মনে হয়নি। তিনি ঐ কিসিমের পলায়নপর হলে বিগত রাজনৈতিক সরকারের সময় যখন টপাটপ কিবরিয়া-আহসানুল্লাহ মাস্টারদের লাশ পড়ছিল, তখনই গাজীপুর-৪এর এই সংসদ-সদস্য কেটে পড়তেন। কৌশলের অভাব হয়ত আছে, আবার অপমান হজম করে অমেরুদন্ডীর মত কলা-মুলার ভাগ না নিয়ে বেরিয়ে যাওয়াটাকেও কেন জানি মন্দ বলতে পারছি না।

এথেকে মনে হয়েছে আপনি সোহেল তাজের চলে যাওয়াটা সমর্থন করছেন।

আবার অরফিয়াসের পদত্যাগ সমর্থন না করে করা মন্তব্যের উত্তরে

সিস্টেমের ত্রুটিগুলো শোধরানোর জন্য সিস্টেমের ভেতরে থেকে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ, রাজনীতির নোংরা পরিষ্কার করতে হলে রাজনীতির ময়দানে থেকেই করতে হবে। পদত্যাগ কোনো স্থায়ী সমাধান নয়, তবে এটা প্রতিবাদ হতে পারে সোহেল তাজের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে।

ভালো বলেছেন। রাজনীতির ময়দানে থেকেই রাজনীতির নোংরা পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে অন্তত কিছু সঙ্গীসাথি/ অগ্রজদের কাছ থেকে হলেও সত্যিকারের নৈতিক সমর্থন থাকাটাও গুরুত্বপূর্ন। আমাদের স্বচ্ছ স্বপ্নবানেরা যেন সেটা পায়।

আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনি নিজেও সোহেল তাজের এভাবে চলে যাওয়া সমর্থন করছেন না, যা আমার সাথে মেলে, সেক্ষেত্রে তো আপনার সাথে তর্ক করা বাহুল্য যেখানে দুইজনে একি মত পোষণ করছি।

আমার অবস্থান তো আপনি বুঝতে পেরেছেন আমার করা মন্তব্য থেকেই, কিন্তু আপনারটা আমি বুঝতে পারছি না, তাই আলোচনা বাড়ানোর আগে আপনি কি ভাবছেন সেটাই জানতে চেয়েছি।

আপনি অবশ্যই নিজের মত প্রকাশ করতে পারেন, সেটা যেমন কারো কারো সাথে মিলে যেতে পারে তেমনি কারো সাথেই নাও মিলতে পারে। তাছাড়া আমার আলোচনার উদ্দেশ্য আপনাকে ভুল প্রমাণ করা বা আপনার মতের পরিবর্তন করা বা আপনাকে তর্কে হারানোও নয়। বরং নিজের জানা ও চিন্তাধারাটা যাচাই করতে মতামত প্রকাশ করা এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ত্রুটি শোধরানোই উদ্দেশ্য। আশা করি আমার অবস্থান পরিস্কার করতে পেরেছি। তবে আমি কিন্তু এখনো বুঝতে পারছি না আপনি সোহেল তাজের পদত্যাগ সমর্থন করছেন নাকি করছেন না। ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ। হাসি

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

রব এর ছবি

অরফিয়াসের পদত্যাগ সমর্থন না করে করা মন্তব্যের পুরোটা সম্পর্কে বললেও, দ্বিমত সত্ত্বেও, বলতাম যে- 'ভালো বলেছেন।' কিন্তু হয়ত খেয়াল করেননি যে আমি তার পুরো মন্তব্যটা কোট করিনি। যতটুকু করেছি সেটুকুর সাথে আসলেই আমার দ্বিমত নাই। তবুও (বিশেষ করে এ ইস্যুতে) নিজের অবস্থান আরো পরিস্কার করতে আরো দুটো বাক্য লিখেছি। মোরশেদ ভাইকে করা প্রতিমন্তব্যের সাথে এটাকে আমার কাছে সাংঘর্ষিক মনে হচ্ছেনা। তোফায়েলকে করা প্রতিমন্তব্যটাও চাইলে খেয়াল করতে পারেন। খেয়াল করলে এও দেখবেন যে মোরশেদ ভাইয়ের আরেকটি ভিন্নমতসূচক মন্তব্যের একটা অংশকে উদ্ধৃত করে আমি বলেছি- 'শতভাগ একমত।' কিন্তু তারপরেই আমার দ্বিমতটুকু পরিস্কার করেছি।

