মৃত্তিকা পুজিবাদের স্মৃতি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৮/২০১৫ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নানা ধরণের উপলক্ষকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় মাটির কারুকাজের উপহার সামগ্রী কিনেছি। কখনো বন্ধুর জন্মদিন,কখনো শোকেস সাজানো। কম বাজেটে এতো সুন্দর গিফট আর দ্বিতীয়টি আর হয় না। ছাত্রজীবনে বন্ধু-বান্ধবীদের কাছ থেকেও অনেক মাটির জিনিস উপহার পেয়েছিলাম। তবে সেই ছেলেবেলার মেলায় গিয়ে মাটির ব্যাংক কেনা থেকে শুরু করে বড়বেলায় আড়ং থেকে শোকেস সামগ্রী কেনা পর্যন্ত কখনো সেই শিল্পীদের সেই মাটির মানুষগুলোকে ,তাদের জীবন ধারণকে সামনা সামনি দেখার সুযোগ আমার হয়নি। বিলুপ্ত প্রায় এই মৃৎশিল্পী গোষ্ঠীর সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগটি পেয়েছিলাম বছর তিনেক আগে। সে অভিজ্ঞতা আর স্মৃতিই হল "মৃত্তিকা পুজিবাদের স্মৃতি' লিখার মূল রসদ।

বিশ নম্বরের জন্য একটি ডকুমেন্টরি বানানো আদেশ জারি করেছিলেন কোর্স শিক্ষক । চারটি দলে ভাগ হয়ে চারটি বিষয়ের উপর করার নির্দেশকে প্রথম দিকে উপদ্রব মনে হয়েছিল সবার। কারণ হিসেব কষে দেখা গেছে বিশ নম্বরের জন্য খরচ পড়বে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। হলের ডাল ভাতের যোগান দিতে যেখানে দিনপার সেখানে এটি ছিল গাট খসানো ব্যাপার। অদ্ভুত শিক্ষা ব্যবস্থা------যাক সে সব কথা শেষ পর্যন্ত কাজ জমা হয়েছে।

চার দল চারটি বিষয়। আমাদের ছিল মৃৎশিল্পের আধুনিকায়ন ও প্রান্তিকতা। আর " চাইলে দিয়ে দিব কলিজার হাফ" এর সুরে দলের বেশিরভাগ কাজের চাপ আমার উপর দিয়ে শেষ হয়েছিল। প্রথম দিকে তা কষ্টের মনে হলেও পরে প্রাপ্তির পরিমান তা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কাজের চাপের মূল কারণ ছিল আমার ল্যাপটপ আর হোম ভিডিও। যা আমার কাছের আত্মীয়ের কাছ থেকে পাওয়া। যা ব্যবহারের দায়িত্ব আমি ব্যতীত অন্য কেউ নিতে নারাজ ছিল। অন্য দল যেখানে টিভি ক্যামেরাম্যান ভাড়া করে কাজ করেছে সেখানে এই দুয়ের কারণে আমাদের দলের খরচও অনান্য দলের চেয়ে কম পড়েছিল। সেই সাথে অনেক মহাজন শ্রেণী (মাটির জিনিসের ব্যবসায়ী)তাদের ঘটের খবর নিচ্ছি দেখে দৌড়ানিও দিয়েছিল। কেউ কেউ আবার সাংবাদিক ভেবে অতি উৎসাহী হয়ে বার বার ক্যামেরার সামনে আসতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল। এই কাজ করতে গিয়ে নিজেকে কিছুদিন সাংঘাতিক রকমের সাংবাদিক মনেও হয়েছিল।

মাঠ পর্যায়ের চিত্র ধারণের জন্য বেছে নিয়েছিলাম বাঁশখালীর সাধণপুর গ্রামের বিলুপ্ত প্রায় মৃৎশিল্পী গোষ্ঠীদের। নির্ধারিত দিনে সি এন জি যোগে যখন আমরা গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়। তখন কুমার পাড়ার উঠানে নানা পদের মাটির জিনিস শুকানোর জন্য সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে। দেখতে এতো সুন্দর লাগছিল 'কাঁচা মাটি এতো সুন্দর কিভাবে হয়" তাই ভাবছিলাম।

