সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০১৫ঃ একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা

হাসিব এর ছবি
লিখেছেন হাসিব (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৭/২০১৫ - ৫:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাইবার নিরাপত্তা আইন ২০১৫ সালের খসড়া [১] প্রস্তুত করা হয়েছে। আইনটি আগামী অগাস্টে মন্ত্রীসভায় পাশ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আইনটি নিয়ে জেলায় জেলায় সভা সেমিনার হচ্ছে। সরকার পক্ষ থেকে আইনটি সম্পর্কে মতামত সংগ্রহের জন‍্য ইন্টারনেটে আপলোড করা হয়েছে। তাছাড়া এই আইন পর্যালোচনার জন‍্য সরকারের একজন সচিব ও বিজয় কিবোর্ডের মালিক মোস্তফা জব্বারকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে।

ধরে নেয়া যায় খসড়া আইনে যা পরিবর্তন হবে সেগুলো বিজয় কিবোর্ডের মালিক মোস্তফা জব্বার ও সচিবের হাত ধরেই হবে এবং ভাইস ভার্সা।

আইনটি ডাউনলোড করে পড়লাম। তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই লেখাটি তুলে রাখলাম।

১. প্রয়োগ
আইনের শুরুতেই বলা হয়েছে এটি সমগ্র বাংলাদেশের জন‍্য প্রযোজ‍্য হবে। আইনের প্রয়োগক্ষেত্র আরেকটু বিস্তারিতভাবে ধারা-৪এ ব‍্যাখ‍্যা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, .. “বাংলাদেশের বাইরে ও বাংলাদেশের মধ‍্যে এই আইনের বিধানসমূহ প্রযোজ‍্য হবে”। বাংলাদেশের বাইরে কোন বিদেশী নাগরিক বাংলাদেশের আইনে অপরাধ এরকম কোন অপরাধ করলে সেটার অভিযোগ কীভাবে বাস্তবসম্মতভাবে নিষ্পত্তি করা হবে সেটা বিষয়ে কোন ধারণা দেয়া হয়নি। প্রস্তাবিত আইনের ধারা ৩১পড়ে এরকম ধারণা পাওয়া যায় “[সাইবার] অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে অনুসন্ধান, প্রসিকিউশন এবং বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার জন‍্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রশ্নে অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা আইন ২০১২র [২] সম বিধানাবলি প্রযোজ‍্য হবে।” পারস্পরিক সহায়তা আইন কতোটা কার্যকরী সেটা বঙ্গবন্ধু হত‍্যা মামলার আসামী, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে আনার সফলতা কতোটুকু সেটার দিকে নজর বোলালে বোঝা যায়।

২. কম্পিউটার
আইনটিতে কম্পিউটার শব্দটি অসংখ‍্যবার এসেছে। ফোন, ট‍্যাব ব‍্যবহার করেও সাইবার অপরাধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে আইনের সংজ্ঞা অংশটিতে বলা হয়েছে “কম্পিউটার” অর্থ তথ‍্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬তে [৪] যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে ঠিক সেভাবে এই আইনেও সেটা ব‍্যবহৃত হবে। অতএব, এই আইনের আওতায় কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট‍্যাব সবকিছুই আসছে।

৩. প্রয়োগ কাঠামো
সাইবার নিরাপত্তা আইনে তিন স্তর বিশিষ্ট প্রায়োগিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রথম স্তরে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিল। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও সচিব ছাড়াও দুইজন বিশেষজ্ঞ ও সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক থাকবেন।

দ্বিতীয় স্তরের নেতৃত্বে থাকবেন সাইবার নিরাপত্তা কাউন্সিলের মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি বিভাগ। এই বিভাগ তথ‍্য ও যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের অধীনে কন্ট্রোলার অফ সার্টিফায়িং অথরিটিকে প্রতিস্থাপন করবে।

