বয়সের ভারে মুহ্যমান রাজনীতি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/১২/২০১৩ - ৩:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষের চিন্তা, চেতনা, বুদ্ধি, বিবেচনাবোধ ইত্যাদিকে বয়স নানাভাবে প্রভাবিত করতে পারে বলেই আমার মনে হয় । বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের শারীরিক অক্ষমতা প্রকট হতে থাকে। শুধু শারীরিক দিক না মানসিক দিক দিয়েও মানুষ দুর্বল হতে থাকে। এই শারীরিক এবং মানসিক দুর্বলতা প্রকট আকারে ধরা পড়ে যখন মানুষ কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন থাকে। দায়িত্বে থাকাকালীন অবস্থায় একজন বয়স্ক মানুষ যতই চেষ্টা করুক সুন্দরভাবে তার কাজ সম্পন্ন করতে, সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে কিছু একটা গড়মিল হবার সম্ভাবনা থেকেই যায় বলে আমার মনে হয়। মাঝে মাঝে হয়ত কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কিংবা কাজকেও তাঁর কাছে অর্থবহ বলে মনে হতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত কিংবা ভুল কাজের পিছনে ওই মানুষটার বয়সই প্রকৃতপক্ষে দায়ী।

বয়স্ক ব্যক্তিদের এই শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার কথা চিন্তা করেই পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশে চাকরির ক্ষেত্রে একটা বয়সসীমা ঠিক করে দেয়া হয়। ওই বয়সসীমা অতিক্রম করলে তাদের চাকরি থেকে অবসর নিতে হয়। এই বয়সসীমা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন আমেরিকাতে সাধারনত চাকরীর বয়সসীমা ৬৭ পর্যন্ত রাখা হয়েছে, ইউকে তে সেটা মোটামুটি ৬৮, ফ্রান্সে ৬৫, জার্মানি তেও সেটা ৬৭ রাখা হয়েছে (তত্ত্বসূত্রঃ উইকিপিডয়া) ।
সাধারণত প্রতিটা দেশেই এই সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া থাকে। আমাদের দেশেও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের চাকরীর মেয়াদ ৬০ বছর ধার্য করা আছে। বিশেষ কোন ক্ষেত্রে কিংবা বিশেষ কারো জন্য সেটা এক দুই বছর এদিক সেদিক করা আছে কিন্তু সবার ক্ষেত্রেই কর্তৃপক্ষ দ্বারা একটা বয়সসীমা ঠিক করে দেয়া হয়ে থাকে।

অনেক সময় অবসরে যাওয়া ব্যক্তি হয়ত সবদিক থেকে চাকরি করার জন্যে যথেষ্ঠ মানসিক এবং শারীরিক দক্ষতাসম্পন্ন থাকতে পারেন কিন্তু চাকরির বাধ্যবাধকতার জন্য তাকে অবসর নিতে হয়। চাকরির বয়সসীমা থাকার ভাল দিকটা হল বয়সের কারনে সৃষ্টি হওয়া কোন সমস্যার কারনে যাতে কেউ চাকরিক্ষেত্রে কোন বড় ধরনের ভুল না করতে পারে যার জন্যে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সাধারন মানুষ কিংবা অন্য কেউ। আবার অবসরের পর একজন মানুষ অন্যরকম একটা জীবনও পেতে পারেন যেখানে থাকবে না কোন বাধ্যবাধকতা, ঠিক সময়ে অফিসে যাবার তাড়া, পরিবারকে দিতে পারবেন অফুরন্ত সময়, নিজেও পাবেন একটু অবসর, একটু বিশ্রাম।

