প্রিয় তালগাছ, কিছু অনুভব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৩/২০১৫ - ১১:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সব তালগাছ তালঢ্যাঙ্গা হয় না জানি, কিছু কিছু তালগাছ আক্ষরিক অর্থেই তালঢ্যাঙ্গা হয়। হয়তো এই কিছু কিছু গাছের সুবাদেই ঢ্যাঙ্গা শব্দটার সামনে নিজের নাম বসিয়ে নেবার একচেটিয়া অধিকার পেয়ে গেছে সমস্ত তালপ্রজাতি, কে জানে! এমনই এক তালঢ্যাঙ্গা তালগাছের কাছে জমা আছে আমার আধেক শৈশব কিংবা আধেক জীবনটাই। ‘বিচার যাই হোক, তালগাছটা আমার’ বলবার কোনো দরকার পড়েনি কোনোকালে-কারণ মাইলখানেকেরও বেশি দূরে যে রাজপথ আছে, আমাদের গাঁয়ে বলে ‘বিশ্বরোড’-সেই বিশ্বরোড থেকেও বাঁশঝাড় আর হাজারো চিনতে না পারা গাছের মধ্যে স্পষ্ট চোখে পড়ে মাথা উঁচু করে একা একা দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছটা-আর পরিচিত সবাই বেশ জানে, তালগাছটা আমারই। না জানার তো কোনো কারণই নেই, বন্ধু-পরিচিতদের বাড়ির রাস্তা চেনাতে একটাই কথা বলি আমি তো বটেই, তালগর্বে গর্বিত আমরা সবাই-“শোন, ওই বাসস্ট্যান্টটার কাছাকাছি এসে সো-ও-জা দক্ষিণে তাকাবি, একটা তালগাছ দেখতে পাবি বুঝলি, অত উঁচু গাছ এ তল্লাটে আর একটাও নেই। বাস থেকে নেমে ঠিকঠাক ঐ গাছ ধরে এগোবি, ব্যস!” বোঝ! এই তালগাছ আমাদের পাড়ার হিসেবে ‘জাতীয়’ পরিচয়ের অংশ না হয়ে পারে? আর যেহেতু গাছটার লাগোয়া বাড়িটাই আমাদের, তাই অংশিদারিত্বের হিসেবে কানাকড়ি পেলেও আদতে গাছটার শতভাগ মালিকানা, আমরা ধরেই নিয়েছিলাম আমাদেরই একচেটিয়া।

ছোটকালে তালগাছটা এক কিংবদন্তীই ছিল বটে। আমরা জন্ম থেকেই দেখেছি ওই একহারা মোটাসোটা আর আকাশছোঁয়া ঢ্যাঙ্গা গাছটা পাড়ার পূবপাশে মানে ঠিক আমাদের বাইরের উঠোনটায় দাঁড়িয়ে, কী আশ্চর্য! উঠোনের ঠিক মাঝখানের জায়গাটা এই একটিমাত্র গাছের জন্য বরাদ্দ, আর সব গাছ পাড়ার চারপাশে বা নিজের নিজের বাড়িতে কিন্তু মধ্যিখানটা অন্যসব গাছের জন্য ‘প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত’। তাই এই তালগাছ যে সে গাছ নয়- সে বুঝটা আমাদের হয়ে গিয়েছিল সেই ছোটকালেই। তার উপর ছিল বড়দের মুখে শোনা কত না ঝকমারি গল্প! আসলে তালগাছটা নিয়ে তাদের নিজেদেরও জিজ্ঞাসা আর অজ্ঞতা ছিল আমাদেরই সমান্তরাল, সে দেখেছি পরে যখন একবার পেশাদার ‘তাড়িওলা’রা গাছটায় তাড়ির জন্য হাঁড়ি বাঁধল তখন।