তৃতীয় স্তরে মহাপরিচালকের মনোনীত কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পুলিশ বিভাগের মাধ‍্যমে গ্রেফতার, তল্লাশী ইত‍্যাদি পরিচালনা করবেন।

সাইবার আইনের আওতায় অভিযুক্ত ব‍্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিচার করবে সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনাল।

৪. উল্লেখযোগ‍্য অপরাধ ও শাস্তির মাত্রা
প্রস্তাবিত আইনে এর পরেই বিভিন্ন অপরাধ ও তার জন‍্য নির্ধারিত শাস্তির কথা এসেছে। পাঠকের সুবিধার্থে টেবিল ১এ এর একটি সংক্ষেপিত তালিকা দেয়া হলো। তালিকায় আমরা দেখছি সাইবার অপরাধ বলতে হ‍্যাকিং থেকে শুরু করে পর্নোগ্রাফি পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধ আমলে নেয়া হয়েছে।

টেবিলটা একটু ভাল করে লক্ষ‍্য করলে দেখা যাবে বিভিন্ন অপরাধে কারাদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে ১ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত। অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে ৩ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত। বাংলাদেশের আইনে ২০ বছর শাস্তির বিধান আর কোন কোন অপরাধে রয়েছে এবং সেগুলো কী সেটা একটা গবেষণার বিষয় হতে পারে। ২০ বছর যে অপরাধে শাস্তি সেটা কোন সত্তা (entity) সাইবার অপরাধ করলে তার প্রধানের ক্ষেত্রে প্রযোজ‍্য হবে। ২০ বছর কারাদন্ডের সাথে ক্ষয়ক্ষতির দ্বিগুন বা ৩০ লক্ষ যেটা বেশি সেই পরিমান অর্থদন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। উপরন্তু, সত্তা (যেমন কোন প্রতিষ্ঠান) প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্ষয়ক্ষতির দ্বিগুন বা ১ কোটি টাকার মধ‍্যে যেটা বেশি সেই পরিমান অর্থদন্ডের সম্মুখিন হবে। তুলনামূলকভাবে, শিশুপর্নোগ্রাফির শাস্তি কম। শিশু পর্নোগ্রাফির দায়ে একজন ব‍্যক্তির সর্বোচ্চ ১০বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে। শাস্তিবিবেচনায় শিশুপর্নোগ্রাফির সমপর্যায়ের অপরাধ হলো বিনা অনুমতিতে কারো গোপনীয় ছবি তোলা।

বিসাদৃশ‍্যপূর্ণ শাস্তির আরেকটি উদাহরণ হলো কেউ পর্নোগ্রাফি দেখলে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধান। এই ৭ বছরের সাথে ৫ লক্ষ টাকার অর্থদণ্ডও জুটতে পারে! প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে (ধারা ১৫-১-ঙ) "কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ‍্যমে পর্নোগ্রাফী বা অশ্লীল উপাদানে প্রবেশ করিলে "তিনি অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে, বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন (ধারা ১৫-৩)। আবার ধরা যাক, আমার ওয়েবসাইটে থার্ড পার্টির কোন বিজ্ঞাপণ এরকম হতে পারে যেটা নির্ভর করে ভিজিটর কী কী সাইট ভিজিট করেন তার ওপর। এখন যদি ভিজিটরের কুকি থেকে তথ‍্য নিয়ে সেই বিজ্ঞাপণদাতা পর্ণোগ্রাফিক বিজ্ঞাপণ দেখায় তাহলে সেই “অপরাধে” আমার জেলে যাবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

উপরের সবগুলো ধারায় গ্রেফতার হওয়া ব‍্যক্তিরা জামিনযোগ‍্য হবে না (ধারা ২৮)। সার্বিক বিবেচনায় অপরাধ ও সেই অপরাধের তুলনামূলক শাস্তি পর্যালোচনা করে এটি কোনপ্রকার সুচিন্তিত প্রয়াসের ফল এটা বলা যাবে না।

