পিনাকবাবুর কারণসুধা

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: সোম, ২২/০৬/২০০৯ - ৩:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পিনাকরঞ্জন চক্রবর্তী টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করতে গিয়ে যে বাকচপলতা দেখাচ্ছেন, তা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমার গায়ে জ্বালা ধরানোর জন্যে যথেষ্ঠ। ছোট দেশের বড় প্রতিবেশীর রাষ্ট্রদূত একটু হামকিধামকি দিয়ে থাকেন, আর এ তো ভারতরাষ্ট্র, তার রাষ্ট্রদূত যে রক্তচক্ষু মেলে কটমটিয়ে আশপাশে তাকাবেন, তা আর বিচিত্র কী? কিন্তু উজানে বসে যথেচ্ছ নদীর ওপর বাঁধ বসানো নিয়ে প্রতিবেশীকে মান ভাষায় ধমকানোর এই উদাহরণ আমার চামড়ায় এসে বিঁধছে।

খবরে পড়লাম, টিপাইমুখ বাঁধে নাকি নদীর পানি আটকে রাখা হবে না, কৃষিকাজে ব্যবহার করা হবে না, অন্যত্র স্থানান্তর করাও হবে না। সামনীতি আর দাননীতির ললিতবুলির পর পিনাকবাবু দণ্ডনীতির মুগুরখানাও বার করে দেখালেন, আন্তর্জাতিক কোন আইন নাকি নেই, যার বলে বাংলাদেশ ভারতের কার্যকলাপকে বেআইনী বলে দাবি করতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে বিরোধিতার নাকি কোন কারণ নেই। কারণসুধা সবই ভারতের গেলাসে। হাতে তেনার মুগুর আছে, তায় কি হেথায় থাকবে না, মুগুর তেনার হালকা এমন মারলে মোদের লাগবে না!

পিনাকবাবু, কোন আন্তর্জাতিক আইন তো নাই। বাঁধ বানানোর পর আপনারা নদীর পানি আটকে রাখলে, কৃষিকাজে ব্যবহার করলে, অন্যত্র সরিয়ে নিলেও তো দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের কিছু বলার থাকবে না। তখন আপনি চোখ লাল করে এসে ধমক দিয়ে কি প্রতিবেশী দেশের পাবলিককে চুপ করাতে পারবেন?

টিপাইমুখ বাঁধ বরাক নদীর ওপর শুধু না, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ওপরও বাঁধ। এই বাঁধ নির্মাণ শুরু হলে বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে ভারতীয় পণ্য ঢালাওভাবে বর্জনের জন্য অন্যকে উৎসাহিত করাই আমার পক্ষে একমাত্র সম্ভাব্য প্রতিরোধের উপায় হবে। পিনাকবাবুর ধমকাধমকি আবারও পত্রিকায় পড়তে পেলে, আমি আমার অবসর সময়টুকু সেই কাজে ব্যয় করা শুরু করবো।


মন্তব্য

জিজ্ঞাসু এর ছবি

বাঙলাদেশে এসে কোনও ভিনদেশের দূতেরই আর কূটনীতিক ভব্যতা বজায় থাকে না। তারা এদেশের মাটিকে নিজের বাপের জমিদারী মনে করে বলেই না কি, তাদের কথা হয় লাগাম ছাড়া। ওদের কথা শুনলে আমার পিত্তি দাউ দাউ করে জ্বলে। লাগাম ছাড়া কথার জন্য ইউরোপ, আমেরিকা থেকে শুরু করে ভারতীয় দূতদের এখন থেকে কোন সেমিনার সিম্পোজিয়ামে দাওয়াত করা বন্ধ করা হোক। কারণ তারা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনধিকার হস্তক্ষেপ করে বক্তব্য দেয়।
বাঙলাদেশে সরকার তাদের ডেকে নরম কথায় ধমক দিতেও জানে না বলে এসব কূটনীতিকদের সাহস দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

পশ্চিমে ফারাক্কার সাথে এবার পূর্বে টিপাইমুখ। এতকাল মার্কিন টর্চার চেম্বারে একক মানুষকে "Waterboard" করতে শুনেছি। এবার একটা আস্ত দেশকে পানি দিয়ে এবং না দিয়ে মারা দেখবো। গ্রীষ্মে পানি আটকে কারবালা করা হবে, বর্ষায় পানি ছেড়ে দেশটাকে চুবাবে পানিতে।

বিশ্রী, অশ্রাব্য সব গালি মুখে আসে এই প্রসঙ্গটা সামনে এলে।

কে জানে, হয়তো ৩৯ বছর পর তৎকালীন ভারতীয়রাও বলবেন, সরকার আর মিডিয়ার কারসাজিতে তাঁরা বাংলাদেশকে মেরে ফেলার এই মহাপ্রয়াস সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। উই আর জাস্ট দেসি ব্রাদার্স। হাসি

ইংরেজরা খণিজ সম্পদ নিলো...
পাকিস্তানিরা মেধা নিলো...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ানরা মোবাইল কোম্পানি খুলে হাওয়া-বাতাস নিলো...
মার্কিনরা বন্দর নিয়ে হৈ-চৈ জুড়লো...
নেই-নেই করে যেটুকু গ্যাস, তা নিয়ে হুজ্জতি কারবার শুরু করলো সবাই...
ছিলো বলতে পানিটা, সেটাও ভারত নিলো...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বিশ্রী, অশ্রাব্য সব গালি মুখে আসে এই প্রসঙ্গটা সামনে এলে

বস, একমত, এমন সব গালি আসে, যা উচ্চারণ করতে ইচ্ছা করা যায় না অভদ্র সমাজে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

স্বপ্নহারা এর ছবি

মেজাজটা খিঁচরে আছে...! ভারতীয় পণ্য বর্জনের চিন্তাটা বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে কী? হিন্দি চ্যানেল আর ভারতীয় গরু ছাড়া আমাদের চলবে কি?

