পিছনে কে?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৫/০৩/২০১৪ - ৫:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“দোস্ত আমাকে বাঁচা। খুব বিপদের ভিতর পড়েছি।” হঠাৎ একদিন ফোনে বাল্যবন্ধু আফানুর রহমান আদনানের এই আর্জি শুনে নিজেকে সামলাতে পারলাম না।

“কেন কি হয়েছে? কোন ফৌজদারি ঝামেলায় পড়েছিস নাকি?” জিজ্ঞাসা করলাম।

“তোদের পুলিশদের এই সমস্যা। কিছু হলেই অপরাধের গন্ধ খুঁজিস।” একটু রেগেই গেল আদনান। “এই সমস্যাটা একটু অন্য রকম। সরাসরি না বললে বুঝবি না। প্লিজ একদিন তোর সাথে দেখা করতে পারলে ভালো হতো।”

“ তাহলে আয় একদিন আমার অফিসে। উত্তরাতে আছি। তুই কি ঢাকাতেই থাকিস?” জিজ্ঞাসা করলাম।

“হ্যাঁ, আমার বাসা মিরপুরে। এখন ঢাকাতেই পোস্টিং।”

“তাহলে একদিন চলে আয় আমার অফিসে। সামিরকে মনে আছে? সামির বিন হালিম দীপ্ত? ও আছে আমার সাথে। তিন বন্ধু জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে। আর তোর সমস্যার কথাও শোনা যাবে।”

ওপাশ থেকে আদনানের ম্লান কণ্ঠ শোনা গেল, “দোস্ত, এই বৈঠকটা আনঅফিসিয়াল হলে ভালো হয়।”

“তাহলে কোথায় দেখা করবি বল?” বুঝলাম সিরিয়াস কিছু হয়েছে। আদনান এরকম লুকাবার ছেলে নয়।

“আমার বাসাতেই আস।” বলল আদনান, “কাল তো শুক্রবার। তোর ডিউটি না থাকলে আস। একসাথে লাঞ্চ করা যাবে। তোর ভাবী আবার মানুষকে খাওয়াতে খুব ভালোবাসে। সাথে সামিরকেও নিয়ে আসিস।”

“ আচ্ছা দোস্ত। তোর বাসার ঠিকানাটা দে। আমি কাল দুপুরে আসবো।”

আদনান, আমি আর সামির একই স্কুল এবং কলেজে পড়াশুনা করেছি। আদনান অনেক মেধাবী ছাত্র। ভর্তি হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আমি আর সামির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিসিএস দিয়ে আমরা পুলিশে ঢুকি। আদনান যায় বিসিএস দিয়ে হেলথে। মাঝে মাঝে কলেজের রিইউনিয়নে দেখা হয়। এখন আদনান কার্ডিওথোরাসিক সার্জন। ডাক্তারিতে অনেক পড়া, অনেক কষ্ট। অনেক পরিশ্রম করে ছেলেটা। সামিরকে ডাকলাম। বিষয়টা খুলে বললাম। ও সব শুনে বলল, “কালকেই দেখা যাবে কি ঝামেলা।” ওর মতে ডাক্তাররা অনেক টাকা আয় করে। তাই চাঁদাবাজদের নজর পড়েছে। চাঁদাবাজগুলোকে ধরে দুইটা পেঁদানি দিলেই সব ওকে।

পরেরদিন গেলাম আদনানের বাসায়। সুন্দর বাড়ি বানিয়েছে ছেলেটা। চারতলা উঁচু। এর মধ্যে তিনতলাতে থাকে সে। এক ফ্ল্যাটে ওর বাবা মা আর ভাই আরেক ফ্ল্যাটে আদনান, আদনানের স্ত্রী আর আদনানের এক ছেলে ও এক মেয়ে।

আদনান আগের মতই আছে। হাসি খুশি। ওর স্ত্রী শামিমাও অনেক মিশুক।

আদনানকে সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করলাম। ও বলল, “ আগে পেটপূজা তারপর আলোচনা।”

সে এক মহাযজ্ঞ ডাইনিং টেবিলে।

বাসমতী চালের ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা, বেগুন ভাজা, আলুর দম, গলদা চিংড়ির মালাইকারি, মুরগীর রোস্ট, রুই মাছের কালিয়া। শেষ পাতে সাভারের গয়েশের মিষ্টি। গলা পর্যন্ত খেলাম আমি আর সামির। আদনান এবং ভাবীকে ধন্যবাদ জানালাম এতকিছু করার জন্য।

