শ্রোণিতে শ্রেণিচেতনা কাব্যগ্রন্থ অথবা আমাদের বিকৃতির গল্প

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৩/০৭/২০১৫ - ৬:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতেরো বছর পর আজাদকে দেখে আমার ভীষণ ভাল লাগে। অবশ্য আমাদের সহপাঠি আজাদ এখন ফররুখ আহমেদ পুরষ্কার প্রাপ্ত বিখ্যাত কবি – কবি চৌধুরি আযাদ। মাথা ভর্তি ঝাকড়া চুলে মাঝে মাঝে সাদার ছোপ, সোনালী ফ্রেমের চশমায় চমৎকার লাগে আজাদকে (অথবা কবি চৌধুরি আযাদকে।)

সুসজ্জিত লিভিং রুমের দেয়ালে অনেক চিত্রকর্ম, শেলফ ভর্তি মোটিফ, স্যুভেনিয়র আর মেডেল। বড় বড় আলমারি ভর্তি বই, গ্রামবাংলার কিছু ঐতিহ্যবাহী নিত্য-ব্যবহার্য সামগ্রীর প্রদর্শনী, ধর্মীয় ঐতিহ্যের নিদর্শন। লিভিং রুম ঠাসা জিনিসে কেমন যেন বেমানান লাগে।

এইচএসসির পর আজাদের সাথে আমার আর তেমন যোগাযোগ ছিল না। বন্ধুদের মাধ্যমে মাঝে মাঝে তার খবর পেতাম। গত সপ্তাহে আমার সাথে যোগাযোগ করল আজাদ। ‘বহুদিন কথাবার্তা নেই, লেটস ক্যাচ আপ’ - আমি ভীষণ খুশি হই। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় আজ তার বাসায় আসি।

হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানায় আজাদ, বুকে জড়িয়ে ধরে। আমি বলি, “তোর খবরাখবর পাইরে আজাদ, তোর হাঁটাহাঁটি সাহিত্য পাড়ায়। সত্যি বলতে কি আমি এসব থেকে অনেক দূরে এখন”। ‘জানি’- আজাদ বলে। ‘করপোরেটের কেস্টুবিস্টু নাকি তুই’। ‘সেই নয়টা-পাচটা কলম-পেষা। আই পিটি ইউ ম্যান, আই পিটি ইউ। একটা বিশাল সম্ভাবনাময় জীবন দসত্ব করে নষ্ট করলি’। আমি মজা করি, ‘নয়টা-পাচটা কিবোর্ড টেপা বলা যায়, কলম-পেষার লাক্সারি আর নেইরে’।

‘নাহ।’ – বলে আজাদ। ‘কলম-পেষা একটা সিম্বলিক টার্ম। করপোরেট দাসত্বর প্রতিভূ। মালিক শ্রেণির জন্য তোদের জীবন উৎসর্গ করার সিনোনেম’। আমি বলি তোদের মালিক-শ্রমিক টার্মিনোলজি পরিবর্তনের সময় এসেছে। মালিকের পরিবর্তে সিস্টেম বলতে পারিস। স্টক মার্কেট আর ইন্সটিউশন্যাল ইনভেস্টারের কল্যাণে করপোরেটের মালিকানা এখন ডাইলুটেড – সিইও নামের ‘শ্রমিক’রা এখন মালিকের প্রতিভূ। উত্তেজিত আজাদ বলে, ‘দ্যাটস দ্যা সিম্পটম, স্টোকহোম সিন্ড্রম। অত্যাচারিত হয়েও মালিককে ডিফেন্ড করবি’। আমি বলি, “বাদ দে আজাদ। বহুদিন পর দেখা, আয় পুরানো দিনের কথা বলি”।

গর্বিত আজাদ জানায় এবার সে তার ‘শ্রোণিতে শ্রেণিচেতনা’ কাব্য গ্রন্থের জন্য কবি ফররুখ আহমেদ পুরষ্কার পেয়েছে। পুরষ্কারের উদ্যোক্তাদের নিজস্ব প্রকাশন থেকে তার বই প্রকাশ হয়েছ মাত্র। “দে আর পাওয়াফুল – তারা তাদের ইচ্ছা মত লেখক তৈরি করে”। আজাদ বলে। ঝকঝকে ছাপা মলাটের বইটা এগিয়ে দেয়। চমৎকার বিমুর্ত প্রচ্ছদ। আমি বইটা হাত দিয়ে ধরি, চোখ বন্ধ করে নতুন বইয়ের ঘ্রান নেই। ভাল লাগে।

বই খোলে প্রথম কবিতাটা পড়তে চেষ্টা করি। কবিতার নাম, ‘মুক্তা-আবলি’। প্রথম দুই লাইন পড়ে কিছুটা থমকে যাই…