৫. তদন্ত, তল্লাসী, আটক ও বিচার
সাইবার নিরাপত্তা আইনের আওতায় তদন্ত কাজ দুই মাসে শেষ করার বিধান রাখা হয়েছে (ধারা ১৭-৫)। এবং অভিযোগ গঠনের দিন থেকে ৬ মাসের ভেতর (ধারা ২৭-১) বিচারকাজ শেষ করার কথা উল্লেখ আছে। দরকার হলে বিচারকার্যের এই সময়সীমা আরো বাড়ানো যাবে।

এই আইনের আওতায় কোন প্রকার প্রয়োজন হলে পরোয়ানা ছাড়া তল্লাসী (ধারা ২০) ও গ্রেফতার করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে আইন প্রয়োগকারি সংস্থাকে। এই তল্লাসীর সময়ে প্রয়োজন মনে করলে কম্পিউটার ও সংশ্লিষ্ট দ্রবাদি আটক করার ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে। এখানে কোন পুলিশ কর্মকর্তা “তথ‍্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা” রাখেন এই মর্মে আইজি বা নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে লিখিত সনদ পেয়ে থাকলেই কেবল তিনি কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবেন।

আইনের এই ধারাটিতে একটি আগ্রহউদ্দীপক ধারা রয়েছে তথ‍্য সংরক্ষণ প্রসঙ্গে। যেটুকু বোঝা যায়, কোন চলমান তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা বা পুলিশ কর্মকর্তা কোন কম্পিউটারের ড‍্যাটা এক সপ্তাহ সংরক্ষণের নির্দেশ দিতে পারেন। এই নির্দেশ লিখিত হতে হবে। এর অতিরিক্ত সময়ের দরকার পড়লে ট্রাইবুনালের আদেশের মাধ‍্যমে সর্বোচ্চ ৯০দিন এটা বর্ধিত করা যাবে। যেহেতু বাংলাদেশের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো তথ‍্য সংরক্ষণ বাধ‍্যতামূলক (যেমন, জার্মানিতে ৬মাসের ইন্টারনেট ড‍্যাটা আইনের মাধ‍্যমে সংরক্ষনের আইন আছে) করেনি সেহেতু “লিখিত চিঠি” পৌঁছানোর আগেই ড‍্যাটা ধ্বংস করে ফেলা খুবই সম্ভব। এখানে আরেকটি জটিলতা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো জনপ্রিয় সাইটই বাংলাদেশের বাইরে হোস্ট করা। এদের ক্ষেত্রে কী করা?

জটিলতাটা আরো ভাল করে বুঝতে একটা উদাহরণ দেয়া যাক। ধরি একজন প্রবাসী একটা বাংলা কমিউনিটি ব্লগ লিখেছেন বিশ্বব‍্যাংক কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস করছে সেই বিষয়ে। সেই ব্লগটি চালায় কারা এই বিষয়ে কোন তথ‍্য পাবলিক ডোমেইনে নেই। ব্লগটির হুইজও লুকিয়ে রাখা। এখন একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভাবলেন লেখাটি একটি “আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট” (ধারা ১৩চ যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছর জেল) হবার সম্ভাবনা তৈরি করছে এবং সেজন‍্য তিনি আইনী পদক্ষেপ নেবেন।