খাওয়া শেষে ড্রয়িং রুমে বসলাম। আদনানের অনুমতি নিয়ে আমি আর সামির একটা করে বেনসন ধরালাম।

এরপর সামির বলল, “ এখন বল দোস্ত, কি ঝামেলায় পড়েছিস? ”

আদনান বলল, “ কথাটা কিভাবে বলব, বুঝছি না। মানুষ পাগল মনে করবে। তারপরও তোরা আমার খুব ভালো বন্ধু তাই তোদের কাছে শেয়ার করছি।”

আদনান শুরু করলো, “ আজ থেকে সাতদিন আগের কথা। এক শুক্রবার। সাধারণত শুক্রবারে ঢাকার বাইরে প্র্যাকটিস করতে যাই। প্রায় অব ডাক্তারই যায়। একটু বেশি আয়, একটু ভালো থাকার জন্য। তবে এই শুক্রবার ঢাকায় রইলাম। কাজের চাপে বউ বাচ্চাদের সময় দেওয়া হয় না। তাই ভাবলাম কোথাও বেড়াতে যাব।

ঠিক করলাম আমিনবাজারের দিকে যাব। ওখানে ফাঁকা মাঠ আছে। একটা পার্ক আছে পিকনিক স্পট আছে। গাড়ি করে গেলাম সেখানে।

আগের দিন শুনেছিলাম আশেপাশে বিকট শব্দে বাজ পড়েছিল।

সেদিন জায়গাটা ছিল জনশূন্য প্রায়। দুই তিনটি পরিবার ছাড়া কেউ ছিল না। ব্যাপারটা অস্বাভাবিক। কারণ এই জায়গাটা মোটামুটি জনমানবপূর্ণই থাকে।

আকাশে সেদিন পাখির আনাগোনাও ছিল কম। অথচ এই জায়গাতে পাখির অভয়াশ্রমের মত।

আমরা দূরে এক জায়গাতে বসলাম। বাচ্চারা ছবি তুলল। খুব মজা হল। ফিরে এলাম সেদিনের মত।

বাসায় এসে কম্পিউটারে ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবিগুলো দেখতে বসলাম। সুন্দর এসেছে ছবিগুলো।

কিন্তু এক জায়গাতে এসে থেমে গেলাম। এই ছবিটা দেখ। ”

একটা ছবি দেখালো আদনান।

ছবিতে দেখলাম আদনানের মেয়ে হাতে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পিছনে সুন্দর নীলাকাশ। কিন্তু সমস্যা হল একটি রুপালী সাদা জামা- ঠিক নভোচারীদের স্পেস স্যুট পরিহিত এক লোক মেয়েটির মাথার পিছনে ভূমির সাথে কোণ তৈরি করে বাতাসে ভেসে আছে।

প্রথম প্রশ্ন করলো সামির, “ এটা ফটোশপের কারসাজী না তো? ”

একটু মনঃক্ষুণ্ণ হল আদনান। বলল, “ এই ফটোশপের ধাপ্পাবাজি দেখাতে তোদের এত দূর থেকে নিয়ে আসি? আর আমি ডাক্তার। ফটোশপ সম্পর্কে আমার কোন ধারণাই নাই। কিভাবে করতে হয় তা জানি না। আর বিশ্বাস না হলে ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে ছবি দেখাতে পারি। ”

“ দরকার নাই দোস্ত।” আমি বললাম। দীর্ঘদিন এই পেশায় থেকে কে সত্য কথা বলে আর কে মিথ্যা কথা বলে তা বুঝে গিয়েছি। আদনান সত্য কথাই বলছে।

আমি বললাম, “ ঐ দিন আর কাউকে দেখিস নাই তোদের আশেপাশে? ”

আদনান বলল, “ পিকনিক স্পটে অনেক লোক ছিল। কিন্তু আমরা যে জায়গাতে ছিলাম তার আশেপাশে কাউকে দেখি নাই। ”

“ তাহলে এই অদ্ভুত সঙটা আসলো কোথা থেকে? ” সামির বিস্ময় প্রকাশ করলো। “ ঐ উচ্চতায় ছবিতে আসতে হলে কমপক্ষে দশ ফুট উঁচু হতে হবে!!! ”

