মধুমাসে নানা বাড়ী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৫/২০১২ - ৯:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তখন চৈত্র মাসেই স্কুল হয়ে যেত মর্নিংস্কুল। সকাল আটটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। দুপুরে দাপিয়ে সাতারের যো ছিলো না, গরমে পানি শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে। তবুও স্কুল যতদিন চলতো, রুটিন থাকতো, হারিকেনের আলোয় গোল হয়ে বসে হোম ওয়ার্ক করতে হোত। তারপর গরমের ছুটির দিন স্কুলে হোত উৎসবের মত, সব্বাই বাসা থেকে ক্লাস টিচারের জন্য আনতো উপহার। সেবার শেফালি দুই রঙের জামরুল দিয়ে চমৎকার এক মালা গেঁথে নিয়ে এলো, সেটা পড়ে রত্না দিদিমনি সারা স্কুলে দেখাতে লাগলেন সব্বাইকে।

আমার মা মামাদের সাঙ্ঘাতিক টান ছিল, ছুটি হলেই বড় মামা মেজ মামাকে পাঠিয়ে দিতেন আমাদের নেবার জন্য। মেজ মামা ছিলেন ভীষন আমুদে, তখন মেডিকেল এর ছাত্র, একটু ভোজন রসিকও বটে। উনি যেকোন সময়ে এসে আম্মাকে পটিয়ে ঈদের মত খাবার দাবারের আয়োজন করে ফেলতেন। সেবারে সবাই মিলে ঠিক হোল, স্টিমারে করে যাওয়া হবে, ত্রিশ ঘন্টার যাত্রা। বললামনা মামা পটাতে জানেন, আম্মাকে বুঝালেন, চোর ছ্যাচোর বা শিয়ালের পেটে যাবার চেয়ে, আমরা পালা মুরগী গুলোর একটা গতি করি। বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে যাতায়াতে অত কিনে খাওয়া ঠিকও না। ছয়টা ডিম পাড়া মুরগী জবাই হয়ে গেল পটাপট। টফিন ক্যারিয়ারে ভরা হোল রাতের জন্য ভুনা খিচুরি, আলু দিয়ে একটু ঝোলের মুরগি, গিলা কলিজা চামড়া পেটের ভিতরের ছোট ছোট কুসুম কুসুম ডিম আর কয়েক টুকরা মাংস দিয়ে ভুনা, চাউলের রুটি দিয়ে সকালের নাস্তার জন্য, আর ভালো টুকরাগুলি দিয়ে কসিয়ে ভুনা দুপুরের জন্য। হালুয়া, পিঠে নেয়া হোল কয়েক রকমের।

খান সাতেক রিকশা লাইন দিয়ে দাঁড়ানো, আমরা রিকসায় ওঠার পর আমাদের পায়ের কাছে কিছু ব্যাগ দিলেও পিছনের তিন রিক্সায় সব মালপত্র, ‘মনে রেখ’ লেখা নক্সি আঁকা ট্রাংক, নুতন খাকি কাপরের বানানো হোল্ডওলে বিছানা বালিশের সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধা বদনা, টিফিন ক্যারিয়ার, (মনে আছে ঐযে তখন চিকন ফিতের মত প্লাস্টিকের নীল, সবুজ, সাদা ফিতে দিয়ে হাতে বোনা চৌকো প্যাটার্নের বাহারি ব্যাগ) খান কতক ব্যাগে গেল প্লেট, গ্লাস, কিছু বই, খাতা, আর পথে লাগতে পারে এমন কত জিনিস। রিক্সা সদর ঘাটে আসার সাথে সাথে কুলির দলের পাল্লায় হিমশিম, মামা তিন কুলির পিছনে দৌড়ে চলে গেলেন প্রচন্ড ভিড়ে আমাদেরকে রেখেই। আমরাও ভিড়ের ঠেলায় কেমন কেমন করে যেন স্টিমারে উঠে গেলাম।

