ডুবিয়ে তরী ঝাঁপিয়ে পড়ি

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৫/২০১১ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মরে গিয়ে বেঁচে গিয়েছিলো রবি।

শেষদিকে লোকজন বেজায় ত্যক্ত করতো। গুরুদেব গুরুদেব ডেকে পাগল করে ফেলতো। একটু স্বস্তি নাই, শান্তি নাই, আছে কেবল লোকজনের ঘ্যানঘ্যান, তাগাদা, আবদার, তৈলমর্দন, টাকে চুল গজানোর তেলের সার্টিফিকেট লিখে দেয়ার জন্যে অধ্যবসায়ী কবিরাজের ঘন ঘন দর্শন।

জীবনটার ত্যানা পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সুতো বের করে ছেড়েছিলো ব্যাটারা।

তাই শ্যামসমান মরণের শরণ নিয়েই রবি খুব বাঁচা বেঁচে গিয়েছিলো। এইবার দেখি তোরা কী করিস। শ্যালকের দল।

প্রেতযোনিপ্রাপ্তি প্রথম দিকটায় বেশ ফুরফুরেই লাগছিলো রবির। কোনো হুড়ো নেই, গিয়ানজাম নেই, যখন যেখানে খুশি যাও, যা খুশি দ্যাখো, যা খুশি শোনো। মর্ত্যলোকের দুয়ার একেবারে চিচিং ফাঁক করে খোলা।

প্রেতলোকের কতিপয় দুঃশীল বাসিন্দার কথা বাদ দিলে মরণটা নেহায়েত খারাপ কিছু নয়। জীবনের মতোই। ওখানেও কি বিটকেল কম ছিলো? কল্লোল যুগের ডেঁপোগুলি কী যে জ্বালাতন শুরু করেছিলো শেষটায়, কহতব্য নয়!

কিন্তু একদিন একটা বেলগাছে আরাম করে শুয়ে নিচের ছায়াসুনিবিড় পৃথিবীটাকে দেখতে দেখতে হঠাৎ রবির মনে হলো, আচ্ছা, লোকজন আমাকে মনে রেখেছে তো?

বেজায় পীড়িত হলো রবি। কৌতূহল তো নয়, বিল্বকণ্টক একেবারে। রাতটা কোনোমতে ছটফট করে এপাশওপাশ ফিরে পার করে সকালেই ঢাকার দিকে উড়াল দিলো সে। কোলকাতায় গিয়ে লাভ নেই, ভোটের মরশুম এখন, বেজায় কেলো চলছে, মর্ত্যলোকের বিটকেলগুলো সব একাট্টা হয়ে হাল্লাচিল্লা করে বেড়াচ্ছে। তার ওপর আছে হিন্দি সিনেমার জগঝম্প। ঢাকায় বেশ একটা সার্ধশতপনা চলছে। চারদিকে রবীন্দ্র রবীন্দ্র ভাব। পলিটিশিয়ানগুলো পর্যন্ত পারলে দুই লাইন রবি বলে।

টঙ্গির কাছাকাছি আসতেই রবির ভুতুড়ে শরীরটা একটু কেমন কেমন করে উঠলো। শেষবার এমন হয়েছিলো নোবেলের মোহরখানা চুরি যাবার পর।

শেরেবাংলা নগরের একটা শ্যাওড়া গাছে ল্যাণ্ড করে রবি বুঝলো, বিষম জ্বর উঠেছে। মনে হয় ভূতের টাইফয়েড। কিন্তু আবার কী ঘটালো বাঙালগুলো?

বিস্তারিত জানার জন্যে শ্যাওড়া গাছ থেকে সুড়ুৎ করে নেমে টলতে টলতে কাছে এক বাড়ির টেলিভিশনে উঁকি দিলো রবি। তারপর যা দেখলো, সে কহতব্য নয়।

কিন্তু কইতে তো হবেই, তাই না? নইলে গল্প কেন?

রবি দেখতে পেলো, স্ক্রিন জুড়ে হাফমজুর রহমান নামে এক ডাক্তার পরম আহ্লাদে উঁচিয়ে ধরে আছে একখানা গানের সিডি। মোড়কে দুই বাংলার হৃদকম্প গানের বাদুড় ভিভা রহমানের হাস্যোজ্জ্বল ছবি। একটা ভুতুড়ে চশমা চোখে এঁটে রবি দেখতে পেলো, অ্যালবামের গায়ে লেখা কথাবার্তাগুলো বেশ পরিচিত ঠেকছে। আ মোলো, রবিরই লেখা গান নয় কি?

