মন-খারাপের গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৭/২০১৫ - ১:১২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের প্রিয় ছিল ছাদটা, মেয়েদের পাঁচটি হলের মধ্যে একমাত্র আমাদের হলেই ছিল তালা চাবি বিহীন খোলা ছাদ। অন্য মেয়েদের সকরুণ ঈর্ষাকে অবলীলায় তুড়ি মেরে আমরা কী দিন, কী রাত সেই ছাদে হুল্লোড় করতাম, আড্ডা দিতাম, ফোন কানে হাঁটতে হাঁটতে প্রেম করতাম, ক্লাস প্রেজেন্টেশনের মহড়া করতাম। হল খোলা থাকার বিকেল ১ম ব্লকের বিচ্ছিন্ন একলা একা ছাদ বা অন্য তিনটা ব্লকের সংযুক্ত ছাদ বসে, দাঁড়িয়ে, ঝুঁকে কিংবা চিলেকোঠায় শুয়ে থাকা মেয়েদের গল্পে, কথায়, গানে, পড়ার শব্দে ভরে যায়নি এমন ভাবনাও কারুর কল্পনায় আসাও ছিল মুশকিল। বেশিরভাগ দিন বিকেলের ছাদটা আমার ছিল না, সন্ধ্যে পার হওয়া আবছা অন্ধকার বা চাঁদের আলোয় ভরে যাওয়া ছাদটাই বরং বেশি পরিচিত আমার, বেশি কাছের। আমাদের হলের এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যে অন্তত একবেলা ছাদে যায়নি অকারণেই। অবশ্য দুপুরবেলা ফাঁকা ছাদে গিয়ে কাকের ঠোক্কর খেয়ে কেউ যদি দিন দুয়েক নিতান্তই মনোবেদনায় ভোগে তাহলে আলাদা কথা।

ছাদটার ব্যবহার ছিল বহুবিধ। বলে নিই একটু তাহলে। কারুর মন খারাপ, তো ছাদে যাও। ভোরবেলা গলা সাধতে হবে, রুমমেটের ডিস্টার্ব না করে একটু কষ্ট করে হারমোনিয়ামটা টেনে ছাদে চলে যাও। ফোনে কথা বলতে চাও অনেকক্ষণ ধরে? আরে ভাই, ছাদ আছে না! কিছুই করার নেই? একলা থাকতে চাও খানিক সময়? যাও, চিলেকোঠায় গিয়ে শুয়ে থাকো চুপচাপ। লাঠি খেলার প্র্যাকটিস থেকে শুরু করে বান্ধবীর সাথে বাক-বিতণ্ডা? একমাত্র নির্ভরযোগ্য স্থান আমাদের অদ্বিতীয় ছাদ। ঘরে ঠিকমতো পড়া হচ্ছে না? আবৃত্তিতে আরও চর্চা লাগবে? নাটকের সংলাপ কিছুতেই জোরে জোরে চর্চা করা যাচ্ছে না? যাচ্ছে না করা বিতর্কের অনুশীলন? কিচ্ছুটি করতে হবে না, বালিকা, ছাদে চলে যাও, পিড়ি পেতে বসতে দিতে না পারলেও ছাদটা তোমায় দেবে তোমার যতটুকু নির্জনতা আর যতটুকু জায়গা লাগবে, তার সবটুকুই ।

আমি ছাদে যেতাম আমার একলা লাগার সময়গুলোতে নিজেকে আরেকটুখানি একলা করে দিতে, সন্ধ্যের ঝিরিঝিরি বাতাসে আপাদমস্তক ডুবে যেতে যেতে জীবনানন্দ আর রবি বুড়োর কবিতা আওড়াতে আওড়াতে ভালবেসে ফেলা কষ্টগুলো ছুঁয়ে দেখতে। অর্থ, কীর্তি, সচ্ছলতার বাইরে আরও কী এক বিপন্ন বিস্ময় আমাকে ভিতরে ভিতরে ক্লান্ত করে দিলে, আমি ছাদে যেতাম সেই বিস্ময়ের সাথেই আরেকটু খেলতে। চিলেকোঠা ছিল আমার সবচে’ প্রিয়, তাও একেবারে শেষ ব্লকেরটা যার নিচের প্রান্ত থেকে মাত্র একহাত দূরেই ছাদের রেলিং। এক দৌড়ে উপরে উঠতাম, নামার সময়ও আরেক দৌড়। মাঝে মাঝে নিজেরই মনে হতো রেলিং টপকে পড়ে যাব হয়ত। একবার উত্তমের ‘মন নিয়ে’ দেখে এত বেশি বিষণ্ণ লেগেছিল, ছাদে গেলেই মনে হতো লাফ দিই, ভয়ে ক’দিন ছাদে ওঠা বন্ধ করেছিলাম!

