হাসির গল্প

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শনি, ২৭/০৬/২০০৯ - ১০:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হাসি নিয়ে গবেষণা হয়েছে বিস্তর। মানুষ ছাড়া আর কেউ হাসে না। এই নিয়ে আজিমভের একটা জটিল গল্প আছে, দ্য জোকস্টার ... আছে অসমঞ্জবাবুর কুকুরকে নিয়ে সত্যজিৎ রায়ের গল্প। আমার গল্প হাসিকে নিয়ে।

না, হাসি কোন বালিকার নামও নয়। তাকে নিয়ে আমার গোপন আশনাইয়ের রগরগে গল্পও বলবো না। আমি বলবো সেই হাসির কথা, যা আমরা মুখ খুলে সশব্দে হাসি।

তবে শুরুতে একটা হাসির গল্প বলি। এক লোক মরুভূমিতে হারিয়ে গেছে। পথ চলতে চলতে ক্লান্ত, হঠাৎ খুঁজে পেলো এক চেরাগ। তুলে ঘষা দিতেই বেরিয়ে এলো দৈত্য। যে কোন হুকুম তামিল করবে সে। লোকটা বললো, আমি বাড়ি ফিরে যেতে চাই। দৈত্য বললো, তথাস্তু, আমার পিছু পিছু আসুন। এই বলে বালির ওপর হাঁটা ধরলো সে। কিছুদূর হেঁটে চটেমটে লোকটা বললো, আমি আরো জলদি জলদি বাড়ি ফিরতে চাই। দৈত্য বালির ওপর দৌড় শুরু করে বললো, তথাস্তু, আমার পিছু পিছু দৌড়ান।

যাঁরা এই গল্প পড়ে হাসলেন, তাদের এবার জিজ্ঞেস করি, কেন হাসলেন? কোন জায়গায় এসে হাসলেন? যাঁরা হাসেননি, তাঁদেরও বলি, কেন হাসলেন না?

হাসির রহস্য কিছুটা ভেদ করেছেন ভিলায়ানুর রামাচন্দ্রন। মস্তিষ্কবিশারদ। মানুষের মস্তিষ্কের বিবর্তনের সাথেই হাসির রহস্যজড়িত, এই ধরে নিয়ে এগিয়েছেন তিনি। আর মানুষের মস্তিষ্কের বিবর্তনের ধাপ বহু, বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন ঘটনা বিভিন্ন গতি আর দিকে টেনে নিয়ে গেছে আমাদের মস্তিষ্ককে।

কেউ যদি হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়, তারপর ধূলো ঝাড়তে ঝাড়তে ওঠে, আমরা অনেকেই হেসে উঠবো। কিন্তু সেই লোক যদি পড়ে গিয়ে মাথা ফাটায় বা অজ্ঞান হয়ে যায়, আমরা হাসবো না, বরং ছুটে যাবো সাহায্য করতে। হাসির রহস্যের একটা আবছা সমাধান আছে এখানেই।

হাসিকে ফলস অ্যালার্ম সিগনাল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন রামাচন্দ্রন।

দলবদ্ধ বৃক্ষচারী পূর্বপুরুষের আমল থেকেই সম্ভবত হাসির সূত্রপাত। বিপদ দেখলে সংকেত দেয়া প্রায় সব দলবদ্ধ প্রাণীর আচরণে গাঁথা, কিন্তু যদি সংকেত দেয়ার পর দেখা যায়, বিপদটা আসলে বিপদ নয়? সেক্ষেত্রে আরেকটি সংকেত দিয়ে দলের বাকিদের জানিয়ে দিতে হবে, আগের সংকেত ভুল ছিলো। ফলস অ্যালার্ম ভাইয়োঁ, ভয়ের কিছু নাই, চরে খাও।

এই ফলস অ্যালার্মের সংকেত আমাদের ভেতরে সেই থেকে বিদ্ধ হয়ে আসছে। সময়ের সাথে এর কিসিম পাল্টে গেছে, মৌখিক ভাষার বিকাশের পর হয়তো এর প্রয়োজন ফুরিয়েছে। কিন্তু এরই সাথে আমাদের চেতনায় ফলস অ্যালার্ম ঠাঁই করে নিয়েছে অন্যভাবে। আমরা আবিষ্কার করেছি এক নতুন জিনিস, হাস্যরস। উদ্ভট কোন পরিস্থিতিতে আমাদের প্রত্যাশিত বিপদ যখন প্রাপ্তিতে নিছক সাদামাটা চেহারা নিয়ে আসে, তখন সেই ফলস অ্যালার্মের সংকেত আমরা দিয়ে উঠি, চেতনার গভীর থেকে।