রবির ভুতুড়ে হার্টখানা এ দৃশ্য দেখে প্রবল গোঁ ধরে হরতাল করে বসলো। চিবিয়ে চিবিয়ে বললো, ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা, হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা।

আর এভাবেই আপন ভুতুড়ে হৃদযন্ত্রের নিষ্ঠুরতায় মৃত্যুর মাত্র সত্তর বছর পর প্রেতলোক পরিত্যাগ করতে হলো রবিকে।

ভূত মরলে কী হয়, তা গল্পকারের জানা নেই।


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

গুল্লি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হো হো হো গুল্লি

ক্ষমা যেথা ক্ষীণ দুর্বলতা, হে রুদ্র, নিষ্ঠুর যেন হতে পারি তথা।

কীভাবে এদেরকে এসব উদ্ভট কাজ করা থেকে নিষ্কৃত রাখা যায়!?! চিন্তিত

onogh এর ছবি

কীভাবে এদেরকে এসব উদ্ভট কাজ করা থেকে নিষ্কৃত রাখা যায়!?!

দরকার কি? আমরা হাসতে তো পারি এদের কান্ডকারখানা দেইখা। এই দুর্মুল‌্যের বাজারে মাগনা এতটুকুই বা করে কে?

বাংগাল দেশে এসে রবিমিয়া প্রেতধাম পরিত্যাগ করলেন, ঐপারের "উলালা উলালা পাগলা হাওয়া" শুনে কি যে করতেন ভেবে পাচ্ছিনা দাদা।

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

হো হো হো

দাদা, ঐ পারের ভিভারূপ কর্মকাণ্ডক দেখে আক্কেল গুড়ুম হয়ে পড়ে গেলাম!!! মন খারাপ

সায়ন (১) এর ছবি

গুল্লি
টিভির সাউন্ড মিউট করে রাখলে রবি প্রেতলোক পরিত্যাগ না করে মর্ত্যলোকে আবার ফিরে আসতে চাইতেন

কৌস্তুভ এর ছবি

পুরোই ব্লাসফেমি! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কেন, ত্রৈলোক্যনাথ যে বলেছিলেন, ভূত মরে মার্বেল হয়?

হাফমজুর বা ভিভার সঙ্গে পরিচিত নই। কী অমূল্য রতন আমার সঙ্গোপনে রহিয়া গেল, তাহাই ভাবিতেছি...

মন_মাঝি এর ছবি

হাফমজুর বা ভিভার সঙ্গে পরিচিত নই।

বেচারি.... কত রস আর বিনোদন থেকেই না আপনি বঞ্চিত !

মাহে আলম খান এর ছবি

হাফমজুর দেঁতো হাসি হো হো হো জটিল বলেছেন।

একজন পাঠক এর ছবি

মাহফজুর রহমান এটিএন বাংলার হর্তা কর্তা। মিডিয়া জগতের লোক। তার তো জানা উচিত জোর জবরদস্তি করে কাউকে দিয়ে গান গাওয়ানো যায় না। তা কথা হল, ইভা রহমান গান করুক তাতে আপত্তি নাই, কিন্তু সেটা শিখে এসে করলে কি অনিষ্ট হত? পয়সা কড়ির তো অভাব নাই, বাসায় ওস্তাদ রেখে গত দশ বছর শেখার জন্য সাধনা করলে মনে হয় সেটার ফল পাওয়া যেত। শুধু শুধু লোকজনের কাছ থেকে বিদ্রুপ কুড়ানোর চেয়ে এই সব ভড়ং বরং বাদ দেয়া উচিত। গানের ব্যাকগ্রাউন্ডে ব্যাংকক-নিউইর্য়ক- ঢাকার লোকেশন ছাপ মারার চেষ্টা যে খুবই হাস্যকর সেটা মাহফুজুর বা ইভার কানে কানে হলেও কেউ কি বলে না ?