“অনাঘ্রাতা কিশোরির নিটোল বক্ষযুগলের গিরিখাদে
উত্থিত শিশ্ন। আবহমান বিস্ফোরণের স্থিতাবস্থা”।

আর পড়ি না। দ্বিতীয় প্যারায় চোখ যায়, “স্বেদবিন্দু, বীর্যবিন্দু, নীল এলইডির রহস্য আলো…”

আমার অস্বস্তি হয়। হালকা মজা করার চেষ্টা করি, “আচ্ছা, মুক্তা-আবলি ইংরেজি করলে দাঁড়ায় ‘পার্ল নেকলেস’। ‘পুরাই...’। আজাদের থমথমে মুখের দিকে চেয়ে থেমে যাই। ‘পুরাই কী’? – তীক্ষ্ণ কন্ঠে জানতে চায় আজাদ। ‘না-মানে…’, ইতস্তত করি আমি, ‘কিশোরির ব্যাপার তো, কেমন যেন অশ্লীল…’। প্রায় চিৎকার করে আজাদ, ‘ওহ, গিভ মি এ ব্রেক, উইল ইউ? তোমার কাছে ওবসিনিটির সংজ্ঞা শিখতে চাই না। হোয়াট দ্যা ফাক ইউ নো এবাউট ওবসিনিটি’।

আমি বহুদিন পর বন্ধুর সাথে দেখা হওয়ার এই সুন্দর সন্ধ্যাটাকে নষ্ট করতে চাই না। আর আমি হয়ত করপোরেটের দাসই, কবিতা কিংবা অশ্লিলতা নিয়ে মাথা ঘামাতে ইচ্ছে করে না। আমি মজা করে পরিবাশ হালকা করি, “কে জানি বলেছিল, এনিথিং দ্যাট গিভস দ্যা জাজ এ হার্ড-অন ইজ ওবসিন’। বাদ দে আজাদ। পুরানো কথা বলি।

গম্ভীর মুখে আজাদ বলে, সেটাই ভাল। তোমাকে (কখন তুই থেকে তোমাকে হয়ে গেছে খেয়াল করিনি) যে কাজে ডেকেছে সেটার কথাই বলি বরং। আমি উপলব্ধি করি, এই দেখা নিছক ‘ক্যাচ-আপ’ না, কোন উদ্দেশ্য আছে। ‘স্পনসরসিপ সংক্রান্ত কিছু?’- জানতে চাই আমি। ‘না, আমাদের টাকা-পয়সা নিয়ে তেমন চিন্তা করত হয় না’ – গম্ভীর আজাদ বলে। “অন্য ব্যাপারে কথা বলতে চাই”।

‘আচ্ছা, সুতপার সাথে তোমার ভাল যোগাযোগ শুনলাম’ – আজাদ বলে।
সুতপা আমাদের সহপাঠি ছিল। জীবনের শত প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে একা যুদ্ধ করে সুতপা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। আমি সুতপাকে শ্রদ্ধা করি।

“মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়” – আমি বলি। “সুতপা একটা স্কুলে চাকরি করে। একমাত্র মেয়ে অনিন্দিতা ক্লাশ এইটে পড়ে। পিছনের সব দূর্ঘটনাকে পিছনে ফেলে নিজের পায়ে দাড়িয়েছে, মেয়েটাই এখন তার একমাত্র চিন্তা-চেতনা। আজাদ, সত্যি বলতে কি, এই মেয়েকে আমি শ্রদ্ধা করি। আমার সেই পুরানো দুর্বলতাই হোক আর শ্রদ্ধাই হোক, আমার ভীষণ ইচ্ছে হয় সুতপাকে কখনও সাহায্য করি। কিন্তু আমি কখনও তাকে বলি নাই – তার মত দৃঢ়-চেতা একজন মহিলার জন্য সেটা সুখকর হত না। সুতপা আমাদের সহপাঠি ছিল সেটা ভেবেই গর্ব হয়। তোর সাথে যোগাযোগ আছে’?