কান ফাটানো ভেঁপু বাজানোর পর, যাত্রিদের তুলে দিতে আসা সংগী সাথিরা, হরেক রকমের ফেরিওয়ালা, হুল্লোর করা কুলির দল নেমে গেল, ধীরে ধীরে স্টিমারটা চলা শুরু করলো। আমরা মামার সাথে ডেকে দাঁড়িয়ে ক্রমশ দূরে চলে যাওয়া আলোর মালায় সাজানো সদর ঘাট দেখতে লাগলাম। নির্মেঘ আকাশে রুপোর থালার মত চাঁদ, রুপোলী জোৎস্নায় নদী পাড়ের দৃশ্য মনে হতে লাগলো অপার্থিব, অলৌকিক, রুপকথার মত। অপরিচিত, ঘটাং ঘটাং শব্দে, জাহাজের দুলুনিতে আধা খিঁচড়ে ঘুম ভেঙ্গে গেল বরিশালে জাহাজ ভেড়ার পর, হরেবরে লোকজন, ফেরিওয়ালা, কুলিদের হুল্লোর মাঝ রাতের অন্যরকম অভিজ্ঞতা। স্টিমার চলা শুরু হলে মামা আমাদের কুঁচো কাঁচাদের নিয়ে চললেন সারেং কিভাবে চালাচ্ছেন জাহাজ তা দেখাতে। পথে দেখালেন ইঞ্জিন রুমের ঘটাং ঘটাং ঘট ঘট করে চলা বিশাল ইঞ্জিন, পাশেই এক জানালা দিয়ে এক খালাসি গল গল করে ঘামছে, আর শাবল দিয়ে কয়লার যোগান দিচ্ছে গন গনে জ্বলন্ত চুল্লির মদ্ধ্যে। গল্পের ছলে আগ্রহি বড় ভাইকে বিজ্ঞানের জ্ঞান দিতে লাগলেন মামা। সারেং এর সামনে জোৎস্না প্লাবিত রাতের নিস্তব্ধ নদী, এত সুন্দর, এত সুন্দর, একদম ছবির মত।

চাঁদপুরে মামা এক সাহসী কাজ করলেন। আমাদের স্টিমারে রেখে উনি দুই খালি টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে নেমে গেলেন। স্টিমারের ভেঁপু বাজে, মামা তবুও আসে না, সিড়ি তোলার আগে অবশেষে মামা হাঁফাতে হাঁফাতে দৌড়ে এলেন। নিয়ে এলেন ঘাটের হোটেলে রান্না টাটকা ইলিশ, আর সদ্য ধরা পদ্মার ইলিশ, কাটিয়ে আনতেই যা একটু দেরী হোল।

মধু মাসে নানা বাড়ী। স্থান কালের সাথে সাথে পাত্র পাত্রিও কেমন বদলে যায়। নানা বাড়ীতে এসে আম্মাকে আর চেনা যায় না, একদম অন্যরকম হয়ে যান। অফুরন্ত ফল ফলাদি, নিজ বাসভুমে, আপন ভাই বোন বৃদ্ধ বাবার কাছে এসে উনি একদম অন্য মানুষ! লবন কাঁচা মরিচ দিয়ে জাম ঝাকাচ্ছেন, সব্বাইকে নিয়ে কাঁচা মিঠে আমের কুঁচি করে মরিচ, লবন, শর্ষে বাটা, চিনি দিয়ে অমৃতের স্বাদের আম ভর্তা করছেন, ক্ষেত থেকে ফুটি (বাংগি) এনে কেটে চিনি দিয়ে মাখিয়ে রাখছেন, তরমুজের মদ্ধ্যে ফুটো করে চিনি ঢুকিয়ে ঘরের অন্ধকার কোনে রাখছেন ঠান্ডা, মিস্টি, রসালো হবার জন্য, তেতুলের শরবত বানাচ্ছেন গুড় দিয়ে, কাঠালের কোঁয়া খুলছেন, আম ভাগে ভাগে কাঁটছেন প্রতিদিনের একঘেয়েমি মুক্ত অন্য এক জীবন। জামরুল, খেজুর খুব পাত্তা না পেলেও আমাদের মৌসুমি ফল চিনাচ্ছেন, সিন্দুরে আমের গাছের নীচে দাঁড়িয়ে পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা আম, বোঁটার কাছে চমৎকার সিন্দুরের মত লাল, তা দেখিয়ে দিচ্ছেন। একবার দাদার বাড়ীতে কাঠাল গাছের গোরায় মাটি ফাটলে পিপড়ের আনাগোনা দেখে মাটি সরিয়ে বিরাট এক রসালো পাকা কাঠালের আবিস্কারের গল্প আমরা বহু বার শুনেছি। আশে পাশের বাড়িতে যাচ্ছেন, সবার সাথে অনেক গল্প করছেন, সবার জন্য স্নেহ আদর যেন ঝরে ঝরে পড়ছে।

