সবজান্তা শমশের

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৪/১২/২০১৩ - ৫:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মবিন চৌধুরী সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা, রেল লাইন উৎপাটন, আগুন দিয়ে শিশু ও মহিলা হত্যাকে জায়েজ করেছেন আফগানিস্তানের উদাহরণ দিয়ে।

সোমবার বিবিসির অনুষ্ঠান "প্রবাহ"-তে সাংবাদিক কাদির কল্লোলের প্রশ্নের মোকাবেলা করেন তিনি এইভাবে।

কাদির কল্লোল: রেল-লাইনের ফিসপ্লেট তুলে ফেলা হচ্ছে, মানে, বোমা মারা হচ্ছে ... ।

শমশের মবিন চৌধুরী: এটা কি নতুন? বাংলাদেশে অতীতে হয় নাই? আপনি বলেন, কোনো বিশ্বের কোনো জায়গায় কোনো Clean War আছে? আফগানিস্তানে যুদ্ধ করতে গিয়ে পাশ্চাত্যের শক্তিরা নিরীহ নির্দোষ বেসামরিক মানুষদেরকে মারছে না? বাচ্চাদেরকে হত্যা হচ্ছে না? বাচ্চাদেরকে মারা হচ্ছে না? মহিলারা মারা যাচ্ছে না?

প্রথম কথা, বাংলাদেশে অতীতে রেল লাইনের ফিশপ্লেট তুলে বোমা মেরে কবে ও কোথায় নিরীহ যাত্রীদের খুন করা হয়েছে? দ্বিতীয় কথা, যদি করা হয়েও থাকে, বিনা শাস্তিতে সে অপরাধের পুনরাবৃত্তির অধিকার কারো জন্মায় নাকি?

শমশের মবিন চৌধুরী কি তাহলে বলতে চান, বিএনপির নামকাওয়াস্তে নেতৃত্বে এবং জামায়াত-শিবিরের সরাসরি মুখ্য ভূমিকায় পরিচালিত ১৮ দলীয় জোট বাংলাদেশের মানুষের সাথে যুদ্ধে নেমেছে, এবং সেটা একটা Dirty War? কোথাকার কোন আফগানিস্তানে কোন শুওরের বাচ্চা নিরীহ শিশু আর নারী হত্যা করছে, সেজন্য ১৮ দলীয় জোটের অধিকার জন্মায় বাংলাদেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করার?

শমশের মবিন চৌধুরী নামের এই নির্লজ্জ নরপশুকে হুকুমের আসামী করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই।

-"অবাক হয়ে শুনি"


মন্তব্য

অনিকেত এর ছবি

অবাক পৃথিবী সেলাম তোমারে সেলাম
এ বঙ্গে জন্মে 'ইয়ে' মারাই শুধু খেলাম----

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

গত কিছুদিন ধরে বিএনপি-জামায়াত ঘরানার লোকজনের কথায় "যুদ্ধ" সম্পর্কিত অনেক রেফারেন্স পাবেন। ফেসবুকে তাদের আলাপ-সালাপেও এই রকম ইঙ্গিত পাবেন। এটা খুবই অস্বস্তিকর ব্যাপার যে নির্বাচনের পন্থা নিয়ে দ্বিমতকে বিরোধীদল "যুদ্ধ" হিসাবে নেবে।

বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে "যুদ্ধাবস্থা" হিসাবে বিবেচনা করার মতো অবস্থায় জামায়াতে ইসলামীও নেই, কারণ তাদের গতানুগতিক রাজনৈতিক ঠ্যাঙানির চেয়ে বেশি কিছু হজম করতে হচ্ছে না। তবুও তারা চাইলে সেভাবে দেখতে পারে, কারণ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, সর্বোচ্চ শাস্তিও দেওয়া হয়েছে কয়েকজনকে।