প্রস্তাবিত আইন অনুসারে “বাংলাদেশের বাহিরে এই আইনের অধীনের অধীন কোন অপরাধ করেন যাহা বাংলাদেশে করিলে এই আইনের অধীন দন্ডযোগ‍্য হইত, তাহা হইলে এই আইন এইরূপে প্রযোজ‍্য হইবে যেন অপরাধটি বাংলাদেশেই করিয়াছেন” (ধারা ৪-২)। এই আইন অনুসারে উপরে উল্লেখ করা প্রবাসী ব্লগারকে প্রসিকিউট করা যায়। ধরা যাক প্রবাসী ব্লগার ঝামেলার আঁচ পেয়ে পোস্ট ডিলিট করে ফেলেছেন। তাহলে তদন্তকারী কর্মকর্তা আইন অনুযায়ী ৭ দিনের মধ‍্যে ব্লগ কর্তৃপক্ষকে “লিখিত”ভাবে জানাবে ব‍্যাকআপ থেকে সেই পোস্ট যেন ডিলিট না করা হয়। বলাবাহুল‍্য এই চিঠি ৭ দিনে পৌঁছাবার সম্ভাবনা নেই। চিঠি পাঠানোর আগে কর্মকর্তাকে জানতে হবে সেই চিঠি কোন ঠিকানায় যাবে। সেটাও জানা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। তাদের পেলেও সাইট যেহেতু বিদেশে হোস্ট করা ও সেখান থেকেই পরিচালিত হয় সেহেতু বাংলাদেশের কারো আদেশ অনুরোধ মানতে তাদের বাধ‍্য করা সম্ভব নয়। যেমনটা আমরাও চাইনা অন‍্য কোন দেশ আমাদের দেশের কাউকে তাদের দেশের আইন দেখিয়ে প্রসিকিউট করতে চাইলে। অর্থাৎ, আইন করলেই হয় না। আইনটি বাস্তব ও সেটার প্রয়োগযোগ‍্যতা থাকতে হয়। সাইবার দুনিয়ায় বর্ডার কীভাবে নির্ধারণ হবে ও সেটা কতোটুকু নিয়ন্ত্রন করা যাবে সেটা সম্পর্কে ভাল ধারণা না নিয়ে আইন লিখতে বসলে বিপত্তির সম্ভাবনা প্রবল।

প্রস্তাবিত আইনের আরও একটি দুর্বলতা হলো এই আইনে বিচার ও তদন্ত পর্যায়ে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শের বিষয়টি একটু জটিলতাপূর্ণ। এছাড়া বিচারকার্য‍্যে আদালত বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেবেন কিনা সেটা পরিস্কার নয়। বিশেষজ্ঞের সাহায‍্য প্রসঙ্গে যে ধারাটি রয়েছে (ধারা ১৮-২) সেখানে বলা হয়েছে বিশেষজ্ঞ ডাকার “খরচাপাতি সব ঐ কর্মকর্তা [তদন্ত কর্মকর্তা বা পুলিশ অফিসার] বহন করিবেন”। এর অর্থ কি দাঁড়ায় বিশেষজ্ঞের সাহায‍্য সরকারি খরচে হবে না? বিশেষজ্ঞ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ একটি ধারাকে। সেখানে বিশেষজ্ঞ মতামত আদালতে সাক্ষ‍্য হিসেবে গ্রহণ করার বিধান (ধারা ৭) রয়েছে। বলাবাহুল‍্য এরকম সুযোগ অনেক অনাকাঙ্খিত বিপত্তি এড়াতে পারে। কর্মকর্তার যদি খরচ নিজে বহন করতে হয় তাহলে অবশ‍্যম্ভাবীভাবে ধরে নেয়া যায় তদন্তে কোন বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ করা হবে না।

পর্নোগ্রাফি প্রসঙ্গে আরো একটি বিষয় উল্লেখ‍্য। পর্নোগ্রাফির জন‍্য নির্দিষ্ট আইনে পর্ন দেখা অপরাধ নয়। কিন্তু আলোচ‍্য সাইবার অপরাধ আইনে পর্ন দেখা সাইবার অপরাধ এবং এর জন‍্য সর্বোচ্চ ৭ বছর জরিমানা ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আইনটিতে এভাবে বিষয়টি লেখা রয়েছে, “কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম ব‍্যবহারের মাধ‍্যমে পর্নোগ্রাফী বা অশ্লীল উপাদানে প্রবেশ করিলে” (ধারা ১৫-১-ঙ) “অনধিক ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন” (ধারা ১৫-৩)। অর্থাৎ একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব‍্যক্তি কারো কম্পিউটার আটকে সেখানে ব্রাউজার হিস্টোরিতে পর্ন সাইটের লিংক দেখলে পিসির ব‍্যবহারকারিকে ৭ বছর জেলের ঘানি টানাতে পারবেন। এমনটা হতে পারে অভিযুক্ত ব‍্যক্তি ম‍্যালওয়‍্যারের শিকার হয়েছেন। তিনি যে ঠিক ম‍্যালওয়‍্যারের শিকার হয়েছেন এরকমটা প্রমান করা বেশ কঠিন কাজ হবার কথা। বিশেষজ্ঞের খরচ যদি কর্মকর্তাকে বহন করতে হয় তাহলে অভিযুক্ত ব‍্যক্তি আরোও বিপদে পড়বেন। এভাবে লঘু “পাপে” গুরু দণ্ডের সম্ভাবনা জারি থাকা বিপদজনক। এতে আইনের প্রতি আস্থা ও সম্মান নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে।