যুধিষ্ঠির এর ছবি

শুধু পিনাকের দোষ দিয়ে কি হবে, এখানে তো সে স্পষ্ট করেই বলে দিলো যে বাংলাদেশের সাথে পরামর্শ করেই এ কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের কারো কাছ থেকে তো কোন প্রতিবাদ পেলাম না। আগে অবাক লাগতো, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে একজন রাষ্ট্রদূত এমন কথা বলার সাহস পায় কি করে। এখন বুঝি আসলে আমাদের মেরুদণ্ডহীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে তার পদ দেয়া হয়েছেই পিনাক জাতীয় লোকদের হুমকি-ধামকি বসে বসে হাসিমুখে শোনার জন্য।

আমন্ত্রিত অতিথির কাছ থেকে এই বক্তব্য শোনার পরও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির টিকে থাকার কোন যৌক্তিকতা আছে?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- নাই।

আমাদের দেশের অথর্ব আর মেরুদণ্ডহীন কর্ণধারেও দরকার নেই। অপরের গোলায় আগুন দেয়া না অন্তত নিজের অধিকারটুকুর কথা যে নির্ভয়ে বলতে, আমাদের দরকার এমন কর্ণধার। নিজের ঘরে বসে বাইরের কেউ শাসিয়ে যাবে আর আমাদের নেতা 'জ্বি হুজুর, জ্বি হুজুর' করে যাবে- এটা মেনে নেয়া যায় না কিছুতেই।

বছর পাঁচেক আগে দিল্লিতে ৩ দিনের একটা দরকারী সফরের সময়টুকু বাদ দিলে, ভারতীয় কোনো পণ্যই আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনো ব্যবহার করি নাই, করিও না।

পাকিস্তানের সাথে সাথে আমি ভারতকেও ঘৃণা করি, এবং সেটা মনে-প্রাণেই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্লগে আমরা নানা কারণে প্রায়ই সরব হই। কিন্তু এই বিষয়ে সবাই কেমন যেন নীরব। বড় বিস্ময়কর। ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া যত সহজ, এই আত্মবিস্মৃত জাতিকে দিয়ে সেটার বাস্তবায়ন তারচে কঠিন। এছাড়া আমাদের আর কিছুই করার থাকবেনা। আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুন সব বড়দের জন্য। আমাদের জন্য কেবল আমড়া।

শঙ্খচিল [অতিথি] এর ছবি

দীপু মনিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রি বানিয়ে এই সরকারের কি লাভ হয়েছে জনিনা,তবে বিশ্বের অনান্য ভারিক্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রি ত দূরে থাক,"পিনাকি" বাবুদের সামনেই তাকে খুকুমনি মনে হয়। টিপাইমুখি বাধের ব্যপারে সরকারের প্রতি জনতার বিশ্বাসযোগ্যতার যে ক্রমাগত কমতি দেখা যাচ্ছে এটা অনেক কারনের অন্যতম ।
এ ইস্যুতে সরকারের আপাত নাইভনেসের করনে,তাদের ইমেজের যে কি ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে,তা আগামি নির্বাচনে না হারা পর্যন্ত টের পাবার চামড়া-মেধা আম্লিগের নাই।

হিমু এর ছবি

জনশক্তি ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে দীপু মণির সক্রিয়তা আমার কাছে ভালো লেগেছিলো। কিন্তু ভারতের মুখোমুখি এই লাজনম্র গরীবের-বউ-মার্কা অ্যাটিচ্যুড কাম্য নয়। এর আগে পাকিস্তানের বিশেষ দূতও ঢাকায় এসে চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলে গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভদ্রতা আর ধৈর্য্যের চরম পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছে। আমরা চাই না দীপু মণি কোন রাষ্ট্রদূতকে পাল্টা ধমক দিয়ে বেড়াবেন, কিন্তু ঠান্ডা কূটনৈতিক তিরস্কার করে ভিনদেশী কূটনৈতিককে তিনি এটা যাতে বুঝিয়ে দিতে পারেন যে বাংলাদেশ এইসব অভব্য আচরণ পছন্দ করছে না, এটাই কাম্য। সরকার বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, এইটুকু বলিষ্ঠতা তার থাকা উচিত।

একজন নারী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এই ব্যাপারটিকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু সেই নারী অবলা আর অবোলা হলে চলবে না, তিনি যেন মতিয়া বা ইন্দিরার মতো ক্ষুরধার আর নিষ্ঠুর হতে পারেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

মেজাজ খুবই খারাপ আছে । লিখতে গেলেই গালি চলে আসছে বাবু আর আমাদের নতজানু সরকারের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ।

পিনাকবাবুর আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে বক্তব্য কতটা সঠিক ?

হেলসিংকি রুলের আর্টিক্যাল ২৯(২) অনুসারে:

"একটি রাষ্ট্র নদী অববাহিকার যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, তার যে কোন প্রস্তাবিত অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইনষ্টলেশানের ব্যপারে নদী অববাহিকায় অবস্থিত অপর যে কোন রাষ্ট্র, এই কাজের ফলে অববাহিকায় ঘটা পরিবর্তনের কারণে যার স্বার্থহানী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে আর্টিক্যাল ২৬ এ সংজ্ঞায়িত আইনি অধিকার বিষয়ক বিরোধ দেখা দিতে পারে, তাকে এ ব্যাপারে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশে গ্রহীতা দেশটি যেন প্রস্তাবিত পরিবর্তনের সম্ভাব্য ফলাফলের বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী থাকতে হবে।" ( সুত্রঃ Helsinki Rules- Water Resources Management in Bangladesh- M. Inamul Haque- page 403 )

এবং জাতিসংঘের নদী কনভেশনের আর্টিক্যাল ১২ অনুসারে:

"নদী অববাহিকায় অবস্থিত কোন রাষ্ট্র যখন অববাহিকায় অবস্থিত অপর কোন রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এমন কোন পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় কিংবা বাস্তবায়ন শুরু করে, তখন সেই রাষ্ট্রকে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্থ রাষ্ট্রগুলোকে আগাম নোটিশ প্রদান করতে হবে। এই নোটিশের সাথে এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট এর ফলাফল সহ ঐ দেশের হাতে থাকা সমস্ত ডাটা এবং তথ্যাবলী সর্বরাহ করতে পারে যেন গ্রহীতা দেশটি পরিকল্পিত কাজটির সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া যাচাই-বাছাই করতে পারে।"(সুত্রঃWater Course Convention- Water Resources Management in Bangladesh- M. Inamul Haque- page 411 )