হাসির গল্পটা খুব একটা হাসির বোধহয় হলো না। উৎসাহীরা চাইলে পড়ে দেখতে পারেন রামাচন্দ্রনের দ্য ইমার্জিং মাইন্ড বইটা। আর বোনাস হিসেবে রইলো মস্তিষ্ক নিয়ে তাঁর একটা বক্তৃতার ভিডিও।

হাসুন সবাই প্রাণ খুলে।


মন্তব্য

সবজান্তা এর ছবি

মানুষ ছাড়া আর কেউ হাসে না।

তথ্যটা কি ঠিক ? আমি যতোদূর জানতাম মানুষের গোত্রীয় শিম্পাজি জাতীয় কেউ মনে হয় হাসতে পারে, মানে APE গ্রুপের কে যেনো পারে, সেইদিনই পড়ছিলাম...


অলমিতি বিস্তারেণ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

যাঁরা এই গল্প পড়ে হাসলেন, তাদের এবার জিজ্ঞেস করি, কেন হাসলেন? কোন জায়গায় এসে হাসলেন? যাঁরা হাসেননি, তাঁদেরও বলি, কেন হাসলেন না?

ইয়ে, মানে...

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রণদীপম বসু এর ছবি

আমার হাসি আসছে না যে...!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

স্পর্শ এর ছবি

কিন্তু বড়মনিদের কৌতুক পড়ে আমরা যে হাসি, সেইটা 'ফলস অ্যালার্ম' থিওরীতে ব্যখ্যা হবে কেমনে? :-/


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফারুক হাসান এর ছবি

আমার তো মনে হয়, বড়মণিদের কৌতুকে ফলস এলার্মই বেশি থাকে, যেটা যত বেশি ফলস, সেটা তত বেশি হাসির!

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি হাসছি দেঁতো হাসি

তবে ফলস এলার্ম থিওরিটা পছন্দ হয় নাই।

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

বইটার খানিকটা পড়ার দুর্ভাগ হয়েছে - গালভরা সাইকোলোজিকাল টার্ম আর বস্তাপচা ডারউইনিয়ান তত্তে ভর্তি এই বই। রিয়েলি ডোন্ট রেকোমেন্ড।

হিমু এর ছবি

ডারউইনিয়ান তত্ত্ব বস্তাপঁচা ঠিক কোন দিক দিয়ে, একটু আলোকিত করবেন সুযোগ পেলে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

বস্তাপঁচা বলার কারণ এই থিওরির বয়স - The Emerging Mind (২০০৩) -এর সারমর্ম The Expression of the Emotions in Man and Animals এর খুবই কাছাকাছি - যা ডারউইন লিখেছেন ১৮৭২ সালে। ইচ্ছে হলে নিজেই পড়ে দেখতে পারেন books.google থেকে - ফুল ভিউ এভ্যাইলেভল। নিন্দুকেরা আরো বলে যে একই লেখকের A Brief Tour of Human Consciousness: From Impostor Poodles to Purple Numbers (২০০৫) একই বই ভিন্ন মোড়কে - যদিও আমি নিজে তা পড়ে দেখিনি বলে জোর দিয়ে বলবো না। কারো কাছে ভালো লাগতেই পারে - দোষের কিছু নেই - আমার বক্তব্য শুধু এই যে আই এম নট দ্যা ওয়ান হু রেকোমেন্ডস ইট - দ্যাটস অল।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গালভরা সাইকোলোজিকাল টার্ম আর বস্তাপচা ডারউইনিয়ান তত্তে ভর্তি এই বই

দাদা, ওজনটা বেশী হয়ে গেল না একটু? এমনও তো হতে পারে, আপনি কিছু কিছু জিনিষ হয়তো বুঝতে পারেন নি! আর ডারউইন ১৮৭২ এ কিছু লিখে থাকলে তা পুরানো হয়ে যাবে আপনার এমন মনে করার কারন টা কী? আর গ্রেট মেন থিংক এলাইক ও তো হতে পারে !!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হিমু এর ছবি