আইনটি পর্যালোচনার সাথে আরেকটি প্রশ্ন উদয় হতে বাধ‍্য। প্রশ্নটি হলো ২০০৬ সালের তথ‍্য ও প্রযুক্তি আইন থাকতে নতুন ও আলাদা একটি আইনের দরকার পড়লো কেন? এরকমটা সম্ভব ছিল আগের আইনেই সংশোধনী এনে সাইবার অপরাধের বিষয়গুলো তাতে অন্তর্ভূক্ত করা। আরেকটি প্রশ্ন হলো ২০০৬ সালে তথ‍্য প্রযুক্তি আইন ও ২০১৫ সালের সাইবার অপরাধ আইন কি যথেষ্ট? সরকার কি এই দুটি আইনের মাধ‍্যমে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বাংলাদেশে অনলাইন সার্ভিস প্রদানের রাস্তা সুগম করতে পারলো? আইন দুটি পড়ে এই প্রশ্নও তোলা যায় যে এই আইনদুটি ও তাতে বর্নিত শাস্তি বর্হিঃবিশ্বের সাথে কতোটা সংগতিপূর্ণ? দুই দেশের সীমানা যেমন খুঁটি পেতে নির্ধারণ করা সম্ভব তেমনি সাইবার দুনিয়ার সীমানা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বহিঃবিশ্বের সাথে সংগতিপূর্ণ আইনি কাঠামো তৈরি করতে না পারলে এই আইনের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ হয়ে থাকবে একটা নিশ্চিত করে বলা যায়।

সূত্র

[১] প্রস্তাবিত সাইবার অপরাধ আইন ২০১৫
[২] অপরাধ সম্পর্কিত বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা আইন ২০১২
[৩] পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২
[৪] তথ‍্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬


মন্তব্য

কল্যাণ এর ছবি

অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে ‘সাইবার সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট' এর মহাপিরচালক হিসেবে নিয়োগ দান আর জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১২ জন সদস্যের মধ্যে দুই জন বিশেষজ্ঞ (প্রধানমন্ত্রী মনোনীত) আর এক জন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা, বাকিরা হলেন প্রধানমন্ত্রী/মন্ত্রী(অর্থ, শিক্ষা, স্ব-রা, প-রা, তথ্য ও যোগাযোগ)/সচিব। এইটুকু পড়ার পর মনটা উদাস হয়ে গেল, আর আগাতে পারলাম না। দরকারও নাই আসলে।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

হাসিব এর ছবি

এটা পড়তে গিয়ে ভাবছিলাম প্রধানমন্ত্রী এরকম কয়টা কমিটির সদস‍্য ও সবগুলোতে হাজির হতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর ২৪ ঘন্টা দিন বাড়িয়ে কতো ঘন্টা হলে যথেষ্ট হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সো এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

রানা মেহের এর ছবি

১ নাম্বার লিংক খুলছেনা।

হাসিব ভাই, সরকার যেখানে মতামত চেয়েছে সেখানে কি এই কথাগুলো বলেছেন?