উঁহু, কেবল একলা থাকার জন্য আমি ছাদে যেতাম না কিন্তু সব সময়। ছাদে যেতে যেতেই বন্ধুত্ব হয়েছিল শিরিন আর মালাদি’র সাথে। প্রায় প্রতি সন্ধ্যেয় আমরা তিনজনে তুমুল আড্ডা দিতাম। কেয়া’পুর খালি গলায় যত গান শুনেছি, তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেই ছাদেই। কী দারুণ গাইত কেয়া’পু। এখন ও আর গায় কি? দেখাতো হয় মাঝেসাঝেই, গান শোনার অবসর বা পরিবেশ মেলে না আর কিছুতেই। এক ছুটির বিকেলে কেয়া’পু, ডলি আপু আর আমি মিলে এক্কাদোক্কা খেলতে গিয়েছিলাম, আমাদের বুদ্ধিও বলিহারি, বাব্বা, ফাঁকা জায়গাগুলোর বদলে আমরা বেছে নিয়েছিলাম একটা রুমের উপরের অংশ। ব্যস, আমাদের লাফানোর চোটে সেই রুমের এক বাসিন্দা কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে এমন বকুনি দিয়েছিল যে আমরা সুরকির টুকরো ফেলে জলের ট্যাংকির আড়ালে পালিয়ে বেঁচেছিলাম! সেই ছাদ! খুব মনে পড়ে।

খোলা আকাশের ছায়া বুকে পেতে নেয়া ছাদটার কিছু ছোট বোনও ছিল হলে। ছিল ২য় ও ৩য় ব্লকের মাঝে থাকা ক্যান্টিনটার ছোট্ট এক চিলতে ছাদ। এক ব্লক থেকে আরেক ব্লক পর্যন্ত বেশ কয়েকটা ওভারব্রিজ। আর একেবারে নিচে ফুল আর ঝাউ গাছে ছাওয়া সবুজ ঘাসের ২টি লম্বাটে মাঠ। মেয়েদের আড্ডা দেয়ার, পড়বার, বসে থাকবার কিছু প্রিয় জায়গা। আর ছিল ব্লকের এ মাথা আর ও মাথায় বারান্দালাগোয়া এক চিলতে বাড়তি ঝুলবারান্দা। আমরা হলের নাম না জানা নকশাকারের ভক্ত বনে গিয়েছিলাম রীতিমত। সে যাই হোক, মোদ্দা কথাটা হলো এই যে, সিংগল থেকে শুরু করে চারজনের রুম, সব রুমের বাসিন্দাদের কাছে এই খোলা বাতাসের, খোলা আকাশের খোলামেলা জায়গাগুলো ছিল স্বাধীনতার অন্য একটা নাম।