ভিতরে যেতেই দেখি ঘরের মেয়েরা কাঠের এক ধরণের পাটাতনের উপর কাঁদার অর্ধনির্মিত কলসি রেখে কাঠের হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে কলসির পরিপূর্ণ আকার দিচ্ছে। আর ঘরের কর্তা গরুর গাড়ির চাকা বিশিষ্ট চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সম্পূর্ণ হাতের সাহায্যে মাটির ব্যাংক,প্রদীপ দানি বানিয়ে বানিয়ে রাখছে। জীবনে প্রথম আমি মুগ্ধ নয়নে দেখেছিলাম কুমারেরে হাতের ছোঁয়ায় এক মুঠো কাঁদা কিভাবে ছোট্ট সুন্দর প্রদীপদানির রুপ ধারণ করে। সুন্দর বলাতে দাদার কথায় ঘরের কিশোরী মেয়েটি আমার হাতে আগের বানানো একটি প্রদীপদানি দিয়ে যায়। আমি সেটি কিনতে চাইলে ,দাদু হাতের ইশারায় লাগবে না জানায়। ঘরের এক কোণে বসানো ছিল কলসি সদৃশ্য বড় আকৃতির মাটির তৈরী " গজা" (নিচের ছবি ) । নামটি আগে জানতাম না। এক সময় ধানের গোলা ন্যায় এটির ব্যবহার ছিল বলে মাসি জানায়। আলোর অভাবে ছবিটি তেমন ভাল আসেনি।

বন্ধুর পরিচিত থাকায় তারা তাদের সকল ধরণের কাজ আমাদের সামনে উপস্থাপন করে। কাজ দেখার ফাঁকে ফাঁকে কথা বলেছিলাম তাদের জীবনের নানা দিক নিয়ে। কেন তারা এই পেশা এখনো ধরে রেখেছে,কেনইবা ছেড়ে দিচ্ছে, আয় -ব্যয় ইত্যাদি। মাটির পুরো চক্র তথা চাকা থেকে পোড়ানো পর্যন্ত যত দেখছিলাম আমার কাছে সব কিছু অপূর্ব মনে হচ্ছিল । এতো ধৈর্য্য ধরে ,নিবিড় যত্নের মাধ্যমে বানানো তাদের এসব শিল্প ক্রেতাদের ঘর,বড় বড় অফিসের শোভা বৃদ্ধি করে ।আর পরিশ্রমের মূল্য বাবদ তারা যা পায় । তা দিয়ে সংসার টানা যায় না । তাই কুমারের বংশধরের কেউ এখন দর্জি,কেউবা সিএন জি চালক। এর জন্য দায়ী মধ্যসত্ত্বভোগীর পুজিবাদী মানসিকতার কারণে। তারা কষ্টের কথা বলে চড়া দামে বিক্রি করবে কিন্তু কষ্ট বুঝে মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে নারাজ। কথা বলে জানা যায় বিভিন্ন সামগ্রী যে দামে তারা (কুমার) বিক্রি করে ( যেমনঃ বড় মাপের একটি পাতিল( অর্থাৎ এক কেজির উর্ধে ) তাদের বিক্রি করতে হয় ১৫ টাকায়।) আর তা মহাজন শ্রেনী বাজারে বিক্রি করে ১০০ টাকা প্লাস দরে। পরের দিন সরেজমিনে মাটির জিনিসের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে , গুদাম পরিদর্শণ করে এবং ক্রেতা সেজে তার প্রমাণও পেয়েছিলাম। নিচে ছবিতে তিন ধরণের পাতিল রয়েছে যা তারা তৈরী করেন। তৈরী করেন বিভিন্ন পশুপ্রাণীও। কষ্টের বিপরীতে দাম পাননা বলে কারূকাজের কাজ কম নেন বলে জানান। সারা বছরের তুলনায় পুজার মৌসুমে ব্যবসা ভাল থাকে বলেও জানায়। তাই অনেকে এখন মৌসুমী কুমার। বছরের অনান্য সময় কামলা,বর্গাচাষ ইত্যাদি করে পার করেন।