জি.এম.তানিম এর ছবি

নামের বানান ভুল আছে... এইটা ডিভা রহমান হবে দেঁতো হাসি

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

আমিও তাই ভাবছিলুম

কৌস্তুভ এর ছবি

হো হো হো

জুন্নুন এর ছবি

হাহাহাহাহাহাহাহা.. জব্বর দিয়েচেন বাহে... গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক

নিবিড় এর ছবি
অতিথি অতীত এর ছবি

হাফমজুরের সাইজ তো কমসে কম আড়াই মজুরের সমান। তাইলে হাফমজুর নাম হইলো ক্যামনে? চিন্তিত

হিমু ভাই, ভিভা নামক আন্দিজ পর্বতধারী কোকিলকন্ঠী ফাঁটাকুমড়ার কথা তো বললেন। কিন্তু রাবীন্দ্রিক ফ্যাশন নামে আলুতে যেসব আলুথালু সাইজ দেখলাম সেগুলো না দেখাইয়াই রবির ভুতুড়ে হৃৎপিন্ডখানিকে বন্ধ করা উচিত হয়নাই। ভুতের কি সাধ-আহলাদ বলে কিছু নাই। তাও আবার গুরুদেবের ভুত। আলুতে আইলে হয়তো আদর করে রবিরে একটা ফ্যাশন ধরায় দিতো। ফ্যাশনের নাম গুরুদেবের ভুতের আড়ং, সংক্ষেপে গুতং। যারা এর মডেল হতো, তাদের দেখে হয়তো রবির ভুতুড়ে হৃদয় কুচ কুচ হোতায় যাইতো। দেঁতো হাসি

অতীত

সারওয়ার রেজা এর ছবি

ভূত মরলে মার্বেল হয় হাসি

বন্দনা কবীর এর ছবি

এখানে কমেন্ট করা বহু ঝামেলার ব্যাপার হুইয়া দাঁড়াইয়াছে তথাপি, ভাল লাগা জানাইয়া গেলাম।

বন্দনা কবীর

বিলাস এর ছবি

মাঝে মাঝে নিজে-ই বিষ খেতে ইচ্ছে করে। এ অনাচার আর সহ্য হয়না । লেখা চরম। গুল্লি

তুলিরেখা এর ছবি

দারুণ লেখা।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

তোফা তোফা!
রবির বিজ্ঞাপনে ঢাকা সয়লাব, জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে হাসি

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সার্ধশতপনা

চলুক


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

চমৎকার লেখা ।
সত্যি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এবার মিডিয়ার কিছু আদিখ্যেতা দেখে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে পড়েছিল।
সব সময় দেখলাম রবীন্দ্রচর্চা থেকে যারা দূরে থাকে, রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে নাক সিটকায় বা এর বদলে সহজে জনপ্রিয়তার জন্য অন্য পথ ধরে হাঁটে তারাই কোনভাবে একটু পরিচিতি পেলেই রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে বাহাদুরি দেখানোর ইচ্ছা পোষণ করে। যেন এটা না করলে শেষ পর্যন্ত আর জাতে উঠতে পারবে না। এরই নিকৃষ্টতম নমুনা এই ইভা স্যরি! ভিভার ক্যারিকেচার। কোন এক চ্যানেলে রবীন্দ্র প্রাণিত পোষাকের ফ্যাশন শো যেটা আজকের নকশায়! সম্ভবত বেরিয়েছে একই রকম জঘন্য মনে হয়েছে।
সত্যি রবিবাবু মরে গিয়ে বেঁচেছেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এটা নাকি ইভা রহমানের গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীতের দ্বিতীয় অ্যালবাম!!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সচল জাহিদ এর ছবি

উপমহাদেশের অন্যতম খ্যাতি সম্পন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন মহান শিল্পীকে (!!!) নিয়ে এই সব হাস্যরসের তেব্য পেত্যিবাদ ও দিক্কার জানাই !!!!! আগে এইডা দেখেন সবাই।

ভিডিও দেইখা প্রথমে ভাবছিলাম বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীত পুরষ্কার 'কাদাকার এওয়ার্ড' (মানে পাবলিক ক্ষেইপ্যা কাদা দিছে আরকি) বিজয়ী ইভা রহমান। পরে দেখলাম, ঘটনা সাংঘাতিক, কালাকার এওয়ার্ডও তিনি হাতিয়েছেন, কিসের জোরে সেকথা নাইবা বললাম। যাক উপমহাদেশের রুনা লায়লা, গুলাম আলী দের পাশে এখন ইভা রহমানের নাম শোভা পাবে !!!