আরও অনেক সম্ভাবনাকে মাথায় রেখেও সোহেল তাজের পদত্যাগ আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়। কারণটা অন্য মন্তব্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও ধ্রুবদাকে করা প্রতিমন্তব্যে বেশ ভালোভাবেই আছে। পুরো প্রতিমন্তব্যটাই তুলে দিলামঃ

সংসদ থেকে পদত্যাগের পিছনে মরিয়া ধরনের টেকনিকাল কারনও থাকতে পারে- যেটা আমি পোস্ট ও একটা মন্তব্যে বলেছি।

চড় খেয়েও (ও ন্যায়বিচার পায়নি মনে করেও) এমপিত্ব চালিয়ে যাওয়ার পণ কারো নাই থাকতে পারে। তাছাড়া কেউ ভোটারদের কাছে চড় খেয়েও এমপিত্ব চালিয়ে যাওয়ার পণও নিশ্চয় করে আসেনা। সংসদ-সদস্যদের মন্ত্রিত্বের ভিত্তি তার সংসদ-সদস্যপদ। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চড় খেয়ে (ও ন্যায়বিচার পায়নি মনে করে) কেউ যদি ভাবে যে তার মন্ত্রিত্বের ভিত্তি রচনাকারীদের গালেও চড়টি পড়েছে, তখন?

সোহেলের একটা মন্তব্য খেয়াল করছি-

'আপনাদের সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। (কাপাসিয়ার সাংসদ হিসেবে) আমাকে কেউ অপমান করলে সে অপমান কাপাসিয়ার সাড়ে চার লাখ মানুষের। মনে রাখতে হবে, একজন মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তার আত্মমর্যাদা, নীতি-আদর্শ ও সম্মান এবং মাথা নত না করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।আমার বাবা আপনাদের সম্মান রক্ষা করেছেন। আমি কি আপনাদের অপমান করতে পারি? আপনাদের এমপি হিসেবে আমার যে দায়িত্ব, তা পালন করে যাব।'

যদিও কোন কিছুকে যৌক্তিক ভাবা আর তাকে সমর্থন করার মাঝে সামান্য হলেও তফাত আছে বলে আমি মনে করি, তবুও আপনার সুবিধার্থে বলছি যে সোহেল তাজের পদত্যাগ আমি 'সমর্থন' করছি। আপনার অংশগ্রহণ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনিও ভালো থাকবেন।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

ফারহানা আহমেদ এর ছবি

আমার পয়েন্ট একটাইঃ সামথিং ইজ বেটার দ্যান নাথিং।সেইটুকু যেন আমরা প্রথমে স্বীকার করে নিয়ে আলোচনা করি।

কল্যাণ এর ছবি

'সামথিং ইজ বেটার দ্যান নাথিং' তখনি স্বীকার করি যখন 'সামথিং'টা কিছু 'ভ্যালু এড' করে। তা না হলে দুইটাই 'নাথিং'।

ভিন্নমত পোষণ করি বলে কি আমার আলোচনায় কার্ফিউ জারী করলেন !! রেগে টং

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই দেশ নিয়ে আপনার হতাশা নিরাময় অযোগ্য।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

স্পর্শ এর ছবি

(লেজুড়বৃত্তি না করলে বাবার মত) একই ধরনের পরিনতির আশঙ্কায় কি তিনি সরে গেলেন? চিন্তিত