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক

সবজান্তা এর ছবি

অবাস্তব একটা কথা বললেন হিমু ভাই। অন্যান্য পণ্যের কথা বাদই দিলাম, ওইসব পূরীষ গোত্রীয় হিন্দি সিরিয়াল না দেখলে তো আপামর বাংলাদেশীর রাতের ঘুম হয় না। আমার এই আফসোসটাই গেলো না যে, কলকাতাতে কয়টা বাংলাদেশী চ্যানেল ধরে আর বাংলাদেশে কয়টা ভারতীয় চ্যানেল ধরে। নিজেদের ছোট করতে করতে আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌছে গেছি যে মানুষজন আমাদের বাড়ি বয়ে অপমান করে যেতেও দ্বিধা বোধ করে না।

এ কথা সত্যি যে, ভারত এখন উদীয়মান সুপার পাওয়ার, সম্পূর্ণ সাউথ এশিয়ার মোড়ল, কাজেই অতি ডান দল বি এন পি-জামাতের আবদার মতো যে চাইলেই আমরা তা পেয়ে যাবো - এমনটা বাস্তবতা না। কিন্তু তার অর্থ আবার এও না, দীপু মনির মতো মৃদুমন্দ হেসে পিনাকবাবুর ধমক হজম করা। দেশ হিসেবে ছোটই হই, আর বড়ই হই - মেরুদন্ড তো ফেলে দেই নি।

কূটনৈতিক শিষ্টাচার লংঘনের দায়ে পিনাকরঞ্জনের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।


অলমিতি বিস্তারেণ

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ইনি যোগ্যতায় নন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন হাসিনার সেবক হিসেবে। অসুস্থাবস্থায় ভালো ট্রিটমেন্ট করেছে বলে এই পুরস্কার। অনেকটা আইন প্রতিমন্ত্রীর মতো। এদের কাছ থেকে যোগ্যতা আশা করা ঠিক নয়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ঠিক। আর এই কারণে এই একই অযোগ্যতার কাতারে প্রধানমন্ত্রীও পড়েন। এগিয়ে এসে দায়-দায়িত্ব স্বীকার করে পিনাককে পাল্টা তিরস্কার/বহিস্কার করে তার যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ এটাই। আশাবাদী হই না তারপরও - তিনি এমন সুযোগ হামেশাই মিস করেন।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এধরনের অযোগ্য লোকদের হাতে পররাষ্ট্রের মত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আর বর্তমানের প্রেক্ষাপট মিলিয়ে সেই আঞ্চলিক প্রবাদটাই সত্যি মনে হচ্ছে --

ছোলপোলের হাতে নোয়া
শয়তানে মারে __

হিমু এর ছবি

আমাদের চামড়া ব্রন্টোসরাসের, কিন্তু মেরুদণ্ড পেলাসটিকের। কিন্তু পণ্যবর্জনের বিকল্প তো নিরীহ জনতা হিসেবে আমার কাছে নাই। দেখা যাক, আমাদের দেশের মানুষ ঐ পুরীষবিনোদন বর্জন করে মাজার জোর দেখাতে পারেন কি না। দরকার হলে নির্মাতাদের জন্য একই রকম পুরীষমার্কা মেগাসিরিয়াল লিখে দিবো মাগনা মাগনা হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দিগন্ত এর ছবি

পিনাকবাবুর কোনো দোষ নেই, দেশ থেকে তাকে যে কাজ করতে পাঠানো হয়েছে সেই কাজই উনি করছেন। ওনাকে বলেই পাঠানো হয়েছে "কথা বাড়িয়ে লাভ নেই" গোছের উত্তর দিতে, উনিও তাই করছেন। নেপালে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অবিকল একই রকম কাজ করেন। আশির দশকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ভারতে একই কাজ করতেন। এই একই ব্যক্তি পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হলে অন্যভাবে কথা বলবেন, নাহলে তা চাকরি যাবে। তবে বাংলাদেশের ভেতরে এই নিয়ে আভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখে আমি খুবই অবাক। বাংলাদেশ সরকার তো এতদিনে পরিবেশগত পরিবর্তনের সংক্রান্ত তথ্যও চায় নি। উলটে "ক্ষতিকর"-এর জায়গায় লাভ হবে বলে আবার কেউ কেউ দাবী করেছেন। প্রচুর জল বয়ে যাবার পরে তথ্য আদানপ্রদান শুরু হয়েছে। আমার মনে হয়না পরিবেশগত পরিবর্তনের কোনো তথ্য তাতে আছে - কারণ মিজোরাম সরকার এখনও পরিবেশ সংক্রান্ত কোনো রিপোর্ট দেয় নি।

পিনাকবাবু এর থেকে এই বাঁধের প্রয়োজনটা কেন তা বোঝানোর চেষ্টা করতে পারতেন। বরাক উপত্যকার বন্যা সমস্যার কথা বা উত্তর-পূর্বে বিদ্যুত সমস্যার কথা কিছু জানাতে পারতেন। উনি তো সে রাস্তায় হাঁটেন নি।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

রাগিব এর ছবি

পিনাকবাবুর বাড় খুব বেড়েছে। ছাগু হতে হলে পাকি হতে হয় না, দিনে দিনে এই প্রমাণটাই দিচ্ছে। শিঙালো রাম ছাগু পদে অধিষ্ঠিত হবার পথেই পিনাক আগাচ্ছেন।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | কুহুকুহু

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুরসালিন ভাই খুব দারুণ একটা স্টেটাস মেসেজ নিয়েছেন ফেসবুকেঃ

পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ভারতে ফেরত চলে যেতেই পারেন, দুইটা দূতের তো দরকার নাই।

এমন একটা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেয়েছি আমরা... ঘটনা ঘটে যাওয়ার ৩ দিন পর তিনি সাজু-গুজু করে বের হয়ে একটা তুলতুলে বক্তব্য দেন। ঝাড়ির বিপরীতে পালটা ঝাড়ি দেওয়া শিখলো না কেউ। অথচ এই ভারতের কাছ থেকেই এই ব্যাপারটা সবচেয়ে ভালো শেখা যেতো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিও পিনাক বাবুর কোনো দোষ দেখি না। তাকে এইসব বলার সুযোগ আমরাই করে দেই। আমাদের নতজানু রাষ্ট্রনীতিই করে দেয়।

