একটি গ্রামীণফোন অভিজ্ঞতায় পাওয়া ডিজিটাল 'তেনারা'

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: সোম, ৩০/০৮/২০১০ - ২:১০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অফিসেই ৯০% ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ফাইবার অপটিকসের হাই ব্যান্ডউইথে পংখীরাজের মতো উড়ে উড়ে কাজ করা যায়। বাসায় ধীরগতির ইন্টারনেটে বিরক্তি লাগে বলে খুব জরুরী না হলে বাসা থেকে ইন্টারনেটে ঢুকি না। ওয়েব মেইল চেক করা, অফিসের কিছু টুকটাক অনলাইনের কাজ সারা, ব্লগ ফেসবুকে খানিক উঁকিঝুকি দেয়া বাদে আর কিছু করা হয় না। এই পরিমান ব্যবহারের জন্য মাসে ১ গিগাবাইট যথেষ্ট। সেই হিসেবে গ্রামীন ফোনের ১ গিগা লিমিটের ইন্টারনেট ব্যবহার করতাম সাড়ে তিনশো টাকা দিয়ে। সুখেই ছিলাম।

একদিন ভুতে কিলালো।

অফিসের এক কলিগ পট্টি দিয়ে বললো, বস আপনার মতো লোকের মাসে ১ গিগা লিমিট, কেমন কেমন লাগে। আপনি আনলিমিটেডে চলে যান। আমিও আনলিমিটেড ব্যবহার করি। মাত্র পাঁচ ছয়শো টাকা বেশী যাবে। কিন্তু সারাটি মাস দুশ্চিন্তা মুক্ত। বিষুদবার রাতে টরেন্টে মুভি ডাউনলোড দিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন, শুক্রবার জেগে উঠে নাস্তা সেরে দিনভর আরামসে মুভি দেখবেন।

ভদ্রলোকের মতো গ্রামীণ অফিসে গিয়ে বিধি মোতাবেক ফটো আইডি জমা দিয়ে নতুন সিম রেজিষ্ট্রেশান করালাম। পোষ্টপেইড আনলিমিটেড। বিল মাসে ৯৭৭ টাকা। তবে বিল পেতে কখনো দেরী হলে ফট করে যাতে লাইন কেটে না দেয়, সেজন্য বাড়তি এক হাজার টাকার ডিপোজিট রেখে দিলাম। স্মার্ট এক্সিকিউটিভ আশ্বাস দিল, বিল না দিলেও আপনার লাইন কাটার কোন ঝুঁকি নেই স্যার।

খুশী মনে বাড়ী ফিরলাম। কিন্তু মাস যায়, আমার টরেন্টে যাবার সময় হয় না। অফিসের মেইল, ব্লগ, ফেসবুক, জিমেইল এই তিনের বাইরে আর কোথাও যাবার সময় পাই না। ইচ্ছেও করে না। মাস গেলে বিল দেখি ৯৭৭ টাকা। কিন্তু আমার ইউসেজ ডাটা দেখি ৮০০মেগারও কম। মানে আমি এখনো ৩৫০ টাকার ভেতরেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছি। পরের মাসে মনে হলো খামাকা অপচয় করছি মাসে তিনগুন টাকা। ফিরে যাই ১ গিগা লিমিটে। ৩৫০ টাকার লাইনই যথেষ্ট আমার।

গেলাম গ্রামীণ অফিসে। স্মার্ট কাস্টমার সার্ভিস এক্সিকিউটিভ আমাকে ১ গিগা লিমিটের প্যাকেজে বদলে দিল। লাইন পোষ্টপেইড থাকবে। কেবল লিমিট বদল হলো। ভিন্ন প্যাকেজে। বিল আসবে, কিন্তু লাইন কাটবে না, কারন এক হাজার টাকার ডিপোজিট। ধন্যবাদ দিয়ে ফিরে এলাম।

প্রথম মাসে বিল এলো ৩১২ টাকা ইউসেজ ডাটা ১১২৯মেগাবাইট। বিল দিলাম। এই বিলটা ঠিক এসেছে।