বুঝলাম, থিওরির গুরুত্ব তার বয়স ধরে মাপছেন। তাহলে তো বলতে হয়, ১৮৭২ এর আগে প্রস্তাবিত সকল থিওরিও বস্তাপঁচা। এর মধ্যে পিথাগোরাসের সূত্র, পৃথিবীর সৌরকেন্দ্রিক গতিতত্ত্ব, নিউটনের মহাকর্ষতত্ত্ব, একক ঈশ্বর কর্তৃক মানব, পৃথিবী, স্বর্গ ও নরকসৃজনতত্ত্ব, সবই রীতিমতো পঁচে দুর্গন্ধযুক্ত।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ভোজরাজ কাঁটাওয়ালা এর ছবি

ভাই সাহেব কি মাথা ঝাঁকি দিলে ঝন ঝন শব্দ পান?

দ্রোহী এর ছবি

ফলস অ্যালার্ম হিসাবে হাসির ব্যবহারটা কোথায় যেন পড়েছিলাম। ওয়াইল্ড-স্কোপকে বলছি চোখ কান খোলা রেখে হিস্টোরিক্যাল জিওলজির কয়েকটা বই পড়ে দেখেন। ডারউইনিয়ান তত্ত্বকে অতোটা বস্তাপঁচা মনে হবে না।

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

@ দ্রোহী - "কোথায় যেন পড়েছিলাম!" - চমত্কার রেফারেন্সিং - কোন জ্ঞান-গর্ভ থেকে উঠে এসেছেন দাদা। বাই দ্যা ওয়ে - আরো অনেকের মতো আপনিও দেখা যাচ্ছে থিওরী এবং এভিডেন্স নিয়া কনফিউজড। আপনিও দয়া করে খুজে দেইখেন হিস্টোরিক্যাল জিওলজিস্টরা কেন "মিসিং লিংক" এখনো খুজে বেড়াচ্ছে।

@ সাইফ তাহসিন - বইটি টেক্সট বই হিসেবে পড়িনি - কমন পাঠক হিসেবে পড়ে আমার পাঠক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি - আর গ্রেট মেন থিংক এলাইক বুজরুকী দিয়া লাভ নাই - কেন তা আপনি আমি হগ্গলেই বুঝে। ঔ বুজরুকী কামে দিলে নিউটনের থিওররি আরও কয়েক মিলিয়ন বার পাবলিশ হতো।

হিমু এর ছবি

আপনি কি ডারউইনীয় তত্ত্বের "এভিডেন্স" নিয়েও সন্দিহান? কয়টা মিসিং লিঙ্ক এনে দেখাতে পারলে তারপর মিসিং লিঙ্ক খোঁজা শেষ হবে? আর মিসিং লিঙ্ক খোঁজা তো প্রমাণ দাখিলের জন্যে নয়, বিবর্তনের গতিপথ আরো স্পষ্ট করে ম্যাপিঙের জন্যে।

আপনি যে জ্ঞানগর্ভ থেকে উঠে এসেছেন, সচলায়তনে কমবেশি সবাই কাছাকাছি জ্ঞানগর্ভ থেকেই উত্থিত। এই ধরনের বাক্যপ্রয়োগে আপনার আগ্রহ যদি বেশি থাকে, তাহলে বলবো আপনি ভুল জায়গায় চলে এসেছেন। কারণ অযথা তিক্ত বাক্যব্যয় চলতে থাকলে মূল তর্ক থেকে লোকে সরে যায়, আর সেটা যতদূর জানি, কিছুটা নিরুৎসাহিত করা হয় এখানে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

দ্রোহী এর ছবি

ওয়াইল্ড-স্কোপ, ডরাইছি!!!

আপনে সবজান্তা শমসের সেটা বুঝতে পারিনি। আপনার মতো জ্ঞানীর সাথে আমার তর্ক করা বেয়াদবি হয়েছে। আমি ভোদাই কিসিমের মানুষ। মাফ করে দেবেন স্যার। ভ্রম হয়ে গেছে।

"কোথায় যেন পড়েছিলাম" কথাটা রেফারেন্স হিসাবে বলা হয়নি। হিমুর পোস্টের বিষয়বস্তু সমর্থনে দু/একটা কথা পড়েছিলাম সে কথা জানাতেই ওই বাক্যখানা লেখা। আমি এখানে ঘাড় ত্যাড়া করে হিমুর সাথে ঝগড়ায় নামিনি তাই এনসাইক্লোপিডিয়া নিয়ে বসার প্রয়োজন বোধ করিনি।