হলের শেষ মাথায় তিন তলার ওভারব্রিজটায় দাঁড়ালে দেখতে পাওয়া যেত দেশি ফল আর বাহারি ফুলের গাছে সাজানো শিক্ষকদের কোয়ার্টারগুলো, সেগুলোর সামনে ছোট্ট একফালি পিচরাস্তা যার দু’পাশে রঙ্গন, ঝাউয়ের ছোট মাথাগুলো বাঁচিয়ে লম্বা লম্বা গাছে ঝুলে থাকত সাদা বকফুল আর বিভিন্ন রঙের চাঁপা। এই পথটা ছিল হলের পেছনে এক চিলতে সবজি লাগানো জমির ঠিক পরেই, মানে খুব কাছাকাছি। আর ওভারব্রিজ থেকে সোজাসুজি তাকালে রাস্তাটার পেছনেই ছিল বিশাল মোটা আমগাছসহ আস্ত একটা জঙ্গল। সকালের পর থেকেই পথটা প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকত বলে সবসময়ই নিরিবিলি থাকত বেশ। মন খুব ভালো থাকলে, মন খুব খারাপ থাকলে ওভারব্রিজে দাঁড়ালে মন ভালো হয়ে যেত, বাইরের ধ্যানমগ্ন ছবিটা খুব টানত আমায়। জায়গাটা আরেকটা কারণে পছন্দ ছিল খুব, অনেক রাতে আমাদের ছাদে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হতো কিন্তু এই জায়গাটা ছিল সবসময় খোলা। ঘুমজাগা রাত আর ভোরগুলোতে নির্জনতার দাবি মেটাত জায়গাটা।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রাত আটটা পার করে হলে ফিরলেই বিলম্ব হাজিরা খাতায় হলের আবাসিক শিক্ষকদের সামনে নিজ দায়িত্বে নাম, রুম, বিভাগের বিবরণ লিখতে লিখতেও মাঝে মাঝেই উল্টোপাল্টা কথা হজম করতে হতো; তখনকার দিনে এমন খোলা জায়গা তাই আমাদের কাছে ছিল ইচ্ছেমত দম ফেলবার, দুটো কথা কইবার, গলা ছেড়ে গাইবার এমনকি কাঁদবার জন্য এক টুকরো স্বাধীনতার নাম। কিন্তু বালিকাবৃন্দের তখনও বাকি ছিল পৃথিবীটা ঠিকঠাক চিনতে পারা। এক সময় তাই তাদের প্রতিটি প্রিয় জায়গা এক এক করে মুঠোবন্দি হয়ে গেছে কর্তৃপক্ষের হাতে, এক একটা বিচিত্র উপায়ে।

সবার আগে বারান্দালাগোয়া সেই এক চিলতে বাড়তি অংশগুলোতে গ্রিল উঠলো জেলখানার মতো, অজুহাত-‘চুরি বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে, চুরি ঠেকাতে বেশি বেশি গ্রিল পদ্ধতি একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি’! আমরা মনের দুঃখে হলের পর্দাপ্রথা মেনে নিলাম সেবার। রেলিং থেকে ঝুঁকে হলের বাইরের পৃথিবী দেখবার উপায়টা বিদায় নিলো চিরতরে। এরপর হলের পেছনদিকের সেই টানা ওভারব্রিজটা, কেয়া’পুর সাথে বন্ধুত্বের শুরুর সন্ধ্যেগুলো কেটেছিল ওখানে। এবার আর গ্রিল নয়, আমাদের কোমরসমান উঁচু রেলিংটাকে সিমেন্ট, বালু আর ইট দিয়ে টেনে লম্বা করা হলো দেড় মানুষ সমান। এবারও অজুহাত একই থাকল, চুরি ঠেকানো। মেনে নেয়া ছাড়া উপায় ছিল না কোন। মনের দুঃখে কাজ চলার সময় কাঁচা সিমেন্টের উপর বেশ গভীর করে নিজেদের নাম লিখেছিলাম কেয়া’পু, সেলিনা’পু আর আমি!

খুব হইচই করেছিলাম শেষবার, আমাদের প্রিয় ছাদটা যখন তালাবন্ধ করা হয়, তখন। হলের প্রভোস্ট বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছিলাম একাধিকবার, কাগজে স্বাক্ষর করতে মেয়েদের কেউই দুবার ভাবেনি কিন্তু আমাদের প্রবল দাবি উপেক্ষা করে ছাদে বড় বড় তালা ঝুলেছিল, সেই তালা এখন খোলে খালি জলের ট্যাংকি বা ছাদ মেরামতের প্রয়োজনে আর কোনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ক্যাম্পাসে গেলে তাঁর/তাঁদের নিরাপত্তার স্বার্থে ছাদে পুলিশ ওঠাতে। ভালো কথা, ছাদ বন্ধ করার অজুহাত কী ছিল বলতে পারেন? চুরি ঠেকানো? ছ্যাকা খাওয়া মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা বন্ধ করা? আমি বাজি ধরে বলতে পারি ওই অজুহাত আপনাদের কারুর মাথায় কোনদিন আসবে না। ছাদ বন্ধ করার পেছনে ‘অকাট্য’ যুক্তি ছিল মেয়েরা বৃষ্টিতে ভিজে হলের বাইরের ছেলেদের সাথে অশালীন ভঙ্গী করে ছাদ থেকে! বুঝুন!