একটা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনা করা যতটুক যুক্তিযুক্ত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রেও ব্যপারটা গুরুত্বের সাথে দেখা দরকার বলে আমি মনে করছি। একটা দেশের রাজনীতির সাথে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি সম্পর্কিত। রাজনীতির সাথে অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি,পররাষ্ট্রনীতি,কূটনীতি যেমন সম্পর্কিত ঠিক তেমনি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বও অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতির উপর নির্ভর করতে পারে। রাষ্ট্রের ভালর জন্যে দেশের স্বার্থ রক্ষার্থে রাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের সবসময় সুবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। একটা দেশের সরকারপ্রধান কিংবা রাষ্ট্রপ্রধানের যেকোনো অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্তের কুফল বয়ে বেড়াতে হতে পারে রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের। একটা দেশের সরকারপ্রধান কিংবা অন্যান্য রাজনিতিকদের দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রের জনগনের স্বার্থে সবসময় দূরদর্শী চিন্তা করতে হয়। রাষ্ট্রের উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে এবং রাষ্ট্রকে বহির্বিশ্বের একটা সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যেতে এই রাজনীতিবিদদের সবসময় সঠিক কল্পনাপ্রসূত এবং সর্বগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার মত মানসিক দৃঢ়তা সম্পন্ন হতে হয় তাদের। রাষ্ট্রের যেকোনো দূর্যোগময় মুহূর্তেও মানসিক শক্তিসম্পন্ন হয়ে দূর্যোগ মোকাবেলা করতে সঠিক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে সচেষ্ট হতে হয় তাদের। বয়সের কারনে অক্ষম হয়ে যাওয়া কোন ব্যক্তির কোন অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্তে যাতে রাষ্ট্রকে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় সেজন্যেই রাজনীতিবিদদের জন্যও একটা নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকা দরকার বলে আমি মনে করছি।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বয়সের গুরুত্ব আমরা আরেকটু ভাল করে বুঝতে পারব যদি উন্নত বিশ্বের দিকে তাকাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় উন্নত বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এমন কাউকে সরকারপ্রধান কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান বানায় যিনি বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত না অথবা যার বার্ধক্য শুরু হতেই দেরি আছে অনেক। একটু খোঁজ নিলে আমরা দেখতে পারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বয়স এখন ৫২ বছর, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিস হল্যান্ড এর বয়স এখন ৫৯, ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বয়স মাত্র ৪৭ বছর, রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদভের বয়স এখন ৪৮, জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মারকেল এখন ৫৯ এ আছেন। এখানে উল্লেখিত দেশগুলো প্রতিটা ক্ষেত্রেই যথেষ্ট স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। রাজনীতির ক্ষেত্রেও তাদের দেশে বিরাজ করছে না কোন ধরনের অস্থিতিশীলতা। ওইসব দেশগুলোর পর্যায়ক্রমে উন্নত থেকে উন্নততর অবস্থায় যাওয়ার পিছনে কিংবা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা অব্যহত থাকার পিছনে আমি ওদের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সুবুদ্ধি সুবিবেচনাবোধের কথা বিশেষ ভাবে বলতে চাই। উপরে উল্লেখিত দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধান কিংবা সরকারপ্রধানদের বিবেচনাবোধের পিছনেও আমি বয়সের একটা ভূমিকা দেখতে পাচ্ছি। উনারা ৫৯ এ যেটা চিন্তা করতে পারছেন ৬৯ এ অবশ্যই সেটা পারবেন না, ৪৮ এ যেটা পারছেন ৫৮ তে এসে সেটা নাও পারতে পারেন।

এখন আমরা যদি এই উপমহাদেশে ফিরে আসি ঠিক উল্টো চিত্র দেখতে পাব। এখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর বয়স ৮১ বছর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বয়স ৬৪ আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আছেন এখন ৬৬ তে। প্রত্যেকেই দেখা যাচ্ছে ষাটোর্ধ এবং দেশগুলোর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমার উপরে উনাদের বয়স। একটু খোঁজ নিলেই দেখতে পাব যে প্রতিটা দেশেই কোন না কোন অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কথাতো কারো অজানা নয়। দেশের খারাপ সময়েও আমাদের ষাটোর্ধ রাজনীতিবিদদের মুখ থেকে প্রায়ই হাস্যরসাত্মক, অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্য শোনা যায়। আমাদের ষাটোর্ধ অর্থমন্ত্রীর মুখ থেকে প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য বের হয় যা থেকে আমাদের পত্রিকাওয়ালারা ব্যবসাসফল, পাঠকদের জন্য আনন্দের খোরাক যোগায় এমন সব সংবাদ আহরন করতে পারেন। তাঁর বক্তব্যের কিছু নিদর্শন- “'আমি শেয়ার বিজনেস বুঝি না'”, “সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বেশি কিছু না”, “সাভারের দুর্ঘটনা ভয়াবহ কিছু না”, “ ক্ষমতায় থাকলে ক্ষমতাধরদের আয় বাড়া স্বাভাবিক” ইত্যাদি ইত্যাদি। এই মানুষটার উদ্ভট সব বক্তব্যের পিছনে উনার বয়সকেই আমার সবচেয়ে বড় অন্তরায় মনে হয়েছে। আরেক ষাটোর্ধ ব্যক্তি আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “ছাত্রদলের ক্যাডারদের নাড়াচাড়ায় ভবন ধ্বসে পড়েছে”।
নতুন খবর হিসেবে যোগ হয়েছে আমাদের ৬৮ বছর বয়সী প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ক্ষমতায় গিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করা, সস্তায় যাকে তাকে বেয়াদব বলা ইত্যাদি। আমাদের রাজনীতিবিদদের এসকল হাস্যকর কথাবার্তার পিছনে উনাদের বয়সের ভূমিকা অনেক বলেই আমার মনে হয়। রাজনীতিবিদদের এই যে অবিবেচনা সেটা কিন্তু শুধুমাত্র সুন্দর সুন্দর বক্তৃতাতেই সীমাবদ্ধ না তাদের কাজে, তাদের সিদ্ধান্তেও সেটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়।