কিন্তু দ্বিতীয় মাসের ১৫ দিন যাবার আগেই একদিন লাইনটা কাটা গেল। কাহিনীর শুরু এখানে। পরদিনই ছুটলাম গ্রামীণ অফিসে। বিলের প্রিন্ট নিলাম। তাজ্জব হয়ে দেখলাম পনের দিনের বিল দেখাচ্ছে ১৫৪৬ টাকা, ইউসেজ ডাটা ৮৪২ মেগাবাইট। বললাম, আমার তো তিনশো টাকার ১ গিগা লিমিট, এত টাকা কেমনে আসে? তাছাড়া আমার ডাটা ইউসেজ তো ১ গিগার কম দেড় হাজার টাকা কেমনে আসে? স্মার্ট এক্সিকিউটিভ জানালো কোথাও টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়েছে, তাই এতটাকা বিল। ভয় নেই স্যার, আশ্বাস দিলেন তিনি। আমার কাছ থেকে ৫৪০ টাকা নিয়ে খুটখাট টাইপ করে লাইন চালু করে দিলেন।

জিজ্ঞেস করলাম, আমার ১০০০ টাকা ডিপোজিট ঠিক আছে তো, তিনি বললেন, ঠিক হ্যায়। ৩৫০ টাকার জায়গায় ৫৪০ টাকা জমা দিয়ে তেতো মুখে বাসায় ফিরে এলাম।
 
তৃতীয় মাসে ১২ দিন যাবার আগেই একটা ওয়ার্নিং এলো। বলা হলো, আপনি সীমা অতিক্রম করবেন শীঘ্রই। বাঁচতে চাইলে টাকা জমা দিন। অতরাতে আমি কই টাকা জমা দেই।

ঘন্টা খানেক পরেই দুম করে লাইনটা কাটা গেল। আমি বোবা হয়ে গেলাম। মেজাজ চরমে উঠলো এবার। জরুরী একটা কাজের মাঝখানে লাইনটা অসভ্যের মতো কেটে গেল। রাত তখন সাড়ে দশটা। আমি দৌড়ে বাইরে গিয়ে রাস্তার পাশের দোকান থেকে আরেকটা সিম যোগাড় করে প্রিপেইডে চলে গেলাম। জরুরী কাজটা সারলাম।

কদিন পরে আগের বিল আসলো। দেখলাম ১৯৭০ টাকা!! মাত্র ১২ দিনের বিল। ইন্টারনেট ব্যবহার ১১৫২মেগা। বলা হলো পুরো টাকাটাই দিতে হবে, আমার ডিপোজিট হাপিস। ডাটার হিসেবে আমি ৩০০ টাকার সমপরিমান ১ গিগা ব্যবহার করেছি। কিন্তু বিল এসেছে ৬০০% বেশী।

এবার আর গ্রামীণ অফিসে লাইন দিতে মন চাইলো না। স্মার্ট এক্সিকিউটিভ এবারো নিশ্চয়ই 'টেকনিক্যাল এরর, ঠিক হয়ে যাবে' বলে পিঠে হাত বুলিয়ে ১৯৭০ টাকা আদায় করে বিদায় করে দেবে। তার চেয়ে বরং বিল খেলাপী হই। কতো মানুষ কতো কোটি কোটি টাকা হাপিস করে দেয় ব্যাংক থেকে নিয়ে। আমি না হয় একটি রাক্ষস বিল মেশিনের বিরুদ্ধে গিয়ে ১৯৭০ টাকার খেলাপী হলাম। বিল দিলাম না, গ্রামীন অফিসে গেলাম না।

এখন কদিন পর পর চিঠি আসে গ্রামীণ থেকে। আপনি কিন্তু সীমা লংঘন করেছেন বলে আপনার লাইন কেটে দিয়েছিলাম। অতি সত্ত্বর গ্রামীন অফিসে এসে পাওনা মিটিয়ে আপনার লাইন পুনরুদ্ধার করুন। আমি মনে মনে বলি, ধুত্তোরি, তোর লাইনের গুষ্টি মারি। সীমা লংঘন আমি করি নাই, তোমরাই ৩০০টাকার সীমানায় ফাটল ধরিয়ে ১৯৭০ টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছো।

আপনারাই বলেন, আমার কি এখন ভদ্রলোক হওয়া সাজে?