কলেরায় হটাৎ করেই নানী মারা যান আম্মার বয়স যখন তের বছর, ছোট মামা চৌদ্দ মাসের শিশু। ষোল বছরে বিয়ের পরে আম্মার কোলকাতায় যেতে হয়েছে, বড় মামাও ইঞ্জিনীয়ারিং পড়ার জন্য বাড়ি ছেড়েছেন ঐ সময়েই। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পি এইচ ডি করে বসত গড়া ছোট মামার ছেলে বেলার গল্প করতে গিয়ে আম্মা কতবার যে কেঁদেছেন, সফল ছোট মামার হয়তো নিজেরো মনে নেই সেই ঘটনার। ছয় বছরের ছোট্ট মামা লজিং মাস্টারের কাছে পড়া শেষ হলে বই গুছিয়ে যৌথ পরিবারের রান্না ঘরে উঁকি দিয়ে যদি দেখেন খাবারের দেরী আছে, তাহলে সময়মত স্কুলে যাবার জন্য না খেয়েই স্কুলে রওনা দিতেন। পথে একটা খাল পড়ত, ক্ষেতে কাজ করা কামলা মুনিষরা কাধে করে উনাকে পার করে দিতেন।

আম্মা প্রথম বার নাইওরে এসে দেখেন সন্ধ্যা হয়ে গেছে তখনো ছোট মামা আসেন নি, হারিকেন নিয়ে একজন মুনিষকে নিয়ে নির্জন, অন্ধকার খাল পাড়ে এসে দেখেন পাঠ্য বইগুলি মাথার নীচে দিয়ে গাছের নীচে অভুক্ত, ক্লান্ত ছয় বছরের মামা ঘুমিয়ে আছেন, খালে তখন জোয়ার এসেছে।

কিম্বা এরও ঢের পরে আমাদের বড়াপুর জন্মের পর নাইওরে এসেছেন আম্মা। খামখেয়ালী আব্বার ‘উঠলো বাই, চল কলকাতায় যাই’ হটাৎ করেই দুপুরের ট্রেনে চলে যেতে হয়। মেজ মামা স্কুল থেকে এসে দেখে ঘর ফক ফকা ফাক্কা। বড় ভাগ্নিকে অসম্ভব আদর করতেন(এখনো করেন), দেখেন শুধু দুটো ভিজে কাঁথা উঠোনের তারে ঝুলছে, মামা তাই নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে স্টেশানে গিয়ে দাড়িয়ে থেকেছেন, অবুঝের মত চেয়েছেন ভাগ্নিসহ বুবু দুলাভাই ফিরতি ট্রেনে ফিরে আসবেন।

গত বিশ বছরে দেশ একেবারে পালটে গেছে, অনেক উন্নতি হয়েছে। সিন্দুরে আম, কাঁচা মিঠে আম গাছ গুলি কেটে মানুষ হুরমুরিয়ে দালান কোঠা বানিয়েছে। গ্রামের ঘরে ঘরে এখন কেবল, টিভি। বিকেলের অবসরে গ্রামের বৌ ঝিরা আর উঠোনে কচুরি পানার সারে জৈষ্ঠ্যে মাসে লাউ, কুমরো ঝিঙ্গে, ধুন্দলের বিচি লাগানোর কথা মনে করে না, আমস্বত্ব বা আঁচার বানায় না। আগে সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে হারিকেনের মৃদু আলোয় পড়াশোনার শব্দ আসতো, এখন বিদ্যুতের উজ্বল আলোয় ছেলে মেয়ের লেখাপড়া বাদ দিয়ে তাদের সাথে বসেই না বুঝলেও টিভির ঝল মলে বিজ্ঞাপন বা হিন্দি সিরিয়াল দেখে। তাদেরও হাতে থাকে মুঠোফোন, তারাও শিখে গেছে এস এম এস। কোন সুদুর থেকে আমদানী করা ফল শহুরে লোকের মত তারাও যে কিনেই খায়, অতি ব্যাস্ত শহুরে মানুষ মধুমাসে তবুও যে গ্রামে যেতে চায়, শিকড়ের টানে।

আসমা খান, অটোয়া


মন্তব্য

কীর্তিনাশা এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারন। তবে কেমন একটা তাড়াহুরো টের পেলাম লেখায়।