দেশের অস্থিতিশীলতায় সঠিক, সুবুদ্ধিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না আমাদের রাজনীতিবিদেরা। আমাদের সংবিধানে কিংবা আইনে যদি এইরকম কোন ধারা থাকত যে, ৬০ বছর পর একজন রাজনীতিবিদকে স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে হবে তাইলে হয়তো আজকে আমাদের এই অবস্থা দেখতে হত না আর হয়ত নতুন নেতৃত্বও তৈরি হত তখন। আজকে আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে এদের পরে কে হবে নেতৃত্বে আসীন। হয়তো এইরকম কিছু চিন্তা করতে হত না, আগে থেকেই প্রস্তুত থাকত নতুন নেতৃত্ব আর বয়সের ভারে মুহ্যমানদেরও একটু অবসর নেয়ার সময় থাকত।

আমাদের পিছিয়ে যাওয়া, আমাদের অস্থিতিশীলতার পিছনে বার্ধক্যে এসেও রাজনীতি করে যাওয়া এই প্রবীণদের অবদান কম না। আমাদের যেরকম সৎ আদর্শবান রাজনীতিবিদ দরকার তেমনি মানসিক শক্তি সম্পন্ন, সুস্থ বিচারবিবেচনাবোধ সম্পন্ন রাজনীতিবিদও দরকার।

Omit Chanda


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

দুর্বল যুক্তি দিয়ে সাজানো পুরো পোস্ট।

Emran  এর ছবি

আপনাকে কিছু পাল্টা উদাহরণ দেইঃ

উইনস্টন চার্চিল ১৯৪০ সালে যখন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৬ বৎসর; তিনি সাফল্যের সঙ্গে ২য় বিশ্বযুদ্ধে তাঁর দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

জওহরলাল নেহেরু ৭৫ বৎসর বয়স (অর্থাৎ ভারত স্বাধীনতার পর থেকে মৃত্যু) পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন; তাঁর পারফর্মেন্স কিন্তু খুব একটা খারাপ ছিল না।

দেং জিয়াও পেং ৭৪ বৎসর বয়সে চীনের paramount leader হন। এখন আপনি চীনের যে সমৃদ্ধি দেখছেন, এটা ৭০+ বয়সী দেং-এর সিদ্ধান্তের ফসল।

যে মাহাথির মোহাম্মদের নাম বলতে বলতে বাংলাদেশের লোকজন মুখে ফেনা তুলে ফেলে, সেই মাহাথির মোহাম্মদ ৭৮ বৎসর বয়স পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ৬০-এর পরে বাধ্যতামূলক অবসরে গেলে মনে হয় না মালয়েশিয়া বর্তমান অবস্থায় আসতে পারতো।

সর্বশেষ উদাহরনঃ নেলসন ম্যান্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট হন ৭৬ বৎসর বয়সে। আর কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না।

আসল কথা হলঃ বয়স রাজনীতিতে কোন ফ্যাক্টর না। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেন ৪১ বৎসর বয়সে। তরুন এই "রাজনীতিবিদ" যে গাছ লাগিয়ে গিয়েছিলেন, তার ফল আমরা সবাই এখন ভোগ করছি।

আরেকটা প্রশ্নের উত্তর দিনঃ আপনার সর্বশেষ পোস্টে "আম-আদমি পার্টি"-র উদাহরণ দিলেন। আজকে বলছেন ৬০ বৎসর বয়স হওয়ার পরে রাজনীতিবিদদের বাধ্যতামূলক অবসরের কথা। এগুলি অনেকটা প্রথম আলোর উপসম্পাদকীয়/op-ed ধরণের পোস্ট। আপনার এজেনডা আসলে কী?