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রব এর ছবি

এটাও অন্যতম কারণ কীনা তা আমিও জানতে আগ্রহী।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম। রব, আপনার লেখা, এবং তারচেয়েও বেশি আপনার মন্তব্য বেশ গোছানো। চিন্তাগুলো, বলার ঢঙ পরিচ্ছন্ন মনে হয়েছে অনেক জায়গাতেই, যদিও বক্তব্যে হয়তো আমার ভিন্ন মত আছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। আপনি এখানে নিয়মিত হোন।

অন্য অনেক ব্লগের তুলনায়তেই সচলে ইদানিং পরিচ্ছন্ন করে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলা অতিথির সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলে অনুভব করেছি। আপনারা লেখা টেখা দিন। যুক্তিতর্ক করুন। আপনাদের উপস্থিতি উপভোগ করছি।

রব এর ছবি

লইজ্জা লাগে

অন্য অনেক ব্লগের তুলনায়তেই সচলে ইদানিং পরিচ্ছন্ন করে গুছিয়ে যুক্তি দিয়ে কথা বলা অতিথির সংখ্যা বেড়ে চলেছে বলে অনুভব করেছি

আমিও খেয়াল করছি। আমার ধারণা কারণটা সচল নিজেই।(তেল দিচ্ছিনা, কারণ সচলের তেলহারামিপণা সম্পর্কে আমি অবগত হাসি ) আমার নিজের ব্যাপারটা বলি, এখানে বেশ কয়েকজনকে সবসময় এবং অনেককে অনেক সময় নম্রতার সাথে স্নিগ্ধ কিন্তু কার্যকর সওয়াল-তর্ক করতে দেখেছি- যা আমার আশে পাশের দুনিয়ায় খুব কমই দেখেছি। ব্যাপারটা আমার দারুণ লেগেছে। নিজের চেতনায় ধারণের চেষ্টা করেছি এবং করছি (জানিনা কতটুকু পেরেছি)। তাই, দিনশেষে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কৃতিত্ব সচলই পাচ্ছে।

আপনি আমার লেখা ও মন্তব্য পড়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

আমার প্রথম লেখাটিতেই যে বিরল সদয় বাক্যগুলো আপনার কাছ থেকে পেলাম- তা আমার কাছে বড় পাওয়া হয়ে থাকবে। আপনাকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সমর্থন দিলাম।

রব এর ছবি

ধন্যবাদ, পিপিদা।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সহমত। সচল থাকুন।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রব এর ছবি

মোরশেদ ভাই, চেষ্টা থাকবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

-

--------------------------------------------------------------------------------

রু_ এর ছবি

সোহেল তাজকে তার বাবার সাথে কখনই তুলনা করব না। এই দুইজনের সময়কাল তথা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ সম্পুর্ন ভিন্ন। এবং সবথেকে বড় বিষয় নেতা হিসাবে শেখ মুজিব আর শেখ হাসিনার তুলনা করা যায় না। আজকে যদি তাজউদ্দিন সাহেব বেঁচে থাকতেন, উনি শেখ হাসিনার প্রতি একইরকম আনুগত্য দেখাতেন তার গ্যারান্টি কি?