ইদানীং সচলে তেনাদের গল্প আসছে খুব। ধরে নেয়া যেতে পারে এটাও গ্রামীণের তেনাদের কাজ। তেনারা আজকাল ডিজিটাল বিট বাইটেও হানা দিচ্ছেন। কোন পত্রিকা তেনাদের গল্প ছাপায় না বলে ব্লগই একমাত্র ভরসা। তেনাদের গল্প পত্রিকায় না ছাপানোর পেছনে কতোটা কর্পোরেট বন্ধুত্ব, কতোটা বিজ্ঞাপন বানিজ্য সেটাও একমাত্র তেনারাই বলতে পারবেন।

আগে বলা হতো, কাক কাকের মাংস খায় না। এখন সেটাকে বাড়িয়ে বলা যায়, কর্পোরেট কর্পোরেটের মাংস খায় না। তাই পত্রিকায় সব সংবাদ আসে না।


মন্তব্য

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কাক কাকের মাংস খায় না
এতে সকল কাকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিন্তু মজুদে টান পড়লে কাককে কাকের মাংস খেতেই হবে। আমাদের এক্সট্রা বিল ওই মজুদটা ঠিক রাখে।

__________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আমাদের এক্সট্রা বিল ওই মজুদটা ঠিক রাখে

দারুণ বলেছেন অনিন্দ্য! হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

বাউলিয়ানা এর ছবি

হায়রে! এই অবস্থা!

দেশে মানুষ যদি ইন্টারনেটও ঠিকমত ইউজ করতে না পারে তাইলে ক্যামনে কী। কাষ্টমার কেয়ারের নামে এই কোম্পানীগুলো কী তামাশা বানায়ে রাখছে শুনলে মেজাজ আসলে ঠিক রাখা দায়।

কৌস্তুভ এর ছবি

অর্থমনর্থম। ন্যাঙটার নেই বাটপাড়ের ভয়, আসুন টাকাকড়ি সব পাকিস্তানের বন্যাত্রাণে (যার ৬০%ই আবার যাবে আলকায়দার পকেটে) দান করে কৌপীনধারী হয়ে যাই। বিল-টিল নিয়ে আর ভাবতে ভাল্লাগছে না।

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

আমি এজন্যেই বাসায় কোন লাইন নেই নি :-)।

(একেই বলে, আঙুর ফল টক) চোখ টিপি
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আমি পোস্টপেইডে বিশ্বাসী না বহুদিন।
টেলিকম জীবনের শুরুতে একটেল পোস্টপেইড এসেছিল। তারপর বিশাল দাগা দিয়ে সমাপ্তি ঘটেছিল সেই প্রেমের।
তখন থেকেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। টেলিকমের সাথে লিভ টুগেদার করা যায়, বিয়ের দলিলে সাইন করা যায় না।
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ভাল বলছ।

পাঠক আমি এর ছবি

গ্রামীন-ফোনের নেটের বিলে মাঝে মধ্যেই ভূত প্রেত ঢুকে উল্টা পাল্টা করে। আমার পরিচিত একজন রাজশাহীতে মাস-দেড়েকের জন্য ফেরত গিয়ে প্রথমে ৩৪৫ টাকায় মাসে ১ গিগা লিমিটের লাইন নিলেন, উনি মেইল চেক ও ভয়েস চ্যাট করা ছাড়া আর তেমন কিছু করেন না নেটে। তো এক মাস পরে দেখলেন ১ গিগার মাত্র এক তৃতীয়াংশ খরচ হয়েছে, তাই বাকি ১৫/ ২০ দিনের জন্য 'নো ইউজ নো পে' অপশনটা নিলেন। নিয়ে তো ধরা। লাইন ঠিকমত পাওয়া যায় না, আর প্রতিবার কানেক্ট হওয়া মাত্র সিমের ব্যালান্স থেকে অনেক টাকা কেটে নেওয়া শুরু করে। আর প্রতিটাবারে যে কতবার যে কানেক্ট করতে হচ্ছিল তার হিসাবের জন্য ক্যালকুলেটরের সাহায্য লাগবে! শেষে দেখা গেল মোবাইলের প্রায় ৩০০+ টাকার ব্যালেন্স ২/৩ দিনে শেষ! বিরক্ত হয়ে শেষের কয়েকদিন ডিপার্টমেন্ট থেকেই কাজ চালিয়েছে। গ্রামীনে জব করে একজনকে এটা জানালে সেই সুন্দর উত্তর - রাজশাহীতে মাঝে মাঝে নেট ডিস্টার্ব করে- এখন এই লেখা পড়ে তো জানা গেল দেশের অন্য জায়গায়ও একই ধরনের সমস্যা হয়।