“ আমার গল্প কিন্তু শেষ হয় নাই। ” আদনান বলল।

আবার শুরু করল সে, “ আমার মেয়ে তার ফেসবুক প্রোফাইলে ছবিখানা আপলোড করে। এরপর তার বন্ধু বান্ধবীরা সেটা শেয়ার করে আর ফেসবুকের উদ্ভত পেজগুলোর মাধ্যমে তা ছরিয়ে পড়ে।

দুইদিন আগে হাসপাতালে আমার কাছে দুইজন রহস্যময় ব্যক্তি আসে। তারা কালো টয়োটা গাড়িতে আসে এবং কালো স্যুট পরা ছিল। তারা একজন আরেকজনকে সংখ্যা দিয়ে সম্বোধন করছিল। তারা নিজের কার্ড দেখায়। তারা সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। তারা আমাকে ঐ জায়গাতে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সেদিনের আবহাওয়া, পাখিদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করল। তারা আমাকে স্বীকার করাতে চাপ দিল আমি যেন সবার কাছে বলি ছবিটা আমার ফটোশপের কারসাজী। এরপর তারা আমাকে রেখে চলে গেল। আমাকে ২ মাইল পায়ে হেটে বাস পেতে হল। কি বিপদের মধ্যে পড়লাম রে দোস্ত। আমাকে বাঁচা।”

আদনানের মুখে অসহায় ভাব।

আমি বললাম, “চিন্তা নাই দোস্ত। এরপর কেউ ডিস্টার্ব করলে আমাকে সাথে সাথে ফোন দিবি।”

পকেট থেকে মোবাইল ফোনটা বের করলাম। নেটে সার্চ দিয়ে একটা ছবি বের করলাম।

আদনানকে ছবিটা দেখালাম নেট থেকে।

“১৯৬৪ সালের ২৪ মে জিম টেম্পপেল্টন নামের উত্তর ইংল্যান্ডের একজন দমকল কর্মীর একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এই ঘটনা ইতিহাসে সলওয়ে ফিরথ স্পেসম্যান নামে পরিচিত। ”

দুটো ছবির মিল দেখে হতভম্ব হয়ে গেল আদনান। যদিও ঘটনা দুটো ঘটেছে পঞ্চাশ বছরের ব্যবধানে পৃথিবীর দুই প্রান্তে।

আমি আরও বললাম, “১৯৬০ সালের ১৫ জুলাই দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার মারালিঙ্গা গ্রামের কাছে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার সময় ইউএফও এবং একইরকম রুপালী সাদা জামাওয়ালা লোক দেখা যায়। ”

আদনান বলল, “ তুই কি বলতে চাস ঐ লোকটা ভিনগ্রহ থেকে এসেছে? ”

আমি বললাম, “ হতে পারে। ”

আদনান বলল, “ এগুলো তো সিনেমাতে বা গল্পে সম্ভব। ”

আমি বললাম, “ দেখ, এই অসীম মহাকাশের কতটা সম্পর্কে আমরা জানি? ৩০ বছর আগের কথা। বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ড্রেক উদ্ভাবন করার একটি সমীকরণ বা সূত্র। এই সূত্রের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা একটি উত্তেজক ভবিষ্যদ্বাণী করলেন। তা হলো মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে এক লাখ ত্রিশ হাজার কোটি গ্রহ আছে। তা যদি থাকে তাহলে ১০ হাজার কোটি গ্রহে অন্তত একবারের জন্য প্রাণের উদ্ভব হয়েছিল। শুধু তাই নয়, সেই হিসাবে এক কোটি গ্রহে প্রযুক্তির ক্ষমতাসম্পন্ন সভ্যতার অস্তিত্ব থাকতে পারে। সম্প্রতি কেপলারের অভিযান সেই কথাগুলোকেই প্রমাণ করে চলেছে। কেপলারের পাঠানো তথ্য-উপাত্ত থেকে বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে এত গ্রহ না থাকলেও ১ হাজার ৭০০ কোটির ব্যাপারে তারা আগের চেয়ে অনেক শক্ত অবস্থানে আছেন। তবে সূর্যের মতো প্রধানধারার নক্ষত্রে গ্রহমণ্ডল তৈরি হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রবণতা। বলা যায় মহাজাগতিক সত্য। ”