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বিষয়টা শুধু আনুগত্যের নয়, এর চেয়ে বেশী কিছু। কৌশল এবং দায়িত্ববোধ। তাজউদ্দীন আহমদ এর ছিলো, সোহেল তাজ এর নেই। থাকলে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করলেও তাকে যারা ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য বানিয়েছিলো, তাদের সাথে কথা না বলে সংসদ সদস্য পদ ত্যাগ করতেননা।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আচ্ছা মানসম্মানের আর আদর্শেরই যদি প্রশ্ন হয়, হাউ অ্যাবাউট দলের সদস্যপদ প্রত্যাহার? ওটা নয় কেনো? ব্যাপারটা তো দলীয় পর্যায়ের সমস্যাই ছিলো। চড় খেয়েও ‘আওয়ামী লীগ আমার শেষ ঠিকানায়’ পড়ে থাকা যায়, কিন্তু জনগণের প্রতিনিধি থাকাটা যায় না? কাপাসিয়াবাসী নিশ্চয়ই দুগালে দুটো চড় খেয়েও যাতে জনগণের হয়ে তাদের সেবা চালিয়ে যায়, এজন্যেই ভোট দিয়েছিলো।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ইমেইল পাঠিয়েছেন তো কাপাসীয়াবাসিকে হাসি

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

রব এর ছবি

সংসদ থেকে পদত্যাগের পিছনে মরিয়া ধরনের টেকনিকাল কারনও থাকতে পারে- যেটা আমি পোস্ট ও একটা মন্তব্যে বলেছি।

চড় খেয়েও (ও ন্যায়বিচার পায়নি মনে করেও) এমপিত্ব চালিয়ে যাওয়ার পণ কারো নাই থাকতে পারে। তাছাড়া কেউ ভোটারদের কাছে চড় খেয়েও এমপিত্ব চালিয়ে যাওয়ার পণও নিশ্চয় করে আসেনা। সংসদ-সদস্যদের মন্ত্রিত্বের ভিত্তি তার সংসদ-সদস্যপদ। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে চড় খেয়ে (ও ন্যায়বিচার পায়নি মনে করে) কেউ যদি ভাবে যে তার মন্ত্রিত্বের ভিত্তি রচনাকারীদের গালেও চড়টি পড়েছে, তখন?

সোহেলের একটা মন্তব্য খেয়াল করছি-

'আপনাদের সম্মান রক্ষা করার দায়িত্ব আমার। (কাপাসিয়ার সাংসদ হিসেবে) আমাকে কেউ অপমান করলে সে অপমান কাপাসিয়ার সাড়ে চার লাখ মানুষের। মনে রাখতে হবে, একজন মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয় তার আত্মমর্যাদা, নীতি-আদর্শ ও সম্মান এবং মাথা নত না করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।আমার বাবা আপনাদের সম্মান রক্ষা করেছেন। আমি কি আপনাদের অপমান করতে পারি? আপনাদের এমপি হিসেবে আমার যে দায়িত্ব, তা পালন করে যাব।'

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনার উত্তর ভালো হয়েছে। খবরটা মনে হয় সংসদসদস্যপদ ত্যাগের আগের। তাই বলছেন এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এখন এমপির দায়িত্ব ত্যাগ করলেন। দলের পদ নিয়ে আমার প্রশ্নের উত্তর অনেকটা পেয়ে গেছি।