একটা বেদরকারী প্রশ্ন। আপনি কী "ত্রিভুজ" নামের কারো সাথে সম্পর্কিত? ত্রিভুজকেও ভীষণ জ্ঞানী হিসাবে খুব শ্রদ্ধা করি।

আপনি সাইকোলজির টার্ম গুলোকে গালভরা বলেন। ডারউইনের তত্ত্বকে বস্তাপঁচা বলেন। জিওলজি আপনার ঠা ঠা মুখস্ত। খোঁজ নিলে দেখা যাবে পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানেও আপনার অগাধ দখল। আবারো মাফ চাইছি স্যার। ক্ষমা করে দেন। গরীব মানুষ। আপনি রেগে গেলে না খেতে পেয়ে মরে যাবো স্যার।

সবজান্তা এর ছবি

আপনে সবজান্তা শমসের সেটা বুঝতে পারিনি।

আমার মতো দুই পয়সার বেকার যুবকের সাথে এমন বহুমূল্যবান লোকের নাম নিয়ে নয়ছয় করার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

গত কয়েকদিনের কমেন্ট দেখেই টের পেয়েছি,উনি বিরাট জ্ঞানী মানুষ। আশা করি উনি থাকবেন আমাদের মাঝেই, আমরাও কিছু শিখি দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

@ দ্রোহী - দুঃখিত - "ত্রিভুজ" নামের কাওকে চিনি না বা কারো সাথে সম্পর্কিতও না।
@ হিমু - আমার দুর্বল বাংলার কারনে সম্ভবত বক্তব্য ক্লিয়ার ছিলনা - মুল দোষ বাংলা টাইপিং-এ অনভ্যস্ততা। বস্তাপঁচা শব্দটা এই সেন্স-এ ব্যাবহার করা হয়ে ছিল যে সাইকোলোজিতে ইভোলুশনের প্রভাব নতুন কিছু না। আর ডারউইনীয় তত্ত্বের কনট্র্রোভাসি - সেতো বাটার এক্ট ও স্কোপস মাংকি ট্রায়াল (১৯২৬) খেকেও পুরাতন - সে বিষয়ে কনটিনিউটি রক্ষার্থে এই পোস্টে কিছু না বলি - মূল তর্ক থেকে সরে যাওয়া হবে।

হিমু এর ছবি

রামাচন্দ্রনের কাজ নিওরোলজি নিয়ে, তাঁর বইতে নিওরোলজির হার্ডওয়্যারের ব্যাখ্যার পাশাপাশি সম্ভাব্য সাইকোলজির সফটওয়্যারের ব্যাখ্যা তুলনা করা হয়েছিলো কয়েক জায়গায়, যতদূর মনে পড়ে (এই লেখাটা প্রায় তিন বছর আগে লেখা, এখন হাতের কাছে ইমার্জিং মাইন্ড বইটা নেই বলে উদ্ধৃত করতে পারছি না কিছু, স্মৃতি থেকে বলছি)। সাইকোলজিতে বিবর্তনের প্রভাব নতুন কিছু কি না, সেটি নিয়ে আলাদা আলোচনা হতে পারে, কিন্তু আপনি বিবেচনা করে দেখুন, কথাটা কীরকম হাস্যকর। আজকে ধরুন আপনি ব্লগিং এর কোন একটি দিক আলোচনা করতে গিয়ে পরিসংখ্যানের আশ্রয় নিলেন, আর আমি এসে বললাম, আপনার লেখাটা বস্তাপঁচা ফিশারিয়ান তত্ত্ব দিয়ে ভরা, তারপর নিজের কথা ব্যাখ্যা করার জন্যে বললাম, ব্লগিং-এ পরিসংখ্যানের প্রভাব নতুন কিছু না। আপনার কাছে নিশ্চয়ই আমার কথা হাস্যকর শোনাবে, তাই না? নতুন ব্যাখ্যা বা ব্যাখ্যাগুলি কী, কেন সেগুলি বস্তাপঁচা মনে হয়েছিলো আপনার কাছে, সেটিই বরং বেশি কৌতূহলপ্রদ।