তার আগে সবসময় শুনে এসেছি, গাছটায় আজ অব্দি কেউ উঠতে পারেনি, কে একজন উঠতে গিয়ে কী নাকি এক ভয়ঙ্কর ব্যাপার-তারপর সে চেষ্টাও করেনি কেউ। আরও কত কী শুনতাম যে-তালগাছের ঝাঁকড়া মাথায় আছে জোড়া সাপ, দেবতার বিশেষ স্নেহধন্য ওরা, ওরাই নাকি তালগাছ আর আমাদের পাড়াটাকে আগলে রাখে! তাই গাছে ওঠা নিষিদ্ধ! তালগাছটার গোড়ায় কিছুদিন পর পর পাওয়া সাপের ‘কুরুছ’গুলোই (খোলস)আমাদের মনে এ ধারণাকে বদ্ধমূল করার জন্য যথেষ্ট ছিল। কিন্তু যেবার তাড়িওলারা এসে আমার বাবা-কাকাদের কাছে অনুরোধ করল গাছটায় তাড়ির জন্য হাঁড়ি বাঁধবে বলে-আর আকারে বিশালত্বের জন্য বিশেষ পরিচিত আমাদের গোষ্ঠীর বড়রা মিলে অনেক মিটিং করার পর তাদের অনুমতি দিয়ে দিল, সেবার তালগাছটার নিচে দাঁড়িয়ে উত্তেজনায় কাঁপতে কাঁপতে আমরা দেখলাম আমাদেরই বাঁশঝাড়ের বড় বড় বাঁশ কেটে এনে দড়ি দিয়ে কী করে যেন বেঁধে বেঁধে ঠিকঠাক উপরে উঠে তারা হাঁড়ি বসিয়ে এলো। সাপ টাপ দূর কিচ্ছু নেই! তা সে একটা দিন ছিল বটে, সারা গ্রামের মানুষ ভেঙ্গে পড়েছিল এই ‘নিযশ্যি’ ঘটনা দেখার জন্য।

এখন ফাল্গুন। এমন ধুলোওড়া শনশন বাতাসের ফাল্গুনে তালগাছটায় ফুল হতো, সুন্দর হলদে রঙের ঝুরোঝুরো সোনাগুঁড়ো ফুল। তালফুলগুলো ছোট ছোট হলে কী হয়, অনেকগুলো ফুল মিলে গুচ্ছ হয়ে থাকত দুই হাতমতো লম্বা লম্বা একটা কাঠামোর গায়ে, সেগুলোকে আমরা বলতাম ‘ফণী’। ফণী থেকে একটা একটা করে ফুল ঝরে ঝরে গাছের গোড়ার কালচে মাটি কেমন হলদে সোনালিতে ভরে যেত পুরো ফাল্গুন-চৈত্র্য জুড়ে। স্কুলফেরতা আমাদের প্রতিদিনের খেলার সাথে এই সময়টায় অবশ্যই যোগ হতো তালফুল ধরার খেলা। এমন কিছু কঠিন ছিল না খেলাটা কিন্তু দারুণ মজার। আমরা প্রায়-অগনন ভাইবোনে জড়ো হতাম গাছটার নিচে আর দু’হাতের তালু এক করে গোল করে উপরদিকে ধরতাম। বাতাসে খসে পড়া ফুল মাটিতে পড়ার ফাঁক বাঁচিয়ে কিছু পড়ত আমাদের হাতে, মাঝেমাঝে অবশ্য জায়গা বদল করতে হতো দৌড়ে দৌড়ে, যেখানে ফুল পড়ার হার বেশি, সেই জায়গাটা দখল করতে হতো। ব্যস, আর কিচ্ছু নয়! প্রতিযোগিতাটা হতো কে কত দ্রুত কত বেশি পরিমাণ ফুল ধরতে পারে, গোণা-গুণতিটা অসম্ভব ছিল বলে পরিমাণটাই ভরসা। মুঠো ভরে গেলে নিজেকে নিজেই বিজয়ী ঘোষণা করে ফুলগুলো ঘুরেফিরে মাটিতেই ফেলে আবার মুঠো ভরা-এই তো খেলা কিন্তু কী ভয়ঙ্কর রকম টানে আজও। মনে হয়, দূর ছাই, কীই বা আছে জীবনটায় যদি আবার হল্লা করে তালফুল ধরবার খেলাই খেলতে না পারলাম তো!