মডারেটরদের প্রতি একটা অনুরোধঃ ক্যাপচা-র ব্যাকগ্রাউনড কি আরও পরিষ্কার করা সম্ভব? অনেক ক্যারেক্টার বোঝা যায় না। আবার ভুল টাইপ করার পর একটা ক্যাপচা ২য় বারও ব্যবহার করা যায় না। এই ব্যাপারটা কি দয়া করে একটু দেখবেন?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ক্যাপচা সহজ করে দিলে অটো বটগুলো সেগুলো ভেঙ্গে ফ্যালে। আবার কঠিন করলে মানুষই সেটা সলভ করতে পারে না। কই যে যাই! মন খারাপ

হিমু এর ছবি

আপনি সচলায়তনে নিবন্ধন করে ফেলুন।

অতিথি লেখক এর ছবি

@ লেখক:
বারাক ওবামার বয়সটা বলেছেন, কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্টের (জো বাইডেন) নামটাও স্বাভাবিক কারণে আসা উচিত ছিল। জো বাইডেনের বয়স ৭১ বছর।

[থ্রেড/পোস্ট হাইজ্যাক হয়ে যাচ্ছে, তবুও প্রসঙ্গ উঠলো তাই বলছি। ]

@ হিম্ভাই, আপনি Emran সাহেবকে বললেন নিবন্ধন করে ফেলতে। কিন্তু ক্যাপচা সমস্যার সমাধান সেভাবে মনে হয় সম্ভব না। (যেহেতু তার নাম দেখা যাচ্ছে যেই ভিত্তিতে)Emran ,আমি ও আমার মত লোকেরা সবাই নিবন্ধিত, কিন্তু ক্যাপচা সবাইকেই সলভ করতে হয়। কারণ, এই নিবন্ধিত লোকরা 'হাচল' না। ওঁয়া ওঁয়া
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাদের ক্যাপচা সমাধান করতে হয়। =((=((ওঁয়া ওঁয়া

@ মুর্শেদ ভাই, একটা কাজ করা যায় না? ধরুন, সচলে আমার মত অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত মন্তব্য করেন/ করছেন তাদের একটা 'সেফ লিস্ট' কি বানানো যায়? এর ভিত্তি (বা 'কী') হিসেবে ইমেইল অ্যাড্রেসকে ধরতে পারেন। কমেন্ট সার্ভারে জমা হবার পর যদি দেখা যায় এই ইমেইল অ্যাড্রেসের অ্যাকাউন্ট থেকে আগেও "মানবীয়" (বট থেকে না) কমেন্ট এসেছে, সেটাকে মডারেশন প্যানেলে সরাসরি হাজির করা হতে পারে বিবেচনার জন্য। আর, নতুন ইমেইল ঠিকানা থাকলে, সেটাকে আলাদাভাবে 'ট্রিট' করা যায়। কাজটা ঝামেলার, টেবিল-টুবিল বানাতে হবে হয়ত। কিছুই জানি না ওয়েবসাইটের, শুধু চিন্তাটা মাথায় আসলো আর মূর্খের মত একটা আব্দার করে বসলাম দেঁতো হাসি

অনেক সময় একটা কমেন্ট লেখার চেয়ে সেটা পোস্ট করার জন্য ৫-৬ বার ক্যাপচা সমাধান, সাথে পেজ রিলোড করতে বেশি সময় যাচ্ছে। কয়েকবার ট্রাই করার পর সেটা আবার স্প্যাম ফিল্টার ট্রিগার করে ফেলে, কি মুসিবত!

(আজ অনেক চেষ্টা করেও পারলাম না একটাও ক্যাপচা, শেষমেষ অতিথি হয়ে ট্রয়ের ঘোড়া চোখ টিপি হয়ে ঢুকলাম )

সবাইকে শুভেচ্ছা হাসি

[মেঘলা মানুষ]

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম আলুর সম্পাদকীয় হয়ে গেল না ! হাসি

এনালিস্ট এর ছবি

বর্তমানে আমাদের দেশের রাজনীতির মূল সমস্যা বর্তমান নেতাদের বয়স নয়। মূল সমস্যা পাইপলাইন। বছর দশেক পরে যখন বর্তমান নেতারা অবসরে যেতে বাধ্য হবেন তখনকার পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো তৈরী তো? সেই যে জিয়ার হাত ধরে তরুণ প্রজন্ম থেকে ভালো নেতার বদলে নৃশংস ক্যডার তৈরীর প্রথা চালু হয়েছে তা তো উত্তরোত্তর আরো খারাপের দিকেই যাচ্ছে। নিজের অবস্থান মজবুত রাখার জন্য বর্তমান নেতারাও এব্যাপারে মাথা ঘামাচ্ছেন না। তাহলে ১০ বছর পরে নেতাশুন্য কিন্তু ক্যাডার ভর্তি বাংলাদেশের হাল কি হবে?