শামীম এর ছবি

রোজা রমজানের দিন .... তাই সংযম পালন করলাম। B-)
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

নামগোত্রহীন এর ছবি

সঠিক। এরকম ভোগান্তি আমিও ভুগেছি এবং আমার জানা আরেকজন মানুষ এবং একটি করপরেট ব্যবসার অফিসও ভুগেছে, এবং এখনও ভুগছে।
এসব মামদোবাজি'র একটা প্রতিকার হওয়া দরকার।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রিপেইডে যখন ১ জিবি ব্যবহার করতাম, লাইন কাটার ২-৩ দিন আগে থেকে মেসেজ, কাস্টমার ম্যানেজারের কলের জ্বালায় প্রাণ যাবার জোগাড়।

পোস্টপেইড নিলাম, দেখি কোন সাড়া শব্দ নাই। ভাবলাম, যাক। পোষ্টপেইড গ্রাহকদের বোধহয় এরা জ্বালাতন করে না। মজাটা বুঝলাম হঠাৎ করে একদিন লাইন কাটা যাবার পর... ঘটনা কি? সারা মাসে ১০ মিনিটও কথা বলি নাই, ক্রেডিট লিমিট অতিক্রান্ত হবার তো প্রশ্নই ওঠে না। খোঁজ নিয়ে জানলাম, কিভাবে যেন ১ জিবি অতিক্রম করে গেছে... কিন্তু এবার গ্রামীন বাছাধন ১জিবি অতিক্রমের আগে তো দূরের কথা, অতিক্রমের পরও কিছু জানাইল না... তখনো আমি গ্রামীনের মাত্রাতিরিক্ত বদান্যতার বাধিত... আমার বোধবুদ্ধির উদয় হইল তখন, যখন দেখলাম... ১ জিবি অতিক্রম করার পর যত কিলো নেমেছে, প্রতি কিলো ২ পয়সা করে কেটে যখন আমার ক্রেডিট লিমিটও শেষ। ৩৪৫ টাকার লাইন নিয়ে ১২০০ টাকার মত ২পয়সা রেটে কেটেছে...

কাস্টমার ম্যানেজারকে জিগাইলাম, এইবার জানাইলেন না কেন যে ১ জিবি ওভার করে যাচ্ছে? বলল, স্যার আমাদের সিস্টেমই এমন...

কি বলব আর? পোষ্টপেইড সিমটা ভেঙে আবার প্রিপেইডেই ফিরে গেছিলাম। তার উপর আগে ৩০-৩২ কেবি কনস্ট্যান্ট ডাউনলোড স্পিড পাইতাম... গত দুই সপ্তাহ ধরে ৩০-৩২ বাইটে ডাটা নামে। তাই এলাকার ব্রডব্যান্ড নিয়া বড়ই সুখে দিনাতিপাত করিতেছি।

-----------------------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com

রেশনুভা এর ছবি

গ্রামীণের এই জোচ্চুরির অভিজ্ঞতা মনে হয় কম বেশি সবারই আছে। প্রিপেইডে এক গিগা লিমিট (পি৬ প্যাকেজ?) অতিক্রম করার সাথে সাথে তেনারা প্রতি কিলোবাইট ২ পয়সা হারে কেটে অ্যাকাউন্ট গড়ের মাঠ বানায় দেয়। তার উপর *৫৬৬*১০# এই নাম্বারে পাওয়া ব্যবহারকৃত ডাটার পরিমাণের সাথে টাকার অঙ্ক কেটে নেওয়ার অসামঞ্জস্যতাও লক্ষণীয়। গ্রামীণরে কাছে থাকলেই ... বি-পো-দ। কারণ সে আপনার পো* মেরে দেবে।