ডারউইনের তত্ত্বের "কনট্রোভার্সি" নিয়ে আপনি মন খুলে লিখুন, সমস্যা দেখি না। মূল তর্কটা ওটা নিয়েই শুরু। সূর্য আর পৃথিবী, কে কাকে কেন্দ্র করে ঘোরে, সেটা নিয়ে "কনট্রোভার্সি"ও বহু পুরাতন। পুরাতন বলে আলোচনার পাতে ওঠার যোগ্য হবে না, এমন তো কোন বাধা নেই।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুমন চৌধুরী এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

হিমু এর ছবি

প্লিজ ... আমরা এত দ্রুত কনক্লুশনে না পৌঁছাই ... রয়েসয়ে ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ঠিকাছে।

ইন্ট্রুডাকশান আর কনক্লুশানের মাঝখানের মিসিং লিঙ্ক জান্তে চাই।



অজ্ঞাতবাস

রেনেট এর ছবি

আমার কিন্তু মন্তব্যগুলান পইড়া হাসি পাইতাসে দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি আমারো লইজ্জা লাগে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

বদ্দা বড়ই দূরদর্শী চোখ টিপি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এতো কঠিন কঠিন মন্তব্য!!!

সৌরভ এর ছবি

সচলরা গোমরামুখো হয়ে যাচ্ছে, স্যার।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ফারুক হাসান এর ছবি

তাড়াতাড়ি দ্যান। বিষন্নবালকেরই যদি এই মনে হয়, তাইলে ঘটনা বুজতে পারতেছেন!!!

সিরাত এর ছবি

দারুন লাগলো হিমু ভাই। আপনারে পাঁচ দিতাইরা সচল হওয়ার মজা টের পাইতেছি! হাসি

সিরাত এর ছবি

ভিডিওটা দেখলাম। অত্যন্ত দারুন ভিডিও। সুযোগ থাকলে ভিডিওরেও পাঁচ দিতাম।

শামীম এর ছবি

ফলস্ এলার্ম তত্বটা পছন্দ হয়েছে ... ... বিভিন্ন রকম হাসির একটা বড় অংশ এটা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় বলেই মনে হচ্ছে। ডিজিটাল বঙ্গদেশের ফ্রডব্যান্ড কল্যানে ভিডিওটা দেখার সাহস পাচ্ছি না ... ... যদিও ওটা দেখলে আরও ভালভাবে বোঝা যেত বলে মনে হয়।

হাসি খুশি থাকুন (ফলস্ এলার্ম পেতে থাকুন!) .... ...

রামচন্দ্রন-এর গবেষণাপত্র
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্ভবত কোন বইয়ে অথবা পেপারে পড়েছিলাম...
জন্মের প্রথম ৪ মাস শিশু চোখে ঘোলা দেখে...অর্থাৎ তখন সে তার সামনে থাকা মানুষের মুখ ভঙ্গি দেখতে পারেনা সুতরাং অনুকরণের প্রশ্ন আসেনা..
কিন্তু আমি সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকে হাসতে দেখেছি....এর ব্যাখ্যা কি??

( জয়িতা )

সাইফ তাহসিন এর ছবি

জয়িতা, শিশু আসলে ঘোলা দেখে না, তার দৃষ্টিসীমা ৩০" , আর সে তার মা'কে চিনে তার গন্ধ থেকে, যে হাসিটি সে হাসে, তাকে বলে "সোশ্যাল স্মাইল", সাধারনত মাকে দেখলে সে এই কাজটি করে বেশী, এটি সে বুঝে করে না, অনেকটা রিফ্লেক্স এর মত। যেমন সে হাতের মুঠোর মাঝে আঙ্গুল পেলে চেপে ধরে। ওই ৩০" এর মাঝে আসলে সে পরিষ্কার দেখতে পায়, এটা তার ডেভেলপমেন্টাল মাইল ফলক হিসাবে বিবেচিত হয়। ৩-৪ মাস পরে শিশুর এই অভ্যাস আর থাকে না।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আহারে হাসি মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অসমাপ্ত এর ছবি

হাসির গল্প বলার ছলে "ফলস্ এলার্ম তত্ব"!! ....আসলেই ফলস এলার্ম। হাসি

...তবে তত্বটা পছন্দ হয়েছে। কি কি কারণে হাসি ...ভেবে দেখে মেলানোর চেষ্টা করব।

তুলিরেখা এর ছবি

হি হি হি।(হাসলাম।)