এক লহমা এর ছবি

ঠিক জানি না আমেরিকার কোথায় "সাধারনত চাকরীর বয়সসীমা ৬৭ পর্যন্ত রাখা হয়েছে"! দুই দশকের বেশী কাজে লেগে আছি এই দেশটিতে। সরকারী-বেসরকারী কোথাও-ই কোন অবসরের বয়সসীমা নজরে আসে নি। বরং যতদিন মানুষটি সক্ষম, ইচ্ছুক এবং তাঁর সংস্থা তাঁকে রাখতে ইচ্ছুক ততদিন-ই তিনি কাজ করে যেতে পারেন, বয়স কোন বাধা নয়, এমনটাই দেখেছি। ষাট-পঁয়ষট্টি-সত্তরে অসাধারণ কর্মক্ষম, প্রবল কর্মব্যস্ত মানুষ অনেক-ই দেখেছি। এবং তুলনায় তরুণ আর সেই সাথে তুলনায় কম দক্ষ, কম উপযুক্ত মানুষ-ও তো কম দেখলাম না। অবশ্য আমি সাধারণ লোক, খুব বেশী দেখেছি এমন দাবী করি না। তবে, উপরের মন্তব্যে এমরান যা বলেছেন সেগুলি ভেবে দেখতে অনুরোধ রাখি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

Emran  এর ছবি

লেখক পশ্চিমের যেসব দেশের উদাহরণ দিয়েছেন, সেসব দেশের কোনটিতেই রাজনীতিকদের অবসর নেওয়ার কোন বয়স নেই। দ্বিতীয়তঃ যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ আমৃত্যু তাঁদের পদে বহাল থাকতে পারেন (স্বেচ্ছা-অবসর বা অপসৃত না হলে)। লেখকের মনে হয় আরেকটু পড়াশোনা করা উচিৎ।

হিমু এর ছবি

সুশীলদেরও তাহলে অবসরে যাওয়ার বয়স ঠিক করে দেওয়া হোক। দেবপ্রিয়, আবু সায়ীদ, রেহমান সোবহান, ইউনূস, স্যার ফজলে ... ।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
হায় হায়... তাইলে যারা অবসরপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে সুশীলত্ব লাভ করে ( চোখ টিপি ) তারা??

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

এক লহমা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সাফি এর ছবি

তরুন নেতারা রাজনীতি শিখছে কোথা থেকে? ইস্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই তো রাজনীতি খারাপ বলে দূরে সরায় রাখা হচ্ছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যাপচার কারণে ভাই অনেকবার চেষ্টা করেও মন্তব্য করতে পারলাম না। তাই অতিথি হয়ে ঢুকলাম। দয়া করে যদি সমস্যাটার সমাধান করতেন

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাইয়া/আপু,
অতিথি অ্যাকাউন্ট দিয়ে ঢুকলেও নাম/ নিক দিয়ে দেয়া ভালো। তা না হলে ঠিক কোন নিকের সাথে আলোচনা হচ্ছে সেটা বোঝা যায় না।
শুভেচ্ছা হাসি

[মেঘলা মানুষ]

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

আপনার কথা অনুযায়ী "অনেক সময় অবসরে যাওয়া ব্যক্তি হয়ত সবদিক থেকে চাকরি করার জন্যে যথেষ্ঠ মানসিক এবং শারীরিক দক্ষতাসম্পন্ন থাকতে পারেন " - তাহলে সেরকম রাজনীতিবিদদের প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে না লাগানোর কোন কারণ নেই।

রাজনীতি কি কোন চাকুরী? নাকি ব্যবসা? ব্যবসায়ীরা অবসরে যান কত বছরে? এভাবে তুলনা করাটা অনেকটা গরুর সাথে ঘোড়া মেশানোর মত হয়ে গেলো না?

আমার মতে রাজনীতিবিদদের বয়স নয়- কর্মক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেবার দক্ষতা, প্রভাব বিস্তার করার ক্ষমতা (ক্যারিশমা) ইত্যাদিকে মাপকাঠি হিসেবে ধরে বিবেচনা করা উচিৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে কেউ এখনো দক্ষ আছেন নাকি নেই। আর দলের মধ্যে গুড প্র্যাকটিস (বাংলা কী হবে?) থাকলে এটা আর জনগনের হিসেব করতে হবে না, দলই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেবে।

____________________________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।