রব এর ছবি

হ্যাঁ, খবরটা সংসদ-সদস্যপদ ত্যাগের বেশ আগের।

akash এর ছবি

অন্ধ দলীয় আনুগত্যের দারুণ প্রদর্শনী চলছে এই সচলায়তনে, কি দারুণ! কেন সোহেল তাজ পদত্যাগ করল, কি কারণে সে হতাশ হল এসব নিয়ে কোন বিশ্লেষণ নাই, সে পদত্যাগ করায় কত বড় অপরাধ হয়ে গেল সেটা প্রমাণে দলীয় কর্মীরা মহা ব্যস্ত! এখানে যারা লিখেন তারা সবাই তো মাশাল্লাহ শিক্ষিত, তাদের-ই যদি এরকম অন্ধ দলীয় আনুগত্য থাকে তাইলে আর সক্রিয় রাজনীতিবিদ ও দলীয় চামচাদের কি দোষ! কেউ কেউ এখানে কৌশল শেখাচ্ছেন, কেউ শেখাচ্ছেন নীতি-নৈতিকতা, কিন্তু যারা সোহেল তাজের পদত্যাগ আর সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য দায়ী তাদের নিয়ে কোন কথা নাই! সোহেল তাজ এর এই নেই, সেই নেই, সে তার বাবার কিছু-ই পায়নি, আরও কত কি! তাইলে তারে কেন এম পি, মন্ত্রী বানানো হল? অন্ধ আনুগত্য আর চুপ করে থাকার জন্য? এই প্রশ্ন করেন না কেন জনাব হাসান মোরশেদ, ধ্রুব বর্ণন আপনারা? নাকি যারা এম পি, মন্ত্রী বানায় তাদের কোন দূরদর্শীতা নাই বা তাদের কোন দোষ বলতে নেই বলে-ই ধরে নিয়েছেন? আশা করি এসব অসহ্য দলীয় লেদা-লেদী বন্ধ হবে আর আমরা যারা সচলায়তনের নীরব পাঠক, যারা মুগ্ধ হয়ে সচলায়তনের অসাধারন সব লেখকদের লেখা গুলো পড়ি তাদেরকে আশাহত না হতে সাহায্য করবে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সব প্রশ্নের দায়িত্ব আমাদেরকে কে দিলো ? আমরা আমাদের মতো করলাম। আপনার কাছে যথেষ্ট মনে না হলে, বাকী প্রশ্নগুলো আপনি করুন, সচলে লেখার সুযোগ উন্মুক্ত।
সহজে আশাহত হবেননা। এটি একটি প্রায় নিরাময় অযোগ্য অসুখ। রাজনীতি নিয়ে আশাহত, দেশ নিয়ে আশাহত, সচলায়তন নিয়ে আশাহত

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

তারে কেন এম পি, মন্ত্রী বানানো হল? অন্ধ আনুগত্য আর চুপ করে থাকার জন্য? এই প্রশ্ন করেন না কেন জনাব হাসান মোরশেদ, ধ্রুব বর্ণন আপনারা? নাকি যারা এম পি, মন্ত্রী বানায় তাদের কোন দূরদর্শীতা নাই বা তাদের কোন দোষ বলতে নেই বলে-ই ধরে নিয়েছেন? আশা করি এসব অসহ্য দলীয় লেদা-লেদী বন্ধ হবে আর আমরা যারা সচলায়তনের নীরব পাঠক, যারা মুগ্ধ হয়ে সচলায়তনের অসাধারন সব লেখকদের লেখা গুলো পড়ি তাদেরকে আশাহত না হতে সাহায্য করবে।

হাসি আশাহত হবেন না akash ভাই। আমার মনে যে প্রশ্নটা জাগছে, সেটা করাটাই আমার নিজের প্রতি দায়। উত্থাপনযোগ্য প্রশ্নতো খুব সীমিত নয়। আপনি যে প্রশ্নগুলো করার জন্য পরামর্শ দিলেন, তার বাইরেও তো এখনও অনুচ্চারিত আরও প্রশ্ন আছে, ওগুলোও জানতে চাচ্ছেন না কেনো? কিন্তু আপনার মূল পরামর্শ হচ্ছে আপনার মন মতো না এমন প্রশ্নগুলো না করে চুপ করে বসে থাকা, নাহলে আপনি আশাহত হয়ে আমাদেরকে 'দলীয় লেদা-লেদীর' অভিযোগে অভিযুক্ত করবেন। কিন্তু সব প্রশ্নই তো প্রশ্ন জনাব। তাজের উপর অন্যায় কিছু একটা হয়েছে সেটা ধরে নিয়েই তো আলোচনা চলছে যে এক্ষেত্রে কী করণীয় ছিলো। সেখানে সোহেল তাজের নেয়া পন্থাটা আমার ভালো না লাগলে আমি সেটা বলতে পারবো না? সচলায়তন আপনাকে এন্টারটেইন করার সার্কাস নারে ভাই। প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন, হতাশা কেটে যাবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।