ফলস অ্যলার্ম থিওরি নিয়ে আমার একটা সরল প্রশ্ন ছিল-দলবদ্ধ প্রাণী তো আরো অনেক আছে, হাতি হরিণ বাইসন ইত্যাদি ! তাহলে তাদেরও তো মাঝে মাঝে ফলস অ্যালার্ম দিতে হয়। তাদের বেলায় কি হয়? তারাও কি হাসে তবে?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

দ্রোহী এর ছবি

তুলিরেখা এর ছবি

দ্রোহী! কিছুই বুঝবার পারতেছি না। কিসের লিঙ্ক?
এইটা কি আসলে কোনো গূঢ় অর্থের কোনো লেখা ছিল? সেইক্ষেত্রে আমি কিছুই বুঝি নাই।
অজান্তে কোনো আঘাত করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার প্রশ্নটা একেবারে এমনিই ছিল, কোনো ভিন্ন অর্থে না।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হিমু এর ছবি

দ্রোহী আপনাকে বলেননি কিছু হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হিমুর হাসির গল্পটা পড়ে আমার হাসি আসে নাই, চিন্তা শুরু হইয়া গেছে।
চিন্তার লিংক গুলো (মিসিং লিংক না) টুকে রাখি-

১) উত্তপ্ত মরুভূমিতে ভদ্রলোক চেরাগ যে পেলো তার গ্যারাণ্টর কে? পঞ্চাশ টাকার স্ট্যাম্পে কেউ কি নোটারী করে এই মর্মে প্রত্যায়ন করেছে যে সেই ব্যক্তি আসলে মরীচিকা দেখে নাই! চিন্তিত

২) চেরাগ যখন পেলোই, তখন ঘঁষা দিলো কীসে? সূত্রমতে একটা পাথরের সাথে ঘঁষাঘষি করার কথা। তো সেই পাথরের কথা গল্পে বলা নাই। তাইলে কি ঐ ব্যক্তি গায়েবী শক্তি দিয়া চেরাগ ঘঁষছে?

৩) চেরাগের দৈত্যরে দেখে মরুভূমির মুসাফীর প্রথমেই যেটা চাইবে সেটা হলো, নোয়াখাইল্যা ভাষায় 'হানি'। কিংবা শরাবনে তহুরাও চাইতে পারে ইনক্লুডিং চকচকে চোখের একজন সাকি, আমার মতো রসিক হলে। ঐ ব্যাটা এইসব কিছুই না চেয়ে বললো, বাড়ি যেতে চাই। এর পেছনে নিশ্চই কোনো ঘাপলা আছে!

৪) দৈত্য হালায় আসলে একটা ফাউল। মালিকরে ফ্লাইং কার্পেটে না চড়াইয়া ঐ তপ্ত বালুর উপর দিয়া হাঁটাইয়া নিয়া যাচ্ছে। অরে ধইরা তো চাবকানো উচিৎ।

৫) দৈত্য হালার আইকিউও মারাত্বক কম। তাড়াতাড়ি যেতে চাইলো বলে সে মালিককে পেছন পেছন দৌঁড়াতে বললো। অতো কিছু না করে বললেই হতো, "বস, পিছনে চাইয়া দেখেন আপনের বেগম আইতাছে!"
- ব্যস, মালিকরে কি আর তার পথ দেখায়া নিয়া যাইতে হয়? মালিকতো নিজের জানের ডরেই চোখের পলকে উলটা দৈত্যরে কোলে নিয়া লৌড় লাগাইতো!

৬) এতো কিছুর পরেও চেরাগের মালিক আসলে বাড়ি পৌঁছাইতে পারে নাই। পারলে এইটা আর গল্প হইতো না। যেহেতু চেরাগ পাওয়ার পরেও ঐ লোক বাড়িতে পৌঁছাইতে পারে নাই, অতএব চেরাগ পাওয়ার ঘটনা সম্পূর্ণ বানোয়াট, মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি এই ভুগিচুগির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করছি।

[প্রদত্ত এইসব লিংকে প্রচুর মিসিং লিংক আছে, কেউ কেউ ধরায়া অশেষ নেকী হাসিল করলেও করতে পারেন, না করুম না]
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

অধিকাংশ ক্ষেত্রে যৌনাকাঙ্খাই অসহনীয় মাথাব্যথার কারণ!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ভুলে যাবেন না জনাব, এই পোস্টের লেখক কিন্তু একজন প্রাক্তন মডু। কানকথা শোনা যায়, রংধনু মডুদের দরবারে তিনি প্রায়ই গাছের শিং মাছটা, মাচার বড় লাউটা নিয়ে যান। শোনায় যায় নিজের নাঁকি সুরের সুললিত কণ্ঠে নাকি জলছাও করেন ঐখানে তিনি। তিনি কোন সুপারিশ নিয়ে যান সেখানে? ধুগো-দ্রোহী কমেণ্টবাজদের একটু টাইট দিতে!