রণদীপম বসু এর ছবি

আমিও একবার গ্রামীণ ফোনের প্রেমে মুগ্ধ হইয়াছিলাম ! এইবার আপনিও হইলেন !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌:) ঠিক!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

কাক কাকের মাংস খায় না। এখন সেটাকে বাড়িয়ে বলা যায়, কর্পোরেট কর্পোরেটের মাংস খায় না। তাই পত্রিকায় সব সংবাদ আসে না।

আমরা কেবল এক রাক্ষস এর থেকে আরেক রাক্ষসের পেটে গিয়ে ঢুকি যেমন AL থেকে BNP -

ইশতিয়াক এর ছবি

ঠিক একই রকম অবস্হা নকিয়া মোবাইলের কেয়ার সেন্টার গুলোয়। স্মার্ট কিছু লোক বসে থাকে। আর সবাইকে ঘুরায়। আমাকেও এখন লাটিমের মত ঘুরাচ্ছে। এটা নিয়ে একটা পূর্নাঙ্গ পোষ্ট দিবো।

অস্থির চিত্ত [অতিথি] এর ছবি

ভাগ্যিস জিপি র নেট নেই নাই! এই জিপি ইউস করতে গিয়ে এমনিতেই মানুষকে মিস কল দিতে দিতে বদনাম হয়ে গেসি...মন খারাপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আমার মনে হয় আনলিমিটেড ইউজারদের একাউন্ট পিগিব্যাকিং করে ইঞ্জিনিয়ারদের কেউ কেউ। যখন আপনে আনলিমিটেড থেকে ফিরত আসলেন তখনও সেই ইউজার বাবাজী সেটা ধুমসে ব্যবহার করছিল। তাই বাঁশটা খেয়েছেন আপনি।

ব্যাড! ভেরী ভেরী ব্যাড!!

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি সেটাও মানতে পারি না। কারণ বিলের মধ্যে আমার ইউজের পরিমাণ দেখাচ্ছে এক গিগার মতোই, এক গিগার দাম ৩৫০ টাকা। কিন্তু বিলে এক গিগার দাম দেখাচ্ছে ১৯৭০ টাকা! এটাই ভৌতিক মনে হচ্ছে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আলমগীর এর ছবি

আমার মনে হয় না, টার্ম-কন্ডিশনের বাইরে জিপি কিছু করে। p6 এ লিমিটের বাইরে গেলে p1 রেটে কাটবে এ কথা স্পষ্ট করে লেখা আছে।

এভাবে না এড়িয়ে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলাটাই মনে হয় ভাল।

অতিথি লেখক এর ছবি

টার্মস এন্ড কন্ডিশনের কোথায় লেখা আছে যে "প্রিপেইডে ধান্ধাবাজির সুযোগ নাই বলে ফোন আর মেসেজ দিয়ে ভরিয়ে ফেলা হবে কিন্তু পোষ্টপেইডে লুকাছুপি করে টাকা কাটার সুযোগ আছে বলে কিছুই জানানো হবে না?"

----------------------------------------
ধূসর স্বপ্ন, rupokc147 এট gmail ডট com

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আমি নিজে ভুক্তভোগী না হলে বুঝতাম না জিপির বিলিং সিষ্টেম কতোটা ভুয়া। ৩৫০ টাকার প্যাকেজে ১৯৭০ টাকা বিল!! তাও ১২ দিনের দিনের মাথায়। আমি জানি আমি কি পরিমান ব্যবহার করি। প্রিপেইডে থাকার সময় কখনোই ১ গিগা অতিক্রম করতে পারিনি কোন মাসেই। এখানেও দেখা যাচ্ছে আমার ইউজের পরিমান ১ গিগার ভেতরেই, কিন্তু বিল দিয়েছে ১৯৭০ টাকার। খটকাটা সেজন্যই। তার আগের মাসের ওভার বিলের সময় যোগাযোগ করার পর বলেছে সিষ্টেম এরর, পরের মাসে ঠিক হবে। গচ্ছা দিয়ে লাইন ঠিক করেছি সেই মাসে। কিন্তু পরের মাসে আরো ভয়াবহ অবস্থা। ওরা উল্টো আমার ১০০০ টাকার ডিপোজিটটাও খেয়ে বসে আছে।