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হাসিব এর ছবি

এক নাম্বার লিংক খুলছেনা কারণ হলো মন্ত্রনালয়ের যে বিশেষজ্ঞ ওটা আপলোড করেছেন তিনি ওয়েবে কীভাবে ফাইল নেইম লিখতে হয় সেটা সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। এটা একটা উদাহরণ যে এই আইন পাশ হলে কে কীভাবে এই আইনের আওতায় লোকজনকে প্রসিকিউট করবে। আমি বিকল্প এটা লিংক দিচ্ছি যেখান থেকে নামাতে পারবেন ফাইলটা।

সেখানে দেইনি। কারণ ওগুলো দেখবেন বিজয় কিবোর্ডের মালিক জব্বার। অন‍্য চ‍্যানেলে একজন মন্ত্রীর কাছে এটা পৌঁছানো হয়েছে।

মন মাঝি এর ছবি

প্রস্তাবিত সাইবার অপরাধ আইন ২০১৫-র পিডিয়েফটার সরাসরি লিঙ্ক এইটা

****************************************

রানা মেহের এর ছবি

ধন্যবাদ মন মাঝি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রানা মেহের এর ছবি

হাসিব ভাই, আপনি আমাকে এত সম্মান করে আপনি আপনি করে বলছেন কেন?
আপনার মধ্যে কি জব্বার ভর করেছে? দেঁতো হাসি

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

হাসিব এর ছবি
নজমুল আলবাব এর ছবি

যেভাবেই হোক আইনটি পাশ হয়ে যাবে। হয়তো এক দুইটা ধারার ভাষায় কিছু পরিবর্তন আসবে। তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে বিদ্যমান আইনটিতেই এসব সংযোগ করা যেতো। তা না করে আলাদা একটা কিছু দাড় করানোর কোন মানে নাই। তবু এটি হয়েছে। এরকম অপ্রয়োজনীয় কাজ অহরহ আমাদের হচ্ছে।

৫৭ ধারার অপব্যবহার হয়েছে, আরো হবে। সেইমতে নতুন আইনটাও ব্যপকহারে অপব্যবহারের ঝুকি নিয়েই আসছে বলে মনে করি।

৫৭ ধারা নিয়ে বলেছিলাম, এই ধারা দিয়ে মুক্ত বুদ্ধি চর্চ্চাকারীদেরই সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় ফেলা হবে, অপপ্রয়োগ হবে। সেটা হয়েছে। এই ধারা নিয়ে একদিন আওয়ামীলীগ ব্যপক পস্তাবে। সেটা দেখার বাকি। নতুন আইন নিয়ে সেই একই মন্তব্য রেখে গেলাম।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

হাসিব এর ছবি

একটা সিনারিও বলি।

ধরা যাক, দবির সরকারি দল করেন। বিরোধী দলে গেলাম না। তাদের কী অবস্থা কী হবে সেটা অনুমেয়। আজ সরকারি দল আগামির বিরোধী দল। অতএব কেউ যদি মনে করে কেউ এই আইনের আওতার বাইরে থাকবে তাহলে ভুল করবে।

দবিরের বিপক্ষ গ্রুপ যারা একই দলে থাকলেও পদ পদবী ইত‍্যাদির কারণে দবিরের শত্রু। এখন বিপক্ষ দলের কেউ খেয়াল করলো দবিরের কম্পিউটারের ব্রাউজার বিভিন্ন ম‍্যালওয়ারে পরিপূর্ণ। বিভিন্ন আইনবিরোধী প্রাপ্তবয়স্ক সাইটের পপআপ উঠে আসে একটু পর পর। সে একজন কর্তৃপক্ষীয়কে দিয়ে দবিরের ল‍্যাপটপ জব্দ করলো। বাংলাদেশে যারা বাস করেন তারা জানেন এসব অসম্ভব না একেবারেই। তো দবিরের ল‍্যাপটপের হিস্টোরিতে পপআপের পর্ন সাইটের লিংকগুলোও আছে। এই জিনিস দিয়েই দবিরকে ৭ বছরের জেলের ঘানি টানানো সম্ভব। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দুরে সরাতে এই আইনের থেকে ভালো আইন পাওয়া দুস্কর হবে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