কথা চলছে,চলছে ধূপদানি বানানো। ছোটবেলায় বাড়িতে আমার দাদী মশা তাড়ানোর জন্য এই ধূপদানি ব্যবহার করতো মনে পড়ে। জানতে পারলাম ছোট সাইজের একশ ধূপদানির দাম পায় ৫০০ টাকা। মাটির কুপি এক হাজার অর্ডারে আসে মাত্র ৪০০টাকা। যেখানে একবার আগুন দিতে খরচ পড়ে ৮০০টাকা। এক কুয়া এটেল মাটির দাম পড়ে ১০০০টাকা। সপ্তাহে আয় হয় ৩০০০টাকা থেকে ৩৫০০টাকা। খরচ বাদ দিলে যা থাকে তা দিয়ে চলতি সপ্তাহ , আগামি সপ্তাহে বেশি পাবে স্বপ্ন দেখে পার করে দেয়। প্রশ্ন করেছিলাম কেন তারা কম দামে বিক্রি করছে,উত্তরে আসে বাধ্য হয়ে। একজন না দিলে অন্যজন দিবে। শিক্ষা,অর্থ সহ নানা কারণে বিকল্প কাজের অভাব। একেবারে কিছু না করে বসা থাকাও সম্ভব না। তাই তারা বাধ্য। বলতে বলতে দাদু চলে গেলেন পোঁড়ার ঘরে। পিছু পিছু আমিও গেলাম । ছবি তুলে নিলাম।


খুব যত্নের সাথে পোঁড়ানো সামগ্রী বাঁশের তৈরী খাঁচায় একটি একটি করে রাখা হয়। ভ্যান গাড়ি চলে এসেছে। এক এক করে খাঁচা তোলা হচ্ছে হাটে মহাজনের গুদামের উদ্দেশ্যে।

দিন শেষে আমার প্রাপ্তি ছিল অনেক। মৃৎশিল্পকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা,তাদের জীবনের খুটিনাটি,কাজের খুটিনাটি, সাংবাদিকতার অনুভূতি----------ভাল নম্বর। কিন্তু তাদের প্রাপ্তির পাল্লায় আমরা কিছু দিতে পারিনি। মানুষের মাটির শরীর । আর তারা সেই সাথে মাটির শিল্পী। তাই ভালোবেসে এখনো আঁকড়ে আছে বাবা-দাদার ঐতিহ্য।
এ্যানি মাসুদ

ছবি: 
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন
24/08/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

তাহসিন রেজা এর ছবি

শৈশবে আমার বন্ধু ছিল পালপাড়ার কিছু ছেলে। ওদের বাড়িতে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখতাম মাটির জিনিস বানানো। পুরনো অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------
“We sit in the mud, my friend, and reach for the stars.”

অলীক জানালা _________

অতিথি লেখক এর ছবি

জীবন স্মৃতিময়।
এ্যানি মাসুদ

অতিথি লেখক এর ছবি

তারা কষ্টের কথা বলে চড়া দামে বিক্রি করবে কিন্তু কষ্ট বুঝে মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে নারাজ।

মধ্যসত্ত্বভোগী উচ্ছেদে কম যুদ্ধ হয়নি, তবু এরা রয়ে গেছে পৃথিবীটা ধ্বংস করে দিতে!

খরচ বাদ দিলে যা থাকে তা দিয়ে চলতি সপ্তাহ , আগামি সপ্তাহে বেশি পাবে স্বপ্ন দেখে পার করে দেয়।

কিন্তু আগামী সপ্তাহ আসে আরও কম দাম নিয়ে, নিশ্চিত নিশ্চিহ্নের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে!

হারিয়ে যেতে বসা প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে লেখার জন্য কৃতজ্ঞতা!