ফাল্গুন থেকেই শুরু হয়ে যেত ঘরপ্রত্যাশী বাবুইদের আনাগোনাও। সারাটা বছর বাবুইগুলো কোথায় থাকত কে জানে, আমাদের তালগাছটায় ঘর বাঁধতে আসত কিন্তু এই ফাল্গুন-চৈত্র্যেই। পুঁচকে পুঁচকে সবুজাভ আর হলদে-খয়েরি বাবুইগুলো এর খড়ের গাদা, ওর খেতের আল থেকে দুর্বা নিয়ে আসত ঠোঁটে করে আর তারপর চলত তাদের ঘরকন্নার প্রস্তুতি। অন্যেরা তেমন আগ্রহী না হলেও দাদুর ঘরের দরজায় বসে উপরমুখে ঠায় বসে থাকতাম আমি ওদের ঘরামির কাজ দেখার জন্য। সে এক দেখার মতো জিনিস ছিল বটে। ঠোঁটের খড়কুটো দিয়ে কী অসামান্য ক্ষিপ্রতায় নিজস্ব নকশায় একেকটা ঘর বাঁধা হতো, ঘর না বলে নীড়ই বলি না হয়। একটার সাথে আরেকটার নকশায় মেলে না, কোনোটার আবার দু’টো দরজা। মন্ত্রমুগ্ধ আমি নাওয়া খাওয়া ভুলে বাবুইদের নন্দনতাত্ত্বিক চর্চা দেখতাম হাঁ করে।

পুরো গ্রীষ্মজুড়ে বাবুইদের বাসাগুলোর কাঁচা সবুজ রঙ বদলে হলদেটে হয়ে যাওয়া ছাড়া আর তেমন কিছু চোখে পড়ত না। তবে কালবৈশাখী হলে শনশন বাতাসের তোড়ে ঝাঁকড়া ঝাঁকড়া তালপাতা নিয়ে ডালগুলো (ডালই তো, নাকি?) মাথা নাড়ত পাগলের মতো, আর কেমন একটা অস্বাভাবিক গম্ভীর সোঁ সোঁ শব্দ হতে থাকত সেখান থেকে। মাঝেমাঝে একেকটা ডাল বাতাসের চাপ সইতে না পেরে দুম দুম ভেঙ্গে পড়ত। আমার স্পষ্ট মনে আছে, প্রবল ঝড়েও ভাঙ্গা ডালটা কে আগে কুড়োবে তার প্রতিযোগিতা চলত অবিরাম।

বর্ষা আমার ভালো লাগত খুব, কালবৈশাখীর রুদ্ররোষ নেই কিন্তু বৃষ্টির মনভরানো রিমঝিম আছে-কী মায়াময় সুন্দর! বর্ষায় বৃষ্টির সময় তালগাছের উুঁচু মাথাটায় ঝোলানো বাবুইয়ের বাসাগুলো ভিজে একসা হয়ে তিড়তিড় করে কাঁপত, হয়তবা ভিজে পাখার নিচে বাচ্চাদের ওম দেয়ার বৃথা চেষ্টায় আরও বেশি তিড়তিড় করে কাঁপত বাবুই দম্পতি, কে জানে! আমি খুব লোভ করতাম বাবুইয়ের বাসার জন্য! কী সুন্দর বাসা ওদের, শুধু হাতে নিয়ে একটু দেখতে খুব ইচ্ছে হতো। বাতাসের তোড় আর বৃষ্টির ঢল সামলাতে না পেরে কখনও কখনও খসেও পড়ত একেকটা বাসা তবে হাতে নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই কান্না পেয়েছে আমার-পড়ে যাওয়া বাসাগুলোয় কখনও কখনও বাবুইয়ের মরা বা আহত বাচ্চা থাকত, আহতগুলোকে বাঁচানো যেত না কিছুতেই। কিন্তু খুব অবাক হয়ে যেতাম এত ঝড় ঝাপটা সহ্য করেও বেশিরভাগ বাসাই টিকে থাকত কী করে, তাই দেখে।