দবিরের নামটা এনে গাজী সাহেবকে মনে করিয়ে দিলেন।

সেটাই বলছি। দল হিসাবে আওয়ামীলীগে এখন আগাছার ছড়াছড়ি। বিএনপি-জাতীয় পার্টি থেকে শুরু করে জামায়াত থেকে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য অনুপ্রবেশ ঘটেছে দলটিতে। দলের ভেতরে থাকা দুর্বৃত্তদের সাথে নতুন আসারা যোগ হবার পরে সিনারিওটা কেমন হতে পারে সেটা ভাবুন। তারপর এইসব নানা ধারা উপধারার আইন। অরাজকতা তৈরির জন্য আর কিছুর দরকার নেই।

অনলাইনে আওয়ামীলীগের গ্রুপ বলে পরিচিত সিপি গ্যাং এর সাম্প্রতিক ঘটনাটা স্মরণীয়।

হাসিব এর ছবি

৫৭ ধারার বিষয়টা খেয়াল করে দেখেন। এইটা আসলে শুধু হেফাজতই না, তাদের সাথে সরকারও আসলে ধার্মিক সেইটা বুঝ দেবার একটা টুল হিসেবে ব‍্যবহৃত হচ্ছে। সাইবার অপরাধ আইন কোন টুল হিসেবে ব‍্যবহৃত হবে কে জানে!

নজমুল আলবাব এর ছবি

এসব আইনের প্রকৃত ব্যবহার(!?) এখন হবে বলে মনে হয়না। এর প্রকৃত ব্যবহার দেখা যাবে বুমেরাং কালে।

হাসিব এর ছবি

এই আইন যারা করছে তারা মনে হয় এরকমটা ভাবছে যে চিরকাল তারা ক্ষমতায় থাকবে। তারা বিরোধী দলে গেলে তাদের ওপরই এই আইনের স্টিমরোলার চালানো হয়।

নজমুল আলবাব এর ছবি

৫৭ ধারার চমৎকারসব উদাহারণের সাথে এটাও টুকে রাখুন।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক [ মন খারাপ ]

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

আলতাইর এর ছবি

পুরানা প্রবাদ মনে পড়ে যাচ্ছেঃ ছাগল দিয়া হালচাষ হয় না ইয়ে, মানে...

nipu এর ছবি

দেখে মনে হচ্ছে, আইনটার মুল কাজ হল কতিৃপক্ষের কতিৃত্ত বাড়ানো এবং তাদের প্রয়োজনে যে কাউকে ফাশানোর একটা নতুন পথ খোলা।
আগে শুধু ৪৮(?) ধারায় যে কাউকে গ্রপ্তার করা যেত, এখন নতুন একটা যোগ হল- সাইবার আইনে যে কাউকে গ্রপ্তার করা যাবে।

পর্নোগ্রাফী নির্মাতা, প্রাচরককে আলাদা ধারায় নিয়ে ভোক্তার চেয়ে বেশী শাশ্তি দেয়া উতিচ নয় কি?
আর কম্পিউটার এবং ব্যাক্তির মধ্যে যোগ করা হবে কিভাবে? তর্কের খাতির বলছি, আমার কম্পিউটার দিয়ে অন্য একজন অশ্লিল উপদানে প্রবেশ করলে সেটা কিভাবে যাচাই করা হবে?

হাসিব এর ছবি

৪৮ ধারা বলতে কোন আইনের কথা বলছেন?