আপনি যে তারে জনৈক মহাজন বললেন ঘুরিয়ে পেচিয়ে, তিনি এটা বুঝে গেলে কিন্তু খবরই আছে আপনের। তখন আমি কিছু জানি না কৈলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

মহাজন কী পোস্টের লেখকরে কইলাম না জনৈক মন্তব্যবাজরে কইলাম সেইটা ভেবে দেখতে হবে বৈকি!

দ্রোহী এর ছবি

এইসব ভুগিচুগি দিয়া লাভ নাই। মেম্বরে জায়গামতোই হাত দিসে। কন, ইদানিং আপনার এত মাথাব্যথা হয় ক্যান?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মেম্বর তো জাগামতোই হাত দিবে, এতে আর আশ্চর্য কী! ইস্পাতের জাঙ্গিয়া পরিধিত আছেন কিনা, সেইটা কি আরেকজনে হাত দিয়া পরখ করে দিবে নাকি? চিন্তিত
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

কথা কিন্তু ঠিকই ঘুরাইয়া ফালাইলেন। মাথাব্যথার কথাটা কী সুন্দর এড়াইয়া গেলেন!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমি ঘুরাইলাম? আপনে যতোই চেষ্টা করেন, পোস্টের লেখককে কি কেশগুচ্ছহীন ভাবছেন? তিনি ঠিকই বুঝিয়া লইবেন কাহাকে কী বলিয়াছেন! তেনার ঘুম ভাঙুক খালি, বুঝবেন হাউ মেনি পেডি কাটস হু'জ ড্যাডি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

লাভ নাই। যথারীতি আপনে প্যাঁচে পইড়া যাবেন। এইটা আপনে আমি দুইজনেই জানি।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বুড়া হৈলে মানুষের মতিভ্রম হয়। খোয়াব দেখে খালি। এইটা আমিও জানি, আপনেও জানেন।
কী আর করা মেম্বর, এটাই জগতের নিয়ম, মাইনা নেন। সবাই তো আর চিরকাল ধুগো'র মতো থাকতে পারে না। দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

ধুগো'র মতো জিনিসটা কী একটু যদি ব্যাখ্যা করতেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধুগো ইজ ধুগো, 'অলওয়েজ এইটিন'।
ব্যাখ্যায় যাইতে পারুম না। আর ঘণ্টাখানেক ওয়েট করেন কষ্ট কইরা। লেখকের ঘুম এই ভাঙলো বইলা! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দ্রোহী এর ছবি

"অলওয়েজ এইটিন"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

"বস, পিছনে চাইয়া দেখেন আপনের বেগম আইতাছে!"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তুলিরেখা এর ছবি

ব্যাটা তো দৈত্যরে মরুভূমিতে তার জন্য এক সুখরাজ্য বানাইয়া দিতে কইলেই পারতো, তাইলে খানাপিনা নাচাগানা হুরপরী বেগমহানি সবই পাইতো। আশেপাশের চাইরটা গরীব লোকেরও কিছু চাকরিবাকরি জুটতো! হাসি
কোনো একটা ইয়ে মানে বিবেচনা নাই।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মন্তব্যগুলো সিরিয়াল সহ এবং সিরিয়াল ভেঙে পড়ার পরেও ঠিকমত বুঝতে পারলাম না। অনেক লিংক মিসিং আছে।

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

হিমু লিখেছেন:
আপনি বিবেচনা করে দেখুন, কথাটা কীরকম হাস্যকর। আজকে ধরুন আপনি ব্লগিং এর কোন একটি দিক আলোচনা করতে গিয়ে পরিসংখ্যানের আশ্রয় নিলেন, আর আমি এসে বললাম, আপনার লেখাটা বস্তাপঁচা ফিশারিয়ান তত্ত্ব দিয়ে ভরা, তারপর নিজের কথা ব্যাখ্যা করার জন্যে বললাম, ব্লগিং-এ পরিসংখ্যানের প্রভাব নতুন কিছু না। আপনার কাছে নিশ্চয়ই আমার কথা হাস্যকর শোনাবে, তাই না?