ছোটবেলার তালগাছটা আমায় ছুঁয়ে থাকে আজ পর্যন্ত সবটা সময়। আমার শৈশব মানেই এই গাছটা আছে, আমার কৈশোর মানেও এই গাছটা আছে। কী এক অদ্ভুত কারণে এই গাছটাকে ভাবিনা এমন একটাও দিন কাটে না আমার।

সব তালগাছ তালঢ্যাঙ্গা হয় না, কিছু কিছু তালগাছ হয়। ওদের জন্যই ‘তালঢ্যাঙ্গা’ নামটায় তালগাছের একচেটিয়া অধিকার জন্মে। আজকাল খুব মনে হয়-সব মানুষ মানুষ হয় না, কেউ কেউ হয়। এই কারো কারো জন্যই ‘মানুষ’ নামটায় আমাদের একচেটিয়া অধিকার জন্মে। কিন্তু কী আশ্চর্য, তালঢ্যাঙ্গা হতে না পারা তালগাছগুলো হয়ত ঐ কিছু কিছু গাছের জন্য গর্বিতই হয় আর আমরা মুফতে ‘মানুষ’ নামের অধিকারীরা এই দু’একজন সত্যিকারের মানুষের মূল্যই বুঝি না-ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাই। কেউ কেউ নিজেদের ‘জঞ্জাল’ পরিষ্কারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠি আর বাকিরা ‘হায় কী হলো!’ বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলি। মোট কথা-সেই দু’একজন মানুষকে আমরা ধরে রাখতেই পারি না। এর চেয়ে তালগাছ ভালো-ওরা ঐ ‘তালঢ্যাঙ্গা’ গাছটার কোনকিছু কেড়ে নিতে যায় না, ওদের তাই দীর্ঘশ্বাসের ইতিহাসও নেই।

দেবদ্যুতি


মন্তব্য

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

অসাধারণ। এক টানে পড়ে ফেললাম। দেবদ্যুতি একটা তালগাছেও এত গল্প, এত সঙ্গীসাথী! শেষটায় বুকটা টনটন করে উঠলো। আর সেই সাথে চিরসঙ্গী দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল বুক চিরে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। এই গাছটার অনেক গল্প, সাদিয়া’পু, একটা দিনও নেই আমি ওর স্মৃতি নিয়ে ঘুমাই না। আর আজকাল মন খারাপের সন্ধ্যে-রাতে আরও বেশি টানে আমাকে গাছটা; যেতে পারি না বলে আমিও চুপচাপ দীর্ঘশ্বাস ফেলি, ব্যস!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

বেশ খানিকটা ব্যাখ্যা না থাকলে আরো ভালো হতে পারত লেখাটা। পাঠকের মগজের জন্যেও খানিকটা ভাবনা রেখে দেয়া যেতে পারত হয়ত!
সেই ছাড়া লেখাটা চমৎকার। দারুণ বর্ণনা। তাড়াহুড়ো করেছিলেন নাকি? কেন জানি মনে হয় আপনার ভাবনার সবটা রস লেখাটায় নেই!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ পড়া আর কমেন্টের জন্য। আসলে সপ্তাহ দুই আগে লিখেছিলাম, মাঝের কিছুদিন এত অস্থির, লেখাটা নিয়ে বসাই হলো না আর। আজ শুধু শেষ প্যারাটা লিখলাম, একটু তাড়াতাড়ি হয়েছে বৈকি!