আর আপনার মামাবাড়ি সম্ভবত খুলনা। ঢাকা থেকে স্টিমারে খুলনা যাবার পথে বরিশালের আগে চাঁদপুর পড়ে। বলতে পারেন ঢাকা আর বরিশালের মাঝামাঝি অবস্থান হচ্ছে চাঁদপুরের। আর স্টিমার যখন বরিশাল পৌঁছায় তখন সকালের আলো ফোঁটা শুরু হয়। আপনি অনেক আগে গেছেন বলে মনেহয় একটু গুলিয়ে ফেলেছেন। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আসমা খান, অটোয়া এর ছবি

লেখাটি পড়ে মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। নানা বাড়ি নরসিংদী। আসলেই অনেক আগের স্মৃতি, খুলনার ফেরীঘাট থেকে সন্ধ্যায় যাত্রা শুরু হোত, মাঝ রাতে বরিশালে এবং দুপুরের দিকে চাঁদপুর হয়ে তখন নারায়নগঞ্জে ভিড়তো সন্ধ্যার পরে।দুঃখিত ফেরিঘাটকে সদরঘাট লেখায়।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আহা, মধুমাসে নানা বাড়ি! তখনকার দিনে স্কুলের এই গরমের ছুটিতে সম্ভবত প্রায় সব ছেলে-মেয়েরাই নানা বাড়িতেই যেত। আমরা সব খালাতো-মামাতো ভাই-বোনেরা নানা বাড়িতে হাজির হতাম। আহা, কি আনন্দে যে দিনগুলো কাটতো! সে সব দিনের স্মৃতিগুলো নিয়েইতো এই লম্বা জীবনটা পার করছি।
সদরঘাট থেকে স্টিমার যাত্রার কথা বলছেন? আমার কৈশোরে দেখেছি, ঢাকা-বরিশাল-ঝালকাঠি-খুলনা-ঝালকাঠি-বরিশাল-ঢাকা রুটে আইডব্লিউটিএ'র যে স্টিমার চলতো, লোকে তখন তাকে রকেট বলতো। আর জোছনা রাতে এই রকেটের দোতলার ডেকে বসে নদীর বুকে তাকিয়ে থাকলে ঘোর লেগে যেত। ঢেউ এর উপর চাঁদের আলো পড়ে এক ধরনের রূপোলি আমেজ তৈরি হতো। যতদূর চোঁখ যায় ঢেউ এর সাথে জোছনার এই মাখামাখি মনের মাঝে এক ধরনের অদ্ভুত ভালো লাগার আবেশ তৈরি করতো।

আসমা খান, অটোয়া এর ছবি

মনোযোগ নিয়ে পড়া ও মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ঠিকই বলেছেন রকেট বলতো তখন এবং যাত্রা পথটা বিশেষ করে জোৎস্না রাতে অপুর্ব লাগতো। নানা বাড়িতে খালাতো মামাতো ভাই বোনের মিলিত সময়ের স্মৃতি ভোলার নয়।

বন্দনা এর ছবি

অনেক অনেক ভালো লাগলো। আমার মামাবাড়ী ও চাঁদপুরে। আমরা ও ছোটবেলায় মামার সাথে এমন করে লঞ্চে করে চাঁদপুর যেতাম, কীসব দিন ছিল, অনেক কিছু মনে পড়ে গেল আপনার লিখা পড়ে।

আসমা খান, অটোয়া এর ছবি

মন্তব্যর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। এখনও ঐ রকম ভ্রমন করতে ইচ্ছে করে, পরিচিতেরা ভয় দেখায়, ডুবে যাওয়ার ভয়।
আপনার পুরোনো স্মৃতি নিয়ে লিখুন পড়তে খুব ভালোই লাগবে। মা মানে হচ্ছে আদর, আর মামা মানে হচ্ছে দুইগুন আদর, ঐ সব আদরই আমাদের সম্বল, চলার পাথেয়।

মৌনকুহর এর ছবি

আরে দিদি! অ--নে--ক দিন পর যে!

বেশ লাগলো স্মৃতিচারণ!

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

আসমা খান, অটোয়া এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যর জন্য। মধুমাসের শুভেচ্ছা।

আশরাফুল কবীর এর ছবি

উত্তম জাঝা! #অনেক অনেক দারুন, ভাল থাকুন সবসময় বাঘের বাচ্চা

আসমা খান, অটোয়া এর ছবি

অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। এই গরমে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সম্ভব হলে নানা বাড়ি ঘুরে আসুন।

এক লহমা এর ছবি

মনের মুকুরের কারণে এই অসামান্য সুন্দর লেখাটি পড়া হল।

আসমা-দিদি আপনি আর লেখেন না?

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।