ডারউইনের তত্ত্বের "কনট্রোভার্সি" নিয়ে আপনি মন খুলে লিখুন, সমস্যা দেখি না। মূল তর্কটা ওটা নিয়েই শুরু।

কথার মারপ্যাচ ভালোই দিলেন বাট সত্য কথা এই যে (আপনার উদাহারনের রেশ ধরে বলছি) আপনার কম্পারিজন খানিকটা অপ্রাসংগীক এই সেন্সে যে ম্যাথ / স্ট্যাট ও হিস্টোরিক্যাল জিওলজির থিওরি প্রমান পদ্বতি এক নয় - যদিও কথার কথা হিসেবে তা না হয় মানলাম - কিন্তু ইভেন বস্তাপঁচা ফিশারিয়ান তত্ত্বও বহুত ইভ্যোলুশনের মধ্য দিয়ে গেছে - অলটারনেটিভ মেথডুলজি - যেমন বেঈজিয়ান বা রোবাষ্ট মেথডলজি তত্ত্বই আজ বরং বেশী জনপ্রিয়। তার অর্থ এই নয় যে পুরাতন তত্ত্ব ভুল - আমার বক্তব্য এই ছিল যে উল্লেখিত বইটির তত্ব আমার কাছে নতুন বা চমত্প্রদ লাগেনি (আমার নিজস্ব পাঠক প্রতিক্রিয়া মাত্র - আগেই বলেছি)।

আগেও দেখেছি ডারউইনীয় তত্ত্ব তর্কে লোকজন কট্টর মৌলবাদিদের মতো "সালিশ মানি - তালগাছ আমার" টাইপ চালায়। ডারউইনীয় তত্ত্ব প্রমানিত এবসল্যুট না বলেই "ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন" তত্ত্ব এসেছে - প্রাগৈতিহাসিক ধর্মান্ধেদের কাছ থেকে নয় - বরং নামিদামি বিজ্ঞানীদের থেকে। মনে রাখা উচিত যে বিজ্ঞান এবসল্যুশনে বিস্বাসী না - এটা ধর্মান্ধেদের ক্রাইটেরিয়া।

যাই হোক - আজ খ্যামা দিলাম - নইলে পরিক্ষায় ফেল করে নিজেই মিসিং লিঙ্ক হয়ে যাবো। দয়া করে আমার মন্তব্য কেউ পারসোনালি নিয়েন না - সবই তর্কের খাতিরে তর্ক - কোনকিছুই এবসল্যুট না।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কথার প্যাচমার তো আপনি চালাচ্ছেন ভাইয়া। ডারউইনকে খুব করে গালি দিলেও পয়েন্টগুলি পরিস্কার করছেন না। আশপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছেন।

ডারউইনকে বুঝলেও আপনাকে পারছি না।



অজ্ঞাতবাস

হিমু এর ছবি

আমি আপনার কাছে ডারউইনীয় তত্ত্বের খুঁতগুলিই শুনতে চাইছি। ডারউইনের নামে জিকিরও করছি না, ডারউইনবিরোধীদের মুণ্ডপাতও করছি না। বস্তাপঁচা থেকে শুরু করে কট্টর মৌলবাদী শব্দগুলো আপনার কাছ থেকেই আসছে। এখন আমি যদি আপনার ভাষাভঙ্গিতে আপনার সাথে তর্ক শুরু করি, আপনি নিশ্চিতভাবে আহত হবেন।

আপনি ত্রুটিগুলি সামনে না এনে নামীদামী বিজ্ঞানীদের ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন তত্ত্বকে সাক্ষী মানছেন। আপনার পরীক্ষা শেষ হলে আপনি সময় নিয়ে ডারউইনের তত্ত্বের ভুলগুলি ধরিয়ে দিতে পারেন, কোন সমস্যা দেখি না। স্মরণ করিয়ে দিই, ডারউইনের তত্ত্ব সম্পর্কিত তর্কও বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। আপনি হয়তো সেগুলি সম্পর্কে অবগত আছেন। নিতান্ত নতুন কিছু না পেলে আমি আপনার যুক্তির উত্তরে সচলায়তনে প্রকাশিত কিছু লেখার লিঙ্ক ধরিয়ে দেবো, বা অংশবিশেষ উদ্ধৃত করবো শুধু।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।