।।।।।।।।
অনিত্র

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই নিয়ে আরও লিখুন পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

[ এবার ঈদের দিন ছিল রথের মেলা, ঘুরতে ঘুরতে সামনে পড়ে গেল। মাটির গাড়ির মতন একরকম ঢোল পাওয়া যায় না? চাকা ঘোরার সাথে সাথে ঠাস ঠাস করে দুটো ঢাকের কাঠি পড়তে থাকে, ওগুলো। দাম জিজ্ঞাসা করলাম বলে ১০ টাকা। দাম শুনে নিজেই অবাক হলাম, পরে কি মনে করে কিনেই ফেললাম। বাসায় পিচ্চিপাচ্চি কেউ নেই, তবুও। ক'দিন পর হয়তো এটুকুও পাওয়া যাবে না... ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

মাটির বনাম প্লাষ্টিক,মাটি বনাম সিলভার।এভাবে হারিয়ে যাবে।
এ্যানি মাসুদ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমরা বলতাম ‘ট্যাং ট্যাং গাড়ি’। কতদিন কেনা হয় না...

দেবদ্যুতি

অতিথি লেখক এর ছবি

শুভকামনা। ভালো লেখা, ভালো কাজ...

দেবদ্যুতি

আরিফিনসন্ধি এর ছবি

আপনার লেখা আর ছবি এক কথায় বলা যায় চমৎকার হাসি । লেখার নিচে আপনার নাম দিতে হয়তো ভুলে গেছেন। যে দেশে থাকি সেখানে এই ধরনের জিনিসের অনেক কদর।। কিন্তু ব্যবসা কিংবা আমাদানি করার হ্যাপা সম্পর্কে কোন ধারণা নেই আমার। আমাদের এনজিওগুলো এই জিনিসগুলো যদি একবার নিজেদের দায়িত্ব নিয়ে বিদেশে পাঠাতো... মন খারাপ
শুধু বলতে ইচ্ছা হয় আহা রে মন খারাপ

........................................................
গোল্ড ফিসের মেমোরি থেকে মুক্তি পেতে চাই
শুধু আমি না, আমার সাথে পুরো জাতি

অতিথি লেখক এর ছবি

নাম লিখেছি তো ।আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে ।নাথিং গিভ অপারেশন (এন,জি,ও ).এন জি ও এর অপর নাম।
এ্যানি মাসুদ
এ্যানি মাসুদ

আরিফিনসন্ধি এর ছবি

হমম নামটা প্রথমবার চোখে পড়েনি, লেখার সাথে ছিল হাসি
নাথিং গিভ অপারেশন (এন,জি,ও ), ভালো বলেছেন

........................................................
গোল্ড ফিসের মেমোরি থেকে মুক্তি পেতে চাই
শুধু আমি না, আমার সাথে পুরো জাতি

আয়নামতি এর ছবি

কিছু মন্তব্য করতে দেখেছি আপনাকে, লিখতে দেখে ভালো লাগলো।
শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম ভারী ভারী কথা থাকবে হয়ত।
আপনাদের তৈরি ভিডিও দেখতে পারলে বেশ হতো।

'মৃত্তিকা মায়া' নামের একটা চমৎকার সিনেমা দেখেছি , বাংলাদেশে এই শিল্প দিন দিন মরে যাচ্ছে।
যতদিন মাটির মায়ায় জড়িয়ে থাকবেন এর কারিগরেরা ততোদিনই হয়ত টিকে থাকবে ধুঁকে ধুঁকে হলে।
তবে পেটের টান বড় টান, সেটা এই শিল্পের টিকে থাকার জন্য বড় একটা হুমকী।
ইয়ে, বড়দের আমরা অনেকেই তুমি করে সম্বোধন করি। আমি নিজেও করি। কিন্তু লেখায় 'আকার দিচ্ছে/রাখছে/জানায় পড়তে ভালো লাগেনি। আশা করবো কথাটাকে ক্ষমাসুন্দর ভাবে দেখবেন। নিয়মিত বিরতিতে লিখুন এ্যানি। শুভকামনা।

এক লহমা এর ছবি

লেখা ও ছবি - দুই-ই ভালো লেগেছে।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিডিওটা স্যারের হেফাজতে আছে। সেটা হয়তো পরবর্তী ব্যাচের জন্য নমুনা হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। 
এ্যানি মাসুদ

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতি ভাই/আপু। লিখছি ,শিখছি তাই "ক্ষমা" শব্দ বাদ দিয়ে শুধু সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবো।
এ্যানি মাসুদ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।