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

জাহিদ ভাই, লিস্টটায় চোখ বুলিয়ে এখন চোখে ঝাপসা দেখছি। রুনা লায়লা ছাড়া কালাকার এওয়ার্ডপ্রাপ্ত অন্য তিনজনের মধ্যে ভিভাকে চিনি তার ভাঁড়ামির মাধ্যমে আর অন্য দুজনের নামই শুনিনি। এ এওয়ার্ড দেয় কারা ভাই? জানাশোনা থাকলে জানিয়েন, একটা চাঞ্চ নেবো। চোখ টিপি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সচল জাহিদ এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাই, আমারো কোন ধারনা নেই। তবে আমার মতামত, যে কতৃপক্ষ ইভা রহমানকে সংগীতে এই এওয়ার্ড দিতে পারে সেই কতৃপক্ষের এওয়ার্ড গুনী লোকদের চোখ বন্ধ করে প্রত্যাখ্যান করা উচিৎ। তা না হলে এই সব শোডাউন এর মাধ্যমে এওয়ার্ড বেচা কেনা চলতেই থাকবে।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিকই বলেছেন। এই ঘটনা আর এক সপ্তাহ আগে জানতে পারলে পয়সা খরচ করে ইভা রহমানের কিছু গানের কপি গোলাম আলী সাহেবের কাছে পাঠাতাম। আর রুনা লায়লা মনে হয় ব্যাপারটা জানেন। আমার এক মামা আছেন রুনা লায়লার ম্যানেজার। তিনি ভিভার হাবিরও খুব ক্লোজ। জটিল দুনিয়া। আল্লার কি কুদরত, লাঠির মধ্যে শরবত।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সায়ন (১) এর ছবি

দর্শকদের মাঝে যারা নাচতেছিল ওরাও কি ইভা রহমান সাথে নিয়ে গিয়েছিল নাকি?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ওই লোক যে পরিমাণে তেল দিলো, তাতে সে নিজের শরীরের সমস্ত ফ্যাট লস করে অনুষ্ঠানের পরে পুরা জিরো ফিগার হয়ে যাওয়ার কথা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আত্মহত্যার ইমো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মন_মাঝি এর ছবি

ভূত মরলে কী হয়, তা গল্পকারের জানা নেই।

ভূত মরলে শর্মিলা বসু হয়। তবে নিজের গানের 'সাধ শত ধর্ষন' দেখতে দেখতে ভূতক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে অক্কা পাওয়া রবীন্দ্রভূতের কি হয়, তা আমিও জানি না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোথায় পড়েছিলাম বা শুনেছিলাম উনি নাকি দেশ-বিদেশের বড়বড় শিল্পীদের থেকে তালিম নিচ্ছিলেন। রবীন্দ্রসংগীতের কনফারেন্স না কি যেন একটা হয়েছিলও মনে পড়ছে। অবশ্যই এটিএন বাংলা এবং তার পরিচালক এর প্রধানপৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

হাসিন এর ছবি

লোকটা যে গান গাইতে পছন্দ করে তাতে তো কোন সন্দেহ নাই। মানুষরে নিয়ে এত তামাশা কেন ভাই।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

স্বর্গবার্তার সাম্প্রতিক এডিশনে প্রকাশ, রবি প্রেতধাম ত্যাগ করার পর এখন নিশ্চিন্তে তার তানপুরায় শান দিয়ে চলেছেন। ভিভা রহমান প্রেতধামে প্রবেশ করিবামাত্রই ডুয়েট ট্যাঙ্গো নৃত্য (এখানে গল্পের শিরোনাম খানা তেলওয়াৎ করিতে হইবে পাঠকে) শুরু করিবার বাসনায়...