টিপাইমুখি বাঁধ কাহিনী তো আজকের না। বহুদিনের মামলা। এতদিন সরকার কী করছে?
আর এখনি বা কী করতেছে? একটা প্রতিনিধি দল তৈরি করতেছে এক মাস ধইরা। সেই দলে কারা থাকবে সেই সিদ্ধান্তই নিতে পারতেছে না।

পর্যবেক্ষনের জন্য রাজনীতিবিদ আর আমলা ২/১ জন পাঠানো যেতে পারে, কিন্তু সবার আগে দরকার আন্তর্জাতিক পানি বিশেষজ্ঞ। বাংলাদেশে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের লোক আছেন। তাদের সমন্বয়ে টিম হবে, তারা গিয়ে এর ফলাফল যাচাই করে রাষ্ট্ররে বলবে, রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে।
তা না করে এখানে কোন দলের কজন প্রতিনিধি থাকবে সেই চিন্তায় দিন গুজরান। মির্জা আজম টাইপ লোক না আবার পাঠায়ে দেয় সেই চিন্তায় আছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দিগন্ত এর ছবি

আমার ধারণা নেই কিন্তু টিপাইমুখ তো এখন ফাঁকা জায়গা - নদী আর পাহাড় ছাড়া কিছু নেই। সেখানে গিয়ে কি দেখে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব? সব পরিকল্পনাই এখনও খাতায় কলমে ... সবই এখনও পরিবর্তনশীল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শামীম এর ছবি

হক কথা .... ... এই সব ভ্রমন ফ্রমন আসলে আই-ওয়াশ করে সময় ক্ষেপনের কৌশল। ডিজাইন ডেটা সরবরাহ করলে দেশে বসেই সমস্ত ইমপ্যাক্ট এ্যাসেসমেন্ট করা যায়। এমনকি গুগল মাপেই পুরা টপোগ্রাফি বেশ নিখুতভাবে পাওয়া যায়।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

শামীম এর ছবি

পিনাকি বাবুর চেয়ে আমাদের দোষই বেশি -- একমত।

৪ঠা জুলাই-এ প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে দেশি বিশেষজ্ঞদের মিটিং আছে বলে শুনলাম।

এই বাঁধের ফলে কী কী ক্ষতি হবে, আর আন্তর্জাতিক কী কী আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে তার উপর কোন বাংলা পত্রিকায় কিছু দেখেছি বলে মনে পড়ে না। এই বিষয়গুলো বারবার বাংলা দৈনিকগুলোতে প্রচার হলে জনসচেতনতা বাড়বে।

সরকারের এহেন পা চাটাচাটি দেখে আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবিরাও খুব অস্বস্তির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে শুনেছি।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তানভীর এর ছবি

পিনাকের ‘পিনোকিয়’ আচরণ চোখ টিপি

আমার এক ভারতীয় বন্ধু একবার দুঃখ করে বলেছিল, সে যখন প্রথম দেশ থেকে আসে তখন একজন ভারতীয় হিসেবে তার অনেক গর্ব ছিল। বিদেশে এসে সে কাশ্মিরি, নেপালি, শ্রীলঙ্কান ও বাংলাদেশী বন্ধুদের কাছে ভারত সম্পর্কে এত অভিযোগ শুনেছে যে তার দেশ এতটা খারাপ হতে পারে এটা তার ধারণারও বাইরে ছিল। কাশ্মির সম্পর্কে সে মনে করত- এটা তাদের ন্যায্য পাওনা, কিন্তু পাকিস্তানীরাই সেটার একাংশ জোর করে দখল করে আছে। তার কাশ্মিরি বন্ধুর কাছেই সে প্রথম জানতে পারে কাশ্মিরিরা ভারত, পাকিস্তান কারো অধীনেই থাকতে চায় না; তারা স্বাধীনতা চায়। কিন্তু এদের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী এতই বর্বর যে এরা কাশ্মিরিদের দেখলেই কুকুরের মত গুলি করে মারে। নেপালি, শ্রীলঙ্কানদেরও ভারত সম্পর্কে অভিযোগের অন্ত নেই। কিন্তু সে সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছে বাংলাদেশের কথা শুনে। তার ধারণা ছিল অন্য আর যেকোন দেশের সাথে ভারতের কম-বেশি খারাপ সম্পর্ক থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের সাথে ভারতের অনেক ভালো সম্পর্ক! সীমান্তে বিএসএফের বাংলাদেশী নাগরিকদের পাখির মত গুলি করে মারা, পুশ-ইন/পুশ-আউট, ফারাক্কা, ছিটমহল, তালপট্টি- এসবের কিছুই সে কখনো শোনে নি। সে বলছিল ধাক্কাটা নাকি সে প্রথম খেয়েছিল যখন তার কোন এক ক্লাসে প্রফেসরের ‘ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ আবার এক হওয়ার সম্ভাবনা’ নিয়ে একটি মন্তব্যে শুধু বাংলাদেশীরাই তীব্রভাবে আপত্তি জানিয়েছিল। তখন এই আপত্তি নিয়ে সে খুব অবাক হলেও এখন সে বুঝতে পারে বাংলাদেশীরা কেন পাকিস্তান ও ভারতকে এত ঘৃণা করে। যাই হোক এটা জেনে সে খুবই শকড যে - কোন প্রতিবেশীর সাথেই ভারতের কোন ভালো সম্পর্ক নেই। তার কথা শুনে তারে কিছু বলি নাই। শুধু মনে হয়েছিল, খামাখা আম্রিকানদের শুধু ভোদাই বলে লাভ কি? আমাদের ঘরের পাশেও বোধহয় বিশাল এক ভোদাই জনগোষ্ঠী থাকে, যারা তাদের সরকারের কোন কাজের খবর না রেখে বালির নিচে মুখ গুঁজে থাকে আর জপ করে- ‘ভারত মহান’!!