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

এর সাথে আবার কাগুর কই বোর্ড ছাড়া অন্য কী-বোর্ড ব্যভার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে আইন জারি হবে কিনা চিন্তায় আছি! চিন্তিত

____________________________

হাসিব এর ছবি

আইনটা বিজয় সফটওয়‍্যার অর্থাৎ ইউনিকোড নয় এরকম জিনিসে লেখা। জিনিস দেখেই কার আছর আইনের ওপর ঝুলছে সেটা বুঝে নিয়েছি।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

পর্ণগ্রাফি দেখার অভিযোগে বাংলাদেশের বেশিরভাগ কিশোর-যুবকের সাজা দেয়া সম্ভব! বাংলাদেশে এতো কারাগারও নেই! আইন প্রয়োগ করতে গেলে খবরাছে!

প্রসঙ্গত, বিদেশেও এই আইন ভাঙলে সেটা দেশে আইন ভাঙা হয়েছে বলে বিবেচিত হবে বলে দেখলাম। সেক্ষেত্রে আইন ভঙ্গকারি বিদেশি নাগরিক হলেও আইন প্রযোজ্য হবে? সেরকম হলে সারা পৃথিবীর লোকজন এই আইনের আওতায় চলে আসল! পর্ণোগ্রাফি দেখার অভিযোগে অন্তত ৪ বিলিয়ন লোকেরে ৭ বছরের কারাদন্ড দেয়া এখন খালি সুমায়ের বেপার!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

nipu এর ছবি

"বাংলাদেশে এতো কারাগারও নেই", তাই বলে এর প্রয়োগ হবে না তা নয়। প্রয়োগটা হবে সিলেক্টিভ। কর্তার ইচ্ছেয়। ব্যাপার হল কতৃপক্ষের একটা অপশন খোলা রইল। আপনি কাল মন্ত্রীকে সেলুট করতে ভুলে গেলেন, ব্যাস, পর্নোগ্রাফির দায়ে আপনার ৭ বছরের কারাদন্ড হয়ে গেল! দেখানো হবে আপনার নেটওয়ার্ক থেকে অমুক সাইটে পিং হয়েছে। আপনার পাশের বাসায় হয়তো বাচ্চা মেয়েদের ধরে এনে পর্নগ্রাফি ফ্লিম বানানো হচ্ছে, কিন্তু সেটা কেউ তলিয়ে দেখবেনা। অতএব কারাগার ভর্তি হবার প্রশ্ন আসেনা।

মন মাঝি এর ছবি

পর্নোগ্রাফির বিষয়টা আমার কাছে স্পষ্ট না। এই জিনিষটা অপরাধ কেন? বিশেষ করে ভোক্তার ক্ষেত্রে? তাও আবার এত গুরুতর অপরাধ? অন্যের বাস্তব ক্ষতি না করলে, কেন এটা একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত প্রাইভেসিতে তার স্বাধীন চিন্তাচেতনা, রুচি, বিবেচনাবোধ আর ফ্রিডম অফ চয়েসের এক্তিয়ারে ছেড়ে না দিয়ে রাষ্ট্রের নাক গলানোর উপযুক্ত বা এক্তিয়ারভুক্ত একটা বিষয় বলে গণ্য হবে, "ক্রাইম" বলে গণ্য হবে? স্রেফ কিছু লোকের পছন্দ না বলে? তাহলে কি সেটা রাষ্ট্রের তরফ থেকে ব্যক্তির জীবনে অনধিকার-চর্চা, তার যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত ব্যক্তিস্বাধীণতা আর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে গেল না? স্বৈরাচারী আর নিবর্তনমূলক রাষ্ট্রের আচরণ হয়ে গেল না?

****************************************

মাহবুব লীলেন এর ছবি

কে দেখবে না দেখবে সেটা না ভেবে আমার মনে হয় পয়েন্টগুলা সেই ওয়েবসাইটে দেয়া দরকার। কারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে যদ্দুর জানি; ফাইনাল করার সময় শুধু ওয়েবের পয়েন্টগুলা নিয়েই আলোচনা/বিবেচনা করা হয়; এইটা মেন্ডেট। বাইরের কমেন্টগুলা উপস্থিত কেউ জোর করে না তুললে আলোচনায় আসে না

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।