সামির আমাকে বলে, “ দূর, তুই গাঁজাখুরি কাহিনী শোনাচ্ছিস। এটা কস্টিউম পড়ে কেউ ভাব নিচ্ছে। ”

আমি আর কিছু বললাম না। আরও কিছুক্ষণ থেকে ওর বাসা থেকে চলে এলাম। তার আগে বারবার ওকে আশ্বাস দিয়ে গেলাম যে ওর কিছু হবে না। আমরা ওর পাশে আছি।

আমি সেদিন আদনানকে বলতে পারতাম আসল সত্য কথা। কিন্তু বলতে পারি নাই হাত পা বাঁধা বলে।

আমি সেদিন আদনানকে বলতে পারতাম ওর মেয়ের মাথার পিছনে যে অদ্ভুত পোশাক পড়া লোকের ছবি এসেছে সেটা ছিল আসলেই একজন ভিনগ্রহবাসী।
আমি আরও বলতে পারতাম এই এলিয়েন এসেছে পৃথিবী থেকে আট আলোকবর্ষ দুরের সিরিয়াস তারা থেকে। যেটাকে আমরা লুব্ধক বা স্বাতী নক্ষত্র নামে চিনি। এটাই পৃথিবীর আকাশের উজ্জ্বলতম তারা। আদনান সেদিন পার্কে যায় তার আগেরদিন আমিনবাজারের কাছে একটা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছিল। স্থানীয়রা যাওয়ার আগেই সেনাবাহিনী জায়গাটা ঘিরে ফেলে। সেটি ছিল একটি এলিয়েন স্পেসশিপ ক্রাশ করার বিস্ফোরণের শব্দ। ওরা এসেছিল ৪ জন। তিনজন মারা যায়। একজন পালিয়ে যায়। সেই পালিয়ে যাওয়া নভোশ্চরকে দেখা গিয়েছিল ছবিতে। তাকে খুঁজতে বের হয়ে পড়ে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। দুইদিন পরে তাকে পাওয়া যায়। তার সাথে বিশেষ পদ্ধতিতে যোগাযোগ করে তার আসল জায়গা জানা যায়। তবে ফেসবুকে ঐ ছবি ছড়িয়ে পড়াতে ঝামেলা বাঁধে। যেই লোকগুলো আদনানকে জেরা করে তারা সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য। সেই এলিয়েনদের দেহ এখন খুব গোপন জায়গাতে। গোপন গবেষণাগারে ঠিকানা আমিও জানি না। আমি ছিলাম শুধু এলিয়েন খোঁজার দায়িত্বে।

সেদিনের পর আদনানের সাথে আরও কয়েকবার দেখা হয়েছে। ও ভালো আছে। কেউ আর ওর সাথে ঝামেলা করে না। তবে ও সন্দেহ করে আমি কিছু লুকাচ্ছি।
কিন্তু রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস করতে পারি না। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তাই প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে যায় এমন কাজ করতে পারি না।

একাকী মানব

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বা: একটা ছবি দেখে সুন্দর গল্প বানিয়ে ফেললেন! হাততালি ।

তবে ছবির মেয়েটা বিদেশী তো, তাই গল্পের কাহিনির সাথে বিসদৃশ লাগছে।

আপনার গল্পটা জমেছেও বেশ। তবে ছোটখাট কয়েকটা জিনিস খটকা তৈরী করছিল। যেমন বিস্ফোরনের পরের দিন আদনান গেছিল আমিন বাজারে, আর সেনাবাহিনি জায়গাটা ঘিরে ফেলেছিল কি তারও পরে? কিন্তু সেনাবাহিনি জায়গাটা ঘেরাও করতে তো দেরী করেনি। তাহলে আদনানরা ওখানে যেতে পারলো কিভাবে?

প্লটের এই দূর্বলতাটা বাদ দিলে গল্পটা সুন্দর। আর একটা কথা, শুরুতে আদনানের পুরো নামটার উল্লেখ করাটা ভালো লাগেনি, বাক্যের সাবলীলতা ব্যহত হয়েছে। আদনানের পুরো নাম যদি পাঠককে জানাতেই হয়, তবে পরে তিনবন্ধুর পরিচয় দেবার সময়ে বলা যেত। যা হোক, এটা অবশ্যই লেখকের স্বাধীনতা, কিন্তু গল্প পড়তে গিয়ে ছোট্ট হোঁচট খেলাম বলে জানালাম।

Solway Firth Spaceman - ফিরথ নাকি ফার্থ?