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আইয়ুব খান আর তার এদেশিয় চামচারা রবীন্দ্র সঙ্গীত আর রবীন্দ্র চর্চ্চা নিষিদ্ধ করে বাঙালীকে রবিঠাকুরের নাম ভোলাতে চেয়েছিলো। হাঁটুতে বুদ্ধিওয়ালা মূর্খের দলের কাছ থেকে এরচেয়ে ভিন্ন কোনো উদ্যোগ আশা করা যায় না। যাকগে, সে দফা রবিঠাকুরের নাম ভোলানো তো যায়ই-নি বরং তিনি আরো প্রবলভাবে বাঙালীর চেতনায় জাগ্রত হয়েছিলেন। এখন এই কর্পোরেট বৈশ্যদের যুগে রবীন্দ্রনাথকে একটা বাজার চলতি ফ্যাশন বানানো আর এক্সপেরিমেন্টের নামে ক্রমাগত রবীন্দ্রধর্ষণের মাধ্যমে আইয়ুব খানদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার একটা চেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে। তবে, আমি হতাশ নই। কর্পোরেট বেশ্যাদের নিজস্ব ধর্ম অনুযায়ীই অল্প কিছুদিন পর তারা এই রবীন্দ্রদলন থেকে আর টাকা কামাতে না পেরে নতুন কিছুর দিকে ঝুঁকবে। প্রকৃত রবীন্দ্রপ্রেমীরা তাদের এই উল্লম্ফনে আগেও ছিলো না, এখনো নেই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শামীম এর ছবি

আহারে ... .. কোপাও মামা...

লন একখান গান দেখেন (শুনেন + দেখেন)

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

উচ্ছল এর ছবি

হা হা হা ..... দারুন লিখছেন ভাইডি। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

ভাবতেছি বাংলাদেশে যাদুর কাঠির হাত বদলের সিস্টেম কি? এই হাফমজুর রহমান বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসরে জাকিয়ে বসে, আবার রবীন্দ্র সার্ধশতবর্ষে সপরিবারে ঢুকে পড়ে, তার এই যাদুর কাঠির উৎস সম্পর্কে কেউ জানেন? শুধু কি গান? পঁচিশে বৈশাখে এটিএন বাংলায় এক ঝলক দেখলাম উপমহাদেশের বাঘাবাঘা রবীন্দ্র গবেষকদের সাথে বসে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে তাত্বিক আলোচনা করছেন ইভা রহমান!!!!!!!!!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

অল্পের উপর দিয়ে ছাইড়া দিলেন। আরেকটু দেয়া উচিৎ আছিলো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বুইড়া তো সিডি দেখেই কাইত দেখি, গানটা না শুনেই!

ভাবতেছি আমি একটা রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম বার করুম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বের যদি করতেই চান তাহলে 'স্বরচিত' রবীন্দ্র সঙ্গীতের অ্যালবাম বের করেন। অবশ্য আপনার স্বরচিত গানকে কোন চেষ্টা ছাড়াই "নজরুল গীতি" বলে বাজারে চালানো যাবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

দেক্সেননি পাণ্ডবদা? কবি নজরুল ইসলাম রবীন্দ্র সঙ্গীত লিখতে চায়! হাসি

দ্রোহী এর ছবি

আপ্নে লোক্টা বেজায় খ্রাপ!

প্রমা  এর ছবি

ভাল বলেছেন, সকলের সাথে একমত পোষন করছি।

সিনেমা যজ্ঞ এর ছবি

আজকেই শুনলাম হাফমজুর ভাই আরেকটা টিভি চ্যানেল এর ৯৯ শতাংশ শেয়ার কিনেছে। 'বিজয় টিভি' নামের ঐ চ্যানেল আসলে অবস্থা ভয়াবহ দিকে টার্ন নিতে পারে। ঘটনা যদি সত্য হয় তাইলে ডিভা রহমান আর হাফমজুর এর মর্ডান লাইলি মজনুর প্রেমের জ্বালাতনে টিকে থাকা যাবে মনে হয়না। মানুষের ভালোবাসা যে নয়েজ ছড়াতে পারে এরা দুইজন তার প্রমাণ.....

আয়নামতি1 এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

Phoenix এর ছবি

ইভাও রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়! বিধাতা আর কত কষ্ট দিবেন আমাদের!! ওঁয়া ওঁয়া

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমি এই বেডির কোন আস্তাগান শুনি নাই

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমি এই মাতারির গান জীবনে পয়লা হুনলাম এই পোস্টের কমেন্ট থাইকা। ভাগ্যিস হুনছিলাম, নাইলে জীবনটাই তেজপাতা হয়া থাকতো!

হিমু এর ছবি
ব্যঙের ছাতা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
দেখিলাম এবং শুনিলাম ডিভা, হাফমজুর আর ৩৬ নং মন্তব্যের লিঙ্ক এর গান।
ফ্যাশন সোর ছবি দেখে মেজাজ খারাপ হয়ে ছিল আরো আগে থেকেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্য আরো ধৈরয্য কামনা করলাম।
লেখককে ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।