দিগন্ত এর ছবি

এটা নিয়ে আমিও এককালে মাথা ঘামিয়েছি। এখন বুঝে গেছি। প্রতিবেশী দেশের সাথে ভাল সম্পর্ক খুব কম দেশেরই আছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সেটা রাখাও কষ্টকর। সুতরাং, দেশের মধ্যে অন্তত ভাল হলেই আমি সরকারের ওপর খুশী হাসি


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

দিগন্তদা,
রাষ্ট্রর উপর খুশি আর সরকারের উপর খুশি কি এক? সরকার বদল হয়।
সরকার যতোই বদলাক ফারাক্কা বা ছিটমহল বা সীমান্তে অহেতুক হত্যাকাণ্ড, এগুলোর কোনোটাই কিন্তু বদলে যায়নি। সে বিজেপি বা কংগ্রেস যেই আসুক।

সরকারগুলো এরকমই। আমরা চাই জনগনের সচেতনতা। মানুষ জানুক। সেটা যে দেশের যে সরকারই হোক। ভারত যে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে বৈরিতা করছে এটা ভারতের মানুষেরা জানুক। তাদের কণ্ঠও থাকুক।

আমাদের দেশের ক্ষমতা নাই প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বেশি বৈরিতার। কিন্তু আমাদের ভেতরের ইসু্গুলো (যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, আদিবাসী নিপীড়ন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, ইত্যাদি) নিয়ে সরকারকে ছেড়ে কথা কখনো বলি না। এই দেখেন এখানে, পিনাক বাবুর চেয়ে বেশি গালি খাচ্ছেন কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী।

জানি এদেশেরও কম লোকেই সচেতন। কিন্তু সচেতনতা ছড়ানোর চেষ্টাও আমরা করি।

চাওয়া আসলে এগুলোই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দিগন্ত এর ছবি

সত্যি কি মানুষ জানলেও আলাদা কিছু হবে? আমারতো ধারণা না। আজকের দুনিয়ায় মানুষ আরো বেশী করে স্বার্থপর। সে কারণেই পৃথিবীতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে ভাল সম্পর্কের উদাহরণ নেই এখনকার দুনিয়ায়।

ধরুন ফারাক্কার কথা। বাংলাদেশের পূর্ব অংশে যে গরমে জল প্রায় থাকেই না সেটা কোলকাতার মানুষ জানল। কিন্তু তারা নিজেদের ভোটটা দেবার সময় কি সেটা মাথায় রাখবে? না কোলকাতা বন্দরের কথা মাথায় রাখবে? বর্তমান পৃথিবীতে আমার তো মনে হয়না মানুষ এতটা উন্নত হয়ে গেছে। একইভাবে, ভারতের জল সমস্যার কথা নিয়েও বাংলাদেশে কোনো লেখালিখি দেখি না। বাংলাদেশের মাথাপিছু জলসম্পদ ভারতের তুলনায় চারগুণ, তাও নিজের দেশের সমস্যার কথাই আগে লেখা হয়।

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় রাষ্ট্র নাগরিকের স্বার্থ বজায় রাখে, স্বাভাবিকভাবেই এই ব্যবস্থায় শেয়ার্ড রিসোর্সের ন্যায্য বন্টন সম্ভব নয়। ফলশ্রুতি আন্তর্জাতিক নদীচুক্তিতে মাত্র ১৭টি দেশের স্বাক্ষর (ভারত-বাংলাদেশ কেউই স্বাক্ষর করেনি)।

আরো পরে আরও অনেক ইস্যু আসবে যেখানে এই একই সমস্যা হবে। উত্তরমেরুতে তেলের সন্ধান পেলে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় খনিজের সন্ধান পেলে বা এমনকি জিওস্টেশনারি অরবিটের মালিকানা নিয়েও ঝামেলা হবেই। একই দশা হবে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মত শেয়ার্ড প্রবলেমগুলোরও। এর কোনো সমাধান নেই।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

আসাদ [অতিথি] এর ছবি

একইভাবে, ভারতের জল সমস্যার কথা নিয়েও বাংলাদেশে কোনো লেখালিখি দেখি না। বাংলাদেশের মাথাপিছু জলসম্পদ ভারতের তুলনায় চারগুণ, তাও নিজের দেশের সমস্যার কথাই আগে লেখা হয়।

ভারতের এই জল সমস্যার সাথে কি বাংলাদেশ কোনভাবে জড়িত বা দায়ী?

দিগন্ত এর ছবি

আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে সমতার নীতিতে জলসম্পদ ভাগবন্টন হয়। এই সমতার নীতিতে অনেকগুলো প্যারামিটার ধরে ভাগের হিসাব হয়। তার মধ্যে জনসংখ্যার প্রয়োজন ও বিকল্পের সুযোগ দেখা হয়। সুতরাং, ভারতের সমস্যা বাংলাদেশের জলসমস্যা সৃষ্টি করবে - এটা স্বাভাবিক। এই কারণেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নদী-চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি - এতে গোটা ওয়াটারশেডের জল বন্টনের কথা বলা আছে। মাথায় রাখুন, জল যে কোনো রকম "বন্টন" হলেই নদী অববাহিকার ভাটির দেশের সমস্যা। কারণ বন্টনের আগে তারা সব জলটাই পেত, বন্টনের পরে আর পায় না।
ভারত নিয়ে উদাহরণ পছন্দ না হলে আমি নেপালের উদাহরণ দিতে পারি। নেপালের মাত্র ২৫% জনগণের কাছে বিদ্যুত পৌঁছেছে। তাদের বিকল্প বিদ্যুত বানানোর সুযোগও নেই। সুতরাং, তারা যদি এখন কিছু বড় জল-বিদ্যুত প্রকল্প হাতে নেয় তাতে ভারত ও বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। এর বিকল্প হল নেপাল বিদ্যুতহীন থাকা। নেপাল বিদ্যুতহীন হওয়ার কারণ বাংলাদেশ বা ভারত নয়, কিন্তু নেপালে বিদ্যুত ঘাটতির কারণে ভারত বা বাংলাদেশের সমস্যা হতে পারে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

FYI:

টিপাইমুখ বাধ নিয়ে খোদ ভারতের Citizen’s Concern for Dams and Development(CCDD), Hmar Students Association(HAS), All Tribal Students’ Association of Manipur(ATSUM), Action Committee of Tipaimukh(ACT)সহ আরো অনেকগুলো সংগঠন প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। কিন্তু ভারত এবং বাংলাদেশের ভেতরের আন্দোলনকে একসূত্রে গেথে জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করার যে সম্ভাবনা সেটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ প্রসংগে ভারতীয় অ্যাক্টিভিষ্ট নর্মদা বাধ আন্দোলনের নেত্রী মেধা পাটেকারের মতামতাটিকে আমরা সঠিক ও কার্যকর বলে মনে করছি: “ আমরা খুব ভালো ভাবেই অবগত আছি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষকে ফারাক্কা বাধ(১৯৭৪) কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এবং বর্তমানে টিপাইমুখ বাধ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। যখন শক্তিশালী দেশগুলো প্রচলিত কনভেনশনস মেনে চলতে অস্বীকার করে তখন এরকম সমস্যা হতে বাধ্য। জীবনের সাধারণ ইস্যুগুলোকে ভিত্তি করে রাষ্ট্রীয় সীমানা অতিক্রমকারী একটা আন্ত:সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।.... যেহেতু নদী কিংবা জলপ্রপাতের মতো ইকোসিস্টেমকে রাষ্ট্রীয় সীমানা দিয়ে ভাগাভাগি করা যায়না, তাই আমাদেরকে টেকসই উন্নয়নের নতুন পলিসি তৈরী করতে হবে। কিন্তু তার আগে প্রয়োজন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষগুলোর মধ্যে আন্ত:যোগাযোগ তৈরী করা যেন পরস্পরের মতামত এবং অভিজ্ঞাতার মিশেলে যৌথ শক্তি গড়ে উঠে। " (সুত্রঃ Praxis Journal- Vol 1 No 1 Oct-Dec, 2003, No to Tipaimukh Dam(২০০৭) পুস্তকে উদ্ধৃত, পৃ:১০৫ )

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

দিগন্ত এর ছবি

এরা সংখ্যায় কতজন? আমি তো দেখলাম বরাক উপত্যকার মানুষ টিপাইমুখ তাড়াতাড়ি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন যাতে তাদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ হয়। ভেবে দেখুন তো - একদিকে মেধা পটেকরের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু হমার জনগোষ্ঠীর সমস্যা - অন্যদিকে বরাক উপত্যকার ফি-বছর বন্যা সমস্যা। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র কি সিদ্ধান নেবে?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হিমু এর ছবি

আজকে যদি বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলের লোক উলফাকে সামরিক সহায়তা দেয়ার জন্য সরকারের উপর চাপ দেয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সরকারের কি উচিত হবে সেটা দেয়া? সংখ্যাগুরু লোকের চাহিদা পূরণই তো গণতন্ত্রের একমাত্র বৈশিষ্ট্য নয়, সেই চাহিদা পূরণ অপরের অধিকার ক্ষুণ্ন করে কি না, সেটাও তো দেখতে হয়। প্রশ্নটা ন্যায়ের। আজ বরাক উপত্যকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটা দেশের কয়েক কোটি মানুষকে বিপন্ন করাকে যদি ভারতের গণতান্ত্রিক সরকার ন্যায্য বলে মনে করে, তাহলে তো তাদের গদাম লাত্থি মারা ছাড়া উপায় দেখি না।

দুইদিন পর চীন নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্রহ্মপুত্রের গতিমুখ পরিবর্তন করলেও কি আপনি এই কথাগুলি বলবেন? অবশ্য আপনি যুক্তি দিতে পারেন, চীনে তো গণতান্ত্রিক সরকার নাই! তারা ফ্যাসিবাদী হাসি !



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দিগন্ত এর ছবি

আমি "গণতান্ত্রিক অধিকার" বলিনি, ভেবে লেখাটা পড়ে দেখুন - আমি উত্তর দিয়েছিলাম ভারতের মধ্যে যে আন্দোলন হচ্ছে তা কেন ফলপ্রসূ হচ্ছে না তা নিয়ে। ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থায় কেন তারা গুরুত্ব পাচ্ছে না তা নিয়ে।

আপনি আমাকে টিপাইমুখ বাঁধের প্রভাব নিয়ে একটা বিশ্বস্ত লেখা দিন, পড়ে বাকিটার উত্তর দিচ্ছি।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

হিমু এর ছবি

টিপাইমুখের ওপর লেখার অপেক্ষায় আছি আমিও। সচল জাহিদকে অনুরোধ করেছিলাম, তিনি সম্ভবত এখনও তথ্য যোগাড় করছেন। আপনি নেটে কোথাও পেলে একটা লিঙ্ক দিয়েন প্লিজ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দিগন্ত এর ছবি

চিনের ব্রহ্মপুত্রে জলবিদ্যুত পরিকল্পনা নিয়ে ভারতের খুব একটা কিছু বলার নেই, থাকার কথাও না। (চিনের টেন্ডার পাশ হয়ে গেছে) এতে অবশ্যই কিছু সমস্যা হবে, কিন্তু সেটা মেনে নিতে হবে - প্রয়োজনে নিজেদের জল-ম্যানাজমেন্ট ভাল করতে হবে। চিন যদি বর্ষার উদ্বৃত্ত জল সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে চায় তাহলেও ভারত সরকারের কিছু একটা বলার নেই, কারণ সেই জলের ভারতেও কোনো ব্যবহার হয় না। চিন যদি শুখা মরসুমের জল সরাতে চায় তবেই একমাত্র সমস্যা (যেমন ফারাক্কা)। তখনই জল ভাগের প্রশ্ন আসবে।

auto
চিন মেকং-এ তিনটি বাঁধ দিয়েছে, আরো তিনটি দিচ্ছে। কিন্তু তাতে অববাহিকার বাকি দেশগুলোর (মায়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড) বিশেষ কিছু করার নাই, চিনের বাঁধ দেবার অধিকার আছে - যতক্ষণ না তা থেকে জল সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দেখুন ছবিতে এই দেশগুলো নিজেদের মত আরো ব্যারেজ/বাঁধ পরিকল্পনা করেছে যাতে চিনের বাঁধের প্রভাব কমানো যায়। মাথায় রাখুন, আসিয়ান-ভুক্ত দেশগুলো আন্তর্জাতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী।

চিন মেকং থেকে জল সরাচ্ছেনা, তাই মনে হয়না ব্রহ্মপুত্র থেকেও সরাবে। তবে এ নিয়ে ভারতীয় কাগজে অসংখ্য জল্পনা-কল্পনা লেখা হবে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ফারহানা এর ছবি