একাকী মানব, এটা কি আপনার প্রথম লেখা? সচলায়তনে স্বাগতম। আরো লিখুন, আপনার লেখার হাত সুন্দর।

____________________________

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা বিখ্যাত ছবি।

http://en.wikipedia.org/wiki/Solway_Firth_Spaceman

আমি বুঝাতে চেয়েছি যেখানে ইউএফও ক্র্যাশ করেছে সেখানে সেনারা ঘিরে ফেলেছিল। পার্কটা ছিল একটু দূরে যেখানে আদনান গিয়েছিল। আমিনবাজার কিন্তু একটা বিশাল জায়গা।

ফিরথ নাকি ফার্থ? উচ্চারণ কি হবে সেটা নিয়ে আমিও কনফিউজড।

হ্যাঁ এটা আমার প্রথম লেখা। আমি নিঃসঙ্গ গ্রহচারী নিকে আমার ব্লগেও লেখালেখি করি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আয়নামতি এর ছবি

সচলে স্বাগতম। হাত পা খুলে লিখতে থাকুন হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। লিখতে থাকব। হাসি

একাকী মানব

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ফেসবুকে আপনার লেখাটা পড়লাম, এখন এখানেও দেখতে পেয়ে মন্তব্য করছি।

টুকটাক কিছু ফাঁক এই গল্পে আছে। তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না, লিখতে থাকলেই সেগুলো কেটে যাবে। তাৎক্ষণিক আর বহুল প্রচারের জন্যে ফেসবুক ঠিক আছে, কিন্তু একটু সিরিয়াসলি লেখালেখি করতে চাইলে ব্লগ অপেক্ষাকৃত ভালো এবং ধীর মাধ্যম। আর কেবল নিজের লেখা নয়, অন্য সবার লেখাতেই মন্তব্য করুন। মিথষ্ক্রিয়া বাড়ান।

হ্যাপি ব্লগিং, সচলায়তনে স্বাগতম হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ সুহান ভাই। আপনার লেখা আমি নিয়মিত পড়ি।

একাকী মানব

বন্দনা এর ছবি

গল্প ভালো হইছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ।

একাকী মানব

অতিথি লেখক এর ছবি

একটা ছবি দেখে এত সুন্দর গল্প লেখা যায় তা আপনার গল্প না পড়লে বিশ্বাস করতে পারতাম না। ভালো লিখেছেন। শুভ কামনা রইল।
-----বাংলার পাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ।

একাকী মানব

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখার মধ্যে নিজস্বতা খুঁজে পেলাম। ভাল লাগলো। হাসি প্রফেশন থেকেই হয়ত আপনি গোয়েন্দা কাহিনী লেখার জন্যে হাত পাকাচ্ছেন। দারুণ হবে। আগেই বলে দিলাম। হাসি

Shah Waez (শাহ্‌ ওয়ায়েজ।)
Facebook

..............................................................................................
কোথাও নেই ঝুমঝুম অন্ধকার
তক্ষক ডাকা নিশুতিতে
রূপকথা শুনে শিউরে উঠে না গা
স্বপ্নে আমার শরীরে কেউ ছড়ায় না শিউলি ফুল
আলোর আকাশ নুয়ে এসে ছোঁয় না কপাল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ। আমার পেশাটা পুলিশ না তবে গোয়েন্দাদের মত। আমি চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থী। হো হো হো

একাকী মানব

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি কি ছাত্র, না কি ডাক্তার হয়ে গেছেন? কোন মেডিকেল কলেজ?
লেখা ভালো হয়েছে, লিখতে থাকুন।

-এস এম নিয়াজ মাওলা

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই আমি এইবার ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা দিয়েছি। আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র।

আপনাকে ধন্যবাদ। লিখতে থাকব। হাসি

একাকী মানব

অতিথি লেখক এর ছবি

গল্প ভালো লেগেছে

তাহসিন রেজা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ।

মরুদ্যান এর ছবি

কালো স‌্যুটের গোয়েন্দা- মেন ইন ব্ল্যাক ? খাইছে

যাউক গা, লিখতে থাকেন। শুভ কামনা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অতিথি লেখক এর ছবি

মেন ইন ব্ল্যাক চাল্লু চাল্লু চাল্লু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।