বিএনপি-র জন্য এই কারণগুলো খাটে না। তাদের কিছু নেতা-কর্মীর জেল হয়েছে, সেটা সব আমলেই হয়ে আসছে। বিগত আমলের মতো তো কাউকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করা হয়নি। ২১শে আগস্ট, শাহ কিবরিয়া, বা আহসানুল্লাহ মাস্টারের মতো পরিণতি হয়নি বিএনপি-র কোনো নেতা-কর্মীর। তবুও বিএনপি'র শীর্ষ নেতারা বর্তমান অবস্থাকে "যুদ্ধ" বলে মনে করাটা স্পষ্ট করে দেয় জামায়াতের এজেন্ডা কতটা গভীর ভাবে আত্মস্থ করেছে বিএনপি।

গণতন্ত্রে জোরাজুরি থাকবে, গোঁয়ার্তুমি থাকবে, সংঘাত থাকবে, কিন্তু তাই বলে সেটাকে "যুদ্ধ" অবস্থার দিকে নিয়ে যাওয়া নিরর্থক। আজ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায়, কিন্তু অপরাধীদের আস্ফালন সহ্য করে আসছে। জামায়াত এবং বিএনপি-র সৌভাগ্য যে বাকি দেশও এই অবস্থাকে "যুদ্ধ" হিসাবে দেখছে না। আশা করি অচিরেই সুমতি হবে। নয়তো সামনে অন্ধকার।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আহারে, বিয়েনপি ৭১ সালে যুদ্ধ করার চান্স পায়নাই দেইখা এট্টু চান্স নিতাছে... এই যুদ্ধ একটা "রেটোরিক" ... এরা (বামদল থেকে ভেগে আসা রা ছাড়া) জীবনে আন্দোলন কইরা দেখছে? যে কেমন লাগে? রেগে টং

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

এদের এমন নৃশংসতা, হত্যাকান্ড, অরাজকাতা, আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যা, পেট্রোলবোমা, রেললাইন উপড়ে ফেলে শত শত মানুষ হতাহত করার পরও দেশের বেশিভাগ মানুষ কি করে এখনো তাদের পক্ষে? কি করে? আমি ঠিক বুঝিনা? মাঝে মাঝে ভীষন ভীষন হতাশা আসে, মনে হয় কেমন দেশে জন্মলাম যেখানে বেশিভাগ মানুষ রাজনৈতিক জ্ঞানশূন্য, গোল্ডফিশ মেমোরির! মন খারাপ

মাসুদ সজীব

রিয়াজ এর ছবি

ইনি সম্ভবত বিরোধী দলীয় নেত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা। সেক্ষেত্রে তার এই বক্তব্যজনিত অবস্থানকে বিএনপির আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির সম্প্রসারণ বলা যায় - যে , আমরা কাবাব হওয়া জনতা কাবুল শহরের দরিদ্র মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি আর ১৮ দলীয় জোট সুপারপাওয়ারের।

এই উস্কানি কী দেশদ্রোহিতার পর্যায়ে পড়ে না?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

শুয়োরের বাচ্চা শমশের

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আরাফাত এর ছবি

কে জানে কমেন্ট পোস্ট হবে কিনা, কী এক ক্যাপচা দেখায়, পূরণ করলে বলে ভুল, বিএনপিকে জাতীয়তাবাঁদী বলার খেসারত?

অতিথি লেখক এর ছবি

একে তো ক্যান্টনমেন্টে সৃষ্ট দল,তার সাথে স্বার্থের টানে যোগ দেয়া কিছু ব্যাবসায়ী। এরা আন্দোলন কি বুঝবে??
বি এন পি যে আন্দোলনে টোটালি অযোগ্য একটা দল সেটা বিগত সময়ে প্রমাণিত। সুতরাং জামাতের মত জঙ্গী সংগঠনের সাথে গলাগলি করে তারা জঙ্গী তৎপরতা চালাবে এটাই তাদের সর্বোচ্চ দৌড়ের সীমা।
এরা তো রাজনৈতিক বেশ্যাই,অবাক লাগে যখন দেখি শিক্ষিত সাধারণ মানুষদের মধ্যেও অনেকে এই সব জঙ্গী তৎপরতাকে সমর্থন করে-"এটা ছাড়া আর কি করার আছে?" বলে!!!
আমার এক বন্ধুপ্রতীম বড় ভাই এরকম একজন কে জিজ্ঞেস করেছিলেন-"যদি তোর নিজের বা তোর ফ্যামিলির কারো গায়ে আগুন লাগে,তখন কি বলবি?"
কি উত্তর দিয়েছিল শুনবেন?
-"লাগলে লাগবে!!!!"