হল ছেড়েছি বেশ ক’বছর। হলের চেনা মানুষগুলো, আমার প্রিয় রুম, রুমমেট, বন্ধু, পরিচিত ছাড়াও চিরতরে হারিয়ে যাওয়া এই জায়গাগুলো বড্ড টানে আজও। বন্ধ চোখের পাতায় যখন তখন ভর করে ছাদের কংক্রিটের ফাঁকে আশ্চর্য জীবনীশক্তি নিয়ে জন্ম নেয়া কচি সবুজ পাতার ছোট্ট বট গাছটায় ডানা ঝাপটানো ছোট্ট প্রজাপতি। ছাদটা বন্ধ, এখন আমার প্রিয় ছাদটায় ঝুলছে এক বিশাল বড় তালা, বট গাছ আর প্রজাপতি তাই দূরে থেকে যায়। আমার পরে যে বোন আজও থাকে হলটায়, ও জানে না বাদামি ফুটকির প্রজাপতিটার কথা, কখনও দেখেনি বট গাছটার কোমল মায়াবী পাতা।

দেবদ্যুতি


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দেবদ্যুতি

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

দেবদ্যুতি

এক লহমা এর ছবি

ছাদের গল্প পড়তে ভাল লাগছিল বেশ। শেষ তিন অনুচ্ছেদে এসে মন ভারী হয়ে গেল।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

ছাদের গল্প বলতেও ভালো লাগে খুব, দা’ভাই কিন্তু ছাদটা তো আর খোলা রইল না! এখনকার মেয়েরা জানেই না প্রতিদিনের হল জীবনে একটা ছাদ মানে কত কিছু হতে পারে মন খারাপ

দেবদ্যুতি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

শুরু করেই বুঝতে পারছিলাম এটা কার লেখা। এইসব স্মৃতিগুলো অনন্য। কলমে তুলে আনলে বুকের হাহাকার আরও জেগে ওঠে।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- বুকভরা খালি হাহাকার, সাদিয়া’পু। সবচে’ কষ্ট লাগে এক এক করে সবগুলো অন্ধিসন্ধি বন্ধ করে মেয়েদের চলাফেরা, শ্বাস নেয়ার বাতাসগুলো পর্যন্ত থামিয়ে দেয়ার ঘটনাগুলো মনে পড়লে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায়!

দেবদ্যুতি

মেঘলা মানুষ এর ছবি

'ছাদ' জিনিসটাই কেমন যেন একটা মজার জিনিস। চুরি ঠেকানোর যুক্তিটা তাও মেনে নেয়া যায়, শেষ যুক্তিটা বাকরুদ্ধকর বটে!

ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- কী অদ্ভুত যুক্তি, বলুন, ভাবা যায়? চুরি ঠেকানো বন্ধের কার্যক্রম দেখে আমরা বলতাম আমাদের হলটাকে পর্দার আওতায় আনা হচ্ছে গ্রিল আর রেলিং তুলে তুলে। কর্তৃপক্ষ বোধহয় আমাদের অসন্তোষ টের পেয়েছিল আগে থাকতে, তাই রীতিমতো আমাদের চরিত্রেই কালিমা লেপন করল ছাদে তালা ঝোলানোর সময়। মনে মনে নিশ্চয়ই খুব হেসেছিল ওরা সেবার।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি হলে সিট নেইনি, তবে বন্ধুদের রুমে থাকা হয়েছে প্রচুর। গরমের দিনে আমরা প্রায়ই গভীর রাতে হলের ছাদে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে শুয়ে থাকতাম। রাতজাগা জোনাকির মত তারা জ্বলা আকাশটাকে মনে হত অনিন্দ্য এক শিল্পকর্ম। আপনার লেখা পড়ে পুরোনো স্মৃতিগুলো মনে হল। মন খারাপ

লেখার শেষ অংশটুকু পড়ে মন খারাপ হল। হাস্যকর সব কারন দেখিয়ে আমাদের দেশে এভাবেই মেয়েদের স্বাধীনতাটুকু কেড়ে নেয়া হয় বারবার। আপনার লেখার সাবলীলতাটা খুব ভাল লাগল।
চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