শক্ত হয় আজাদের মুখ। “দ্যাট বিচ – এ রিয়েল হোর। এ স্কৃজফেনিক। এন্ড হার ডটার, লাইক হার মাম – অলস এ বিচ”। “আরে অনিন্দিতা তো বাচ্চা মেয়ে” –আমি অবাক হই। আজাদ দাঁতে-দাঁত চেপে বলে, “দ্যাট হোর শুড গো টু হার ফাকিং মাদারলেন্ড – ইন্ডিয়া”। আমি অবাক হয়, “তাদের চৌদ্দ পুরষ তো এখানের, মাদারলেন্ড ইন্ডিয়া হবে কোন দূঃখে”।

হঠাৎ করে মনে পরে কিছুদিন আগে শুনেছি পুরানো পরিচিত কারও সাথে সুতপার ভীষণ সমস্যা হয়েছিল। আজাদই কি? অনিন্দিতা সম্বন্ধিত কিছুকি? বিমবিষা জাগে। হঠাৎ মনে হয়, করপোরেটের নষ্ট জগতে আমিও কি বিকৃত চিন্তার মানুষ হয়ে গেছি। আচ্ছা ‘মুক্তা-আবলি’তে কী অনিন্দিতাকে কোন ভাবে রিলেট করা হয়েছে। অসুস্থ লাগছে। পালাতে মন চাইছে। না, আরেকটু এগোতে হবে।

“আচ্ছা, তোর কবিতার কথা বল। আমি নিশ্চিত যে কথাগুলি বলা হইয়েছে সেটা সিম্বলিক, রূপক ব্যবহার করা হয়েছে। বলবি কিছু এটা নিয়ে,” – আমি বলি। কিছুটা শান্ত হয় আজাদ। “কবিতা সবার জন্য না। আমি এম এফ্রেড, তোর জন্য তো না-ই। কবিতার পাঠ নিতে হলে শব্ধের অর্থ খালি নিলে চলবে না। একটা কবিতার পাঠ নিতে হয় টোটালিটির মাধ্যমে। গ্র্যান্ড নেরেটিভে দেখতে হবে। বক্ষ-যুগল আসলে সিম্বলিক টার্মস ফর সাম্রাজ্যবাদ এবং ক্যাপিটেলিজম”।

আজাদ অপ্রাসঙ্গিক ভাবে নিজেকে বাঁচাতে চায় যেন, “কবিতা ভুল ব্যাখ্যা কবিতার বড় সমালোচকরাও করেছে, সাফার করতে হয়েছে বিখ্যাত সব কবিকে। আর তোর মত...। নেম ইট –নেরুদা, গ্যাটে, বোদলেয়ার, আমাদের কলিদাস। জীবনবাবুর কথা তো আর বলে লাভ নেই। দ্যান হোয়াট। তাদের রচনা আজ মাস্টার পিস। মুর্খ আম পাঠকের মনোরঞ্জনের জন্য কবিতা না। মুর্খ আম পাঠকের মনোরঞ্জনের জন্য লেখার সাথে শিল্পের একটা বিরোধ আছে। বাদ দে, অপাত্রে জ্ঞান ঢেলে লাভ নেই। আই হ্যাভ থিংস টু ডু। ধ্রুপদী সাহিত্য আম-জনতার না’।

আমি অভদ্রের মত ঘড়ি দেখি। “আমি মাস্ট টেক ইওর লিভ। আমায় আজ উঠতে হবে”। উঠে দাঁড়াই আমি। “জাস্ট কিউরিয়াস” - আমি বলি, “বক্ষ-যুগলের মধ্যে উত্থিত শিশ্ন কি বিপ্লবের রূপক, নীল এলইডি লাইটের আলোয় বীর্যবিন্দুগুলি কি বিপ্লবীরা’।

দাঁতে-দাঁত চাপে আজাদ। চোখ ছোট করে বলে হিসহিস করে, ‘ইউ বেটার লিভ। সীমানা পার হওয়া কারও জন্য ভাল না”।

বজ্রনিনাদ


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

মুগ্ধতার বিস্ময় নিয়ে পড়লাম, এক কথায় চমৎকার গল্প।
এবার খানিক অন্য কথা বলি-বানান ভুল রয়ে গেছে অসংখ্য, বোধহয় লিখবার পরে দেখার সময় চোখ এড়িয়ে গেছে।
সতেরো>সতের (শুধু ‘বারো’ বানানে ও কার হয়, বাংলায় ‘বার’ বলে আরেকটা শব্দ আছে কি না)
আজাদ, আযাদ-দু’রকম বানানই এসেছে লেখায়।
পুরষ্কার>পুরস্কার
সোনালী>সোনালি
দসত্ব>দাসত্ব
ঘ্রান>ঘ্রাণ
বই খোলে>বই খুলে
অশ্লিলতা>অশ্লীলতা
পরিবাশ>পরিবেশ
তোমাকে যে কাজে ‘ডেকেছে’>ডেকেছি
স্কৃজফেনিক>স্কিজোফ্রেনিক
আমি অবাক ‘হয়’>হই
আচ্ছা, ‘মুক্তা-আবলি’তে কী...>কি
শব্ধের>শব্দের
বিরাম চিহ্নের বিষয়গুলোও পরেরবার থেকে একটু খেয়াল করবেন হাসি যদিও ভালো লেখা বানানবিভ্রাট সত্ত্বেও লোকে পড়বে, তবু বানানের জন্য পড়তে একটু সমস্যা হয়ই। ঠিক হয়ে যাবে, আমি নিজেও বানান ভুল করি অনেক হাসি শুভকামনা।