---------------------
সুবোধ অবোধ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ৫জন কলিগের মাঝে ৪জন ই জামাতে ইসলামী জাতীয়তাবাদী আদর্শে শুধু বিশ্বাসী নয়, মানবতাহীন উগ্রতায় ভরা কিছু সার্টিফিকেটধারী যাদের কেও শিক্ষিত বলতে হয়। তাদের কে বললাম যদি আপনি এই আক্রমনের স্বীকার হন তবে কি করবেন? তারা সবাই প্রায় ঠিক একই সুরে বলেছে লাগলে লাগবে!! তবু এই জালিম সরকারের পতন দরকার!!

এমন অবস্থায় নিজেকে ধরে রাখা কঠিন, তখন মনের অজান্তেই আশা করি যদি সত্যি এমন হতো তাহলে আমি বোধহয় তাদের মতই মানবতাকে বাদ দিয়ে প্রতিশোধ স্পৃহায় হয়তো খুশি হতাম, হয়তো বলতে পারতাম দ্যাখ এখন কেমন লাগে। এদের ছাগু সুলভ উগ্র আস্ফালনে অফিস আর বাসায় থাকাটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

বিএনপির দিক থেকে সমস্যাটা যতটা না আদর্শিক, তার চাইতে বেশ রাজনৈতিক, তথা যে করেই হোক ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই। বিএনপি বরাবরই আদর্শ বর্জিত দল। যা বা যারা আওয়ামিবিদ্বেষী তাকেই সাদরে বরন করে নেয়। দলের মুল আদর্শ বলে ব্যপার বিএনপিতে কখনোই ছিলনা। এই আদর্শের সংকট বিএনপি তে প্রায় প্রকট হয়ে দেখা দেয়। বর্তমান তথাকথিত (বিএনপির ভাষায়) গন আন্দোলন এর একটা জলন্ত উদাহরন। আদর্শিক দুর্বলতার কারনেই ব্যপক সং্খ্যক ভোটার সত্বেও বিএনপি জোরালো কোন গনআন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না। বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অভাব এই সংকটকে করে তুলছে আর গভীর। বিএনপি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে জামাতের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উপর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সরকার বিরোধী, ট্রাইবুন্যাল বিরোধী আন্দোলন, লবিং সব কিছুর নেতৃত্ব দিচ্ছে জামাত। জামাত চেষ্টা করছে বিএনপির ভোট ব্যাংক কাজে লাগিয়ে বিএনপির সাথে জোট করে ক্ষমতায় যেতে। বিএনপির চাইছে তাদের নেতৃত্ব ও কর্মী সংকটের সময়ে জামাতের অর্থ ও মাসল পাওয়ার কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যেতে। তাই নির্লজ্জের মত জামাতের সব কিছুকে তারা এখন সমর্থনকরে যাবে এটা খুব একটা বিস্মিত হবার মত কিছু না।

ঘচাং ফু

হিমু এর ছবি

বিবিসি বাংলাতে এসেছে দেখলাম।

শমশের মবিন চৌধুরীরা পাবলিকের পয়সায় পালিত পুলিশ প্রহরার পিছনে বসে পাবলিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যেভাবে আফগানিস্তান দেখিয়ে জায়েজ করতে চাইছেন, মনে হচ্ছে এই নির্মম একপেশে হত্যাযজ্ঞের "আন্তর্জাতিক মান" নিশ্চিত করার ব্যাপারে তারা সচেষ্ট।

মুসোলিনিকে ক্ষুব্ধ জনগণ ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে ফাঁসি দিয়েছিলো। ঐটাও কিন্তু আন্তর্জাতিক মান।

অতিথি লেখক এর ছবি

সবজান্তা শমসের মিয়া কপ্টার চালাইতেও জানে, বঙ্গবন্ধুর লাশ টুঙ্গিপাড়া উড়াইয়া নেয়ার জন্য একজন পাইলটই পাওয়া গেছিল!
নাম তার শমসের মবিন চৌধুরী!