ফারহানা সিমলা

পিনাকবাবুর দোষ দিয়ে কি লাভ? আমরা কি আমাদের দেশটাকে নিয়ে ভাবি?সাধীনতার ৩০ বছর পরেও আমরা কি পেরেছি কোনো আস্থার জায়গা তৈরী করতে যেখানে আমরা দেশ চালানোর জন্যে আমাদের বিশশাস স্থাপন করতে পারি? পিনাকবাবু বরং নিজ দেশের কথা ভেবে আমাদের রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন, আর আমরা কাদের কথা ভেবে তাঁর কথায় সায় দিচ্ছি? এ লজ্জা পিনাকবাবুর নয়, এ আমাদের বাঙ্গালী জাতির লজ্জা, ভাগীরথী নদীর এ-পারের লজ্জা !!!! ঘরের শত্রু সম্পর্কে আমাদের সচেতন হবার সময় পার হয়ে গেছে ।

ফারহানা সিমলা

ফারহানা সিমলা

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর অনেক কৃতজ্ঞতা জমে গেছিলো অনেকের প্রতি, সেগুলা শোধ করার সামান্য প্রয়াস পেয়েছেন বিভিন্ন জনকে মন্ত্রী বানিয়ে, আইন মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী - এগুলান তাদের উদাহরণ।

সুতরাং শুরু দিকে যাকে 'CHANGE' বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছিল সেটা ঘোর মাত্র! এই অশিক্ষিত এবং বেকুব দেশনেতাদের হাত থেকে আমাদের দেশ কোনওদিন মুক্তি পাবে না। মিলন আর নূর হোসেনরা ছিলো হুদাই জীবন দিছে!!!!

রণদীপম বসু এর ছবি

টিপাইমুখ বাঁধ বরাক নদীর ওপর শুধু না, ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ওপরও বাঁধ।

সুরমার ঘোলা পানিতে হাঁসের ছানার মতো বড় হয়ে ওঠা আমি কি ভাবতে পারি, এখানে একদিন একটা নদী ছিলো যার নাম ছিল সুরমা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এই যে, এভাবে করেই আওয়ামী লীগ ভুলগুলো করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্লারে লুকিয়ে আছেন, আর সেই ফাঁকে খালেদার পক্ষ থেকে টিপাইমুখ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে চিঠি যায় মনমোহনের কাছে।

তুলুতুলু-পুতুপুতু করে সময় নষ্ট না করে সরকার প্রকাশ্যে নিজেদের অবস্থান জানাতে পারতো। এরপর কূটনৈতিক পর্যায়ে যা করার করা যেতো। এভাবে করেই বিএনপি'র মত চোরের আখড়া হয়ে যায় দেশের স্বার্থ রক্ষাকারী দল, আর আওয়ামী লীগ হয়ে যায় ভারতের দালাল। কে যে চালায় এই সব দল/সরকার...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি বুঝি না এতো এতো রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ জনবল নিয়েও আওয়ামী লীগ কী করে এই ফালতু ভুলগুলো করে একের পর এক! এরা কি সবাই ক্ষমতায় এসে কেঁচো হয়ে গেছে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এতটা দেখার পর আমি আর এগুলোকে "ভুল" বলতে রাজী না। এতে করে তাদের আবারও এই "ভুল" করার অন্যায় সুযোগ দেয়া হয়। আমাদের বুঝতে হবে এটাই এখনকার আওয়ামী লীগের নীতি বা রাজনীতি।

আরেকটা কথা, এরা কেঁচো যে হয়নি তা বোঝা যায় গত ক'মাসে আমাদের এমপি আর মন্ত্রীদের পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, কাস্টমস অফিসারদের হুমকি-ধামকি আর চড়-চাপড় মারার পত্রিকায় প্রকাশিত ছবিগুলো দেখলে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ভারতের স্বার্থরক্ষায় চুপ থাকাই আওয়ামী লীগের নীতি, সেটা এখন পরিস্কার-- তা সে যতই পরিবর্তনের অঙ্গীকার করুক। বারেবারে ধোঁকা দিয়েই এরা ক্ষমতায় যায়। ধোঁকাবাজ দল কোথাকার।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

লেখাটির জন্য হিমুকে ধন্যবাদ।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভারতের কাছ থেকে ভালো কিছু আমি জীবনেও আশা করি না, কেন, একটা ছোট উদাহরণ দেই। ১৯৮৬, আমি ২য় শ্রেনীর ছাত্র, রচনা, লেখছি, "পাট" ১০ লাইনে। আমাদের ডিকটেশন দেয়া হচ্ছে, পাটের অপর নাম সোনালি আঁশ, পৃথিবীর ৯০ ভাগ পাট বাংলাদেশ হতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়, অনেক বিদেশী মুদ্রা আসে বিনিময়ে। তারপর!! যখন ৫ম শ্রেনীতে পড়ি, তখন রচনা লেখি ৩-৪ পাতার, পাট তখনও খুব ইম্পর্টেন্ট রচনা, কিন্তু স্যার বলে দিলেন, পাটের শতকরা ৭০ ভাগ বাংলাদেশে হয় মন খারাপ । যতদিনে SSC পরীক্ষা দিলাম, ততদিনে পাটের চাষ নাকি চাঙ্গে, কেউ নাকি আর দাম পাচ্ছেন না, এখন তো পাটের চাষ হয়না বললেই চলে, আর ১০ বছর পরে তো মিউজিয়ামে যেতে হবে মসলিনের পাশাপাশি পাটের দড়ি দেখতে, তাও তা ভারত ঠেকে আমদানী করতে হবে। আমি তো বুঝি না ঘটনা কী? পরে এক সময়ে জানতে পারলাম, স্বাধীনাতার পর চুক্তি হয়, আমাদের পাটের রপ্তানী নাকি ভারত হয়ে যেতে হবে, আর সেই সুবাদে আমাদের দাদারা সেই পাটের মধ্যে এবং পাটজাত দ্রব্যের মধ্যে ভেজাল দিতে শুরু করলো, এক সময় বিশ্ব বাজার বুঝতে পারলো যে আমরা আর কোন মান বজায় রাখতে পারছি না, তখন তারা পাটের জন্য ভারতের কাছে স্বরনাপন্ন হয়ে গেল। কত টা সত্য জানি না, তার কাছ থেকে এ খবর শুনেছি, তিনি এখন বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রী। অবশ্য পাটের বাজার মার খাওয়ার অন্যতম কারণ হিসাবে আমি পলিথিন কেও দোষি বলেই জানি। ভারত আমাদেরকে ইয়ে মারা দিয়ে যাচ্ছে, এবং যাবে, আর এই সব লোকেরা নাকে আংগুল চালাবেন আর বলবেন, যা পারছি, তা তো করছি, এদের পাছার ছাল চাবকে তুলে সেখানে মরিচ দিতে পারলে খুব ভালো লাগতো