আমি তোমাদের কেউ নই -> আতোকেন

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আমরা যেতাম অন্য হলের বন্ধুদের রুমেও, ওরা আমার রুমে থাকতে এলে আমরা রাতে ছাদ বন্ধ করবার আগ পর্যন্ত আড্ডা দিতাম তুমুল। মেয়েদের এত স্বাধীনতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কী লাভ, বলুন? লসই তো বেশি তাই ক’দিন পর পর তাদের জায়গাগুলো কমিয়ে দেয়ার হাজারটা অজুহাত কর্তৃপক্ষ ঠিকই খুঁজে পায়, প্রয়োগও করে।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ হলো, ছাদ বন্ধ করার অকাট্য যুক্তি শুনে।একই ঘটনা যদি বিপরীত লিঙ্গের হলে ঘটতো তবে বৃষ্টির সময় মেয়েদের ওদিকে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হতো। এটা মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘটেছে বলে তাদের বন্দী করা হোল ।মেয়েদের সব ক্ষেত্রেই দোষ।
Jaraahzabin

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বাজি ধরে বলতে পারি এমন কোনো ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে কখনও আসেনি, একেবারেই ঘটেনি তেমন দাবিও আমি করি না, ঘটতেই পারে। আসলে অন্য হলগুলোর ছাদ আগে থেকেই বন্ধ ছিল, আমি ভর্তি হওয়ার পর থেকেই শুনে আসছিলাম যে আমাদের ছাদটাও বন্ধ করে দেয়া হবে। সেই পরিকল্পনাটার বাস্তবায়নই তারা করেছে শেষমেষ।

বিপরীত যে ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন, সেটার সম্ভাবনা প্রায় একশোতে একশো।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

গদ্য পড়তে পড়তে শেষ টায় কবিতার দরজায়। এমন ট্রান্সফ্রমেশন অনেক দিন চোখে পড়ে নি।
আর ও লিখুন।
------------------------------------
ইচ্ছে মত লিখি
http://icchemotolikhi.blogspot.in/

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আমি তো কদিন পরপরই এমন হাবিজাবি লিখি। আপনি একটু ইচ্ছে মত লিখুন না, পড়ি হাসি

দেবদ্যুতি

সো এর ছবি

চলুক
দেবদ্যুতি - আপনাকে তো ছেলে ভেবেছিলাম নাম দেখে হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ফেসবুকে আমার বন্ধু তালিকায় এ নামের আরও দুজন আছে একই ইংরেজি বানানসমেত-একজন ছেলে, একজন মেয়ে চোখ টিপি

দেবদ্যুতি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এক ছাদের স্মৃতি পড়ে অনেক ছাদের স্মৃতি মনে পড়লো! হাসি
ছাদ বন্ধ করে দেবার অজুহাতটা কত ছেঁদো!! মন খারাপ

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ...কত ছেঁদো অজুহাত কত ভালো কিছু কেড়ে নেয়ার জন্য যথেষ্ট!

দেবদ্যুতি

রানা মেহের এর ছবি

মেয়েরা বৃষ্টিতে ভিজে হলের বাইরের ছেলেদের সাথে অশালীন ভঙ্গী করে ছাদ থেকে!

এরকম গুরুতর অভিযোগের পরও যে শুধু ছাদ বন্ধ না করে হলটাই বন্ধ করে দেয়নি,
আপনাদের উচিত কৃতজ্ঞ থাকা!

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

যা বলেছেন, আপা চোখ টিপি

দেবদ্যুতি

নিলয় নন্দী এর ছবি

স্মৃতিচারণ চিরকালই মায়াবী।
খুব ভালো লাগল পড়ে।

ছাদ বন্ধ করে দেয়ার অজুহাতটিও বেশ চমকে দিল ! ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- ... অজুহাতটি চমকে দেয়ার মতোই, অবশ্য কাগজে কলমে তারা কোনো অজুহাত দেখানোর দায় রাখেননি মনে হয়-আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখে মুখে।

দেবদ্যুতি

গগন শিরীষ  এর ছবি

দুর্ধর্ষ স্মৃতিচারণ!

অতিথি লেখক এর ছবি

একেবারে দুর্ধর্ষ! দেঁতো হাসি

দেবদ্যুতি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

মন খারাপ মন খারাপ

দেবদ্যুতি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।