ফলে ঝামেলা মেটানোর কোন উপায় দেখা যাচ্ছে না। বরং জনস্বার্থে প্রচারণা চালানো উচিত কেউ যেন গ্রামীণের পোষ্টপেইড ফাঁদে পা না দেয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

দিল্লিতে বসে এমার্জেন্সি ইমেল চেক করেছিলাম জিপি কানেকশনওয়ালা মোবাইলে। ক্রেডিট কার্ড থেকে ৪,৫০০.০০ টাকার মতো ডলার হাওয়া। কয়েকবার ফোন করলাম। জিপির চিঁচিঁ করে কথাবলা সৈকতের বোন, রুমকীর বাবা আর জলিল সাহেবের নাতনী বললো যে ওই টাকা দিতে হয়েছে ইনডিয়ার যে পার্টনার ইউজ করে মেল চেক করেছি, তাদেরকে। এখানে জিপি চার্জ করেছে তার বাংলাদেশের জিপিআরএস রেটে। ভালো বুঝ দিলে আর আমি বুঝে বসে থাকলাম।

আরেকবার ধরা খেয়েছিলাম বিশাল। ব্লুফিল্ম ডাউনলোড করতে করতে আনলিমিটেডেরও লিমিট শেষ, লাইন ঘ্যাচাং। কথা বলার ফোন লাগিয়ে ডাউনলোড শেষ করলাম ৬,৫০০.০০ টাকার বিনিময়ে।

রাতঃস্মরণীয়

মাহাবুব এর ছবি

রোমিং অবস্থায় আপনি এতো কমে কিভাবে ব্রাউজ করলেন?!

অতিথি লেখক এর ছবি

সর্বমোট ব্রাউজিং টাইম ছিলো ৫ মিনিটেরও কম।

রাতঃস্মরণীয়

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

যে-পরিমাণ অর্থ দিলেন, তাতে তো আপনি নিজেই একটা ছবি করে ফেলতে পারতেন চোখ টিপি
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

তারাপ কোয়াস [অতিথি] এর ছবি

চু*য়া কোম্পানির শীর্ষে গ্রামীণ ফোন। আগে ছেল যে আপনের চিটিশেল!!


মহাস্থবির জাতক এর ছবি

খাইসে! (কপিরাইট: রাকিব হোসেন, মুসা আমান, তিনগোয়েন্দা)।

আমি যে চিটিংসেল পোস্টপেইড নিতে যাচ্ছি! মানা করছেন?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

সিফাত এর ছবি

ভাই আমিও জিপির আনলিমিটেড প্যাকেজ ব্যবহার করি। মাঝে মাঝে আমার ভুতুড়ে বিল আসে। কাস্টমার কেয়ারে যারা থাকে তাদের যখন এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয় তখন যেভাবে আমাকে বুঝ দেয়, উত্তর দিতে হলে মুখে বাজে শব্দগুলো ছাড়া আর কিছুই আসে না। তবুও নিজেকে সংযত রাখি।

আর ইদানীং কাস্টমার কেয়ারে লাইন পাইতে রীতিমত ঘণ্টাখানেক বসে থাকতে হয়। লাইন কেটে গেলে আবার রিফিল করে যখন লাইন চালু করতে কল করি তখন তারা আমাকে বুঝ দেয় যে বিজনেস সল্যুশন সিম চালু করতে আপনার কোম্পানীর কেপিসি এর ফ্যাক্স লাগবে। এগুলান শুনলে রক্তটা গরম হয়ে যায়। গাইয়া গাইয়া কতগুলান পুলা-মাইয়াকে তারা বসাই রাখে ওখানে। স্টাইল করে কথা বলা আর "র" কে "ড়" শুনতে পাওয়া ছাড়া আর কিছুই বিশেষ পাওয়া যায় না। তখন জোড়পূর্বক কলটা স্পেশিয়ালাইজড টিমের কাছে ট্রান্সফার করাই। তারা মিনিক দশেক বসাই রেখে তারপর লাইনটা চালু করে দেয়।