-শুটকি-

Anik Samir Rahman এর ছবি

টি এস সি সড়কদ্বীপে একটা বক্তৃতায় কে যেন বলেছিলঃ
"পাগলীকে ধর্ষন করে যদি ধর্ষক মিষ্টি খাওয়ায় দেয়, তাহলে কেউ জিজ্ঞাসা করলে ঐ পাগলী বলবে যে হেয় আমারে মিষ্টি খাওয়াইছে।"
বাংলাদেশের মানুষকি ওরচে' ভালো? দেখেননা, যদি আজকেই নির্বাচন দেয়া হয় আর যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তো বিম্পি চোখ বুঁজে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
২০০১ থেকে আজ পর্যন্ত দুই জোটই যা দেখাইলো তাতে তো সচেতন হইলে বাংলাদেশের মানুষদের দুইজোটের বিরুদ্ধেই একসাথে আন্দোলনে নামা উচিৎ।

স্যাম এর ছবি

চলুক

কড়িকাঠুরে এর ছবি

অমুকে শুয়োর হইতে পারলে আমি কেনু কুকুর হইবো না- বিম্পি গ্যাং...

গুরুত্বহীন এর ছবি

মুসোলিনিকে ক্ষুব্ধ জনগণ ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে ফাঁসি দিয়েছিলো। ঐটাও কিন্তু আন্তর্জাতিক মান।

এরকম দুয়েকটা নেতার এমন করতে পারলে পরিস্হিতি একটু ভালো হতো। কুত্তার বাচ্চাগুলা।

এক লহমা এর ছবি

এরা কি বাংলাস্তান না করেই ছাড়বে না!

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

হাসিব এর ছবি

শমশের তোমায় মনে পড়ে।

হিমু এর ছবি

বাংলা ট্রিবিউনে শমসের আঙ্কেলের দুটি চিঠি ইমেজ আকারে প্রকাশিত হয়েছে [সূত্র]। চিঠি দুটিতে যেসব বানান ভুল বা প্রায়োগিক ভুল রয়েছে, সেগুলোর নিচে দাগ টেনে এখানে জুড়ে দিলাম।

১. খালেদা জিয়ার কাছে চিঠি

২. মির্জা ফখরুলের কাছে চিঠি

এই শমসের লোকটা (নাকি সমশের?) বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র সচিব ছিলো। তার চিঠি সে নিজে টাইপ করবে না সেটাই হয়তো চল, কিন্তু সই করার আগে সে দেখে তো দিবে?

শিক্ষকদের বেতন বাড়ানো হোক, যাতে করে সচিবরা সঠিক বাংলা বানানে দুটো চিঠি লিখতে শিখতে পারে।

হিমু এর ছবি

২০০৫ সালের ২৮-২৯ জুন ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আয়োজনে এক সম্মেলনে শমসের মবিন চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে এক বক্তব্যে দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩ লক্ষ লোক মারা গেছে, ৩০ লক্ষ সংখ্যাটি ভুল। এই "ভুল" একা বাংলাদেশ সংশোধন করতে পারবে না জানিয়ে তিনি পাকিদের সঙ্গে মিলে এক যৌথ কমিশন গঠন করার আহ্বান জানান [সূত্র ১, সূত্র ২]। ঐ সম্মেলনে কুখ্যাত ভাড়াটে স্কলার শর্মিলা বসুও হাজির থেকে ইনিয়ে বিনিয়ে বলেছিলো, পাকিস্তানীরা একাত্তর সালে বাঙালি নারীদের ধর্ষণ করে নি।

সেই শমসের এখন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তিকে ঐক্যের ডাক দেয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।