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। কিছু টাইপো পীড়াদায়ক। এখন আর ঠিক করার উপায় নেই।
বজ্রনিনাদ

সত্যপীর এর ছবি

জটিল চলুক

গ্র্যান্ড নেরেটিভে দেখতে হবে। বক্ষ-যুগল আসলে সিম্বলিক টার্মস ফর সাম্রাজ্যবাদ এবং ক্যাপিটেলিজম”।

হো হো হো হো হো হো হাসতে হাসতে চেয়ার থিকা পইড়া যাওয়ার দশা!

..................................................................
#Banshibir.

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। বজ্রনিনাদ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

একদমে পড়লাম। আর কমেন্টেসে অনুভূতিটুকু জানাতেই লগইন করা। হাততালি

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। বজ্রনিনাদ

সো এর ছবি

দারুন!!!
চলুক চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। বজ্রনিনাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

“জাস্ট কিউরিয়াস” - আমি বলি, “বক্ষ-যুগলের মধ্যে উত্থিত শিশ্ন কি বিপ্লবের রূপক, নীল এলইডি লাইটের আলোয় বীর্যবিন্দুগুলি কি বিপ্লবীরা’।

দুর্দান্ত, এবং গল্পটি এখানেই শেষ হতে পারত পাঠকের হৃদয়ে 'শ্রোণিতে শ্রেণিচেতনা'র বুদবুদ রেখে!

আমি এম এফ্রেড / আমি মাস্ট টেক ইওর লিভ

বুঝতে পারিনি, 'আমি' কি ভুলক্রমে, নাকি কবি আজাদের স্টাইল বিশেষ?
।।।।।।।।।।।
অনিত্র

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন তাই মনে হচ্ছে। আর টাইপো গুলি পীড়াদায়ক। কিন্তু ঠিক করা সম্ভব না এখন আর। বজ্রনিনাদ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অসাধারণ!!! হো হো হো আপনার আরো স্যাটায়ার পড়তে চাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

হাসিব এর ছবি

জীবিত বা মৃত কারো সাথে এই লেখার সংযোগ উর্বর মস্তিস্কের কল্পনা বলে ধরে নেয়া হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

এক বা একাধিক ব্যাক্তি কিংবা ঘটনার সাথে পুরো সম্পর্কহীন। চোখ টিপি

কল্যাণ এর ছবি

এমনকি পিপাসাও না?

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হো হো হো

বজ্রনিনাদে লিখতে থাকুন

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। বজ্রনিনাদ

কল্যাণ এর ছবি

বজ্রনিনাদই বটে! চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। বজ্রনিনাদ

স্পর্শ এর ছবি

অনবদ্য! অনবদ্য!! গুরু গুরু

অনেকদিন পর একটা ফাটাফাটি লেখা...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। বজ্রনিনাদ

নজমুল আলবাব এর ছবি

ইতা কিতা ওইলো!!! অ্যাঁ

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখলাম আরি। দুই বগডুলোর গল্প।

নজমুল আলবাব এর ছবি

বগডুলতো এখটা। আফনে কিতা কবিসাবরেও বগডুল কইলানি? ইটাতো দন্ডনীয় অপরাধ!

রানা মেহের এর ছবি

জীবিত বা মৃত কারো সাথে এই লেখার সংযোগ উর্বর মস্তিস্কের কল্পনা বলে ধরে নেয়া হবে।

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

একদম। কোন সংযোগ নেই। মন খারাপ

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

হেহেহেহেহে। করছেন কী! অ্যাঁ

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

এক লহমা এর ছবি

হো হো হো মিজান, পিষে ফ্যালো

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

মাহবুব লীলেন এর ছবি

দুর্ধর্ষ লেখা; এক্কেবারে ফাটাফাটি

০২
'আবলি' মানে যে নেকলেস প্রথম জানলাম। 'আবালি' নামে আরেকটা কথ্য শব্দ শুনেছি যার অর্থ শিশু/কিশোরী কন্যা

০৩
কবি কি 'আবালি' লিখতে গিয়ে বানান ভুল করে 'আবলি' লিখেছেন? আর সেই কারণেই পাঠকের ভুল কোটেশনে কবির এতটা ক্ষেপে উঠা?

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ। আবলি গলার মালার কাছাকাছি শব্দ। বজ্রনিনাদ

স্যাম এর ছবি

চলুক হাততালি

অতিথি লেখক এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক

- উদ্দেশ্যহীন

তাহসিন রেজা এর ছবি

চরম লেখা হইছে হো হো হো

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।