রিফিল করার পর আমার বকেয়া যদি ক্রেডিট লিমিটের নীচে নেমে আসে, তাহলেই তো ওটোমেটিকেলি লাইইন চালু করে দেওয়ার কথা । এতো ভোগান্তির পেছেনে উদ্দেশ্য কি? এখনতো কাস্টমার কেয়ারে কল করলে টাকা কাটে। সেজন্যই মনে হয় এতোক্ষণ বসিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রামীন ফোনের এতো কাহিনী জানা ছিল না। তবে আমি যতোদূর জানি আনলিমিটেড ব্যাবহারের অর্থ হচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা দিয়ে আনলিমিটেড ব্যাবহার করা...

তবে এতো কিছুর পর আমার উপলব্ধি হলো যেখানেই অপশন বেশী, সেখানেই ঘাপলা! আমি আমার অ্যাকটেল লাইন ও তার আনলিমিটেড নেট নিয়ে সুখেই আছি!

--- থাবা বাবা!

এনকিদু এর ছবি

wifi ধরার সময় হয়েছে মনে হচ্ছে।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মাহে আলম খান এর ছবি

পড়তে পড়তে একটা স্বপ্ন দেখলাম।

গ্রামীণ এর চুরি, কাস্টমার কেয়ার এর "র" এর বদলে "ড়" শুনতে পাওয়া, এবং গ্রামীণফোনে চাকুরীরত বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়ের দেমাগি ব্যবহারের প্রতিবাদে, সকল গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী, একদিন মোবাইল এ কথা বলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারিখ নির্ধারন করা হয়ে গেছে। সবাই টুইট-রিটুইট, ফেসবুক গ্রুপ খোলা, ব্লগিং ইত্যাদি করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রচারপত্র - দেয়াল লিখন হচ্ছে। স্বেচ্ছাপ্রণোদিত কেউ কেউ গার্মেন্টস এর সামনে ছুটির সময় প্রচারপত্র বিলি করছে। স্কুল-কলেজে, অফিস-আদালতে, হাটে-ঘাটে, মাঠে-ময়দানে, সবাই বলাবলি করছে "শুধু মাত্র একদিন" মোবাইল বন্ধ থাক। দেখিনা কি হয়।

স্বপ্ন এতটাই দেখলাম। এরকম হলে তার কনসিকুয়েন্স, গ্রামীণের কো‌ন কর্মচারী স্বপ্ন দেখুক।

মাহে আলম খান এর ছবি

পড়তে পড়তে একটা স্বপ্ন দেখলাম।

গ্রামীণ এর চুরি, কাস্টমার কেয়ার এর "র" এর বদলে "ড়" শুনতে পাওয়া, এবং গ্রামীণফোনে চাকুরীরত বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়ের দেমাগি ব্যবহারের প্রতিবাদে, সকল গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী, একদিন মোবাইল এ কথা বলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারিখ নির্ধারন করা হয়ে গেছে। সবাই টুইট-রিটুইট, ফেসবুক গ্রুপ খোলা, ব্লগিং ইত্যাদি করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রচারপত্র - দেয়াল লিখন হচ্ছে। স্বেচ্ছাপ্রণোদিত কেউ কেউ গার্মেন্টস এর সামনে ছুটির সময় প্রচারপত্র বিলি করছে। স্কুল-কলেজে, অফিস-আদালতে, হাটে-ঘাটে, মাঠে-ময়দানে, সবাই বলাবলি করছে "শুধু মাত্র একদিন" মোবাইল বন্ধ থাক। দেখি যাক কি হয়।

স্বপ্ন এতটাই দেখলাম। এরকম হলে তার কনসিকুয়েন্স, গ্রামীণের কো‌ন কর্মচারী স্বপ্ন দেখুক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।