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হিমু এর ছবি

এটা একটু ফার-ফেচড থিওরির মতো শোনাচ্ছে। তবে পাটশিল্প কেন বাংলাদেশে এমন মুমূর্ষু হয়ে পড়লো, তা যদি কেউ বিশদ জানাতে পারেন, কৃতজ্ঞচিত্তে পড়বো। তবে যে দাতাগোষ্ঠী দেশে আদমজী বরবাদের জন্যে চাপ দিয়েছে, তারাই পশ্চিমবঙ্গে পাটশিল্পের উন্নয়নের জন্যে ঋণ দিয়েছে ভারতকে, সেটা নিকট অতীতের কথা বলে মনে আছে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দিগন্ত এর ছবি

আমি যা জানি বলতে পারি। এমনিতে পশ্চিমবঙ্গেও বন্ধ পাটকলের সংখ্যা কম নয়। তাও বাংলাদেশের থেকে ভাল অবস্থা। আসলে ১৯৪৭-এর আগে সব চটকল ছিল কোলকাতার আশেপাশে আর পাট চাষ হত বাংলাদেশে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে চটকল হল আর ভারতে পাট চাষ শুরু হল। কিন্তু বাংলাদেশের পাটকল সবই পাকিস্তানী মালিকানায় ছিল। ১৯৭১ এর সময় তারা সবাই দেশ ছেড়ে চলে যায়। এই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও পাটের রপ্তানী কমে যায় কারণ প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার শুরু হয়। ভারতে সরকার অনেক সরকারী ক্ষেত্রে পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে পাটশিল্প কোনোমতে বাঁচিয়ে রাখে। এসময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নও অনেক সাহায্য করেছে। তাও পশ্চিমবঙ্গে অসংখ্য পাটকল বন্ধ হয়ে গেছে। আমার ধারণা সত্তর থেকে নব্বইএর সময়েই বাংলাদেশের শিল্প ধ্বংস হয়েছে কারণ বাংলাদেশের শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর ১০০% নির্ভরশীল ছিল। শেষমেষ নব্বইএর দশকে প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেলে আবার পাটশিল্পে পুনরুজ্জীবন হয়। এখন শিল্পের অবস্থা মোটামুটি ভাল, তবে অনেক চটকল ওড়িশা আর বিহারে চলে গেছে। এটাই আমার জানা।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ, দিগন্তদা, শূন্যস্থান গুলো কিছুটা হলেও যেন পূরণ হল

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তানবীরা এর ছবি

আমরা যারা বাইরে আছি তারা আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য নিজেদের কর্মক্ষেত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্বাক্ষর সংগ্রহ বা এ ধরনের কিছুও ভাবতে পারি।

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

অফলাইনার এর ছবি

দিগন্ত সরকার ,ভারতকে ডিফেন্ড করতে থাকেন।

অন্যব্লগে আপনার স্বর আরো কর্কশ দেখছি এখন একটু নমনীয় দেখছি এই যা পার্থক্য।

দিগন্ত এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সিরাত এর ছবি

দিগন্তদা মতামত দেয়ায় তো আলোচনাটা সমৃদ্ধ হচ্ছে ভাইয়া। সেটা দেখবেন না?

দিগন্তদা, ধন্যবাদ!

হিমু এর ছবি

জনাব অফলাইনার, দিগন্ত সরকার তো তার দেশকে ডিফেন্ড করবেনই। আপনি সামনে এসে আপনার দেশের নাগরিক হিসাবে কথা বলেন না কেন? খালের ঐ পারে দাঁড়িয়ে ধমকাচ্ছেন কেন?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দাদা, উড়োচিঠির দিনতো আর নাই, যা লেখার নিজের নামে বুক চিতায় লিখেন, অন্যকে গালি দিলেই মিথ্যা সত্য হবে না, আবার সত্য মিথ্যা হবে না, কাজেই মাঠে নামেন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমি তো আগে স্রেফ শুধু ভাসাভাসা ভাবে এই লোকের বক্তব্য পড়েছিলাম। পত্রিকায় দেখলাম, পিনাক রঞ্জন নাকি বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞদের "তথাকথিত" বলেছেন।

ইন্টারনেটে খুঁজে বাংলাদেশ ইনফো-তে এই উদ্ধৃতি পেলাম।

"It is unfortunate that there are some so-called water experts who make comments without considering some of the issues. (They) are basically attempting to poison the minds of friendly people of Bangladesh against India."

কী যে করা উচিত এই অসভ্য, অভব্য লোকটারে... আপাতত তাঁরে বাড়ি পাঠায় দেওয়া উচিত। কথাবার্তা শিখে আবার আসুক।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমি একভাবে দিগন্তের সাথেই যাবো। পিনাক বাবুর আর দোষ কী? তিনি তাবৎ আমলাদের মতো আউরে যাচ্ছেন.....হিজ মাস্টার্স ভয়েস.....



অজ্ঞাতবাস

পুরুজিত এর ছবি

কয়েকজন ভারতীয় সহকর্মীর সাথে আলাপ হচ্ছিল টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে। একজন অরুন্ধতী রায়ের লেখা এই প্রবন্ধটা পড়তে দিল।
আন্তর্জাতিক আইনের কথা জানি না, তবে বাঁধ বানানোর ফলে যাদের জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তাদের মতামত জানানোর অধিকার থাকা উচিত। আমরা তো ভাটির দেশ, আমরা তো নর্মদা পারের মানুষগুলোর মতো ডুবেও মরতে পারব না...

হিমু এর ছবি

এই আর্টিকেলটি প্রাসঙ্গিক।

হিমু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।