অতিথি লেখক এর ছবি

হ তালগাছ আপনের। তবে শেষ প্যারায় এসে-----

ভাল লাগছে--

স্বয়ম

অতিথি লেখক এর ছবি

তালগাছের ভাগ আপনাকেও দেব, যান! অনেক ধন্যবাদ

এক লহমা এর ছবি

মানুষকে সারা জীবন ধরে মানুষ হয়ে উঠতে হয়, সবাই পারেও না। কেউ কেউ আবার, অনেক বড় মাপের মানুষ হয়ে ওঠে। তখন অমানুষদের কেউ কেউ আর অনেক ছোট মাপের মানুষও সেই বড় মাপের মানুষগুলোকে শেষ করে দিতে কি ছেঁটে ছোট করে নিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। তালগাছেদের অবশ্যই সেরকম কোন সমস্যা নেই। চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ, লহমা’দা। তালগাছেরা মানুষ নয় ভাগ্যিস! মানুষ বড় অদ্ভুত জীব-সবচেয়ে ভালো, আবার জঘন্যতম খারাপ। অন্যরা এমন স্বার্থপর হয়ে ওঠেনি এখনও, তাই তাদের এমন সমস্যাও নেই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার ছিল বেটে একটা অশ্বথ গাছ। নেই আর।
ভাল লেগেছে তালগাছের গল্প, সেই যে একটা ছড়া ছিল,
'তাল গাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে
সবগাছ ছড়িয়ে, উঁকি মারে আকাশে' মনে পড়ে গেল।

শুবকামনা।

রীতু

'সেই যেখানে সারাজীবন বৃষ্টি পড়ে, বৃষ্টি পড়ে...
সেই যেখানে কেউ যায়না, কেউ যায় নি কোনদিনই...'

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার নেই হয়ে যাওয়া অশ্বত্থ গাছটার জন্য ভালোবাসা। দারুণ ছোটবেলা ছিল আপনার, লেখা পড়লে বোঝা যায়। আমার বড় ভয় হয়-কোনদিন না বুড়ো তালগাছটাও নেই হয়ে যায় আক্ষরিক অর্থেই-ভাগের মা গঙ্গা পায় না কি না!

অতিথি লেখক এর ছবি

তালগাছটার কথা বলতে গিয়ে কিছু সত্যিকারের মানুষকে ধরে রাখতে না পারার ব্যপারটা আপনি অসাধারন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । এই ধরা ও না ধরার যে কি জ্বালা তা শুধু অনুভবই করা যায় মুখে বলা যায় না। ধন্যবাদ।

--------------
রাধাকান্ত

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমারও ঠিক এমনই মনে হয়।

আয়নামতি এর ছবি

স্বরবর্ণীয় অগ্রজের সাথে একমত, ব্যাখ্যায় বেশি না গিয়ে চমৎকার লেখাটা আরো খানিকটা বাড়ানো যেতো।
সামান্য একটা তালগাছ নিয়েও কত সুন্দর লিখে ফেলা যায়! আরো আরো লেখা আসুক দেবদ্যুতির।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আয়নাদিদি। তবে কি না তালগাছটা আমার কাছে আসলেই অসামান্য। আর পরামর্শটা মাথায় করে রাখলাম, পরেরবার লেখার সময় কাজে আসবে। ভালো থাকবেন।

গগন শিরীষ  এর ছবি

দুর্দান্ত! সামান্য জিনিস নিয়ে অসামান্য লেখা লিখতে প্রতিভা লাগে,আপনার সেটা ভালই আছে!

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। তবে আপনার যা প্রতিভা, তার কাছে আমার মতন মানুষ নস্যি। আর এ্ই তালগাছটা আমার কাছে একেবারে অসামান্য- সামান্য হলে তাকে নিয়ে লিখতাম বুঝি?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

তালগাছটা আপনাকে দিলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

মজিবুর রহমান  এর ছবি

তালে তালে লেখাটা শেষ হল , ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে ছারখার হয়ে যাই আমিও , ভেতর থেকে তালপাকা রোদের দীর্ঘশ্বাস আসে , তালগাছটা আপনাকে দিলাম নিয়েও এমন লিখা যায়!!!!!

মজিবুর রহমান

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ঈর্ষায় যে আমি ভী-ষ-ণ খুশি হয়ে গেলুম-কী করি বলুন তো? যান, তালগাছটা তো দিতে পারব না, এত্তগুলো আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।